প্রাণিসেবা সেন্টার গর্জনিয়া বাজার

  • Home
  • Bangladesh
  • Chittagong
  • প্রাণিসেবা সেন্টার গর্জনিয়া বাজার

প্রাণিসেবা সেন্টার গর্জনিয়া বাজার Full Stack Web Developer বিপিএল সহ সকল নিউজ
(1)

পশুদের ভালো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য সবুজ খাবার যেমন ঘাস ১:৩ অনুপাতে খাওয়াতে পারেন।• সময়ে সময়ে সম্ভব হলে পশুদের গরম ...
14/01/2023

পশুদের ভালো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য সবুজ খাবার যেমন ঘাস ১:৩ অনুপাতে খাওয়াতে পারেন।
• সময়ে সময়ে সম্ভব হলে পশুদের গরম জল দিন।
• পশুপাখি খোলা জায়গায় না রেখে শেড বা শেড রাখুন, যা তাদের হিম ও শৈত্যপ্রবাহ থেকে রক্ষা করতে পারে।
• শীতকালে রোদ বের হলে পশুদের বেড়াতে নিয়ে যান, কারণ সূর্যের রশ্মিতে ক্ষতিকর ভাইরাস ধ্বংস হয়ে যায় এবং প্রাণীরাও স্বস্তি পায়।
• লুম্পির প্রকোপ পুরোপুরি বন্ধ হয়নি, তাই সমস্ত দুগ্ধজাত প্রাণীকে টিকা দিন।
• শীতকালে, পশুদের পেট খারাপ এবং ডায়রিয়ার মতো সমস্যা দেখা দিলে, এমন পরিস্থিতিতে অবিলম্বে একজন পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
• শীতের মৌসুমে পশুদের নিউমোনিয়া, সর্দি, ঘর্ষণ এবং মুখের রোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।এমতাবস্থায় পশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী রোগ প্রতিরোধক টিকাও দিতে হবে।

প্রাণিসেবা সেন্টারে সকল ওষুধের উপর বিশেষ ছাড় রয়েছে।
22/12/2022

প্রাণিসেবা সেন্টারে সকল ওষুধের উপর বিশেষ ছাড় রয়েছে।

প্রাণিসেবা সেন্টার গর্জনিয়া বাজার Only Veterinary
07/12/2022

প্রাণিসেবা সেন্টার গর্জনিয়া বাজার
Only Veterinary

08/10/2022
06/10/2022
03/10/2022

গরুর খামারকে লাভবান করতে হলে গরুকে অবশ্যই
কৃমি মুক্ত রাখতে হবে

গবাদি পশুকে কৃমিনাশক ঔষুধ খাওয়ানোর নিয়মঃ-
গর্ভবতী প্রাণিকে কৃমিনাশক খাওয়ানোর আগে অবশ্যই পরামর্শ নিতে হবে

