16/06/2022
বাজেরিগার পাখি পালতে চান?? নিচের লেখাটি খুব মনযোগ দিয়ে পড়ুন।। ৯৯% ধারণা পেয়ে যাবেন।☺️
❤️❤️ ইনশাআল্লাহ❤️❤️
🔰আপনি কি নতুন বাজেরিগার পালনের কথা ভাবছেন?
🔰নাকি সবেমাত্র কয়েকটা পাখি কিনে শুরু করে দিয়েছেন?
🔰বাজেরিগারের ব্যাপারে অনেক প্রশ্ন আপনার মনে?
🔰কিছু কিছু প্রব্লেম ফেস করছেন জিগ্যেস করার কাউকে পাচ্ছেননা?
➡তাহলে এই পোস্ট পড়া আপনার জন্য খুব জরুরী,আপনার অনেক প্রশ্নের উত্তর এখানে লুকিয়ে আছে▶
প্রশংসিত একটি প্রশ্নঃ➡ ভাই আমি পাখি পালন শুরু করতে চাই,কিভাবে শুরু করতে পারি কিছু টিপস দিবেন??
এমন প্রশ্ন যারা করেন সত্যি আপনি বিচক্ষণ ব্যাক্তি,,সবার চিন্তাভাবনা আপনার মত হওয়া উচিত।আপনার জন্য সামান্য কিছু টিপস দেয়ার চেষ্টা করবো এই পোস্টে।
দুঃখজনক কিছু প্রশ্নঃ➡ পাখি কিনেছি ২০/২৫ দিন এখনো কেন ডিম পাড়েনা?৬ টা ডিম সহ পেয়ার কিনলাম ডিমে কেন তা দিচ্ছেনা?১৫ দিনের বাচ্চা সহ পেয়ার কিনলাম,এখন প্যারেন্টস বেবিদের ফিডিং করায়না?
➡প্রথমেই একটা কথা আপনাকে মেনে নিতে হবে পাখি কোনো মেশিন বা পণ্য নয়,এরা ভালবাসার এক প্রাচুর্য। যা সৃষ্টিকর্তা ভালবেসে আপনার হাতে দান করেছেন,সবার ভাগ্যে যা জোটেনা।জন্ম-মৃত্যু একমাত্র সৃষ্টিকর্তার হাতে।কিন্তু উনি যেহেতু এদেরকে আপনার হাতে দান করেছেন আপনাকেই নিতে হবে এদের ভালো/মন্দ,সুখ/দুঃখের লাইবেলিটি।আর তাই এদের রক্ষণাবেক্ষনের জন্য আপনাকে অবশ্যই কিছু বিষয় ফলোয়াপ করতে হবে।অন্যথায় সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত ভালবাসার ভান্ডার আপনার হাত ফসকে বেরিয়ে যেতে খুব বেশি সময় লাগবেনা।
➡বাজেরিগার পালনের জন্য কয়েকটি ধাপ আপনাকে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে,যেগুলো নীম্নরুপ⤵
0⃣1⃣Mind setup (দৃড়তার সাথে মানুষিক ভাবে প্রিপারেশ নিতে হবে).
0⃣2⃣Placs selection (পাখি রাখার জন্য সুন্দর পরিবেশের স্থান নির্বাচন করতে হবে).
0⃣3⃣Knowledge with Budgerigar character (এদের স্বভাব চরিত্র সম্পর্কে ক্লিয়ার ধারণা থাকতে হবে).
0⃣4⃣Knowledge with Budgerigar food (খাবার সম্পর্কে জানতে হবে).
0⃣5⃣Fitness & sickness (সুস্থ পাখি অসুস্থ হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে জানতে হবে).
0⃣6⃣Cage setup (খাচা নির্বাচন এবং ডেকোরেশন).
0⃣7⃣Cleaning (পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা).
0⃣8⃣Budgerigar selection (কিভাবে কোন পাখি নির্বাচন করবেন).
0⃣9⃣Breeding period ( প্রজননের সময় করোনীয়).
1⃣0⃣Baby Care (বাচ্চাদের পরিচর্যা).
