03/10/2020
কবুতরের ঔষধের মাসিক কোর্সঃ
( কৃমির ঔষধ ৬০-৯০ দিন পর পর )
***************************************
কবুতরের যেকোনো সমস্যায় একজন অভিজ্ঞ ভেটেরিনারি ডাক্তারের পরামর্শ নিন ।
ঔষধের মাসিক কোর্স, হা এইটা বাধ্যতামূলক নয় , আপনি ভাল লাগ্লে করবেন না হলে নয় ? আপনার মর্জি বা ইচ্ছা ।
******************
মাসিক কোর্স কেন প্রয়োজন ?????
অনেক সময় অনেক রোগের জীবানু শরীরে সুপ্ত অবস্থায় থাকে, এবং কবুতরকে ভিটামিন এর অভাব জনিত রোগ, ক্রিমি মুক্ত ও সঠিক দৈহিক বৃদ্ধি নিশ্চিত রাখতে মাসিক কোর্সের গুরুত্ব অনেক। নতুবা হটাত রোগের আক্রমনে অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে আপনার ভালবাসার কবুতরের ।
হতে পারে মহামারি যা ধ্বংস করে দিতে পারে আপনার শখের কবুতর এর খামার ????
*******************
আমরা লাখ টাকা খরচ করতে পারি
কিন্তু প্রতি মাসে ৫০০ টাকার ঔষধ কবুতরকে খাওয়াতে পারিনা ।
হ্যাঁ পারি কখন ???
যখন পুরা পাল মইরা শেষ ।
বেশী নয় এই ৪/৫ টা ওষুধ প্রতি মাসে ৫ দিন করে ,আমরা খাওয়ালে অন্তত মহামারি হবে নাহ ইনশাআল্লাহ ।
*******************
তারিখ অনুযায়ী যদি দিতে বা খাওয়াতে চাই ?????
আমরা একটি মাস ৩০ দিন হিসাবে
খুব কঠিন কিন্তু না আপনি প্রতি দিন পানি দিবেন জাস্ট পানির সাথে ঔষধ মিশিয়ে দিবেন এই যা বিরক্ত হওয়ার কিছু নাই ।
১ নং ১-৫ তারিখ পর্যন্ত ।
২ নং ও ৩ নং একসাথে ৬-১০ তারিখ পর্যন্ত।
৪ নং ১১-১৫ তারিখ পর্যন্ত ।
৫ নং ১৬-২০ তারিখ পর্যন্ত ।
৬ নং ২১-২৫ তারিখ পর্যন্ত ।
৭ নং এভিনেক্স ৬০-৯০ দিন পর পর যেকোনো ১-৫ দিন পর্যন্ত ।
**********************
1⃣ HAMECO PH :
সালমোণেল্লার জন্য , চুনা পায়খাণা , সবুজ পায়খাণা , লোম ফুলিয়ে বসে থাকে, খাবার খায় নাহ , ঝিমায় , খাবার খায়ণাহ শুধু পানি খায় ।পানির মতো পাতলা পায়খানা ,বমি করে ।
এইটাই ৯০ %রোগের জনক ।
একে বিভিন্ন রোগের জনক ও বলে ।
প্রতি লিটার পানিতে ১-২ মিলি hameaco PH মিশিয়ে ৫ দিন খাওয়ান । অনেক সময় পানি তিতা লাগায় কম খেতে চায় , তাই পানি পিপাসা লাগিয়ে বা দীর্ঘক্ষণ পানি না দিয়া অশুধ এর পানি দিন তখন পানি খাবে ।
কবুতর কম হলে অই পানি প্রতি কবুতরকে ১০ মিলি করে সিরিঞ্জ এ করে খাওয়ান ।
সাল্মোণেল্লা কি ???
