Noor Aviary

Noor Aviary নূর এ্যাভেয়ারী উৎকৃষ্টমানের পাখি উৎপাদন ও বিতরণের একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।

12/03/2022
02/02/2022

স্নো হোয়াইট ফিঞ্চ

পাখিদের ভিটামিন ডি এর প্রয়োজনীয়তা এবং অতিরিক্ত ভিটামিন ডি এর ক্ষতিকারক দিক সমূহ:-ভিটামিন ডি মানুষের জন্য যেমন প্রয়োজন...
15/01/2022

পাখিদের ভিটামিন ডি এর প্রয়োজনীয়তা এবং অতিরিক্ত ভিটামিন ডি এর ক্ষতিকারক দিক সমূহ:-

ভিটামিন ডি মানুষের জন্য যেমন প্রয়োজন তেমনি পাখির জন্যও প্রয়োজন। পাখিকে সুস্থ রাখতে ভিটামিন ডি এর গুরুত্ব অনেক। এর অভাবে অনেক ধরনের সমস্যা হয়। আবার অতিরিক্ত ভিটামিন ডি পাখির বিপদ ডেকে আনে।
চুলুন আজ জানা যাক পাখির জন্য ভিটামিন ডি এর অভাবে কি কি রোগ হয়, আবার অতিরিক্ত ভিটামিন ডি খেলে কি কি সমস্যা হতে পারে।

ভিটামিন ডি এর অভাবে পাখিদের যেসব শারীরিক সমস্যা হতে পারে:
ভিটামিন ডি এর অভাবে পাখির বাচ্চার হাড় বাঁকা হয়ে যাওয়া বা হাড় নরম হয়ে যাওয়া, স্পিলেড লেগ বা পাঁ চড়ানো রোগ হওয়া, এডাল্ট পাখির হাড় ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যাওয়া, এগ বাইন্ডিং বা ডিম আটকে যাওয়া, পাতলা খোসার ডিম পাড়া,

পা প্যারালাইসিস হয়ে যাওয়া, ডানা অবশ হয়ে যাওয়া, টিউমার সহ পাখির অভ্যন্তরীন জটিলতা দেখা দেয়া এবং পাখির ডিম বাচ্চা উৎপাদন কমে যাওয়া সহ অনেক রকম রোগ হয় এই ভিটামিন ডি এর অভাবে।

ভিটামিন ডি এর জন্য পাখিকে যা যা দেয়া যেতে পারে:

১। প্রতিদিন সকালে সূর্যের আলো পাখির গায়ে লাগলে পাখির শরীরে ভিটামিন ডি সরবরাহ হয়।

২। কমলার জুস: কমলার জুসে ভিটামিন ডি রয়েছে। পাখি সপ্তাহে ১দিন হলেও কমলার জুস দিতে হবে।

৩। ডিমের কুসম: ডিমের কুসুমে ভিটামিন ডি রয়েছে বিধায় পাখিকে সপ্তাহে ১দিন ডিমের কুসুম দিতে হবে। শীতকালে দুই তিনবার দেয়া যেতে পারে। তবে মুরগীর ডিমে কোলেস্টেরল বেশি তাই পাখিকে মুরগীর ডিমের কুসুম না দিয়ে কোয়েল পাখির ডিমের কুসুম দিলে পাখির জন্য ভালো হবে।

৪। কড লিভার ওয়েল: এডাল্ট পাখিকে ব্রিডিং এ দেয়ার আগে বা নিয়ম মত কড লিভার দিতে হবে। কড লিভারে ভিটামিন ডি রয়েছে।

৫।সবুজ শাক পাতা:- শাক সবজির সবুজ পাতাতে ভিটামিন ডি রয়েছে। তাই ভিটামিন ডি সহ যেকোনো ভিটামিনের যোগান পেতে পাখিকে শাক সবজির সবুজ পাতা খাওয়াতে হবে।

৬।ক্যাটল ফিশ বোন:- ক্যাটল ফিশ বোন ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস। ভিটামিন ডি এর জন্য পাখিকে ক্যাটল ফিশ বোন দিতে হবে।

৭। ঝিনুকের খোসা:- ঝিনুকের খোসাও ভিটামিন ডি এর ভালো ভালো উৎস। পাখির ডায়েটে ভিটামিন ডি এর যোগান দিতে ঝিনুকের খোসা গুঁড়া করে পাখিকে দেয়া যায়।

ডিমের খোসা:- ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়ামের জন্য অন্যতম সেরা উৎস ডিমের খোসা। ক্যাটল ফিশ , ঝিনুকের খোসা থেকেও ডিমের খোসাতে ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম বেশি থাকে। পাখির ভিটামিন ডি এর অভাব দূর করতে ডিমের খোসা গুঁড়া করে গ্রীট হিসেবে পাখিকে দিতে হবে।
ক্যাটল ফিশ, ঝিনুকের খোসা, ডিমের খোসা এক সাথে গুঁড়া করে মিক্স করে দিতে হবে।

৮। AD3: পাখি শারীরিক ভাবে দুর্বল হলে কিংবা ডায়েটের মাধ্যেমে ভিটামিন ডি এর যোগান দিতে না পারলে ব্রিডিং কোর্স করানোর আগে অন্য সব ভিটামিন ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি AD3 টাও দেয়া যেতে পারে। এতে করে পাখির ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণ হবে সেই সাথে ডিম ও ফার্টাইল হবে।
তবে এক্সট্রা সাপ্লিমেন্ট বেশি দেয়া উচিত না। আর ব্রিডিং এর জন্য প্রতিবার সাপ্লিমেন্ট দিতে হবে এমন কথা নেই। পর্যাপ্ত ডায়েট, রেস্ট দিয়ে পাখিকে ব্রীড করালে সাপ্লিমেন্ট এর তেমন দরকার হয় না।

এখন জানা যাক অতিরিক্ত ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট দিলে কি কি ক্ষতি হয় পাখির।

এভিয়ান ভিটামিন ডি টক্সিকোসিস:-

ভিটামিন ডি পাখিকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।
এমনই একটি পুষ্টি উপাদান ভিটামিন ডি যা পাখির জন্য খুবই উপকারী।

তবে যদি ভিটামিন ডি শরীরে অতিরিক্ত পাওয়া যায়, তবে এর ফলে ভিটামিন ডি টক্সিকোসিস হতে পারে।
ভিটামিন ডিও শরীরে ক্যালসিয়ামে রূপান্তরিত হয়।
অতএব, যদি একটি পাখি প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি পায়, তবে রক্তে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যাবে।
ভিটামিন ডি আপনার পাখিকে সুস্থ রাখতে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের সাথে একসাথে কাজ করে।
যদিও, তাদের প্রয়োজনীয় অনুপাতের ভারসাম্যহীনতার কারণে পাখি বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় ভুগতে পারে।
তবে প্যারোট জাতের মধ্যে ভিটামিন ডি টক্সিকোসিসের প্রবণতা বেশি, বিশেষ করে ম্যাকাও।

লক্ষণ এবং প্রকার:-

ভিটামিন ডি টক্সিকোসিস দ্বারা সৃষ্ট একটি প্রধান সমস্যা হল কিডনির ক্ষতি।
এটি ঘটে কারণ ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম কিডনিতে জমা হয়, যা অঙ্গটিকে স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে বাধা দেয়।
কিডনির ক্ষতি থেকে সৃষ্ট এমনই একটি কিডনি রোগ হল গাউট।

প্রতিরোধ:-

ভিটামিন ডি টক্সিকোসিস প্রতিরোধ করা যেতে পারে সতর্কতার সাথে পাখির খাদ্য নির্বাচন করে এবং অতিরিক্ত ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট বাদ দিয়ে।
পাখির ডায়েটে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি এবং ফসফরাস ভারসাম্য বজায় রাখা ভিটামিন ডি টক্সিকোসিস প্রতিরোধে সহায়তা করবে।

কার্টেসি:- fk fahim

আলহামদুলিল্লাহ!!!নতুন বছরে নতুন অতিথিদের আগমন শুরু হয়েছে।ভালো বীজ ও সারে যে ভালো ফলাফল পাওয়া যায় তার উৎকৃষ্ট একটা উদা...
08/01/2022

আলহামদুলিল্লাহ!!!
নতুন বছরে নতুন অতিথিদের আগমন শুরু হয়েছে।
ভালো বীজ ও সারে যে ভালো ফলাফল পাওয়া যায় তার উৎকৃষ্ট একটা উদাহরণ পেলাম।
💕❤️🥰

টেম সাইজ বেবি 🥰💕❤️লোকেশন: নওগাঁ সদরআগ্রহী ইনবক্সে যোগাযোগ করুন 🤙
08/12/2021

টেম সাইজ বেবি 🥰💕❤️
লোকেশন: নওগাঁ সদর
আগ্রহী ইনবক্সে যোগাযোগ করুন 🤙

Winter Special Budgerigar Soft Vegetable Egg Food 🐥🥰
29/11/2021

Winter Special Budgerigar Soft Vegetable Egg Food 🐥🥰

Types of 2B Finches
25/11/2021

Types of 2B Finches

নামের পাশে নতুন/ছোট ব্রীডার থাকায় পাখাল সমাজে তেমন কোন দাম নেই কিন্তু ছোট ব্রীডার বলে কি পাখির প্রতি ভালোবাসার কোন কমতি...
04/10/2021

নামের পাশে নতুন/ছোট ব্রীডার থাকায় পাখাল সমাজে তেমন কোন দাম নেই কিন্তু ছোট ব্রীডার বলে কি পাখির প্রতি ভালোবাসার কোন কমতি আছে 🥰💕❤️।
ঠান্ডা সকালের এগফুড রেসিপি 🐥🕊️

