K.C.C Bangladesh

K.C.C Bangladesh High quality veterinary products

11/04/2024
২০/০৩/২০২৩ তারিখে বগুড়া জেলায় ''KCC Bangladesh''এর উদ্যোগে পীরগাছা হ্যাভেনলী কিন্ডার গার্ডেন স্কুল প্রাঙ্গনে এক সেমিনারে...
21/03/2023

২০/০৩/২০২৩ তারিখে বগুড়া জেলায় ''KCC Bangladesh''এর উদ্যোগে পীরগাছা হ্যাভেনলী কিন্ডার গার্ডেন স্কুল প্রাঙ্গনে এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। উক্ত সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন ''পিরগাছা প্রাণি সেবা কল্যাণ সংঘ'' এর সভাপতি এ কে এম শামসুল হক রাজু। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ আব্দস সামাদ স্যার, ULO বগুড়া সদর, তিনি প্রাণী চিকিৎসা ও প্রাণীর সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন বিষয়ে আলোচনা করেন। কোম্পানির ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম দানা গবাদি পশুর প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান নিয়ে আলোচনা করেন। কোম্পানির অন্যান্য প্রতিনিধি রাও বিভিন্ন ভিটামিন উপাদান নিয়ে কথা বলেন। এছাড়াও স্থানীয় প্রাণি সেবা দান কারী বায়জিদ সরকার, সাখাওয়াত হোসেন ফারুক, হিমাংসু সরকার সহ আরও প্রানি সেবা দান কারী বিভিন্ন রোগ ও তা সারাতে প্রয়োজনীয় মেডিসিন নিয়ে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন। আরও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট মেডিসিন ব্যবসায়ী সোহেল রানা, আরাফাত সরকার ডালিম,হারুন অর রশিদ, এস এম সফিক সহ আরও অনেকে ''কেসিসি বাংলাদেশ'' এর বিভিন্ন প্রোডাক্টের গুনগত মানের প্রসাংসা করেন। সব শেষে সভাপতির স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

05/08/2022

সম্মানিত খামারি ভাইয়েরা আসসালামু আলাইকুম ওয়াররাহমাতুল্লাহ
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন ,,

,, যারা হাড্ডিশার গরু মোটাতাজাকরণ করতে চাচ্ছেন বা কুরবানীর ঈদ উপলক্ষে গরু মোটাতাজাকরণ করতে চাচ্ছেন l নিয়ম গুলো মেনে চললে ১০০% গরু মোটাতাজা হবে । এবং লাভবান হবেন । আপনাদের জন্য আমরা হাই কোয়ালিফাই মিশর, জার্মানি, মালয়েশিয়া ও ইন্ডিয়া থেকে নিয়ে এসেছি ,, এই মেডিসিন গুলো । খামারী ভাইয়েরা যেন দ্রুত লাভবান হতে পারেন । এবং হাড্ডিসার গরু দ্রুত সময়ে মোটাতাজা করতে পারেন ।

#তাহলে প্রথমে আপনাদের যেটা করতে হবে
প্রথমত,
গবাদিপশুকে কৃমি মুক্তকরন করতে হবে যে কোন কোম্পানির ওষুধ দিয়ে যেমন : এলটি ভেট( acme) বা রেনাডেক্স (Renata)ইত্যাদি,

Syp:
তারপরে আপনাদের দিতে হবে । দ্বিগুণ কার্যকরী আদর্শ লিভার টনিক হিসেবে দিতে হবে ,, Liv Vet Forte - 500 ml,, ( KCC Bangladesh )

Syp:
তারপরে আপনাদের দিতে হবে জিংক হিসেবে ,, ani zinc - 500 ml ,( KCC Bangladesh )

Pow :
তারপরে আপনাদের দিতে হবে ,, Best Fat powder - 1 kg ,,( KCC Bangladesh )

