21/11/2021
প্রশ্নঃ বাজরিগর কে টেম করানো যায়? কথা বলে? কিভাবে?
হ্যা আমাদের সকলের সব থেকে কমন একটা নীড। আমার পাখিটা আমার সাথে থাকবে, একটু কথা বলবে। নিজের হাতে নিয়ে খাওয়াবো। আরো কত কি।
গ্রপ এর সকলকে অনেক শুভেচ্ছা রইলো। আজকে শুধু মাত্র আমরা কয়েকজন হয়তো নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো। যারা বাজি কে হাল্কা নাইলে সুপার টেম করিয়েছি।
আমার কাছে প্রথম শর্ত হইলো আপনার যথেষ্ট ধৈর্য্য আছে কিনা সেটা বিবেচনা করুন। কেননা একটা পাখিকে কি পরিমান সময় দিতে হয় সেটা তখনি জানবেন যখন আপনি মন থেকে একটা পাখিকে টেম করাইতে যাবেন। অনেক অনেক ঝামেলা, ১ দিন যাবে ১০ দিন চলে যাবে পাখি আপনারে পাত্তাও দিবে না পরে আপনি অতিষ্ট হয়ে এসব ছেড়ে দিবেন এটা মাথায় রাখেন। তাই সময় এবং ধৈর্য্য আছে বিবেচনা করে নিচের কাজ গুলো আস্তে ধীরে করুব।
টেম করার কৌশলঃ
১/ যেকোনো বয়স এর বাজরিগার পাখিকে টেম করা যায়। তবে কিছু ক্ষেত্রে কেবল খেতে শিখেছে এমন ছেলে পাখি টেম করা সুবিধা জনক। তাই টেম করার শুরুতে ৩০-৩৫ দিন হইছে এমন একটি সুন্দর সাস্থ্য দেখে একটি ছেলে পাখি বাছাই করুন। আমার ছেলে মেয়ে দুইটাই টেম। তবে মাথায় রাখবেন ছোট বেবী নিলেই টেম হবে এমন ধারনা রাখা যাবে না। আমি নিজেই ভুলে একটা বাচ্চা মেরে ফেলেছিলাম। এই দিকে আপনারাও খেয়াল রাখুন।
২/ পাখিটিকে আলাদা একটি বড় ১৮*১২ খাঁচায় করে আলাদা আপনার ঘরে রাখুন। যেখান থেকে আপনি সব সময় ওকে দেখতে পারবেন আর সেও আপনাকে। প্রথম সপ্তাহ পাখিটিকে খাবার দেওয়া ছাড়া সামনে যাবেন না বিরক্ত করবেন না।
৩/ পরের সময় খাঁচার বাহির থেকে কথা বলুন ,সিশ দিন, একটি নির্দিষ্ট নাম ধরে ডাকুন প্রতিদিন সর্বনিম্ন ১-১.৫ ঘণ্টা পাখির সাথে একটানা সময় কাটান গল্প করুন। আপনি যেই টেবিল এ বসে কাজ করেন সেখানে এনে রাখুন তারপর নিজের কাজ করুন।
৪/ এরপরে পাখির খাঁচার মেঝেতে আস্তে করে হাত্ রেখে কথা বলুন ভুলেও এই সময় পাখিরে হাত দিয়ে ধরতে যাবেন না। পাখি যখন একটু ভয় কমবে তখন পাখির প্রিয় খাবার টি হাতে নিয়ে খাঁচার ভেতর হাত দিয়ে কথা বলুন ডাকুন। কয়েকদিন এমন করলেই পাখি আপনার হাত থেকে আস্তে আস্তে অল্প অল্প করে খাবার খেতে শুরু করবে। তবে অনেকেই এখানে এসে একটু ঝামেলায় পরেন। তাই খাবার বাটি ২ ঘন্টা খাচা থেকে সরিয়ে রাখুন তার পর হাতে নিয়ে খেতে দিন। ১০-২০ মিন এভাবেই থাকতে হবে কিন্তু আপনাকে। তাই ধৈর্য্য ধরুন। তার পরেও যদি না খায় তো আবার কিছুক্ষন সরিয়ে আবার চেষ্টা করুন। তবে পাখিকে আবার না খাইয়ে রাইখেন না।
৫/ পাখি আপনার হাত থেকে খাবার খাওয়া শুরু করলে পাখিকে আস্তে আস্তে আদর করা শুরু করুন ,তাঁর কান , মাথায় হাত বুলান আস্তে আস্তে চুলকিয়ে দিন । এভাবে যখন আপানার পাখি বিশ্বস্ততা পাবে তখন আপনি হাতের আঙ্গুল এ পাখিকে ডাকুন , ও আস্তে আস্তে আপনার আঙ্গুলে বসবে। তবে প্রথম যেদিন আঙ্গুলে বসবে সেইদিনি পাখিকে খাঁচা থেকে বের করবেন না। ২-৩ দিন আঙ্গুল এ বসলে পাখিকে আস্তে করে খাঁচা থেকে বের করুন। গল্প করুন ও যদি উরে যায় আঙ্গুল থেকে তবে হাত দিয়ে ধরতে যাবেন না। তাকে নাম ধরে ডাকুন , আকৃষ্ট করুন সে আবার আপনার আঙুলে বসবে। এভাবে পর্যাপ্ত সময় দিয়ে তারাহুরা না করে খুব সহজ এই আপনার পাখি কে টেম করতে পারেন ।
৬. অনেকেই চাই বাহিরে নিয়ে যেতে। এই ব্যাপারে আমি এখন অপরাগ। আমার ৮৪ দিনের পিকুকে এখনও ভালো ভাবে সেটার জন্য প্রিপেয়ার করতে পারি নি। তবে Ridoy Khan নামের একজন ভাই অনেক ভালো টেম করিয়েছেন। তিনি আইডিয়া দিলে আরো ভালো হবে। আমার মনে হয় সে জন্য ৪-৫ মাস এরো বেশি সময় দরকার আর আমার তো কেবল ৮৪ দিন।
৭. কথা বলানোর জন্য এক্সট্রা কিছুর দরকার নাই। এভাবেই সময় দিয়ে কথা বলবেন আর কথার বিপরীতে তাকে সীড খাইতে দিবেন সে বুঝে যাবে কথা বললে খাবার পাবো। সেও সেটা ধরে রেখে আরো কথা বলার চেষ্টা করবে। তবে ৩-৫ মাস লাগতে পারে।
ভিডিওর দুইটাই আমার "পিকু আর টুকি"। পিকু আমাকে তার ফিমেল Partner মনে করে নিয়েছে ভিডিও দেখেই বুঝতে পারবেন। আর কথা বলা কেবল শুরু করেছে। টুকিকে তেমন সময় দিতে পারি না এখন। ওকে এখন জোরা করে দিয়েছি। তারপরেও ওর স্বামীর থেকে আমার হাতে থাকতেই বেশি পছন্দ করে ।
Concept by
Kamran khan