আলহামদুলিল্লাহ!!!ঘরের নাতিপুতি 🥰💕❤️
15/09/2021

আলহামদুলিল্লাহ!!!
ঘরের নাতিপুতি 🥰💕❤️

গরীবের এগফুড তৈরী!!!✓ সেদ্ধ ডিম✓ ডিমের খোসা চূর্ণ✓ হ্যান্ড ফিডিং ফর্মুলা✓ চিড়া ও ডালের গুঁড়ো✓ পুদিনা পাতা✓ তুলসী পাতা✓...
13/09/2021

গরীবের এগফুড তৈরী!!!
✓ সেদ্ধ ডিম
✓ ডিমের খোসা চূর্ণ
✓ হ্যান্ড ফিডিং ফর্মুলা
✓ চিড়া ও ডালের গুঁড়ো
✓ পুদিনা পাতা
✓ তুলসী পাতা
✓ কনফ্লাওয়ার
✓ সজনে পাতার গুড়া

আলহামদুলিল্লাহ 🥰💕❤️পরিবারের নতুন সদস্য 🕊️
04/09/2021

আলহামদুলিল্লাহ 🥰💕❤️
পরিবারের নতুন সদস্য 🕊️

পাখি কেনার সময় কিছু কাজ করা থেকে বিরত থাকবেন।🔸কখনো অযাচিত দাম বলবেন না। লাইক আপনিও জানেন, ব্রিডারও জানে পাখির দাম ৪০০০ হ...
27/08/2021

পাখি কেনার সময় কিছু কাজ করা থেকে বিরত থাকবেন।

🔸কখনো অযাচিত দাম বলবেন না। লাইক আপনিও জানেন, ব্রিডারও জানে পাখির দাম ৪০০০ হওয়া উচিত। এখন ব্রিডার চাইলো ৪৫০০ আর আপনি বলে বসলেন ২০০০/২৫০০। এসব করলে প্রথমেই ভালো ব্রিডাররা রিপ্লে দেয়া বন্ধ করে দেয়।

🔹পাখির দাম ব্রিডার টু ব্রিডার ভ্যারি করে। সেইম পাখি বাচ্চা একজনের কাছে ৩০০০ আবার আরেকজন ১৮০০-২০০০ এ সেল দিচ্ছে। এর কারণও থাকে। দেখা যায় ৩০০০ পিসে যিনি সেল দিচ্ছেন তিনি খাওয়ায় সব ইমপোর্টেড ফুড, আর ১৮০০-২০০০ এ যিনি সেল দেন তিনি খাওয়ায় দেশি খাবার। সুতরাং আপনারাই বলেন কার পাখির কোয়ালিটি ভালো হবে?

🔸হ্যান্ডফিড করাতে না পারলে বাচ্চা কিনবেন না। কারণ বেশিরভাগ সময়ই হ্যান্ডফিড করাতে না পারলে বাচ্চা মারা যায়।

🔹 অনেকে কেনা পাখি সেল করে দেয়। সে পাখি কত দিয়ে কিনেছেন তা জিজ্ঞেস করাটা খুবই অযাচিত একটা কথা। আপনি তার কাছ থেকে পাখি কিনবেন, এখানে আপনার কেন জানার প্রয়োজন যে সে কত দিয়ে কিনেছে?

🔸 পাখির ডিম বাচ্চার গ্যারান্টি চাওয়া। কিন্তু কোন কিছুর গ্যারান্টি দেয়ার মালিক একমাত্র আল্লাহ। আপনি সর্বোচ্চ ব্রিডিং প্রুফ অর্থাৎ বাচ্চা সহ পাখি ছবি/ভিডিও দেখে কিনতে পারেন। এখন বাসায় আনার পর ব্রিড করানোর দায়িত্ব তো আপনার।

🔹 "আমি সেইম পাখি ৮০০ দিয়ে কিনসি, আপনার যদি এ দামে দিতে পারেন তবে জানাবেন।" এ জিনিসটা মনে হয় সবচেয়ে বিরক্তিকর একটা লাইন প্রতিটা সেলারের কাছে। আরে ভাই আপনি কোথা থেকে কি কত দিয়ে কিনসেন সেটা তো আপনার মেটার৷ তা আরেকজনকে বলার কি দরকার? দামে না পোষলে কেটে পড়ুন। এসব করেন দেখে ভালো কোন ব্রিডারের সাথে সম্পর্ক রাখতে পারেন না।

🔸 পাখি বুক করেও না নেওয়া। এটা মনে হয় প্রায় সবাই ই ফেস করেছেন। আজিব একটা সমস্যা। পাখি বুক করবে আর বিক্রেতাকে বলে দিবে সবাইকে না করে দিতে। তারপর নেয়ার দিন সে হাওয়া। কোন খোঁজ নাই, ভুলে যায়। শেষে দেখা যায় পাখি নেয় না। উটকো এক ঝামেলা। পরে আবার পোস্ট দেয়া লাগে। এসব করা থেকে একদমই বিরত থাকুন। পাখি নিতে চাইলে আগে নিজে নিজে ১০ বার ভাবুন। দরকার পরলে কারো সাথে কথা বলে শিওর হয়ে তারপর কনফার্ম করুন। না হলে বাদ দেন। পাখি কনফার্ম করে না নেয়া একটা বেয়াদবি।

🔹পোস্ট পুরোপুরি না পড়েই ইনবক্সে নক দিবেন না। অনেক সময় অনেক কথা পোস্টে সেলার লিখে দেয়। তা না দেখেই সেইম কথা যখন আবার পোস্ট বলা হয় তখন জিনিসটা ভালো দেখায় না।

🔸হোম ডেলিভারি সবাই দেয় না। এবং অনেকে আগে থেকে বলে দেয়, হোম ডেলিভারি সম্ভব না। তারপরও কিছু মানুষ শেষে একটা কথা লাগিয়ে দেয়, হোম ডেলিভারি দিতে হবে।

🔹 সবশেষে পোস্ট দেখলেই প্রাইস প্রাইস বলে কমেন্ট সেকশন ভরিয়ে ফেলা। ফেসবুকে নিয়ম অনুযায়ী পশু পাখি কেনা বেচা করা নিষেধ। তারপরও কিছু মানুষ বার বার প্রাইস/Pp/Price বিভিন্ন শব্দ ব্যবহার করে বিধায় কিছুদিন পর পর দেখা যায় গ্রুপ ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ডিজেবল করে দিয়েছে। তাই পোস্ট দেখলে ডাইরেক্ট বিক্রেতাকে ইনবক্সে নক দেয়াটা একটা ভদ্রতা। বিক্রেতা না দেখলে কমেন্ট জানিয়ে দিন ইনবক্স চেক করতে। বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, ফোন নম্বর এবং ইনবক্সে যোগাযোগ করার ওয়ে থাকা সত্তেও যারা কমেন্টে প্রাইস প্রাইস করে, এরা কখনোই পাখি নেয় না কিংবা নিতে পারে না। কারণ নেয়ার আগ্রহ থাকলে ঠিকই ফোন দিতো অথবা ইনবক্সে যোগাযোগ করে বিস্তারিত জেনে নিতো।

পাখি নিতে হলে সব সময় এ কাজগুলে করা থেকে বিরত থাকবেন। কোন প্রশ্ন থাকলে ভদ্রভাবে জানতে চাইবেন। কোন বাজে কথা বলবেন না। তাহলে দেখবেন ভালো রেসপন্স পাবেন।

লেখক Kazi Saad ভাই

26/08/2021

Common internal parasites:(মূলত কৃমি)অন্তঃপরজীবী প্রতিবছরই খামারির অবর্ননীয় ক্ষতি সাধন করে থাকে।এটা হয় আমাদের অজ্ঞতা বা ...
22/08/2021

Common internal parasites:
(মূলত কৃমি)

অন্তঃপরজীবী প্রতিবছরই খামারির অবর্ননীয় ক্ষতি সাধন করে থাকে।এটা হয় আমাদের অজ্ঞতা বা অসচেতনতার জন্য।আমরা মনে করি রসুন পানি বা নিম পানি খাওয়ালে পাখির কৃমিগুলো নির্মুল হয়ে যায়।আসলেই কি তা হয়?
আজ আমি অন্তঃপরজীবীর ভিতর কৃমি নিয়ে হালকা তবে ইফেক্টিভ আলোচনা করব।

কৃমিকে প্রধানতঃ দুই ভাগে ভাগ করা যায়ঃ
১.গোল কৃমি(roundworm)
২.ফিতা কৃমি(tapeworm)
এদেরকে পাখির দেহে বসবসা ও বংশবৃদ্ধির স্থান ভেদে আবার কয়েক ভাগে ভাগ করা হয়ঃ
ক.সিকাম কৃমি(caecal worm)
খ.Gape worm
গ.Proventricular worm
ঘ.Gizzard worm
ঙ.The thread worm

এগুলো পাখি খাবার গ্রহন নালী থেকে শুরু করে পুপস করা পর্যন্ত যত নালী ও পরিপাকতন্ত্র আছে সে সব যায়গায় অবস্থান ও বংশবৃদ্ধি করে শ্বাসতন্ত্র, লিভারে ক্ষতি সাধন করে।এছাড়াও পাখির পুষ্টি ও রক্ত শোষণ করে বেঁচে থাকে বলেই এরা পরজীবী।
এই পরজীবী গুলো বিভিন্নভাবে মূলত খাবার ও দূষিত পানির মাধ্যমে পাখির অন্ত্রে প্রবেশ করে লার্ভা বা ডিম আকারে।তারপর তাদের কার্যক্রম শুরু করে।এগুলো এতোই শক্তিশালী যে এদের নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী পদক্ষেপ না নিলে পাখালির বা খামারির স্বপ্ন ভঙ্গ হবে নিশ্চিত 😞😞

এখন প্রশ্ন হল,কিভাবে বুঝবো পাখির কৃমি হয়েছে?