# এতে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই
# অস্হি লোম,ক্ষুর ও শিং গঠন ,, দৈহিক বৃদ্ধি
# দ্রুত গরুর , মাংস বৃদ্ধি পায়
# গরুর রুচি বৃদ্ধি হয়
# গরুর চেহারা উজ্জ্বল হয়
# গরুর হাড় মজবুত করে

# মাত্র ২০ দিনে গবাদিপশু মোটাতাজা হবে ইনশাআল্লাহ । ১০০ % ম্যানিব্যাগ গ্যারান্টি

পবিত্র ঈদুল ফিতর এর শুভেচ্ছা
03/05/2022

পবিত্র ঈদুল ফিতর এর শুভেচ্ছা

নববর্ষের শুভেচ্ছা
14/04/2022

নববর্ষের শুভেচ্ছা

খোশ আমদেদ মাহে রমজান
03/04/2022

খোশ আমদেদ মাহে রমজান

KCC Bangladesh এর বগুড়ার মাটিডালি মাহাথীর হোটেলে সেমিনারের কিছু খন্ড চিত্র
31/03/2022

KCC Bangladesh এর বগুড়ার মাটিডালি মাহাথীর হোটেলে সেমিনারের কিছু খন্ড চিত্র

যেসব ভেষজ আপনার সহায়কবর্তমানে করোনাভাইরাস (SARS-CoV-2 ) দ্বারা সংক্রমিত বিশ্বব্যাপী একটি মহামারি রোগ কোভিড-১৯। এখন পর্যন...
13/05/2020

যেসব ভেষজ আপনার সহায়ক
বর্তমানে করোনাভাইরাস (SARS-CoV-2 ) দ্বারা সংক্রমিত বিশ্বব্যাপী একটি মহামারি রোগ কোভিড-১৯। এখন পর্যন্ত এর কোনো কার্যকর ভ্যাকসিন বা ড্রাগ আবিষ্কৃত হয়নি। বিভিন্ন ড্রাগ যেমন ক্লোরোকুইন, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন, এজিথ্রোমাইসিন ও ফেভিপিরাভিরের কথা বলা হলেও এসব ড্রাগ দিয়ে তেমন আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়নি। উন্নত দেশগুলো তাই মানসম্মত চিকিৎসাসেবা থাকা সত্ত্বেও এই রোগের চিকিৎসায় ব্যাপকভাবে হিমশিম খাচ্ছে। এই অবস্থায়, বিশ্ব ভ্যাকসিন বা ড্রাগের পাশাপাশি সহায়ক কিছু চিকিৎসার কথা ভাবছে। এ ক্ষেত্রে প্রকৃতিতে যেসব ভেষজ উদ্ভিদ ও অন্যান্য উপাদান পাওয়া যায় এবং যাদের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ভাইরাল ক্ষমতা আছে, তা বিবেচনাধীন হতে পারে।

আদা
আদা দক্ষিণ এশিয়ার একটি মসলা এবং এর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-ক্যানসার, অ্যান্টি-ভাইরাল প্রতিক্রিয়া আছে। এটি শ্বাসযন্ত্রের প্রসারণ ঘটাতে সংক্ষম, যা ব্রোঙ্কোডিলেটিং নামে পরিচিত। পরীক্ষায় দেখা গেছে, গুরুতর করোনা রোগীদের মধ্যে যাঁরা আদা খেয়েছেন, তাঁদের অবস্থা তুলনামূলক ভালো অন্যদের তুলনায় এবং তাঁদের মেকানিক্যাল ভেন্টিলেশন ও আইসিইউর কম প্রয়োজন পড়েছে। এটি মার্কিন খাদ্য ও ঔষধ প্রশাসন (এফডিএ) দ্বারা সাধারণত স্বীকৃত এবং করোনা আক্রান্ত রোগীরা এটি খেতে পারেন। প্রাপ্তবয়স্করা প্রতিদিন ৪ গ্রাম খেতে পারেন।

