27/12/2023
Post - 1:
প্রক্রিয়াধীন 'Animal Husbandry Council Act' প্রসঙ্গে -
প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে মানুষ পশু পালন (animal husbandry) করছে। কালক্রমে মানুষ কৃষিকাজ আয়ত্ব করে। পশু পালনের জন্য নূতন নূতন প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হয়েছে। পশু পালনের একটি অন্যতম অনুষঙ্গ হলো পশুর স্বাস্থ্য (animal health) সুরক্ষা ও পশুর কল্যাণ (animal welfare) নিশ্চিত করা। সাম্প্রতিক কালে পশু পালন ও পশু স্বাস্থ্যের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মানুষের স্বাস্থ্যের (public health/one health) বিষয়টি। Animal husbandry/animal science ও veterinary science শিক্ষায় উচ্চতর পর্যায়ে বিশেষায়নের সুযোগ থাকলেও স্নাতক পর্যায়ে এই দুটি শিক্ষার বিভাজন করা হলে এবং মাঠ পর্যায়ে এই পেশাদুটিকে আলাদা করলে কি ধরনের জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে, বাংলাদেশ তার করুণ দৃষ্টান্ত।
Animal health, animal welfare ও public health নিশ্চিত করনের গুরুদায়িত্ব পালন করেন ভেটেরিনারিয়ানগণ।
প্রাণিকূলের তথা মানুষের স্বাস্থ্য ও কল্যাণ নিশ্চিত করনে ভেটেরিনারিয়ানদের পেশাগত দায়িত্ব পালন অত্যন্ত স্পর্শকাতর। আর সেজন্যই অন্যান্য স্পর্শকাতর পেশা যথা মেডিক্যাল, আইন ও ফার্মেসী পেশার ন্যায় ভেটেরিনারি পেশাও স্বাধীন নিয়ন্ত্রক সংস্থা (statutory body) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। বাংলাদেশে এই সংস্থার নাম বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল, যা Bangladesh Veterinary Council Act 2019 (পূর্ববর্তী Veterinary Practioner's Act 1982) দ্বারা পরিচালিত।
এইটি অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে সম্প্রতি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব এর উদ্যোগে Bangladesh Veterinary Council Act এর অনুকরণে Bangladesh Animal Husbandry Act তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। আমি জানি না এটি কি মাননীয় সচিব এর অজ্ঞতা না কি সংকীর্ণ পক্ষপাতদুষ্টতার পরিচায়ক ! ( মাননীয় সচিব একজন পশুপালন গ্র্যাজুয়েট) ।
অত্যন্ত সঙ্গত কারণেই প্রক্রিয়াধীন Act টি চলমান Bangladesh Veterinary Council Act এর duplication ও সাংঘর্ষিক হতে বাধ্য, যা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর তথা সরকারের জন্য নূতন জটিলতা সৃষ্টি করবে। আমার বিশ্বাস সরকার নিশ্চয়ই চাইবে না যে প্রাণিসম্পদ সেক্টরে নূতন করে জটিলতা তৈরি হোক এবং প্রাণিসম্পদ এর বিকাশ বিঘ্নিত হোক। তদুপরি সরকার নিশ্চয় ভেবে দেখবে পশু উৎপাদন, মৎস্য উৎপাদন বা কৃষি উৎপাদন সম্পর্কিত পেশাজীবিদের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের জন্য নূতন নূতন Act ও Council তৈরি করা নৈতিক ও আর্থিক বিবেচনায় কতটা বাস্তবসম্মত ও দূরদর্শী সিদ্ধান্ত হবে। আশা করি প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় জাতির বৃহত্তর স্বার্থে অবিলম্বে Animal Husbandry Council Act তৈরির পরিকল্পনা থেকে সরে আসবে।
২...
