Rabbit Breeders Association of Bangladesh

Rabbit Breeders Association of Bangladesh খরগোশ পালন, চিকিৎসা ইত্যাদি বিষয়ে জান? #খরগোশ

02/07/2023
18/10/2022

" খরগোশ প্রদর্শনী
২৮ অক্টোবর ২০২২ ( সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৭ টা)
স্থান ঃ- মুক্তিযুদ্ধা টাওয়ার, কলেজ গেইট, মোহাম্মদপুর, ঢাকা
আপানাদের অংশগ্রহণ একান্ত কাম্য।"

Quality 😍😍😍😍
11/02/2022

Quality 😍😍😍😍

02/02/2022

Fancy Rabbit Farming

Commercial Rabbit Farming - Part-1বানিজ্যিক খরগোশ খামার। পর্ব-১
01/02/2022

Commercial Rabbit Farming - Part-1
বানিজ্যিক খরগোশ খামার। পর্ব-১

Commercial Rabbit Farming. Part-1.বানিজ্যিক খরগোশের খামার। পর্ব-১বিদেশী ফ্যান্সী জাতের খরগোশ পরিচিতি, দাম এবং কোথায় পাওয়া যাবে। পর্ব-....

খরগোশের বিষয় বিস্তারিত জানতে চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন।ধন্যবাদ
30/01/2022

খরগোশের বিষয় বিস্তারিত জানতে চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন।

ধন্যবাদ

খরগোশ এবং রঙিন মাছের বানিজ্যিক খামার এবং ব্যবস্থাপনা

🐇  আসসালামু আলাইকুম।আমি একটি এডাল্ট ছেলে খরগোশ এডাপশনে (ফ্রি) দিতে ইচ্ছুক।*নাম : ফ্লাফি *বয়স : ২ বছর *রঙ : সাদা*লোকেশন :...
28/01/2022

🐇
আসসালামু আলাইকুম।
আমি একটি এডাল্ট ছেলে খরগোশ এডাপশনে (ফ্রি) দিতে ইচ্ছুক।
*নাম : ফ্লাফি
*বয়স : ২ বছর
*রঙ : সাদা
*লোকেশন : ঢাকার মধ্যে এডাপশনে দিতে চাই।
বাচ্চাটাকে এমন কারো কাছে দিতে চাই -
ওর ফুড হ্যাবিট সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য এডাপশনের সময় বিস্তারিত জানিয়ে দিব।
* বিশেষ কোন শর্ত নেই, শুধু ওর প্রোপার কেয়ার নিশ্চিত করলেই হবে।
* ঢাকার বাসাবো/ খিলগাঁও এর কাছাকাছি এলাকায় বাসা হলে আমি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারবো।
🐇Mobile number :+8801865050690

ডোয়ার্ফ হটোট খরগোশ  আকার: বামন/ক্ষুদ্রাকৃতি ওজন: ২.৫-৩.৫ পাউন্ড ( ১.১-১.৭ কেজি) জীবনকাল: ৭-১০ বছর বডি শেপ: কমপ্যাক্ট যাদ...
22/01/2022

ডোয়ার্ফ হটোট খরগোশ
আকার: বামন/ক্ষুদ্রাকৃতি
ওজন: ২.৫-৩.৫ পাউন্ড ( ১.১-১.৭ কেজি)
জীবনকাল: ৭-১০ বছর
বডি শেপ: কমপ্যাক্ট
যাদের জন্য উপযুক্ত ঃ একাকী, বয়স্ক , অ্যাপার্টমেন্ট , বড় বাচ্চাদের পরিবার, প্রথমবারের মালিক, ইনডোর খরগোশ স্বভাব: কৌতুকপূর্ণ, মধুর, স্নেহময়, উদ্যমী

বামন হটোট খরগোশের ইতিহাসঃ-

জনপ্রিয় ডোয়ার্ফ হোটোট বৃহত্তর হোটোটের একটি ক্ষুদ্র সংস্করণ নয়, এটি সাধারণ আকারের হোটোটের সাথে কয়েকটি জাতকে ক্রস করে বিকশিত হয়েছিল। আসল হোটোট ২০ শতকের শুরুতে ব্যারনেস বার্নার্ডের দ্বারা ফ্রান্সে বিকশিত হয়েছিল। ১৯৭০ এর দশকে পূর্ব এবং পশ্চিম জার্মানি উভয় ক্ষেত্রে ডোয়ার্ফ জাতটি প্রজনন প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ। দুটি প্রজননকারী স্বাধীনভাবে একই খরগোশকে প্রজনন করেছিলেন, তবে তাদের ক্রস করার জন্য একত্র হয়েছিলেন। তারা ডোয়ার্ফ হটোট তৈরি করতে হোয়াইট হটোট এবং নেদারল্যান্ডস ডোয়ার্ফ উভয়কেই ব্যবহার করেছিল। ১৯৭০ সালে, ক্যালিফোর্নিয়ার এলিজাবেথ ফারস্টিংগার পশ্চিম জার্মানি থেকে সাতটি ডোয়ার্ফ হটটকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে এসেছিল এবং ১৯৮০ সালে তাদের দেখাতে শুরু করে দু'বছর পরে আমেরিকান ডয়ার্ফ হটোট খরগোশ ক্লাব তৈরি করা হয়েছিল, এবং জাতটি আমেরিকান খরগোশ ব্রিডার অ্যাসোসিয়েশন (স্বীকৃতি দিয়েছিল) ১৯৮৭ সালে এআরবিএ) ডোয়ার্ফ হটোট 'অভিনব চোখের' নামেও পরিচিত, এমন একটি নাম যার নামটি আপনি প্রথম এই স্ট্রাইকিং বানিগুলি দেখার সাথে সাথেই বুঝতে পারবেন।

সামগ্রিক বিবরণঃ-
তাদের নাম অনুসারে, ডোয়ার্ফ হোটোট একটি সম্পূর্ণ খরগোশ যা একবার এডাল্ট হয়ে ওঠার পরে ২.৫ থেকে ৩.৫ পাউন্ড ওজনের হয়। ছোট এই অনন্য-চেহারাযুক্ত খরগোশগুলি কালো চোখের চিহ্ন দ্বারা বিপরীত সাদা কোটের জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত। ডোয়ার্ফ হোটোটের একটি কমপ্যাক্ট বডি টাইপ থাকে, যার সাথে একটি বৃত্তাকার, বড় মাথা এবং ছোট ঘাড় থাকে। তাদের হ্যান্ডকোয়ার্টারটি বৃত্তাকার এবং প্রশস্ত কাঁধের সাথে সামঞ্জস্য করা। কান ছোট এবং ঘন হয়। তাদের আরাধ্য চেহারা ছাড়াও, এই খরগোশের একটি বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বও রয়েছে যা তাদের পোষা প্রাণীর পক্ষে একটি ভাল পছন্দ করে তোলে।

কোট/পশমঃ-
এই খরগোশের জাতের পশম সংক্ষিপ্ত, ঘন এবং চকচকে। ডোয়ার্ফ হোটোটের তথাকথিত রোলব্যাক পশম রয়েছে যার অর্থ স্ট্রোক করার সময় তাদের চুল খাড়া থাকে। এই কোটগুলিকে খুব বেশি মনোযোগ দেওয়ার দরকার নেই এবং ডোয়ার্ফ হোটোটের আকারের কারণে আপনি কখন খেয়াল করবেন তা আপনি খেয়ালও করতে পারেন না। তবে সমস্ত খরগোশের মতো এই জাতেরও সাধারণত বসন্তে পশম ঝরতে থাকে। যখন এটি ঘটে তখন ঘন ঘন ব্রাশিং করা জরুরী। নাহলে ওরা নিজেরা গ্রুমিং করার সময় নিজের লোম খেয়ে ফেলতে পারে। খরগোশ বমি করতে পারে না, তাই তাদের নিজের চুলের অত্যধিক পরিমাণে গ্রহণ করা একটি গুরুতর সমস্যা হয়ে উঠতে পারে, যার ফলে অন্ত্রের বাধা হিসাবে জটিলতা দেখা দেয়। থাম্বের নিয়ম হিসাবে, গলানোর মরসুমে, একটি স্লিকারযুক্ত চিরুনি সহ একটি ভাল দৈনিক ব্রাশ সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রাখবে।