লবঙ্গ
শ্বাসকষ্টজনিত জটিলতায় লবঙ্গ কাজ করতে পারে। গবেষণায় লবঙ্গের কুঁড়ি বা পাতা থেকে সংগৃহীত প্রয়োজনীয় তেলগুলোতে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ভাইরাল কার্যক্রম পাওয়া গিয়েছে। এ থেকে প্রাপ্ত ইউজেনল ট্র্যাকিয়াল মসৃণ পেশিতে ভালো প্রভাব ফেলে এবং ব্রোঙ্কোডিলেটিং এবং অ্যান্টি-এজম্যাটিক হতে পারে। এটিও মার্কিন খাদ্য ও ঔষধ প্রশাসন (এফডিএ) দ্বারা স্বীকৃত। এই ইউজেনল মানুষ দৈনিক ২ দশমিক ৫ মিলিগ্রাম/কেজি দৈহিক ওজনের গ্রহণযোগ্য মাত্রায় ব্যবহার করতে পারে।

গ্রিন টি
গ্রিন টিতেও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল ক্রিয়াকলাপ পাওয়া যায়। সাম্প্রতিক গবেষণাগুলো গ্রিন টির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ক্যাটচিনস, বিশেষ করে এপিগ্যালোকটেকিন-৩-গ্যালেটের (ইসিজিজি) অনেক ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টি-ভাইরাল কার্যকলাপ দেখানো হয়েছে। একটি গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে চা-এ ট্যানিক অ্যাসিড এবং ৩-আইসোথাফ্ল্যাভিন-৩-গ্যালেট (টিএফ২ বি) থাকে, যা ‘SARS-CoV’ দ্বারা সংঘটিত তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সিনড্রোমকে প্রতিরোধ করতে পারে। উল্লেখ্য যে এই সার্স করোনাভাইরাসের সঙ্গে বর্তমানের SARS-CoV-2-এর ব্যাপক মিল পরিলক্ষিত হয়। দৈনিক ৩ থেকে ৫ কাপ (৭২০ থেকে ১২০০ মিলি) গ্রিন টি গ্রহণের ফলে কমপক্ষে ১৮০ মিলিগ্রাম ক্যাটচিন এবং ৬০ মিলিগ্রাম থ্যানিন পাওয়া যায়। তবে খালি পেটে চা পান করা উচিত নয়।

কালো বীজ
জীবাণুর বিরুদ্ধে কালো বীজ একটি হাতিয়ার হতে পারে। এই বীজ থেকে প্রাপ্ত তেল শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে পারে। যেমন গামা ইন্টারফেরন, টিসেল এর সংখ্যাবৃদ্ধি এবং ম্যাক্রোফাজের কার্যকারিতা ও সংখ্যা কমানো। গবেষণায় দেখা গেছে, ফুসফুস জটিলতা–সংক্রান্ত এবং অন্যান্য শ্বাসজনিত সমস্যায় এর বীজ ও তেল দারুণ কাজ করে। প্রতিদিন ৫ মিলি পরিমাণ কালো বীজের তেল গ্রহণ করা যেতে পারে, এতে কোনো বিরূপ প্রভাব দেখা যায় না।

নিম
বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে ঐতিহ্যবাহী ওষুধ হিসেবে নিম খুব পরিচিত। এটি ভাইরাসের বিরুদ্ধেও কাজ করতে পারে। ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা করে দেখা গেছে, এর লিমনয়েড নামক উপাদানটি নভেল করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংকট সিনড্রোমকে (এআরডিএস) প্রতিহত করতে পারে। ভাইরাল জ্বরের উন্নতি করতে পারে নিমপাতার রস। ১০ সপ্তাহব্যাপী দৈনিক ৬০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত ডোজ নিরাপদে ব্যবহার করা যেতে পারে।