🚫উল্লেখিত ১০টি বিষয়ের যেকোনো একটি যদি আপনি এড়িয়ে চলতে চান তাহলে বলব বাজেরিগার পালন না করাই আপনার জন্য ভালোপালন না করাই আপনার জন্য ভালো হবে।❌
0⃣1⃣Mind Setup⤵
➡পাখি কোনো মেশিন নয়,তাই পাখি ক্রয় করা টাকাটা আপনি ইনভেস্টমেন্ট হিসেবে ধরে নিয়ে কিছুদিনের ভিতর এদের দ্বারা প্রফিট আশা করতে পারেননা।
এদের যাবতীয় সমস্ত চাহিদা পূরণ করে এদের সুস্থ সুন্দর রাখার চেষ্টাই হবে আপনার একমাত্র লক্ষ্য।স্বাভাবিক জীবন চলার গতিতে একজন মানুষ একা কখনও পাখিদের টেককেয়ার করা সম্ভব না।কেননা আপনাকে হয়ত যেকোনো সময় বাড়ির বাইরে থাকতে হতে পারে।তাই ফ্যামিলির সাপোর্ট এবং ফ্যামিলির কম পক্ষে একজন মানুষকে পাখিদের দেখাশোনা করা শিখিয়ে রাখা আপনার দায়িত্ব।যাবতীয় বিষয় গুলির উপরে আপনাকে মানুষিক ভাবে প্রিপারেশ নিতে হবে।এবং ফ্যামিলি মেম্বারদের সাথে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করে তাদের সম্মতি নিতে হবে।
0⃣2⃣Placs selection⤵
➡আমরা সবাই জানি যে পাখিরা বন্য প্রাণী,এরা বন বিচরণেই সবথেকে বেশি আনন্দ পায়। বন্য পাখিদের খাচার ভিতরে বন্দী রেখে বনের পরিবেশ আমারা হয়ত দিতে পারবোনা এটা সত্যি।কিন্তু সৃষ্টি থেকেই এদের শারীরিক, চারিত্রিক, জৈবিক, কিছু প্রোয়জন পরিবেশের সাথে ওতোপ্রোতো ভাবে জড়িত।এর কিছু অংশ অন্তত যদি আমরা পাখিদের দিতে না পারি সেটা হতে পারে পাখিদের জন্য অসহনীয়।তাই পাখিদের থাকার জায়গার পরিবেশের উপর লক্ষ্য রাখা অত্যান্ত জরুরী একটা বিষয়।
একদম আঁটোসাটো অন্ধকারাচ্ছন্ন জায়গায় পাখি নিজেদের মানিয়ে নিতে পারেনা।আবার বেশি কোলাহলপূর্ণ জায়গায়ও পাখি ভয় পায়।
তাই পাখিদের থাকার জায়গাটা এমন হতে হবে যেখানে প্রোয়জনীয় আলো বাতাস রোদ প্রবেশ করতে পারে।
আলো বাতাস রোদ সবই থাকার ব্যাবস্থা রাখতে হবে কিন্তু কোনোটাই অতিরিক্ত নয়।
এবং সেখানে মানুষ বা অন্যকোনো প্রানীর চলাচল যেনো সংরক্ষিত থাকে।
0⃣3⃣Knowledge with Budgerigar character⤵
➡অনেকে মনে করে,বাজেরিগার কবুতর মুরগী ঘুঘু সবাই ডিম পাড়ে,সবাই বাচ্চা ফুটায়,সবাই একই রকম।আজ কিনে নিলেই ১৫ দিনে ডিম পাবো আর ৩৬ দিনে বাচ্চা।
কিন্তু না,,আপনার ধারণা একেবারে ভুল।বাজেরিগারদের আপনি অন্যকারো সাথে কম্পেয়ার করতে পারবেননা।চারিত্রিক দিক দিয়ে এরা অনেকটাই ভিন্ন প্রকৃতির।এরা খুব লাজুক আর ভীতু প্রকৃতির পাখি।তবে মাঝেমধ্যে অনেক রাগিও।এরা নিজেদের পরিচিত পরিবেশ পরিচিত মানুষ আর পরিচিত বাসা ছাড়া আর কোথাও ভরশা করতে পারেনা।তাই যেকোনো উপায়ে যদি একবার এদের পরিচিত মানুষ, পরিবেশ আর খাচা পরিবর্তনের প্রোয়জন হয় তাহলে নতুন জায়গা নতুন পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিতে কিছুদিন সময় লাগে।এমনকি ডিম সহ পাখি কিনলে নতুন বাসায় এসে সেই ডিমে তা দেয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।বাচ্চা সহ পাখি কিনলে বাচ্চাদের ফিডিং করানো বন্ধ করে দেয়ার ফলে বাচ্চারা মারা যায়।যদিও মাঝেমধ্যে এর ব্যাতিক্রম ঘটে তবে সেটা হাজারে ১ টা। সাধারণত সুন্দর পরিবেশ, ভালো খাবার,আর আন্তরিক মানুষ পেলে এরা ৩০ থেকে ৪৫ দিনের ভিতরে নতুন জায়গায় নিজেকে মানিয়ে নেয়।আর সবকিছু নিজের পছন্দের না পেলে সহজে সেখানে সেটাপ নিবেনা।