22/06/2022
এ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী পাখিকে বারবার দিতে বলার মূল কারন এই ছোট্ট গাছটার জাদুকরি ঔষধী গুণাবলীর জন্য ।
এই গাছে যা আছে :
*ভিটামিন :
এ্যালোভেরাতে প্রচুর পরিমাণে
ভিটামিন এ, বি-১২, সি, ই ও বিটা
ক্যারোটিন আছে।
*মিনারেল :
এতে প্রাণীদেহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ খনিজ
উপাদান, যেমন- কপার, ম্যাগনেসিয়াম,
জিঙ্ক, ক্রোমিয়াম, ক্যালসিয়াম,
সোডিয়াম আয়রন ও ম্যাঙ্গানিজ আছে।
*এ্যামাইনো এ্যাসিড :
এ্যালোভেরাতে মোট ২০ টি এ্যামাইনো
এ্যাসিড আছে যা প্রোটিন সংশ্লেষণে
সাহায্য করে। জীবদেহের জন্য প্রয়োজনীয়
৮ টি এ্যামাইনো এসিডের মধ্যে ৭ টি
এ্যালোভেরাতে উপস্থিত আছে।
*শর্করা :
এ্যালোভেরাতে লম্বা শিকল
যুক্ত পলিস্যাকারাইড আছে, যা পাখির
জীবনিশক্তি বৃদ্ধি করে এবং শরীরের
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
*এনজাইম :
এ্যালোভেরাতে উপস্থিত
এনজাইম সমূহের মধ্যে প্রধান দুটি হলো
লাইপেজ এবং প্রোটিসেজ। এগুলো খাদ্য
কণাকে ভেঙ্গে ফেলে এবং পরিপাকে
সহায়তা করে।
এ্যালোভেরার উপকারিতা :
*পাখির শরীর সতেজ ও ঠান্ডা রাখে, যা গরমের সময় পাখির হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে সহায়তা করে ।
*পাখির শরীরের দুর্বলতা দূর করার জন্য যেকোন প্রকার স্যালাইন এবং সাপ্লিমেন্ট
এর চাইতে এ্যালোভেরা বেশি কার্যকর এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত।
*পাখির শরীরের ভিটামিন ও
মিনারেলের ঘাটতি পূরণ করে।
*পাখির পরিপাকতন্ত্র এবং শ্বসনতন্ত্র
কে সুস্থ সবল রাখে।
*অনেক সময় বাবা-মা বাচ্চার শরীরের
পালক তুলে ফেলে, যাকে আমরা ফেদার
প্লাকিং বলি। এই পরিস্থিতিতে
বাচ্চার সারা দেহে এ্যালোভেরা জেল
লাগিয়ে দিলে বাবা-মা পালক তুল
ফেলা বন্ধ করবে।
*পাখির শরীরের কোন অংশে পালক না
গজিয়ে থাকলে এ্যালোভেরা জেল
লাগাতে হবে, শীঘ্রই সেখানে নতুন পালক
উঠবে।
*এ্যালোভেরার দ্রবন দিয়ে পাখিকে
নিয়মিত গোসল করালে ত্বক বা চামড়ার
যেকোন সমস্যা দূর হয়ে যাবে, পালক গুলো
চকচকে দেখাবে।
*কোন কারণে পাখি আঘাত পেলে এবং
রক্তপাত হলে সাথে সাথে
এ্যালোভেরার জেল লাগিয়ে দিতে
হবে। এতে আঘাতপ্রাপ্ত স্থানের ব্যথা
কমে যাবে এবং রক্তপাত বন্ধ হয়ে উক্ত
জায়গা টা দ্রুত শুকিয়ে যাবে।
এই ধরণের ক্ষত ভিতর থেকে
সারাতে এবং শরীরের ভিতরের
অঙ্গসমূহে কোন ক্ষত থেকে থাকলে তা
সারাতে এ্যালোভেরা যথেষ্ট কার্যকর।
প্যারাকিট জাতীয় পাখিকে সরাসরি
একটি ১-২ ইঞ্চি লম্বা টুকরা কেটে দিতে
পারেন। পাখি এটা কামড়ালেই জেল টা
পেটে চলে যাবে। যদি পাখি সেটা না
করে এবং ফিঞ্চ, জাভা, ডাভ এদের ক্ষেত্রে,
দ্রবণ বানিয়ে খাওয়াতে হবে।
নিচে দ্রবন তৈরীর নিয়ম দেওয়া হলো :
১ চামচ ঘৃতকুমারী এর নরম শাস চটকে নিয়ে
১ কাপ / ২৫০ মিলি পানিতে ৬-৭ ফোটা
লেবুর রস মিশিয়ে দ্রবন তৈরী করুন ।
(শীতকালে ১ চামচ খাঁটি মধু মিশিয়ে দ্রবণ তৈরী
করুন )
এই দ্রবণটি পরিষ্কার পানির পাত্রে
পাখিকে খেতে দিন। এটি ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত
পাখির খাঁচায় রাখা যাবে।
সংগৃহীত ।।