16/07/2022
মল্টিং সিজনে কবুতরকে কৃমি কোর্স করানো আর তার পালক কেটে দেওয়ার মাঝে কোন তফাৎ নেই।
এ সময়ে আপনি যদি কৃমি কোর্স করাতে চান,তাহলে সবচেয়ে ভালো হবে প্রাকৃতিক উপায়ে কৃমি কোর্স করানো।
আপনার জেনে রাখা দরকার:-দেশি কিংবা বিদেশি যত ধরনের কৃমির ঔষধ রয়েছে, সবগুলোরই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে।
**প্রাকৃতিকভাবে কৃমি কোর্স করাতে আপনার দুইটা উপাদানের প্রয়োজন:-
এক-নিমপাতা,
দুই-কালোজিরা।
প্রাকৃতিক উপায়ে আপনি দুই ভাবে কৃমি কোর্স করাতে পারেন।
নিম পাতা এবং কালোজিরা সমপরিমাণ নিয়ে সেগুলোকে মিশ্রণ করে ভালোভাবে বেটে নেবেন অথবা বেলেন্ডার করে নেবেন। খেয়াল রাখবেন,যেন অতিরিক্ত পাতলা না হয়ে যায়।তারপর সেগুলোকে ছোট ছোট বলের মত গোলাকার করে নেবেন,যাতে শুকানোর পর ডাবলির মত আকার হয়।
**খাওয়ানোর নিয়ম:
প্রত্যেকটা কবুতরকে প্রতিদিন একটা করে তিন দিন তিনটা খাওয়াবেন।
আপনি এটা যে কোন কবুতরকে খাওয়াতে পারবেন।ছোট,বড়,ডিম নিয়ে বসে আছে কিংবা তাদের কাছে বাচ্চা আছে এমন সবগুলোকে খাওয়াতে পারবেন।
দ্বিতীয় নিয়ম হচ্ছে:-
এক লিটার পানিতে ৩০-৪০ টা নিমপাতা দিয়ে ভালোভাবে জাল দিয়ে নিন। ঠান্ডা করে তাদেরকে পরিবেশন করুন অথবা প্রতিটা কবুতরকে ৫ মিলি করে পরপর তিন দিন ব্যবহার করুন।
ইনশাআল্লাহ কৃমির ডিম বাচ্চা সব বের হয়ে যাবে।
আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো:-এই ট্রিটমেন্ট টা ওয়েদার তথা আবহাওয়া বুঝে দিবেন।তীব্র গরমে কখনোই কোনো কৃমি কোর্স কিংবা এন্টিবায়োটিক কোর্স কবুতরকে করাবেন না!!
সহনশীল আবহাওয়া অথবা ঠাণ্ডা আবহাওয়া দেখে বুঝে এই ধরনের কোর্স করাবেন।
সবার কবুতর গুলো সুস্থ থাকুক,সুন্দর থাকুক এটাই আমাদের কামনা।
আমাদের সাথে থাকুন এবং আপনার মূল্যবান মতামত আমাদের প্রদান করুন।
ধন্যবাদ-----
#কবুতরের_ঔষধ #কবুতরের_চিকিৎসা