তাই নতুন পাখি কেনার পরে আমাদের উচিত কমপক্ষে ৪০ দিন পাখিদের মানিয়ে নেয়ার সময় দেয়া।এই সময়ে মেল ফিমেল আলাদা খাচায় কিছুদিন আলাদা রেখে কৃমিনাশক আর ক্যালসিয়াম কোর্স করিয়ে নেয়া উচিত।এরপরে মেল ফিমেল এক সাথে ব্রিডিং খাচায় দিলে পাখি ডিম পাড়তে আগ্রহী হয়।মনে রাখা ভালো একটা বাসায় শুধুমাত্র দুইটা পাখি যদি থাকে তাহলে ডিম পাড়ার সম্ভাবনা খুবই কমে যায়।কেননা আশেপাশে অন্য পাখি না দেখলে পাখি ভয় পেয়ে সেটাপ নেয়না।যদিও দুইটা পাখি সেটাপ নিয়ে ডিম বাচ্চা করে,তবে এতে অনেক বেশি লেট হতে পারে,আর ফলাফল আশানুরূপ হয় খুবই কম।
সবার মনে রাখতে হবে বাজেরিগার খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ ভীতু চঞ্চল প্রকৃতির পাখি।এই তিনটি গুণে এরা গুণান্বিত। তাই যদি আপনি ফ্রেন্ডলি আচরণ দিয়ে একবার এদের ভয় ভাঙ্গিয়ে আপন হতে পারেন তবেই এরা আপনার উপরে ভরশা করবে।
পাখির ব্রিডিংয়ের ৫০% সফলতা আসবে পাখির সাথে আপনার সম্পর্কের উপর নির্ভর করে।
0⃣4⃣Knowledge with Budgerigar food⤵
➡বাজেরিগারের প্রধান খাবারের নাম বলতে গেলে সবার আগে চলে আসে চিনা,কাউন,ক্যানারি আর ৪ প্রকারের মিলেট।তবে মিলেট আর ক্যানারি বিদেশি সীড হওয়ার কারনে বাংলাদেশে চিনা আর কাউনকেই প্রধান খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।যেহেতু ক্যানারি মিলেট বাংলাদেশে এখন এভেইলেবল পাওয়া যায় তাই এগুলো খাওয়ানোর প্রোয়জনীয়তা রয়েছে।মানুষের জন্য যেমন প্রধান খাবার ভাত,মাছ,মাংস,রুটি,সবজি,,বাজেরিগারের তেমন সীডমিক্স। মানুষ যেমন সুস্থ সুন্দর ভাবে বেচে থাকার জন্য ভাত,মাছ,মাংস,রুটির পাশাপাশি আরও অনেক খাবারের প্রোয়জন,,বাজেরিগারের তেমন সীডমিক্সের পাশাপাশি আরও অনেক খাবারের প্রোয়জনীয়তা আছে।
যেমনঃ কলমি শাক,লাল শাক,পালন শাক,পুই শাক,ধনে পাতা,পুদিনা পাতা,লেটুস পাতা,ঘাস,অঙ্কুরিত বীজ,শালগম,গাজর,ব্লকলি,ফুলকপি,মিস্টি কুমড়া,মিস্টি আলু,বাধাকপি,কাচা মরিচ,বেবিকর্ণ(কচি ভূট্টা),ভুট্টা সিদ্ধ,গম সিদ্ধ,ছোলা সিদ্ধ, ভেজা ছোলা,ছোলা মুগডাল ভুট্টা গমের মিক্স পাউডার,ইত্যাদি।ব্রিডিংয়ের জন্য পাখির শরীর থেকে প্রচুর ভিটামিন ক্যালসিয়াম মিনারেল খরচ করতে হয়।তাই ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার দেয়া খুবই জরুরী।ক্যালসিয়ামের উৎস হিসেবে উপরে উল্লেখিত প্রতিটি খাবারের সাথে (সীডমিক্স ছাড়া) ডিম ইউজ করতে পারেন।অথবা শুধু ডিম দিলেও পাখি অনেক সুন্দর খায়।তবে কমার্শিয়াল এগফুডের বিকল্প নেই,তাই যদি সম্ভব হয় তাহলে কমার্শিয়াল এগফুড ইউজ করার উপকারীতা অনেক বেশি।ডিম অথবা এগফুড যেটাই হোক প্রতি সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিনের বেশি ইউজ করা উচিত হবেনা।
ক্যালসিয়াম & ভিটামিন মিনারেলের প্রাকৃতিক উৎস হিসেবে ক্যাটেল ফিস বন (সাগরফেনা),মিনারেল ব্লক,ভিটা ব্লক অত্যান্ত কার্যকরী।তবে এক্ষেত্রে সচেতনতা খুব বেশি জরুরী।কেননা বাজারে আজকাল প্রচুর ডুব্লিকেট ব্লক পাওয়া যায় যেগুলো সাইন্টিফিকেলি পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ আর পরিক্ষা নিরিক্ষা ছাড়াই তৈরি হয়।এগুলো পাখির হেলথের জন্য মারাত্মক হার্মফুল হতে পারে।এসব বিষয় বিবেচনা করে এম&এ ব্রান্ডের মিনারেল ব্লক ভিটা ব্লকের মান অনেক ভালো।