Post - 2:
সম্প্রতি Facebook এ প্রচারিত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ এর একটি মন্তব্যের (সংযোজিত) প্রেক্ষিতে আমার এই post -
মাননীয় সচিব এর মতে ভেটেরিনারিয়ানদের দায়িত্ব শুধু অসুস্থ প্রাণির চিকিৎসা করা। আর প্রাণিপুষ্টি, খামার ব্যবস্থাপনা, প্রজনন, বায়োসিকিউরিটি, ফুড সেফটি, প্রাণিজাত পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরন, পশুর জাত উন্নয়ন ও উৎপাদন পশুপালন গ্র্যাজুয়েটদের দায়িত্ব। একজন সাধারণ মানুষের এরকম ধারণা হতেই পারে, কিন্ত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, যিনি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অভিভাবক, তাঁর মুখে এই মন্তব্য নিতান্তই অনাকাঙ্খিত। এ কথা সত্য যে ভেটেরিনারিয়ানদের অন্যতম দায়িত্ব প্রাণি স্বাস্থ্য ও প্রাণি কল্যাণ নিশ্চিত করা, কিন্ত উপরে উল্লেখিত অন্যান্য সেবা গুলো ভেটেরিনারি সার্ভিস এর সাথে উৎপ্রোত ভাব জরিত। তাই পৃথিবীর সকল দেশেই অন্তত মাঠ পর্যায়ে এই সকল সেবা ভেটেরিনারিয়ানদের মাধ্যমেই দেয়া হয়। এর পেছনে কিছু যৌক্তিক কারন রয়েছে, যেমন -
(ক) কোন খামারীকে প্রাণি পুষ্টি সম্পর্কে পরামর্শ দিতে গেলে পুষ্টির অভাবজনিত রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার প্রসঙ্গ বাদ দেয়া যায় না।
(খ) আজকের যুগে রোগ প্রতিরোধ ও রোগ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে বাদ দিয়ে খামার ব্যবস্থাপনার কথা ভাবা যায় না।
(গ) প্রজনন স্বাস্থ্য বিবেচনায় না নিয়ে প্রজনন কার্যক্রম অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
(ঘ) বায়োসিকিউরিটির লক্ষ্য হলো কোন খামারে যেন রোগ জীবাণু ঢুকতে না পারে এবং খামারের ভিতরে এবং খামার থেকে খামারে রোগ জীবাণু ছড়াতে না পারে। তাই বায়োসিকিউরিটি সম্পর্কে পরামর্শ দিতে গেলে রোগ জীবাণু ও রোগ বিস্তার সম্পর্কে জ্ঞান অপরিহার্য।
(ঙ) ফুড সেফটি সংক্রান্ত অন্যতম ঝুঁকি হলো প্রাণিজাত খাদ্যের মাধ্যমে মানুষে রোগ সংক্রমণ, যার মধ্যে zoonotic রোগও রয়েছে।
(চ) পশুর জাত উন্নয়নের ক্ষেত্রেও রোগ সংবেদনশীলতার কথাও ভাবতে হয়। বিদেশ থেকে উন্নত জাতের পশু আমদানির ক্ষেত্রে ভেটেরিনারি সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়।
(ছ) প্রাণিজাত পণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরন শুরু হয় animal slaughter এর মাধ্যমে, আর সেক্ষেত্রে antemortem ও postmortem inspection কিন্ত ভেটেরিনারিয়ানদেরই করতে হয়।
(জ) বর্তমান সময়ে রোগ প্রতিরোধ, রোগ নিয়ন্ত্রণ, বায়োসিকিউরিটি, ফুড সেফটি, ইত্যাদি বাদ দিয়ে উৎপাদনের কথা ভাবা যায় না। প্রাণিজাত পণ্য রপ্তানির প্রশ্ন আসলে এ সকল বিষয়ে compliance এর ভেটেরিনারি সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়।
এর অর্থ হলো এ সকল কার্যক্রম ভেটেরিনারি সার্ভিস থেকে অবিচ্ছেদ্য। এ কারনেই পৃথিবীর সকল দেশেই ভেটেরিনারি পাঠ্যক্রমে উপরোক্ত বিষয়সমূহ পরিমিত পরিমাণে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আমার ছাত্র ও শিক্ষক জীবনের সুদীর্ঘ 48 বৎসর ধরে ভেটেরিনারিয়ান ও পশু পালন গ্র্যাজুয়েটদের কর্মপরিধি নিয়ে এই দ্বন্দ্ব দেখে আসছি, যা বাংলাদেশে প্রাণিসম্পদ বিভাগ তথা প্রাণিসম্পদ সেক্টরের উন্নয়নের প্রধান অন্তরায়।