রংঃ-
এআরবিএ একটি ডোয়ার্ফ হোটোট রঙ সমন্বয় গ্রহণ করে। শো-যোগ্য খরগোশগুলি চোখের চারপাশে কালো রঙের আংটি দিয়ে সমস্ত সাদা যা দেখতে প্রায় আইলাইনারের মতো দেখায়। কালো রঙের ব্যান্ডটি যা তাদের চোখগুলিকে বৃত্তাকারে চেহারার সাথে খুব পাতলা বা খুব ঘন নয় - আদর্শভাবে দৃশ্যমান থাকে।স্বাভাবিকভাবেই, এইগুলি শো মানের খরগোশের জন্য প্রয়োজনীয়তা।

যত্ন প্রয়োজনীয়তাঃ-
এই খরগোশের ছোট আকারের কারণে এর জন্য বড় খাঁচার প্রয়োজন হয় না - ২৪ x ২৪ বা ১৮ x ২৪ ইঞ্চি খাঁচা যথেষ্ট। সাধারণত, এই ঘেরগুলি স্টিলের তার থেকে তৈরি করা হয়, প্রায়শই গুঁড়ো দিয়ে লেপযুক্ত। তবে, খাঁচার মেঝে তারের হওয়া উচিত নয়, কারণ তারে পা রাখার ফলে বেদনাদায়ক অবস্থা হতে পারে যা সোর হক হিসাবে পরিচিত। পরিবর্তে, শক্ত প্লাস্টিকের শীট নীচের অংশে বিছিয়ে দিন বা আপনার পোষা প্রাণীর পক্ষে যথেষ্ট নরম এবং আরামদায়ক করতে নীচে একটি খরগোশ-নিরাপদ বিছানার একটি পুরু স্তর রাখুন। বিছানাপত্রটি প্রতিদিন স্পট-ক্লিন করা এবং প্রতি সপ্তাহের শেষে সম্পূর্ণ প্রতিস্থাপন করা দরকার। ছোট আকারের কারণে এই জাতটি অাউটডোর খরগোশ হিসাবে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয় না। স্বাভাবিকভাবেই, আপনি আপনার পোষা প্রাণীর জন্য যে ঘেরটি পাবেন সেটি তাদের একমাত্র আবাসস্থল হওয়া উচিত নয়। আসলে, পুরো সময় তাদের খাঁচায় রাখা নিষ্ঠুর হবে। আপনার পোষা প্রাণীর ঘেরটি তাদের নিজের ছোট্ট কক্ষের মতো মনে করুন যেখানে তারা ঘুমোতে এবং খেতে পারে (এবং শক্তিমান হতে পারে), তবে আপনার বাড়ির এমন জায়গা হওয়া উচিত যেখানে তারা বেশিরভাগ সময় ব্যয় করতে পারে। আপনি আপনার ডোয়ার্ফ হোটোটকে খাঁচার বাইরে বেরোনোর ​​আগে, বাড়ীটি খরগোশ-প্রুফ করার বিষয়টি নিশ্চিত করুন। সমস্ত তারগুলি আড়াল করুন, আসবাব রক্ষা করুন এবং সম্ভাব্য বিষাক্ত উদ্ভিদ এবং খাবারগুলি মুছুন যা আপনার পোষা প্রাণীকে বিষাক্ত করতে পারে। ডোয়ার্ফ হটোট যতটা খাবার দেবেন তত পরিমাণে খাবে এবং যদিও খড়কে সীমাহীন পরিমাণে দেওয়া উচিত, এই আকারের খরগোশগুলিকে প্রতিদিন কেবল এক চতুর্থাংশ খরগোশের পেলেট লাগে। তাদের ডায়েটে ৭০ শতাংশ খড়, প্রতিদিন এক চতুর্থাংশ পেলেটের সমন্বয়ে গঠিত হওয়া উচিত এবং বাকীটি খরগোশ-নিরাপদ শাকের শাক, ফল এবং শাকসব্জির ভারসাম্য হওয়া উচিত।

স্বাস্থ্যঃ-
বেশিরভাগ ডোয়ার্ফ জাতের মতো, ডোয়ার্ফ হোটোট ম্যালোকলকুলেশনের জন্য সংবেদনশীল, এমন একটি অবস্থা যেখানে সামনের দাঁতগুলি তাদের সামনে না হয়ে সরাসরি নীচের দাঁতগুলির উপরে থাকে। খরগোশের যখন এই অবস্থা থাকে, তখন তারা ঘটনাক্রমে তার খাঁচায় দাঁত টানতে পারে বা খেতে অসুবিধা হতে পারে। এটি প্রতি ৬-৮ সপ্তাহে হতে পারে যাতে তারা দাঁত ছোট করতে পারে সেজন্য
নিয়মিত চেকঅাপ করতে হবে। আপনার পশুচিকিৎকের সাহায্যে নিয়মিত আপনার খরগোশকে ডিওয়ার্মিং করতে হবে।

মেজাজ / আচরণঃ-
এই খরগোশ জাতটি পোষা প্রাণী হিসাবে সাধারণত বন্ধুত্বপূর্ণ এবং জীবনের জন্য উপযুক্ত, যতক্ষণ সম্ভব এটি যতটা সম্ভব মানুষের সংগ লাভ করে। এর অর্থ আপনার খরগোশকে প্রতিদিন তাদের ঘেরের বাইরে নিয়ে যাওয়া এবং তাদের সময় দেওয়া। ডোয়ার্ফ হটট তাদের মানব সঙ্গীদের সাথে দ্রুত সংযুক্ত হয়ে যায়। প্রকৃতপক্ষে, কয়েক ঘন্টার জন্য একা রেখে যাওয়ার পরে তাদের খাঁচাগুলি খোলার সময় মালিকদের যত্ন নেওয়া উচিত, যেহেতু ডোয়ার্ফ হোটোট উত্তেজনায় তার খাঁচা থেকে লাফিয়ে উঠতে পারে। এই খরগোশ অন্যান্য জাতের মতো সক্রিয় নয়, তবে তারা আপনার কোলে ক্লান্ত হয়ে ওঠার আগে তারা আপনার খরগোশ-নিরাপদ ঘরের আশেপাশে কয়েকটি চক্রাকারে ঘুরতে পারে। বেশিরভাগ খরগোশের মতো, তারা কয়েকটি খরগোশ-নিরাপদ খেলনা খেলে উপকৃত হয় যাতে তারা ঘেরের বাইরে থেকে কিছু মজা করতে পারে। এই খেলনাগুলি একটি ছোট বলের মতো সহজ হতে পারে। বিড়াল এবং কুকুরের তুলনায় খরগোশের পটি ট্রেনের জন্য কিছুটা কঠিন , তবে এটি সম্ভব। তারা তাদের ঘেরের একটি নির্দিষ্ট কোণে "পটি" করতে থাকে, এবং তারা ওই কোণায় পটি করার আদর্শ জায়গা হিসাবে চিহ্নিত করে। ফলস্বরূপ, আপনার বাড়ির বিভিন্ন কোণে একই জিনিস সহ এই কয়েকটি লিটার বাক্স স্থাপন করা উচিত। যখন তারা সফলভাবে সঠিকভাবে তাদের ব্যবসা করে, তাদের একটি ছোট টুকরো ফল বা খরগোশ-নিরাপদ সবজি দিয়ে পুরষ্কার নিশ্চিত করুন।

🐰🐰 Rabbit Litter box 🐰🐰How to Train your Rabbit for litter box খরগোশদেরকে পি পটি ট্রেইন করা যায়। আমাদের শুধু জানতে হবে ক...
21/01/2022

🐰🐰 Rabbit Litter box 🐰🐰
How to Train your Rabbit for litter box

খরগোশদেরকে পি পটি ট্রেইন করা যায়। আমাদের শুধু জানতে হবে কী ভাবে ট্রেইন করতে হয়।

খরগোশকে পটি ট্রেইন করানোর জন্য একটা লিটার বক্স ঘরে যে কোনও একটা স্থানে রাখতে হবে। লিটার বক্সের মধ্যে কিছু পরিমান শুকনা ঘাস ( হে ) ও পেলেটস দিয়ে রাখতে হবে।
খরগোশ যেখানে পি করে সেটা টিসূ দিয়ে পরিস্কার করে ঐ লিটার বক্সের মধ্যে ফেলে দিতে হবে তাতে করে খরগোশ হে খাবার জন্য লিটার বক্সে গেলে ও নিজ থেকে পি পটির গন্ধ শুকু বুঝতে পারবে যে এখানেই ওকে পি পটি করতে হবে। কিছু দিন এই নিয়ম টা ফলো করলে খরগোশ নিজ থেকে লিটার বক্সে পি পটি করবে আর এখানে সেখানে করবে না।