মনে রাখবের নিউবর্ণ বেবির জন্মের পর থেকে কমপক্ষে ৩০ দিন বয়স পর্যন্ত পাখিদের এগফুড & সফটফুড দেয়া খুবই জরুরি।
0⃣5⃣Fitness & sickness⤵
➡ পাখি পালনের আগে এই বিষয় দুইটি সম্পর্কে ধারণা রাখার প্রোয়জনীয়তা অনেক।অনেক সময় সুস্থ পাখিও ফিটনেসলেস হয়,যেটাকে অসুস্থতা বলা উচিত হবেনা।সুন্দর পরিবেশ,প্রোয়জনীয় আয়তনের জায়গা,আর উপযুক্ত খাবারের অভাব,গোসলের অভাবের কারনে পাখির ফিটনেস নষ্ট হয়।ফিটনেস নষ্ট হওয়ার আরও একটা বড় কারন রেস্ট ছাড়া কন্টিনিউ ব্রিড করানো।
পাখির প্রপার ফিটনেস না থাকলে চুপচাপ বসে থাকবে,খাবার খাওয়ার সময় ছাড়া পার্চ থেকে নামতে চাইবেনা,খাবার পরিমানে কম খাবে,ফেদার গুলি ফ্যাকাসে কারাল আর অমসৃণ হবে।
যদিও ফিটনেসলেস মানেই সিকনেস নয়,তবুও দীর্ঘদিনের দুর্বলতা পাখিকে যেকোনো সময় অসুস্থ করে দিতে পারে।এভাবে পাখির মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
যেকোনো কারণে অসুস্থ হলে পাখি ঝিমিয়ে বসে থাকবে,পুপ্সের কালার আর ঘনত্বের পরিবর্তন হবে,পার্চ অথবা খাচার কর্ণারে ফেদার ফুলিয়ে বসে থাকবে,খাবারের পরিমাণ একেবারেই কমিয়ে দেবে,ভেন্ট ভেজা থাকবে,ভেন্টে পুপ্স লাগানো থাকবে।মনে রাখতে হবে যেকোনো এক্টিভ পাখিও কয়েক ঘন্টার ব্যাবধানে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে।তাই উপসর্গ গুলি জেনে রাখা অত্যান্ত জরুরী।সাধারণত পাখির চেহারা আর পুপ্স দেখেই অসুস্থতা নির্ধারণ করা হয়।তাই এ বিষয়ে নিজের অভিজ্ঞতা না থাকলে জরুরী মূহুর্তে পুপ্স আর পাখির পিকচার দেখিয়ে এক্সপার্টদের হেল্প পেতে পারেন।
পাখি পালন আর ব্রিডিংয়ের জন্য শুধুমাত্র সুস্থতাই শেষ কথা নয়,পাখির ১০০% ফিটনেসের প্রোয়জনীয়তা আছে।
0⃣6⃣Cage setup⤵
➡প্রকৃতিতে পাখি স্বাধীনভাবে বিচরণের সুযোগ পায়,কিন্তু খাচার ভিতরে স্বল্প আয়তনে সেটা সম্ভব না।
তাই অনেক যাচাই-বাছাই ও গবেষণার পরে বিশেষজ্ঞরা বাজেরিগারের খাচাকে দুইটি শ্রেণিতে বিভক্ত করেছে।
☑ফ্লাইং কেজ ১৮*৩৬*১৮
☑ব্রিডিং কেজ ১৮*১৮*১৮
এর থেকে ছোট খাচায় হবেনা এমন কোনো কথা নেই,তবে সেখানে পাখি কিছুটা আনকমফোর্ট ফিল করবে,ব্রিডিং রেজাল্টে হয়ত এফেক্ট পড়তে পারে,পাখির ফিটনেস কিছুটা ড্যামেজ হতে পারে।
যেকোনো খাচায় সবসময় একের অধিক পার্চ বা লাঠি দেয়ার উপকারীতা আছে।এতে পাখি এক পার্চ থেকে অন্য পার্চে বারবার হাটাহাটি ওড়াউড়ি করার সুযোগ পায় বলে পাখির অনেক ভালো ব্যায়াম হয়।এভাবে ব্যায়ামের মাধ্যমে পাখির অতিরিক্ত ফ্যাট রিডিউস হয়।অতিরিক্ত ফ্যাট পাখির জন্য অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ। এতে এগ বন্ডিং থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
ব্রিডিং কেজে একটা পার্চ সবসময় হাটির মুখের কাছে এমন ভাবে সেট করতে হবে যেনো অনায়াসে পাখি হেটেই পার্চ থেকে হাড়িতে প্রবেশ করতে পারে।কেননা ব্রিডিং পিরিয়ডে পাখিদের শরীর থেকে অনেক এনার্জি খরচ করতে হয়।এই সময় পাখিরা বারবার পার্চ থেকে হাড়িতে যাতায়াত করে।
হাড়িটা খুব শক্ত করে খাচার সাথে ফিক্সড করতে হবে যেনো একেবারেই নড়াচড়া না করে।নড়াচড়া করলে পাখি ভয় পেয়ে সেটাপ নষ্ট হওয়ার কারনে হাড়ির বাইরে ডিম দিতে পারে,ডিমে তা দেয়া বন্ধ করে দিতে পারে,এমনকি ডিম পাড়ার প্রতি নিরুৎসাহিত হতে পারে।
