ডাঃ আরিফুর রহমান, ডিভিএম, এমএস ইন মেডিসিন-ভেটেরিনারি কনসালট্যান্ট

  • Home
  • Bangladesh
  • Tangail
  • ডাঃ আরিফুর রহমান, ডিভিএম, এমএস ইন মেডিসিন-ভেটেরিনারি কনসালট্যান্ট

ডাঃ আরিফুর রহমান, ডিভিএম, এমএস ইন মেডিসিন-ভেটেরিনারি কনসালট্যান্ট মেডিসিন স্পেশালিস্ট এন্ড সার্জন, ডেইরি এন্ড পেট এনিম্যাল, মোবা: 01723303974, মেইল: [email protected]

02/01/2024

"ভেটেরিনারি সায়েন্স বনাম পশুপালনঃ প্রাণিসম্পদ বিভাগের পশ্চাৎযাত্রা"
ডাঃ মোঃ আবু বকর আহাদ

ঔপনিবেশিক ভারতের সামরিক বাহিনীর প্রয়োজনে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ঘোড়া ও ষাঁড়ের উৎকর্ষতায় আগ্রহ দেখায় এবং ১৭৭৪ সালে ভারতে ঘোড়ার প্রজনন খামার স্থাপন করে। তখন থেকেই উপমহাদেশে আধুনিক প্রাণি চিকিৎসাবিজ্ঞানের সূচনা হয় এবং ভেটেরিনারি পেশার ক্রমবিকাশ ঘটতে থাকে। শুরুর দিকে প্রজনন খামারগুলোর উন্নয়নের জন্য লন্ডন ভেটেরিনারি কলেজ থেকে পাশ করা দক্ষ ভেটেরিনারিয়ানরা ভারতে আসতে থাকে। তাদের মধ্যে অন্যতম প্রথিতযশা ব্রিটিশ ভেটেরিনারিয়ান William Moorcroft -কে ঘোড়ার প্রজনন খামারের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পর খামারের ক্ষতি ৯০ শতাংশ হ্রাস পায়। ১৮৬২ সালে পুনেতে “আর্মি ভেটেরিনারি স্কুল” প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে উপমহাদেশে আনুষ্ঠানিক ভেটেরিনারি শিক্ষার শুরু হয়। এর পনেরো বছর পর ১৮৭৭ সালে প্রথম “সিভিল ভেটেরিনারি স্কুল” প্রতিষ্ঠিত হয় উত্তর প্রদেশের বাবুগড়ে। গবাদি প্রাণীর রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং প্রজনন ব্যবস্থার উন্নয়নে ১৮৮১ সালে ভারতে সিভিল ডিপার্টমেন্টের যাত্রা শুরু হয়। ১৮৮২ সালে পাকিস্তানের লাহোরে প্রথম ভেটেরিনারি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯২৮ সালে রয়্যাল কমিশন অন এগ্রিকালচার ভারতীয় উপমহাদেশে সহকারী ভেটেরিনারি সার্জনের সংখ্যা ৪ গুণ বাড়ানোর প্রস্তাব করে এবং একই সাথে মানসম্মত ভেটেরিনারি ডিগ্রী দেওয়ার লক্ষ্যে বিদ্যমান ভেটেরিনারি কলেজগুলো উন্নত করার পরামর্শ দেয়। পরামর্শ মোতাবেক মাদ্রাজ ভেটেরিনারি কলেজ এই লক্ষ্যে নেতৃত্ব দেয় এবং ১৯৩৬ সালে মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে “ব্যাচেলর অব ভেটেরিনারি সায়েন্স” ডিগ্রী প্রদান শুরু হয়। ঐ সময়ে অবিভক্ত বাংলায় সদ্য প্রতিষ্ঠিত কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ছিলো প্রাণিসম্পদ সেক্টর।

১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ ভাগ হওয়ার পর বেশিরভাগ মুসলিম ভেটেরিনারি সার্জন পূর্ব পাকিস্তানে চলে আসে। ঐ বছরের ৭ ডিসেম্বর কুমিল্লায় “ইস্ট পাকিস্তান ভেটেরিনারি কলেজ” প্রতিষ্ঠা করা হয় যেখানে ৩ বছয় মেয়াদী “ডিপ্লোমা ইন ভেটেরিনারি মেডিসিন এন্ড সার্জারি (ডিভিএমএস)” ডিগ্রি দেয়া হতো যা পরবর্তীতে “লাইসেন্সিয়েট ভেটেরিনারি সায়েন্স (এলভিএস)” হিসেবে নামকরণ করা হয়। এসময় কৃষি ও প্রাণিসম্পদ সেক্টর দুটোকে আলাদা করা হয়। ১৯৫১ সালে কুমিল্লা থেকে “ইস্ট পাকিস্তান ভেটেরিনারি কলেজ” ঢাকার তেজগাঁওয়ে স্থানান্তর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। কলেজের নামকরণ করা হয় “ইস্ট পাকিস্তান কলেজ অব ভেটেরিনারি সাইন্স অ্যান্ড অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি” যেখান থেকে ৫ বছর মেয়াদী “বিএসসি ইন এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি” ডিগ্রি দেয়া হতো (মূলত ভেটেরিনারি সায়েন্স এবং এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি কে অবিচ্ছেদ্য বিবেচনায় এ ধরণের নামকরণ করা হয়)। ১৯৫৭ সালে “ইস্ট পাকিস্তান কলেজ অব ভেটেরিনারি সাইন্স অ্যান্ড অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি” তেজগাঁও, ঢাকা থেকে ময়মনসিংহে স্থানান্তরিত হয় এবং “বিএসসি ইন এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি” ডিগ্রীর নাম পরিবর্তন করে “বিএসসি ইন ভেটেরিনারি সায়েন্স এন্ড এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি” রাখা হয় যা ১৯৬১ সাল পর্যন্ত বলবৎ ছিল।

