Livestock Assistance Patrakhola Tea Estate' Kamolganj,Moulvibazar

  • Home
  • Maulvi Bazar
  • Livestock Assistance Patrakhola Tea Estate' Kamolganj,Moulvibazar

Livestock Assistance Patrakhola Tea Estate' Kamolganj,Moulvibazar জীবের সেবা করে যেই জন সেই জন সেবিছে ঈশ?
(1)

গরুর চোখ দিয়ে পানি ঝরলে কী করণীয়?গরুর চোখ দিয়ে পানি ঝরে এর একাধিককারণ থাকতে পারে তা হলো :১।পশুর চোখ কোন কিছু দ্বারা আঘাত...
13/04/2023

গরুর চোখ দিয়ে পানি ঝরলে কী করণীয়?

গরুর চোখ দিয়ে পানি ঝরে এর একাধিক
কারণ থাকতে পারে তা হলো :
১।পশুর চোখ কোন কিছু দ্বারা আঘাত প্রাপ্ত হলে।
২।পশু কৃমিজনিত সমস্যায় জড়জড়িত থাকলে।
৩।পশুর চোখে ধুলোবালু পড়ে ময়লা জমলে।
৪।পশুর চোখে শক্ত কোনো কণা পড়লে।
৫।কখনো শরীলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনালের ঘাটতি থাকলে পশুর চোখ দিয়ে পানি ঝরে থাকে।
৬।পশু সঠিক যত্ন না পেলে ও এমন হতে পারে।

চোখ দিয়ে পানি ঝরলে যে সমস্যা হতে পারে:

১।পশুর চোখ দিয়ে পানি ঝরে পড়তে পড়তে হঠাৎ চোখে ছানি পড়ে যেতে পারে।
২।দীর্ঘদিন অতিবাহিত হয়ে গেলে ছানিযুক্ত চোখ দিয়ে পশু সঠিক ভাবে দেখতে পারবে না।
৩।পশুর চোখ লাল বর্ণের মতো হয়ে যাবে।
৪।চোখ ও চোখের চারপাশ ফুলে যাবে।
৫।পশু খাবারের প্রতি রুচি কমতে থাকবে।
৬।পশুর স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে না।
৭।চোখ দিয়ে পানির সাথে সাথে সাদা বর্ণের মতো ময়লা বাহির হবে।

চিকিৎসা দেওয়া যেতে পারে:

১।সবার আগে অসুস্থ চোখ পরিস্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে ওয়াশ করে নিতে হবে।

২।কেমিস্ট সিলভার নাইট্রেট ড্রপ বা সিভডেক্স ভেট আক্রান্ত চোখে ২-৩ ফোঁটা করে দিন ২ বার ব্যবহার করুন ৩-৭ দিন।

গবাদি প্রানীরব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসায়ব্যবহৃত ঔষধের বিবরণীনিয়ে আলোচনা করবো
11/03/2022

গবাদি প্রানীর
ব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসায়
ব্যবহৃত ঔষধের বিবরণী
নিয়ে আলোচনা করবো

গবাদিপশুর খামারে প্রাকৃতিক উপায়ে মাছি তাড়ানোর কৌশলঃকর্পূরঃকর্পূর মাছি তাড়াতে অনেক বেশি কার্যকরী। কিছুতে ধোঁয়া তৈরি করে ...
07/02/2022

গবাদিপশুর খামারে প্রাকৃতিক উপায়ে মাছি তাড়ানোর কৌশলঃ

কর্পূরঃ

কর্পূর মাছি তাড়াতে অনেক বেশি কার্যকরী। কিছুতে ধোঁয়া তৈরি করে তাতে কর্পূর ছিটিয়ে দিন। কর্পূরের ধোঁয়া ঘরে কিছুক্ষণ রাখুন। দেখবেন মাছি আপনার বাসায় আর আসছে না।

শসাঃ

শসা মাছি তাড়ানোর জন্য বেশ কার্যকরী। কয়েক টুকরো শসা রান্নাঘরের জানলায় বা খাবার ঘরের জানলার পাশে রেখে দিন। দেখবেন মাছি আপানর ঘরে আর আসছে না।

ভিনেগারঃ

ঘরে বেশি মাছি হলে সারা ঘরে ভিনেগার স্প্রে করে দিন। অথবা একটি রুমাল ভিনেগার দিয়ে ভিজিয়ে নিয়ে, রুমালটা সারা বাড়ি নেড়ে নেড়ে ঘুরিয়ে আনুন। দেখবেন মাছি গায়েব।

গোলমরিচঃ

একটি স্প্রে বোতলে কিছু গোলমরিচের গুঁড়া আর পানি নিন। খুব ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিন। এরপর এটি দিয়ে সারা বাড়ি স্প্রে করে ফেলুন। দেখবেন আপনার বাসায় আর মাছি আসছে না।

পুদিনা পাতাঃ

বাগানে পুদিনা পাতার গাছ লাগান দেখেবন মাছি আপনার বাগান থেকে দূরে আছে। ঘরের টবে পুদিনা পাতার গাছ লাগান এবং সেটি খাবার ঘরে রাখুন। দেখবেন মাছি আপনার বাসায় আসছে না।

এসেন্সিয়াল অয়েলঃ

এসেন্সিয়াল অয়েল ঘরকে শুধু সুভাষিত করে না। এটি ঘর থেকে মাছি তাড়াতেও সাহায্য করে। ল্যাভেন্ডার, লেবু, ইউক্যালিপ্টাসের এসেন্সিয়াল অয়েল স্প্রে করে দিন খাবার ঘরে। আপনি চাইলে রান্নাঘরেও স্প্রে করতে পারেন। মাছি আপনার বাসা থেকে দূরে থাকবে।

দারুচিনিঃ

দারুচিনির গন্ধ মাছি পছন্দ করে না। দারুচিনির এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার করুন। দেখবেন মাছি ঘর থেকে দূর হয়ে যাচ্ছে।

কমলার খোসাঃ

শুকানো কমলার খোসা রেখে দিন খাবারের আশেপাশে। মাছি সেই খাবার থেকে দূরে থাকবে।

লেমন গ্রাসঃ

একটি স্প্রে বোতলে লেমন গ্রাস অয়েল এবং গরম পানি নিন। এবার ভালো করে মিশিয়ে ফেলুন লেমন গ্রাস অয়েল ও গরম পানি। এবার দরজা জানলার কাছে ভালো করে স্প্রে করে দিন।

আপেল এবং লবঙ্গঃ

একটি ঝুড়িতে বা বাটিতে আপেলের সাথে কয়েক টুকরা লবঙ্গ দিয়ে রান্নাঘরের জানলায় বা খাওয়ার ঘরের জানালার পাশে রেখে দিন। চাইলে লবঙ্গ তেল ব্যবহার করতে পারেন বিভিন্ন পরিষ্কার করার কাজে। মাছি লবঙ্গের গন্ধ সহ্য করতে পারে না। তাই ঘরে মাছি ঢুকলেও খুভ দ্রুত ঘর থেকে বের হয়ে যাবে।

16/01/2022

চলছে শীতকাল। এ সময় গরু ছাগল, হাঁস-মুরগিসহ অন্যান্য গবাদিপশু-পাখির নানান রকমের রোগবালাই হয়ে থাকে। গবাদিপশু পাখির শীতকালীন এমন কিছু রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি পদ্ধতি তুলে ধরা হলো।

"গামবোরো রোগ"
গামবোরো একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এ রোগে বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে ব্রয়লার, কক, সোনালী ও লেয়ার মুরগি মারা যায়। তাই এ রোগের মুরগির মৃত্যুর পাশাপাশি আক্রান্ত ফ্লক ইম্যুনোসাপ্রেশনে ভোগে। আর তাই এ রোগকে মুরগির এইডস বলা হয়। আর এ ধরনের ফ্লক থেকে কখনই আশানুরূপ ফলাফল পাওয়া যায় না।

রোগের লক্ষণ
গামবোরো রোগের কিছু কমন লক্ষণ হলো পানি না খাওয়া, খাদ্য না খাওয়া, পাতলা পায়খানা হওয়া ইত্যাদি।