হাড়ির উপরের সাইড খাচার ছাদে মিলিয়ে রাখা ভালো,যেনো কোনোভাবে পাখি হাড়ির উপরে উঠে বসার সুযোগ না পায়।
হাড়ির উপরে পাখি বসার সুযোগ পেলে একটা পাখি হাড়ির উপরে বসবে,অন্যটা হয়ত পার্চে।এভাবে দুজনের বন্ডিংয়ের মাঝে দুরত্ব তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।তাছাড়া পাখিরা যদি হাড়ির উপরে বসে মেটিং করে হাড়ির মসৃণতার কারনে পা স্লিপ করবে এবং মেটিং সাকসেস নাও হতে পারে।সেক্ষেত্রে ডিম ফার্টেইল হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।সবথেকে বড় কথা পাখি সবসময় সর্বোচ্চ উঁচু জায়গায় বাসা বানাতে পছন্দ করে তাই হাড়িটা যতটা সম্ভব উঁচু করে ঝুলানো উচিত।
খাচার পার্চ হিসেবে অনেকে প্লাস্টিকের পার্চ ইউজ করেন,কিন্তু অনেকেই জানেননা পাখির উপর এর কতটা ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।এটা মসৃণ হওয়ায় পাখি এটা আকড়ে ধরার জন্য অতিরিক্ত শক্তি খরচ করতে হয়।অনেক সময় পাখির নখ খয় হয়ে যায়।এই পার্চে বসে পাখি মেটিং করলেও পা স্লিপ করার কারনে মেটিং সাকসেক না হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।আর তাই ডিমের ফার্টিলিটি কম হয়।
এসব কারণে পাখির বসার পার্চ হিসেবে এমন কিছু ইউজ করা উচিত যেগুলো পাখি প্রকৃতিতে ইউজ করে।
যেমনঃ যেকোনো গাছের ডাল,এবং অবশ্যই এটা অমসৃণ হতে হবে।পার্চ হিসেবে নিমের বাকল সহ কাচা ডাল দেয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে।
ফ্লাইং কেজের সাইজ অনুযায়ী ২ থেকে তিনটা পার্চের সাথে খেলনা সরঞ্জাম রাখতে পারেন,বাজিগর খেলতে খুব পছন্দ করে।
0⃣7⃣Cleaning⤵
➡পরিষ্কারপরিচ্ছন্নতার দিক থেকে বাজেরিগার অনেকটা শুচিবাই টাইপের পাখি।
অপরিষ্কার পরিবেশ এদের অসুস্থতার অন্যতম কারন।তাই সবারই উচিত প্রতিদিন সম্ভব না হলেও একদিন পর একদিন ট্রে পরিষ্কার করা।
প্রতি মাসে অন্তত একবার খাচা খালি করে ভিতরের সবকিছু সুন্দরভাবে জীবানুমুক্ত করা।
এক্ষেত্রে আপনি জীবানুনাশক অনেক কেমিক্যাল পেট শপে পাবেন।নিম পাতার পানির দ্রবন ক্লিনিংয়ের একটা ভালো উপাদান।
প্রতিবার ব্রিডিং শেষে হাড়ি ওয়াসের পরে জীবানুমুক্ত করার জন্য কিছুক্ষণ আগুনে শেকে নিতে পারেন।
বেবি থাকা অবস্থায় মাঝেমধ্যে হাড়িতে নজর রাখুন অতিরিক্ত ময়লা বাচ্চার মৃত্যুর কারন হতে পারে।
সীডমিক্স ভালভাবে না ধুয়ে কখনও পাখিদের দিবেননা।
খাবার এবং গোসলের জন্য ফুটানো পানি ইউজ করুন।
0⃣8⃣Budgerigar selection⤵
➡প্রথমেই যখন পাখি পালন শুরু করতে চাইবেন তখন ভালো মিউটেশনের চিন্তা না করে ওয়াইল্ড গ্রিন দিয়ে শুরু করাই উত্তম।শুরুতে অনেক গুলি পাখি না নিয়ে ৩ থেকে সর্বোচ্চ ৫ জোড়ার বেশি নেয়া উচিত না।কেননা আপনি এখনো পাখি পালনের উপর দক্ষ হতে পারেননি।যদি ৩/৪ জোড়া পাখির নিয়ম মেনে সঠিক পরিচর্চা করতে পারেন তাহলে ৬ মাসে আপনার এভিয়ারি হাউজফুল হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। আর নিয়ম না মেনে অবহেলা করলে ৩ হাজার পাখি কিনেও লাভ হবেনা,৬ মাসের আগেই আপনার এভিয়ারি জিরো হতে পারে।