এটি খুবই ব্যাপক রোগ, সাধারণত এটি যা গ্রাম-ঋণাত্মক(Gram Negative) ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা ঘটিত হয় . । এই রোগ বাচ্চা কবুতরের জন্য মরণশীল এবং বড়দের জন্য ও এটি খুব মারাক্তক যা দ্রুত চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে. এই রোগকে বলা হয় সব রোগের জন্মদাতা, তাই এই রোগ হলে তাড়াতাড়ি নির্মূলের ব্যাবস্থা করা উচিৎ।
লক্ষণ বা কীভাবে বুঝবেনঃ
তীব্র আকারের আক্রান্তর ক্ষেতরে ।
১)ঝীমায়
২)শাষকষ্ট হয় ।
৩)সাদা আঠাল / চুনা পায়খানা করে ।
৪) গারো সবুজ পায়খানা করে ।
৫) অনেক সময় পায়খানা পিছনের পালকে লেগে থাকে ।
৬)পা খোরায় ,পাখা ঝুলে পরে ।
৭) বমি করে ।
8) খাবার খায়ণাহ , পাণি বেশী খায় ।
চিকিৎসা ও পরিমানঃ
HAMECO-PH (HOLLAND ER )
কোথায় পাওয়া যাবেঃ
যেকোনো পশুপাখির ঔষধের দোকানে ।
প্রতিরোধেঃ
প্রতি লিটার পানিতে এ ১- ২ মিলি করে ৫ দিন প্রতি মাসে ।
চিকিৎসায়ঃ
২.৫ মিলি প্রতি লিটার এ ।
পাণি কতক্ষণ দিয়ে রাখা যাবে ।
খাবার পাণি দিয়ে ৮-১২ ঘণ্টা রাখুন ।
কেণো খাওয়াবেনঃ
Hameco Ph : কি ??
হেমিকো পি এইচ ৭টি অর্গানিক এসিড ২ টি ফ্যাটি এসিড ও এসিটিক বাফার এর মিশ্রণ যা গাট পি এইচ নির্ধারিত অবস্থার নিচে নামতে দেয় না। তাই বমি ও হয়না। হেমিকো পি এইচ এ ইষ্ট এক্সট্রাক্ট আছে। এটি মেডিসিন।
হেমিকো পি এইচ এ সাল্মোনেলা ই কোলাই সহ সকল গ্রাম নেগেটিভ ব্যাক্টেরিয়া এর বিরুদ্ধে কাজ করে।
বাফার কিঃ
বাফার একটি অপটিমাম লেবেল মেইন টেইন করে বা নিয়ন্ত্রণ করে ।
প্রতিটা কাজের একটা মাপ থাকে যার উপরে গেলে সমস্যা বা নিচে নাম্লে সমস্যা ?
এই বাফার এইটা নিয়ন্ত্রণ করে এবং এই মাপের বাহিরে জেতে দেয়নাহ ।
আর এই কারনে Hameco Ph ডোজ কম বেশি হলে ও ক্ষতির শম্ভবনাহ নেই ।
*****************
মূল্যঃ ১১০ টাকা
১) এইটা দামে কম ।
২) পশু পাখির জন্য তৈরি ।
৩) ভালো কাজ করে ।
৪) অভিজ্ঞ পশু পাখির ডাক্তার রা পরামর্শ দেন খাওয়াতে ।
৫) ভালো কোম্পানির তৈরি তাই গুণগত মাণ ভালো ।
৬) আলহামদুলিল্লাহ্ আমি ৪ বছর ধরে প্রায় ৩০০ + কবুতরকে প্রতি মাষে খাওয়াই , ফলাফল ভালো ।
৭) এই রোগের জন্য নির্দিষ্ট একটি ওষূধ ।
৮) মানুষের বিভিন্ন ওষূড এই ক্ষেতরে যেগুলা ব্যাবহার করা হয় তা এই রোগের জন্য এমন কিছু নির্দিষ্ট লেখা নাই । তাই নিশ্চয়তা কম ।
আপনারা প্রয়োজনে ডাক্তার দের সাথে কথা বা যেনে নিতে পারেন ।
৯) যেকোনো কবুতরকে বা যেকোনো বয়সের কবুতর কে দেওয়া যাবে ।
সমস্যা বা প্রতি বন্ধকতাঃ
অনেক সময় পানি ঝাঝাল বা তিতা লাগায় এই ঔষধ মিশান পানি খেতে অনিহা প্রকাশ করে , অনেকেই এইটাকে পুজি করে এইটা না খাওয়াতে উৎসাহ দেয় যা সঠিক নয় ।
এই ক্ষেত্রে আপনি পানি দীর্ঘক্ষণ না দিয়ে পানি দিতে পারেন বা কবুতর কম হলে অই ঔষধ মিশানো পানি সিরিঞ্জ দিয়া ১০ মিলি করে খাইয়ে দিতে পারেন ।
একটু কষ্ট হলেও কবুতরের উপকারের জন্য আমাদের এইটুকু করা দরকার প্রতি মাসে ৫ দিন ।
আমরা আমাদের ছোট ভাই বোন বা সন্তান তিতা ঔষধ না খেলে কি করি??