চিকিৎসা ও প্রতিকার
এন্টিবায়োটিক হিসেবে সিপ্রোফ্লক্সাসিন ১০% ব্যবহার করা যায়। এটি রক্তে তাড়াতাড়ি মিশে আর শরীরে থাকেও দীর্ঘক্ষণ। ফলে দ্রুত কাজ শুরু হয়ে যায়। ১ লিটার পানিতে ১ মিলি পরপর ৩-৫ দিন সবসময়ের জন্য পানিতে দিতে হবে। যে কোনো ভালো অর্গানিক এসিড কোম্পানি নির্দেশিত মাত্রায় ব্যবহার করা যেতে পারে। অর্গানিক অ্যাসিডগুলো কিডনি হতে ইউরেট দূর করতে সহায়তা করে। এ ক্ষেত্রে ভিনেগার ব্যবহার করা যায়।

"গলাফুলা রোগ"
গলাফুলা (hemorrhagic septicemia) এশিয়া, আফ্রিকা, দক্ষিণ ইউরোপের কিছু দেশ ও মধ্যপ্রাচ্যে বিদ্যমান। তবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এটি বেশি পরিলক্ষিত হয়। গলাফুলা একটি তীব্র প্রকৃতির রোগ যা গরু এবং মহিষকে আক্রান্ত করে। এটি একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ, যা Pasteurella multocida দ্বারা সংঘটিত হয়। এ রোগে মৃত্যুর হার খুবই বেশি।

পশুর শরীরে স্বাভাবিক অবস্থায় এ রোগের জীবাণু বিদ্যমান থাকে। কোনো কারণে যদি পশু ধকল যেমন ঠাণ্ডা, অধিক গরম, ভ্রমণজনিত দুর্বলতা ইত্যাদির সম্মুখীন হয় তখনই এ রোগ বেশি দেখা দেয়। গলাফুলা রোগের প্রচলিত নাম ব্যাংগা, ঘটু, গলগটু, গলবেরা ইত্যাদি।

রোগের লক্ষণ
এ রোগ অতি তীব্র ও তীব্র এ দুইভাবে হতে পারে।
অতি তীব্র প্রকৃতির রোগে হঠাৎ জ্বর হয়ে মুখ ও নাক দিয়ে তরল পদার্থ বের হতে থাকে। পশু অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে ও খাওয়া বন্ধ করে দেয় এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু ঘটে। তীব্র প্রকৃতির রোগে আক্রান্ত পশু ২৪ ঘন্টার অধিক বেঁচে থাকে। এ সময় পশুর এডিমা দেখা দেয় যা প্রথমে গলার নিচে, পরে চোয়াল, তলপেট এবং নাক, মুখ, মাথা ও কানের অংশে বিস্তৃত হয়।

গলায় স্ফীতি থাকলে গলার ভেতর ঘড় ঘড় শব্দ হয়, যা অনেক সময় দূর থেকে শোনা যায়। প্রদাহযুক্ত ফোলা স্থানে ব্যথা থ

16/01/2022

#গবাদিপশুর_খামারে_দৈনিক_কাজের_রুটিনঃ

গবাদিপশুর তথা গরুর খামারে দৈনিক কাজের রুটিন নিচে দেওয়া হল-

১। ভোর ৫ থেকে ৬ টার মধ্যেই খামারে গরু থাকার স্থান কিংবা গোয়াল ঘড় পরিস্কার করতে হবে।

২। সকাল ৬ থেকে ৭টার মধ্যে খামারের গরুকে দানাদার খাদ্য খাওয়াতে হবে।

৩। সকাল ৭ থেকে ৮ টার মধ্যে গরুর দুধ দোহন করতে হবে।

৪। সকাল ৮ থেকে ৯ টার মধ্যে গরুকে কাঁচা ঘাস বা খর খেতে দিতে হবে।

৫। সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত গাভীকে বিশ্রাম নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

৬। দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ২ টার মধ্যে গরু ও গরুর থাকার ঘর পরিস্কার করতে হবে।

৭। দুপুর ২টা থেকে ৩ টার মধ্যে গরুকে দানাদার খাদ্য দিতে হবে।

৮। বিকেল ৩ থেকে ৫ টার মধ্যে গরুর দুধ দোহন করতে হবে। যদি আগে দুধ দোহন করা হয় তাহলে পরে দানাদার খাদ্য দিতে হবে।

৯। বিকেল ৫ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে কাঁচা ঘাস বা খর খেতে দিতে হবে।

১০। রাত ৮ টা থেকে ৯ টার মধ্যে গোয়াল ঘড় ও পানির হাউজ পরিস্কার করে পরিষ্কার পানি দিয়ে রাখতে হবে।

উপরোক্ত কাজের রুটিন অনুসরন করলে গরুর যত্নের কোন ঘাটতি থাকবে না। আর খামারের অবস্থান ও পরিবেশের উপর ভিত্তি করে উপরোক্ত রুটিন পরিবর্তন করা যেতে পারে।

16/01/2022

সহজ পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ কৌশলঃ

গরু মোটাতাজা করে বিক্রি করা খুব লাভজনক। অল্প সময়ে অল্প পুঁজিতে গরু মোটাতাজা করে বেকারত্ব ও দরিদ্রতা দূর করা যায়। অল্প সময়ে ষাঁড় বাছুর কে সুষম খাদ্য খাওয়ায়ে দৈহিক বৃদ্ধি করে গরু মোটাতাজা করা হয়।

গরু মোটাতাজা করার সুবিধা হচ্ছে……
১. অল্প সময়ে (৪-৬ মাস) অধিক মুনাফা অর্জন করা যায়।
২. মূলধন বা পুঁজি দ্রুত ফেরত আসে।
৩. আর্থিক ক্ষতির ঝুঁকি কম।
৪. খরচের তুলনায় লাভ বেশি।
৫. বেকারত্ব ও দারিদ্রতা দূর করা যায়।
৬. রোগব্যাধি কম হয়।

গরু মোটাতাজাকরণ পদ্ধতিঃ

গরু মোটাতাজা করার জন্য গরু নির্বাচন, গরুর বাসস্থান নির্মাণ, কৃমি মুক্তকরণ, গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও খাদ্য খাওয়াতে হয়।

গরু নির্বাচন: দেড়-দু’বছর বয়সের সংকর জাতের ষাঁড় বাছুর নির্বাচন করা। ভালো জাতের গরু, ঘাড় খাটো, হাড়ের জোড়াগুলো মোটা প্রকৃতির, বুক চওড়া ও পাঁজরের হাড় চ্যাপ্টা, কোমরের দু’পাশ প্রশস্থ ও পুরু, কপাল প্রশস্থ, উচুঁ ও লম্বা, চামড়া ঢিলা, স্বাস্থ্যহীন ও রোগমুক্ত গরু নির্বাচন করতে হয়।
বাসস্থান নির্মাণ: প্রতিটি গরুর জন্য দৈর্ঘ্য ৮ ফুট, প্রস্থ ৬ ফুট ও উচ্চতা ৮ ফুট জায়গা প্রয়োজন। ঘরের ভেতর আলো বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখা। ঘরের মেঝে একদিকে ঢালু রাখা। ঘরের ভেতর খাদ্য ও পানি পাত্র থাকবে।

কৃমিমুক্তকরণ: গরু ক্রয় করার পরেই গরুর পেট থেকে কৃমি মুক্ত করতে হবে। অন্যথায় গরুর খাদ্যের বিরাট অংশ খেয়ে গরুকে পুষ্টিহীন ও রক্ত শূন্য করে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কৃমির ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে।

স্বাস্থ্য পরীক্ষা: গরু রোগাক্রান্ত কিনা ডাক্তার দিয়ে পরীক্ষা করাতে হবে। গরুর রক্ত, মল, জিহবা, পায়ের ক্ষুর, নাড়ীর স্পন্দন ইত্যাদি পরীক্ষা করা হয়। অসুস্থ হলে চিকিৎসা করাতে হবে। বিভিন্ন রোগের টিকা দিতে হবে।

