Dr. Harun- Or- Rasid, DVM

Dr. Harun- Or- Rasid, DVM ভেটেরিনারি সার্জন। গবাদি প্রাণি, পাখি ও পোষাপ্রাণির চিকিৎসক।

গরমে গবাদি-প্রাণির যত্নঃসারাদেশে প্রচণ্ড তাপদাহ চলতেছে। এতে মানুষজন যেমন হাঁপিয়ে উঠছে, তেমনি আপনার গবাদি-প্রাণিও হাঁপিয়ে...
29/04/2024

গরমে গবাদি-প্রাণির যত্নঃ

সারাদেশে প্রচণ্ড তাপদাহ চলতেছে। এতে মানুষজন যেমন হাঁপিয়ে উঠছে, তেমনি আপনার গবাদি-প্রাণিও হাঁপিয়ে উঠছে। আপনার সচেতনতায় পারে বড় ধরণের ক্ষতি থেকে বাঁচাতে।

তাপদাহ চলাকালে (প্রচণ্ড গরমে) করণীয়ঃ
১. দিনের বেলা মাঠে চরানো থেকে বিরত রাখুন। সকালে এবং বিকালে কিছু সময়ের জন্য মাঠে রাখতে পারেন। রোদ বাড়ার সাথে সাথে বাড়িতে এনে ছায়াযুক্ত, উন্মুক্ত স্থানে বেঁধে রাখুন।

২. ঘন ঘন পানি খাওয়াবেন। রোদ থেকে আনার ১৫-২০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি খেতে দিন (টিউবওয়েলের ঠাণ্ডা পানি, ফ্রিজের পানি বা বরফ মিশাবেননা)।

৩. দানাদার খাদ্য খাওয়ানো কমিয়ে দিন। কাঁচা ঘাস বা সবুজ ঘাসের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন।

৪. দিনের বেলা বন্ধ ঘরে রাখবেননা, বাহিরে ছায়াযুক্ত স্থানে রাখুন। রাতের বেলা গোয়াল ঘরে যেনো পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল করতে পারে, সেজন্য সিলিংয়ের কাছাকাছি ফাঁকা জায়গা রাখুন। প্রয়োজনে ফ্যানের ব্যবস্থা রাখুন।

৫. ব্রয়লার ফিড খাওয়ানোর অভ্যাস থাকলে তাপ না কমা পর্যন্ত একেবারেই বন্ধ রাখুন।

৬. এই সময়ে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়াবেননা। বৃষ্টির জন্য বা তাপ কমার জন্য অপেক্ষা করুন।

৭. প্রয়োজনে খাওয়ার স্যালাইন খাওয়াতে পারেন। ভুলেও ২৫ গ্রামের স্যাচেট (প্যাকেট) ২ লিটার, ৩ লিটার পানিতে মিশিয়ে খাওয়াবেননা, এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। প্যাকেটের গায়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০-২৫ লিটার পানিতে মিশিয়ে খাওয়াবেন। মানুষের ওরস্যালাইন (এসএমসি ওরস্যালাইন) খাওয়াতে পারেন। এক্ষেত্রে প্রতি প্যাকেটের জন্য আধা লিটার করে পানি নিয়ে ৩-৪ প্যাকেট খাওয়াতে পারেন।

৮. ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা- কাঁশি, শ্বাসকষ্ট, জ্বর থাকলে আপনার নিকটস্থ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে যোগাযোগ করে পরামর্শ ও চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করুন।

৯. দিনে অন্তত একবার (১বার) ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করিয়ে দিন।

১০. যেকোন অসুস্থ্যতায় রেজিস্টার্ড ভেটেরিনারিয়ান (ডিভিএম বা বিএসসি ভেট সাইন্স এন্ড এএইচ ডিগ্রীধারী) এঁর পরামর্শ মোতাবেক চিকিৎসা দিন।

আপনার প্রাণিটি সুস্থ্য থাকুক, ভালো থাকুক। আপনি সচেতন হোন এবং অর্থনৈতিক ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে থাকুন।