বাসায় লিটার বক্স ছাড়া অন্য কোথাও পি করলে সে ক্ষেএে ভিনেগার ও পানি এক সাথে সম পরিমান মিশিয়ে একটা স্প্রে বোতলে ভরে স্প্রে করে নিলে ঐ জায়গাটা তে তাহলে আর কোনও দুর্গন্ধ থাকবে না।
খরগোশ যে খানে ওর পির গন্ধ পায় ঐ জায়গাটাতেই আবার পি করে থাকে তাই এই স্প্রে দিয়ে পরিস্কার করে রাখলে আর কোনও গন্ধ থাকবে না আর খরগোশ ও ঐ জায়গাটাতে পি করবে না। তখন সে নিয়মিত লিটার বক্সের মধ্যেই শুধু পি পটি করবে।

এটা একটু ধয্য নিয়ে আপনার খরগোশকে শিখাতে হবে। তিন চার দিন এই নিয়ম অনুসরন করলে খরগোশ তখন পটি ট্রেইন হয়ে যাবে।

হল্যান্ড লপ আকার: ছোট/ক্ষুদ্রাকৃতিওজন: ২-৪ পাউন্ড (৯০০গ্রাম-১.৮ কেজি)জীবনকাল: ৭-১৪ বছর বডি শেপ: কমপ্যাক্ট যাদের জন্য উপয...
20/01/2022

হল্যান্ড লপ
আকার: ছোট/ক্ষুদ্রাকৃতি
ওজন: ২-৪ পাউন্ড (৯০০গ্রাম-১.৮ কেজি)
জীবনকাল: ৭-১৪ বছর
বডি শেপ: কমপ্যাক্ট
যাদের জন্য উপযুক্ত: সিঙ্গেল, অ্যাপার্টমেন্ট, ছোট পরিবার, বাচ্চাদের সাথে পরিবার, প্রথমবারের মালিক, ইনডোর / আউটডোর ঘের
স্বভাব: কৌতূহলী, শক্তিশালী, মিষ্টি

হল্যান্ড লপ জাতের ইতিহাসঃ-
সমস্ত খরগোশের জাতগুলি প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয় না। কিছু যত্নশীল ব্রিডার এই জাতগুলি তৈরি করেছেন এবং তারা নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন যে তাদের ক্রেতারা যে অর্থ দিয়ে কিনতে পারে তারা সেরা বানিগুলি পেয়েছেন। হল্যান্ড লোপ নেদারল্যান্ডসে 1950 এর দশকে শুরু হয়েছিল। একজন ডাচ ব্রিডার অ্যাড্রিয়েন ডি কক একটি ফ্রেঞ্চ লোপ এবং নেদারল্যান্ডস ডোয়ার্ফ খরগোশের গুণগুলি একত্রিত করতে চেয়েছিলেন। এগুলি দুটি খুব ভিন্ন জাতের, সুতরাং এটি বলা যায় এটি একটি আকর্ষণীয় মিশ্রণ ছিল। দুঃখের বিষয়, ছয়টির ফলে তৈরি প্রথম লিটারটি ব্যর্থ হয়েছিল। এর কারণ হল তাদের কান খাড়া হয়ে গেছে এবং আমরা বর্তমানের লপ সম্পর্কে যা জানি ও ভালোবাসি সেই হল্যান্ড লপের লুপিং প্রভাব নেই। 1952 সালে, ডি কক সেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা একটি লিটার থেকে একটি মেয়ে নিয়েছিলেন এবং তাকে একটি ইংলিশ লপ বক দিয়ে ব্রিড করিয়েছিলেন। এই লিটারগুলি থেকে কয়েকটা হিট এবং প্রজনন মিস করার পরে, ডি কক সফলভাবে ফ্রেঞ্চ লোপের বৈশিষ্ট্যযুক্ত ফ্লপি কানের সাহায্যে একটি হল্যান্ড লপকে ব্রিড করেছিলেন। এই জাতটি ১৯৬৪ সালে নেদারল্যান্ডসের পরিচালিত খরগোশ কাউন্সিল এবং আমেরিকান খরগোশ ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা ১৯৭৬ সালে স্বীকৃত হয়েছিল তখন থেকেই পুরো পৃথিবী তাদের জীবনে অবিশ্বাস্য হল্যান্ড লপকে উপভোগ করছে।

বিবরণঃ
হল্যান্ড লপ একটি বামন খরগোশ, এবং এটি প্রায় ৪ পাউন্ড হওয়া উচিত। তাদের প্রশস্ত, তবুও ছোট শরীর রয়েছে। তারা একটি বিড়ালের মতো একইভাবে ভঙ্গি করে, বেশিরভাগটি তাদের পেছনের পায়ে এবং কেবল সামনের দুটি সামনের পায়ে বিশ্রাম করে। হল্যান্ড লোপের মাথার পেছনের দিকে আলাদা আলাদা পশম রয়েছে, এটি "মুকুট" হিসাবে পরিচিত। মুকুটটি পুরু এবং প্রশস্ত এবং মাথার উপরে দেখা যায়। যদিও তাদের স্টকি দেহ এবং ঝাপটায় গোলাকার মাথাগুলি এই বানিগুলিকে সুন্দর করার জন্য যথেষ্ট। সন্দেহ নেই, হল্যান্ড লোপের সবচেয়ে বিখ্যাত বৈশিষ্ট্যটি হ'ল তাদের বড় পশম ঢাকা কান যা তাদের মাথার উভয় পাশেই পড়ে। কানগুলি সুগন্ধযুক্ত এবং ঘন হয় এবং সেগুলি একটি চামচ আকারে হয় (নীচে গোলাকার টিপস এবং আরও প্রশস্ত)। হল্যান্ড লপ আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বের উভয় অঞ্চলে অন্যতম জনপ্রিয় খরগোশের জাত। এবং এটি কেবল তাদের মনোরম চেহারা নয় যা মানুষকে আকর্ষণীয় করে তোলে! সহজ-সরল, মিষ্টি এবং বন্ধুত্বপূর্ণ, হল্যান্ড লপ তার দুর্দান্ত ব্যক্তিত্বের সাথে আপনাকে জয় করবে।

কোট/পশমঃ-
হল্যান্ড লোপের কোট রোলব্যাক বৈচিত্র্যের। এটি দৈর্ঘ্য ঘন এবং মাঝারি। এই মসৃণ এবং চকচকে কোটটি ভাল অবস্থায় রাখার জন্য খুব বেশি সাজসজ্জার প্রয়োজন হয় না। সুতরাং আরাধ্য এবং প্রেমময় হওয়ার পাশাপাশি, হল্যান্ড লপ একটি নিম্ন রক্ষণাবেক্ষণ খরগোশের জাত। থাম্বের নিয়ম হিসাবে, একটি সাপ্তাহিক বা দ্বি-সাপ্তাহিক গ্রুমিং সেশনটি যথেষ্ট। আপনার কোটটিকে জটমুক্ত ও জাঁকজমকপূর্ণ রাখার জন্য কেবল সজ্জিত ব্রাশ বা একটি পশুর বিভাজক (ওরফে প্রশস্ত দাঁতযুক্ত চিরুনি) দিয়ে ব্রাশ করুন। অবশ্যই, কোট সাজানোর উদ্দেশ্যটি কেবল আপনার খরগোশের সুন্দর চেহারা বজায় রাখা নয়। খরগোশ আগ্রহী গ্রুমার এবং ফলস্বরূপ তাদের নিজস্ব চুল প্রচুর পরিমাণে খেয়ে ফেলতে পারে। সুতরাং আপনার এই খরগোশটিকে ব্রাশ করার লক্ষ্যটি হ'ল আপনার পোষা প্রাণীটির অালগা চুলের পরিমাণ কমিয়ে আনবে। এটি করতে ভুলবেন না। যখন আপনি লক্ষ্য করবেন যে আপনার খরগোশটি স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি লোম ঝরতে শুরু করেছে। ভারী চালনের সময়কালে, আপনার দিনে কয়েকবার আপনার খরগোশ ব্রাশ করা প্রয়োজন। দেখে মনে হতে পারে আপনার ছোট্ট খরগোশের জন্য সেই অতিরিক্ত ব্রাশিং সেশনের দরকার পড়বে না,তবে বিশ্বাস করুন, এটি গুরুত্বপূর্ণ। খরগোশের জন্য কখোনই গোসলের পরামর্শ দেওয়া হয় না। তারা গোসল করা পছন্দ করে না এবং এর কারনে তারা শক পেতে পারে। যদি আপনার হল্যান্ড লপ নোংরা হয়ে যায় তবে তাদের পশম পরিষ্কার করার জন্য কেবল একটি সরু সুতোর বল ব্যবহার করুন। আপনার পোষা প্রাণীটিকে এইভাবে পরিষ্কার করতে আরও বেশি সময় লাগতে পারে তবে দীর্ঘসময় এই কাজ করা খরগোশের পক্ষে আরও ভাল।