(১) কৃমিনাশক ঔষুধ সকালে খালি পেটে খাওয়াতে হবে।
(২) গরমের ভিতর কৃমিনাশক না খাওয়ানোই ভাল। যদি খাওয়াতেই হয়, তাহলে খাওয়ানোর সাথে সাথে গরুকে ১০/১৫ মিনিটের মত সময় ধরে গোসল করাতে হবে এবং ফ্যানের নিচে রাখতে হবে।
(৩) দানাদার খাবারের পানির সাথে কৃমিনাশক ঔষুধ খাওয়ালে কোন কাজ করবে না।
(৪) কৃমিনাশক ট্যাবলেট গুড়া করে চিটাগুড় বা কলার পাতার সাথে মুড়িয়ে খালি পেটে খাওয়াতে হবে।
(৫) কৃমিনাশক ঔষুধ খাওয়ানোর পর কমপক্ষে ১ ঘন্টা কোন ধরনের খাবার দেয়া যাবে না।
(৬) কৃমিনাশক ঔষুধ নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে বেশি পরিমান খাওয়ালেও কোন ক্ষতি হবে না।
(৭) মাত্রার চেয়ে কম খাওয়ালে কৃমিতো মরবেই না বরং আরও সক্রিয় হবে।
(৮) গাভী বা ছাগী বাচ্চা দেয়ার কমপক্ষে ৪৫ দিন পর কৃমিনাশক ঔষুধ খাওয়ান, এর আগে না।
(৯) আট মাসের উপর গর্ভবতী গাভীকে কৃমিনাশক খাওয়ানো উচিত নয়।
(১০) নিয়মিত তিন-চার মাস পরপর সকল গবাদি পশুকে কৃমিনাশক ঔষুধ খাওয়াতে হবে।
(১১) সদ্য ভুমিষ্ঠ গরুর বাচ্চাকে জন্মের ৫/৭ দিনের মধ্যে পাইপারজিন গ্রুপের কৃমিনাশক পাউডার খাওয়াতে হবে। এবং ৬ মাস বয়স পর্যন্ত প্রতি মাসে ১ বার করে অ্যালবেন্ডাজল গ্রুপের ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে।
(১২) প্রতিবার কৃমিনাশক ঔষুধ খাওয়ানোর পর অবশ্যই মাত্রানুযায়ী লিভার টনিক খাওয়াতে হবে। কারন কৃমিনাশক ঔষুধ খাওয়ানোর ফলে গবাদি পশুর লিভারের উপর ধকল পড়ে, সে কারনেই লিভার টনিক খাওয়াতে হবে।

কৃমিনাশক ঔষুধ খাওয়ানোর পর যদি খাওয়ার রুচি কমে যায়, তাহলে রুচিবর্ধক পাউডার/ট্যাবলেট খাওয়ালে দ্রুত রুচি ফিরে আসবে ইনশাআল্লাহ্।

যে কোন সমস্যায় যোগাযোগঃ প্রাণিসেবা সেন্টার গর্জনিয়া বাজার
গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির পূর্ব পাশে(গ্রামীন টাওয়ারের সামনে) গর্জনিয়া বাজার

আগামী মাসের ২য় সপ্তাহে উদ্বোধন করতে যাচ্ছি ইনশাআল্লাহ
28/09/2022

আগামী মাসের ২য় সপ্তাহে উদ্বোধন করতে যাচ্ছি ইনশাআল্লাহ

লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এল এস ডি ) ভাইরাসঃ গর্জনিয়া, কচ্ছপিয়া,নাইক্ষ্যংছড়ির বিভিন্ন জায়গায় এই ভাইরাস ছড়িয়ে গেছে। সম্প্রতি মা...
27/09/2022

লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এল এস ডি ) ভাইরাসঃ

গর্জনিয়া, কচ্ছপিয়া,নাইক্ষ্যংছড়ির বিভিন্ন জায়গায় এই ভাইরাস ছড়িয়ে গেছে। সম্প্রতি মায়ানমার সিমান্ত দিয়ে আসা ভারতের গরুগুলো এই ভাইরাস নিয়ে আসছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিছুদিন পূর্বে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ভারতের হাজার হাজার গরু মারা গেছে।

লাম্পি স্কিন ডিজিজঃ লাম্পি স্কিন ডিজিজ গরুর জন্য একটি ভয়ংকর ভাইরাস জনিত রোাগ। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের সব জায়গায় গবাদি পশু এলএসডি রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এই রোগ খামারের জন্য বড় ধরণের ক্ষতির কারণ। বর্তমানে একটি খামার কে অর্থনৈতিকভাবে লোকসান এনে দেওয়ার জন্য এফ এম ডি বা ক্ষুরা রোগের চেয়ে অনেক বেশি ভয়ংকর রোগ হিসাবে ধরা হয় এটিকে।