তবে অনুরোধ করবো দুইটা পাখি না পালার জন্য।সুস্থ সুন্দর ফিটনেস যাচাই করে ৪ পিসের অধিক সর্বোচ্চ ১০ পিস পাখি দিয়ে শুরু করাই বুদ্ধিমানের কাজ।বাজেরিগার পালনে শুরুতে সেমি এডাল্ট দিয়ে শুরু করা উচিত। অনেকে তাড়াতাড়ি বেবি পাওয়ার জন্য রানিং এডাল্ট পেয়ার কিনে শুরু করতে চায় এটা সম্পুর্ন ভুল সিদ্ধান্ত। ৪ থেকে ৬ মাসের সেমি এডাল্ট বাজেরিগার দিয়ে শুরু করলে ফলাফল অনেক ভালো পাওয়া যায়।ক্রয়ের ক্ষেত্রে আপনাকেই সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে ক্রয় করতে হবে,কেননা সব বিক্রেতার মানুষিকতা এক না।কেউ আপনার সাথে প্রতারণা করতে না পারে তাই আপনাকেই সবকিছু বুঝে যেনে চেক করে ক্রয় করতে হবে।গ্রুপে এমন অনেক ব্রিডার পাবেন যারা পাখির যত্ন নেয়,পাখিদের ভালো খাবার খাওয়ায়।এমন ব্রিডারের কাছ থেকে পাখি নিলে অনেক উপকৃত হবেন।ইনব্রিডিং এভোয়েড করার জন্য আপনি দুজন ব্রিডারের কাছ থেকে পাখি নিবেন।৫ টা মেল একজনের কাছ থেকে ৫ ফিমেল একজনের কাছ থেকে।এভাবে নিলে বিক্রেতার প্রতি বিশ্বাসের উপর আপনাকে নির্ভর করতে হবেনা,অটোমেটিক ইনব্রিডিংয়ের রিস্ক কেটে যাবে।
এভাবে ভিন্ন ভিন্ন জায়গা থেকে পাখি কালেকশনের পরে মেল ফিমেল ভিন্ন করে দুইটি খাচায় রাখুন সর্বনীম্ন ৮ মাস বয়স হওয়ার আগে পর্যন্ত।
0⃣9⃣Breeding period⤵
➡ উপরে উল্লেখিত প্রতিটি ধাপ ঠিকঠাক পালন করে ৪ মাসের পাখিকে ব্রিড করানোর জন্য আপনাকে কমপক্ষে আরও ৪ মাস অপেক্ষা করতে হবে।সাধারণত ৮ মাস বয়সে ব্রিডিংয়ের জন্য বাজেরিগারের শরীর প্রপার প্রস্তুত হয়ে যায়।কিছুকিছু ক্ষেত্রে আরও একটু বেশি সময় লাগতে পারে।এবং এই ধৈর্য্যটা আপনার না থাকলে বাজেরিগার আপনার জন্য নয়।অনেক সময় দেখা যায় ৩ থেকে ৪ মাস বয়সের কিছু পাখি ডিম পাড়ে।আপনাকে অবশ্যই এই ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে এবং ডিম ফেলে দিতে হবে।
৮ মাস পরে পাখি মুডে এলে পছন্দ অনুযায়ী একটা মেল আর একটা ফিমেল জোড়া দেয়ার জন্য ব্রিডিং কেজে দিয়ে দিন।২ থেকে ৩ দিনের ভিতরে পাখি জোড়া নিয়ে নেয়,নতুন পাখির ক্ষেত্রে আরও একটু বেশি সময় লাগতে পারে,তাই প্রাইভেসি দিয়ে অপেক্ষা করুন।অনেক সময় দেখা যায় পাখির সঙ্গী পছন্দ না হলে জোড়া নিবেনা বা মেটিং করবেনা।এক্ষেত্রে পাখি মারাত্মকভাবে মারামারি করে আহত/নিহত হতে পারে।তাই জোড়া না নেয়া পর্যন্ত নজর রাখুন।মারামারি করলে অথবা ১৫ দিনে জোড়া না নিলে জোড়া চেঞ্জ করে দেয়া উচিত।
আর যে পাখি জোড়া নিয়ে মেটিং করবে তারা ৭ থেকে ১২ দিনের মধ্যে ডিম দেয় সাধারণত।
এরা ৪ থেকে ১২ টা পর্যন্ত ডিম দিতে সক্ষম।একদিন পরে একদিন ডিম দেয় সাধারণত,যেমনঃপ্রথম ডিম শুক্রবার দিলে দ্বিতীয় ডিম রবিবার দিবে,তৃতীয় ডিম দিবে মঙ্গলবার।এভাবে যদি ৫ টা ডিম দেয় তাহলে ১০ দিন সময় লাগবে ডিম দেয়া শেষ করতে।তবে যদি ফিটনেস ভালো না থাকে সেক্ষেত্রে দুইদিন পরেও ডিম দিতে পারে।আর এমন ফিটনেসের পাখি ব্রিডে দেয়া উচিত না।
ডিম ফুটে বাচ্চা বের হতে ১৮ থেকে ২১ দিন সময় লাগে,সেই পর্যন্ত ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করুন হাড়িতে বাচ্চার ডাক শোনার জন্য।
1⃣0⃣Baby Care⤵
➡ হাড়িতে বাচ্চার কিচিকিচি শব্দ শুনলেই আপনার ভিতর প্রশান্তি চলে আসবে,আনন্দে একটা মুচকি হাসি বেরিয়ে যাবে আশেপাশের সবাইকে ডেকে বলবেন আপনি সাকসেস!
কিন্তু না!!!