রংঃ-
খরগোশের এই জাতটি বিভিন্ন রঙ এবং গোষ্ঠীতে স্বীকৃত। এগুলিকে দুটি শ্রেণিবদ্ধকরণে বিভক্ত করা হয়েছে:
শক্ত (কেবল একটি বর্ণের) এবং ভাঙ্গা (যার মধ্যে এক বা দুটি রঙের প্যাচ রয়েছে)।
কয়েকটি (বহুগুলির মধ্যে) উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে চেস্টনাট অগৌটি, চিনচিল্লা, চকোলেট এবং আফগাল "আগৌটি" গ্রুপ; কচ্ছপ, সিল, ধোঁয়া মুক্তো এবং "শেডড" গোষ্ঠীর স্যাবল পয়েন্ট; এবং "ওয়াইড ব্যান্ড" গ্রুপে ক্রিম, ফন, কমলা, ট্রায়াংগল এবং লাল এই জাতের মধ্যে রঙের বিভিন্ন ধরণের মিশ্রন রয়েছে।

যত্নের প্রয়োজনীয়তাঃ-
একটি হল্যান্ড লপকে সুখী এবং স্বাস্থ্যকর রাখতে অনেক বেশি সময় বা প্রচেষ্টা প্রয়োজন হয় না। একটি কুকুর বা বিড়ালের তুলনায় খরগোশ পোষা প্রাণীদের চাহিদা অনেক কম demanding। তাদের ডায়েট এবং আউটডোর থেকে আউটডোর সময়ের একটি ভাল অনুপাত তাদের যত্নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক। সুতরাং সেই দিকগুলি নিয়ে বিশেষ যত্ন নিন। আপনার প্রথম যেটি করা উচিত তা হ'ল সঠিক খরগোশের আবাসন/বাসস্থান সরবরাহ করা। একটি হল্যান্ড লপ একটি ছোট খরগোশ হতে পারে তবে তাদের সুখী বোধ করার জন্য এবং আপনার যত্নে সুস্থ থাকার জন্য তাদের এখনও প্রচুর জায়গার প্রয়োজন। বেশিরভাগ খরগোশ মালিকরা পারিবারিক পোষ্য হওয়ায় তাদের পোষা প্রাণীরা ঘরে ঘরে রাখেন। হল্যান্ড লপের ক্ষেত্রেও এটাই প্রবণতা রয়েছে। আপনি যদি সেই ধরণের খরগোশের মালিক হন যারা আপনার বাড়ির আশেপাশে তাদের খরগোশকে নির্দ্বিধায় ছুটে যেতে পছন্দ করেন তবে আপনার বাড়ি খরগোশ প্রুফ করা দরকার। নিশ্চিত হোন যে খাচায় থাকবে সেখানে যে কোনও তার, জলের বা অন্যান্য অনিরাপদ জিনিস নেই যা আপনার বানি চিবিয়ে নিতে পারে। খাঁচার মাধ্যমে চিবানো থেকে বাঁচাতে একটি হল্যান্ড লোপের ঘেরের শক্ত তারের খাচা থাকা উচিত। এবং খাচার মেঝে তারের সাথে প্লাস্টিকের শীটের হলে ভালো হয় যেনো আপনার পোষা প্রাণীর পায়ে আঘাত না লাগে এবং সর্বদা নিশ্চিত হয়ে নিন যে খাচার মেঝেটি নরম থাকে এবং তারা কেবল নরম এবং স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে সেখানে থাকতে পারে। প্রতিদিন বিছানাকে স্পট-ক্লিন করতে হবে। কিছুটা বিরক্তি লাগতে পারে, তবে এটি আপনার খরগোশের জীবনকে আনন্দময় করে তুলবে। খাঁচাটি আপনার খরগোশের পক্ষে স্বাচ্ছন্দ্যে প্রসারিত করার জন্য যথেষ্ট পরিমাণে বড় হওয়া উচিত। হল্যান্ড লপ তুলনামূলকভাবে ছোট হওয়ায় এটি কঠিন হওয়া উচিত নয়। সর্বনিম্ন খাঁচার আকার ২৪ ইঞ্চি বাই ৩০ ইঞ্চি হলে ভাল। অবশ্যই, খাঁচাটি কত প্রশস্ত হোক না কেন, আপনার পোষা প্রাণীর ব্যায়াম করতে এবং সন্তুষ্ট থাকতে প্রচুর খাঁচার বাইরে সময় প্রয়োজন। খরগোশের যথেষ্ট জায়গায় খেলার সময় ছাড়াও, আপনি কিছুটা আউটডোর মজাদার করার জন্য সর্বদা আপনার হল্যান্ড লপকে বাইরে নিতে পারেন। তাদের বাগান এবং উঠানের নিরাপদে বদ্ধ অংশে বেড়াতে এবং খেলতে দিন। অবশ্যই আপনার তদারকির সাথে। আপনার খরগোশের ডায়েটের ক্ষেত্রে ৭০ শতাংশ উচ্চমানের খড় দিন এবং বাকিটি ফল, শাকসব্জী, শাঁস এবং শাকের মিশ্রণযুক্ত হওয়া উচিত। আপনি দেখতে পাচ্ছেন যে আপনার খরগোশ এক ধরণের ফলকে অন্যের চেয়ে পছন্দ করে (যেমন আপেল)। অাপনি এই ফলের প্রতি তাঁর ভালবাসাকে একটি সুবিধা হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন এবং কেবল প্রশিক্ষণ হিসাবে প্রশিক্ষণের সময় ব্যবহার করতে পারেন।এই কৌশলটি আপনার পশুর জন্য হিলিং বা হপিংয়ের মতো সাধারণ আদেশগুলি বা এমনকি পটি প্রশিক্ষণের মতো আরও জটিল কাজের জন্য (তারপরে আরও অনুসরণ করা যেতে পারে) প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।

স্বাস্থ্যঃ-
ভাগ্যক্রমে, হল্যান্ড লপ কোনও বংশগত স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার জন্য সংবেদনশীল নয় তবে আপনার খরগোশের যথাযথ যত্ন নেওয়া তাদের জীবনকে দীর্ঘ সময়ের জন্য আরও উন্নত করে তুলবে। নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনি নিয়মিতভাবে অত্যধিক বৃদ্ধি প্রাপ্ত দাঁতগুলির জন্য তাদের মুখ পরীক্ষা করেন যা তাদের চোয়াল এবং মুখের মধ্যে বেড়ে উঠতে পারে এবং অত্যন্ত বেদনাদায়ক হয়ে উঠতে পারে। খড়কুটোয় একটি ডায়েট এটি নিশ্চিত করবে যে এটি ঘটবে না, কারণ খড় প্রাকৃতিকভাবে আপনার খরগোশের ক্রমবর্ধমান দাঁতগুলি ফাইল করবে। খরগোশের জীবনে অল্প বয়সে Spaying এবং নিউটারিং করা যায়। আপনার খরগোশের ছয় মাসের বেশি বয়সী হওয়ার দরকার নেই তাদের নিরাপদে বেদনা দেওয়ার আগে কিছু পশুচিকিত্সক চার মাসের মধ্যে পদ্ধতিটি সম্পাদন করবেন, তবে বেশিরভাগ
ক্ষেত্রে ছয় মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন।