তুলসী
এটিও অনেক ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে। পরীক্ষায় দেখা গেছে, এর ইথানলিক নির্যাস শরীরের আইএল-৬ নিঃসরণ এবং এনএফ-কে বি প্রকাশ বন্ধ করে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ক্ষমতা দেখায়, ফলে কোভিড-১৯ সংক্রমণের সময় কম প্রদাহ হতে পারে। অবশ্য এর পাতা ও জলীয় অংশও ব্যবহার করা যায়।

ভিটামিন-ডি, ভিটামিন-সি
ভিটামিন-ডি ভাইরাল সংক্রমণ রোধ করতে পারে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে পারে। সাধারণত, কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের শরীরে প্রো-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি সাইটোকাইন দেখা যায়। ভিটামিন-ডি এই প্রো-ইনফ্ল্যামেটরি সাইটোকাইন যেমন এনএফ-কে বি ও গামা ইন্টারফেরনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। সূর্যের আলো এর গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এ ছাড়া দৈনিক হাফ-চামচ কডলিভার তেল, ১০০ গ্রাম রুই মাছ খাওয়া যেতে পারে। অন্যদিকে, ভিটামিন–সি একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা শরীরের শ্বাসযন্ত্র ও সিস্টেমিক সংক্রমণকে রোধ করতে পারে। এটিও ভিটামিন-ডির মতো প্রো-ইনফ্ল্যামেটরি সাইটোকাইনের মাত্রা হ্রাস করতে পারে, বিশেষ করে এটি ফুসফুসের অ্যালভিওলাসের পরিষ্কার, শরীরের নিউট্রোফিলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে ফুসফুসের ক্ষতি উপশম করতে পারে। এ জন্য, খাদ্যতালিকায় প্রতিদিন ভিটামিন-সি রাখা দরকার।

জিংক
জিংক মানবদেহের প্রতিরোধব্যবস্থার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি করোনাভাইরাসসহ নানা ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করে। এমনকি এটি করোনাভাইরাসের বংশবৃদ্ধির বিশেষ এনজাইম আরএনএ পলিমারেজকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের জন্য দৈনিক ১১ মিলিগ্রাম এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে ৮ মিলিগ্রাম জিংক সুপারিশ করে। জিংকের উৎস হলো গরুর মাংস, মুরগি, দই, মটরশুঁটি, মটর এবং কাজুবাদাম।

এই ভেষজ ও খাদ্যগুলো রোগের উপশম ও সামগ্রিক উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। এ অবস্থায় এই সহজলভ্য ও বৈজ্ঞানিক বিকল্প চিকিৎসাগুলো আমাদের শুধু করোনা নয়, অন্যান্য রোগের প্রতিরোধ ও প্রতিকারেও কার্যকরী হবে। নিশ্চয়ই এ আঁধার কেটে যাবে, আমরা জয়ী হব। এই বিষয়ে বাংলাদেশে আরও বিস্তারিত গবেষণার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

মো. আনোয়ার খসরু পারভেজ: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক। বর্তমানে প্রেষণে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সংক্রামক অণুজীব নিয়ে গবেষণা তাঁর মূল ক্ষেত্র।

সাম্প্রতিককালে দেশের বিভিন্ন জায়গা গরু এলএসডি আক্রন্ত হয়‌েছে । যশোর , গোপালগঞ্জ , শর‌িয়তপুর সহ একাধিক জেলায় ব্যাপক হার...
10/12/2019

সাম্প্রতিককালে দেশের বিভিন্ন জায়গা গরু এলএসডি আক্রন্ত হয়‌েছে । যশোর , গোপালগঞ্জ , শর‌িয়তপুর সহ একাধিক জেলায় ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়‌েছে। এল এস ডি গরুর জন্য একটা ভয়ংকর ভাইরাস বাহিত চর্মরোগ যা খামারের ক্ষতির কারণ। এই রোগের গড় মৃত্যুহার আফ্রিকাতে ৪০%।