এখনই এতটা আনন্দিত হবেননা,মাত্র ৫০% সাকসেস এসেছে আপনার।
এবার বাচ্চার পরিচর্যার পালা,এটা অনেক বড় পরিক্ষা।
ডিম থেকে বাচ্চা ফোটার আগেই বাচ্চার জন্য সফটফুড রেডি করে রাখতে হবে।বাচ্চার ডাকের শব্দ শুনলেই খাবারটা খাচায় দিয়ে দিন।বাচ্চার বয়স ৩ থেকে ৫ হলে এগফুড দেয়া শুরু করুন।দূরত্ব বজায় রেখে লক্ষ্য করুন প্যারেন্টস বেবিকে খাওয়ায় কিনা,বাচ্চার পেটে খাবার আছে কিনা,পিপড়া বা যেকোনো পোকামাকড় বাচ্চাকে আক্রমন করে কিনা।এই সময় বাচ্চাদের ঘরে হালকা কোনো লাইট জ্বালিয়ে রাখার চেষ্টা করুন যে আলোতে পাখি খাবার খেয়ে বাচ্চাদের খাওয়াতে পারে।অতিরিক্ত আলো পাখির ঘুম নষ্ট করবে এবং রুমের তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারন হতে পারে।তাই খুব ঝাপসা বা জোৎছনা মাখা আলো দেয়ার চেষ্টা করুন।অথবা সন্ধ্যায় পাখির ঘর অন্ধকার হওয়ার পর থেকে সকালের আলো আসার মাঝে দুইবার পাখির ঘরের লাইট জ্বালিয়ে রাখুন ১৫ থেকে ২০ মিনিট করে।এই দুইবার পাখি খাবার খেয়ে বাচ্চাদের খাওয়াতে পারবে।
মনে রাখবেন এই বয়সে বাচ্চারা সব লিকুইড খাবার খায়, তাই পেটে বেশিক্ষণ খাবার না থাকার কারনে ঘনঘন বেবিদের ক্ষুধা হয়।এই সময় পাখিরা ২৪ ঘন্টা খাবার খাবে।পর্যাপ্ত খাবার না পেলে পাখি বেবিদের ফিডিং করাতে পারবেনা।এতে বেবি দুর্বল রুগ্ন হওয়া থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
ছোট বাচ্চা থাকা অবস্থায় খাবারে শাকের পরিমাণ কমিয়ে দিন।একেবারে দিবেননা সেটা নয়,দিবেন তবে একটা পরিমাপ অনুযায়ী। অতিরিক্ত শাক খেলে বেবিদের পুপ্স বেশি ভেজা হবে।এতে বেবিদের ঠান্ডা লাগার ভয় থাকে এবং বেবিদের শরীর নোঙড়া হয়।হাড়িতে বেবির পরিমান এবং খাবারের উপর হাড়ি নোঙড়া হবে।বেবি যত বেশি হবে,বেবি যত হেলদি হবে,তত বেশি হাড়ি নোঙড়া হবে।তাই বেবির বয়স ৫ থেকে ৭ দিন হলেই হাড়িতে লক্ষ্য করুন অতিরিক্ত ময়লা জমে আছে কিনা।প্রোয়জন হলে বেবি নামিয়ে রেখে হাড়ি পরিষ্কার করে দিন।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২৫ থেকে ৩০ দিনের ভেতর বাচ্চার শরীর পালকে প্রায় পরিপূর্ণ হবে।লক্ষ্য রাখুন বুকের ফেদার গুলো সঠিকভাবে উঠেছে কিনা।বুকে ফেদার উঠে গেলে বেবিদের হাড়ি থেকে মালসায় নামিয়ে হাড়ি বাইরে বের করে ফেলেন।মালসায় ছোট নরম আকৃতির অল্প সীডমিক্স দিয়ে দিন,এখানেই বেবিরা খেতে শিখে যাবে।
এবার আপনি সৃষ্টিকর্তার কাছে সূকরিয়া আদায় করে আনন্দ উল্লাসে ফেটে পড়তে পারেন।
নিজের সম্পর্কে এবার আপনি ভাবতে পারেন বাজেরিগার পালনের কিছুটা অন্তত আপনি বুঝতে শিখেছেন।
🔲perfection⏹⤵
➡ প্রতিবার ব্রিডিংয়ের শেষে মেল ফিমেল আলাদা ফ্লাইং কেজে রেখে পাখিদের রেস্ট করাতে হবে।ব্রিডিংয়ের সময় শরীর থেকে ব্যয় করা ভিটামিন মিনারেল ক্যালসিয়াম এই সময় পূরণ করে পরবর্তি ব্রিডিংয়ের জন্য পাখি রেডি করতে হবে।অন্যথায় পাখি মারাত্মক স্বাস্থ ঝুকিতে পড়তে পারে,এমন কি এই ঝুঁকি পাখিকে মৃত্যু পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে।মনে রাখবেন ১০০% ফিটনেস না পাওয়া পর্যন্ত পাখি পরবর্তি ব্রিডিংয়ে দিবেননা।