আমি এটার উত্তর দিতে পারি তবে দিবনা,কারণ প্রথমত পুপস ল্যাবটেস্ট করলে ১০০% শিওর হওয়া যায়।এটা আমাদের মনেহয় কারোরই করা সম্ভব নয়।আবার পুপস,পালক,তাদের খাদ্য গ্রহনের হার ও স্বাস্থ্য দেখেও বোঝা যায়।তবে আমি অত জটিলতায় না গিয়ে বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও আবহাওয়ার কথা বিবেচনা করে ১০০% নিশ্চিত হয়ে ধরে নিচ্ছি আমাদের পাখির কৃমি হয়।তাই এখন এটা হতে প্রতিকারের পদক্ষেপ নিয়ে বলতে যাচ্ছি 🤗🤗

প্রতিকারঃ
১.লিভামিজল গ্রুপের ঔ*ষ*ধটা সব কৃমিতেই কার্যকর প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে,আর এটা আমাদের দেশে সহজেই পাওয়া যায়।আমরা একটা কমন নাম "এভিনেক্স " ঔষধ সম্পর্কে জানি।এটাই লিভামিজল গ্রুপের ঔ*ষ*ধ।
২.পাইপারজিন গ্রুপের ঔ*ষ*ধ
৩.আইভারম্যাকটিন গ্রুপের ঔ*ষ*ধ। এই ঔ*ষ*ধটা কিছু কৃমিতে ভালো কাজ করে।এটাও আমরা চিনি "এসিম্যাক" নামে।

আমি পাখিকে নিয়মিত কৃমিনাশক খাওয়াই।এতে পাখি বিভিন্ন আন্ত্রিক আলসার হতে রক্ষা পায় ও কৃমির ক্ষতিকারক দিক হতে রক্ষা পায়।এছাড়া প্রতিদিন বিশুদ্ধ পানি ও পরিস্কার খাবার দেই।সব সময় বিভিন্ন জৈব নিরাপত্তা গ্রহন সম্ভব হয়না বলেই আমি নির্দিষ্ট কিছু মে*ডি*সিন ব্যবহারের পক্ষে ☺☺

যারা পাখি পালি তারা কম বেশি এটা নিয়ে জানি।এই কৃমি ১০০% প্রতিকার করা সম্ভব না তবে নিয়ন্ত্রণে কিছু মে*ডি*সিন দেয়া যেতে পারে।গতকাল লাইভের সারমর্ম হিসেবে বছরে চার বার কি বা কোনটা ব্যবহার করবেন তার একটা চার্ট বা দিক নির্দেশনা নিচে দিয়ে দিচ্ছি....

জানুয়ারি (১ম সপ্তাহে যেকোন ১দিন) এভিনেক্স (লিভামিজল হাইড্রোক্লোরাইড) ১গ্রাম/লি সকালে ঔ*ষ*ধ মিশ্রিত পানি দিয়ে ২ঘন্টা রাখবেন,পরে ফ্রেস পানি

এপ্রিল (১ম সপ্তাহে যেকোন ১দিন) এসিমেক ১% (আইভারমেকটিন) ১.৫মিলি/লি সকালে ঔ*ষ*ধ মিশ্রিত পানি দিয়ে ২ঘন্টা রাখবেন,পরে ফ্রেস পানি (ফিন্সে ১মিলি/লি)

জুলাই (১ম সপ্তাহে যেকোন ১দিন) পেরাভিট (পাইপারজিন সাইট্রেট) ১গ্রাম/লি সকালে ঔ*ষ*ধ মিশ্রিত পানি দিয়ে ২ঘন্টা রাখবেন,পরে ফ্রেস পানি

অক্টোবর (১ম সপ্তাহে যেকোন ১দিন) এসিমেক ১% (আইভারমেকটিন) ১.৫মিলি/লি সকালে ঔ*ষ*ধ মিশ্রিত পানি দিয়ে ২ঘন্টা রাখবেন,পরে ফ্রেস পানি (ফিন্সে ১মিলি/লি)

কৃমি নাশক(একদিন) ব্যবহারের পর লিভারটনিক ৩দিন ও তারপর প্রয়োজনে আলসার রোধে এন্টিবায়োটিক দেয়া যেতে পারে।

বেবিকে ৬০দিনের আগে কৃমি নাশক না দেয়াই ভালো। এমন সময় নিম পাতা সরসরি দেয়াই ভালো, যাদের এটা প্রাপ্তিতে সমস্যা তার নিম পাতা গুড়ো সফটফুডে মিশিয়ে দিলে কৃমি প্রতিরোধে কিছু ভূমিকা রাখবে।

মৃধা মোঃ মাহমুদুজ্জামান (রোমেল)
মৃধা কেজ বার্ড কেয়ার
বিসিক এড়িয়া,বগুড়া

পাখির সফট ফুডের উপকরণ 🕊️🥰💕
20/08/2021

পাখির সফট ফুডের উপকরণ 🕊️🥰💕

লাভ বার্ডের মেল ফিমেল আলাদা করার নিয়ম 🕊️
20/08/2021

লাভ বার্ডের মেল ফিমেল আলাদা করার নিয়ম 🕊️

18/08/2021

সকালের খানাপিনা 🍽️ 🥰💕❤️

ফুল এ্যাডাল ফিঞ্চ ও রানিং বাজারিগার পেয়ার হাতবদল হবে।√√ লোকেশন: নওগাঁ সদর√√ আগ্রহীরা ইনবক্সে যোগাযোগ করুন।
16/08/2021

ফুল এ্যাডাল ফিঞ্চ ও রানিং বাজারিগার পেয়ার হাতবদল হবে।
√√ লোকেশন: নওগাঁ সদর
√√ আগ্রহীরা ইনবক্সে যোগাযোগ করুন।

Male vs Female?
14/08/2021

Male vs Female?

14/08/2021

অসাধারণ ❤️💕🥰

Diamond Firetail Finch (ডায়মন্ড ফায়ারটেইল ফিঞ্চ)বৈজ্ঞানিক নাম: Stagonopleura guttata.অন্যান্য নাম: Diamond Sparrow, Spot...
10/08/2021

Diamond Firetail Finch (ডায়মন্ড ফায়ারটেইল ফিঞ্চ)

বৈজ্ঞানিক নাম: Stagonopleura guttata.

অন্যান্য নাম: Diamond Sparrow, Spotted Finch, Diamond Finch ইত্যাদি।

আদিবাস: অস্ট্রেলিয়া, বিশেষ করে কেন্দ্রীয় পূর্ব এবং দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চল। এদের টকটকে লাল লেজ এবং রাম্প থেকেই নাম হয়েছে ফায়ারটেল।

শারীরিক বৈশিষ্ট্য : ডায়মন্ড ফিঞ্চ লম্বায় সাড়ে চার থেকে পাঁচ ইঞ্চির মত হয়। প্রাপ্তবয়স্ক পাখির ওজন ১৭ থেকে ২০ গ্রাম। পিঠটা গাঢ় ধূসর বাদামী রং এর। গলা এবং পেট সাদা। বুক থেকে একটা চওড়া কালো ব্যান্ড সাদা রং এর ফোটা ফোটা সহ নেমে গিয়েছে রাম্প পর্যন্ত। রাম্প, লেজ, ঠোঁট এবং চোখের রিং টকটকে লাল।

জাত বা মিউটেশন : ডায়মন্ড ফিঞ্চের প্রাপ্ত মিউটেশন গুল হলো নরমাল গ্রে, ফন, সিলভার, পাইড, ইজাবেল, প্যাস্টেল ইত্যাদি। এছাড়া একটি মিউটেশন আছে যাদের ঠোঁট, চোখের রিং এবং রাম্প (পিঠ এবং লেজের মধ্যবর্তী অংশটা) হলুদ রং এর হয় সেগুলোকে বলা হয় ইয়েলো বা অরেন্জ ডায়মন্ড ফায়ারটেইল।

আচার-আচরণ : ডায়মন্ড ফায়ারটেইল বেশ মেজাজি একটি পাখি। মেজাজ কখন খারাপ থাকে কখন ভাল বোঝা দায়। অন্যান্য ফিঞ্চের দিকে অনেক এ্যাগ্রেসিভ থাকে, বিশেষ করে ব্রিডিং সিজনে। গান গাওয়ার সক্ষমতা অন্যান্য ফিঞ্চের তুলনায় তেমন ভাল না হলেও এমনিতে অন্যান্যদের মতই খুবই চটপটে একটি পাখি। পার্টনারের ব্যাপারে এরা খুবই লয়্যাল। সারাজীবন একজন সঙ্গীর সাথেই কাটিয়ে দেয়।

বয়স নির্ধারণ : সামনাসামনি দেখলেই মোটামুটি ধারণা করা যায়। কম বয়ষ্ক পাখির শরীরের রং বিশেষ করে ডানার নিচের ফোটা ফোটা গুলো বয়ষ্ক পাখির তুলনায় অনেক অনুজ্জ্বল থাকে, ঠোঁট টা লালের বদলে কালো বা গাঢ় ধূসর রং এর হয়। ঠোটের দুই পাশে দুইটা সাদা দাগ থাকে। চোখের রিং অনুপস্থিত, রাম্পও থাকে অনুজ্জল। এক থেকে দেড় মাস বয়সে প্রথম মোল্টিং শুরু হয় এবং ৪ থেকে ৬ মাসের মধ্যেই প্রাপ্তবয়স্ক পাখির রূপ ধারণ করে।

