Dr. Harun- Or- Rasid, DVM

Dr. Harun- Or- Rasid, DVM ভেটেরিনারি সার্জন
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল
তাহিরপুর, সুনামগঞ্জ।

এফএমডি (Foot and Mouth Disease - FMD) হলো একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা গবাদি পশুর মধ্যে ছোঁয়াচে এবং অত্যন্ত সংক্রমক। এই রোগটি...
01/02/2025

এফএমডি (Foot and Mouth Disease - FMD) হলো একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা গবাদি পশুর মধ্যে ছোঁয়াচে এবং অত্যন্ত সংক্রমক। এই রোগটি মূলত গরু, ছাগল, ভেড়া, শূকর এবং অন্যান্য গবাদি পশুর পা, মুখ ও অন্যান্য অঙ্গের ক্ষত সৃষ্টি করে। এটি পশুর উৎপাদন ক্ষমতা এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে এবং খাদ্য নিরাপত্তার জন্যও একটি বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।

এফএমডির কারণ:

এফএমডি একটি ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট হয়, যার নাম অ্যাকিউট প্যাথোজেনিক কক্সো ভাইরাস (Aphtovirus)। এটি প্রধানত গবাদি পশুর শরীরের তরল, যেমন লালা, মূত্র, ফিক্স, এবং অন্যান্য শরীরের তরল মাধ্যমে ছড়ায়।

লক্ষণসমূহ:

এফএমডির লক্ষণগুলো গবাদি পশুর মধ্যে দ্রুত প্রভাব ফেলতে পারে। এর প্রধান লক্ষণগুলো হলো:

1. মুখে ক্ষত বা আলসার: পশুর মুখ, ঠোঁট, জিভ, গাল, এবং গলার ভিতরে ক্ষত বা স্ফীত হয়ে যায়, যা খাবার খেতে অসুবিধা সৃষ্টি করে।

2. পায়ে ফোসকা বা ক্ষত: পশুর পায়ের পাতায় ফোসকা সৃষ্টি হয়, যার ফলে হাঁটতে অসুবিধা হতে পারে।

3. জ্বর: আক্রান্ত পশুর শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় (১০৪-১০৬°F)।

4. অস্বাভাবিক আচরণ: পশু অস্বাভাবিকভাবে দুর্বল, নীরব এবং খাওয়ার অরুচি দেখাতে পারে।

5. লালা ঝরা: পশুর মুখ থেকে অতিরিক্ত লালা ঝরতে পারে।

6. পেটে ব্যথা: খাবার খাওয়ার সময়ে পেটে ব্যথা অনুভূত হতে পারে, এবং পশু হাবাচ্চি করতে পারে।

রোগের বিস্তার:

এফএমডি অত্যন্ত সংক্রমক এবং এর বিস্তার অনেক দ্রুত হতে পারে। সাধারণত এটি নিম্নলিখিত উপায়ে ছড়ায়:

পশুর শরীরের তরল দ্বারা: আক্রান্ত পশুর লালা, মূত্র, মাংস বা অন্যান্য শারীরিক তরল থেকে সুস্থ পশুর শরীরে ছড়িয়ে যায়।

দূরত্বের মাধ্যমে: ফ্লাই, মশা, বা অন্যান্য কীটপতঙ্গের মাধ্যমে এই ভাইরাসটি পশুর মধ্যে ছড়াতে পারে।

মানুষের মাধ্যমে: আক্রান্ত পশুর দ্বারা সংক্রামিত পশুর কাছে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে বা সংক্রামিত পশুর পরিবেশে কাজ করা মানুষের মাধ্যমে এটি ছড়াতে পারে।

এফএমডির প্রতিকার:

এফএমডি একটি মারাত্মক রোগ হলেও সঠিক প্রতিকার এবং সঠিক ব্যবস্থাপনা নিলে এই রোগ থেকে গবাদি পশুদের রক্ষা করা সম্ভব। এর জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিচে দেওয়া হলো:

1. ভ্যাকসিনেশন: এফএমডির সবচেয়ে কার্যকর প্রতিকার হলো ভ্যাকসিন। গবাদি পশুর জন্য নিয়মিত এফএমডি ভ্যাকসিন প্রদান করা উচিত, যা তাদের শরীরে রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে।

2. আক্রান্ত পশু পৃথক করা: যদি কোনো পশু এফএমডিতে আক্রান্ত হয়, তা হলে তাকে দ্রুত সুস্থ পশুদের থেকে আলাদা করতে হবে এবং তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে।

3. স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা: পশুদের রাখার স্থান নিয়মিত পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত করতে হবে। পশুদের ব্যবহৃত উপকরণ (যেমন খাদ্য, পানির ব্যবস্থা, এবং শয্যা) পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত জরুরি।

4. কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ: মশা, মাছি এবং অন্যান্য কীটপতঙ্গের মাধ্যমে রোগ ছড়াতে পারে, তাই এগুলোর নিয়ন্ত্রণ রাখা প্রয়োজন।

5. প্রাথমিক চিকিৎসা: আক্রান্ত পশুর চিকিৎসা করতে হবে যাতে এটি সংক্রমণের উৎস না হয়ে দাঁড়ায় এবং অন্যান্য পশুদের মধ্যে ছড়িয়ে না পড়ে। ভেটেরিনারি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা ও সহায়ক ওষুধ প্রদান করতে হবে।

এফএমডি প্রতিরোধে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা:

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর (উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল) এফএমডির প্রাদুর্ভাব মোকাবেলা করতে নিয়মিত ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। তারা আক্রান্ত এলাকার পশুদের পর্যবেক্ষণ করে এবং রোগের বিস্তার রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়।

এফএমডি একটি মারাত্মক এবং ছোঁয়াচে রোগ, তবে যদি দ্রুত সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়, যেমন ভ্যাকসিনেশন, আক্রান্ত পশু পৃথক করা, এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, তবে এ রোগের বিস্তার রোধ করা সম্ভব। কৃষকদের এবং রাখালদের এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং তাদের সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ নিশ্চিত করা জরুরি।

লাম্বি স্কিন ডিজিজ (Lumpy Skin Disease) হলো একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা গবাদি পশুর মধ্যে ঘটে এবং এর ফলে ত্বকে গুটি বা ফোঁটা ...
31/01/2025