প্রধাণত বর্ষার শেষে, শরতের শুরুতে বা বসন্তের শুরুতে যে সময়ে মশা মাছি অধিক বংশবিস্তার করে সে সময়ে ভয়াবহ এই রোগটি ব্যপক ভাবে ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়।
লাম্পি_রোগের_লক্ষণঃ
আক্রান্ত গরুর তাপমাত্রা হঠাৎ অনেক বেড়ে যেতে পারে। তাপমাত্রা ১০৫ থেকে ১০৭ ডিগ্রী পারেনহাইট পর্যন্ত হয়।
নাক ও চোখ দিয়ে পানি পড়া, মুখ দিয়ে পানি ঝরতে দেখা যায়। অনবরত চোখ দিয়ে পানি ঝরার কারণে গরুর চোখ এক পর্যায়ে অন্ধ হয়ে যায়।
গরুর পুরো শরীর জুড়ে লাম্প বা মাংসের পিন্ডের মত আচিল দেখা যায়
লাম্পি স্কিন ডিজিজ হলে করনীয়ঃ

L*D (Lampy Skin Disease) দ্রুত ছোঁয়াছে এক প্রকার ভাইরাস জনিত রোগ।
শুকনো, পরিষ্কার ও আলো বাতাস লাগে এমন যায়গায় রাখুন, মশা মাছি মুক্ত রাখুন,
সুস্থ্য গরু থেকে আলাদা রাখুন।

এই রোগ দেখা গেলে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকৎসকের শরণাপন্ন হউন।

যেকোন প্রয়োজনেঃ প্রাণিসেবা সেন্টার,গর্জনিয়া বাজার পুলিশ ফাঁড়ির পেছনে,গ্রামীন টাওয়ারের সামনে,প্রধান সড়ক গর্জনিয়া বাজার

⏩ছাগলের বাচ্চার জন্য দুধের পরিমানঃ- 🔶জন্মের ১ম সপ্তাহে দৈনিক ৩০০-৩২৫ মি.লি দুধ প্রয়োজন। 🔶জন্মের ২য়-৭ম সপ্তাহে দৈনিক ৪৫০-...
17/09/2022

⏩ছাগলের বাচ্চার জন্য দুধের পরিমানঃ-

🔶জন্মের ১ম সপ্তাহে দৈনিক ৩০০-৩২৫ মি.লি দুধ প্রয়োজন।

🔶জন্মের ২য়-৭ম সপ্তাহে দৈনিক ৪৫০-৮৫০ মি.লি দুধ প্রয়োজন হয়।

🔶৪ সপ্তাহের পর থেকে দুধের সাথে দানাদার খাওয়ানো শুরু করা যেতে পারে।
🔶১০-১১ সপ্তাহে দুধ সরবরাহের পরিমান ১০০-১৫০ গ্রামে নামিয়ে আনতে হবে।
🔶৪/৪.৫ মাস বয়সে দুধ সরবরাহ বন্ধ করে কাচা ঘাস ও দানাদার খাওয়াতে হবে।
🔶নিয়মিত কৃমিমুক্ত করতে হবে।

🔥মোটাতাজাকরন সিরিজ👉(প্রথমেই বলি কেউ যদি শুধুমাত্র খাবার খাইয়ে গরুকে মোটাতাজা করতে চান তাহলে সেটা ভালো হবে না,এক্ষেত্রে অ...
14/09/2022

🔥মোটাতাজাকরন সিরিজ

👉(প্রথমেই বলি কেউ যদি শুধুমাত্র খাবার খাইয়ে গরুকে মোটাতাজা করতে চান তাহলে সেটা ভালো হবে না,এক্ষেত্রে অনেকগুলো ধাপ সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে)
আমি আপনাদেরকে সুন্দর করে বোঝানোর জন্য মোটাতাজাকরন এর এই সিরিজটাকে ৭ টি পোষ্টে ভাগ করেছি। এই সিরিজটা ৪ দিনে শেষ হবে মানে প্রতিদিন ২ টি করে পোষ্ট আসবে।

⏩প্রথম পর্বে আমি আপনাদেরকে মোটাতাজাকরন এর উদ্দেশ্য এবং সুবিধা সম্পর্কে আলোচনা করবো।

