13/04/2021
পাখির জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রাকৃতিক খাবার ও উপকারিতাঃ
১) তুলসী পাতা : ঠান্ডা, কাশি, শ্বাস কস্ট, ফুসফুসের সমস্যা দূর করে, জ্বরনাশক, ভিটামিন কে এর উৎস।
প্রচণ্ড শীতে ঠান্ডা জনিত সমস্যা প্রতিরোধে সপ্তাহে একদিন দিতে পারেন। এক লিটার পানির সাথে ৫-১০মিলি পাতার রস।
২) এলভেড়া : গরমে দুর্বলতা কমায়, কিডনি ফুসফুস ভাল থাকে, পালক গজায়, পেটের সমস্যা দূর করে, বাচ্চার লোম ছেঁড়া বন্ধ হয়, কাঁটা ছেঁড়া পোড়া ক্ষত ভাল হয়, ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারী।
সারাবছর নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন, সপ্তাহে একদিন করে। এক লিটার পানির সাথে ১০-১৫মিলি এলভেড়া রস।
৩) পুদিনা পাতা : পেটের সমস্যা ও আমাশয় দূর করে, রুচি বর্ধক ও ঠান্ডা ভাব দূর করে, শক্তিবর্ধক।
৫-১০মিলি রস এক লিটার পানির সাথে মিশিয়ে মাসে এক-দুইদিন।
৪) থানকুনি পাতা : পেটের সমস্যা ও আমাশয় দূর করে, রক্ত পড়া বন্ধ করে, বায়ু নাশক, প্রশান্তি দান করে।
৫-১০মিলি রস এক লিটার পানির সাথে মিশিয়ে মাসে এক-দুইদিন।
৫) নিম পাতা : কৃমি নাশক, শক্তিশালী জীবাণুনাশক, মাইট ধ্বংস হয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, পরিবেশের বাতাস পরিষ্কার করে। বেশি খাওয়ানো যাবেনা।
কৃমি হলে নিমের দ্রবন - প্রতি মাসে টানা ৩ দিন (দিনের বেলায় নিমের দ্রবণ,বিকাল বেলায় সাধারণ খাবারের পানি) ২০/২৫ টি নিম পাতা ভালো করে ধুয়ে ৫০০ মিলি পরিমাণ ফুটন্ত গরম পানিতে ছেড়ে দিন। এর পরে পাত্রটি ঢাকনি দিয়ে ঢেকে ১৫-২০ মিনিট ধরে হালকা আঁচে সিদ্ধ করুন। পানির রঙ গাঢ় বাদামী হলে পাত্রটি চুলা থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা হতে দিন তারপর পাখির পানির পাত্রে দিবেন।
৬) আদা : কফ পরিষ্কার করে, হজমকারক, বায়ুনাশক, বমিভাব দূর করে, দীর্ঘ মেয়াদী ব্যথা দূর করে।
এক লিটার পানিতে এক-দুই চামচ আদা বাটা মিশিয়ে সেই পানি ছেকে খাওয়াতে পারেন সপ্তাহে একদিন।
৭) রসুন : জ্বর নাশক, ঠান্ডা ভাব দূর করে, এগ বাইন্ডিং প্রতিরোধক। আস্ত রেখে দিলে পোকা মাকড় আসে না। বেশি খাওয়ানো যাবেনা।
দুই লিটার পানিতে এক চামচ রসুন বাটা মিশিয়ে সেই পানি ছেকে খাওয়াতে পারেন মাসে এক-দুই দিন।
৮) হলুদ : বায়ুনাশক, ব্যথা নাশক, রক্ত পড়া বন্ধ করে, ক্ষত নাশক, ভাঙ্গা অঙ্গ জোড়া দিতে বিশেষ সাহায্যকারী।
এক লিটার পানিতে এক চামচ হলুদ বাটা মিশিয়ে সেই পানি ছেকে খাওয়াতে পারেন মাসে এক-দুই দিন।
৯) পেয়ারা ও পেয়ারা পাতা : এন্টি অক্সিডেন্ট, পালক গজায়, প্রচুর ভিটামিন সি এর উৎস।
৫-১০মিলি রস এক লিটার পানির সাথে মিশিয়ে মাসে এক-দুইদিন।
১০) জাম্বুরা : জ্বর নাশক, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, হাড় মজবুত করে, চর্বি কমায়। বেশি খাওয়ানো যাবেনা।
৫মিলি রস এক লিটার পানির সাথে মিশিয়ে মাসে এক-দুইদিন।
১১) তরমুজ : এন্টি অক্সিডেন্ট, গরমে দুর্বলতা কমায়, আঘাতের ধকল দূর করে, হজমকারক, বায়ুনাশক, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
১০-১৫মিলি রস এক লিটার পানির সাথে মিশিয়ে মাসে এক-দুইদিন, প্রচণ্ড গরমে প্রতি সপ্তাহে একদিন করে দিতে পারেন।
১২) সজনে পাতা : বহু রোগের ঔষধ, ক্যালসিয়াম এর প্রাকৃতিক উৎস, পেটে গ্যাস বদহজম এবং পেটে ব্যথা উপশম করে, টিউমার বা আঘাত জনিত ফোলা উপশমে বেটে প্রলেপের মতো ব্যবহার করা যায়।
এক লিটার পানির সাথে ১০-১৫মিলি পাতার রস প্রতি সপ্তাহে একদিন দিতে পারেন।
১৩) লেবুর রস : এন্টি অক্সিডেন্ট, চর্বি কমায়, গরমে দুর্বলতা কমায়, ভিটামিন সি এর উৎস, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, যেকোন ক্ষত দ্রুত শুকায়, রুচি বর্ধক, হজমকারক, ফুসফুসের সমস্যা দূর করে।
এক লিটার পানির সাথে ১৫-৩০মিলি লেবুর রস প্রতি সপ্তাহে একদিন দিতে পারেন।
১৪) কালোজিরা : কালোজিরার মধ্যে রয়েছে ফসফেট, লৌহ, ফসফরাস, কার্বো-হাইড্রেট, ক্যন্সার প্রতিরোধক কেরোটিন, শক্তিশালী হর্মোন ও জীবাণু নাশক বিভিন্ন উপাদান। ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া নিধন থেকে শুরু করে শরীরের কোষ ও কলার বৃদ্ধিতে সহায়তা করে কালোজিরা।
এক চামচ কালোজিরা বাটা এক লিটার পানিতে মিশিয়ে সেই পানি ছেকে খাওয়াতে পারেন খাবার পানি হিসাবে প্রতি মাসে এক-দুই দিন।
এই খাবারগুলা নিয়মিত দিলে অনেক রোগের হাত থেকে মুক্ত থাকা যায়।
পাখির পানির পাত্রে পাতা বা ফল গুলোর রস বেটে দেয়া যেতে পারে তবে কিছু কিছু পাতা পাখি নিজ থেকেই খেতে পছন্দ করে।