লাম্বি স্কিন ডিজিজ (Lumpy Skin Disease) হলো একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা গবাদি পশুর মধ্যে ঘটে এবং এর ফলে ত্বকে গুটি বা ফোঁটা সৃষ্টি হয়। এই রোগটি গরু এবং অন্যান্য গবাদি পশুর জন্য অত্যন্ত সংক্রমক এবং কিছু ক্ষেত্রে প্রাণীর মৃত্যু ঘটাতে পারে। লাম্বি স্কিন ডিজিজ সাধারণত আফ্রিকা, এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে বেশি দেখা যায়, তবে বর্তমানে এটি বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে বিস্তার লাভ করেছে।

লাম্বি স্কিন ডিজিজের কারণ:

লাম্বি স্কিন ডিজিজ একটি ভাইরাসজনিত রোগ যা Capripoxvirus পরিবারভুক্ত Lumpy Skin Disease Virus (LSDV) দ্বারা সৃষ্ট হয়। এটি প্রধানত আক্রান্ত পশুর সংস্পর্শে, তাদের শারীরিক তরল (যেমন রক্ত, লালা, এবং মূত্র) এবং মশা, মাছি ইত্যাদি বাহকরা ছড়াতে পারে।

লক্ষণসমূহ:

লাম্বি স্কিন ডিজিজে আক্রান্ত গবাদি পশুর শরীরে কিছু সাধারণ লক্ষণ দেখা যায়:

1. ত্বকে গুটি বা ফোঁটা: সবচেয়ে পরিচিত লক্ষণ হলো পশুর ত্বকে একাধিক গুটি বা ফোঁটা সৃষ্টি হওয়া, যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মাংসপেশীর উপর এবং গলা, কাঁধ, পিঠ, এবং অন্যান্য অংশে দেখা যায়।

2. জ্বর: আক্রান্ত পশুর তাপমাত্রা সাধারণত বেড়ে যায়, যা ১০৪-১০৬°F পর্যন্ত উঠতে পারে।

3. অস্বাভাবিক আচরণ: পশু অস্বাভাবিকভাবে চুপ থাকে, খাওয়ার অরুচি, এবং দুর্বলতা দেখা যায়।

4. আলসার বা ক্ষত: গুটি ছাড়াও ত্বকে ক্ষত বা আলসারের মতো দাগ দেখা দিতে পারে।

5. সুগন্ধি তরল নির্গমন: আক্রান্ত পশুর নাক ও চোখ থেকে তরল নির্গমন হতে পারে।

রোগের বিস্তার:

মশা, মাছি বা অন্যান্য পতঙ্গের মাধ্যমে: এই রোগটি ছড়ানোর প্রধান উপায় হচ্ছে মশা বা অন্যান্য পতঙ্গ। তারা আক্রান্ত পশুর শরীরের তরল শোষণ করে এবং পরে সুস্থ পশুর শরীরে ছড়িয়ে দেয়।

দূরত্বের মাধ্যমে: আক্রান্ত পশুর সরাসরি সংস্পর্শের মাধ্যমে বা তাদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র (যেমন ঘাস, খাবারের সরঞ্জাম ইত্যাদি) থেকে রোগ ছড়াতে পারে।

প্রতিকার ও চিকিৎসা:

1. টিকা প্রদান: লাম্বি স্কিন ডিজিজের প্রতিরোধে টিকা দেওয়া অত্যন্ত কার্যকরী। বেশিরভাগ দেশের প্রাণিসম্পদ বিভাগ এই রোগের প্রতিরোধে টিকা দেয়, যা একবারে পশুদের সুরক্ষা প্রদান করে।

2. প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা: আক্রান্ত পশুদেরকে দ্রুত বিচ্ছিন্ন করে, তাদের আশপাশে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করা উচিত।

3. ভেটেরিনারি চিকিৎসা: যদি পশু আক্রান্ত হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সহায়ক ওষুধ দেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া, আক্রান্ত পশুর ত্বকে ক্ষত সৃষ্টি হলে সেগুলোর সঠিক চিকিৎসা করা প্রয়োজন।

4. পতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ: মশা এবং মাছি নিয়ন্ত্রণে রেখে রোগের বিস্তার রোধ করা সম্ভব। এর জন্য মশা মারার যন্ত্র বা ঔষধ ব্যবহার করা যেতে পারে।

গবাদি পশুর মালিকদের করণীয়:

সাধারণ স্বাস্থ্য সুরক্ষা: আক্রান্ত পশুর সাথে সুস্থ পশুর সরাসরি সংস্পর্শ এড়াতে হবে এবং আক্রান্ত পশুর স্থান আলাদা করতে হবে।

নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ: সুস্থ পশুদের সঠিক এবং পুষ্টিকর খাদ্য দেওয়ার মাধ্যমে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো উচিত।

ভ্যাকসিনেশন: নিয়মিত পশুদের টিকা প্রদান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে লাম্বি স্কিন ডিজিজ প্রতিরোধে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের নির্দেশনা অনুসারে পশুদের টিকা দেওয়া উচিত।

লাম্বি স্কিন ডিজিজ গবাদি পশুর জন্য একটি মারাত্মক রোগ, যা দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। তবে সঠিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা, যেমন টিকা প্রদান, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখা হলে এই রোগের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

30/01/2025

শীতের শেষে গবাদি পশুর মধ্যে কিছু রোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে, বিশেষ করে যেহেতু শীতকালে অনেক সময় পশুর শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং পরিবেশের পরিবর্তন তাদের শরীরে নানা ধরনের স্ট্রেস সৃষ্টি করে। শীত শেষে গবাদি পশুদের যে রোগগুলো বেশি হতে পারে এবং সেগুলোর প্রতিরোধে কী কী সতর্কতা নিতে হবে, তা নিচে উল্লেখ করা হলো:

শীতের শেষে সাধারণ রোগসমূহ:

1. নিউমোনিয়া (Pneumonia)
শীতের শেষে তাপমাত্রার ওঠানামা এবং ঠাণ্ডা থেকে উষ্ণ পরিবেশে স্থানান্তরের কারণে গবাদি পশুর শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ হতে পারে। নিউমোনিয়া শীতকালে সাধারণত বেশি দেখা যায়, কিন্তু শীতের শেষে এটি সংক্রমিত হতে পারে যদি পশুর শরীর দুর্বল হয় বা পরিবেশ খুব দ্রুত পরিবর্তিত হয়।

2. ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ (Foot and Mouth Disease)
শীতের শেষে গবাদি পশুদের মধ্যে ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজের প্রকোপ বাড়তে পারে, কারণ শীতে পশুদের মধ্যে আরও বেশি ভিড় এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকতে হতে পারে, যা রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।