⏩দ্বিতীয় পর্বে আমি খামার পরিকল্পনা ও প্রকল্প চালুর উপযুক্ত সময় নিয়ে আলোচনা করবো।

⏩তৃতীয় পর্বে গরু নির্বাচন, ক্রয় করা এবং বয়স নির্নয় করা নিয়ে আলোচনা হবে।

⏩চতুর্থ পর্বে গরুর জাত বাছাই করা সম্পর্কে আলোচনা করবো।(এটা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ)

⏩পঞ্চম পর্বে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসা এবং টিকা দেওয়া সম্পর্কে জানাবো।

⏩ষষ্ঠ পর্বে বাসস্থান এবং খাদ্য খাওয়ানোর পরিমান নিয়ে আলোচনা করবো।

⏩সপ্তম পর্বে খাদ্য পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলবো। (এটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ)

আলাদা একটা পর্বে আমি যারা ছোট পরিসরে ১/২/৪ টা ষাড় নিয়ে ফ্যাটেনিং করতে চান তাদের জন্য স্পেশাল আলোচনা থাকবে।

আপনাদের কাছে শুধু একটাই অনুরোধ থাকবে আমার কষ্ট করে লেখা পোষ্ট টা যাতে অনেকের কাজে আসে সেজন্য বেশী বেশী শেয়ার করবেন।

পর্ব~০১( উদ্দেশ্য ও সুবিধা)

গরু মোটাতাজাকরন আমাদের দেশে বর্তমান সময়ে একটি লাভজনক প্রকল্প।
গরু মোটাতাজাকরন বলতে কিছু সংখ্যক গরু বা বাড়ন্ত বাছুরকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিশেষ ব্যাবস্থাপনায় এবং উন্নত সুষম খাদ্য সরবরাহ করে ঐ গরুর শরীরে অধিক পরিমান মাংস বৃদ্ধি করে বাজারজাত করাকেই বোঝায়।

🔷দেশে আমিষের চাহিদা পুরন করা~দেশে দুধ,মাংস,ডিমের প্রকট ঘাটতি এখন। আমাদের আমিষের চাহিদার তুলনায় উৎপাদন অনেক কম। গরু মোটাতাজাকরন কর্মসূচি মাংস উৎপাদন বাড়াতে বিশেষ ভুমিকা রাখতে পারে।

🔷বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের জন্য চামড়া শিল্পের উন্নয়ন~যদিও বর্তমানে আমাদের দেশে চামড়া শিল্পের প্রসার এর চেয়ে সংকোচন বেশী হচ্ছে তারপরও চামড়া/চামড়াজাত পন্যের চাহিদা প্রচুর হারে বাড়ছে, খুব শীঘ্রই আশা করা যায় চামড়া শিল্প ঘুরে দাঁড়াবে। চামড়া উৎপাদনে এ কর্মসূচি ভুমিকা রাখতে পারে।

🔷জৈব সার সহজলভ্য করা~জৈব সার ফসলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু উৎপাদনের অভাবে এখন রাসায়নিক সার ব্যাবহার হচ্ছে, এতে কৃষি জমি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যেহেতু এই সারের সিংহভাগই আসে গরুর গোবর থেকে তাই গরু মোটাতাজাকরন জৈব সারের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারে।

🔷বেকারত্ব কমানো~ বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায়৷ ৷ শতাংশ শিক্ষিত তরুন বেকার। অল্প পুজি ও সঠিক দিক নির্দেশনা নিয়ে গরু মোটাতাজাকরন করে এই বেকার সমস্যার আংশিক সমাধান করা সম্ভব

🔶এছাড়াও এই কর্মসূচির মাধমে~ পরিবেশ দূষনমুক্ত এ গবাদিপশুজাত শিল্প গড়া সম্ভব।

বায়োগ্যাস তৈরী করে গোবর থেকে গ্যাস আহরন করে বাসায় রান্নাবান্না করতে পারবেন। এতে করে জ্বালানীর উপর চাপ কমবে।