মূলত আফ্রিকায় একাধিকবার মহামারী আকারে দেখা গেলেও আমাদের দেশে গরুতে এই রোগের প্রাদুর্ভাব কখনো মহামারী আকারে দেখা যায় নাই। একটা খামারকে অর্থনৈতিক ভাবে ধসিয়ে দেয়ার জন্য এফ এম ডি বা খুরারোগের চেয়ে অনেক বেশি ভয়ংকর রোগ হিসাবে ধরা হয়। ১৯২৯ সালে আফ্রিকার ‘জাম্বিয়া’ প্রথম অফিসিয়ালি সনাক্ত হওয়া এই রোগ ১৯৪৩ সল্ থেকে ৪৫ সালের মধ্যে মহাদেশের বিস্তীর্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।

এই সময়ের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা, বতসোয়ানা, মোজাম্বিক শোঃ পার্শ্ববর্তী দেশ গুলোতে হাজার হাজার গরু আক্রান্ত হয়ে মারা যায় এবং শত শত খামার বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে সত্তর এবং আশির দশকে আফ্রিকার প্রায় সব দেশের গরু এই রোগে আক্রান্ত হয় এবং হাজার হাজার খামার বন্ধ হয়ে যায় অথবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

রোগের কারণ : মূলত এক প্রকার পক্স ভাইরাস বা এল এস ডি ভাইরাসের সংক্রমণে গবাদিপশুতে এই রোগ দেখা দেয় এবং এক গরু থেকে আরেক গরুতে ছড়িয়ে পড়ে।

রোগের সময় : প্রধানত বর্ষার শেষে, শরতের শুরুতে অথবা বসন্তের শুরুতে যে সময়ে মশা মাছি অধিক বংশবিস্তার সেই সময়ে প্রাণঘাতী এই রোগটি ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়।

রোগের লক্ষণ : এল এস ডি আক্রান্ত গরু শুরু থেকে যে লক্ষণ প্রকাশ করে যা আক্রান্তের শুরু থেকে ধারাবাহিকভাবে দেখা যায় :

১. জ্বর : আক্রান্ত গরু প্রথমে জ্বরে আক্রান্ত হয় এবং খাবার রুচি কমে যায়।

২. লালাক্ষরণ : জ্বরের সাথে সাথে মুখ দিয়ে এবং নাক দিয়ে লালা বের হয়।পা ফুলে যায়। সামনের দু "পায়‌ের মাঝ স্থান পান‌ি জমে যায়।

৩. শরীরের বিভিন্ন জায়গা চামড়া পিন্ড আকৃতি ধারণ করে, লোম উঠে যায় এবং ক্ষত সৃষ্ট হয়। ধারাবাহিকভাবে এই ক্ষত শরীরের অন্যান্য জায়গা ছড়িয়ে পড়ে।

৪. ক্ষত মুখের মধ্যে , পায়ে এবং অন্যান্য জায়গা ছড়িয়ে পড়তে পারে।

৫. ক্ষত স্থান থেকে রক্তপাত হতে পারে। শরীর‌ে ক‌োথায় ফুল‌ে যায় যা ফেট‌ে টুকরা মাংশের মত ব‌ের হয়‌ে ক্ষত হয় , পুঁজ কষান‌ি বের হয়।

৬. পাকস্থলী অথবা মুখের ভিতরে সৃষ্ট ক্ষতের কারণে গরু পানি পানে অনীহা প্রকাশ করে এবং খাদ্য গ্রহণ কমে যায়।

কিভাবে ছড়ায় : লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত গরু থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে রোগটি অন্য গরুতে ছড়িয়ে পড়ে। এই রোগ এক গরু থেকে অন্য গরুতে ছড়িয়ে পড়ার প্রধান মাধ্যম গুলো হচ্ছে :

১. মশা ও মাছি : এই রোগের ভাইরাসের প্রধান বাহক হিসাবে মশা মাছিকে দায়ী করা হয়। অন্যান্য কিট পতঙ্গের মাধ্যমেও ভাইরাসটি আক্রান্ত গরু থেকে অন্য গরুতে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