সুষম খাদ্য খাওয়ানো: সঠিক পরিমাণে পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ালে ষাঁড় বাছুরের ওজন প্রতিদিন প্রায় এক কেজি পর্যন্ত বাড়ে। ১০০-১৫০ কেজি ওজনের একটি ষাঁড় বাছুরকে প্রতিদিন ইউরিয়া প্রক্রিয়াজাত খড় ৩-৪ কেজি, সবুজ কাঁচা ঘাস ১০-১২ কেজি, চালের কুঁড়া ১ কেজি, গমের ভুসি ১.২৫ কেজি, তিলের খৈল ৪০০ গ্রাম, হাড়ের গুঁড়া ৫০ গ্রাম, লবণ ৫০ গ্রাম ও ঝোলাগুড় ২৫০ গ্রাম খাওয়াতে হয়। পানি পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়াতে হবে। ইউরিয়া ও খড় প্রক্রিয়াজাত করার ৭ দিন পর খাওয়াতে হবে। অন্যথায় বিষাক্ততা দেখা দিবে। এক বছরের কম বয়সের বাছুর কে ইউরিয়া খাওয়ানো যাবে না। অন্য কোন

16/01/2022

গবাদিপশুর বাসস্থানের মশা-মাছি দূর করতে করণীয়-

** ১লিটার পানির মধ্যে ২ মিলি তারপিন তেল (খাঁটি) ও ২ গ্রাম কর্পূর বা ন্যাপথালিন স্প্রে বোতলে নিয়ে গরুর গায়ে স্প্রে করবেন। ওলানে স্প্রে করলে এই গন্ধ দুধেও আসতে পারে। তাই ওলানে স্প্রে না করায় ভালো। তবে এতে মশা-মাছি আর কাছে আসবে না।

** যারা গবাদিপশুর বাসস্থানের আশেপাশে গোবর রাখেন- তারা ১ লিটার পানিতে ১০ মিলি ফরমালিন এবং ২ টা ন্যাপথালিন গুড়া করে মিশিয়ে ছেঁকে নিয়ে স্প্রে বোতলে তুলবেন৷ তারপর প্রতি বর্গমিটারে ২৫০ মিলি করে স্প্রে করবেন। প্রথম সপ্তাহে দিনে তিন চার বার করে স্প্রে করবেন। পরবর্তীতে সপ্তাহে দুই দিন করে স্প্রে করবেন৷ এতে গবাদিপশুর বাসস্থানের মশা-মাছি দূর হবে।

** আপনার গবাদিপশুকে স্যাঁতসেঁতে জায়গায় রাখবেন না। শুকনো জায়গায় রাখুন। রোদ খাওয়ান। দিনে কমপক্ষে একঘন্টা রোদে রাখলেও শরীরে অটোমেটিক ভিটামিন ডি তৈরি হয়৷

11/01/2022

আজকে আমরা জানবো সুস্থ অবস্থায় বিভিন্ন গবাদি প্রানীর দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রার সম্পর্কে
________________________________
গরু ৯৯.৫`-১০১.৫` ফাঃ
মহিষ ১০০`-১০১`ফাঃ
ছাগল/ভেড়া ১০১`-১০৩`ফাঃ
হাসঁ/মুরগী ১০৫`-১০৭`ফাঃ

২৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার  বিশ্ব জলাতঙ্ক বা র‌্যাবিস দিবস। ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশসহ এশিয়ার ২২টি দেশ বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস উপলক...
24/09/2021

২৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিশ্ব জলাতঙ্ক বা র‌্যাবিস দিবস। ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশসহ এশিয়ার ২২টি দেশ বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে। এ উপলক্ষে আজ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, জলাতংক রোগে সাধারণত ১৫ বছরের নিচে শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হয়। এ রোগে ৯০ ভাগই আক্রান্ত হয় কুকুরের কামড়ে। তাছাড়াও বিড়াল, শেয়াল, বেঁজি ও বানরের কামড়েও এ রোগ হয়ে থাকে। আক্রান্ত কুকুর, বিড়াল, শিয়াল ও অন্যান্য বন্য প্রাণীর লালায় এ রোগের ভাইরাস থাকে। এসব প্রাণীর কামড়ে ভাইরাসটি ক্ষতস্থান থেকে মস্তিষ্কে সংক্রমিত হয় এবং এতে স্নায়ুতন্ত্রের নানা রকম জটিল উপসর্গ দেখা দেয়। ফলে রোগী পক্ষাঘাতগ্রস্থ হয়ে শ্বাস ও হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করে। তবে আশার কথা হলো সঠিক চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে জলাতংক শতভাগ প্রতিরোধযোগ্য। এজন্য জনসচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন।

জানা গেছে, সারা বিশ্বে প্রতিবছর ৫৫ হাজার মানুষ জলাতঙ্ক রোগে মারা যায়। আর বাংলাদেশে প্রতিবছর মারা যায় দুই হাজারেরও বেশি মানুষ। সরকারি তথ্য মতে; প্রতি বছর দেশে তিন থেকে চার লাখ মানুষ কুকুরের কামড়ের শিকার হয়। অন্যদিকে, দেশে মোট কুকুরের ৮৩ শতাংশ মালিকানাবিহীন। আর ২০১০ সালের আগে দেশে প্রতি বছর দুই হাজারেরও বেশি মানুষ কুকুরের কামড়ে জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয়ে মারা যেতো। কিন্তু ২০১০ সাল থেকে দেশের সব জেলা স্থাপিত জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন সেন্টার থেকে মানুষ বিনামূল্যে টিকা গ্রহণ করায় এই মৃত্যুর হার কমতে থাকে। এছাড়া ওই বছর থেকেই ব্যাপকহারে কুকুরকে জলাতঙ্কের প্রতিষেধক দেয়ার মাধ্যমেও জলাতঙ্কের হার কমতে থাকে।

ধমনীর প্রদাহ: ---------------------- পেটে গ্যাসের চাপের কারণে - এটি ফুসফুসে  চাপ দেয় এবং রক্তের প্রবাহকে বাধা দেয়, যা ...
15/09/2021

ধমনীর প্রদাহ: -

---------------------

পেটে গ্যাসের চাপের কারণে - এটি ফুসফুসে চাপ দেয় এবং রক্তের প্রবাহকে বাধা দেয়, যা প্রাণীর মৃত্যুর দিকে পরিচালিত করে।

প্রতিরোধ:-

1.প্রথম ৬ মাস বয়সে পশুর টিকা দেওয়া উচিত। ভ্যাকসিনটি এক বছর পরে একবার দেওয়া উচিত

2.আক্রন্ত পশুকে আলাদা রাখতে হবে।

3.পশুর মল, রক্ত ​​এবং শব মাটির নিচে চাপা দিতে হবে।

4.পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, জীবাণু মুক্ত, শুকনো জায়গা লালনপালন করতে হবে।

চিকিত্সা:-

পেনিসিলিন জাতীয় ইনজেকশন দেওয়া যায়।

গরুর আঁচিল রোগের চিকিৎসায় করণীয় সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই জানা নেই। গরু পালনে অন্যতম প্রতিবন্ধকতা হল গরুর বিভিন্ন প্রকার র...
31/07/2021

গরুর আঁচিল রোগের চিকিৎসায় করণীয় সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই জানা নেই। গরু পালনে অন্যতম প্রতিবন্ধকতা হল গরুর বিভিন্ন প্রকার রোগ-ব্যাধি। গরু পালন করে সফল ও লাভবান হতে চাইলে সময়মতো গরুর রোগের চিকিৎসা করা জরুরী। গরুর অনেক সময় আঁচিল হয়ে থাকে। চলুন জেনে নেই গরুর আঁচিল রোগের চিকিৎসায় করণীয় সম্পর্কে-

গরুর আঁচিল রোগের চিকিৎসায় করণীয়ঃ
আঁচিল গরুর ত্বকের উপড় কোষবৃদ্ধি ঘটিত একটি ভাইরাস জনিত রোগ। কমবেশি সব ধরনের গবাদি পশুতে হলেও গরুতে এটি বেশি পরিলক্ষিত হয়। বয়স্ক গরুর তুলনায় কম বয়সের বাড়ন্ত গরুতে এই রোগ বেশী হয়ে থাকে। নিচে এই রোগের বিস্তারিত আলোচনা করা হল-

গরুর আঁচিল রোগের লক্ষণঃ

আক্রান্ত গরুর শরীরে ছোট ছোট পিন্ডের মত গোটা দেখা যাবে। প্রাথমিক অবস্থায় গরুর মাথায়, চোখের চারপাশে, ঘাড়ে ও কাঁধে এবং পায়ে আক্রমন বেশি হয়। ত্বকের উপড় কোষ বৃদ্ধি হয়ে আঁচিল সৃষ্টি হয়, ফলে আস্তে আস্তে সারা শরীর ছড়িয়ে পড়ে।