ধন্যবাদ।

10/04/2024

ইদ মোবারক
"তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম"

01/06/2023

আজ 'বিশ্ব দুগ্ধ দিবস'

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের দৈনিক ২৫০ মিলি দুধ পান করা উচিত।

দুধ একটি আদর্শ খাদ্য, একটি সুপার ফুড। দুধের ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি হাড়ের গঠন এবং শরীর সুস্থ্য রাখার জন্য উপকারী।

বর্তমানে হাড় ক্ষয় হয়ে যাওয়া, হাড় দূর্বল এরকম অসংখ্য রোগী অর্থোপেডিক্সের কাছে দৌড়াদৌড়ি করে।

আমরা প্রতিদিন কতকিছু খাই। অথচ দুধ খাওয়ার অভ্যাসটা করতে পারিনা। এক গ্লাস বা ২৫০ মিলি দুধের দাম কিন্তু একটা কোল্ড ড্রিংকস বা এনার্জি ড্রিংকসের চেয়ে বেশি নয়।

আসুন দুধ পানের অভ্যাস করি, সুখী-সমৃদ্ধ জাতি গঠনে ভূমিকা রাখি।

ভিডিওঃ সংগৃহীত।

31/05/2023
31/05/2023
30/05/2023

ফ্রি-রেঞ্জ বা মুক্ত বিচরণ পদ্ধতিতে দেশিয় জাতের মুরগী পালন

জুরাছড়ির ভোর... 💞
30/05/2023

জুরাছড়ির ভোর... 💞

29/05/2023

রেস্ট হাউজের জানালা দিয়ে জুরাছড়ির সৌন্দর্য্য অবলোকন... 💞

'ভেটেরিনারি মেডিসিন' এমন একটা ফিল্ড, যে ফিল্ডে একজন ভেটেরিনারিয়ান কঠোর পরিশ্রম এবং পড়াশোনার মাধ্যমে মানুষ ব্যতীত সকল প্র...
28/05/2023

'ভেটেরিনারি মেডিসিন' এমন একটা ফিল্ড, যে ফিল্ডে একজন ভেটেরিনারিয়ান কঠোর পরিশ্রম এবং পড়াশোনার মাধ্যমে মানুষ ব্যতীত সকল প্রাণির চিকিৎসা, আচরণ, ফিজিওলজি, এনাটমি সহ খুটিনাটি বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করেন। প্রতিটা প্রাণীর আচরণ যেমন ভিন্ন, তেমনি তাদের ফিজিওলজি, এনাটমি ভিন্ন, রোগ-ব্যাধীও ভিন্ন।

তারা আবার কথাও বলতে পারেনা। তাদের আচরণগত ও ফিজিওলজিক্যাল পরিবর্তন দেখে, পরীক্ষা-নীরিক্ষার মাধ্যমে ডায়াগনোসিস করে চিকিৎসা করতে হয়।

মানুষেক পেটে ব্যথা হলে সে বলতে পারে। কিন্তু প্রাণির পেটে ব্যথা হলে সে বলতে পারেনা। আর পেটে ব্যথা তো দেখা যায়না, তাইনা? কিন্তু একজন ভেটেরিনারিয়ানকে বুঝতে হয় যে প্রাণিটির পেটে ব্যথা হচ্ছে।

তেমন অনেক রোগের লক্ষণ দেখা যায়, অনেক গুলো দেখা যায়না, কিন্তু প্রাণির আচরণগত পরিবর্তন থেকে বুঝে নিতে হয়।

'ভেটেরিনারি' পেশার মাহাত্ম এবং সম্মান রক্ষার্থে বিশ্বব্যাপী স্থাপিত হয়েছে অসংখ্য স্ট্যাচু। এরকম কিছু স্ট্যাচু আজ তুলে ধরছি আপনাদের সামনে....