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের নূতন organogram পাশ করার প্রাক্কালে প্রাণিসম্পদ বিভাগে কর্মরত ভেটেরিনারি ও পশুপালন গ্র্যাজুয়েটরা এই বাস্তবতা উপলব্ধি করে এই সমস্যার সমাধানের পথে অনেকটা এগিয়েছিলেন। প্রাইভেট সেক্টর থেকেও মন্ত্রণালয়ে এ ব্যাপারে চিঠি দেয়া হয়েছিল। মন্ত্রণালয়ও একটি কমিটি গঠন করে কিছু কার্যক্রম শুরু করেছিল। কিন্ত দুর্ভাগ্য জনক হলেও সত্য কোন অজ্ঞাত কারনে সেই কার্যক্রম স্তিমিত হয়ে আসে। বর্তমান সচিব ড. নাহিদ রশীদ এই সমস্যাটির সমাধানের পথে না হেটে বরং Bangladesh Veterinary Council Act ও অন্যান্য আইনের সাথে সাংঘর্ষিক ও অবাস্তব Animal Husbandry Council Act প্রণয়ন এর জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন। তিনি যে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেই পরিচয় ভুলে গিয়ে একজন পশুপালন গ্র্যাজুয়েটের আবেগ এর বশবর্তী হয়ে এই সমস্যাটি আরো জটিল করে তুলেছেন।
সবাই আমার সাথে একমত হবেন তা আমি প্রত্যাশা করি না। তবে আমি বিশ্বাস করি যে এই সমস্যার একটিই স্থায়ী সমাধান হতে পারে, তা হলো স্নাতক পর্যায়ে একটি মাত্র সমন্বিত ডিগ্রি প্রবর্তন করে মাঠ পর্যায়ে one stop service নিশ্চিত করা। তবে গবেষণা জন্য ও industry তে কিছু বিশেষায়িত সেবা প্রদানের জন্য প্রাণি পুষ্টি, জেনেটিক্স, ব্রিডিং, ডেইরী টেকনোলজি, প্রসেসিং, পোল্ট্রি সাইন্স ও পোল্ট্রি হেলথ, ইত্যাদি বিষয়ে এবং প্রাণি চিকিৎসার বিভিন্ন বিশেষায়িত শাখায়, ও এপিডেমিওলজি, পাবলিক হেলথ/ওয়ান হেলথ বিষয়ে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে উচ্চতর শিক্ষার সুযোগ অবারিত থাকতে হবে।
৩....
Post - 3:
প্রস্তাবিত Animal Husbandry Council Act কি ও কেন?
কৌতুহল বসত অত্যন্ত আগ্রহ ভরে আমি প্রস্তাবিত Animal Husbandry Council Act এর খসড়াটি আবারও পড়ে দেখলাম। এটি Bangladesh Veterinary Council Act এর অবিকল নকল। শুধু প্যারাভেট সংক্রান্ত ধারা গুলো বাদ দেয়া হয়েছে। আর 'ভেটেরিনারি' শব্দের পরিবর্তে 'এ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি', 'ভেটেরিনারিয়ান' এর পরিবর্তে 'এ্যানিমেল হাজবেন্ড্রিয়ান', 'ভেটেরিনারি প্র্যাকটিস' এর পরিবর্তে 'এ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি প্র্যাকটিস', 'বেসরকারি ভেটেরিনারি ক্লিনিক, ডায়াগনোস্টিক সেন্টার' এর পরিবর্তে 'বেসরকারি প্রাণী পুষ্টি ল্যাবরেটরি, কৃত্রিম প্রজনন ল্যাবরেটরি, এ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি বিষয়ক ল্যাবরেটরি' শব্দসমূহ ব্যবহৃত হয়েছে। আপাতদৃষ্টে এতে দোষের কিছু নেই। কিন্ত কেন এধরনের একটি আইনের প্রয়োজন পড়লো তা কিন্ত বোধগম্য হলো না।
প্রস্তাবিত আইনে এ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি প্র্যাকটিস এর সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে নিন্মরূপ:
"এ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি প্র্যাকটিস” অর্থ প্রাণীর উৎপাদন, প্রজনন, পুষ্টি, রোগ প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা, প্রযুক্তি সম্প্রসারণ কার্যক্রম, মাংস, দুধ ও ডিম উৎপাদন, ভ্যালু এডেড প্রোডাক্ট উৎপাদন, প্রাণী উৎপাদন বিষয়ে গবষেণা, কৃত্রিম প্রজনন বিষয়ে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদান বা পরামর্শ প্রদান।
পরবর্তীতে প্রস্তাবিত আইনের 17 নং ধারায় বলা হয়েছে "(এ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি কাউন্সিল এর) নিবন্ধন ও সনদ ব্যতীত এ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি প্র্যাকটিস নিষিদ্ধ"।
অর্থাৎ একজন BSc AH গ্র্যাজুয়েট ছারা অন্য কেউ উপরোল্লেখিত বিষয়ে কোন পরামর্শ বা সেবা দিতে পারবেন না। একবার ভেবে দেখুন তো -
• একটি খামারে পুষ্টির অভাবজনিত কোন রোগ দেখা দিলে একজন ভেটেরিনারিয়ান উক্ত রোগ প্রতিরোধে কোন পরামর্শ দিতে পারবেন না !