গরুর আঁচিল রোগের চিকিৎসাঃ

অটোহিমোথেরাপি(Autohemotherafy)

১ম পদ্ধতিঃ

নতুন সিরিজের মাধ্যমে আক্রান্ত গরুর জগুলার শিরা থেকে রক্ত বের করে দ্রুত মাংশ পেশীতে দিতে হবে। ছোট গরুতে ৫ মিঃ লিঃ এবং মাঝারি ও বড় গরুতে ১০-১৫ মিঃলিঃ। আক্রান্তে তীব্রতা অনুযায়ী এর মাত্রা ২০ মিলি পর্যন্ত দেওয়া যাবে। একই নিয়মে ৭ দিন পর পর আরও ২ টি ডোজ দিতে হবে।

নোটঃ উক্ত চিকিৎসা পদ্ধতিতে অনেক গরুতে আঁচিল রোগ ভালো হতে এক থেকে দের মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

২য় পদ্ধতিঃ

অটোজেনাস ভ্যাকসিন (Autogenous vaccine)

উপকরণসমূহঃ

গরুর ত্বক থেকে আঁচিল – ৫ গ্রাম

নরমাল স্যালাইন – ১০ মিঃলিঃ

ফরমালিন – ১-২ ফোটা

পরিশ্রুত পানি – ১০ মিঃলিঃ

অটোজেনাস ভ্যাকসিন তৈরির পদ্ধতিঃ

আঁচিল আক্রান্ত গরুর ত্বক থেকে ৫ গ্রাম আঁচিল কেটে নিন। এরপর নরমাল স্যালাইন ১০ মিঃলিঃ এর সাথে মিশিয়ে মর্টারের সাহায্যে গ্রাইন্ডিং করে তা ফিল্ডার পেপার দ্বারা ছেঁকে নিয়ে ১-২ ফোটা ফরমালিন (Formalin) মিশিয়ে নিন।

উক্ত দ্রবনের সাথে যেকোনো Antibiotic এর পরিশ্রুত পানি ১০ মিঃলিঃ মিশিয়ে দ্রুত মাঝারি ও বড় গরুতে ১০-১২ মিঃলিঃ চামড়ার নিচে দিতে হবে। এভাবে ৭ দিন পরপর ৩ ডোজ দিলে আঁচিল রোগ একেবারে ভাল হয়ে যায়।

অটোজেনাস ভ্যাকসিন প্রিপারেশনের সময় সহযোগী হিসাবে এন্টিহিস্টামিন ও অক্সিট্রেট্রাসাইক্লিন গ্রুপের ইন্জেকশন ব্যবহার করতে পারেন।

প্রশ্নের উত্তর***সমস্যা: আমার একটি গরুর ফার্ম আছে, কিন্তু Australian গাভী কাধে ঘা ঘা হচ্ছে।*সমাধান: ১. প্রথমে পটাশ পার ম...
31/07/2021

প্রশ্নের উত্তর

***সমস্যা: আমার একটি গরুর ফার্ম আছে, কিন্তু Australian গাভী কাধে ঘা ঘা হচ্ছে।
*সমাধান:
১. প্রথমে পটাশ পার ম্যাঙ্গানেট (ppm) এর পানি দারা ক্ষত স্থান ধুয়ে নিতে হবে।
২. Nevanol powder নারিকেল তৈল দারা ক্ষত স্থান লাগাতে হবে।
৩. Renamycim100 এন্টিবায়োটিক ইঞ্জেকশন দিতে হবে। প্রতি ১০ কেজি ওজনের জন্য ১ এম এল, এ ভাবে ১০০ কেজি ওজনের জন্য ১০ এম এল পরিমাণ ওষধ দিতে হবে। • ক্ষত স্থানে কোনো অবস্থাতেই মাছি বসতে দেয়া যাবেনা।

প্লেগ হাঁসের একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ। এ রোগকে ডাক ভাইরাল এন্টারাইটিস বলা হয়। ১৯২৩ সালে বাউডেট নামক জনৈক বিজ্ঞানী নেদ...
13/02/2021

প্লেগ হাঁসের একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ। এ রোগকে ডাক ভাইরাল এন্টারাইটিস বলা হয়। ১৯২৩ সালে বাউডেট নামক জনৈক বিজ্ঞানী নেদারল্যান্ডে হাঁসের মরক হিসেবে রোগটি প্রথম সনাক্ত করেন। বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই হাঁসের প্লেগ রোগ দেখা যায়। প্রাকৃতিক নিয়মেই সব বয়সী গৃহপালিত ও বন্যহাঁস, রাজহংসী এই ভাইরাসের প্রতি সংবেদনশীল। আক্রান্ত পাখির সংস্পর্শে, দূষিত খাদ্যদ্রব্য ও পানির সাহায্যে সুস্থ পাখিতে এ রোগের ভাইরাস সংক্রমিত হয়। আমাদের দেশে হাট-বাজারে রুগ্ন হাঁস কেনা-বেচার মাধ্যমে এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় এ রোগটি ছড়ায়। আবার কীট-পতঙ্গের মাধ্যমেও এ রোগের জীবাণু সংক্রমিত হতে পারে। ডিমের মাধ্যমেও রোগের সংক্রমই হয় ।

প্লেগ রোগের লক্ষণ:
আক্রান্ত হাঁসের ক্ষুধা কমে যায় কিন্তু বার বার পানি পান করে। চোখ ও নাক দিয়ে তরল পদার্থ নিঃসৃত হয়। আলো দেখলে ভয় পায়। চোখের ঝিল্লির প্রদাহের কারণে চোখ বন্ধ করে রাখে। ডিম পাড়া হাঁসের ডিম দেয়া কমে যায়। মাথা নিচু করে রাখে। চলাফেরায় অসামঞ্জস্যতা দেখা দেয়। অনেক সময় মৃত হাঁসের পুরুষাঙ্গ বেরিয়ে আসে। আক্রান্ত পাখিতে ডায়রিয়া হয়। পাতলা পায়খানা লেজের আশে পাশে লেগে থাকে। এ রোগে আক্রান্ত হাঁসের হঠাৎ করে মৃত্যু হয়। এ রোগে ভাল সাস্থ্যের অধিকারী বয়স্ক হাঁসেরও মৃত্যু ঘটে। মৃত্যুহার ৫ থেকে ১০০% হয়ে থাকে।

টিকা
ব্যবহার বিধিঃ
০১। ছোট কাচের ভায়ালে ১০০ মাত্রা টিকা থাকে। টিকা ব্যবহারের জন্য পরিস্রুত পানি, জীবাণুমুক্ত ও পরিস্কার ঢাকনাওয়ালা পাত্র এবং সিরিঞ্জ নিডিল প্রয়োজন হয়।
০২। জীবাণুমুক্ত পাত্রে ১০০ এম এল পরিস্রুত পানি মেপে নিতে হয়। অতঃপর এই পানি থেকে কিছু পানি সিরিঞ্জের সাহায্যে ভায়ালে প্রবেশ করাতে হয়। ভায়ালের টিকা ভালোভাবে গলে গেলে এই মিশ্রণ পাত্রে পরিস্রুত পানির সঙ্গে ভালভাবে মিশিয়ে নিতে হয়। মিশ্রিত টিকা হাঁসের বুকের মাংসে ১ এম এল করে ইনজেকশন হিসাবে দিতে হয়। ৩ সপ্তাহ বয়সের হাঁসের বাচ্চাকে ১ম টিকা দিতে হয়।
০৩। ৬ মাস পর্যন্ত এই টিকার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় থাকে। তাই ৬ মাস পর পর এই টিকা দিতে হয়।
০৪। খামারে রোগ দেখা দিলে সুস্থ হাঁসগুলিকে আলাদা করে এই টিকা দিতে হয়।

চিকিৎসাঃ
চিকিৎসা হিসেবে রোগাক্রান্ত হাঁসের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় পর্যায়ের ব্যাকটিরিয়ার সংক্রামণ থেকে রক্ষা করার জন্য উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এন্টিবায়োটিক যেমন- এনরোফ্লক্সাসিন, নরফ্লক্সাসিন,

