25/01/2025
জালালী কবুতরের নামকরণ ও ইতিহাস:
_____________
জালালী কবুতরকে ইংরেজিতে বলা হয় Rock Pigeon বা Feral Pigeon।এরা মূলত বন্য কবুতর। পৃথিবীর সকল পোষা কবুতর মূলত এই কবুতর থেকে উৎপত্তি হয়েছে।জালালী কবুতর সাধারনত দুই রঙের হয়,ধূসর ছাই রঙয়ের তবে ডানায় দুটি করে ঘাড় রঙের স্পট(বার থাকে) যাকে ব্লু বার বলে।জালালী কবুতর ব্লাক চেকার বা মাকসি রঙয়েরও হয়ে থাকে। এদের দেহগঠন মাঝারি আকারের চোখ লালচে-কমলা বর্ণের ও মণির রঙ কালো হয়। চোখের আকৃতি ও আইরিশ এবং ঠোটের গঠন ঘুঘু পাখির মত।পায়ের রঙ হয় লালচে গোলাপি।
বাংলাদেশে শত শত বছরের ঐতিহ্য নিয়ে জালালি কবুতর টিকে আছে বাংলাদেশে সিলেটের হযরত শাহ জালাল (র)-এর মাজারে। ধর্মপ্রাণ সিলেটের মানুষের বিশ্বাস- এই কবুতর হারিয়ে যেতে পারে না। তাই প্রায় ৭০০ বছর ধরে কবুতরের এই বিশেষ প্রজাতির ওড়াউড়িতে মুখরিত শাহজালাল (র)-এর মাজার।
হযরত শাহজালালকে (র) নিয়ে দিল্লির নিজামউদ্দীন আউলিয়ার কাছে তার এক শিষ্য কুৎসা রটনা করলে তিনি তাকে দরবার থেকে বিতাড়িত এবং শাহজালাল (র) সালাম পাঠায়, তখন শাহজালাল (র) একটি বাক্সে প্রজ্বালিত অঙ্গারের সঙ্গে কিছু তুলা পাঠান, যা ছিল একটি আধ্যাত্মিক নিদর্শন। এর পর তাদের সাক্ষাৎ হয় এবং শাহজালাল (র) ফিরে আসার সময় ভালোবাসার নিদর্শনস্বরূপ নিজামুদ্দীন আউলিয়া তাকে একজোড়া সুরমা রঙের কবুতর উপহার দেন, যা আজকের জালালি কবুতর বা জালালি কইতর নামে পরিচিত। [১০]
১৩০৩ সালে (৭০৩ হিজরী) ৩২ বছর বয়সে তিনি সিলেটে আসার পথে দিল্লীর আউলিয়া নিজামুদ্দীনের সাথে সাক্ষাত করেছিলেন। সাক্ষাতের বিদায়কালে প্রীতির নিদর্শন স্বরূপ নিজামুদ্দীন হজরত শাহ্ জালাল কে এক জোড়া সুরমা রঙের কবুতর উপহার দিয়েছিলেন। এই কবুতর নিয়েই তিনি সিলেটে এসেছিলেন। সেই থেকে সিলেটে এই কবুতরের ব্যাপকতা দেখা যায় এবং হযরত শাহ জালাল এর নামের সাথে মিল রেখে এর নাম হয় “জালালি কবুতর” হযরত শাহ্ জালাল (রহ.) ৩৬০ জন আউলিয়া নিয়ে ১৩০৩ সালে তৎকালীন আসামের অন্তর্ভুক্ত সিলেট (শ্রীহট্ট) জয় করে উড়িয়ে দিয়েছিলেন সেই কবুতরজোড়া । [১
তথ্য সূত্র: উইকিপিডিয়া