3. কৃমি সংক্রমণ (Worm Infections)
শীতকালে গবাদি পশুর মধ্যে কৃমি সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে, বিশেষত শীতের শেষে যখন পশুর শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং তারা পর্যাপ্ত পুষ্টি পাচ্ছে না। কৃমি সংক্রমণ তাদের শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ করে দিতে পারে।

4. ব্ল্যাক কোয়ার্টার (Black Quarter)
শীতকালে গবাদি পশুর শরীর দুর্বল হয়ে পড়লে ব্ল্যাক কোয়ার্টারের মতো ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ আক্রমণ করতে পারে। যদিও এটি সাধারণত গ্রীষ্মকালে বেশি দেখা যায়, তবে শীত শেষে পশুর প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে এটি হতে পারে।

5. ডায়রিয়া (Diarrhea)
শীতের শেষে অস্বাস্থ্যকর খাবার বা পানি, বা গরুর খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনের কারণে ডায়রিয়ার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। যেহেতু শীত শেষে প্রাকৃতিক খাদ্যের সংকট থাকে, তাই কম মানের খাদ্য খাওয়ানোর কারণে এটি হতে পারে।

প্রতিরোধে সতর্কতাসমূহ:

1. পরিষ্কার ও শুষ্ক আশ্রয় নিশ্চিত করা
শীতের শেষে পশুদের থাকার স্থান পরিষ্কার এবং শুষ্ক রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পশুর আশ্রয়ে আর্দ্রতা এবং ময়লা থাকলে এটি রোগের সংক্রমণের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে। তাই আশ্রয়ের নিয়মিত পরিস্কার ও সঠিক বায়ু চলাচল নিশ্চিত করতে হবে।

2. শ্বাসযন্ত্রের রোগের প্রতিরোধে
শীত শেষে নিউমোনিয়া ও অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের রোগ প্রতিরোধে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বিশেষত বাছুরদের ও দুর্বল পশুদের জন্য শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ প্রতিরোধে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

3. কৃমি নিয়ন্ত্রণ
কৃমি সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত ডেওরমিং (কৃমি প্রতিরোধী) ব্যবস্থা নিতে হবে। এটি পশুর শারীরিক অবস্থা সঠিক রাখতে সহায়তা করবে এবং রোগের ঝুঁকি কমাবে।

4. পুষ্টির দিকে মনোযোগ দেওয়া
শীতের শেষে গবাদি পশুর পুষ্টির দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। প্রোটিন, মিনারেল এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার সরবরাহ করতে হবে যাতে তাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী থাকে। শীত শেষে পশুদের পুষ্টির ঘাটতি হতে পারে, তাই সঠিক খাবার সরবরাহ করতে হবে।

5. স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে রোগের প্রাথমিক লক্ষণ শনাক্ত
পশুর শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা উচিত। যদি কোনো পশু দুর্বল, অস্বাভাবিক আচরণ বা রোগের লক্ষণ দেখায়, তা হলে তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসা নেওয়া উচিত।

6. পানি এবং খাবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা
শীতের শেষে তাজা পানি এবং স্বাস্থ্যকর খাবার সরবরাহ করা নিশ্চিত করুন। গবাদি পশুকে যাতে পর্যাপ্ত পানি পাওয়া যায় এবং তাদের খাদ্য মানসম্পন্ন হয়, তা নজরে রাখতে হবে।

7. টিকা প্রদান এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা
শীত শেষে গবাদি পশুকে নিয়মিত টিকা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো উচিত। এতে করে কোনো নতুন রোগের বিস্তার প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।

শীত শেষে গবাদি পশুর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের রোগের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে, তবে সঠিক পুষ্টি, নিয়মিত টিকা, কৃমি নিয়ন্ত্রণ এবং পরিষ্কার পরিবেশ নিশ্চিত করে এসব রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। সঠিক সতর্কতা অবলম্বন করে গবাদি পশুদের সুস্থ রাখা এবং রোগের বিস্তার রোধ করা সম্ভব, যা কৃষক এবং পশুপালকদের জন্য লাভজনক।

'ইউএমএস' বা 'ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র' তৈরির পদ্ধতি ও খাওয়ানোর নিয়মঃমাংস উৎপাদনের জন্য আপনার গরুকে দানাদার খাদ্যের পাশাপাশি ...
29/01/2025

'ইউএমএস' বা 'ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র' তৈরির পদ্ধতি ও খাওয়ানোর নিয়মঃ

মাংস উৎপাদনের জন্য আপনার গরুকে দানাদার খাদ্যের পাশাপাশি বা দানাদার খাদ্য ব্যতীত ইউএমএস খাওয়াতে পারেন। গরু একটি রোমন্থক প্রাণি। এর পাকস্থলীর চারটি অংশ রয়েছে। গরুর ডাইজেস্টিভ সিস্টেমে ইউরিয়ার প্রধান উপাদান নাইট্রোজেন থেকে প্রোটিন সংশ্লেষণ হয়, যা মাংস উৎপাদনে সহায়ক ভূমিকা রাখে।

শুকনো খড়ে যে পুষ্টি উপাদান থাকে, তা সহজে শোষিত হয়না। ফলে খড় খাওয়ালে শুধু পেটই ভরে, গরুর তেমন কোন লাভ হয়না। ইউরিয়া ও চিটাগুড়ের সাথে খড়ের মিশ্রণে ইউরিয়া এবং মোলাসেস থেকে পুষ্টি পাওয়ার পাশাপাশি খড়ের পুষ্টিটাও শোষিত হতে পারে। ইউরিয়া ও চিটাগুড়ের প্রভাবে খড় নরম হয়, এর রাসায়নিক বন্ধন গুলো সহজে ভেঙ্গে পুষ্টি সরবরাহ করে।

'ইউএমএস' তৈরির উপাদানঃ
১. খড় ১০ কেজি (ছোট ছোট করে কাটা)
২. পানি ৩ লিটার
৩. চিটাগুড় বা মোলাসেস ১ কেজি
৪. ইউরিয়া সার ২৫০ গ্রাম।

(আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী অনুপাত ঠিক রেখে যেকোন পরিমাণ বানাতে পারেন। )