03/02/2021
______ছাগলের পি,পি,আর রোগ_______প্রচলিত নামঃগোটি প্লেগ, ছাগলের প্লেগ রোগ, কাটা প্রভৃতি। পি.পি.আর ছোট রোমন্থক প্রাণীর বিশ...
26/01/2021

______ছাগলের পি,পি,আর রোগ_______
প্রচলিত নামঃ
গোটি প্লেগ, ছাগলের প্লেগ রোগ, কাটা প্রভৃতি। পি.পি.আর ছোট রোমন্থক প্রাণীর বিশেষতঃ ছাগলের একটি ভাইরাস জনিত রোগ। এই রোগের লক্ষণসমূহ গরুর রিন্ডারপেষ্টের মতো। এরোগে ছাগল ও ভেড়ার মৃত্যুর হার প্রায় ৯০ শতাংশ।

রোগের কারণঃ
প্যারামিক্সোভিরিডি(Paramyxoviridas) গোত্রভূক্ত পি.পি.আর. ভাইরাসের কারণে রোগটি হয়।

লক্ষণঃ

পি.পি.আর রোগের লক্ষণ সমূহ রিন্ডার পেষ্ট রোগের মতোই। রোগের প্রাথমিক অবস্থায় আক্রান্ত পশুর খাদ্য গ্রহণে অনীহা, উচ্চ তাপমাত্রা (১০৭-১০৮ ডিঃ ফাঃ) নাক, চোখ দিয়ে তরল পদার্থ নিঃসরন এবং ঠোট, জিহ্বা ও মুখমন্ডলে ঘা হয়। অনবরত রক্ত মিশ্রিত ও দুর্গন্ধযুক্ত ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হয় এবং লেজের গায়ে, পাছায় প্রভৃতি স্থানে লেগে থাকে।
লক্ষণ প্রকাশের ৪-৫ দিন পর চোখ-নাক দিয়ে পুঁজযুক্ত তরল পদার্থ নিঃসৃত হয় এবং এক পর্যায়ে শরীরে প্রচন্ড পানি শূন্যতা দেখা দেয়। এছাড়া কাশি ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় এবং লক্ষণ প্রকাশের ৭-১০ দিনের মধ্যে আক্রান্ত পশু মারা যায়।

প্রতিরোধের উপায়ঃ
দুইভাবে প্রতিরোধ করা যায়।

আক্রান্ত পশুকে জবাই করে, পুড়ে ফেলে বা পশুর গতিবিধি নিয়ন্ত্রন করে।

টিকার মাধ্যমে এ রোগ প্রররোধ করা যায়। নিকটস্থ ভেটেরিনারি হাসপালে প্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক উৎপাদিত পি. পি.আর. টিকার প্রয়োগের মাধ্যমে এ রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

চিকিৎসাঃ

ভেটেরিনারি চিকিৎসকের পরামর্শে নিন্মলিখিত ব্যবস্থাদি গ্রহণ করা যেতে পারেঃ-
১) Sulphanilamide Powder + Doxacyclin Powder ক্ষতস্থানে নারকেল তৈলের সাথে মিশিয়ে দিনে ২ বার প্রয়োগ করতে হবে।
২) Diclofenac Injection
৩) Antihistaminic

মহিষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গরুর তুলনায় বেশি। কিন্তু একবার রোগাক্রান্ত হলে মহিষের মৃত্যুর সম্ভাবনা গরুর তুলনায় বেশি। মহিষ...
23/01/2021

মহিষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গরুর তুলনায় বেশি। কিন্তু একবার রোগাক্রান্ত হলে মহিষের মৃত্যুর সম্ভাবনা গরুর তুলনায় বেশি। মহিষের যে সমস্ত রোগব্যাধি হয় তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি হয় গলাফোলা রোগ। এ রোগ সব ঋতুতেই হয় তবে বর্ষা ঋতুতে বেশি হয়। এই রোগে আক্রান্ত মহিষের ৫০% মৃত্যুবরণ করে।



রোগের নাম
বাংলাদেশে এ রোগ গলাফোলা; পাকিস্তানে- গল গুটু, নার কটি, গান্ধ, নিরি, গুগো; ভারতে-গলগন্টু; ভুটানে-বোনাই, বেগুথাই; নেপালে-বাগুটি এবং শ্রীলংকায়- রাকশায়াওরা, তনদই কারাপপান, আডাপাওয়া নামে পরিচিত। এ রোগের অন্যান্য নাম হলো- শিপিং ফিভার, ট্রান্সজিট ফিভার, বারবাইন, এনজুটিক নিউমোনিয়া, পাসটোরেলোসিস বোভিস, স্টক ইয়ার্ড ডিজিজ এবং স্টক ইয়ার্ড নিউমোনিয়া।

কারণ
Hemorrhagic Septicemia/এইচ.এস. রোগটি Pasteurella multocida and Pasteurella haemolytica নামক ব্যাকটেরিয়াজনিত জীবাণু দ্বারা সংঘটিত হয়। এ রোগটি Pasteurella toxin type-I অথবা B এবং type-IV অথবা D-এর জন্য দায়ী। অনেক সময় এ রোগ Toxin E দ্বারা হয়। এ রোগের জীবাণু গ্রাম নেগেটিভ, ছোট ককয়েড, ক্যাপসুলেটেড রড আকৃতির এবং বাই পোলার বিশিষ্ট হয়ে থাকে।

রোগ ছড়ানোর উপায়
প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উভয় প্রকারে এ রোগ ছড়াতে পারে। এ রোগ জীবাণু সুস্থ বা জীবাণু বহনকারী আক্রান্ত পশুর লালা বা নাসা রন্ধ্রের স্রাব, ইত্যাদি খাওয়া বা প্রসবকালে পশুর দেহে প্রবেশ করে এন্ডোটক্সিন তৈরির ফলে রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়। সংবেদনশী পশুতে সেপ্টিসেমিয়া সৃষ্টি হয়। এ রোগের লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার ২৪-৪৮ ঘন্টার মধ্যে পশু মারা যায় এবং মৃত্যুর হার অনেক বেশি হয়।

লক্ষণ

সর্ব প্রথমে জ্বর হয় (১০৪-১০৬ ডিগ্রী ফারেনহাইট)।

মাথা, গলা ও গলকম্বল ফুলে যায় অর্থাৎ ইডিমা দেখা দেয়।

মাথা ও গলা ফুলে যাওয়ায় শ্বাস কষ্ট হয় ও পশু ঘড়-ঘড় শব্দ করে নি:শ্বাস নেয় যা দূর থেকে শোনা যায়।

মুখ থেকে সামান্য লালা ঝরে ও নাক হতে সেরো পুরুলেন্ট থেকে মিউকোপুরুলেন্ট পদার্থ নির্গত হয়।

খাওয়া-দাওয়া বন্ধ হয়ে যায়।

অগভীর শ্বাস এবং কাশি হয়।

বেশিরভাগ পশুর বিভিন্ন মাত্রার পাতলা পায়খানা দেখা যায়।

তীব্র প্রকৃতির রোগে মহিষ ৮-২৪ ঘন্টার মধ্যে মারা যায়।

রোগ নির্ণয়

রোগের বৈশিষ্ট্যপূর্ণ লক্ষণ ও ইতিহাস জেনে রোগ নির্ণয় করা যায়।

আক্রান্ত পশু হতে নমুনা সংগ্রহ করে জীবাণু পৃথকীকরণ ও চিহ্নিত করে এ রোগ সহজে নির্ণয় করা যায়।

সিরোলজিক্যাল পরীক্ষা যেমন- কপ্লি¬মেন্ট ফিক্

___________ধনুষ্টঙ্কার____________প্রায় সকল গৃহপালিত পশুর একটি জীবাণু ঘটিত মারাত্মক সংক্রামক রোগ। ধনুষ্টঙ্কারে আক্রান্ত ...
22/01/2021

___________ধনুষ্টঙ্কার____________

প্রায় সকল গৃহপালিত পশুর একটি জীবাণু ঘটিত মারাত্মক সংক্রামক রোগ। ধনুষ্টঙ্কারে আক্রান্ত পশু তীব্র ব্যথায় কাতর হয়ে পড়ে। তাছাড়া টিটেনি এবং খিঁচুনী এ রোগের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য।