পূর্ব বাংলার জাতীয় শিক্ষা কমিশন এবং খাদ্য ও কৃষি কমিশনের সুপারিশক্রমে ১৯৬১ সালে “ইস্ট পাকিস্তান কলেজ অব ভেটেরিনারি সাইন্স অ্যান্ড অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি” কে কেন্দ্র করে “ইস্ট পাকিস্তান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়” (বর্তমানে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়) প্রতিষ্ঠিত হয় । ১৯৬২ সালে একই কমিশনের সুপারিশে ইস্ট পাকিস্তান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে “বিএসসি ইন ভেটেরিনারি সায়েন্স এন্ড এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি” ডিগ্রীকে বিলুপ্ত করে ভেটেরিনারি ও পশুপালন নামক দুটি পৃথক অনুষদ তৈরি করা হয়। ভেটেরিনারি অনুষদে “ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন (ডিভিএম)” এবং পশুপালন অনুষদে “বিএসসি ইন এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি” ডিগ্রী প্রবর্তন করে পেশাগত বিভাজনের বীজ বপন করা হয়। উল্লেখ্য, যৌথ ইন্দো-আমেরিকান ও পাক-আমেরিকান বিশেষজ্ঞরা ভারতবর্ষের কৃষি শিক্ষা ও গবেষণায় আমেরিকার এ সুপারিশে “বিএসসি ইন ভেটেরিনারি সায়েন্স এন্ড এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি” ডিগ্রীকে দুটি পৃথক ডিগ্রীতে বিভক্ত করার সুপারিশ করে। ভারতের ২২টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র ৩টি এবং পাকিস্তানের ২টি বিশ্ববিদ্যালয় দুটো ডিগ্রীকে আপাতত আলাদা করে দিলেও পরবর্তী সময়ে ভারতের ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল কমিশন এ দুই ডিগ্রীর বিভক্তি প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করে আবারও সমন্বিত ডিগ্রী চালু করে। কিন্তু বাংলাদেশে এই হুমকি সনাক্ত ও ব্যবস্থা নিতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। ফলে দুই ডিগ্রিধারীদের মধ্যে পেশাগত দ্বন্দ্ব মাঠপর্যায়ে ছড়িয়ে পড়ে।

কৌশলগতভাবে দ্বন্ধ নিরসনে বাংলাদেশ সরকার ভেটেরিনারি মেডিসিন ও পশুপালন উভয় ডিগ্রীকে পুণরায় একীভূত করে “কম্বাইন্ড ডিভিএম” ডিগ্রী চালু করার উদ্যোগ নেয়। যার প্রেক্ষিতে ১৯৯৪ সালে সিলেট সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ এবং ১৯৯৬ সালে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয় যেগুলো পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ নেয়। “কম্বাইন্ড ডিভিএম” ডিগ্রী পরবর্তীতে আরও অনেক কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া শুরু হয় এবং এই ডিগ্রীধারীদের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। প্রতিযোগিতার মনোভাব থেকে পশুপালন ডিগ্রীধারীরাও তাদের সংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্যে শত বিরোধিতা স্বত্ত্বেও ২০১০ সালে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পশুপালন অনুষদ খুলে পশুপালন ডিগ্রী প্রদান শুরু করে। পশুপালন ডিগ্রিধারীরা কম্বাইন্ড ডিভিএম ডিগ্রীর অন্তর্গত পশুপালন বিষয়ের স্বীকৃতি দিতে নারাজ যদিও সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে এসব বিষয়ের বেশিরভাগ শিক্ষক পশুপালন ডিগ্রিধারী। এজন্য পরবর্তীতে যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুনভাবে ভেটেরিনারি সায়েন্স পড়ানো হচ্ছে সেখানে “কম্বাইন্ড ডিভিএম” ডিগ্রীর নাম পুণরায় “বিএসসি ইন ভেটেরিনারি সায়েন্স এন্ড এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি” করা হয়েছে। ভেটেরিনারিয়ানরা “ডিভিএম” অথবা “বিএসসি ইন ভেটেরিনারি সায়েন্স এন্ড এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি” ডিগ্রীর সাথে “বিএসসি ইন এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি” ডিগ্রী একীভূত করার ব্যাপারে সম্মতি দিলেও পশুপালন ডিগ্রীধারীরা স্বকীয়তা ধরে রাখতে বরাবরের মতই অনাগ্রহ প্রকাশ করে আসছে।

অস্তিত্ব সংকটের আশঙ্কা থেকে পশুপালন ডিগ্রিধারীরা এখন নতুন অপকৌশল অবলম্বন করেছে। তার সর্বশেষ উদাহরণ হচ্ছে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বর্তমান সচিব ড. নাহিদ রশীদ (তিনি একজন পশুপালন ডিগ্রিধারী) -এর নেতৃত্বে পশুপালন ডিগ্রীধারীরা স্টেকহোল্ডারদের সাথে পরামর্শ এবং যাচাই বাছাই ছাড়া গোপনীয়তার সাথে “বাংলাদেশ এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি কাউন্সিল আইন” তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন। এই আইনের মাধ্যমে গোষ্ঠীগত স্বার্থ বিবেচনায় পশুপালন ডিগ্রিধারীরা ন্যক্কারজনকভাবে ভেটেরিনারি পেশাজীবীদের অনেক প্রতিষ্ঠিত অধিকার খর্ব করে তা নিজেদের বলে দাবি ও প্রচারণা করছেন। তারা দাবি করছেনঃ প্রাণি উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা, প্রানি পুষ্টি, প্রানি প্রজনন, প্রানিজাত পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, খাদ্য নিরাপত্তা ইত্যাদি তাদের কাজ; আর ভেটেরিনারিয়ানদের কাজ শুধুমাত্র চিকিৎসা করা! অথচ বিশ্ব প্রাণী স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী প্রাণিজাত খাদ্যপণ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং স্থানীয় অথবা আন্তর্জাতিকভাবে বাজারজাতকরণের প্রতিটি স্তরে ইন্সপেকশন ও সার্টিফিকেশনের দায়িত্বে থাকবে শুধুমাত্র ভেটেরিনারিয়ান। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এবং বিশ্ব প্রাণী স্বাস্থ্য সংস্থার সুস্পষ্ট নির্দেশনায় বলা আছে যেঃ ভেটেরিনারিয়ানরা প্রাণি কল্যাণ সমুন্নত রেখে প্রাণি উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা, প্রাণির রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ, প্রজনন ব্যবস্থাপনা, কৃত্রিম প্রজনন, খাদ্য নিরাপত্তা, গণস্বাস্থ্য, জুনোসিস ও মহামারী নিয়ন্ত্রণ, ওষুধ ও টিকা উৎপাদন, প্রাণিজাত পণ্য বাজারজাতকরণ, আমদানি ও রপ্তানিতে সার্টিফিকেশন, প্রজাতি সংরক্ষণ, স্থল ও জলস্থ্ বন্যপ্রাণীর সুরক্ষা, গবেষণা, সম্প্রসারণ ইত্যাদি কার্যক্রমে সরাসরি যুক্ত থাকবেন।