লিঙ্গ শনাক্তকরণ : এটি একটি জটিল প্রক্রিয়া ডায়মন্ড ফিঞ্চের ক্ষেত্রে তবে নিচের বিষয়গুলো লক্ষ্য করলে মোটামুটি একটা ধারণা পাওয়া যাবে :
- বুকের কালো অংশটা মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের মোটা হবে।
- চোখের মণির চারপাশের লাল রিংটা ফিমেলের তুলনায় মেল এর একটু মোটা এবং গাঢ় লাল হবে।
- ছেলে পাখির ঠোঁট এবং রাম্প মেয়ে পাখি অপেক্ষা অধিক গাঢ় লাল হবে।
- ছেলেদের মুখে মেয়েদের তুলনায় সাদা রং বেশি থাকবে। মেয়েদের ক্ষেত্রে ছেলেদের তুলনায় মুখে ধূসর রং বেশি থাকবে।
- চোখ এবং ঠোঁটের মধ্যবর্তী কালো অংশটা ছেলে পাখির তুলনায় মেয়ে পাখির ক্ষেত্রে একটু হালকা থাকবে।
- ছেলে পাখি শিষ দেয় এবং কোর্টসিপ ড্যান্স করে, মেয়ে পাখি দুটোর কোনোটাই পারেনা।

খাবার : সীডমিক্স, বিশেষ করে মিলেট, বিভিন্ন ধরণের শাক, পাঁকা ফল, অঙ্কুরীত বীজ, মিলওয়ার্ম ইত্যাদি এদের প্রিয় খাদ্য। ডায়েট সেকশনে খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত দেয়া আছে।

খাঁচা : ডায়মন্ড ফায়ারটেল সাইজে অন্যান্য ফিঞ্চের তুলনায় কিছুটা বড় বিধায় খাঁচা অবশ্যই যথেষ্ট বড় হতে হবে। অন্তত ১৮"১৮"১৮ ইঞ্চি, দৈর্ঘ্যে ২৪ ইঞ্চি হলে বেশি ভাল। খাঁচা সর্বদা যথেষ্ট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরী।

ব্রিডিং : ১০ থেকে ১২ মাস বয়স হওয়ার আগে ডায়মন্ড ফায়ারটেইল ব্রিডিং এ দেয়া অনুচিৎ। এদের নেস্টিং এর বিষয়টা একটু আলাদা। নেস্ট সাধারণত অনেক বড় হয় এবং একটু ঝোপের মত করে বানাতে পছন্দ করে। এজন্য যথেষ্ট বড় একটি বক্স অথবা সদৃশ্য কোনো নেস্ট যথাসম্ভব আড়াল করে স্থাপন করতে হবে। নেস্টিং ম্যাটেরিয়াল সংগ্রহ করার কাজ সাধারণত ছেলে পাখিটা করে থাকে এবং বাসা বোনার কাজ মেয়ে পাখিটা। বক্সে অনেক সময় দুটি করে প্রবেশ পথ রাখতে দেখা যায়, যার একটি জরুরী অবস্থায় বের হওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়। ডিম পাড়ে গড়ে ৪ থেকে ৬ টি। ২-৩ টা পাড়ার পর তা দেয়া শুরু হয়। ছেলে ও মেয়ে উভয়ে তা দেয়। ১২ থেকে ১৫ দিন তা দেয়ার পর ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। বাচ্চার পুরোপুরি পালক গজাতে ২৫ থেকে ৩০ দিনের মত সময় লাগে। পুরোপুরি স্বনির্ভর হতে সময় নেয় ৪০ থেকে ৪৫ দিন। বছরে ২ থেকে ৩ বারের বেশি ব্রিড না করানোই ভাল। ৪ বছর বয়স হয়ে যাওয়ার পর ব্রিডিং এ আর না দেয়াই শ্রেয়। ঘনঘন নেস্ট বক্স চেক করা অবশ্যই বর্জনীয় কারণ এটা এদের ব্যাপক অপছন্দের।
কলোনী ব্রিডিং এ ভাল ফলাফল আসার সম্ভাবনা কম। কারণ হিসেবে এদের মেজাজী ভাব তো আছেই, পাশাপাশি অন্যের নেস্ট বক্স দখল করে রাতে সেখানে বিশ্রাম করা তাদের প্রিয় কাজগুলোর একটি। এজন্য আলাদা আলাদা খাঁচায় ব্রিড করানোই সর্বোত্তম। আরেকটা বিষয় হল, পার্টনারের ব্যাপারে এরা একটু খুঁতখুঁতে স্বভাবের। যদি পার্টনার পছন্দ না হয়, সারাজীবন সাধনা করলেও হয়তো ব্রিডিং করানো সম্ভব হবেনা, সেক্ষেত্রে সবচেয়ে ভাল উপায় হল বেশ কিছু কম বয়ষ্ক পাখি একসাথে রাখা এবং নিজেদের পছন্দমত সঙ্গী বেছে নেয়ার সুযোগ করে দেয়া। এই মেথড অবশ্য সব ফিঞ্চের ক্ষেত্রেই ভাল কার্যকর।

আয়ুস্কাল : খাঁচায় গড় আয়ু ৫-৬ বছর হলেও পর্যাপ্ত যত্ন নিয়ে অনায়াসেই ৮ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া সম্ভব।

স্বভাবগত বৈশিষ্ট্য গুলির জন্য ডায়মন্ড ফায়ারটেইল এর ব্রিডিং অন্যান্য ফিঞ্চের তুলনায় একটু কঠিন। বেশি মেজাজী বলে কলোনীতে পালার জন্যেও এরা খুব একটা উপযুক্ত নয়। তবে অন্যান্য ফিঞ্চের মত ডায়মন্ড ফায়ারটেইলও তার সৌন্দর্যের দিক থেকে অনন্য এবং ধৈর্য্য ধরে পুষতে পারলে তার ফসল আপনি অবশ্যই পাবেন।

লেখা : Shanjid Islam Sharod

10/08/2021

যারা খুব সহজেই রেইনবো বেবি আশা করেন তাদের জন্য 🌈...এখানের আরর্টিকেল গুলা পরতে হবে এবং যে য মিউটেশন গুলা দেয়া আছে সেগুলা ...
10/08/2021

যারা খুব সহজেই রেইনবো বেবি আশা করেন তাদের জন্য 🌈...

এখানের আরর্টিকেল গুলা পরতে হবে এবং যে য মিউটেশন গুলা দেয়া আছে সেগুলা চিনতে হবে আর কালেক্ট করতে হতে তাহলেই আপনি খুবই সহযে রেইনবো বেবি পাবেন।

 #ফিঞ্চ_পাখি_পালন_পদ্ধতি ✪ আমাদের দেশে সৌখিন পাখালরা অনেক প্রজাতির পাখি পালন করে থাকেন তাদের মধ্যে ফিঞ্চ পাখি জনপ্রিয় ।...
08/08/2021

#ফিঞ্চ_পাখি_পালন_পদ্ধতি

✪ আমাদের দেশে সৌখিন পাখালরা অনেক প্রজাতির পাখি পালন করে থাকেন তাদের মধ্যে ফিঞ্চ পাখি জনপ্রিয় ।

✪ ফিঞ্চ (Finch) ফ্রিঞ্জিলিডি (Fringillidae )পরিবারভুক্ত এক ধরণের ছোট গায়ক পাখি।গায়ক হওয়ায় যথারীতি তাদেরকে প্যাসারাইন পাখি হিসেবে অভিহিত করা হয়। অবশ্য ফ্রিঞ্জিলিডি পরিবারের বাইরেও কিছু প্রজাতিকে সাধারণভাবে ফিঞ্চ নামে ডাকা হয়। যেমন অস্ট্রেলিয়ার প্রাচীন ক্রান্তীয় অঞ্চলে এস্ট্রিলডিডি (Estrildidae) নামে একটি পরিবার আছে যারা দেখতে অনেকটাই ফিঞ্চের মত, এদেরকেও তাই ফিঞ্চ বলা হয়। এ ধরনের পাখিগুলো ফিঞ্চ না হলেও সাদৃশ্যের কারণে অনেকে এদেরকে ফিঞ্চ বলে থাকেন। এ ধরনের পাখির একটি বড় উদাহরণ ডারউইনের ফিঞ্চ। চার্লস ডারউইন গালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জে ১৪ প্রজাতির ফিঞ্চ (তথাকথিত) শনাক্ত করেছিলেন এবং এগুলো তার প্রাকৃতিক নির্বাচন তত্ত্বের বড় প্রমাণ হিসেবে কাজ করেছিল। এই ফিঞ্চগুলোকে বর্তমানে অদ্ভুত ট্যানেজার পরিবারের সদস্য হিসেবে ধরা হয় যদিও ঐতিহাসিকতার কারণে অনেকে এখনও তাদের ফিঞ্চ বলে থাকেন। এ কারণে ডারউইনের ফিঞ্চ নামটিও পরিবর্তন করা হয়নি।

✪ ফিঞ্চের অনেকগুলো প্রজাতি আছে। যেমন- ডায়মন্ড ফায়ার টেইল ফিঞ্চ, লং টেল ফিঞ্চ, বাংলিশ ফিঞ্চ, জেব্রা ফিঞ্চ ও লেডি গোল্ডিয়ান ফিঞ্চ এদের মধ্যে অন্যতম।

➤➤আলোচনার বিষয় সমূহঃ
-ফিঞ্চ পাখির যত্ন
-খাদ্যতালিকা
-ফিঞ্চ ডিম ও বাচ্চা দেওয়ার সময়
-পাখির রোগ

✪ ফিঞ্চ পাখির জন্য ছোট খাঁচা ব্যবহার করাই ভালো। বড় খাঁচায় একসঙ্গে কয়েক জোড়া পালন করা যায়। তবে এতে ঝুঁকি আছে। কারণ এরা প্রচুর পরিমাণে মারামারি করে। ফলে পাখি আহত হয় এবং ব্রিডিং এ সমস্যা হয় । খাচার ভেতর খাবারের পাত্র পানির পাত্রের সাথে, ডিম পাড়ার জন্য একটি হাড়ি ঝুলিয়ে দিতে হবে। মাটির তৈরি হাঁড়ি ব্যবহার করলে অবশ্যই ছোট সাইজের হাড়ি ব্যবহার করতে হবে। কারণ বড় হাড়ি ব্যবহার করা হলে ভেতরের ডিম নড়াচড়া করার বেশি সম্ভাবনা থাকে। এর ফলে বাচ্চা হওয়ার হারও কমে যায়।বাঁশের ঝুড়ি ও ব্যবহার করতে পারেন । এর মধ্যে শুকনো দূর্বাঘাস ও নারকেলের ছোবড়া দিয়ে রাখলে ওরা সুন্দর করে হাঁড়ির মধ্যে বাসা বাঁধবে। এছাড়া পাটের বস্তা বৃত্তাকারে কেটে ঝুড়িতে বসিয়ে দেওয়া যায়। এরা গোসল করা খুব পছন্দ করে এজন্য সকাল ১১/১২ টার মধ্যে গোসলের পানি দিবেন ।