রোগের কারণঃ
ক্লষ্ট্রিডিয়াম টিটেনি (Clostridium tetani) নামক গ্রাম পজেটিভ ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট টক্সিন এই রোগের কারণ। এই রোগের জীবাণু মাটিতে স্পোর সৃষ্টি করে সুপ্ত অবস্থায় অনেক বছর টিকে থাকতে পারে।
রোগের লক্ষণঃ



প্রায় সব প্রজাতির পশুর এ রোগের লক্ষণ একইভাবে প্রকাশ পায়।

রোগের প্রথমদিকে দেহের বিভিন্ন অংশের মাংসপেশী শক্ত হয়ে দাঁত কপাটি লাগে। তাই একে লক-জ বলে। এই অবস্থায় পশু খাওয়া বন্ধ রাখে ও মুখ দিয়ে লালা ঝরে।

মাংসপেশী শক্ত হওয়া মাত্র পেশীর কম্পন ও খিঁচুনী দেখা দেয়। ঘাড় ও পায়ের মাংসপেশী শক্ত হবার ফলে পশু কাঠের মত দাঁড়িয়ে থাকে এবং পড়ে গেলে উঠানো যায় না।

যে কোন শব্দে পশু চমকে উঠে, মাংসপেশী অধিকতর শক্ত ও সংকুচিত হতে থাকে। গরুর পেট চাপা হয়ে পিঠের সাথে আটকে যেতে চায় ও এক পর্যায়ে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে পশুর মৃত্যু হয়।

রোগের প্রথম পর্যায়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় যা মৃত্যুর পরও অব্যাহত থাকে।

প্রতিরোধঃ
প্রাণীর প্রসব পরিচ্ছন্ন স্থানে করাতে হবে। জন্মের পর শাবকের নাভী-নাড়ীকে শক্ত করে বেঁধে দেওয়া উচিত এবং Negotox পাউডার নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগানো উচিত। গাভীর ঘায়ের চিকিৎসা না করলে সেখান থেকে অনেক সময় বাছুরের ধনুষ্টংকার হয়।

চিকিৎসাঃ

ভেটেরিনারি চিকিৎসকের পরামর্শে নিন্মলিখিত ব্যবস্থাদি গ্রহণ করা যেতে পারেঃ-

টিটেনাস বা ধনুষ্টংকার রোগের চিকিৎসা প্রদান করতে হলে কয়েকটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হয়। যেমনঃ রোগের কারণ ব্যাকটেরিয়ার বিনাশ, জীবাণু নিঃসৃত বিষ এবং কার্যকারীতা ধ্বংস ও শক্ত হয়ে যাওয়া মাংসপেশী শিথিল করা ইত্যাদি। চিকিৎসার শুরুতে যদি দেহে কোন ক্ষত পাওয়া যায়, তবে ক্ষতের মধ্যে ATS @ ১৫০০ হারে প্রতিদিন ১ বার করে ৩-৫ দিন দিয়ে ক্ষতের বিষ নষ্ট করতে হবে। এছাড়া হাইড্রোজেন-পার-অক্সাইড দিয়ে ক্ষত স্থান পরিষ্কার করতে হবে।

Penicillin Injection

Largactil Injection শিরায় ০৪ মি. গ্রাম প্রতি কেজি দৈহিক ওজনের জন্য শিরায় অথবা মাংসপেশীতে ১ মি. গ্রাম প্রতি কেজি দৈহিক ওজনের জন্য দিনে ২ বার ১০-১২ দিন।

প্রচলিত নামঃক্ষয় রোগ।রোগের কারণঃমাইবোব্যাকটেরিয়াম বভিস নামক এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া গরুর যক্ষা রোগের জন্য দায়ী। যক্ষা একটি ...
21/01/2021

প্রচলিত নামঃ
ক্ষয় রোগ।
রোগের কারণঃ
মাইবোব্যাকটেরিয়াম বভিস নামক এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া গরুর যক্ষা রোগের জন্য দায়ী। যক্ষা একটি জুনোটিক রোগ অর্থাৎ এ রোগের জীবাণু প্রাণী থেকে মানুষ এবং মানুষ থেকে প্রাণীতে সংক্রামিত হয়।
রোগের লক্ষণঃ

যক্ষা রোগে আক্রান্ত পশুর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। দিন দিন শুকিয়ে যেতে থাকে।

আক্রান্ত পশু অনিয়মিতভাবে খাদ্য গ্রহণ করে এবং নড়াচড়া কমে যায়।

দেহের তাপমাত্রার পরিবর্তন হয়।

পশু ভেদে আক্রান্তের স্থানানুযায়ী যক্ষা রোগের লক্ষণ বিভিন্ন হয়। যেমনঃ ফুসফুসে যক্ষা হলে কাশি, পরিপাকতন্ত্রে যক্ষা হলে থেমে থেমে ডায়রিয়া, কোষ্ঠ-কাঠিন্য, ওলানে যক্ষা হলে ওলান ফুলে যায় এবং অবশেষে আঠালো তরল পদার্থ নিঃসৃত হয়।

চূড়ান্ত পর্যায়ে শরীর খুব শুকিয়ে যায় এবং পশুর শ্বাস কষ্ট খুব বেশী হয়।

গাভীর ওলান আক্রান্ত হলে দুধের রং হলদে-সবুজাভ হয়।

এ রোগে আক্রান্ত পশুতে দীর্ঘমেয়াদী উদরাময় হয় এবং অন্ত্রের প্রাচীর পুরু হয়ে ঢেউ তোলা টিনের ন্যায় ভাঁজ ভাঁজ হয়ে যায়।

প্রতিরোধঃ

যক্ষা রোগাক্রান্ত পশু তাৎক্ষনিকভাবে অন্য পশু থেকে আলাদা করতে হবে।

গাভীর দৈনন্দিন পরিচর্যা স্বাস্থ্য সম্মত হতে হবে অর্থাৎ খাবার পাত্র, পানির পাত্র নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।

যক্ষা আক্রান্ত পশুর দুধ বা মাংস মানুষের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না বা একই ঘরে আক্রান্ত পশু ও মানুষ বা অন্য কোন প্রাণী বাস করতে পারবে না।

আক্রান্ত পশুর দুধ বাছুরকে খাওয়ানো যাবে না।

আক্রান্ত পশুর সর্দি, কাশি, রক্ত বা মল যাতে পরিবেশ দূষিত করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

চিকিৎসাঃ

ভেটেরিনারি চিকিৎসকের পরামর্শে নিন্মলিখিত ব্যবস্থাদি গ্রহণ করা যেতে পারেঃ-

Streptomycin (স্ট্রেপটোমাইসিন)

Penicillin Injection অথবা Gentamycin Injection

Ampicillin Injection

_______ওলান ফোলা_______প্রচলিত নামঃওলান ফুলা, ঠুনকো রোগ, থানফুলা, থানপাকা, পালান পাকা। গাভীর ওলান প্রদাহ হলে দুধের বাহ্য...
20/01/2021

_______ওলান ফোলা_______
প্রচলিত নামঃ
ওলান ফুলা, ঠুনকো রোগ, থানফুলা, থানপাকা, পালান পাকা। গাভীর ওলান প্রদাহ হলে দুধের বাহ্যিক ও রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে।

রোগের কারণঃ
গাভীর ওলান প্রদাহ বিভিন্ন প্রকার অনুজীব যেমনঃ ব্যাকটেরিয়া, মাইকোপ্লাজমা ও ছত্রাক দ্বারা হয়। সাধারণত ষ্ট্রেপটোকক্কাই, ষ্টেফাইলোকক্কাই জাতীয় গ্রাম পজেটিভ ব্যাকটেরিয়া দ্বারা হয়। তবে জটিল ক্ষেত্রে গ্রাম নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়া দ্বারাও হয় ও সহযোগী হিসেবে ই. কলাই, করাইনি ব্যাকটেরিয়াম প্রভৃতি ব্যাকটেরিয়া ম্যাসটাইটিস রোগের কারণ হতে পারে।