ভেটেরিনারি আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম এমনভাবে সাজানো যাতে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার পর একজন ভেটেরিনারি জেনারেলিস্ট জল, স্থল কিংবা আকাশচরী, গৃহপালিত থেকে বন্য, ভক্ষণযোগ্য কিংবা সহচর এই বিশাল প্রাণী জগতের কল্যাণে কাজ করতে পারেন। এরপর সুনির্দিষ্ট বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহন করে ভেটেরিনারি স্পেশালিস্টগণ মেডিসিন, সার্জারি, থেরিওজেনোলজি, কার্ডিওলজি, ডেন্টিস্ট্রি, ডার্মাটোলজি, অপথালমোলজি, প্যাথলজি, মাইক্রোবায়োলজি, এনেস্থেসিয়া, ইমার্জেন্সি এন্ড ক্রিটিক্যাল কেয়ার, নিউট্রিশন, স্পোর্টস মেডিসিন এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন, ফার্মাকোলজি, টক্সিকোলজি, রেডিওলজি, প্রিভেন্টিভ মেডিসিন, প্রাণী আচরণ, প্রাণী কল্যাণ, গণস্বাস্থ্য ইত্যাদি বিষয়ে প্র্যাকটিস অথবা গবেষণা কার্যক্রমে নিযুক্ত হন। আবার প্রজাতি ভেদে ভেটেরিনারি ডাক্তারগণ দুগ্ধজাত কিংবা মাংসজাত গবাদিপ্রাণী, পোল্ট্রি, পাখি, ঘোড়া, ক্যানাইন (কুকুর জাতীয়), ফেলাইন (বিড়াল জাতীয়), ভক্ষণযোগ্য প্রাণী, ল্যাবরেটরি প্রাণি, সরীসৃপ এবং উভচর প্রাণী, চিড়িয়াখানার প্রাণি, জলজ প্রাণি, সামুদ্রিক বন্যপ্রাণি বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।

বিশ্ব প্রাণী স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী প্রাণী উৎপাদনের মূলনীতি (বাসস্থান, খাদ্য ও প্রজনন ব্যবস্থাপনা), প্রাণি পুষ্টি, প্রাণিজাত খাদ্যপণ্যের বাজারজাতকরণ এবং খাদ্য নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়গুলো ভেটেরিনারি আন্ডারগ্র্যাজুয়েট শিক্ষার কোর কারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত। এই বিষয়গুলোকে প্রি-ভেটেরিনারি সায়েন্স বলে। গাইডলাইনে সুস্পষ্টভাবে এটাও উল্লেখ আছেঃ মৌলিক ভেটেরিনারি সায়েন্স এবং এনিম্যাল প্রডাকশন সম্পর্কিত বিষয়গুলো ভেটেরিনারি আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের শুরুর দিকে পড়াতে হবে অথবা এই বিষয়গুলোকে ভেটেরিনারি আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির পূর্বশর্ত হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রে “ডিভিএম” কিংবা “এমবিবিএস” ডিগ্রীতে আবেদনের যোগ্যতা হিসেবে মৌলিক বিজ্ঞান অথবা সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে অনার্স ডিগ্রী থাকা বাধ্যতামূলক। এ্যাসোসিয়েশন অব অ্যামেরিকান ভেটেরিনারি মেডিক্যাল কলেজের নির্দেশনা অনুযায়ী ডিভিএমে আবেদনের পূর্বশর্ত হিসেবে প্রি-ভেটেরিনারি সায়েন্সের (এনিম্যাল সায়েন্স/হাজবেন্ড্রি, এনিম্যাল নিউট্রিশন এবং জেনেটিক্স) কথা উল্লেখ আছে।এই প্রি-ভেটেরিনারি সায়েন্সের বিষয় নিয়ে বাংলাদেশে “এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি” নামে ব্যাচেলর ডিগ্রী দেওয়া হচ্ছে। প্রি-ভেটেরিনারি সায়েন্স নিয়ে দেশে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম চালু থাকা দোষের কিছু না। কিন্তু প্রি-ভেটেরিনারি সায়েন্সকে ভেটেরিনারি সায়েন্সের সমতুল্য ভাবা এবং সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্রে পশুপালন ডিগ্রীধারীরা নিজেদেরকে ভেটেরিনারি ডাক্তারের চেয়ে অধিকতর যোগ্যতাসম্পন্ন ভাবা অবশ্যই দোষের কিছু। ভেটেরিনারি ডাক্তারদের কাজ শুধুমাত্র প্রাণি চিকিৎসা ইত্যাদি প্রচার করে ভেটেরিনারিয়ানদের প্রতিষ্ঠিত অধিকার খর্ব করার চেষ্টা এবং প্রাণিসম্পদ বিভাগে কাজ ভাগাভাগি করার উদ্দেশ্যে বিদ্যমান “বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল আইন-২০১৯” এর বেশিরভাগ নকল করে “বাংলাদেশ এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি কাউন্সিল আইন-২০২৩” প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়ে পশুপালন ডিগ্রীধারীরা প্রানিসম্পদ বিভাগে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন।