কবুতর ও আমাদের সন্তান এর মত এর ভালোর জন্য আমরা নিশ্চয়ই একটু কষ্ট করব ইনশাআল্লাহ্ ।
আল্লাহ্ ই একমাত্র শেফা দানকারী ।
2⃣ CALPLEX / CALCIUM :
ক্যালসিয়াম এর ঘাটতি পূরণ করবে ।
ভিটামিন ডি/ক্যাল্সিফেরল এর ঘাটতি: হাড় নরম ও বাঁকা হয়ে যায়, ক্যালসিয়াম এর শোষণ কমে যায় তাতে হাড়ের গঠন ও ডিম উৎপাদন ও তা দেওয়ার ক্ষমতা হ্রাস পায়। সমাধান ঃ ভিটামিন ডি ও মিনারেল প্রিমিক্স প্রদান, ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার প্রদান করতে হবে। ক্যালপ্লেক্স (এক্স ভেট জার্মান, স্কয়ার ফার্মা) ২ মিলি/১লিটার পানিতে মিশিয়ে অথবা ইএস-এডিই (স্কয়ার ফার্মা) ১মিলি/২লিটার পানির সাথা ৮ ঘন্টা হিসেবে খাওয়াতে পারেন।)
প্রতি লিটার পানিতে ২ মিলি মিশিয়ে ৫ দিন খাওয়ান ।
3⃣ PRITHI WS / B COM VIT -/THIAVIN / VITAMIN B1,B2,B6 :
ভিটামিন বি ১/ থায়ামিন:
ঘাড়ের পক্ষাঘাতের ফলে ঘাড় পেছন দিকে করে আকাশের দিকে মুখ করে থাকে, চলনে অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হয়। পা, ডানা ও ঘাড়ে পক্ষাঘাত হয়। থায়ামিন টি সি এ সাইকেল এর এক টি গুরুত্ব পূর্ণ উপাদান যা কার্বোহাইড্রেট মেটাবলিজম ও শক্তি উৎপাদনে সহায়তা করে।
সমাধানঃ
ভিটামিন বি ১ সমৃদ্ধ প্রিমিক্স ও মিনারেল প্রদান। প্রিথি ডাব্লিউ (স্কয়ার ফার্মা।)এস ১ গ্রাম/ ১ লিটার পানির সাথে মিশিয়ে ৮ ঘণ্টা হিসেবে খাওয়াতে পারেন।
ভিটামিন বি ২/ রাইবোফ্ল্যাভিনঃ ছানার পা পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়। পরে নখ বা আঙ্গুল বাঁকা হয়ে যায়। ছানার দৈহিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। সমাধান
ঃ ভিটামিন বি ২ সমৃদ্ধ প্রিমিক্স ও মিনারেল প্রদান করতে পারেন। প্রিথি ডাব্লিউ এস (স্কয়ার ফার্মা।) ১ গ্রাম/ ১ লিটার পানির সাথে মিশিয়ে ৮ ঘণ্টা হিসেবে খাওয়াতে পারেন।
ভিটামিন বি ৬/পাইরোডক্সিন: ছানার বৃদ্ধি ব্যাহত হয়, ক্ষুধামন্দ্যা দেখা দেয়, প্যারালাইসিস ও পেরোসিস হতে পারে। সমাধান ঃ ভিটামিন বি ৬ সমৃদ্ধ প্রিমিক্স ও মিনারেল প্রদান করতে পারেন। প্রিথি ডাব্লিউ এস (স্কয়ার ফার্মা))১ গ্রাম/ ১ লিটার পানির সাথে মিশিয়ে ৮ ঘণ্টা হিসেবে খাওয়াতে পারেন।
4⃣ E SELL / VITAMIN E :
ভিটামিন ই/টোকোফেরল : ডিমের উর্বরতা কমে যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। এনসেফালোম্যালাশিয়া রোগ হয়, পক্ষাঘাতের ফলে চলতে অসঙ্গতি দেখা দেয়। বুক ও পেটের নিচে তরল পদার্থ জমে, ইডিমা হয়। সমাধানঃ সেলিনিয়ামসহ ভিটামিন ই প্রদান করতে হবে। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে হবে। ই সেল পাউডার/লিকুইড (স্কয়ার ফার্মা) ১মিলি/১লিটার পানির সাথে মিশিয়ে ৮ ঘণ্টা হিসেবে খাওয়াতে পারেন।