খামারীর বাড়ির পাশে হ্রদের মনোরম দৃশ্য 💞
26/05/2023

খামারীর বাড়ির পাশে হ্রদের মনোরম দৃশ্য 💞

অপার সৌন্দর্য্য 💞
19/05/2023

অপার সৌন্দর্য্য 💞

21/04/2023

💞 ইদ মোবারক 💞

সবাইকে জানাই পবিত্র ইদ-উল-‍ফিতর এর শুভেচ্ছা...

সাইলেজঃবিফ ফ্যাটেনিং বা ডেইরী খামারের ক্ষেত্রে কাঁচা ঘাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বছরের নির্দিষ্ট একটা সময়ে প্রচুর কাঁচা ঘাস প...
18/04/2023

সাইলেজঃ
বিফ ফ্যাটেনিং বা ডেইরী খামারের ক্ষেত্রে কাঁচা ঘাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বছরের নির্দিষ্ট একটা সময়ে প্রচুর কাঁচা ঘাস পাওয়া যায়, বিশেষ করে শীতকালে চারণ ভূমি বেশি থাকে, হাওড়-বিলেও ঘাস জন্মায়। আবার বর্ষায় চারণভূমি পানির নিচে থাকে, ফলে খাদ্য সংকট দেখা দেয়।

যখন ঘাসের মৌসুম থাকে, বেশি পরিমাণে শুধু কাঁচা ঘাস খাওয়ালে পায়খানা কিছুটা নরম হয়ে যায়। আবার ঘাসের সংকটকালে শুধু খড় খাওয়ালে পুষ্টিহীনতায় ভোগে, দানাদার খাদ্য দিয়ে পুষ্টির অভাবটা পূরণ করতে গেলে খরচ বেশি পরে। তাই সাইলেজ হতে পারে একটি উত্তম সমাধান।

সাইলেজ কি?
সাইলেজ হচ্ছে বাতাসের অনুপস্থিতিতে গাঁজন প্রক্রিয়ায় তৈরিকৃত একটি খাদ্য, যা কাঁচা ঘাস থেকে তৈরি হয়। একে কাঁচা ঘাসের সংরক্ষণ পদ্ধতিও বলা যায়।

উন্নত দেশে টাওয়ার পিট বা সাইলো পিটে সংরক্ষণ করা হয়। আমাদের দেশে সাইলো পিট বা পলিথিন ব্যাগিং পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা যায়।

সাইলেজের উপকারিতাঃ
১. সংকটকালীন সময়ে কাঁচা ঘাসের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়,
২. পুষ্টিমান কাঁচা ঘাসের তুলনায় বেশি থাকে,
৩. গাঁজন প্রক্রিয়ায় ঘাসের শক্ত অংশও নরম ও খাবার উপযোগী হয়,
৪. সুমিষ্ট গন্ধ ও স্বাদের কারণে পশুর রুচি বৃদ্ধি করে,
৫. একবার তৈরি করলে ৬ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত খাওয়ানো যায়,
৬. সাইলেজ খাওয়ালে দুধ ও মাংসের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।

সাইলেজ তৈরির পদ্ধতিঃ

উপকরণ-
১. কাঁচা ঘাসঃ নেপিয়ার, জারা, ভুট্টা, আলফা-আলফা ইত্যাদি,
২. চিটাগুড়,
৩. পানি।

পদ্ধতিঃ
১. ঘাস নির্বাচনঃ সাইলেজের জন্য ফুল আসার পূর্ববর্তী সময়ে ঘাস কাটতে হবে। ভুট্টার সাইলেজ করার জন্য ভুট্টা আসার পর কচি ভুট্টাকে চাপ দিলে দুধের মতো রস বের হবে, একে মিল্কিং স্টেজ বলে, সেই মিল্কিং স্টেজের ভুট্টা ঘাস নিতে হবে ভুট্টা সহ।