এমবিবিএস ডাক্তাররা নিউট্রিশন এন্ড ফুড সায়েন্স, ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন, পেডিয়াট্রিক নিউট্রিশন ইত্যাদি বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রী নিয়ে মানুষের পুষ্টিরোগ বিশেষজ্ঞ অথবা পুষ্টিবিদ হিসেবে কাজ করছেন। আবার নিউট্রিশন এন্ড ফুড সায়েন্স অথবা ফুড সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি ডিগ্রিধারী গ্র্যাজুয়েটরাও মানুষের ডায়েটিশিয়ান বা পুষ্টিবিদ হিসেবে কাজ করছেন। তাই বলে শেষোক্ত পুষ্টিবিদেরা নিজেদেরকে এমবিবিএস ডাক্তারের চেয়েও বড় পুষ্টিবিদ দাবি করে স্বাস্থ্য ক্যাডারে চাকুরি করছেন না। পুষ্টিবিদ হিসেবে নিজেদের পেশাজীবী দাবি করে বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইনের অনুলিপি তৈরির উদ্যোগ নিচ্ছেন না বরং স্বাস্থ্য বিভাগের কিছু ক্ষেত্রে সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন।

বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত নিয়ন্ত্রিত পেশা আছে হাতেগোনা কয়েকটি। তার মধ্যে ভেটেরিনারি পেশা অন্যতম। কেবলমাত্র নিয়ন্ত্রিত পেশায় প্র্যাকটিস করার পূর্বে সরকারি রেগুলেটরি বডি থেকে লাইসেন্স গ্রহন করা বাধ্যতামূলক। বাংলাদেশেও নিয়ন্ত্রিত পেশাগুলোর জন্য সরকারি রেগুলেটরি বডি রয়েছে যেগুলো প্রফেশনাল কাউন্সিল (যেমন বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল, বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ইত্যাদি) হিসেবে পরিচিত। প্রফেশনাল কাউন্সিল গঠিত হয় জনগণের স্বার্থে (মানুষ ও প্রাণীর জীবনের সুরক্ষার জন্য) আর এসোসিয়েশন হয় গোষ্ঠীর স্বার্থে। কিন্তু দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পেশা না হয়েও পশুপালন ডিগ্রিধারীদের জন্য নিয়ন্ত্রিত পেশার অনুরূপ বাংলাদেশ এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি কাউন্সিল কার স্বার্থে গঠন করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে? তাও আবার বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল আইন-২০১৯ কে নকল করে!

প্রাণিসম্পদ বিভাগে দুই ডিগ্রীদারীদের দ্বন্ধ মেটাতে ব্যর্থ হয়েছিলো অতীতের সকল সরকার। নাহয় এতদিনে মাঠ পর্যায়ে প্রান্তিক খামারিরা ভেটেরিনারি জেনারেলিস্টের পরিবর্তে অনেক ভেটেরিনারি স্পেশালিস্টের সেবা পেতো। সাম্প্রতিক সময়ে অনেকের প্রচেষ্টায় এবং দুই ডিগ্রিধারীদের সমঝোতায় প্রাণি চিকিৎসা, উৎপাদন এবং ব্যবস্থাপনায় এক ডিগ্রী প্রবর্তনে অনেকদূর এগিয়েছিলো প্রানিসম্পদ বিভাগ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। কিন্তু সেই প্রচেষ্টাকে ভন্ডুল করে দিয়েছে পশুপালন ডিগ্রীধারীরা। তাহলে দীর্ঘদিনের দ্বন্ধ জিইয়ে রেখে প্রাণিসম্পদ বিভাগের পশ্চাৎযাত্রা ঠেকাবে কে?

29/04/2023

৭ দিন যাবৎ শুয়ে থাকা গর্ভবতী গাভী চিকিৎসা দেওয়ার পর উঠানো হচ্ছে।

29/04/2023

বাছুরটির কয়েকদিন যাবৎ প্রস্তাব হচ্ছিলোনা। অপারেশন করে দেখা যায় প্রস্রাবের থলি ফেটে প্রস্রাব সমস্ত পেটের ভেতর ছড়িয়ে গিয়েছে। থলিতে অনেকগুলো পাথর পাওয়া গিয়েছে।
সফলভাবে অপারেশনটি করা হয়েছে।
বাছুরটি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ্য।

29/04/2023

বাছুরটি বড় হওয়া সত্ত্বেও সফলভাবে হার্নিয়া অপারেশন করা হয়েছে।

29/04/2023

তীব্র ব্লট এ আক্রান্ত বাছুরটির ট্রকারাইজেশন করে ক্লিয়ার করা হচ্ছে

আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ আমার হাত দিয়ে রুগী সুস্থ্য করতেছেন এ জন্য শুকরিয়া।
17/10/2022

আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ আমার হাত দিয়ে রুগী সুস্থ্য করতেছেন এ জন্য শুকরিয়া।

বাছুরের হার্নিয়া অপারেশন।
28/07/2022

বাছুরের হার্নিয়া অপারেশন।

দুটি বিড়ালের স্পেইং অপারেশন করলাম।স্থান: বাঁকামিয়া ব্রিজ, টাঙ্গাইল।
24/07/2022

দুটি বিড়ালের স্পেইং অপারেশন করলাম।
স্থান: বাঁকামিয়া ব্রিজ, টাঙ্গাইল।

VET CARE PLUSVeterinary  Products App
30/05/2022

VET CARE PLUS
Veterinary Products App

15/03/2022
পুরোনো লেখা, কপি করে দিলাম। অনেক কিছু জানতে পারবেন ভেটেরিনারি পেশা সম্পর্কে।আজ বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস২৪-০৪-২০২১, ১০:৩৩সময়...
05/03/2022

পুরোনো লেখা, কপি করে দিলাম। অনেক কিছু জানতে পারবেন ভেটেরিনারি পেশা সম্পর্কে।

আজ বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস
২৪-০৪-২০২১, ১০:৩৩
সময় টিভি:
আজ বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস
ভেটেরিনারিয়ান বা ভেট মূলত তাদেরই বলা হয় যারা সব ধরনের প্রাণিসম্পদ ও পোল্ট্রির চিকিৎসা করে থাকেন। প্রাণী চিকিৎসকরাই সাধারণত ভেটেরিনারিয়ান নামে পরিচিত। একটি দেশের পুষ্টি বিশেষ করে প্রোটিন, আমিষের চাহিদার ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন এই ভেটেরিনারিয়ানরা।

বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবসে সারা বিশ্বের প্রাণী সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসকদের জন্য বিশেষ একটি দিন। প্রতি বছর এপ্রিলের শেষ শনিবার সারাবিশ্বে যথাযথ মর্যাদায় দিনটি পালিত হয়।
সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, বিনামূল্যে প্রাণীর চিকিৎসা ও পরামর্শ প্রদান, টিকাদান কর্মসূচির মতো আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশ্বের প্রতিটি দেশ পালন করে বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয়- "Veterinarian response to the COVID-19 crisis."