তৈরির পদ্ধতিঃ
১. প্রথম খড়গুলো ছোট ছোট করে কেটে একটি পলিথিনের উপর বিছিয়ে দিবেন।
২. মেপে রাখা ৩ লিটার পানি থেকে অল্প পরিমাণ পানি নিয়ে তাতে সারগুলো মিশাবেন। সারের মিশ্রণ অবশিষ্ট পানিতে ঢেলে ভালো ভাবে নাড়াবেন।
৩. মেপে রাখা ১ কেজি চিটাগুড় ইউরিয়া-পানির মিশ্রণে দিয়ে ভালো ভাবে মিশাবেন।
৪. এবার একটি পানি ছিটানোর ঝর্ণা বা মগে মিশ্রণ নিয়ে বিছানো খড়ের উপর ছিটিয়ে দিবেন।
৫. ছিটানোর পর খড় গুলো উল্টেপাল্টে ভালোভাবে মিশাবেন।
৬. মিশানো খড় পলিথিন দিয়ে ভালোভাবে ঢেকে রাখবেন ১২ ঘন্টার মতো।

খাওয়ানোর নিয়মঃ
১২ ঘন্টা পর ইউরিয়া-মোলাসেস মিশ্রিত খড় ২-৩ দিন পর্যন্ত খাওয়াতে পারবেন।

প্রথমে অল্প পরিমাণ করে দিয়ে অভ্যাস করাবেন। ১ সপ্তাহ ধীরে ধীরে অভ্যাস করিয়ে প্রতি ১০০ কেজি ওজনের গরুর জন্য দৈনিক ১ কেজি মিশ্রণ খাওয়াবেন।
দৈনিক নির্ধারিত পরিমাণ একবারে না খাওয়ায়ে দিনে ৩ বার ভাগ করে খাওয়াবেন। ফাকে ফাকে কাঁচা ঘাস, ভুসি বা অন্য খাবার খাওয়াবেন।

ধরুণ, গরুর ওজন ১৫০ কেজি। ‍তাহলে মিশ্রণ খাওয়াবেন দেড় কেজি। দিনে ৩ বার আধা কেজি করে খাওয়াবেন।
প্রথম সপ্তাহ আধা কেজি খড়কে ৩ ভাগ করে ৩ বার খাওয়াবেন। পরের সপ্তাহে ১ কেজি খড়, তার পরের সপ্তাহ থেকে দেড় কেজি। তাহলে হজমে কোন সমস্যা হবেনা।

যেকোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে জানাতে পারেন।

ধন্যবাদ সবাইকে।

স্ট্রিংহল্ট/ঝিনজি বাত/Upper patella Fixation: লক্ষণঃ গরু/মহিষ পিছনের পা টেনে টেনে হাটে বা খুঁড়িয়ে হাটে। একমাত্র সমাধানঃ ...
28/01/2025

স্ট্রিংহল্ট/ঝিনজি বাত/Upper patella Fixation:

লক্ষণঃ গরু/মহিষ পিছনের পা টেনে টেনে হাটে বা খুঁড়িয়ে হাটে।

একমাত্র সমাধানঃ সার্জারী।

একটা গল্প বলি। সদ্য পাশ করা এক উকিল প্রথম মামলায় জয়ী হয়ে এসে তার বাবাকে সাফল্যের কথা বললো। কয়েক বছর ধরে চলা মামলায় জয়ী হওয়া অবশ্যই বড় একটি সফলতা।
জবাবে তার বাবা তাকে অভিনন্দন জানিয়ে বললো- 'তুমি যে মামলাতে আজ জয়ী হয়ে এসেছো, সেই মামলার বাদী থেকে প্রাপ্ত ফি দিয়েই এতোদিন তোমার পড়ালেখার খরচ চালিয়েছি!'

মোরাল অব দ্য স্টোরিঃ কিছু মামলা ইচ্ছাকৃতভাবেই চলমান রাখতে হয় নিজ স্বার্থ হাশিলের জন্য।

এবার আসা যাক মূল কথায়-
গরু/মহিষের স্ট্রিংহল্ট বা ঝিনজি বাত এমন একটি সমস্যা, যার কারণ একটি লিগামেন্ট প্যাটেলার উপরে শক্তভাবে এঁটে যাওয়া। ফলে গরু/মহিষ হাটাচলা করার সময় পা সহজে নাড়াতে পারেনা, ছেঁচড়িয়ে বা টেনে টেনে হাটে, খোঁড়ায়।

উপরের গল্পের উকিলের মতো কিছু কোয়াক এটিকে জিইয়ে রাখে। ল্যাংড়া, পায়ে ব্যথা, ক্যালসিয়ামের অভাব ইত্যাদি বলে বলে দিনের পর দিন ইঞ্জেকশন দিচ্ছে আর টাকা নিচ্ছে। একবারে নেওয়া টাকার পরিমাণ কম হলেও দীর্ঘদিনের চিকিৎসায় মোটা অংকের টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে- গরুর মালিকও টের পাচ্ছেনা, কোয়াকও তার রুটি রোজগার চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু গরু আর ভালো হচ্ছেনা। যার একমাত্র সমাধান সার্জারি, তা কি আর মেডিসিনে সারবে?

দীর্ঘদিন গচ্ছা দিয়ে পরে মালিক তার গরুটি কম দামে কসাইয়ের কাছে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হন। আবার কোন সচেতন খামারী সেটি কিনে সার্জিক্যাল অপারেশন করিয়ে লালন-পালন করেন, কিংবা বেশি দামে বাজারে বিক্রি করতে পারেন।

সুতরাং, এরকম কেইস থাকলে দিনের পর দিন মেডিসিন চালিয়ে পকেটের টাকা গচ্ছা দিবেননা। ভালো একজন সার্জন দিয়ে অপারেশন করিয়ে আপনি আর্থিক ক্ষতি থেকে বাঁচুন, গরু/মহিষটিকেও কষ্ট থেকে মুক্তি দিন।

যেকোন প্রয়োজনে যোগাযোগ-
26/01/2025

যেকোন প্রয়োজনে যোগাযোগ-

23/01/2025

স্বল্প খরচে ডেইরী শেড নির্মাণ/মডেল

Atresia Ani/জন্মগত পায়ূপথবিহীনজন্মগতভাবে পায়ূপথবিহীন একটি বাছুরের সফল অপারেশন হলো আজ (২১/০১/২০২৫) উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্...
21/01/2025

Atresia Ani/জন্মগত পায়ূপথবিহীন

জন্মগতভাবে পায়ূপথবিহীন একটি বাছুরের সফল অপারেশন হলো আজ (২১/০১/২০২৫) উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল, তাহিরপুর, সুনামগঞ্জ।

সার্জারি করেছেন- ডাঃ হারুন- অর- রশিদ, ভেটেরিনারি সার্জন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল, তাহিরপুর, সুনামগঞ্জ।
সহযোগীতায় ছিলেন- জনাব, মোঃ মামুনুর রশিদ ও জনাব, মোঃ শাহিনুর আলম, ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট, অত্র দপ্তর।

আপনাদের যেকোন প্রয়োজনে আমরা আছি আপনাদের পাশে।

21/01/2025

Hi everyone! 🌟 You can support me by sending Stars – they help me earn money to keep making content that you love.