সুবিধাঃ-
১. ক্ষুদ্র মুলধন নিয়েও শুরু করা যায়।
২.অল্প জায়গায় প্রজেক্ট করা যায়।
৩. অল্প সময়ে অধিক মুনাফা অর্জন করা যায়।
৪. ৩-৬ মাসে গরু মোটাতাজা করে বাজারজাত করা যায়।
৫. বেকার এবং মহিলাদের কর্মসংস্থান হয়।
৬. বাজারে মাংসের চাহিদা দিন দিন বাড়ছেই এতে করে লোকসানের ভয় থাকবে না।
৭. বাড়ন্ত গরুর রোগবালাই খুব কম হয়।
৮. স্থানীয় বাজারে বা হাটে খুব কম সময়ে গরু ক্রয় বিক্রয় করা যায়।

পরবর্তী পর্বে আমি খামার পরিকল্পনা ও প্রকল্প চালু করার উপযুক্ত সময় কখন সেটা নিয়ে আলোচনা করবো।

(আমি শুধু আপনাদের একটু ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করছি প্রয়োগ কিন্তু আপনাকেই করতে হবে, সেজন্য আমার লেখার বাইরেও অনেককিছু আছে সেগুলো হয়তো আপনার স্থান ও পরিবেশের সাথে মিলে না সেগুলো আপনি নিজ দায়িত্বে ঠিক করে নেবেন)

প্রয়োজনে যোগাযোগ করবেন

✅গরুর লাম্পি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকারের উপায়।।প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যেই দেশে ‘লাম্পি স্কিন ডিজিজ’ বা এলএসডি...
10/09/2022

✅গরুর লাম্পি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকারের উপায়।।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যেই দেশে ‘লাম্পি স্কিন ডিজিজ’ বা এলএসডি নামে আরেক ভাইরাসের দেখা মিলেছে। এ ভাইরাস গবাদি পশুকে আক্রমণ করে থাকে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় এ ভাইরাসে শত শত গরু আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এর কোনো প্রতিষেধক না থাকায় গরু নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে খামারিরা। এলএসডি গরুর জন্য একটি ভয়ঙ্কর ভাইরাসজনিত চর্মরোগ, যা খামারের ক্ষতির কারণ।

✅জানা যায়, ১৯২৯ সালে সর্বপ্রথম আফ্রিকা মহাদেশের জাম্বিয়াতে এ রোগ দেখা দেয়। ১৯৪৩ থেকে ১৯৪৫ সালের মধ্যে মহাদেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। তবে এখন পর্যন্ত এর কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। মশা-মাছি বাহিত রোগটি মূলত মশার মধ্যমেই বেশি ছড়ায়। আক্রান্ত গরু সুস্থ হতে দীর্ঘদিন সময় লাগে। দিন দিন গরু-বাছুর দুর্বল হয়ে পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে মারাও যায়। একটি খামারকে অর্থনৈতিকভাবে ধসিয়ে দিতে খুরা রোগের চেয়েও অনেক বেশি ভয়ঙ্কর রোগ এটি।

✅বাংলাদেশে গরুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ প্রথম দেখা দেয় ২০১৯ সালে চট্টগ্রামে। এরপরই মাঠে নামে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তদন্ত টিম। তখন দেশের ১২ জেলায় ৪৮ হাজার গরুর মধ্যে এ রোগের লক্ষণ খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল। এ বছর আবার এ রোগটি দেশের বিভিন্ন জেলায় দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি আফ্রিকা মহাদেশে ৪০ শতাংশ গরু এ রোগে মারা গেছে বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে।