২. লালা : আক্রান্ত গরুর লালা খাবারের মাধ্যমে অথবা খামারে কাজ করা মানুষের কাপড়ের মাধ্যমে এক গরু থেকে অন্য গরুতে ছড়াতে পারে।

৩. দুধ : যেহেতু আক্রান্ত গভীর দুধে এই ভাইরাস বিদ্যমান থাকে তাই আক্রান্ত গভীর দুধ খেয়ে বাছুর দুধ খেয়ে আক্রান্ত হতে পারে।

৪. সিরিঞ্জ : আক্রান্ত গরুতে ব্যবহার করা সিরিঞ্জ থেকে এই ভাইরাস বাহিত হতে পারে।

৫. রক্ষণাবেক্ষণকারী : খামারে কাজ করা মানুষের পোশাকের মাধ্যমে আক্রান্ত গরু থেকে অন্য গরুতে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

৬. আক্রান্ত গরুর সিমেন : ভাইরাস আক্রান্ত ষাঁড়ের সিমেন এই রোগের অন্যতম বাহন কারণ আক্রান্ত গরুর সিমেনেও এই ভাইরাস বিদ্যমান থাকে।
৭. শুধু মাত্র গরু মহিষ আক্রান্ত হয়, মানুষ হয় না।

প্রতিকার : যেকোন রোগের চিকিতসার চেয়ে প্রতিকার সব সময় অধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক।

১. আক্রান্ত গরুকে নিয়মিত এল এস ডি ভ্যাকসিন দেয়া। আমাদের দেশে ইতিপূর্বে রোগটির প্রাদুর্ভাব কম দেখা গেছে তাই এই রোগের ভ্যাকসিন সহজলভ্য নয়।

২. খামারের ভিতরের এবং আসে পাশের পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা যেন মশা মাছির উপদ্রব নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

৩. আক্রান্ত খামারে যাতায়ত বন্ধ করা এবং আক্রান্ত খামার থেকে আনা কোন সামগ্রী ব্যবহার না করা।

৪. আক্রান্ত গরুকে শেড থেকে আলাদা স্থানে মশারি দিয়ে ঢেকে রাখা মশা মাছি কামড়াতে না পারে। কারণ আক্রান্ত গরুকে কামড়ানো মশা মাছি সুষ্ঠ গরুকে কামড়ালে এই রোগের সংকরণ হতে পারে।

৫. আক্রান্ত গভীর দুধ বাছুরকে খেতে না দিয়ে ফেলে দিয়ে মাটি চাপা দেয়া।

৬. আক্রান্ত গরুর পরিচর্যা শেষে একই পোশাকে সুষ্ঠ গরুর মধ্যে প্রবেশ না করা।

৭. আক্রান্ত গরুর খাবার বা ব্যবহার্য কোনো জিনিস সুষ্ঠ গরুর কাছে না আনা।

৮. ক্ষত স্থান টিনচার আয়োডিন মিশ্রণ দিয়ে পরিষ্কার রাখা।

চিকিৎসা : এল এস ডি আক্রান্তের লক্ষণ প্রকাশ পেলে দ্রুত রেজিস্টার্ড ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী দ্রুত চিকিতসার ব্যবস্থা করতে হবে।

তথ্যসূত্র :
১. জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থা।
২. এম এস ডি এনিমেল হেলথ ম্যানুয়াল।

Address

Motaleb Plaza, 16 Jaleshor(3rd Floor), Aricha Road
Savar
DHAKA-1340

Opening Hours

Monday 09:00 - 17:00
Tuesday 09:00 - 17:00
Wednesday 09:00 - 17:00
Thursday 09:00 - 17:00
Saturday 09:00 - 17:00
Sunday 09:00 - 17:00

Telephone

+8801711661508

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when K.C.C Bangladesh posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to K.C.C Bangladesh:

Share

Category



You may also like