04/08/2021
অর্থ বুঝে কোরআন পড়া ও শেখার চমৎকার ঘটনা
(সংকলিত)
এক ব্যক্তি প্রচুর কুরআন পড়তো, তবে তার থেকে কিছু তার মুখস্ত থাকত না । একদিন তার ছোট ছেলে তাকে জিজ্ঞাস করলো, তুমি এতো কুরআন পড় কিন্তু কিছুই মুখস্ত রাখতে পার না, এতে কী লাভ ?
তিনি বললেন, আচ্ছা, আমি তোমাকে এই প্রশ্নটির উত্তর দিব তার আগে তুমি এই বেতের ঝুড়িটি দিয়ে সমুদ্র থেকে পানি এনে আমাকে দেখাও ।
ছেলেটি বললোঃ এটাতে পানি ভরে আনা তো অসম্ভব ব্যাপার ।
বাবা বললোঃ চেষ্টা করে দেখ ।
বেতের ঝুড়িটি কয়লা আনা-নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত হতো । ছেলেটি ঝুড়িটি নিল এবং সমুদ্রের দিকে রওয়না হলো ৷ সমুদ্রের পানি তাতে ভরে পিতার কাছে নিয়ে আসতে আসতে ঝুড়িটি থেকে সব পানি বের হয়ে গেল ।
এবার সে পিতাকে বললোঃ এতে কী লাভ ? পানি তো সব বের হয়ে যাচ্ছে ! পিতা বললোঃ চেষ্টা চালিয়ে যাও ।
ছেলেটি দুইবার, তিনবার, চারবার, পাচবার এভাবে করেক বার চেষ্টা করেও পানি ধরে রাখতে পারল না ।
অবশেষে ক্লান্ত শ্রান্ত বদনে পিতার কাছে ফিরে এসে বললোঃ আমার পক্ষে পানি দিয়ে এই পাত্রটিকে ভরে আনা সম্ভব না ।
বাবা তখন ছেলেটিকে বললোঃ তুমি কি খেয়াল করেছ ঝুড়িটির কি হয়েছে ?
ছেলেটি বললোঃ 'হ্যাঁ । ঝুড়িতে আমি পানি ধরে রাখতে পারিনি, তবে পানি ঝুড়ির মধ্যে থাকা কয়লার কালো ময়লা ধুয়ে সাফ করে দিয়েছে । এখন সেটি পরিষ্কার ও চকচক করছে ।
পিতা বলল, তুমি ঠিক ধরেছো বাবাসোনা । কুরআনও তোমার অন্তরের সাথে একই কাজ করে । অর্থাৎ দুনিয়া ও দুনিয়াবি কাজের কারণে তোমার অন্তর কলুষিত হয়ে যায় । কুরআন সমুদ্রের পানির মতো তোমার অন্তরকে পাক-সাফ করে দেয় যদিও তুমি তার থেকে কিছু তোমার অন্তরে সংরক্ষণ করে রাখতে না পার ! মুখস্ত না করতে পারলেও প্রতিদিন অর্থসহ তেলাওয়াত করো ।
মনে রেখো, কুরআনের নাযিলকৃত প্রথম আয়াত "পড়"। সুতরাং কুরআন মুখস্ত করতে না পারার কারণে শয়তান যেন তোমার মনে ওসওয়াসা সৃষ্টি করতে না পারে এবং তোমাকে কুরআন পড়া থেকে দূরে রাখতে না পারে ৷
কুরাআন নিয়মিত পড় ।
কুরআান অর্থসহকারে পড় ।
কুরআন বুঝে পড় ।