রোগের লক্ষণঃ

ম্যাসটাইটিস রোগে ওলান লালচে ও স্ফীতকার হয়।

গাভীর পিছনের পা দুটো ছড়ানো অবস্থায় থাকে।

ওলানে হাত দিলে গরম অনুভূত হয় এবং গাভী ওলানে হাত দিতে দেয় না।

শরীরের তাপ বৃদ্ধি পায় এবং ব্যথার কারণে গাভী শুতে পারেনা।

দুধের রঙ হলুদ পুঁজের মতো দেখায় এবং পরবর্তীতে রক্ত মিশ্রিত ও দুর্গন্ধযুক্ত দুধ নির্গত হয়।

রোগের পরিপক্ক অবস্থায় বাটগুলি শক্ত হয়ে যায় এবং দুধ বের হয় না।

এক পর্যায়ে বাটে পচন ধরে, বাট ঠান্ডা হয়ে যায় ও পঁচে খসে পড়ে।

মারাত্মক অবস্থায় পৌঁছে গেলে পশুর মৃত্যু হয়।

প্রতিরোধের উপায়ঃ

দুধ দোহনের পূর্বে দোহনকারীর হাত ও ওলান জীবাণুনাশক দিয়ে ভালভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে।

দুগ্ধবতী গাভীকে পরিস্কার, পরিচ্ছন্ন ও শুষ্ক স্থানে রাখতে হবে।

দুগ্ধবতী গাভীর ওলান যাতে আঘাতপ্রাপ্ত না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।

আক্রান্ত ওলান গরম ও ফোলা থাকলে ও ব্যথাযুক্ত হলে প্রথমে বরফ বা ঠান্ডা পানি আক্রান্ত ওলানে ঢালতে হবে।

ওলানে দুধ জমে গেলে মিল্ক সাইফন নামক যন্ত্র দিয়ে দুধ বের করে দেয়া যায়।

৩-৫ বার ওলান প্রদাহে আক্রান্ত গাভীকে খামার থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে।

দুধ দোহনের পর গাভীকে খাবার দিতে হবে। কেননা দুধ দোহনের পর হতে ২ ঘন্টা পর্যন্ত বাঁটের মুখ খোলা থাকে বিধায় অতি সহজে জীবাণু এ সময় বাঁটের মুখে প্রবেশ করে সংক্রমণ ঘটায়।

ওলান শক্ত হয়ে গেলে কর্পুর গুড়ো করে সরিষার তেলের সাথে মিশিয়ে বাটে লাগাতে হবে ।

চিকিৎসাঃ

ভেটেরিনারি চিকিৎসকের পরামর্শে নিন্মলিখিত ব্যবস্থাদি গ্রহণ করা যেতে পারেঃ-

Broad Spectrum Antibiotic Injecton

Long Acting Amoxycillin Injecton

Antihistaminic Injecton

Tofamenic Injecton

..।।।... বাদলা...।।..পরিচিত নামঃকালো রোগ, বাদলা, জহরবাত, সুজওরা, কৃষ্ণাংগ রোগ।রোগের কারণঃএক ধরনের গ্রাম পজিটিভ ব্যাকটেরি...
19/01/2021

..।।।... বাদলা...।।..
পরিচিত নামঃ
কালো রোগ, বাদলা, জহরবাত, সুজওরা, কৃষ্ণাংগ রোগ।
রোগের কারণঃ
এক ধরনের গ্রাম পজিটিভ ব্যাকটেরিয়া দ্বারা বাদলা রোগ হয়।
রোগের বর্ণনাঃ
এ রোগে আক্রান্ত হলে পশুর মাংস পেশীতে প্রদাহ হয়, গ্যাস প্রদাহ হয়, গ্যাসপূর্ণ স্ফীতি ঘটে এবং রক্তে বিষক্রিয়া দেখা দেয়। সাধারণতঃ ৬ মাস-২ বছর বয়সী হৃষ্টপুষ্ট বাছুর এ রোগে আক্রান্ত হলেও কখনও কখনও ১ মাস বয়স থেকেও এই রোগ দ্বারা পশু আক্রান্ত হতে দেখা যায়। নীচু ও জলাভূমি যুক্ত স্যাঁত স্যাঁতে স্থানে এ রোগের প্রকোপ বেশী দেখা যায়।
রোগের লক্ষণঃ

অতি তীব্র রোগের ক্ষেত্রে কোনরূপ লক্ষণ প্রকাশের পূর্বেই আক্রান্ত পশু মারা যায়।

প্রাথমিক অবস্থায় পশু নিস্তেজ হয়ে পড়ে, ক্ষুধামন্দা দেখা দেয়, কোষ্ঠ-কাঠিন্যের ফলে পেট ফেঁপে যায়, অত্যধিক জ্বর (১০৫ ডিঃ ফাঃ-১০৭ ডিঃ ফাঃ) হয় এবং হৃদস্পন্দন বেড়ে যায় (প্রতি মিনিটে ১০০ বার এর বেশী।

সাধারণতঃ শরীরের অধিক মাংসপেশী যুক্ত স্থানে যেমনঃ পশুর কাঁধ, পিছনের পা, কোমড়ের অংশ এ রোগ দ্বারা অধিক আক্রান্ত হয়। আক্রান্ত স্থান ফুলে যায়, ফোলা বাড়তে থাকে, আক্রান্ত স্থান গরম ও বেদনাদায়ক হয়।

ফোলা অংশে পঁচন শুরু হয় এবং চাপ দিলে পচ পচ শব্দ হয়। ফোলা স্থান অবশ হয়ে যায় এবং চাপ দিলে ব্যথা অনুভূত হয় না এবং অপেক্ষাকৃত কালো দেখায়।

খাওয়া ও জাবর কাটা বন্ধ হয়ে যায়।

ফোলা স্থান কাটলে টক গন্ধযুক্ত বাতাস ও ফেনাযুক্ত রস বের হয়।

ফোলা বাড়ার সাথে সাথে রোগ বাড়তে থাকে এবং এ রোগ ১-৪ দিন স্থায়ী হয়।

আক্রান্ত পশুর কোষ্ঠ কাঠিন্যের ফলে পেট ফাঁপা থাকে ও শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।

প্রতিরোধঃ

৬ মাস থেকে ২ বছর বয়সী বাছুরকে প্রাণিসম্পদ অফিসের মাধ্যমে টিকা প্রদান করতে হবে।

আক্রান্ত হওয়ার সাথে সাথে চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে হবে।

পশুর আবাসস্থল শুকনা ও পরিচ্ছন্ন হতে হবে।

মৃত পশুর দেহ মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে অথবা পুড়িয়ে ফেলতে হবে।

চিকিৎসাঃ

ভেটেরিনারি চিকিৎসকের পরামর্শে নিন্মলিখিত ব্যবস্থাদি গ্রহণ করা যেতে পারেঃ-

Penicillin Injection অথবা
Ampicillin Injection

Antihistaminic Injection.

প্রচলিত নামতড়কা, উবামড়কী, তীলাজ্বর, ধড়কা বা গলি।রোগের কারণঃব্যাসিলাস এনথ্রাসিস নামের এক প্রকার গ্রাম পজেটিভ ব্যাকটেরিয়া।...
19/01/2021

প্রচলিত নাম

তড়কা, উবামড়কী, তীলাজ্বর, ধড়কা বা গলি।
রোগের কারণঃ
ব্যাসিলাস এনথ্রাসিস নামের এক প্রকার গ্রাম পজেটিভ ব্যাকটেরিয়া।
রোগের লক্ষণঃ

তড়কা রোগে মৃত্যুহার অত্যধিক, অনেক ক্ষেত্রে লক্ষণ প্রকাশের অল্পক্ষনের মধ্যেই হঠাৎ করে মৃত্যু হতে পারে।

প্রচন্ড জ্বর হয়। জ্বরের ফলে কাঁপুনি দেখা যায় ও লোম খাড়া হয়ে যায়। তাপমাত্রা ১০৭ ডিঃ ফাঃ পর্যন্ত হতে পারে।

ক্ষুধামন্দা, পেটফাঁপা, পেটে ব্যথার কারণে লাথি মারে, রক্ত মিশ্রিত প্রস্রাব ও তরল পায়খানা হতে পারে। রোগের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে মল আলকাতরার মতো কালো ও শক্ত হয়ে যায়।