২. ঘাস সংগ্রহের পর ছোট ছোট করে কেটে নিতে হবে। সাধারণত ১-৩ ইঞ্চি সাইজে কাটা হয়। পরিমাণ বেশি হলে চপার মেশিন দিয়ে কাটা যেতে পারে।

৩. প্রতি ১০০ কেজি ঘাসের জন্য ২-৩ কেজি চিটাগুড় ও সমপরিমাণ পানির মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। ভুট্টা ও নেপিয়ারের ক্ষেত্রে সুগার বা চিটাগুড়ের পরিমাণ কম দিলেও হয়।

৪. একটি পরিষ্কার পলিথিনে কাটা ঘাসগুলো বিছিয়ে দিতে হবে। ঝর্ণা বা মগের সাহায্যে চিটাগুড়ের মিশ্রণটি ছিটিয়ে দিয়ে ভালো ভাবে মিশাতে হবে।

৫. ভালো ভাবে মিশানোর পর সংরক্ষণ করতে হবে। এক্ষেত্রে মাটিতে গর্ত করে, সেখানে পলিথিন বিছিয়ে রাখা যায়, আবার পলিথিনের বস্তা করেও রাখা যায়।
গর্তে পলিথিন বিছিয়ে মিশানো ঘাস গুলো পা দিয়ে চেপে চেপে রাখতে হবে, যাতে বাতাস না থাকে ভিতরে। তারপর উপরের অংশ ভালোভাবে মুড়িয়ে মাটিচাপা দিতে হবে। সাইলেজের উচ্চতা মাটির লেভেল থেকে দুয়েক ইঞ্চি বেশি রাখা যায়, যাতে ভিতরে পানি প্রবেশ না করতে পারে।

বস্তায় সংরক্ষণের জন্য প্রথমে পলিথিন ব্যাগে মিশানো ঘাস গুলো নিয়ে চেপে চেপে বাতাস বের করতে হবে। ভালো হয় কম্প্রেসারের মাধ্যমে বাতাস শুষে নেওয়া। তারপর বস্তার ভিতরে ভালোভাবে মুড়িয়ে রাখতে হবে।

মাটির নিচে বা বস্তায় রাখার মতো বড় বড় ড্রামেও রাখা যায়। যেভাবেই রাখেননা কেন, বাতাস যাতে না থাকে, বা পরে যেনো বাতাস ঢুকতে না পারে, সেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

৬. সংরক্ষণের ১ মাস পর সাইলেজ তৈরি হয়ে গেলো। এবার ৬ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত সেই সাইলেজ পশুকে খাওয়াতে পারবেন। বস্তা পদ্ধতি হলে একদিক দিয়ে ভালো, একটা একটা বস্তা খাওয়ানো শেষ হলে, অন্য বস্তা খোলা যায়। এতে করে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকেনা। পিট পদ্ধতি হলে একদিক থেকে খাওয়াতে হবে যাতে অন্যদিকের সাইলেজ নষ্ট না হয়ে যায়।

সতর্কতাঃ
সাইলেজের রং থাকবে বাদামী সবুজ। যদি কালচে রং ধারণ করে, তাহলে সেই সাইলেজ খাওয়ানো যাবেনা। ফাংগাস আক্রান্ত সাইলেজ ভুলেও খাওয়াবেননা।

সাইলেজ পদ্ধতিতে ঘাসে বিদ্যমান সুগার বা কার্বোহাইড্রেট এবং চিটাগুড়ের কার্বোহাইড্রেট গাঁজন প্রক্রিয়ায় জৈব এসিডে রূপান্তরিত হয়, যা থেকে পশু পুষ্টি পেয়ে থাকে। কাঁচা ঘাসের পুষ্টিমান বজায় থাকে, এমনকি বৃদ্ধি পায়। রসালো এবং সুস্বাদু হয়। ফলে সারাবছরই খাদ্যের যোগান থাকে।