✪ ফিঞ্চ পাখির খাদ্যতালিকা :-

ছোট দানাজাতীয় খাবার যেমন চিনা, কাউন, তিল, গুজিতিল— এ ধরনের ছোট বীজদানা খেয়ে থাকে । এগ ফুড , সবুজ শাক-সবজি পাখিকে খেতে দিতে হবে ।বিভিন্ন ধরনের ফল যেমন,স্লাইস করা আপেল, কলা,পেয়ারা, আম, তরমুজ, কমলা, আনারস দিবেন । সবুজ সবজি যেমন, অঙ্কুরিত শিম, বাঁধাকপি, ফুলকপি,গাজর , কুমড়া , লেটুস পাতা , সজনে পাতা পাখিকে খেতে দিতে পারেন । ক্যাটেলফিস বোন এবং মিনারেল ব্লক খাচায় দিয়ে রাখতে পারেন । Mealworms , Wax worms , White worms এদের অনেক পছন্দ । Some suggested food items include in the picture :- check please

✪ ফিঞ্চের ব্রিডিং সীজন :-
বর্ষাকাল এদের ব্রিড করার জন্য উপযুক্ত সময় । এরা ৩ মাস বয়স হলেই ব্রিড করা শুরু করে থাকে ।এরা প্রতি বারে ৩-১২ টি পর্যন্ত ডিম পেরে থাকে । ফিঞ্চের ডিম ফুটে বাচ্চা বের হতে ১৪ থেকে ১৬ দিন সময় লাগে। বাচ্চা ৩ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে নিজে নিজেই খাওয়া শুরু করে।

✪ ফিঞ্চ পাখির রোগ এবং যত্ন :-
এরা রানীক্ষেত, ম্যালেরিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে। তাই এসব রোগের প্রতিকার করতে প্রয়োজন এন্টিবায়োটিক এবং অন্যান্য ওষুধ* প্রয়োগ করা। তবে ভেট ডাক্তারের পরামর্শ মতো ওষু*ধ খাবারের সঙ্গে খাওয়ানো উত্তম।পাখিকে সুস্হ্য রাখতে বিভিন্ন সাপ্লিমেন্ট দিতে পারেন । ভিটামিন কোর্স করাতে পারেন । প্রতি মাসে এসিভি কোর্স করাতে পারেন । হোমিও মাসিক কোর্স এগুলা ফলো করতে পারেন :- নাক্স ২০০ ( ২ দিন ) , পালসেটিলা ২০০ ( ২ দিন ) , সালফার ২০০ ( ২ দিন ) সব অরিজিনাল লিকুইড জার্মান হোমিও লাগবে ২০০ পাওয়ারের ।
ব্যাবহার :- ১০০ মিলি পানিতে ৪ ফোটা । একটা শেষ হলে পরেরটাতে যাবেন - সকালে পানি দিয়ে রাতে পানি ফেলে দিবেন

এছাড়া রোগ প্রতিরোধের জন্য সব সময় পাখির খাঁচা ও আশপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা প্রয়োজন। মাঝে মাঝে পাখিকে রোদে দিতে হবে। হালকা রোদ এদেরকে বিভিন্ন রকম ঠাণ্ডা যাতে সমস্যা থেকে রক্ষা করতে পারে।

(লেখাটি বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করে সংকলন করা হয়েছে)
Source :- Wiki , WikiHow , lafeber , All about birds , Rspb , vcahospitals ,dearbangla24.blogspot

ভালো থাকুক সবার পাখি।
ধন্যবাদ
ফাহমিদা আহমেদ
সাধারন সম্পাদক এবং ফাউন্ডার এডমিন অব বিটিসিজেড
Budgerigar Treatment & Care Zone (BTCZ)

পাখিকে যেসব সবুজ শাক-পাতা খেতে দিবেন।।
08/08/2021

পাখিকে যেসব সবুজ শাক-পাতা খেতে দিবেন।।

জেব্রা ফিঞ্চ ও বাজরিগার
08/08/2021

জেব্রা ফিঞ্চ ও বাজরিগার

07/08/2021
ডিম থেকে বাচ্চা ফুটলে কি করবেন??
06/08/2021

ডিম থেকে বাচ্চা ফুটলে কি করবেন??

ফিঞ্চ ও জাভা পাখির এগফুড তৈরীর উপকরণ:
02/08/2021

ফিঞ্চ ও জাভা পাখির এগফুড তৈরীর উপকরণ:

Mutation for all new Pakhal...
02/08/2021

Mutation for all new Pakhal...

বৃষ্টি হলে সাবধান থাকতে হবে এবং সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে
02/08/2021

বৃষ্টি হলে সাবধান থাকতে হবে এবং সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে

পাখিকে সকল সিড খাওয়ানোর অভ্যাস করাতেই হবে।অতি আদর দিয়ে মাথায় তোলা যাইবে না
02/08/2021

পাখিকে সকল সিড খাওয়ানোর অভ্যাস করাতেই হবে।
অতি আদর দিয়ে মাথায় তোলা যাইবে না

বাজরিগার পাখি পালনঃ ৫০ টি টিপস(১) ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না। পাখি কেনার আগে পরিকল্পনা করুন, পাখি নিয়ে আপনার ভাবনা ...
02/08/2021

বাজরিগার পাখি পালনঃ ৫০ টি টিপস

(১) ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না। পাখি কেনার আগে পরিকল্পনা করুন, পাখি নিয়ে আপনার ভাবনা পরিষ্কার করুন।
(২) পাখি কেনার আগে আপনার পরিচিত কোন পাখি পালকের সাথে কথা বলুন, তাদের সুবিধা-অসুবিধাগুলো জানুন।
(৩) আপনার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মতামত নিয়ে নিন।
(৪) পাখি কোথায় রাখবেন তার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরী করুন।
(৫) আগে খাঁচা আর আনুসঙ্গিক জিনিষপত্র কিনে আনুন।
(৬) পরিচিত কারো কাছ থেকে পাখি কিনুন।
(৭) “পাখি কবে ডিম-বাচ্চা দিবে?” -এই প্রশ্ন মাথায় আনবেন না। যদি এই ভাবনা থেকে বাজেরিগার কিনতে চান, তাহলে সম্ভবত এই পাখি আপনার জন্য উপযুক্ত নয়।
(৮) ৩-৪ মাস বয়সী পাখি কিনবেন।
(৯) পাখি কিনে বাসায় আসার পর তাদের খাবার আর পানি দিয়ে ১-২ দিন নিরিবিলি থাকতে দিন।
(১০) বাজার থেকে পাখি পালনের উপর কোন বই কিনে আনুন।
(১১) পাখিদের চিনা-কাউনের পাশাপাশি সবুজ শাকসবজি আর ডিম খেতে দিন।
(১২) প্রাপ্তবয়ষ্ক না হওয়া পর্যন্ত ছেলে ও মেয়ে পাখি আলাদা রাখুন।
(১৩) ৮-৯ মাস বয়স হবার পর ব্রীডিং মুডে থাকলে তাদের জোড়া দিন।
(১৪) জোড়া বাধার পর বড় মাপের হাড়ি দিবেন।
(১৫) এক জোড়া পাখির জন্য কমপক্ষে ১৮-১৮-১৮ মাপের খাঁচা দিবেন।
(১৬) সবসময় ক্যাটলফিস বোন আর মিনারেল ব্লক খাঁচার রাখবেন।
(১৭) এর পর আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে।
(১৮) তাদের বেশি বিরক্ত করবেন না।
(১৯) আপনার যে কোন সমস্যা অভিজ্ঞজনদের জানান ও তাদের পরামর্শ নিন।
(২০) অসুখ হলে দেরি করবেন না, বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
(২১) দোকানী বা অনভিজ্ঞদের কথায় কোন ঔষুধ খাওয়াবেন না।
(২২) অযথা ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট খাওয়াবেন না।
(২৩) ডিম ফুটে বাচ্চা বের হবার পর থেকে সফট ফুড দিন।
(২৪) পাখির খাবার ও পানি সন্ধ্যার পর সরিয়ে রাখবেন, পরদিন সকালে পরিষ্কার পানি আর ফ্রেশ খাবার দিবেন।
(২৫) পচনশীল খাবার ৩-৪ ঘন্টার বেশি খাঁচায় রাখবেন না।
(২৬) মাসে এক বার এসিভি কোর্স করাবেন।
(২৭) পাখির ঘরের তাপমাত্রা ২৫-২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর মধ্যে রাখবেন।
(২৮) পাখিদের ব্রিডিং মেশিন মনে করবেন না।
(২৯) এক জোড়া পাখিকে বছরে ৩ বারের বেশি ব্রিডিং করাবেন না।
(৩০) বিশ্রামের সময় ছেলে ও মেয়ে পাখি আলাদা রাখুন।
(৩১) বাচ্চাদের বয়স ৩ সপ্তাহ হয়ে গেলে ফিমেল পাখিকে আলাদা করে দিন।
(৩২) এক খাঁচায় এক জোড়ার বেশি পাখি রাখবেন না।
(৩৩) পাখিদের নিয়মিত গোসল করাবেন।
(৩৪) নতুন কোন খাবার দিলে তারা সাথে সাথে নাও খেতে পারে। তাই নতুন খাবার প্রতিদিন দিতে থাকুন যতদিন না তাদের অভ্যাস হয়।
(৩৫) প্রথম বাচ্চাদের বিক্রি করবেন না। কারন তারাই আপনাকে সবচেয়ে ভালো ফল দিবে।
(৩৬) এক ঘরের বাচ্চা জোড়া দিবেন না।
(৩৭) জোড়া বাধার আগে খাঁচায় হাড়ি দিবেন না।
(৩৮) পাখিদের গায়ে সরাসরি বাতাস লাগাবেন না।
(৩৯) সপ্তাহে ২ দিন তাদের সান-বাথ করাবেন।
(৪০) এক হাড়ি ৩ বারের বেশি ব্যবহার করবেন না।
(৪১) পাখির খাঁচা থেকে বাচ্চাদের নিরাপদ দূরত্বে রাখুন।
(৪২) পাখির ঘরের বারান্দা ও জানালায় নেটিং করে দিন।
(৪৩) সন্ধ্যার পর অযথা পাখির ঘরের বাতি জ্বালিয়ে রাখবেন না।
(৪৪) অসুস্থ্য পাখির চিকিৎসার জন্য একটি ছোট খাঁচা রাখুন।
(৪৫) যেখানে সবসময় লোকসমাগম থাকে সেখানে পাখি রাখবেন না।
(৪৬) বাতাস চলাচল করে না এমন জায়গায় পাখি রাখবেন না।
(৪৭) অভিজ্ঞদের পরামর্শ ছাড়া পাখিদের নতুন নতুন খাবার খাওয়াবেন না।
(৪৮) মনে রাখবেন পাখিদের নিজস্ব পছন্দ-অপছন্দ আছে।
(৪৯) তাদের মন ভালো রাখুন, খেলনা দিন।
(৫০) উপরের ৪৯টা আবার পড়ুন।