ঘাড়ের পিছনে চামড়ার নীচে তরল পদার্থ জমে ফুলে উঠে।

গর্ভবতী গাভীকে গর্ভপাত ও দুগ্ধবতী গাভীর দুধ উৎপাদন কমে যায়।

রোগের চূড়ান্ত পর্যায়ে পশু নিস্তেজ হয়ে পড়ে। শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়, মাংস পেশীতে কাঁপুনি ও খিঁচুনী দেখা দেয়। লক্ষণ প্রকাশের ১-৩ দিনের মধ্যে আক্রান্ত পশু হঠাৎ পড়ে মারা যায় এবং নাক মুখ ও মলমূত্রের ছিদ্রপথ দিয়ে রক্ত বের হতে পারে।

প্রতিরোধঃ

তড়কা রোগের জীবাণু পরিবেশে অনেকদিন পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে। স্যাঁতসেতে পরিবেশে এই জীবাণু বেশী বিস্তার লাভ করে। তাই এই রোগে মৃত পশু আগুনে পুড়িয়ে ফেলতে হবে বা ৮ ফুট গভীর গর্তে পর্যাপ্ত কলিচুন সহযোগে মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে।

আক্রান্ত পশুর প্রাকৃতিক ছিদ্রপথ গুলি দিয়ে মৃত্যুর আগে বা পরে যাতে রক্ত বের হতে না পারে সেজন্য তুলা দিয়ে ছিদ্রপথ গুলি বন্ধ করে দিতে হবে। মাটিতে আক্রান্ত পশুর রক্ত পড়ে থাকলে রক্তশুদ্ধ মাটি পুড়িয়ে ফেলতে হবে অথবা গভীর গর্ত করে মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে।

এই রোগে আক্রান্ত মৃত পশু কাঁটা-ছেড়া করা উচিত নয়। ময়না তদন্ত করার প্রয়োজন হলে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। মনে রাখতে হবে এনথ্রাক্স রোগের জীবাণু দ্বারা মানুষও আক্রান্ত হয়।

পশুজাত দ্রব্য অর্থাৎ মিট বা বোনমিল থেকেও জীবাণু ছড়াতে পারে বলে আক্রান্ত পশুর উপজাত থেকে মিট বা বোনমিল তৈরী করা উচিত নয়।

এই রোগে আক্রান্ত হলে আশেপাশের সমস্ত পশুকে সঙ্গে সঙ্গে পৃথক করা উচিত এবং আপাতঃ সুস্থ পশুকে এনথ্রাক্স রোগের টিকা প্রদান করা উচিত।

Spore সৃষ্টির পূর্বেই মৃত পশুর গোয়াল ঘরকে গরম পানিতে ১০% কাপড় কাঁচার সোডা দিয়ে ধুলে জীবাণুর মৃত্যু ঘটে।

চিকিৎসাঃ

ভেটেরিনারি চিকিৎসকের পরামর্শে নিন্মলিখিত ব্যবস্থাদি গ্রহণ করা যেতে পারেঃ-

Penicillin Injection
অথবা Gentamycin Injection ও Amp

..।।।... জলাতংক...।।..জলাতংক মানুষসহ সকল গবাদিপশুর ভাইরাসজনিত একটি মারত্মক রোগ। আক্রান্ত পশুর লালাতে এ রোগজীবাণু থাকে এব...
14/01/2021

..।।।... জলাতংক...।।..

জলাতংক মানুষসহ সকল গবাদিপশুর ভাইরাসজনিত একটি মারত্মক রোগ। আক্রান্ত পশুর লালাতে এ রোগজীবাণু থাকে এবং আক্রান্ত পশুর কামড়ে সুস্থ পশু বা মানুষ এ রোগ জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হয়। লক্ষণ দেখা দিলে বুঝতে হবে মৃত্যুই এ রোগের নিশ্চিত পরিনতি। শিয়াল ও বাঁদুর এ রোগজীবাণুর বাহক এবং প্রধানতঃ কুকুর আক্রান্ত প্রাণী
।লক্ষণঃপশু কান সজাগ ও চোখ বড় করে রাখে। মুখ দিয়ে প্রচুর লালা ঝরে। পানি পিপাসা হয়, তবে পান করতে পারে না। ভীষণভাবে অশান্ত হয়ে উঠে। শক্ত রশি ছাড়া আটকে রাখা যায় না। সামনে যা পায় তা’ই কামড়ানোর চেষ্টা করে। আক্রান্ত পশু পরিশেষে নিস্তেজ ও অবশ হয়ে মারা যায়।
করণীয়ঃআক্রান্ত পশুকে মেরে মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে। বেওয়ারিশ কুকুর নিধন করতে হবে। গৃহপালিত কুকুরকে নিয়মিত প্রতিষেধক টিকা প্রদান করতে হবে। চিকিৎসা অর্থহীন এবং কোন অবস্থায়ই ঔষধ খাওয়ানোর জন্য পশুর মুখে হাত দেয়া যাবে না।প্রতিশেধকঃপোষা কুকুর / বিড়ালকে নিয়মিত প্রতিশেধক টিকা দিতে হবে। টিকা দেয়া হয়নি এমন পশুর কামড়ে মানুষ / পশু আক্রানত্ম হলে অনতিবিলম্বে নির্ধারিত মাত্রায় প্রতিশেধক টিকা দিতে হবে।

ছাগলের খাদ্য তালিকা
12/01/2021

ছাগলের খাদ্য তালিকা

চলুন জেনে নেওয়া যাক গবাদি পশুর রক্ত আমাশয় রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে-প্রচলিত নামঃককসিডিওসিস বা রক্ত আমাশয়।রোগের কার...
05/01/2021

চলুন জেনে নেওয়া যাক গবাদি পশুর রক্ত আমাশয় রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে-

প্রচলিত নামঃ
ককসিডিওসিস বা রক্ত আমাশয়।
রোগের কারণঃ
আইমেরিয়া গনভূক্ত বিভিন্ন প্রজাতির প্রোটোজোয়া গরু মহিষসহ অন্যান্য গৃহপালিত পশুর রক্ত আমাশয় রোগের জন্য দায়ী।
রোগের লক্ষণঃ
১. প্রাথমিক অবস্থায় দুর্গন্ধযুক্ত ও মিউকাস মিশ্রিত ডায়রিয়া হয়। ফলশ্রুতিতে ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়। এ সময় মৃদুজ্বর হয় ও ধীরে ধীরে তাপমাত্রা স্বাভাবিক হয়। কয়েকদিন পর পায়খানার সাথে রক্তের ছিটা ও আম যায়। রোগ পুরাতন হলে পায়খানায় রক্ত ও আম বাড়তে থাকে।
২. লেজের গোড়ায় রক্ত মিশ্রিত মল লেগে থাকে।
৩. তীব্র কোৎ দেয়ার ফলে অন্ত্র বেরিয়ে আসে এবং অনেক সময় বৃহাদান্ত্র শরীরের বাইরে বের হয়ে আসে।
৪. তীব্র রোগে পেশীর কম্পন ও খিঁচুনি হয়।
৫. পশুর মল অনুবীক্ষণ যন্ত্র দ্বারা পরীক্ষা করলে আইমেরিয়ার উসিস্ট পাওয়া যায়।

প্রতিরোধঃ
১. স্বাস্থ্যসম্মত বিধি ব্যবস্থা পালন করতে হবে।
২. বাচ্চা প্রসব ও লালন-পালনের স্থান শুষ্ক ও পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
৩. বাচ্চা পালনের ঘরে যথাযথ স্থান সংকুলানের ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. পশুর খাদ্য ও পানীয় মলের সাথে লেগে যেন কোন ভাবেই দূষিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৫. ঠাসাঠাসিভাবে পালন পরিহার করা উচিত।

চিকিৎসাঃ
ভেটেরিনারি চিকিৎসকের পরামর্শে তীব্র প্রকৃতির রোগে উপসর্গ অনুযায়ী নীচের যে কোন ১টি দ্বারা চিকিৎসা করা যায়-
১. Sulphadiazin & Trimethoprim অথবা Triplesulpha & Stroptomycin অথবা Oxytetracyclin Injection এর সাথে Metronidazole ব্যবহার করে ভাল ফল পাওয়া যায়।

Address

Maulvi Bazar

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Livestock Assistance Patrakhola Tea Estate' Kamolganj,Moulvibazar posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Livestock Assistance Patrakhola Tea Estate' Kamolganj,Moulvibazar:

Share