17/04/2023

যারা স্বল্প খরচে গাভীর স্থায়ী শেড তৈরি করতে চান, ডিজাইনটি দেখতে পারেন।

প্রতিটি গাভীর জন্য জায়গা বরাদ্দঃ লম্বায় ৭ ফুট, চওড়ায় ৪ ফুট।
গাভীর সাইজ অনুযায়ী বরাদ্দকৃত জায়গা কম-বেশি করতে পারেন। চওড়া এমন রাখতে হবে যাতে গাভী আড়াআড়ি দাঁড়াতে না পারে। আবার যাতে আরামে শুয়ে থাকতে পারে। অর্থ্যাৎ কমও দেওয়া যাবেনা, বেশিও দেওয়া যাবেনা।

ভিডিওর মডেলে সাইডগুলো উন্মুক্ত। বাউন্ডারী দেওয়া এরিয়ার মধ্যে হলে এটা ঠিক আছে। আর যদি আলাদা বাউন্ডারী না থাকে, সেক্ষেত্রে শেডের চারপাশে বেড়া দিতে হবে।

ভিডিও কার্তেজীঃ Discover Agriculture

এলএসডি বা লাম্পি স্কিন ডিজিজঃকোন কোন এলাকায় এলএসডি পেন্ডেমিক চলতেছে। পুরো এলাকা জুড়ে এমন কোন গরু নাই যেটাতে ভাইরাস আসেনি...
08/04/2023

এলএসডি বা লাম্পি স্কিন ডিজিজঃ

কোন কোন এলাকায় এলএসডি পেন্ডেমিক চলতেছে। পুরো এলাকা জুড়ে এমন কোন গরু নাই যেটাতে ভাইরাস আসেনি। হাতে গোনা কয়েকটা ভালো নিউট্রিশন এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকার কারণে ইফেক্ট পরেনি।

এলএসডি তে আক্রান্ত গরুর সরাসরি কোন চিকিৎসা নাই। সাপোর্টিভ ট্রিটমেন্ট দিয়ে কোন রকম ঠিকিয়ে রাখা হয়। বেশিরভাগ গরুতে দেখলাম চামড়া এবং হাড্ডি ছাড়া আর কিছুই নাই। দীর্ঘ সময়ধরে জ্বর নিয়ন্ত্রনে না আসা, খাদ্য গ্রহণ না করার কারণে অনেক গরু মারা যায়। অনেক গরুতে শরীরে পানি আসার পাশাপাশি ফুসফুসেও পানি আসে। বিশেষ করে বাছুরে ফুসফুসে পানি জমে নিউমোনিয়া হয়ে মারা যায়।

আমি যতগুলো কেইস একদম প্রাথমিক পর্যায়ে পেয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ দ্রুত রিকভারি হয়েছে। যেগুলো কোয়াকের হাত হয়ে পরবর্তীতে আসে, সেগুলোতে তেমন একটা রেসপন্স পাওয়া যাচ্ছেনা। সিভিয়ার কন্ডিশনে যাওয়ার পর চিকিৎসা খরচও বেশি হয়, আবার গরুর অবস্থাও শোচনীয় হয়ে যায়, সে ধকল কাটিয়ে উঠতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। ফলে খামারী অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ১ লাখ টাকা দামের গরু ৩০ হাজার টাকা দামের গরুর সমান হয়ে যায় শুকিয়ে। মৃত্যু ঝুঁকি তো আছেই।

এলএসডি একটি দীর্ঘমেয়াদী রোগ। অনেক ক্ষেত্রে খামারী ধৈর্য্যহীন হয়ে ডাক্তার পরিবর্তন করতে থাকে একের পর এক। একমাত্র উপায় প্রতিরোধ, কিন্তু দুঃখের বিষয় এখনো এলএসডি ভ্যাক্সিন আসেনি। তাই সচেতনতা এবং সুস্থ্য গরুকে সঠিক যত্ন, নিউট্রিশন দেওয়া এবং অসুস্থ্য গরু থেকে দূরে রাখাই এখন একমাত্র উপায়।