মেজাজ / আচরণঃ-
আপনার হল্যান্ড লপের ব্যক্তিত্বকে সত্যই ফুটিয়ে তোলার জন্য তাদের ঘের / ঘেরগুলির মধ্যে তাদের প্রচুর সময় দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। ইনডোর খরগোশগুলিকে আপনার পুরো বাড়িতে না হলেও কমপক্ষে একটি নির্দিষ্ট ঘরে ঘুরে দেখার জন্য তাদের খাঁচা থেকে বের করে দেওয়া উচিত। এটি তাদের পা প্রসারিত করতে, কিছু রোদ পেতে, এবং সর্বোপরি, তাদের পছন্দসই মানুষের সাথে যোগাযোগ করার সুযোগ করে দেবে। একাকী ব্যক্তি, দম্পতি বা ছোট বা বড় বাচ্চাদের সংসারের জন্যই হোক না কেন হল্যান্ড লপ তুলনামূলকভাবে সবার সাথে সক্রিয় একটি খরগোশ। তবে আপনার যদি খোলা উঠোন থাকে তাহলে এটি আপনার খরগোশকে আপনার প্রতিবেশীর সম্পত্তির আশেপাশে ঘোরাঘুরি না করে কিছুটা মুক্তি দেয়। খেলনাগুলির ক্ষেত্রে, প্রতিটি খরগোশের নিজস্ব স্বকীয়তা থাকে এবং চিবানো এবং নিজের সাথে বিনোদন দেওয়ার জন্য কিছু খেলনা উপভোগ করতে পারে। এটি কোনও টয়লেট পেপার রোল হতে পারে। নিশ্চিতভাবে জানার একমাত্র উপায় হ'ল আপনার খরগোশকে কিছু বিকল্প দেওয়া এবং তারা কী পছন্দ করে তা দেখুন। আপনি একটি খরগোশকে খেলতে বাধ্য করতে পারবেন না, কেবল তারা কীভাবে খেলবে এবং কী পরিমাণ সমস্যায় পড়বে তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। হল্যান্ড লপ হ'ল একটি সুন্দর খরগোশ এবং যে কোনও বাড়ির জন্য উপযুক্ত একটি দুর্দান্ত পোষা প্রাণী। সুতরাং যদি এই নিবন্ধটি কোনওভাবেই আপনার আগ্রহকে বাড়িয়ে তোলে তাহলে , আপনার নিকটস্থ পোষা প্রাণীর দোকানে দৌড়ুন এবং দেখুন যে তাদের কাছে হল্যান্ড লপ রয়েছে কিনা এবং সেখান থেকে আজই আপনার ব্যক্তিগত খরগোশটি নিয়ে অাসুন।

আপনার পোষা খরগোশের বাড়ীঃ-বাড়ীর খরগোশে, আমরা পরামর্শ দেই যে পোষা খরগোশরা আপনার বাড়ির ভিতরে হাচের বাইরের বা ভেতরে থাকবে। ...
20/01/2022

আপনার পোষা খরগোশের বাড়ীঃ-
বাড়ীর খরগোশে, আমরা পরামর্শ দেই যে পোষা খরগোশরা আপনার বাড়ির ভিতরে হাচের বাইরের বা ভেতরে থাকবে। আপনি কেবল নিশ্চিত করবেন যেন আপনার বাচ্চা মারাত্মক আবহাওয়া এবং শিকারীদের হাত থেকে সুরক্ষিত রয়েছে, আপনার ঘরের ভিতরে থাকা অবস্থায় ওরা আপনার পরিবারের একজন সদস্য হিসাবে আরও বেশি প্রিয় হয়ে উঠবে কারণ সেখানে ওরা আরও ঘনিষ্ঠ ভাবে সবরা সাথে মেলামেশার সুযোগ পাবে। আপনার খরগোশকে বাড়ির অভ্যন্তরে থাকার জন্য অনেকগুলি বিকল্প উপায় রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে পাপি পেন, বানি কনডো, খরগোশের খাঁচা বা কেবল একটি বানি প্রুফ রুম। আমরা নীচে প্রতিটি বিকল্প নিয়ে আলোচনা করব।

বানি প্রুফ রুমঃ-
পোষ্য খরগোশগুলিকে একটি বানি প্রুফ রুমে সম্পুর্ন রাজত্ব করতে দেওয়া ওরা পছন্দ করে। বাচ্চাদের খেলার ঘরের একাংশে তাদের লিটার বক্স, খড়ের ফিডার বাক্স এবং কোনও ছিটকে যাওয়া বা দুর্ঘটনা ধরতে প্লাস্টিকের চেয়ারের মাদুরের উপরে খাবারের থালা দেওয়া যেতে পারে। তারা যদি কিছু সময়ের জন্য পালিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন অনুভব করে তবে তাদের জন্য একটি কার্ডবোর্ডের দুর্গ সরবরাহ করা যেতে পারে।

পাপি পেনঃ-
খরগোশের জন্য একটি দুর্দান্ত বিকল্প হ'ল কোনও ঘরের কোণে একটি পাপি পেন(বা ঘের) স্থাপন করা। এধরনের ঘের অনেক পোষ্য সরবরাহের দোকানে পাওয়া যেতে পারে অথবা তৈরী করে নেওয়া যায়। পাপি পেন যথেষ্ট বড় হয় যা একটি খরগোশের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা এবং তাদের বেড়ানোর জায়গা দেয়। প্রয়োজনে এগুলি সরানোও সহজ। আপনি যদি আপনার মেঝে বা কার্পেট সম্পর্কে উদ্বিগ্ন হন তবে আপনি পাপি পেন এর নীচে একটি প্লাস্টিকের মাদুর, লিনোলিয়ামের টুকরো বা একটি পুরানো গালি রাখতে পারেন। (নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনার খরগোশ তবে এইগুলি চিবিয়ে খেতে না পারে, কারণ এটি তাদের পেটে সমস্যা তৈরী করতে পারে, এগুলোর প্রান্তগুলি নাগালের বাইরে রাখাই তাদের এই আচরণকে সীমাবদ্ধ করতে সহায়তা করে)) পাপি পেন এর সাধারণত শীর্ষ বা ছাদ থাকে না, তাই নিশ্চিত হন যে আপনি যথেষ্ট উচু কোনও পেন কিনেছেন বা তৈরী করেছেন, যা থেকে আপনার খরগোশ লাফিয়ে বাইরে যেতে না পারে (৩৬ ইঞ্চি বা তারও বেশি)। যদি আপনি অবশেষে একটি খরগোশ প্রুফ রুমে আপনার খরগোশকে সম্পুর্ন রাজত্ব দিতে চান তবে পাপি পেন দরকারী। শুরুতে আপনার খরগোশের স্থান সীমাবদ্ধ করা তাকে / তার খাবার এবং লিটার বক্সের এর জায়গায় অভ্যস্ত হতে দেয়। ধীরে ধীরে স্থান বাড়িয়ে, আপনার খরগোশ কোনও বৃহত অঞ্চল দ্বারা অভ্যস্থ হবে। এটি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সহায়তা করে।

বানি কনডোসঃ
আপনি বানি কনডো তৈরির জন্য কাঠ, পুনরায় ব্যাবহার করা যায় এমন আসবাব এবং অন্যান্য উপকরণ ব্যবহার করতে পারেন। একটি বিষয় লক্ষণীয়, আপনার কখনই ধারালো তারের সাথে খরগোশের ঘেরটি তৈরি করা উচিত নয় কারণ খরগোশগুলি তার চিবানো অভ্যাস থাকতে পারে এবং আঘাত পেতে পারে।

খরগোশের খাঁচা ঃ-
সমস্ত আবাসন বিকল্পগুলির মধ্যে খরগোশের খাঁচা আপনার খরগোশের জন্য সর্বনিম্ন পরিমাণ স্থান সরবরাহ করে, তাই যদি সম্ভব হয় তবে আপনি প্রথমে পাপি পেন বা বানি কনডো সেটআপ দেওয়ার চেষ্টা করুন। তবে, আপনি যদি নিজের খরগোশকে একটি বড় খাঁচায় রাখতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে খরগোশ খাঁচার বাইরে প্রচুর সময় পাবে - প্রতিদিন অন্তত কয়েক ঘন্টা। খাঁচার জন্য বিকল্পগুলি বৈচিত্রপূর্ণ তবে আপনার খরগোশের সুস্বাস্থ্যের জন্য কয়েকটি বেসিক প্রয়োজন। খাঁচাগুলি আপনার খরগোশের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে বড় হতে হবে। আরও বড় আরও ভাল! আপনার খরগোশের ঘুরে বেড়াতে এবং শুয়ে থাকার জন্য পাশাপাশি খাবার, জল, লিটার বক্স এবং খেলনাগুলির জন্য জায়গা থাকা দরকার। কিছু লোক তারের খাঁচাগুলি পছন্দ করে কারণ একটি লিটার প্যানটি নীচে রাখা যেতে পারে। তবে এটি অাপনার খরগোশের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে / শুয়ে থাকতে সমস্যা করে। তবে একটি টাইল বা কাঠের টুকরো বা কার্ডবোর্ড নিচে রাখলে এই সমস্যা কেটে যাবে। কেবল তারের মেঝেতে দাঁড়ানো আপনার খরগোশের পায়ের ক্ষতি এবং অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে। আপনার খরগোশের জন্য বিভিন্ন রকমের আবাসন উপায় রয়েছে। খরগোশগুলির এমন একটি জায়গা প্রয়োজন যেখানে তারা নিরাপদ বোধ করার পাশাপাশি অনুশীলন এবং বেড়ানোর জন্য যথেষ্ট জায়গা থাকে। সর্বোত্তম বিকল্পটি আপনার জীবন ব্যবস্থার উপর নির্ভর করবে। তবে মনে রাখবেন, খরগোশ খুব সামাজিক প্রাণী, তাই আপনার বাড়িতে এমন একটি অবস্থান পছন্দ করুন যা আপনার খরগোশকে একাকী রাখবে না।