প্রতিপাদ্যের দিকে আলোকপাত করলে দেখা যায়, ভেটেরিনারিয়ানরা কেবল প্রাণীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অবদান রাখছে তা নয়, তারা কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অশ্রান্তভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ভেটেরিনারি ক্লিনিকগুলো তাদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম- ফেস শিল্ড, পিপিই, ভেন্টিলেটরের মতো প্রয়োজনীয় সামগ্রী, পিসিআর মেশিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে তুলে দিয়েছে।
বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) এর ল্যাবে ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের ল্যাবে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের কাজ চলছে। ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের পিসিআর মেশিন, জনবল বিভিন্ন মেডিকেলে দিয়ে সহায়তা করেছে।
মহামারিতে বিশ্বে ভেটেরিনারিয়ানদের বীরত্বগাথা রচিত হয়েছে। ফাইজারের কোভিড ভ্যাক্সিন আবিষ্কার টিমের প্রধান ড. আলবার্ট বোরলা একজন ভেটেরিনারিয়ান। পিপিই নিরাপদে পুনঃব্যবহারের কৌশলের আবিষ্কারক এফ. হ্যাঙ্কেনসনও ভেটেরিনারিয়ান।
আমাদের দেশের ভেটেরিনারিয়ান বিজন কুমার শীলের কথা বলতে হয়। সারা বিশ্ব যখন করোনা ভাইরাসের মহামারিতে দিশেহারা, তখন তিনি করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণের র‌্যাপিড টেস্ট কিট উদ্ভাবন করে মানুষের পাশে এসে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন।
বিজন কুমার শীল একজন আন্তর্জাতিক মানের বাংলাদেশি ভাইরোলজিস্ট, ভ্যাকসিনোলজিস্ট এবং ভেটেরিনারিয়ান বিজ্ঞানী। এর আগে সিঙ্গাপুরে দীর্ঘদিন অবস্থান করা এই ভেটেরিনারি বিজ্ঞানী সেখানে সার্স করোনা ভাইরাস-১ এবং ডেঙ্গু ভাইরাসের র‌্যাপিড টেস্ট কিট উদ্ভাবন করেও অনেক আলোচিত হয়েছিলেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এর তথ্য মতে, সারাবিশ্বে যত ভাইরাসঘটিত রোগ আছে তার শতকরা ৭০ ভাগের উৎপত্তি বন্যপ্রাণী থেকে। এ ছাড়া ডব্লিউএইচও বলছে, জীবন্ত বন্যপ্রাণী ধরা ও বিক্রি যদি চলতে থাকে তবে পৃথিবীতে সামনে আরও ভাইরাসঘটিত রোগের সৃষ্টি হবে।
বিভিন্ন প্রাণী থেকে মানুষে ছড়ানো রোগগুলোকে বলা হয় ‘জুনোটিক ডিজিজ'। এসব রোগের অন্যতম কারণ বন্য জীবজন্তু ও পশু-পাখির সঙ্গে মানুষের সংস্পর্শ বৃদ্ধি পাওয়া।
বিশ্বজুড়ে এখন আতঙ্কের নাম কোভিড-১৯, মহামারি এ ভাইরাসটি ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরের একটি বন্যপ্রাণীর বাজার থেকে ছড়িয়ে পড়ে। বাদুড়ের শরীর থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে বলে মনে করেন মহামারি বিশেষজ্ঞরা। কয়েক বছর আগে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া নিপাহ, সার্স, ইবোলা ভাইরাসের জন্যও বাদুড়কেই দায়ী করা হয়।
সোয়াইন ফ্লু, নিপাহ, ইবোলা, মার্স, সার্স, র‌্যাবিস, অ্যানথ্রাক্স, বোভিন টিবি, মারবুর্গ, লেপটোসিরোসিস এবং বর্তমান কোভিড-১৯ এই সকল বড় বড় মহামারির উৎস প্রাণী। এসব মহামারিতে অতীতে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যুর রেকর্ড রয়েছে।
মানবকল্যাণে ভেটেরিনারিয়ানরা এইসব রোগের উপর গবেষণা করছে। পৃথিবীর প্রাণিকুলের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত না থাকলে মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকবে না। মানুষের সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রাণিকুলের সুস্থতা প্রয়োজন সবার আগে।
এজন্য প্রাণী স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিশ্ব ভেটেরিনারি অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিওভিএ) যৌথভাবে ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন ফর এনিমেল হেলথ (ওআইই), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ্যা (ডব্লিওএইচও) এবং ফুড এন্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন (এফএও) এর সঙ্গে সারাবিশ্বে কাজ করে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ১৯৫৯ সালে স্পেনের মাদ্রিদে বিশ্ব ভেটেরিনারি অ্যাসোসিয়েশন গঠিত হয়। জনস্বাস্থ্যের দিক বিবেচনায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, হিউম্যান মেডিকেল সায়েন্স ও ভেটেরিনারি মেডিকেল সায়েন্সকে একীভূত করে ওয়ান হেলথ ইস্যুতে কাজ করছে। উন্নত দেশে ভেটেরিনারি ডাক্তার ও হিউম্যান মেডিকেল ডাক্তাররা এক হয়ে কাজ করে যাচ্ছে এই সংকট মোকাবিলায়। কিন্তু অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ভেটেরিনারি ডাক্তার ও মেডিকেল ডাক্তারদের সমন্বয় তেমন নেই বললেই চলে। উভয়েই সমন্বয় সাধন করে কাজ করলেই হতে পারে প্রাণিসম্পদ তথা মানবসম্পদের কল্যাণ।
২০০১ সালে বিশ্ব ভেটেরিনারি অ্যাসোসিয়েশন ভেটেরিনারি পেশার সঙ্গে কর্মরত সকল ভেটেরিনারিয়ানদের জন্য একটি বিশেষ দিন আয়োজনের প্রস্তাব করে। যেটা নির্ধারিত হয় প্রতি বছরের এপ্রিল মাসের শেষ শনিবার। দিবসটির মূল লক্ষ্য ভেটেরিনারি পেশাকে সারা বিশ্বের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। প্রাণী, পরিবেশ ও মানুষের উন্নয়নে কাজ করা, খাদ্য নিরাপত্তা এবং প্রাণী পরিবহন ও কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতকরণে ভূমিকা রাখা।
বাংলাদেশে ২০০৮ সালে প্রথম দি ভেট এক্সিকিউটিভ আয়োজন করে বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবসটি। বর্তমানে বাংলাদেশ ভেটেরিনারি এসোসিয়েশন (বিভিএ), দি ভেট এক্সিকিউটিভ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি ছাত্র সমিতি যৌথভাবে দিনটি নানা আয়োজনের সঙ্গে উদযাপন করে থাকে।
প্রাচীনকাল থেকেই ভেটেরিনারি শিক্ষা সারা বিশ্বের মানবকল্যাণে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। খ্রিষ্টপূর্ব ২৫০০ সন থেকে চীন দেশের অধিবাসীরা প্রাণীর চিকিৎসাসমূহ প্যাপাইরাস নামক গাছের পাতায় লিখে রাখতেন। ভেটেরিনারিয়ানরা অনেক আগে থেকেই ইবোলা, সোয়াইন ফ্লু, বার্ড ফ্লু, র‍্যাবিস, ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজের মতো বিভিন্ন জুনোটিক ডিজিস নিয়ে কাজ করছে। বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি, রোগপ্রতিষেধক টিকা এবং প্রতিকারের উপায় বের করতে ভেটেরিনারিয়াদের অবদান অনস্বীকার্য। এ পর্যন্ত যতগুলো টিকা আবিষ্কৃত হয়েছে তার সবই প্রাণিসম্পদের ওপরই পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফল।