জিংক সাপ্লিমেন্ট একটা চমৎকার প্রোডাক্ট। সুস্থ্য গরুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, চামড়া ভালো রাখতে এবং রুচি ঠিক রাখতে সঠিক পরিচর্যা, খাদ্য ও নিউট্রিশনের পাশাপাশি ৮-১০ দিনের জন্য সঠিক ডোজে জিংক সাপ্লিমেন্ট খাওয়াতে পারেন। এতে কিছুটা হলেও রেহাই পাবে। ভাইরাস ইফেক্ট করলেও ক্ষতির পরিমাণটা কমে আসবে।

শেষ কথা,
এলএসডি'র লক্ষণ দেখা মাত্রই যেকোন একজন রেজিস্টার্ড ভেটেরিনারিয়ানের পরামর্শে চিকিৎসা শুরু করুন। যত দ্রুত, তত মঙ্গল। অবহেলা করে কিংবা টুটকা চিকিৎসা শেষে দেরিতে আসলে ডাক্তারের তেমন কিছুই করার থাকেনা। সচেতন হোন, ভালো থাকুন। আল্লাহ পাক সবাইকে ক্ষতির হাত থেকে রেহাই দিন। আমীন।

সবাইকে মাহে রমজানের শুভেচ্ছা। সারাদিনের রোজা শেষে ইফতারের পর শরীর খুবই ক্লান্ত থাকে। আমরা অনেকেই তখন শরবত, স্যালাইন, গ্ল...
02/04/2023

সবাইকে মাহে রমজানের শুভেচ্ছা।

সারাদিনের রোজা শেষে ইফতারের পর শরীর খুবই ক্লান্ত থাকে। আমরা অনেকেই তখন শরবত, স্যালাইন, গ্লুকোজ বা এনার্জি ড্রিংকস বা কোক, পেপসি খেয়ে থাকি।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে এক প্যাকেট ২০০ মিলি ইউএইচটি দুধের মূল্য ২৮ টাকা, ম্যাংগো ফ্লেভার বা চকোলেট ফেভার ইউএইচটি দুধের ২০০ মিলি প্যাকেটের মূল্য ৩০ টাকা। আবার একটি ২৫০ মিলি এনার্জি ড্রিংকসের মূল্যও ৩০ টাকা। ‍এবার সিদ্ধান্ত আপনার- ‍ক্ষতিকর এনার্জি ড্রিংকস খাবেন নাকি ২০০ মিলি দুধ খেয়ে পুষ্টির চাহিদা মেটাবেন? ফ্লেভারড মিল্ক কিন্তু শরবত বা ড্রিংকসের মতো স্বাদ এবং পুষ্টিসমৃদ্ধ।

যারা দামের কারণে দুধ খাওয়ার বিরুদ্ধে বলবেন, তারা অনেকে হয়তো তখন ২৫, ৩০ টাকা মূল্যের একটা সফ্টড্রিংকস হাতে ধরে আছেন।

দুধ খান, এগিয়ে যান।

খামার থেকে ফ্রেশ দুধ হলে তো আরও ভালো 💞

'ইউএমএস' বা 'ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র' তৈরির পদ্ধতি ও খাওয়ানোর নিয়মঃমাংস উৎপাদনের জন্য আপনার গরুকে দানাদার খাদ্যের পাশাপাশি ...
28/03/2023

'ইউএমএস' বা 'ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র' তৈরির পদ্ধতি ও খাওয়ানোর নিয়মঃ

মাংস উৎপাদনের জন্য আপনার গরুকে দানাদার খাদ্যের পাশাপাশি বা দানাদার খাদ্য ব্যতীত ইউএমএস খাওয়াতে পারেন। গরু একটি রোমন্থক প্রাণি। এর পাকস্থলীর চারটি অংশ রয়েছে। গরুর ডাইজেস্টিভ সিস্টেমে ইউরিয়ার প্রধান উপাদান নাইট্রোজেন থেকে প্রোটিন সংশ্লেষণ হয়, যা মাংস উৎপাদনে সহায়ক ভূমিকা রাখে।