পাখি ব্রিডিংয়ের খাচায় দেয়ার পর থেকে বাচ্চারা নিজে খাবার খেতে শেখার আগ পর্যন্ত খুব সতর্ক থাকতে হবে।এই সময় কোনোভাবে পাখিদের বিরক্ত করবেননা।ডিম কয়টা হল,বা বাচ্চা কয়টা, এগুলো দেখার জন্য বারবার হাড়িতে উকি দিবেননা।বিশেষ প্রোয়জনে এমন ভাবে যাবেন পাখি যেনো ভয় না পায় অথবা রাগান্বিত না হয়।বিড়াল কুকুর ইদুর তেলাপোকা সহ যেকোনো পোকামাকড় বা জীবজন্তুর আক্রমণ এবং শব্দ থেকে পাখিদের সিকিউরিটি দিন।আসেপাশের মানুষ চলাচল রেস্ট্রিকটেড করুন।
উল্লেখিত বিষয় গুলো অনুযায়ী সিকিউরিটি & প্রাইভেসি দিতে না পারলে পাখি ডিম পাড়ার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ডিম নাও দিতে পারে।ডিমে তা দেয়া অবস্থায় এমন কিছু হলে ডিমে তা দেয়া বন্ধ করে দিতে পারে।বাচ্চাদের ফিডিং করানো অবস্থায় এমন কিছু হলে ফিডিং বন্ধ করে বাচ্চা মেরে ফেলতে পারে।বাচ্চা ফোটার পরে অনেক সময় পাখি খুব তাড়াতাড়ি মুডে চলে আসতে পারে যখন হয়ত বাচ্চারা খুবই ছোট থাকে।এমন অবস্থায় মেল বা ফিমেল যেকেউ বাচ্চাদের আঘাত করে মেরে ফেলতে পারে।এক্ষেত্রে যে এগ্রেসিভ হবে তাকে বেবিদের খাচা থেকে অন্য খাচায় শিফট করার বিকল্প নেই।
শীত গ্রীষ্ম বর্ষা যেকোনো সিজনে পাখিদের গোসলের প্রোয়জন হয়।গোসল নিয়ে অনেকের ভেতর তিনটি ভুল ধারণা কাজ করে,যেমনঃ ডিমে তা দেয়া পাখিদের গোসল করাতে ভয় পায়,বাচ্চা থাকা পাখি গোসল করাতে ভয় পায়,শীতকালে গোসল করাতে ভয় পায়।
কিন্তু তিনটি ধারণাই ভুল।সবাই যে সময়টা নিয়ে বেশি ভয় পায় এবং যে সময়ে পাখিদের গোসল একেবারেই বন্ধ করে দেয় এটা হচ্ছে পাখি ডিম পাড়ার পরে। অথচ এই টাইমেই পাখির গোসলের প্রোয়জনীয়তা অন্য সময়ের প্রোয়োজনের থেকেও আরও দুইটা প্রোয়োজন বেশি।
(০১) পাখি ডিমে তা দেয়ার কারনে শরীরে অতিরিক্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে গোসল না করলে হিটস্ট্রোক হতে পারে,হিটস্ট্রোক না হলেও পাখি মারাত্মক কষ্টে ভোগে গোসলের অভাবে।
(০২) ডিমের উর্বরতা বাড়াতে পর্যাপ্ত আদ্রতার প্রোয়জন,যেটা আসে পাখির ভেজা শরীরের পানি থেকে।তাই এইসময় গোসল না করলে ডিম ফারটেইল কম হতে পারে।এক কথায় বলতে গেলে পাখির কিছু শারীরিক অসুস্থতা ছাড়া যেকোনো সময় গোসল করানো উচিত।গোসল না করানোর ফলাফল অনেক ভয়ঙ্কর হতে পারে।
মনে রাখবেন পাখিরা আপনার সবার আগে ভালবাসা চায়।
তারপরে চায় পরিচর্যা,ধাপে ভালো খাবার,শেষ ধাপ ❝সিকিউরিটি&প্রাইভেসি❞
আপনি যদি প্রথম ধাপের চাহিদার পূর্ণতা দিতে পারেন তাহলে বাকি তিনটি ধাপ নিয়ে আর ভাবতে বা শিখতে হবেনা তেমন কিছু।কেননা আপনার ভালবাসার জিনিস ভালো রাখার আইডিয়া আপনার থেকে ভালো অন্যকেউ বুঝবেনা।তাই পাখিদের শুধু ভালবাসতে শিখুন,বাকিটা এমনিতেই হবে।
কথা দিচ্ছি পৃথিবীর সবাই আপনার সাথে বেঈমানী করলেও পাখি কোনোদিন বেঈমানী করবেনা।
শুধু একবার মন থেকে ভালবেসে ওদের আপন করে নেন,তবে সেখানে যেনো ফিটব্যাকের কোনো আকাঙ্খা না থাকে।
পাখিরা যখন আপনার ভালবাসায় মুগ্ধ হয়ে আপনাকে ভালবাসতে শুরু করবে তখন অভাবনীয় ফিটব্যাক দেখে আপনি'ই অবাক হবেন।
💗ভালো থাকুক সবার পাখি💚
💙আল্লাহ্ পুরন করুক সবার মনের আশা💙
এই প্রত্যাশায়
পেইজ→ Sharif Aviary
❝অবশ্যই পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকবেন এবং ফেন্ডদের ইনভাইট করবেন ❞
আশা করি পাখি সম্পর্কে সকল তথ্য পাবেন!
❤️❤️❤️