খাঁচাঃ
আমি ১৮*১৮*১৮ মাপের খাচা ব্যবহার করি যাতে তারা যথেষ্ট জায়গা পায়। এতে বাচ্চারা যখন হাড়ি থেকে বের হয় তখন খেলাধুলার জন্য অনেক জায়গা পায়।

জোড়া নির্বাচন

ভালো জোড়া নির্বাচনের কোন বিকল্প নাই। আপনি যদি স্বাস্থ্যবান বাচ্চা চান তাহলে সুস্থ্য জোড়া নির্বাচন করতে হবে।

ব্রিডিং এর জন্য প্রস্তুতি

আমি ৩-৪ মাস বয়স থেকেই ছেলে পাখি ও মেয়ে পাখি আলাদা রাখি। এতে করে সবচেয়ে বড় সুবিধা যেটা পাওয়া যায় সেটা হল যখন ব্রিডিং এর জন্য আমি তাদের এক খাঁচায় রাখি তখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জোড়া নিতে কম সময় নেয়। আমি সারা বছর তাদের পুষ্টিকর খাবার দেই। যেমন এগফুড, শাকসবজি, ফলমূল ইত্যাদি।৮-১০ মাস বয়স হবার পর ব্রিডিং মুডে আসলে আমি ছেলে ও মেয়ে পাখি নির্বাচন করে এক খাঁচায় নিয়ে আসি। মনে রাখতে হবে এই সময় খাঁচায় কোন প্রকার হাড়ি দেয়া যাবেনা। এবং খেলনা কমিয়ে দিতে হবে। কেবল একটা দোলনা রাখি। এক খাঁচায় নিয়ে আসার পর আমি কমপক্ষে ৩০ মিনিট তাদের পর্যবেক্ষণ করি। তাদের প্রতিক্রিয়া দেখি। যদি উভয় পক্ষ থেকে ভালো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় তাহলে সেভাবেই তাদের কিছু দিন রেখে দেই এবং লক্ষ্য রাখি যে তারা মেটিং করছে কিনা।

হাড়ি সেটিংঃ

মেটিং দৃষ্টিগোচর হবার পর আমি হাড়ি দেই। নতুন হাড়ি হলে সমস্যা নেই, কিন্তু পুরাতন হাড়ি হলে সেটাকে ভালোভাবে পরিষ্কার করে আগুনে পুড়িয়ে জীবানুমুক্ত করে তারপর খাঁচায় সেট করি। হাড়িটা এমন ভাবে ঝুলাই যাতে তারা হাড়ির উপর বসতে না পারে। হাড়ির জায়গাটা কিছুটা অন্ধকারাচ্ছন্ন হলে ভালো হয়। এটা করার জন্য আমি খাঁচার উপরে একটি কাপর দিয়ে দেই যাতে সরাসরি আলো প্রবেশ করতে না পারে। হাড়ি দেবার পর আবার তাদের পর্যবেক্ষণ করি। এর পর আসলে আমার তেমন কিছু করার থাকেনা কেবল মাত্র তাদের ঠিকমত খাবার দেয়া ছাড়া।
কম বয়সী পাখি কেনো

যখন তুমি পাখি পালন শুরু করবে তখন কম বয়সী পাখি কিনবে। তাদের তোমার নিজের পরিবেশে বড় কর, তারা তোমার পরিবেশে খাপ খাইয়ে নিবে, তোমার দেয়া খাবারে অভ্যস্ত হবে তবেই তারা আগত বছরগুলোতে তোমাকে সর্বোত্তম ফলাফল দিবে।

চক্রাকারে ব্রিডিং

আমি মাত্র ২টি ব্রিডিং সেটআপ রেখেছি। আমি মুলত যা করি সেটা হল, একসাথে ২ জোড়াকে ব্রিডিং এ দেই। তাদের ব্রিডিং শেষ হয়ে যাবার পর নতুন আরো ২ জোড়া ব্রিডিং এ দেই এবং যাদের ব্রিডিং হয়ে গেছে তাদের ফ্লাইট খাঁচায় বিশ্রামে দিয়ে দেই। এভাবে একবার ব্রিডিং এর পর তারা বিশ্রামে চলে যায় এবং পরবর্তী ব্রিডিং এর আগে পর্যন্ত যথেষ্ট সময় পায়। এর আরেকটা সুবিধা হল যদি মেল-ফিমেল পরিবর্তন করতে চান তাহলে সহজেই করা যায়।

প্রধান খাবার

আমার সিড মিক্সে থাকে মূলত চিনা, কাউন আর পোলাও চালের ধান (এটা গ্রীষ্মকালীন সিডমিক্স)। পাশাপাশি আমি ১ দিন পর পর এগফুড আর শাকসবজি, ফলমূল দিতে চেষ্টা করি। ক্যাটলফিস বোন সবসময় খাঁচায় থাকে। প্রতিদিন পরিষ্কার পানি দেয়া আবশ্যক। খাবারও আমি প্রতিদিন সকালে বদলে দেই। এক জোড়া পাখির জন্য ২-২.৫ টেবিল চামচ সিডমিক্স দেয়া যথেষ্ট।

বাচ্চার খাবার

অনেকেই অনেক কথা বলেন। কিন্তু তাদের সেইসব যুক্তিহীন কথাবার্তা আমলে না নিয়ে আমি আমার জ্ঞানে যা শিখেছি বাচ্চাদের জন্য তাই করি। ডিম ফুটে বাচ্চা বের হবার পর থেকে আমি নিয়মিত নরম খাবার দিতে চেষ্টা করি। যেমন এগফুড সাথে ভুট্টা সিদ্ধ। অল্প ডিমের সাথে ভুট্টা সিদ্ধ মিশিয়ে দিলে বাবা-মা পাখির জন্য বাচ্চাদের খাওয়াতে সুবিধা হয় এবং বাচ্চা স্বাস্থ্যবান হয়ে বেড়ে ওঠে।

সময়

যে বিষয়টার কথা না বললেই নয়, সেটা হল সময়। আমি পাখি পালা শুরু করার ৮ মাস পর ব্রিডিং করাতে পেরেছিলাম। কিন্তু এখন দেখি বিশেষ করে নতুনরা ব্রিডিং জোড়া কিনতে বেশি আগ্রহী। ১ সপ্তাহের মধ্যে ডিম-বাচ্চা দিবে এই কথা শুনলে তারা অস্থির হয়ে সেই পাখি কিনে আনেন। আমার প্রশ্ন হল, যদি ১ সপ্তাহের মধ্যেই ডিম-বাচ্চা দিবে তাহলে বিক্রেতা সেই জোড়া বিক্রি করছেন কেন? যদি সন্তোষজনক জবাব পান তাহলে ভেবে দেখতে পারেন, নচেৎ নয়। আমার আজকের এই অবস্থানে আসতে ২ বছর লেগেছে। হয়ত আরো তাড়াতাড়ি সাফল্য লাভ করা যেত কিন্তু আমি তাড়াহুড়া করিনি। তাই যারা নতুন পাখি পালছেন তাদের জন্য আমার পরামর্শ, আপনারা ৩-৪ মাস বয়সী পাখি কিনুন, তাদের ঠিক ভাবে ব্রিডিং এর জন্য প্রস্তুত করুন, সাফল্য আপনার আসবেই।

নিয়মিত চেক
প্রতিদিন তোমার পাখিদের দেখতে যাও। প্রতিটা খাঁচার সামনে কিছু সময় কাটাও, কৌতূহলী হও, পর্যবেক্ষণ কর, দেখ তোমার পাখিরা খুশি আছে নাকি গা ফুলিয়ে এক কোণায় বসে আছে।

পরের দিন বলে কিছু নেই

আমি অনেক পাখি হারিয়েছি কারন আমি গতকাল তাদের অসুস্থ্য দেখেছিলাম অথবা অসুস্থ্যতার লক্ষন ছিল, যেটা আমি আগামীকাল দেখবো বলে মনে করেছিলাম। বিশ্বাস কর, সেই আগামীকাল আর আসেনি। তোমার অসুস্থ্য পাখিদের অতিদ্রুত যত্ন নাও, আগামীকালের জন্য অপেক্ষা করোনা, আজকেই কর।