5⃣ Rena WS / MULTI VITAMIN :
বিভিন্ন ভিটামিন এর ওভাব রোধ করবে ।
যেমন , বি ১ ,বি ২ ,এ্ ,সি ,কে , বি ৯ , বি ১২ ।
প্রতি লিটার এ ২ গ্রাম মিশিয়ে ৫ দিন খাওয়ান প্রতি মাসে ।
6⃣ হামদর্দ এর কারমিনাঃ
হজম শক্তি বাড়ায় , রুচি বাড়ায় , খাবারে অনীহা কমায় ।
প্রতি লিটার পানিতে ২ মিলি ঔষধ দিয়ে ৫ দিন খাওয়ান ।
কৃমির ঔষধ খাওয়ানোর নিয়মঃ
কৃমির লক্ষণ ঔষধ খাওয়ানোর নিয়মঃ
ক্রিমির কিছু লক্ষন -
অনেক দিন ধরে পাতলা পায়খানা, বেশি পানি পান করা, ডানা ঝুলে যাওয়া, ওজন কমে গিয়ে বুকের হাড্ডি বের হয়ে আসা, চুপচাপ বসে থাকা শুধু খাওয়ার সময় উঠা, উতপাদন কম হয়া, ডিম না দেয়া, পায়াখানার সাথে ক্রিমি আসা বা পরা ।
কখন করাবেন কোর্সঃ
ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় , খালি পেটে করান ।
গরমের দিনে করালে খুব ভোরে বা অনেক রাতে যখন খাবার হজম হয়ে যায় , প্রয়োজনে অই দিন খাবার একটু আগে দেওয়া ভাল তাতে রাতে খাবার আগে হজম হবে ।
অবশ্যই সুস্থ কবুতরকে করাতে হবে ।
অথবা গরমের দিনে হাল্কা বৃষ্টি হচ্ছে এমন আবহাওয়ায় দেওয়া ভাল ।
একটানা ৩/৪ দিন বৃষ্টি হয় তখন না দেওয়া উচিৎ ।
************
১)
পূর্ব ও পরবর্তী করিনিওঃ
লিভার টনিক ও সেলাইনঃ
লিভা ভিট, লিভা টন বা ইকটার্ন দিনার হামদারদ (অইগুলা না পেলে) দিতে পারেন ।
সেলাইনঃ
ইলেক্ত্রমিন বা গ্লুকলাইট দিতে পারেন ।
কৃমির ঔষধ দেওয়ার আগে ২ দিন ঔষধ দেওয়ার দিন দেওয়ার পর আরও ২ দিন দিতেয় পারলে ভাল ।
আর না পারলে লিভার টনিক ও স্যালাইন ওষুধ দেওয়ার দিন , এর পর আরও দুইদিন খাওয়ান ।
নিয়মঃ
১ লিটার পানিতে ২ মিলি/ গ্রাম করে মিক্স করে অই পানি খাবার পানি হিসাবে খেতে দিন ।
যেহেতু এই কোর্স এ লিভার এ চাপ পরে তাই এইটা করা ভাল ।
২) দৈহিক ওজন অনুসারে ঔষধের পানির পরিমাপ নির্ণয়ঃ
কবুতরের আনুমানিক ওজন ২০০-৩০০ গ্রাম হলে ১০ মিলি ।
দৈহিক ওজন ৩০০-৫০০/৭০০ গ্রাম হলে ১৫-২০ মিলি করে খাওয়ান ।
৩) ক্কৃমির কি ঔষধ দিতে বা খাওয়াতে পারি ঃ
Elcaris vet (square )
Poulnex (Novartis )
Avinex ( Reneta )
Acimec 1% (ACI)
৪) ঔষধ তৈরির নিয়মাবলি ও পরিমাপ ঃ
খালি পেটে
Elcaris vet (square )
Poulnex (Novartis )
7⃣ Avinex ( Reneta )
ঔষধ ১ লিটার পানিতে ২ গ্রাম ঔষধ মিশিয়ে অই পানি প্রতি কবুতরকে ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় খালি পেটে ১০ মিলি , ১ গ্রাম মিশালে ২০ মিলি করে প্রতি কবুতরকে খাইয়ে খাইয়ে দিন ।
কবুতরের আনুমানিক ওজন ২০০-৩০০ গ্রাম হলে ১০ মিলি ।
দৈহিক ওজন ৩০০-৫০০/৭০০ গ্রাম হলে ১৫-২০ মিলি করে খাওয়ান ।
ঔষধ তৈরির নিয়মাবলি ও পরিমাপঃ
ভরা পেটে
Acimec 1% (ACI)