ভেটেরিনারি শিক্ষার ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় ক্লয়ডি বারজিলেট নামক এক ব্যক্তি ফ্রান্সের লিয়ন শহরে ১৭৬১ সালে পৃথিবীর সর্বপ্রথম ভেটেরিনারি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। লিয়নে ভেটেরিনারি স্কুল প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ১৭৬৬ সালে মধ্যেই বারলিন, মিউনিখ, মিলান, ভিয়েনা, কোপেনহেগেনে ভেটেরিনারি স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৭৯১ সালে ইংল্যান্ডের প্রথম ভেটেরিনারি স্কুল রয়েল কলেজ অব ভেটেরিনারি সার্জন প্রতিষ্ঠিত হয়। এ ধারাবাহিকতায় আমেরিকাতে ১৮৭৯ সালে প্রথম ভেটেরিনারি স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়।
ভারতীয় উপমহাদেশে আধুনিক ভেটেরিনারি পেশার যাত্রা শুরু হয় ১৭৭৪ সালে ‘ঘোড়া প্রজনন খামার' প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। পরবর্তীতে দক্ষ ভেটেরিনারিয়ান তৈরির উদ্দেশ্যে ১৮৭৭ সালে ভারতের বাবুগড়ে প্রথম ভেটেরিনারি কলেজ স্থাপন করা হয়।
বাংলাদেশে ভেটেরিনারি শিক্ষার গোড়াপত্তন কুমিল্লাতে, ১৯৪৭ সালে ৭ আগস্ট কুমিল্লাতে প্রথম ৩ বছরমেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্স চালু হয়। পরে ১৯৫০ সালে কলেজটি ঢাকার তেজগাঁও স্থানান্তরিত হয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ৫ বছরমেয়াদি পশুপালন ডিগ্রি চালু করা হয়।
১৯৬২ সালে ময়মনসিংহে সবর্প্রথম ইস্ট পাকিস্থান অ্যাগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত হয়। যেটি পরবর্তীতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় নামে নামকরণ হয়। এখানে ১৯৬৩ সালে পশুপালন এবং প্রাণী চিকিৎসা ডিগ্রি পৃথকীকরণ করা হয়। ২০০৬ সালের ৭ আগস্ট দেশের একমাত্র বিশেষায়িত ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিম্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদে রয়েছে ভেটেরিনারি সায়েন্স অনুষদ। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পটুয়াখালী, হাজী দানেশ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে ভেটেরিনারি সায়েন্স অনুষদ।
এ ছাড়া ভেটেরিনারি কলেজের ভেতরে ঝিনাইদহ ও সিরাজগঞ্জ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজে রয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যায়ের ভেতরে একমাত্র গণবিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে ভেটেরিনারি সায়েন্স অনুষদ। প্রাণিসম্পদ তথা মানবকল্যাণে দক্ষ ভেটেরিনারিয়ান তৈরির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানগুলো নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশে থেমে নেই প্রাণিসম্পদ নিয়ে গবেষণা। প্রাণী চিকিৎসকরা বিভিন্ন গবেষণা, বিভিন্ন প্রাণীর নতুন জাত উদ্ভাবন ও জাত উন্নয়ন, উৎপাদন বৃদ্ধি যেমন- দুগ্ধ উৎপাদন, ডিম উৎপাদনে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদের সর্বোপরি পরিচর্যার জন্য ভেটেরিনারি ডাক্তারের গুরুত্ব অপরিসীম। কৃষি খাত ব্যাপকভাবে প্রাণিসম্পদের ওপর নির্ভরশীল। প্রাণিসম্পদের উন্নয়ন ছাড়া কৃষিকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব না। আর প্রাণিসম্পদের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন দক্ষ ভেটেরিনারিয়ানদের। আধুনিক উপায়ে পশুপালন, প্রজনন, চিকিৎসা প্রভৃতি বিষয়ে একজন ভেটেরিনারিয়ানকে জ্ঞান অর্জন করতে হয়।
দেশের মোট প্রাণিজ আমিষের ৭৬ শতাংশ আসে ডিম, দুধ ও মাংস থেকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, খাদ্য ও কৃষি সংস্থা, ইউনিসেফ, রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) ও চিকিৎসকরা করোনা থেকে সুরক্ষা পেতে বেশি করে দুধ, ডিম, মাংস খাওয়ার পরামর্শ দেন। যেগুলোর উৎপাদন ও সরবরাহ নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে ভেটেরিনারিয়ানরা। গত দশ বছরে দেশে ডিম উৎপাদন বেড়েছে চারগুণ, দুধ উৎপাদন বেড়েছে প্রায় পাঁচগুণ, মাংস উৎপাদন বেড়েছে প্রায় আটগুণ। করোনাকালে উৎপাদন ঠিক রাখতে ভেটেরিনারিয়ানরা সাধ্যমতো কাজ করে যাচ্ছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবে, ২০১৬-১৭ অর্থবছর শেষে দেশে গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়ার সংখ্যা ৫ কোটি ৪৭ লাখ ৪৫ হাজার। পোল্ট্রি খাত এখন দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শিল্প, ডেইরি ইন্ডাস্ট্রিও প্রতিষ্ঠিত শিল্প। এসবকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হচ্ছে গ্রামীণ অর্থনীতি। প্রাণিসম্পদ এই উন্নয়নের পেছনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কাজ করছে ভেটেরিনারিয়ানরা।
প্রাণিজ আমিষের চাহিদা মেটাতে ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে দুধ, ডিম, মাংস জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দিতে তারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কাজ করছে। এ ছাড়া করোনাকালে টেলিমেডিসিন সেবা, ভ্রাম্যমাণ ভেটেরিনারি ক্লিনিক নিয়ে ভেটেরিনারিয়ানরা জনমানুষের সেবা করে যাচ্ছে।
দেশের খাদ্য নিরাপত্তা, বেকারত্ব নিরসন এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে ভেটেরিনারিয়ানদের অবদান অনেক। মানুষ এবং প্রাণীর কল্যাণ নিশ্চিত করা বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবসের মূল উদ্দেশ্য। প্রানীর স্বাস্থ্যসেবা, খাদ্য, চিকিৎসা, লালন পালনে একমাত্র দায়িত্ব বর্তায় ভেটেরিনারিয়ানদের ওপর। 'জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর!' স্বামী বিবেকানন্দের এই উক্তির উপর ভিত্তি করে বলা যায় প্রাণীর সেবার মাধ্যমে একজন ভেটেরিনারিয়ান সহজে স্রষ্টার নৈকট্য লাভ করতে পারে।

