01/01/2024
২২-২৩ সালে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মৃত্যু পাখি দেখা গেছে,শহরে বাসার ভিতর পাখি ঢুকে আতঙ্কিত অবস্থায় দেখা গেছে এবং শহরের বিভিন্ন জায়গায় শব্দবাজির ভয়ে অজস্র পাখি ছুটাছুটি করতে দেখা গেছে।
এছাড়াও দেশের প্রায় জায়গায় রাস্তার কুকুর,বিড়াল সহ মানুষের বাসার পোষা প্রাণী গুলোও থার্টি ফার্স্ট ন্সিটের আতসবাজির শব্দে ভয়ে আতংকিত হতে দেখা গেছে।
কুকুরের শ্রবণ ক্ষমতা মানুষের প্রায় পাঁচ গুণ। মানুষের কাছে যা খুব ফিসফিস করা শব্দ, কুকুরের কাছে তা হাজার ওয়াটের সাউন্ড সিস্টেম। পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, ৯০ ডেসিবেলের শব্দবাজি কুকুরের কাছে কতটা যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠতে পারে। শব্দবাজির শব্দে বন্ধ্যাত্ব আসছে পাখিদের মধ্যে। পোষা পাখিরাও অন্তত দুটো ডিম পাড়া বন্ধ করে দিচ্ছে। তারপরেও যদি পাখি ডিম পারে, তার মধ্যে ৮০ শতাংশ ছানার ডিম ফুটে আর বের হওয়ার কোন সম্ভাবনাই থাকে না। একটি চকলেট বোম পাখির পরবর্তী প্রজন্মকে গোড়া, কালা কিংবা অপরিণত করার জন্য যথেষ্ট বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
৪০ ডেসিবেল শব্দ কুকুরের কানে ২৪০ ডেসিমেল সমান আঘাত হানে। আর ৯০ ডেসিবেলের শব্দবাজি প্রভাবে হূদরোগ পর্যন্ত হতে পারে পোষ্য কুকুরের। কুকুর কিংবা বিড়ালের ক্ষেত্রে সমস্যাটা অধিকাংশ ক্ষেত্রে মানসিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
একটা সময় এইসব উৎসবে আতসবাজি সুধু ঢাকা শহরের ভিতরে সীমাবদ্ধ থাকলেও বিগত বছর সহ এবছর ফুটবল বিশ্বকাপের সময় এবং বিগত ২ বছর ধরে থার্টি ফার্স্ট নাইটে পাহাড় থেকে শুরু করে সমতলের দূর্গম এলাকা সহ দেশের প্রায় প্রতিটা শহরে আতসবাজি ফুটানো হয়েছে।
কয়েক দিন পরেই আবার আসছে সেই কাঙ্খিত রাত যেটা মানুষের জন্য আনন্দদায়ক হলেও,অন্যান্য প্রাণীর জন্য হবে কালো রাত। আমরা মানুষ জাতি সবসময়ই নিজেদের বিনোদনের জন্য অন্য প্রাণীর জীবন হুমকির মুখে ফেলে দেই। আমরা নিজেরাও জানিনা এই অল্প সময়ের সামান্য বিনোদনের জন্য মানুষ সহ পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যর কত বড় ক্ষতি আমরা করছি।