Whenever you see the Stars icon, you can send me Stars.

দেশি মুরগীতে টিকা দিতে প্রায় সবারই অনীহা। অথচ, সরকারি হাসপাতালে নামমাত্র মূল্যে টিকাগুলো পাওয়া যায়। দেশি মুরগীর প্রধান শ...
19/01/2025

দেশি মুরগীতে টিকা দিতে প্রায় সবারই অনীহা। অথচ, সরকারি হাসপাতালে নামমাত্র মূল্যে টিকাগুলো পাওয়া যায়।
দেশি মুরগীর প্রধান শত্রু রাণীক্ষেত, যা থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় টিকা/ভ্যাক্সিন।

কবুতরের টিকা ও কৃমিমুক্ত করণ শিডিউলঃ
18/01/2025

কবুতরের টিকা ও কৃমিমুক্ত করণ শিডিউলঃ

হাঁসের টিকাসূচিঃ
17/01/2025

হাঁসের টিকাসূচিঃ

গরু-ছাগলের টিকাঃকথায় আছে- 'প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম। 'কোন কোন ক্ষেত্রে প্রতিরোধই একমাত্র উপায়। যেমনঃ জলাতঙ্ক। জলা...
16/01/2025

গরু-ছাগলের টিকাঃ

কথায় আছে- 'প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম। '
কোন কোন ক্ষেত্রে প্রতিরোধই একমাত্র উপায়। যেমনঃ জলাতঙ্ক। জলাতঙ্ক বা রেবিস হয়ে গেলে আর প্রাণিকে বাঁচানো সম্ভব নয়। তাই কুকুরে কামড় দেওয়ার সাথে সাথেই যত দ্রুত সম্ভব টিকা দিয়ে দিতে হবে।

গবাদি পশুর আরও কিছু রোগ আছে যেগুলো হলে চিকিৎসা দেওয়ার সময় পর্যন্ত পাওয়া যায়না। কারণ, রোগের লক্ষণ প্রকাশ হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই প্রাণিটি মারা যায়। প্রাথমিক অবস্থায় রোগ সনাক্ত করতে পারলে যদিও বাঁচানো যায়, কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগের লক্ষণ প্রকাশের আগেই প্রাণিটি মারা যায়। এরকম কিছু রোগ হলো- তড়কা বা অ্যান্ট্রাক্স, হেমোরেজিক সেপ্টিসেমিয়া বা গলাফুলা রোগ।

এফএমডি বা ক্ষুরা রোগে এতো দ্রুত মারা না গেলেও দুধ ও মাংস উৎপাদন মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ফলে খামারীর লোকসান হয়- উৎপাদনের দিক থেকে এবং চিকিৎসা খরচের দিক থেকে।

ছাগলের ক্ষেত্রে একটি মারাত্মক রোগ হলো পিপিআর। ভাইরাস ঘটিত এই রোগটির সরাসরি কোন চিকিৎসা না থাকলেও ভেটেরিনারিয়ান সাপোর্টিভ ও সিম্পটোম্যাটিক চিকিৎসা দিয়ে ভালো করতে পারে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করলে আপনার ছাগলটি মারা যেতে পারে। অনেক সময় সাধারণ ডায়রিয়া বা সর্দি মনে করে খামারী প্রথমে ডাক্তার ডাকেননা। পরবর্তীতে যখন ডাকেন, তখন 'ডাক্তার আসিবার পূর্বেই রোগী মারা গেলো!' অথবা, 'ডাক্তার চিকিৎসা দিয়ে মেরে ফেললো' টাইপ ব্যাপার হয়। যদিও ডাক্তারের চিকিৎসা শতভাগ ঠিক ছিলো, কিন্তু চিকিৎসা কার্যকর হওয়ার মতো যথেষ্ট সময় ছিলোনা আপনার প্রাণিটির।

তাই আসুন- 'সঠিক সময়ে ও সঠিক নিয়মে গরু, ছাগল ও হাঁস-মুরগীর টিকা প্রদান করি। অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হই।'

ভ্যাকসিন বা টিকা কী?
ভ্যাকসিন বা টিকা একটি জৈবিক প্রোডাক্ট। নির্দিষ্ট ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত প্রাণীর দেহ হতে উক্ত জীবাণু সংগ্রহ করে বিশেষ পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা হয়। পরে ওই জীবাণুকে নিস্তেজ বা অর্ধমৃত বা মৃত অবস্থায় এনে এক ধরনের জীবাণুজাত ওষুধ তৈরি করা হয় যা নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে দেহে প্রবেশ করালে উক্ত ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস জাতীয় রোগের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে, যাকে ভ্যাকসিন বা টিকা বলে।

কিছু রোগ ও টিকার সময়সূচীঃ

১। তড়কা রোগের টিকা (Anthrax Vaccine)-
পশুর ৬ মাস বয়সে প্রথম টিকা দিতে হয়। গরু ও মহিষের জন্য টিকার মাত্রা হল ১ মিলি. এবং ছাগল ও ভেড়ার জন্য ০.৫ মিলি। ১ বছর অন্তর এ টিকা দিতে হয়। এ টিকা পশুর ঘাড়ের/গলার চামড়ার নিচে দিতে হয়। তবে ৭ মাসের ঊর্দ্ধ বয়সের গর্ভবতী গরু/মহিষকে দেয়া যাবে না। ছাগল/ভেড়ার ক্ষেত্রে গর্ভধারণের ৩ মাস পরে দেয়া যাবে না ।

২।গলাফুলা রেগের টিকা (Haemorrahagic Septicemia vaccine)-
পশুর ৬ মাস বয়সে প্রথম টিকা দিতে হয়। গরু ও মহিষের জন্য টিকার মাত্রা হল ২ মিলি. এবং ছাগল ও ভেড়ার জন্য ১ মিলি। প্রতি ৬ মাস অন্তর টিকা দিতে হয়। এ টিকাও পশুর ঘাড়ের চামড়ার নিচে দিতে হয়।