03/03/2022
02/03/2022

ডেইরি ও পোল্ট্রি খামারি, পোষা পাখি ও প্রাণীর জন্য অনলাইন পরামর্শ ও প্রেসক্রিপশন সার্ভিস।

প্লাটফর্ম: "ভেট কেয়ার প্লাস" এপ।

এপটি মূলত তৈরি করা হয়েছে যেন খামারিরা বা পোষা প্রাণির মালিক সরাসরি রেজিস্টার্ড ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে অনলাইন প্রেসক্রিপশন নিতে পারে এবং খামারিরা নিজেদের পণ্য এপের মাধ্যমে বিক্রয় করতে পারে।

কী আছে এই এপে?
১. সকল ভেটেরিনারি ঔষধ
২. রেজিস্টার্ড ডাক্তার, চেম্বার ও প্রাইভেট ক্লিনিক খোঁজ করা।
৩. নিজেদের খামারের পণ্য ক্রয় বিক্রয় করা।
৪. খামারের কর্মী খোঁজা।

এপ রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম:
১. প্রথমে গুগল প্লেস্টোর থেকে ডাউনলোড করে নিবেন।
২. যেকোন মিনুতে ক্লিক করে নতুন ব্যবহারকারী বাটনে ক্লিক করে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে।

৩. এবার আপনার মোবাইল ও পাসওয়ার্ড দিয়ে প্রবেশ করবেন।

কিভাবে একাউন্ট রিচার্জ করবেন?

এপে রিচার্জ করতে হলে প্রথমে নিজের বিকাশ নম্বরে টাকা রাখবেন।
১. উপরে রিচার্জ বাটনে ক্লিক করলে একটা ইমেইল (যেমন [email protected]) এড্রেস ও টাকার পরিমাণ লিখবেন।
২. সাবমিট বাটনে ক্লিক করলে আপনার বিকাশ নম্বর দিবেন। উক্ত নম্বরে একটা কোড যাবে। ঐটা লিখবেন।
৩. অতঃপর একাউন্ট রিচার্জ সম্পন্ন হয়ে যাবে।

কিভাবে অনলাইন প্রেসক্রিপশন পাবেন?
১. ইমারজেন্সি প্রেসক্রিপশন বাটনে ক্লিক করবেন।
২. প্রাণী ও ফি সিলেক্ট করবেন।
৩. আপনার প্রাণীর ধরণ (গরু, ছাগল, কুকুর, বিড়াল) লিখবেন। প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাবমিট করবেন।
৪. দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রেসক্রিপশন পেতে হটলাইনে কল করতে পারেন।
৫. প্রেসক্রিপশন দেখতে প্রেসক্রিপশন বাটনে ক্লিক করবেন।

ডাক্তারের ফি:
অনলাইন প্রেসক্রিপশন ১০০ টাকা।
হোম কল সার্ভিস: ৫০০ টাকা।
বাছুরের হার্নিয়া অপারেশন: ২৫০০ টাকা
বাছুরের প্রস্রাব আটকে যাওয়া: ২৫০০ টাকা
কুকুরের ও বিড়ালের নিউটার: ২০০০ টাকা
কুকুর ও বিড়ালের স্পেইং: ২৫০০ টাকা

বি. দ্র. অপারেশনের ফি আলোচনা সাপেক্ষে কম বেশি হতে পারে

এপের লিংক:
https://play.google.com/store/apps/details?id=app.vetcareplus

কিভাবে সাইনআপ করবেন। এ বিষয়ে ভিডিও:
https://youtu.be/dqT3JNk3RH0

যুব উন্নয়ন অফিস কতৃক আয়োজিত "পারিবারিক হাঁস-মুরগি পালন" প্রশিক্ষণে ট্রেইনার হিসেবে উপস্থিত আছি।স্থান: পাথরাইল, দেলদুয়ার।
22/02/2022

যুব উন্নয়ন অফিস কতৃক আয়োজিত "পারিবারিক হাঁস-মুরগি পালন" প্রশিক্ষণে ট্রেইনার হিসেবে উপস্থিত আছি।
স্থান: পাথরাইল, দেলদুয়ার।