20/01/2022
20/01/2022

#খরগোশ

20/01/2022
খরগোশ পালন, চিকিৎসা ইত্যাদি বিষয়ে জানতে ও  খরগোশ নিতে মেসেজ করুন।
20/01/2022

খরগোশ পালন, চিকিৎসা ইত্যাদি বিষয়ে জানতে ও খরগোশ নিতে মেসেজ করুন।

Smart Pet Solution

।।।বাংলাদেশের পরিবেশে কি খরগোশ পালন এর জন্য আদর্শ? হিটস্ট্রোক কেনো হয়? ।।।। এই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে আগে আপনাকে আরো ক...
20/01/2022

।।।বাংলাদেশের পরিবেশে কি খরগোশ পালন এর জন্য আদর্শ? হিটস্ট্রোক কেনো হয়? ।।।।
এই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে আগে আপনাকে আরো কিছু বিষয়ে জানতে হবে৷
খরগোশের দেহের তাপমাত্রা গড়ে কত?
খরগোশের স্বাভাবিক তাপমাত্রা 98 ডিগ্রি ফারেনহাইট (36.6 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড) থেকে ১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইট গড় পর্যন্ত থাকে।
খরগোশের আদর্শ তাপমাত্রা (outdoor) গড়ে কত?
খরগোশের আদর্শ তাপমাত্রা (outdoor) 12 ডিগ্রি থেকে 21 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড (55 ° থেকে 70 ° ফাঃ) গড় এর মধ্যে থাকে এবং আপনার খরগোশ 30 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড (85 ° ফাঃ) এর বেশি তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে তবে এর উপরের হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে পারে।
সংক্ষেপে বললে ঃ-
খরগোশের নরমাল body temperature 102 F to 103f গড়
খরগোশের outdoor temperature is between 12° to 21°C (55° to 70°F) (“comfort zone”)
খরগোশের tolerate temperatures as high as 30°C (85°F) গড়
এবার আসুন জানি বাংলাদেশ এর গড় তাপমাত্রা ঃ-
বাংলাদেশের বার্ষিক গড় তাপমাত্রা কত?
উঃ ২৬.০১ সেলসিয়াস।
2.বাংলাদেশের শীতকালের গড় তাপমাত্রা কত ?
উঃ ১৮.৭২ সেলসিয়াস।
3.বাংলাদেশের গ্রীষ্মকালের গড় তাপমাত্রা কত ?
উঃ ২৭.৮ সেলসিয়াস।
4.বাংলাদেশের বর্ষাকালের গড় তাপমাত্রা কত ?
উঃ ২৬.৭ সেলসিয়াস।
৫) বাংলাদেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
উত্তর ঃ-ইতিহাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ( ৮ জানুয়ারী ২০১৮ তেতুলিয়া ) ও ২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস
( ১৯৬৮ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলে)
৬)বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কত?
উত্তর ঃ- ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৯৭২ সালের ১৮ মে। এটা ৫৪ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
তাহলে খরগোশ কেনো হিটস্ট্রোক করে?
উত্তর ঃ- আসলে হিটস্ট্রোক আমাদের নিজেদের ভুলেই খরগোশ করে। খরগোশ ৩০ ডিগ্রি তাপমাত্রার উপরে থাকতে পারে। আমরা বাংলাদেশের গড় তাপমাত্রা যদি দেখি তবে যে কোন খরগোশ পালন এই দেশের তাপমাত্রায় উপযুক্ত। হিটস্ট্রোক করতে যে অনেক হিট থাকতে হবে এমন না। শীতকালে হিটস্ট্রোক এর রেকর্ড আছে।
হিটস্ট্রোক এর জন্য অন্য যে সকল বিষয় দ্বায়ী ঃ-
১) হঠাৎ তাপমাত্রায় পরিবর্তন ঃ- খেয়াল করলে দেখবেন সকাল ৫-১০ টার মধ্য ও বিকেল ৪-৮ টার মধ্যেই সব থেকে বেশি হিটস্ট্রোক হয়। এর কারণ সেই সময় বাংলাদেশের পরিবেশে তাপমাত্রা তাড়াতাড়ি পরিবর্তন হয়। যেটা খরগোশ জন্য ভালো না। তাই ac রুম ও আউটডোরে বার বার শিফট করা যাবে না। করলেও সেটা খুব সাবধানে করতে হবে।
২) খাদ্য ঃ- ওজন বাড়ার কারণে হিটস্ট্রোক করতে পারে। তাই এমন খাবার ও পরিমাণ ঠিক রেখে দিতে হবে যেখানে ওজন না বাড়ে। বয়স ও গঠন পরিমাপ করে। আদর্শ খাবার ও পরিমাণ ঠিক করতে হবে।
৩) চামড়ার নিচে চর্বি ঃ- লোম বড় নাকি ছোট সেটা হিটস্ট্রোক এর জন্য জরুরি না। যদি চামড়ার নিচে অতিরিক্ত চর্বি থেকে তো সেই খরগোশ শীত প্রধান দেশে সার্ভাইব করতে পারবে। আর যদি চামড়ার নিচে কম চর্বি থাকে তবে এটা গরম প্রধান দেশে ভালো সার্ভাইব করতে পারবে।
৪) অতিরিক্ত শুকনো খাবার ঃ- অতিরিক্ত শুকনো খাবার পানি সল্পতা তৈরি করে। যার ফলে হিটস্ট্রোক করতে পারে।
আমরা যদি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ধরি তবে সেটা 2.6 থেকে 45.1 সেলসিয়াস যেটা কয়েক দশকে একবার হয়। তাও এটা খরগোশ এর জন্য মারাত্মক কিছু না।
আর গড় হিসেবে ধরলে সেটা ২৬.০১ সেলসিয়াস। যা যেকোনো দেশি বা বিদেশি খরগোশ পালন এর জন্য আদর্শ।
তারপরেও কিছু বিষয় আমাদের মাথায় রাখতে হবেঃ-
১) হঠাৎ তাপমাত্রায় পরিবর্তন না হয় সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
২) গরম এর শুরুতে তাদের লোম ছোট করে দিতে হবে।
৩)খাবারে যথেষ্ট পরিমাণে পানি থাকে সেটা লক্ষ রাখতে হবে।
৪) অভিজ্ঞতা আছে এমন কাউকে দিয়ে খাদ্য তালিকা করে নিতে হবে।
পরিশেষে বলা যায়, লোম বড় নাকি ছোট এটা বড় বিষয় না। বাংলাদেশের পরিবেশ খরগোশ পালন এর জন্য আদর্শ। সঠিক ভাবে পালন করতে পারলে সব খরগোশ কে সুস্থ রাখা সম্ভব। আর সেটা খুব ভালো ভাবেই করা সম্ভব।
#খরগোশ

20/01/2022
বানিজ্যিক ভাবে খরগোশ পালনঃযারা বানিজ্যিক ভাবে খরগোশ পালন করতে চান এই লেখাটি শুধু মাত্র তাদের জন্য।  ফেসবুকের বিভিন্ন গ্র...
20/01/2022