অলসতা

আবার আমি অনেক পাখি হারিয়েছি তাদের প্রতিদিন দেখতে না যাবার কারনে। তাদের খাবার-পানি পরীক্ষা করিনি, তাদের হাড়িতে নজর দেইনি, তাদের বাচ্চাদের খেয়াল করিনি, তাদের অস্বাভাবিক আচরনের প্রতি মনোযোগ দেইনি। তোমার পাখিদের প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময়ে চেক করতে যাও। অলসতা করে এটা ভেবো না যে আমি কাল আমার পাখিদের দেখতে যাবো। আবারো বলছি, পাখি পালনে আগামীকাল কখনো আসবে না।

সাধারন জ্ঞান, বিবেচনা ও বুদ্ধি

আমি এখনও কিছু বিষয়ে সাধারন জ্ঞান অর্জন করতে পারিনি। কিন্তু এতোদিনের অভিজ্ঞতা লাভের পর বুঝতে পেরেছি যে সাধারন জ্ঞানের মাধ্যমে কিছু মৌলিক পরিবর্তন আনলে বা প্রয়োগ করলে পাখি পালনে বিস্ময় সৃষ্টি করা যায়।

নতুন কৌশল শেখো

দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, আমরা ভীষনভাবে বিশ্বাস করি যে আমরা আমাদের জেষ্ঠ্য ব্রিডারদের কাছ থেকে সব কিছু শিখে ফেলেছি। নতুন কৌশল শেখার চেষ্টা কর, সেগুলো প্রয়োগ কর, সেগুলো নিয়ে পড়াশুনা কর, সবার সাথে শেয়ার কর। পাখি পালন এর রীতির পরিবর্তন হয়েছে। আমি যদি নতুন ব্রিডারদের সাথে আমার জ্ঞানের তুলনা করি, তাহলে তারা অনেক বেশি জানে।

Bangladesh Bird's Association (BBA)

Types of Finches...
31/07/2021

Types of Finches...

সজনে পাতা সংরক্ষণের সঠিক পদ্ধতি
31/07/2021

সজনে পাতা সংরক্ষণের সঠিক পদ্ধতি

যেভাবে সারা বছর পাখিকে সজনে পাতার যোগান দিতে পারবেন তা জেনে নিন। আর জেনে নিন সজনে পাতা পাখির জন্য কতটা উপকারী।এই ভ...

🌞 🔥🔥☀️  📌গরমে পাখির যত্নে A-Z..🔥🔥🌞📌…....প্রথমেই ধন্যবাদ জানাবো, আমার প্রাণ প্রিয় পাঠক দের যারা কস্ট করে নিয়মিত আমার লেখা...
31/07/2021

🌞 🔥🔥☀️ 📌গরমে পাখির যত্নে A-Z..🔥🔥🌞📌…....

প্রথমেই ধন্যবাদ জানাবো, আমার প্রাণ প্রিয় পাঠক দের যারা কস্ট করে নিয়মিত আমার লেখা গুলো পড়ছেন, ফলো করছে এবং আমার লেখা গুলো পড়ে আপনার প্রিয় পাখি লালন পালনে কাজে লাগাচ্ছেন।

বিটিসিজেড সব সময়ই আপনাদের পাখি পালনকে সহজতর করতে সব সময়ই তথ্য নির্ভর সঠিক উপাত্ত নিয়ে বরাবরি আপনাদের সাথে আলোচনা করে।
ঠিক!! আজ ও হাজির হলাম আমি ফাহমিদা আহমেদ আপনাদের প্রিয় বিটিসিজেড থেকে।

আজ আমি অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক নিয়ে বিশদ আলোচনা করবো, যারা আমাকে বার বার অনুরোধ করেছেন এটা নিয়ে কিছু লেখার জন্য, তাই টপিক টি নিয়ে হাজির হলাম।

🔰 শীত শেষ আবহাওয়া পরিবর্তনঃ শীত শেষ হয়ে আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে ইতিমধ্যেই, সাথে দিনে গরম রাতে কুয়াশাময় এক ঠান্ডা অবস্থা।

আস্তে আস্তে দাব দাহ গরমের আগমনী বার্তা!!!
সূর্য মামার মেজাজ গরম হওয়ার আগেই প্রিয় পাখিদের নিয়ে বিপদে যেন না পরতে হয় তাই কি কি ব্যাবস্হা গ্রহন করবেন তাই জানবো আমি।

শুরুতেই এখনকার এই অবস্থায় কি করনীয় তা প্রথমে বলে নিবো এর পর স্টেপ বাই স্টেপ তীব্র গরমে করনীয় কি তা জানতে পারবেন তাই আমার টপিকের নাম দেয়া হয়েছে গরমে পাখির যত্নে A টু Z 📙

🛡️ আবহাওয়া পরিবর্তন মানেই রোগ বালাই এর প্রাদুর্ভাব। তাই নিতে হবে বাড়তি সতর্কতা।
সেগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরছিঃ

🎙️★ প্রথমেই নজর দিবো তাপমাএা নিয়ন্ত্রণেঃ 🏖️🏜️
খেয়াল রাখুন তাপমাএা কোন ভাবেই যেন ২৮-৩২ ° সেলসিয়াস এর বেশি না হয়। (এটা পুরো গরমে ঠিক এভাবে নজর দিবো আমরা)

🌬️ বর্তমান সময়ে রাতে কুয়াশার ভাব থাকলে পাতলা কাপড় দিয়ে তিন পাশ মুরিয়ে এক পাশ খোলা রেখে দিবো। সকালে সব খুলে দিবো। 🌤️🌤️🌤️

📌★ খোলা মেলা পরিবেশেঃ এয়ার সারকুলেশন ঠিক রাখুন। গরম পরার সাথে সাথে পাখিকে খোলা মেলা পরিবেশ দিন যত টা পারা যায়।

রেস্টের উপযুক্ত সময়ঃ গরম কালকে রেস্ট করানো উপযুক্ত সময় হিসেবে নির্বাচন করুন। বড় খাঁচায় পাখিদের রাখুন। মন উৎফুল্ল রাখতে খেলনা দিন। ওর মন ভালো থাকলে শরীর ও ভালো থাকবে তাই এই সময় টায় রেস্ট হিসেবে উপযুক্ত সময় হিসেবে বেছে নেন।

📍আসছে মার্চ থেকে জুন অবদি পাখিদের ব্রীড না করানোর পরামর্শ থাকবে। এসময় ফ্লাইং জোনে রাখুন। কেইজএর মাপ পাখি ভারটিকেল এঙ্গেলে উরাউরির জায়গা পাচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করুন। কম জায়গায় তাপ বেশি উৎপন্ন হয় তাই এক জায়গায় বেশি পাখি থাকলে হিট স্ট্রোক এর ঝুকি বাড়াবে।

🌀 ঘরের আদ্রতা বজায় রাখতে ফ্যানের পাশে ভেজা কাপড় দিয়ে রাখুন। বা অতি গরমে গামলা ভরে পানি খামারে রেখে দিন। প্রতিদিন চেন্জ করতে না চাইলে তাতে কিছু গাপ্পি মাছ ছেড়ে দিন এতে মশার লার্ভা জন্মাবে না।

🟥★ সীড মিক্স এ পরিবর্তন আনুন আগের যে শীত কালীন সীডমিক্স ব্যবহার করতেন তাতে তৈল বীজের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়া ছিলো এখন সেটা কমিয়ে আনুন। বা তৈল বীজ বাদের তালিকায় রাখুন।
রেশিও এটা ফলো করতে পারেন চাইলে
🔻চিনা/ কেনারি/মিলেট মিলে -৬০০ গ্রাম
🔻কাউন-২০০ গ্রাম
🔻পোলার ধান-১০০ গ্রাম
🔻গুজি-৫০ গ্রাম
🔻কেনারি -৫০ গ্রাম
সূর্য মুখী ও তিসি দেয়ার দরকার নেই। গরমে পাখির ক্ষতি হবে। অর্থাৎ গুজি পরিমান ৫% এ নামিয়ে আনতে হবে। শরীর গরম করবে এমন সীড গুলো বাদ রাখতে হবে।
এই রেশিও গরম কাল জুরে ব্যবহার করতে পারেন।

🟢 ধান আমি বেশি সাপোর্ট করবো না কেননা ধানে কার্বোহাইট্রেড বেশি যা পাখির জন্য ক্ষতিকর।

🟡 পাখির জন্য ইমুইনিটি বুস্ট আপের কোর্সঃ আবহাওয়া পরিবর্তন এর পাশাপাশি পাখিকে রোগ ব্যাধিতে যেন আক্রান্ত হয় বেশি সে জন্য পাখির ইমুইনিটি বুস্টআপের কোর্স করাতে পারেন। হোমিও কিছু প্রিকোর্স করাতে পারেন আবহাওয়া পরিবর্তন এর সাথে সাথে

💊 সে ক্ষেএে বেলাডোনা ৩০ বেশ কাজের
প্রথমে nux vom 200 দিন তিন দিন এর পর
★ বেলাডোনা ৩০ তিন দিন দেন।

💊এ ছাড়াও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে emolight বা Lisovit দিতে পারেন ৫ দিন।

🗑️ 🗑️🗑️ 🧹🧹★ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাঃ
এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পার্ট। আপনি যদি আপনার পাখির খামার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখেন ৮০% রোগ বালাই থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন৷ কেননা রোগ হয়ই নানা ধরনের ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এর প্রাদুর্ভাব এর কারনে তাই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নের দিকে নজর দিন পাখির কোন ঔ*ষধ দরকার পরবে না পাখিকে সুস্থ রাখতে।

🧹🧹কিভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করবেন?