✅রোগের কারণ:
মূলত এটি একটি পক্স ভাইরাস বা লাম্পিং স্কিন ডিজিজ ভাইরাসজনিত রোগ। ভাইরাসটি Poxviridae পরিবারের অন্তর্ভুক্ত Capripox virus গণের ভাইরাস। ছাগল ও ভেড়ার পক্স ভাইরাসের সাথে এ ভাইরাসের খুবই সাদৃশ্য পাওয়া যায়। এ ভাইরাস গরু ছাড়া মহিষেও ছড়াতে পারে। এক গরু থেকে আরেক গরুতে ছড়িয়ে পড়ে। ছাগল ও ভেড়ায় প্রতিলিপি তৈরি করলেও এরা সাধারণত লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হয় না। এ ছাড়াও এ ভাইরাস মানুষকে আক্রমণ করে না।

✅✅আক্রান্তের সময়:
রোগটি প্রধানত বর্ষার শেষে, শরতের শুরুতে বা বসন্তের শুরুতে মশা-মাছির বেশি বিস্তারের সময় ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়।
রোগের লক্ষণ: এলএসডি আক্রান্ত গরু প্রথমে জ্বরে আক্রান্ত হয় এবং খাবার রুচি কমে যায়। জ্বরের সাথে সাথে নাক-মুখ দিয়ে লালা বের হয়, পা ফুলে যায়, দুই পায়ের মাঝে পানি জমে যায়। পশুর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চামড়া পিন্ড আকৃতি ধারণ করে, লোম উঠে যায় এবং ক্ষত সৃষ্টি হয়। আর এ ক্ষত শরীরের অন্যান্য জায়গায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষতস্থান থেকে রক্তপাত হতে পারে। শরীরের কোথাও কোথাও ফুলে যায়। যা ফেটে টুকরা মাংসের মত বের হয়ে ক্ষত হয় এবং পুঁজ কষাণি বের হয়। পাকস্থলী বা মুখের ভেতরে সৃষ্ট ক্ষতের কারণে গরুর পানি পানে অনীহা তৈরি হয় এবং খাদ্য গ্রহণ কমে যায়।

✅✅যেভাবে ছড়ায়:
এ রোগে আক্রান্ত গরু থেকে বিভিন্ন উপায়ে অন্য গরুতে ছড়িয়ে পড়ে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য মাধ্যম হলো মশা ও মাছির আক্রমণ। মশা ও মাছিকে এ ভাইরাসের প্রধান বাহক হিসেবে দায়ী করা হয়। অন্যান্য কীট-পতঙ্গের মাধ্যমেও ভাইরাসটি ছড়াতে পারে। আক্রান্ত গরুর লালা গরুর খাবারের মাধ্যমে এবং খামার পরিচর্যাকারী ব্যক্তির কাপড়ের মাধ্যমে এক গরু থেকে অন্য গরুতে ছড়াতে পারে। আক্রান্ত গাভির দুধেও এ ভাইরাস বিদ্যমান। তাই আক্রান্ত গাভির দুধ খেয়ে বাছুর আক্রান্ত হতে পারে। গ্রাম-গঞ্জের প্রাণি চিকিৎসকগণ এক সিরিঞ্জ ব্যবহার করে বিভিন্ন গরু-ছাগলকে টিকা দেয়। এতেও সিরিঞ্জের মাধ্যমে এক গরু থেকে অন্য গরুতে ছড়িয়ে পড়ে। ভাইরাসে আক্রান্ত ষাঁড়ের সিমেন প্রজননে ব্যবহার করলেও এ রোগ ছড়িয়ে পড়ে। শুধু গরু, মহিষ ও ছাগল এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়।

✅✅প্রতিকার:
যেকোনো রোগের চিকিৎসা সহজ হলেও এ রোগের চিকিৎসা সহজ নয়। এর আগেও রোগটির আক্রমণ হলেও এ রোগের ভ্যাকসিন সহজলভ্য নয়। তবে খামারের ভেতরের এবং আশপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রেখে মশা-মাছির উপদ্রব কমিয়ে রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আক্রান্ত গরুর খামারের শেড থেকে আলাদা করে অন্য স্থানে মশারি দিয়ে ঢেকে রাখলে অন্য গরুতে সংক্রমণ হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। আক্রান্ত গাভির দুধ বাছুরকে খেতে না দিয়ে মাটি চাপা দেওয়া উচিত। আক্রান্ত গরুর ব্যবহার্য কোনো জিনিস সুস্থ গরুর কাছে না আনা বা খাবার অন্য গরুকে খেতে না দেওয়া। ক্ষতস্থান টিংচার আয়োডিন মিশ্রণ দিয়ে পরিষ্কার রাখা।