বানিজ্যিক ভাবে খরগোশ পালনঃ

যারা বানিজ্যিক ভাবে খরগোশ পালন করতে চান এই লেখাটি শুধু মাত্র তাদের জন্য। ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে দেখি অনেকেই বানিজ্যিক ভাবে খরগোশ পালন করতে চান কিন্তু শুরু করতে পারছেন না, অভিজ্ঞতার অভাব, অথবা পুজি নিয়ে চিন্তা করেন। প্রথমেই বলে রাখি, খরগোশ পালনে খুব বেশী অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নাই। খুব অল্প জায়গায় এবং অল্প পুজিতেই খরগোশ বানিজ্যিক ভাবে খরগোশ পালন সম্ভব। অাপনাদেরকে শুধু বাজার সম্পর্কে জানতে হবে, এবং খরগোশ পালনে লাভ করতে হলে খরচের হিসাব করতে হবে। যে কেউ খরগোশ পালন করতে পারে এবং খরগোশ পালন করে বছরে ভালো একটা অায় করা সম্ভব। বাংলাদেশের বেকার সমস্যা দুর করতে খরগোশ পালন একটি ভালো ভুমিকা রাখতে পারে। এবার মুল অালোচনায় অাসি।
বানিজ্যিক ভাবে খরগোশ পালন করতে হলে অাপনাকে অাগে খরগোশের জাত এবং বাজার চাহিদা সম্পর্কে জানতে হবে।
খরগোশের কি ধরনের অাবাস দরকার বা বাসস্থান প্রয়োজন সেটা জানতে হবে।বাংলাদেশের অাবহাওয়া প্রায় সব জাতের জন্য উপযোগী। বাংলাদেশে অনেক রকম জাতের খরগোশ এখন পাওয়া যায়। তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট চিন্তা করে প্রকারভেদ অনুযায়ী দুই প্রকার খরগোশ পাওয়া যায়।
একঃ দেশী খরগোশ; যারা খরগোশ পালন করে তাদের সিংহভাগ মানুষ এগুলোই পালন করে। কিন্তু অাসলে নিউজিল্যান্ড হোয়াইট, নিউজিল্যান্ড রেড, ডাচ, সিলভার ফক্স এগুলোই হচ্ছে দেশী সংস্করন। বাংলাদেশে এসব জাতের ১০০% পিওর খরগোশ নাই। যদি এইসব খরগোশ বানিজ্যিক ভাবে পালন করার চিন্তা করেন তাহলে না করাই ভালো। এর অন্যতম কারন হচ্ছে দাম। যেহেতু দেশের বেশীরভাগ মানুষ জাত সম্পর্কে ধারনা রাখেনা তাই প্রায় সবসময় মিক্স করে ফেলে অথবা ক্রস ব্রীড করায়। যার ফল স্বরূপ মুল জাত টা নষ্ট হয়ে যায় এবং জাতের মান টাও নষ্ট হয়ে যায়। উদাহরন হচ্ছে এই সব দেশী নামের খরগোশ গুলো। পিওর নিউজিল্যান্ডের ওজন ৩.৫-৪.৫ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে কিন্তু এদেশে পাওয়া নিউজিল্যান্ড গুলোর কোনটাই ২.৫ কেজির বেশী ওজন হয় না।এটাই হচ্ছে অন্যতম একটা সমস্যা। এজন্য সঠিক জাত নির্বাচন করাও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

দ্বিতীয় প্রকার খরগোশ ঃ এগুলো হচ্ছে ফ্যান্সি খরগোশ। এগুলো মুলত পেট এ্যানিমেল হিসেবে খুব জনপ্রিয়। এ্যাংগোরার বিভিন্ন প্রজাতি, লপ, নেদারল্যান্ড ডোয়ার্ফ, লায়নহেড এগুলো বাংলাদেশে এবং পাশ্ববর্তী দেশে ফ্যান্সি খরগোশ হিসেবে অনেক জনপ্রিয়। এধরনের খরগোশ বানিজ্যিক ভাবে পালন করতে পারলে ভালো অায় করা সম্ভব।

নিচে বানিজ্যিক খরগোশ পালনের বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ করা হলোঃ

বানিজ্যিক খরগোশ খামার যেকোন সংখ্যায় হতে পারে এবং দুই ভাবে খরগোশ পালন করা যায় তবে অাধুনিক খাচা পদ্ধতি নিয়ে অামরা অালোচনা করবো।

১৷ বাসস্থানঃ
বানিজ্যিক ভাবে খরগোশ পালন করতে হলে প্রথমেই যেটা করতে হবে তাহলো খরগোশের বাসস্থান। খরগোশের ওজন এবং অাকার ভেদে বাসস্থান তৈরি করা উচিৎ। ছোট অাকারের খরগোশের জন্য অথবা ওজন ভেদে সর্বোচ্চ ২ কেজি ওজনের একটা খরগোশের জন্য ৪ স্কয়ার ফিট বা ২'/২' মাপের খাচা করতে হবে। এবং উচ্চতা ১৫"-১৬"( ইঞ্চি) হতে হবে। খাচার চারিদিক .৫"-.৭৫" মাপের গ্যাপ যুক্ত নেটের হলে ভালো হয়।
এরকম মাপের খাচায় একটি করে খরগোশ রাখা যাবে।
বড় জাতের খরগোশের জন্য বা যদি খরগোশের ওজন ২-৫ কেজি হয় তাহলে ৩০"/২৪" (ইঞ্চি) মাপের খাচা লাগবে।
খরগোশের ঘরে পর্যাপ্ত অালো বাতাসের
ব্যাবস্থা থাকতে হবে। তবে সরাসরি ফ্যানের নিচে বা পাশে রাখা যাবে না।

২৷ খাদ্য ব্যবস্থাপনাঃ
একটি খরগোশের দৈনিক ন্যুনতম ৫০০ গ্রাম ঘাস প্রয়োজন। খরগোশের খামার হোক বা না হোক ঘাস ছাড়া খরগোশ পালন করা উচিৎ না। ঘাস তাদের দৈনিক অাশের চাহিদা পূর্ণ করে। এবং ঘাসের পাশাপাশি দানাদার খাবার দিতে হবে। ওজন ভেদে প্রতি ১ কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ৪০-৫০ গ্রাম দানাদার খাবার দিতে হবে। তবে প্রসুতি এবং মায়েদের জন্য প্রতি ১ কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ৬০-৭০ গ্রাম দানাদার খাবার দিতে হবে। যেহেতু বাংলাদেশে খরগোশের জন্য কমার্শিয়াল দানাদার খাবার তৈরি করা হয়না বা কোন কোম্পানি প্রস্তুত করে না সেক্ষেত্রে গাভীর রেডি ফীড ব্যবহার করা যেতে পারে। এবং পোল্ট্রি ফীড অবশ্যই দেওয়া যাবে না। গাভীর রেডি ফীড বলতে দুধের গরুর জন্য যে ফীড পাওয়া যায় সেটা ব্যবহার করা যাবে, গরু মোটাতাজা করন ফীড দেওয়া যাবে না। খরগোশের দানাদার খাবারে প্রোটিন সর্বোচ্চ ১৮%, ফাইবার ১৪% রাখা হয়। অামাদের দেশের গাভীর ফীড বা দুধের গরুর ফীডে প্রোটিন ১৮% এবং ফাইবার ১২%-১৪% থাকে, এছাড়া ক্যালসিয়াম ৫% থাকে যা খরগোশের জন্য একেবারে ১০০% ম্যাচ না করলেও ৮৫%-৯০% মানের বলা যায়। এবং খরগোশের হজম প্রক্রিয়ার সাথে ভালো কাজ করে। অনেকে অাছে, ভাত, মুড়ি, বিভিন্ন সবজি, শাক এগুলো প্রতিদিন নিয়মিত খাওয়ান, এভাবে না খাওয়ানোই ভালো, বিশেষ করে ভাত, মুড়ি এগুলো একেবারে নিষিদ্ধ। কারন এতে প্রচুর পরিমানে শর্করা থাকে যা খরগোশের হজমে অাস্তে অাস্তে সমস্যা তৈরি করে এবং দীর্ঘমেয়াদী অসুখ হয়ে যায়, পেটে চর্বি জমে যায়, প্রজনন প্রক্রিয়ায় ব্যঘাত সৃষ্টি করে, বাচ্চা ধারণ ক্ষমতা হ্রাস পায়।অাবার দৈনিক খাবার চার্টে ঘাসের অভাব থাকলেও একই সমস্যা হতে পারে।
খরগোশকে দৈনিক পর্যাপ্ত পরিমাণে পরিস্কার পানি দিতে হবে। একটি খরগোশের দৈনিক ৫০০-৭০০ মিলি পানি প্রয়োজন হয়।