*খাঁচার ট্রে, বাটি নিয়মিত ডলে ডলে ধৌত করুন। আপনি হয়তো ভাবতে পারেন আমি তো জার্ম প্রোটেকটর স্প্রে ব্যবহার করি তাহলে ঘষা মাজার দরকার কি? হ্যা দরকার আছে পাখিরা খাঁচা নিচে হাঁটা চলা করে বা গ্রীল শিক নিয়ে কামড়া কামড়ি করে, তাই স্প্রে দিলেই যে সব জার্ম নাশক করতে পারবেন তা কিন্তু নয়; আসলে জার্ম নাশক করতে আপনাকে স্প্রের পাশা পাশি ডলে মেজে পরিস্কার করে,খাঁচায় জং থাকলে তা পরিবর্তন বা রং করে
রোদে শুকিয়ে তাতে পাখি রাখতে হবে।

🧯🧯 অনেকের প্রশ্ন থাকে জীবানু নাশক স্প্রে কোন গুলো ব্যবহার করবো বা কিভাবে?
★ ফাম ৩০
★টিমসেন
★কোয়াটিভেট
★এক্টোনিল
★GPC disinfectant
★virostop

🔵ব্যবহারের নিয়মঃ
🔸 লিকুইড বেজ এর হলে ১ মিলি/ ১ লিটারে মিশিয়ে স্প্রে করে দিবেন।
🔸পাউডার বেজ হলে ১ গ্রাম /১ লিটারে গুলে পাখির খালি খাঁচায় স্প্রে করুন। সীড মিক্সে না যেন পরে ঔ*ষধ পানি তাই সীড মিক্স পানির বাটি বের করে স্প্রে করুন।

🐦 পাখির গায়ে স্প্রে করতে হলে দু থেকে এক – দু পাফ স্প্রে করুন যেন চোখে মুখে না লাগে।

🌿 এ ছাড়া যারা ন্যাচারাল পছন্দ করেন তারা নিম পাতার পেস্ট করে পানিতে গুলে স্প্রে করতে পারেন।
পেস্ট বানানোর নিয়মঃ
এক মুষ্টি নিম পাতা নিয়ে ভলো করে ধুয়ে পাটায় বেটে পেস্ট বানান। এর পর ১ চামচ পেস্ট / ১ লিটারে গুলে স্প্রে বানান।

🟥★ হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচাতে পদক্ষেপ গ্রহণ।

🟥★ পাখিকে গোসল করানোঃ গোসল করানো নিয়ে আমার অলরেডি একটা ফাইল করা আছে ওটা পড়ে নিবেন ডিটেইলস এর জন্য।
পাখির শরীর কে সতেজ রাখতে গোসলের বিকল্প কিছু হতে পারে না বলে আমি মনে করি।পাখিকে সকাল ১০ টা থেকে ১২ টার মাঝে গোসল সারিয়ে দিবেন।।
তীব্র গরমে দিনে দু থেকে তিন বার স্প্রে করে দিবেন।
বৃষ্টির দিনে গোসল না করানোর পরামর্শ থাকবে।

🟥★ শাক পাতার ব্যবহারঃ

প্রচন্ড গরমে পুই শাক ভুলেও দিবেন না। এটা পাখির পপস অন্য শাকের তুলনা বেশি লিকুইড করে দেয় ফলে পাখির শরীর থেকে প্রয়োজনীয় মিনারেলস পরে যায়, পাখি এতে দুর্বল হয়ে যেতে পারে তাই এটা দিবেন না।

🟢কলমি শাকঃ গরমে শাক পাতার ব্যবহারে কলমিও শাক রাখা যায় এটা পাখির শরীর ঠান্ডা করবে তবে একি শাক প্রতিদিন নয়।
🟢পালং শাকঃ এটাও দু দিন ব্যবহারের পরামর্শ থাকবে
🟢লেটুশ পাতাঃ এটা ও গরম কালে দেয়ার মত এক পুষ্টি কর পাতা এটা ও দু – তিন দিন ব্যবহার করুন

🟢ধনিয়া পাতাঃ এটাও দু দিন ব্যবহারের পরামর্শ থাকবে এর বেশি নয়।

🟩★সবজিঃ মৌসুমি সবজি পাখিদের খেতে দেয়া যায় এমন সকল সবজি দেয়া যাবে কোন সমস্যা নেই। তবে ভালো করে ধুয়ে অবশ্যই খেতে দিন।

🟩★ ফল মুলঃ গরমে ফল মুলের উপর নজর দিন। পাখির শরীর সতেজ রাখবে ফল মুল।
আপেল,নাশপাতি এসব বিচি ছাড়িয়ে খেতে দিবেন। পাকা কলা গরমে এক দমি দিবেন না। ❌❌
কাঁচা কলা দেয়া যায়। ✅✅

🟩গরমে শশা, পুদিনা অত্যান্ত উপকারী। তাই বাসায় এসব রাখার পরামর্শ থাকবে।

🟧★ পানীয় ব্যবহারঃ

♻️ডাবের পানিঃ ডাবের পানি সবার প্রথমেই রাখবো কেননা এটা খুবই উপকারী পানিও। কচি ডাবের পানি সংগ্রহের চেষ্টা করবেন। পাখির শরীর ঠান্ডা রাখবে তীব্র গরমে, এ ছাড়া ও পাখি হিট স্ট্রোক করলে ইমিডিয়েট ডাবের পানি পথ্য হিসেবে কাজ করে পাখির জীবন বাঁচাতে সহায়ক।

♻️লেবুঃ ১০০ মিলি পানিতে ৪-৫ ফোটা তবে তীব্র গরমে ব্যবহার করা যায়।

♻️এলোভেরাঃ এলোভেরা দ্রবন শরীর ঠান্ডা রাখবে, সতেজ রাখবে পাখিকে তাই এলোভেরার দ্রবন খেতে দিন। এক চামচ এলোভেরা জেল /১ লিটার পানিতে গুলে রাতে রেখে সকালে সেই পানি
খেতে দিন।

♻️মেহেদি পাতার পানিঃ রাতে ১ লিটার পানিতে কয়টা পাতা ভিজিয়ে সকালে পাখিদের পান করতে দিন শরীর ঠান্ডা রাখবে।
এ ছাড়া ও নানা রকম ফলের জুস বানিয়ে খেতে দিন।

🔰এর পাশা পাশি তীব্র গরমে স্যালাইন খেতে দিন
💊Electromin ১ গ্রাম/ লিটারে গুলে
বা গ্লুকোলাইট ১ গ্রাম/ লিটারে মিশিয়ে যে দিন বেশি গরম পরবে সে দিন খেতে দিন। এটা পাখিকে ডিহাইড্রেশন এর হাত থেকে বাঁচাবে।

💊মাসে গরমে C e vit ও দিতে পারেন। এটা খুবই উপকারী। ২ মিলি/ ১ লিটারে পাঁচ দিন।

💊মেডিসিন ব্যবহারে সর্তকতাঃ গরমে যে কোন মেডিসিন কোন দরকার ছাড়া ব্যবহার না করার পরামর্শ থাকবে।
মাল্টিভিটামিন ততটা ই-ফেক্ট করে না তাই এটা করতে পারবেন তবে ঘরের এয়ার সারকুলেশন ঠিক রাখতে হবে।
ই-সেল, ozinc, কৃমি নাশক ঔষ*ধ ব্যবহার করবেন না তীব্র গরমে।

🔰ভিটামিন ব্যবহারে
ভিটামিন সি ব্যবহার করতে পারেন।✅
ভিটামিন এ, ও বি ও ব্যবহার করা যাবে।✅

ভেকসিন ও গরমে ব্যবহার না করার পরামর্শ থাকবে।❌❌❌

🟫 ফ্যানের ব্যবহারঃ সরাসরি বাতাস পাখির গায়ে লাগলে সমস্যা সে জন্য আপনাকে সরাসরি বাতাস যেন পাখিী গায়ে না লাগে সে দিক টা খেয়াল রাখতে হবে। পারলে exhaust fan লাগিয়ে দিন ক্ষতিকর দুর্গন্ধ থাকলে তা বের হয়ে যাবে।

ভেন্টিলেশনের ব্যবস্হা আছে ওমন জায়গা পাখির জন্য নির্বাচন করুন।

🔰 ★ ব্রীডে থাকা পাখির যত্নঃ এ সময় ব্রীড করাবেন না। যদি করে ফেলেমতাহলে পাখির শরীর সব সময় শীতল রাখার চেষ্টা করবেন। পাখির রুম এর তাপমাত্রা ব্রীড অনুকুল করতে তুলতে হবে। হাড়ির আদ্রতা ঠিক রাখতে হাড়ির নিচে স্প্রে করে দিন।
আর বক্সে ব্রীড করালে তা দেয়া ডিম গুলো হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে মুছে দিন।

এতে আদ্রতা ঠিক থাকবে। তা দেয়া পাখির যত্নে নানা রকম শরীর ঠান্ডা করবে ওমন দ্রবন রাখুন।

এগফুড কমার্শিয়াল টা ব্যবহার করুন ভালো মানের যাচাই করে তাও সপ্তাহে দু দিন। ঘরের হলে ডিম তীব্র গরমে দেয়ার দরকার নেই।
ডিমের কুসুম না খেতে দেয়ার পরামর্শ থাকবে তীব্র গরমে।
সফট ফুট রেগুলার টা দেয়া যাবে। সীড মিক্সে বরাবরি সালমোনেলা টক্সিন বাইন্ডার মেশানোর এর পরামর্শ থাকবে।

আজ আর নয় আশা করি মোটামুটি সব গুলো পয়েন্ট ই তুলে ধরেছি। এর পর ও যদি আরো কোন দরকারি ইনফরমেশন দিতে হয় তা আপডেটেট ভারশন গুলোতে পাবেন।

সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
- ফাহমিদা আহমেদ
Budgerigar Treatment & Care Zone (BTCZ)

Address

Rajshahi
6500

Telephone

+8801883743742

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Noor Aviary posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Noor Aviary:

Videos

Share

Category



You may also like