৩। বাদলা রোগের টিকা (Black Quarter Vaccine)-
পশুর ৬ মাস বয়সে প্রথম টিকা দিতে হয়। গরু ও মহিষের জন্য মাত্রা হল ৫ মিলি এবং ছাগল ও ভেড়ার জন্য ২ মিলি। প্রতি ৬ মাস অন্তর টিকা দিতে হয়। এ টিকা পশুর ঘাড়ের চামড়ার নিচে দিতে হয়। তবে এ রোগের টিকা ২.৫-৩ বছর পরে আর গরু/ মহিষকে দেয়ার প্রয়োজন হয় না ।

৪। ক্ষুরা রোগের টিকা (Foot & Mouth Disease Vaccine)-
পশুর ৪ মাস বয়সে প্রথম টিকা দিতে হয়। এ রোগের বিভিন্ন স্ট্রেইনের জন্য বিভিন্ন ভ্যাকসিন পাওয়া যায় যেমন- মনোভ্যালেন্ট, বাইভ্যালেন্ট ও ট্রাইভ্যালেন্ট, ইত্যাদি। গরু ও মহিষের জন্য ভ্যাকসিনের মাত্রা মনো হলে ৩, বাই হলে ৬ এবং ট্রাই হলে ৯ মিলি এবং ছাগল ও ভেড়ার জন্য গরুর অর্ধেক ডোজ দিতে হয়। প্রতি ৪ মাস অন্তর টিকা দিতে হয়। এ টিকা পশুর ঘাড়ের চামড়ার নিচে দিতে হয়। উল্লেখ্য, গর্ভবতী পশুকেও এ টিকা দেয়া যায়।

৫। জলাতঙ্ক রোগের টিকা (Rabies Vaccine)-
জলাতঙ্কের জন্য দুই ধরনের টিকা পাওয়া যায়, যথা: HEP and LEP। জলাতঙ্ক রোগের টিকা ভায়ালে বা এম্পুলে হিমশুষ্ক অবস্থায় থাকে। ভায়ালের টিকা ৩ মিলি বিশুদ্ধ (Distilled water) পানিতে মিশিয়ে সম্পূর্ণ টিকা মাংসপেশীতে ইনজেকশন করতে হয়। উল্লে­খ্য HEP (GBP Bwc) টিকা বিশুদ্ধ পানিতে মিশিয়ে ১.৫ মিলি পরিমাণ গরু ও মহিষের ৬ মাস বয়সে মাংসপেশীতে ইনজেকশন করতে হয়। LEP (GI Bwc) কুকুরের ৩ মাস বয়সে প্রথম এবং প্রতি বছর একই নিয়মে এ টিকা (৩.০ মিলি) দিতে হয়। এছাড়াও পশুকে কুকুরে কামড়ানোর পরে পোস্ট এক্সপোসার ভ্যাকসিন এআরভি (Anti Rabies vaccine/ ARV) দিতে হয়। বেসরকারি ওষুধ কোম্পানির র‌্যাবিসিন (Rabisin) ভ্যাকসিন পাওয়া যায়। মাত্রা হলো- ১ম দিন ৪ মিলি ৪ স্থানে ১ মিলি করে, ৭ম দিনে ৩ মিলি ৩ স্থানে ১ মিলি করে এবং ২১তম দিনে ৩ স্থানে ১ মিলি করে ৩ মিলি মাংসে দিতে হয়

৬। ছাগলের বসন্তের টিকা (Goat pox vaccine)‌-
ছাগলের বসন্তের টিকা ভায়ালে হিমায়িত অবস্থায় থাকে। ভায়ালের সাথে বিশুদ্ধ পানি থাকে। পানিতে এ টিকা গুলে ২ মিলি প্রতি ছাগলের লেজের গোড়াতে ত্বকের নিচে ইনজেকশন করতে হয়। ছাগলের ৫ মাস বয়সে প্রথম এ টিকা দিতে হয়।

৭। ছাগলের পিপিআর টিকা (PPR Vaccine)-
ছাগলের পিপিআর ভ্যাকসিন ভায়ালে হিমায়িত অবস্থায় থাকে। ভায়ালের সাথে ১০০মিলি ডাইলুয়েন্ট থাকে। এ টিকা সরবরাহকৃত ডাইলুয়েন্টের ভেতর ভালো করে মিশিয়ে প্রতিটি ছাগলকে ঘাড়ের চামড়ার নীচে ১ মিলি ইনজেকশন করে দিতে হয়। ছাগলের ৩ মাস বয়সে প্রথম এ টিকা দিতে হয়। এ টিকা এক বছর অন্তর দিতে হয়। উল্লে­খ্য, গর্ভবতী ছাগলকেও এ টিকা দেওয়া যায় ।

জনস্বার্থে-
ডাঃ হারুন- অর- রশিদ
ভেটেরিনারি সার্জন
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল,
তাহিরপুর, সুনামগঞ্জ

গবাদিপশুর বিষক্রিয়াঃবিভিন্ন কারণে গবাদিপশু বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে। সেটা প্রাকৃতিক ঘাসে থাকা বিভিন্ন উপাদান (প্লান্...
15/01/2025

গবাদিপশুর বিষক্রিয়াঃ

বিভিন্ন কারণে গবাদিপশু বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে। সেটা প্রাকৃতিক ঘাসে থাকা বিভিন্ন উপাদান (প্লান্ট টক্সিকোসিস) বা রাসায়নিক বিষের কারণে হতে পারে।

প্রাকৃতিক ঘাস থেকে বিষক্রিয়াঃ
অনেক ঘাস রয়েছে যেগুলো বিষাক্ত। আবার কিছু কিছু ঘাস বা গাছের পাতা স্বাভাবিক মাত্রায় সহনীয় হলেও অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়ানো হলে বিষক্রিয়া হয়। যেমনঃ বাঁধাকপি, ফুলকপি বা মুলা পাতা অতিরিক্ত খাওয়ালে নাইট্রেট পয়জনিং হয়।

রাসায়নিক বিষক্রিয়াঃ
১. কীটনাশক, ইদুর মারার বিষ, অ্যারোসল স্প্রে ইত্যাদি
২. বিভিন্ন রঙে থাকা রাসায়নিক উপাদান
৩. আর্সেনিক, সীসা ইত্যাদি
৪. ইউরিয়া সহ অন্যান্য রাসায়নিক সার
৫. পুরাতন ব্যাটারি থেকে রাসায়নিক উপাদান
৬. অন্যান্য রাসায়নিক উপাদান