Acimec 1% কবুতরকে প্রথমে খাবার দিন তারপর এই অউশধ মিশানো পানি দিবেন যাতে খাবার খেয়ে পানি খায় ।
ওই পানি ৩ ঘণ্টা রেখে সরিয়ে ফেলুন ।
ঔষধ ১ লিটার পানিতে ২ গ্রাম ঔষধ মিশিয়ে অই পানি প্রতি কবুতরকে ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় ভরা পেটে ১০ মিলি , ১ গ্রাম মিশালে ২০ মিলি করে প্রতি কবুতরকে খাইয়ে খাইয়ে দিন ।
কবুতরের আনুমানিক ওজন ২০০-৩০০ গ্রাম হলে ১০ মিলি ।
দৈহিক ওজন ৩০০-৫০০/৭০০ গ্রাম হলে ১৫-২০ মিলি করে খাওয়ান
৫) কৃমির ঔষধ খাওয়ানোর পদ্ধতিঃ
ঔষধ এর পানি দিয়ে রাখলে অনেক সময় অনেকে বেশি পানি খায় , অনেকে কম খায় , অনেকে খায়নাহ তাই ঝামেলা হয় ।
যেহেতু ৬০/৯০ দিন পর পর তাই একটু কষ্ট হলে ও ধরে সিরিঞ্জ দিয়ে খাওয়ানো ভাল ।
৬) কতক্ষন পর কি করতে হবেঃ
ঔষধ খাওয়ানোর ৩ ঘণ্টা পর লিভার টনিক / লিভা ভিট বা লিভা টন বা হামদারদ এর ইকটার্ন দিনার ২ মিলি আর ইলেকট্রমিন স্যালাইন ২ গ্রাম করে ১ লিটার পানিতে মিক্স করে খেতে দিন । কৃমির ওষুধ দেওয়ার পর বমি করতে পারে । আল্লাহ্ ভরসা ভয় পাবেন নাহ । আর ওষুধ দেওয়ার ৫ ঘণ্টা পর খাবার দিন এর আগে না দেওয়া ভাল । আর অই দিন ৩/৫ ঘণ্টা পর কবুতরের খাঁচা , খাঁচার নিচের ময়লা , ট্রে পরিষ্কার করুন।
৭) এক কোর্স থেকে আরেক কোর্স এর মেয়াদঃ
৬০-৯০ দিনের মধ্যে একবার করে এই কোর্স করা ভাল ।
8) কাদের জন্য নিশেধঃ
২/১ দিনে ডিম দিবে বা ২/৭ দিনের বাচ্চা আছে এমন কবুতর বা অসুস্থ কবুতর কে এই কোর্স করা যাবে নাহ ।
৯)যারা বাদ পরবে তাদের কি করবেনঃ
পরে তারা ডিম পাড়লে ৪/৫ দিন পর আর বাচ্চা ৮/১০ দিন বয়স হলে তাদের বাবা মা কে এবং অসুস্থ কবুতর সুস্থ হলে বা নতুন কবুতর কিণে আণলে কৃমির লক্ষণ থাকলে ,আলাদা করে ওষুধ খাইয়ে নিবেন ।
১০) কয়দিন দিবেন বা করাবেনঃ
৬০-৯০ দিনে ১ দিন ১ বার/ ১ বেলা দিবেন কখনোই ২ দিন বা দুই বেলা দিবেন নাহ।
বিঃ দ্রঃ
আমার স্বল্প জানা থেকে বলা ভুল থাকা স্বাভাবিক , পরামর্শ দিন , শুধরে নিব , সাদরে গ্রহন করব ইনশাআল্লাহ
এইখানে যে কোম্পানির ঔষধ এর নাম দেওয়া হইছে তা আমি ব্যাবহার করি , কিন্তু আপনি যেকোনো কোম্পানির ঔষধ ব্যাবহার করতে পারেন ।
আমার লেখার উদ্দেশ্য হল আপনাকে একটা ধারণা দেওয়া ।
ওষুধ গূলো ব্যাবহার করে , রোদ থেকে দূরে , শুষ্ক আবহাওয়ায় রাখুন , বাতাস না ঢূকে এমন ভাবে রাখুন ভালো থাকবে ।
লিকুইড ঔষধ ফ্রিজ নরমাল এ রাখলে ও ভাল থাকে বলে জানি ।
আমার জানা খুব কম , যারা ভাল জানে তাদের পরামর্ষ নিয়ে চিকিৎসা করুন। তাদের সাথে আলোচনা না করে বা বিভিন্ন গ্রুপ এ পোস্ট না করে ,আমার পরামর্শে চিকিৎসা করবেন নাহ ।তারা সময় না পেলে ৭ দিন অপেক্ষা করুন । তবুও ভুল চিকিৎসা করবেননা , অথবা যাচাই করে চিকিৎসা করুন ।