✅✅প্রাণিসম্পদ বিশেষজ্ঞদের মত:
এ রোগের সুনির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। শুধু সচেতনতার মাধ্যমেই এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। রোগের লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা করাতে হয়। প্রাথমিকভাবে অ্যান্টিপাইরেটিক ও অ্যান্টিহিস্টামিন দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। নডিউল বা গুটি ফেটে গেলে বা সেকেন্ডারি ব্যাক্টেরিয়াল ইনফেকশন দমন করার জন্য সিস্টেমিক অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা হয়। এ ছাড়াও ফেটে যাওয়া গুটিতে যেন মশা-মাছি বসতে না পারে, সে জন্য ফ্লাই রিপিলেন্ট ব্যবহার করা যায়। তবে ২১ দিন পর সাধারণত এমনিতেই রোগটি সেরে যায়। তাই লাম্পি স্কিন ডিজিজ রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেলেই দ্রুত উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বা রেজিস্ট্রার্ড প্রাণি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পরিচর্যার ব্যবস্থা করতে হবে।
(কপি পোস্ট)

রুমিনাল অ্যাসিডোসিস ও কার্বোহাইড্রেট ইনগর্জমেন্ট। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এই সমস্যা প্রায়ই দেখতে পাওয়া যায়। এটি সাধারণ...
25/08/2022

রুমিনাল অ্যাসিডোসিস ও কার্বোহাইড্রেট ইনগর্জমেন্ট। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এই সমস্যা প্রায়ই দেখতে পাওয়া যায়। এটি সাধারণত খাদ্যাভ্যাসজনিত কারণে সৃষ্ট হয়। এটি গবাদি পশুর রুমেনের অসুস্থতা। অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন জাতীয় খাদ্য খেলে রুমিনাল অ্যাসিডোসিস (Ruminal acidosis) ও কার্বোহাইড্রেট ইনগর্জমেন্ট সমস্যা হতে দেখা যায়। এতে গরুর পেট ফাঁপা ও বদ হজম হতে পারে।

রোগের কারণ

হঠাৎ করে বেশী পরিমানে পাকা খাদ্য শস্য খেলে।
হঠাৎ করে খাদ্য অথবা খাদ্য উপাদানের পরিবর্তন করলে।
গবাদি পশুকে বেশী পরিমাণে ভাত অথবা খুদ খাওয়ালে।
রুমিনাল অ্যাসিডোসিস লক্ষণ
বদ হজম ও খাদ্য গ্রহণে অনিহা এবং গরুর মাজল শুষ্ক থাকা এ রোগের প্রধাণ লক্ষণ।
পশু জাবর কাটা বন্ধ করে দেয়।
গরুর পায়খানা প্রায়ই বন্ধ হয়ে যায়। মল ত্যাগ করলেও তা শক্ত, কালো ও পরিমানে খুব কম হয়।
রুমেন ফুলে উঠে ও গরুর বাম পাশের ফ্লান্ক টিপলে সেটি শক্ত মনে হয় এবং বসে যায়।
শ্বাস-প্রশ্বাসের হার বৃদ্ধি পায় এবং ডিহাইড্রেশন হতে দেখা যায়।
গবাদি পশুর কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়।

এই সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের সাথে দেখা করেন

Address

Chittagong
4660

Telephone

+8801832979092

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when প্রাণিসেবা সেন্টার গর্জনিয়া বাজার posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Category


Other Veterinarians in Chittagong

Show All

You may also like