শুকনো খড়ে যে পুষ্টি উপাদান থাকে, তা সহজে শোষিত হয়না। ফলে খড় খাওয়ালে শুধু পেটই ভরে, গরুর তেমন কোন লাভ হয়না। ইউরিয়া ও চিটাগুড়ের সাথে খড়ের মিশ্রণে ইউরিয়া এবং মোলাসেস থেকে পুষ্টি পাওয়ার পাশাপাশি খড়ের পুষ্টিটাও শোষিত হতে পারে। ইউরিয়া ও চিটাগুড়ের প্রভাবে খড় নরম হয়, এর রাসায়নিক বন্ধন গুলো সহজে ভেঙ্গে পুষ্টি সরবরাহ করে।

'ইউএমএস' তৈরির উপাদানঃ
১. খড় ১০ কেজি (ছোট ছোট করে কাটা)
২. পানি ৩ লিটার
৩. চিটাগুড় বা মোলাসেস ১ কেজি
৪. ইউরিয়া সার ২৫০ গ্রাম।

(আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী অনুপাত ঠিক রেখে যেকোন পরিমাণ বানাতে পারেন। )

তৈরির পদ্ধতিঃ
১. প্রথম খড়গুলো ছোট ছোট করে কেটে একটি পলিথিনের উপর বিছিয়ে দিবেন।
২. মেপে রাখা ৩ লিটার পানি থেকে অল্প পরিমাণ পানি নিয়ে তাতে সারগুলো মিশাবেন। সারের মিশ্রণ অবশিষ্ট পানিতে ঢেলে ভালো ভাবে নাড়াবেন।
৩. মেপে রাখা ১ কেজি চিটাগুড় ইউরিয়া-পানির মিশ্রণে দিয়ে ভালো ভাবে মিশাবেন।
৪. এবার একটি পানি ছিটানোর ঝর্ণা বা মগে মিশ্রণ নিয়ে বিছানো খড়ের উপর ছিটিয়ে দিবেন।
৫. ছিটানোর পর খড় গুলো উল্টেপাল্টে ভালোভাবে মিশাবেন।
৬. মিশানো খড় পলিথিন দিয়ে ভালোভাবে ঢেকে রাখবেন ১২ ঘন্টার মতো।

খাওয়ানোর নিয়মঃ
১২ ঘন্টা পর ইউরিয়া-মোলাসেস মিশ্রিত খড় ২-৩ দিন পর্যন্ত খাওয়াতে পারবেন।

প্রথমে অল্প পরিমাণ করে দিয়ে অভ্যাস করাবেন। ১ সপ্তাহ ধীরে ধীরে অভ্যাস করিয়ে প্রতি ১০০ কেজি ওজনের গরুর জন্য দৈনিক ১ কেজি মিশ্রণ খাওয়াবেন।
দৈনিক নির্ধারিত পরিমাণ একবারে না খাওয়ায়ে দিনে ৩ বার ভাগ করে খাওয়াবেন। ফাকে ফাকে কাঁচা ঘাস, ভুসি বা অন্য খাবার খাওয়াবেন।

ধরুণ, গরুর ওজন ১৫০ কেজি। ‍তাহলে মিশ্রণ খাওয়াবেন দেড় কেজি। দিনে ৩ বার আধা কেজি করে খাওয়াবেন।
প্রথম সপ্তাহ আধা কেজি খড়কে ৩ ভাগ করে ৩ বার খাওয়াবেন। পরের সপ্তাহে ১ কেজি খড়, তার পরের সপ্তাহ থেকে দেড় কেজি। তাহলে হজমে কোন সমস্যা হবেনা।

যেকোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে জানাতে পারেন।

ধন্যবাদ সবাইকে।

Address

Rangamati

Telephone

+8801613042967

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Harun- Or- Rasid, DVM posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Dr. Harun- Or- Rasid, DVM:

Videos

Share

Category


Other Rangamati pet stores & pet services

Show All