বিষক্রিয়া আক্রান্ত হতে পারে বিভিন্ন ভাবে।
১. কীটনাশক দেওয়া জমি থেকে ঘাস খেলে,
২. যে পুকুরে কীটনাশকের পাত্র বা মেশিন ধৌত করা হয়, সে পুকুরের পানি পান করলে,
৩. পার্শ্ববর্তী কোন জমিতে কীটনাশক দিলে তা বাতাসের মাধ্যমে এসে গবাদিপশুর শ্বাসের সাথে প্রবেশ করলে,
৪. অনিচ্ছাকৃত ভাবে বা ভুলবশত বিষাক্ত কোন পাত্রে পশুকে খাবার দিলে,
৫. কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে খাওয়ালে (ক্রিমিনাল কেইস)
৬. অন্যান্য যেকোন উপায়ে গবাদি পশুর শরীরে বিষ প্রবেশ করতে পারে।

বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হওয়া মানেই কেউ বিষ দিয়েছে এরকম না, আপনার অজান্তে যেকোন উপায়ে, যেকোন মাধ্যম থেকে বিষ আপনার গরু বা গবাদিপশুর শরীরে প্রবেশ করতে পারে।

বিষক্রিয়ার লক্ষণঃ
১. চোখ লাল হওয়া, লালা ঝড়া
২. পাতলা পায়খানা বা রক্ত মিশ্রিত পায়খানা হওয়া
৩. অস্থিরতা, মাংসপেশীতে খিঁচুনী, পেটে ব্যথা
৪. ঘন ঘন শ্বাস নেওয়া, শ্বাসকষ্ট হওয়া
৫. গরু নিস্তেজ হয়ে যাওয়া
৬. তাপমাত্রা হুট করে কমে যাওয়া বা বেড়ে যাওয়া
৭. অবচেতন হয়ে পড়া এবং মারা যাওয়া।

বিষক্রিয়ার কোন লক্ষণ প্রকাশ পেলে বা বিষাক্ত হয়েছে এরকম মনে হলে দ্রুত রেজিস্টার্ড ভেটেরিনারিয়ান বা ভেটেরিনারি সার্জনের স্মরনাপন্ন হবেন। ডাক্তারকে সঠিক তথ্য দিয়ে ডায়াগনোসিসে সহযোগীতা করবেন।

ডাক্তার/ভেটেরিনারি সার্জন যদি বিষক্রিয়ার লক্ষণ বুঝে আপনাদের কাছে তথ্য চান, তাহলে আপনি যদি সহযোগীতা না করেন, তাহলে আপনার পশুটিকে বাঁচানো যাবেনা। তাই কোন তথ্য গোপন না করে, কিংবা ডাক্তারকে অসহযোগীতা করে নিজের ক্ষতি করবেননা।

অনেক সময় খাদ্য থেকেও বিষক্রিয়া হতে পারে, যাকে বলা হয় 'ফুড পয়জনিং'। তাই গরু বা গবাদিপশু অসুস্থ্য হওয়ার আগে কি কি খাদ্য খাওয়ানো হয়েছে, কি কি ঘাস খেয়েছে, কোথায় চরানো হয়েছে তা সুস্পষ্ট এবং সঠিকভাবে ডাক্তারকে জানাবেন, যাতে ডাক্তার সঠিক চিকিৎসা প্রদান করে আপনার গরুটিকে বাঁচাতে পারেন।

মনে রাখবেন- ডাক্তার মামলা তদন্ত করতে আসেননি, তিনি এসেছেন রোগের প্রকৃত কারণ জেনে উপযুক্ত চিকিৎসা প্রদান করতে এবং অবশ্যই আপনার স্বার্থে।

জনস্বার্থে-
ডাঃ হারুন- অর- রশিদ
ভেটেরিনারি সার্জন
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল,
তাহিরপুর, সুনামগঞ্জ।

13/01/2025
অ্যাসপাইরেশ নিউমোনিয়াঃগবাদি পশুর অ্যাসপাইরেশন নিউমোনিয়া বা ড্রেনসিং নিউমোনিয়া একটি মারাত্মক সমস্যা, যা হলে পশুর বাঁচার স...
12/01/2025

অ্যাসপাইরেশ নিউমোনিয়াঃ

গবাদি পশুর অ্যাসপাইরেশন নিউমোনিয়া বা ড্রেনসিং নিউমোনিয়া একটি মারাত্মক সমস্যা, যা হলে পশুর বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। একমাত্র সচেতনতাই পারে এই সমস্যা থেকে বাঁচাতে। আজ তাই লিখতে বসলাম অ্যাসপাইরেশন নিউমোনিয়ার কারণ ও প্রতিরোধের উপায় নিয়ে।

অ্যাসপাইরেশন নিউমোনিয়া কি?
এটি গবাদি পশুর শ্বাসতন্ত্র বা ফুসফুসের একটি সমস্যা। কোন কারণে ফুসফুসে বাহিরের কোন পদার্থ, যেমন- ওষুধ, কুড়া, ধুলোবালি বা পানি যদি প্রবেশ করে, তাহলে ফুসফুস আক্রান্ত হয় এবং মারাত্মক শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত সমস্যার সৃষ্টি হয়, একে অ্যাসপাইরেশন নিউমোনিয়া বলে। অর্থ্যাৎ, কোন জীবানুর আক্রমণ ব্যতীত বাহিরের কোন পদার্থ ফুসফুসে যাওয়ার কারণে যে নিউমোনিয়া হয়, সেটিই অ্যাসপাইরেশন নিউমোনিয়া।

কারণঃ
১. ড্রেনসিংঃ ওষুধ বা কোন তরল খাওয়ানোর সময় যদি তা শ্বাসনালিতে প্রবেশ করে
২. স্টোমাক টিউবঃ স্টোমাক টিউব প্রবেশ করানোর সময় সঠিকভাবে প্রবেশ না করাতে পারলে
৩. প্যারালাইসিসঃ ফেসিয়াল প্যারালাইসিসের কারণে খাদ্য খাওয়ার সময় তা শ্বাসনালিতে চলে গেলে
৪. বাঁচ্চা প্রসবের সময় কোন কারণে যদি বাঁচ্চার মুখে জরায়ূর তরল প্রবেশ করে এবং তা শ্বাস নালিতে যায়
৫. নাক ঢুবিয়ে পানি পান করার সময় নাক দিয়ে পানি বা কুড়া প্রবেশ করলে
৬. শুকনা/পাউডার জাতীয় খাদ্য খাওয়ার সময় তা শ্বাসনালিতে প্রবেশ করলে ইত্যাদি কারণে।

লক্ষণঃ
১. শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা, কাঁশি
২. জ্বর
৩. কাঁপুনি
৪. খাওয়া বন্ধ
৫. নাক দিয়ে শ্রেষ্মা বের হওয়া ইত্যাদি।