গাভীর তীব্র গ্যাস সমস্যা। ট্রকারাইজেশন করা হয়েছে এবং স্যালাইন চলমান।
22/02/2022

গাভীর তীব্র গ্যাস সমস্যা। ট্রকারাইজেশন করা হয়েছে এবং স্যালাইন চলমান।

বিড়ালের স্পে করলাম।লোকেশন: শাবালিয়া, টাঙ্গাইল।
19/02/2022

বিড়ালের স্পে করলাম।
লোকেশন: শাবালিয়া, টাঙ্গাইল।

সব সময় চেষ্ঠা করি, একটু কম ফি তে কিভাবে খামারিদের সর্বোচ্চ ভেটেরিনারি সেবা দেওয়া যায়। ডাঃ মোঃ আরিফুর রহমান, ডিভিএম, এমএস...
18/02/2022

সব সময় চেষ্ঠা করি, একটু কম ফি তে কিভাবে খামারিদের সর্বোচ্চ ভেটেরিনারি সেবা দেওয়া যায়।

ডাঃ মোঃ আরিফুর রহমান,
ডিভিএম, এমএস ইন মেডিসিন (বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়),
রেজিস্টার্ড ভেটেরিনারি ফিজিশিয়ান,
মোবাইল/হোয়্যাটসেপ: 01723303974

বাছুরের ইউরোলিথিয়াসিস এর অপারেশন সফল ভাবে সম্পন্ন করলাম।
17/02/2022

বাছুরের ইউরোলিথিয়াসিস এর অপারেশন সফল ভাবে সম্পন্ন করলাম।

12/02/2022
11/02/2022
৭ দিন যাবৎ এক হাতুড়ে ডাক্তার চিকিৎসা দেওয়ার পর অবশেষে গিয়ে শেষ চেষ্টা করলাম। #পার্শিয়াল প্যারালাইসিস #লুজ ফিসিস #উইকনেস
02/02/2022

৭ দিন যাবৎ এক হাতুড়ে ডাক্তার চিকিৎসা দেওয়ার পর অবশেষে গিয়ে শেষ চেষ্টা করলাম।
#পার্শিয়াল প্যারালাইসিস
#লুজ ফিসিস
#উইকনেস

31/01/2022

একজন পোল্ট্রি খামারি তার খামার করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন প্রশিক্ষনার্থীদের সাথে।

গরু মোটাতাজা বিষয়ক প্রশিক্ষণে পাথরাইল ইউনিয়নের কৈজুরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আমি প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত।
28/01/2022

গরু মোটাতাজা বিষয়ক প্রশিক্ষণে পাথরাইল ইউনিয়নের কৈজুরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আমি প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত।

হার্নিয়া অপারেশন করেন-ডাঃ মোঃ আরিফুর রহমান, ডিভিএম, এমএস ইন মেডিসিন, লোকেশন: দেলদুয়ার, টাঙ্গাইল।মোবাইল: 01723303974
14/01/2022

হার্নিয়া অপারেশন করেন-
ডাঃ মোঃ আরিফুর রহমান,
ডিভিএম, এমএস ইন মেডিসিন,
লোকেশন: দেলদুয়ার, টাঙ্গাইল।
মোবাইল: 01723303974

নিরাপদ খাদ‍্য নিশ্চিত করার জন‍্য অন‍্যতম গুরুত্বপূর্ণ আইন পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১১ এর  বিধি ২০২১ প্রণিত ...
05/01/2022

নিরাপদ খাদ‍্য নিশ্চিত করার জন‍্য অন‍্যতম গুরুত্বপূর্ণ আইন পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১১ এর বিধি ২০২১ প্রণিত হয়েছে।

☆ আইনানুযায়ী পশু জবাইয়ের পূর্বে অবশ‍্যই ভেটেরিনারিয়ান কর্তৃক পশুর স্বাস্থ‍্য পরীক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

☆এমনকি জবাইয়ের পরে মাংসে কোন ধরণের জনস্বাস্থ‍্যের ঝুঁকিপূর্ণ কোন কিছু পাওয়া গেলে পুরো কারকাস বা আংশিক মাংস বাতিল বা জব্দ করতে পারবেন একজন ভেটেরিনারিয়ান।

☆যেকোনো ধরণের জবাইখানা পরিচালনায় লাগবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের লাইসেন্স এবং জবাইখানায় থাকতে হবে কমপক্ষে একজন ভেটেরিনারিয়ান।।

☆ যেকোন মূহুর্তে সরকারি ভেটেরিনারিয়ান জবাইখানা পরিদর্শন করতে পারবেন।।

ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা মাননীয় মন্ত্রী জনাব শ ম রেজাউল করিম এমপি এবং সম্মানিত সচিব জনাব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী মহোদয়বৃন্দের প্রতি।

প্রাণঢালা অভিনন্দন জানাই প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সুযোগ‍্য মহাপরিচালক ডাঃ মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা মহোদয়কে।।

কৃতজ্ঞতায়: ডাঃ শাহিনুর ইসলাম ভাই।

যুব উন্নয়ন অফিস কতৃক আয়োজিত পারিবারিক খামার স্থাপন বিষয়ক প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষক হিসেবে ৪ দিন ক্লাস নিয়েছি পাথরাইল ইউনিয়নের...
01/01/2022

যুব উন্নয়ন অফিস কতৃক আয়োজিত পারিবারিক খামার স্থাপন বিষয়ক প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষক হিসেবে ৪ দিন ক্লাস নিয়েছি পাথরাইল ইউনিয়নের একটি গ্রামে।

01/12/2021

চিড়িয়াখানার বাঘের বাচ্চা নিয়ে সাক্ষাৎকারে সম্মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জীববিজ্ঞান ....

Address

Delduar
Tangail
1900

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ডাঃ আরিফুর রহমান, ডিভিএম, এমএস ইন মেডিসিন-ভেটেরিনারি কনসালট্যান্ট posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to ডাঃ আরিফুর রহমান, ডিভিএম, এমএস ইন মেডিসিন-ভেটেরিনারি কনসালট্যান্ট:

Videos

Share

Category



You may also like