বাজার ঃ
বাংলাদেশে বর্তমানে দেশী বা নিউজিল্যান্ড জাতের খরগোশ বেশী। এদের দাম কম, এবং বাজারজাত করা সহজ। সাধারণত নিউজিল্যান্ড জাতের বা দেশী মিক্স জাতের প্রাপ্ত বয়স্ক একটি খরগোশের দাম ৪০০-৫০০ টাকা। এবং বাচ্চা সাধারণত ৩০০-৪০০ টাকা জোড়া হিসেবে বেচা কেনা হয়ে থাকে। অপরদিকে বিভিন্ন ফ্যান্সি জাতের খরগোশ এর দাম তুলনামূলক অনেক বেশী পাওয়া যায়। জাত ভেদে ২-৩ মাসের বাচ্চা ৩০০০৳ থেকে ২০০০০৳ পর্যন্ত দামের হয়ে থাকে। এবং ফ্যান্সি জাতের খরগোশ পালনের অার একটা বড় সুবিধা হচ্ছে খাবার, দেশীয় খরগোশের খাদ্য ব্যবস্থাপনা যেমন, ফ্যান্সি জাতের খরগোশের খাদ্য ব্যবস্থাপনাতেও একই খরচ। কোনরকম অালদা যত্নের প্রয়োজন হয় না।

মুলধন এবং অায় ও ব্যয়ঃ

বানিজ্যিক খরগোশ খামার করার জন্য মুলধন নির্ভর করবে কোন ধরনের খামার হবে তার ওপর। মুলত বাসস্থান এবং খাদ্য ব্যবস্থাপনার খরচ একই থাকবে, শুধু খরগোশ কেনার খরচ টাই কমবেশি হবে।
যেহেতু বাংলাদেশের খরগোশের বাজার পোষা প্রানী হিসেবে, এবং মাংসের বাজার নাই, সেক্ষেত্রে পোষা প্রাণীর বাজার হিসেবেই খামার করতে হবে। সেক্ষেত্রে দেশীয় জাতের খরগোশ খামার করলে প্রতি ৬ টা খরগোশের একটা সেট হিসেবে করা যায়। যেখানে একটি মেল এবং ৫ টি ফিমেল থাকবে। এবং এতে মোটামুটি ১২-১৫ হাজার টাকায় শুরু করা যাবে। যেখানে একটি খরগোশের খাচা তৈরির জন্য গড়ে ১৫০০৳ বাজেট করতে হবে। সেক্ষেত্রে ৬ টি খরগোশের জন্য ১৫০০*৬= ৯০০০৳ লাগবে।
এবং খাদ্য ব্যবস্থাপনার জন্য প্রতিটি খরগোশের খাদ্য খরচ প্রতিদিন ঘাস গড়ে ১.৫-২ টাকা এবং দানাদার খাবার ২-৩ টাকার লাগবে অর্থাৎ খাদ্য খরচ প্রতিদিন ৩.৫-৫ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। ঔষধের খরচ মাসে ১৫ টাকা বাজেট করা যায়, খাচার একটা ক্ষয় অাছে সেক্ষেত্রে ডেপ্রিশিয়েশন খরচ হিসাব করে ধরতে হবে। যেমন ঃ একটা খাচা যদি ২ বছর টেকসই হয় তাহলে ১৫০০/২৪=৬২.৫ টাকা তাহলে দিনে মোটামুটি ২ টাকা হবে।তাহলে একটা খরগোশের দৈনিক খরচ দাড়ালো ঃ ৫৳ খাবার+০.৫৳ ঔষধ +২৳ খাচার অবচয়=৭.৫ টাকা।
তাহলে মাসে ৩০*৭.৫= ২২৫ টাকা
খরগোশ ক্রয় এর পরে বাচ্চা হওয়া এবং বিক্রি করা পর্যন্ত ৮ মাস সময় যদি লাগে তাহলে মোট খরচ হবে একটা খরগোশের জন্য ঃ
২২৫*৮= ১৮০০ টাকা
তাহলে ৬ টা খরগোশের জন্য মোট খরচ হবে ঃ ১৮০০*৬= ১০৮০০ টাকা
এবার খরগোশের ক্রয় বাবদ ৬*৫০০=৩০০০৳
তাহলে মোট মুলধন লাগবে
খরগোশ ক্রয় ------------- ৩০০০৳
খাচা বাবদ ----------------- ৯০০০৳
খাদ্য এবং অবচয় সহ- ১০৮০০৳
-------------------------------------------------
সর্বমোট খরচ = ২২৮০০৳

এবার ৮ মাসে অায় ঃ
১ঃ৫ রেশিও মেলঃফিমেল খরগোশ
তাহলে ৫ টা খরগোশ থেকে ৮ মাসে ২ বার বাচ্চা গ্রহন করলে এবং প্রতিটি খরগোশের গড়ে ৫ টা করে বাচ্চা হলে মোট বাচ্চা পাওয়া যাবেঃ
৫*৫= ২৫*২= ৫০ টি বাচ্চা
৫০ টি বাচ্চার বিক্রয় মুল্য গড়ে ১৫০ টাকা হলে ঃ ৫০*১৫০= ৭৫০০ টাকা
শুধু মাত্র খরগোশ ক্রয় এবং তাদের খাদ্য ব্যবস্থাপনা বাবদ খরচ ধরলেও
৮ মাসে মোট খরচ দাড়ায় ঃ
৩০০০+৭৯২০= ১২৯২০৳
এখানে থেকে অায় - ৭৫০০৳ বাদ দিলেও লোকসান দাড়ায় ৫৪২০৳
যদি ৮ মাসে ৩ বার বাচ্চা গ্রহন করা হয় তাহলে
২৫*৩= ৭৫*১৫০= ১১২৫০৳
অর্থাৎ লস।

এবার বিভিন্ন ফ্যান্সি জাতের খরগোশ ঃ

১৷ খাচা খরচ একই থাকবে=
১৫০০*৩= ৪৫০০৳
২৷ খাদ্য ব্যবস্থাপনা ও অবচয়= ২২৫*৮*৩= ৫৪০০৳
৩৷ খরগোশ বাচ্চা ক্রয় বাবদঃ
২ মাসের বাচ্চা ৩ টি ১ঃ২ মেলঃফিমেল
রেশিও ১০ হাজার টাকা করে দাম হলে মোট লাগবে ১০*৩ = ৩০০০০৳
তাহলে সর্বমোট খরচ হবে ঃ
৩০০০০+৫৪০০+৪৫০০= ৩৯৯০০৳
এবার অায় ঃ
যেহেতু বাচ্চা ক্রয় করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে ৮ মাসে একবার বাচ্চা নেওয়া যাবে।
সুতরাং প্রতিটি থেকে ৪ টা করে বাচ্চা পাওয়া গেলে ২*৪= ৮ টি বাচ্চা
এবং বাচ্চা যে দামে ক্রয় করা হয়েছিল তার থেকে ২০% কম মুল্যে বিক্রয় করা হলে ৮*৮০০০= ৬৪০০০৳
খরচ হয়েছে = ৩৯৯০০৳
তাহলে লাভ = ২৪১০০৳
এরপর প্রতি চার মাসের খরচ হিসেবে অায় হবে অর্থাৎ খামার শুরু থেকে প্রথম ১২ মাসে অায় হবেঃ
পরবর্তী ৪ মাসের খরচ ঃ
২২৫*৩*৪= ২৭০০৳
বাচ্চা পাওয়া যাবে ৮ টি
বিক্রি মুল্য= ৮*৮০০০= ৬৪০০০৳
খরচ বাদে লাভ = ৬৪০০০-২৭০০
৬১৩০০৳ তাহলে শুরু থেকে বছরে সমস্ত ব্যয় শেষে মোট লাভ -
৬১৩০০+২৪১০০= ৮৫৪০০৳
বানিজ্যিক খরগোশ খামার করতে হলে হিসাব করেই করতে হবে। অন্যথায় প্রতি মাসে একটু একটু করে টাকা লস হতে থাকবে বুঝতেও পারবেন না। অার সাথে থাকতে অসীম ধৈর্য্য । ধৈর্য্য ধরবেন, পরিশ্রম করবেন সাফল্য অাসবেই।
বানিজ্যিক খরগোশ খামার করতে অারও বিস্তারিত কিছু জানতে হলে যোগাযোগ করতে পারেন, যতটুকু সম্ভব সাহায্য করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।

ধন্যবাদ
#খরগোশ

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Rabbit Breeders Association of Bangladesh posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Rabbit Breeders Association of Bangladesh:

Videos

Share

Category