প্রতিরোধঃ
১. ওষুধ খাওয়ানোর সময় জিহ্বায় চেপে না ধরে ধীরে ধীরে স্বেচ্ছায় গিলতে দেওয়া,
২. জোরপূর্বক কোন কিছু না খাওয়ানো,
৩. নাক চেপে ধরে কোন কিছু না খাওয়ানো,
৪. পাউডার জাতীয় ওষুধ বা খাদ্য পানি দিয়ে ভিজিয়ে খাওয়ানো।

প্রতিকারঃ
যত দ্রুত সম্ভব রেজিস্টার্ড ভেটেরিনারি ডাক্তারের পরামর্শে চিকিৎসা করতে হবে। যত দেরি করা হবে, বাঁচার সম্ভাবনা তত কমে যাবে।

জনস্বার্থেঃ
ডাঃ হারুন- অর- রশিদ
ভেটেরিনারি সার্জন
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল,
তাহিরপুর, সুনামগঞ্জ।

হাওর অঞ্চলে যকৃত কৃমি খুব সাধারণ একটি ঘটনা। বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর উপজেলা সহ হাওর অধ্যুষিত প্রতিটি এলাকায় প্রচুর গবাদিপশ...
11/01/2025

হাওর অঞ্চলে যকৃত কৃমি খুব সাধারণ একটি ঘটনা। বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর উপজেলা সহ হাওর অধ্যুষিত প্রতিটি এলাকায় প্রচুর গবাদিপশু রয়েছে যেগুলো যকৃতকৃমিতে আক্রান্ত।

কৃমি আক্রান্ত একটি গরুর গোবরের মাধ্যমে কৃমির 'ডিম' মাটিতে/পানিতে আসে, মিঠা পানিতে ডিম ফুটে 'মিরাসিডিয়াম' বের হয়, সেই 'মিরাসিডিয়াম' কাঁদা থেকে ঢুকে শামুকে, শামুক থেকে আবার 'সার্কারিয়া' হয়ে ঘাসে আসে, ঘাস থেকে 'মেটাসার্কারিয়া' প্রবেশ করে গরুর পেঁটে... এভাবে চক্রাকারে ঘুরতে থাকে এবং গবাদিপশু যকৃত কৃমি দ্বারা আক্রান্ত হয়।

যেহেতু হাওর অঞ্চলে মিঠাপানি এবং শামুক থাকে, তাই এই অঞ্চলে যকৃত কৃমি দ্বারা আক্রান্ত গবাদিপশুর সংখ্যাও বেশি।

তাই, আপনার গবাদিপশুকে ৩-৪ মাস অন্তর অন্তর সঠিক ডোজে কৃমিনাশক খাওয়ান, গবাদিপশুকে কৃমি মুক্ত রাখুন।

জনস্বার্থে-
ডাঃ হারুন- অর- রশিদ
ভেটেরিনারি সার্জন
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল,
তাহিরপুর, সুনামগঞ্জ।

ম্যাস্টাইটিস বা ওলান প্রদাহ!ডেইরী খামারের প্রধান শত্রু!!ম্যাস্টাইটিস কী?গাভীর ওলান বা বাঁটে কোন রকম সমস্যা বা প্রদাহ হলে...
09/01/2025

ম্যাস্টাইটিস বা ওলান প্রদাহ!
ডেইরী খামারের প্রধান শত্রু!!

ম্যাস্টাইটিস কী?
গাভীর ওলান বা বাঁটে কোন রকম সমস্যা বা প্রদাহ হলে তাকে ম্যাস্টাইটিস বলে।
যেমনঃ ওলান ফুলে যাওয়া, ব্যথা হওয়া, দুধ বন্ধ হয়ে যাওয়া বা দুধের সাথে রক্ত বা পূঁজ আসা, দুধের বাঁট বন্ধ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।

বিভিন্ন কারণে ম্যাস্টাইটিস হতে পারে-
১. ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া বা ফাংগাল ইনফেকশনের কারণে
২. আঘাতজনিত কারণে
৩. বিভিন্ন রাসায়নিক ওলানে প্রবেশ করলে
৪. অন্যান্য কারণে।

ম্যাস্টাইটিস হলে (চিকিৎসা না করালে) কি হয়?
১. দুধ উৎপাদন কমে যায়‍, ফলে আর্থিক ক্ষতি হয়।
২. সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করলে ওলান পঁচে যেতে পারে বা স্থায়ীভাবে ওলান নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
৩. ওলান থেকে পর্যায়ক্রমে ইনফেকশন শরীরের অন্যান্য অংশে বা রক্তে সংক্রমিত হতে পারে।
৪. অন্য গাভীতে সংক্রমিত হতে পারে।
৫. ইনফেকশন রক্তে ছড়িয়ে পরলে গাভী মারাও যেতে পারে।

ম্যাস্টাইটিস প্রতিরোধের উপায়-
১. খামার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখাঃ খামার নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। দিনে অন্তত দুইবার গোবর পরিষ্কার করতে হবে।
২. গাভীকে নিয়মিত গোসল করাতে হবে। ওলান পরিষ্কার রাখতে হবে। নিয়মিত গাভীর লোমে চিরুনি দিয়ে আচড়িয়ে (গ্রুমিং) দিলে ভালো হয়।
৩. দুধ দোহনের পূর্বে দুধ দোহনকারীর হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে, বাঁট পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
৪. দুধ দোহনের পরে বাঁট পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে দিতে হবে এবং খাবার দিতে হবে যাতে গাভী কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে। সাথে সাথে শুয়ে পরলে বাঁটের ছিদ্র দিয়ে ময়লা বা জীবানু প্রবেশ করতে পারে।
৫. নিয়মিত ওলান, বাঁট এবং দুধ পরীক্ষা করতে হবে। ওলানে কোন অস্বাভাবিকতা দেখা গেলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নিতে হবে।
৬. নিয়মিত খামারে জীবানুনাশক ছিটাতে হবে।
৭. খাদ্যে ভিটামিন ই এবং সেলেনিয়াম রাখা।
৮. অসুস্থ্য গাভীকে সাথে সাথে পৃথক করে রাখা।
৯. অসুস্থ্য হওয়ার সাথে সাথে ভেটেরিনারি চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা
১০. যন্ত্রপাতি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, মশা-মাছি বসতে না দেওয়া ইত্যাদি।

Address

Sunamganj
3000

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Harun- Or- Rasid, DVM posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Dr. Harun- Or- Rasid, DVM:

Videos

Share

Category