• কোন খামারে কোন রোগের কারণে উৎপাদন ব্যাহত হলে রোগ প্রতিরোধে ভেটেরিনারিয়ানদের কোন পরামর্শ দেয়ার অধিকার নেই !
• পশুর প্রজনন কার্যক্রম এর পূর্বে তার reproductive fitness দেখার বা venereal disease transmission সম্পর্কে পরামর্শ দেয়ার অধিকার ভেটেরিনারিয়ানদের নেই !
• প্রযুক্তি সম্প্রসারণ কার্যক্রম এর অধিকার ভেটেরিনারিয়ানদের থাকবে না, এমনকি তা যদি রোগ নিয়ন্ত্রণ ও জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিতও হয়!
• ডিম, দুধ, মাংস উৎপাদনে স্বাস্থ্যসম্মত খামার ব্যবস্থাপনা ও বায়োসিকিউরিটি সম্পর্কে পরামর্শ দেয়ার অধিকার ভেটেরিনারিয়ানদের থাকবে না!
• প্রাণিজাত Value added পণ্য উৎপাদন বা প্রাণিজাত পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরন এর ক্ষেত্রে ফুড সেফটি (freedom form zoonotic pathogen, microbial and chemical contamination, antimicrobial residues) নিশ্চিত করনে ভেটেরিনারিয়ানদের কোন ভূমিকা থাকবে না !
এসকল কার্যক্রম তো DLS এর রুটিন regulatory ও extension কার্যক্রমের অংশ। এগুলো কি মানুষ বা প্রাণীর চিকিৎসা কাজের মতো একটি statutory Council দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা এতই জরুরী? আমার তো মনে হয় প্রাণিসম্পদ এর উন্নয়ন এর স্বার্থে নয় বরং এ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি গ্র্যাজুয়েটদের জন্য কিছু চাকুরী নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই এই অপ্রয়োজনীয় আইনের অবতারনা। তথাকথিত এ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি প্র্যাকটিস নিয়ন্ত্রণের নামে Animal Husbandry Council Act প্রাণিসম্পদ এর উন্নয়নে শুধু নূতন প্রতিবন্ধকতাই তৈরী করবে।
এ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি বিষয়ক আলাদা স্নাতক ডিগ্রি চালু করার পর থেকেই বিগত 60 বছর ধরে ভেটেরিনারি ও এ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি গ্র্যাজুয়েটদের কর্মপরিধি ও কর্মক্ষেত্র নিয়ে বিতর্ক ও দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এর ফলে দেশে একদিকে যেমন প্রাণিসম্পদের উন্নয়ন মারাত্মক ভাবে বিঘ্নিত হচ্ছ, অন্যদিকে কর্মক্ষেত্রে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
এই সমস্যার একটিই সমাধান - স্নাতক পর্যায়ে একটি সমন্বিত ডিগ্রি প্রবর্তন করা এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে বিশেষায়িত ডিগ্রির সুযোগ অবারিত রাখা। আর তা যদি না হয়, DLS কে ই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আগামী দিনে DLS তার সকল টেকনিক্যাল পদে শুধুমাত্র সমন্বিত ডিগ্রিধারী ছাড়া অন্য কোন গ্র্যাজুয়েটকে recruit করবে না।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, পার্শ্ববর্তী ভারতে প্রাণিসম্পদ বিভাগের নাম Department of Animal Husbandry and Dairying হলেও সেখানে department এর mainstream এ মূলত এক ধরনের গ্র্যাজুয়েটই কাজ করে - তা হলো BVSc & AH.
তাই বিতর্কিত Animal Husbandry Council Act এর মাধ্যমে বিদ্যমান সমস্যাকে আরো জটিল না করে বরং এই সমস্যার একটি চিরস্থায়ী সমাধান করে প্রাণিসম্পদ এর উন্নয়নকে তরাণ্বিত করাই মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।
আমার পূর্বের দুটি post আমার timeline এ দেখতে পাবেন।
প্রফেসর ড: মো: রফিকুল ইসলাম স্যার, প্যাথলজি বিভাগ, ভেটেরিনারি অনুষদ, বাকৃবি, ময়মনসিংহ।
Global Secretary,
World Veterinary Poultry Association(WVPA)