Jasco Agro Vet

  • Home
  • Jasco Agro Vet

Jasco Agro Vet Our product only for animal

ছা*গল জান্না*তের প্রাণী⁉▬▬▬▬◈◍◈▬▬▬▬🔴প্রশ্ন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “তোমারা ছাগ*লের কদর করো এবং তার ...
16/07/2022

ছা*গল জান্না*তের প্রাণী⁉
▬▬▬▬◈◍◈▬▬▬▬

🔴প্রশ্ন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
“তোমারা ছাগ*লের কদর করো এবং তার শরীরের ধুলোমাটি ঝেড়ে দাও। কারণ ছা*গল জান্না*তি প্রাণী।”
এ হাদিসটি কি সহিহ? সহিহ হলে এর ব্যাখ্যা কি?

🔵উত্তর:

হ্যাঁ, এ মর্মে বর্ণিত হাদিসটি সহিহ। নিম্নে এ সংক্রান্ত একাধিক হাদিস, হাদিসের মান, ব্যাখ্যা এবং ছা*গল সংক্রান্ত কিছু ইসলামের কিছু বিধিবিধান সংক্ষেপে উপস্থাপন করা হল:
আবু হুরায়রা রা. ও আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. হতে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,

صَلُّوا فِي مَرَاحِ الْغَنَمِ، وَامْسَحُوا بِرُغَامِهَا، فَإِنَّهَا مِنْ دَوَابِّ الْجَنَّةِ»

“তোমারা ছা*গল বাধার স্থানে (ছা*গলের খোয়াড়ে) সালাত আদায় করো এবং তার শরীরের ধুলোমাটি (ও নাকের ময়লা) মুছে দাও। কারণ তা জান্না*তের প্রাণী সমূহের অন্তর্ভুক্ত।”

❑ হাদিসটি উৎস এবং মান:
– ইমাম বাগভী বলেন, হাদিসটি হাসান। [সূত্র: শারহুস সুন্নাহ ১/১৪১]
– শাইখ আলবানি বলেন, হাদিসটি সহিহ। [সূত্র: সহিহুল জামে, হা/ ৩৭৮৯]
– ইমাম বাইহাকী বলেন, এ হাদিসটি মারফু এবং মউকুফ উভয়ভাবেই বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু মাওকুফ (সাহাবির বক্তব্য) হওয়াটাই অধিক বিশুদ্ধ। তবে এটি মারফু হাদিসের হুকুমে। [সূত্র: আস সুনানুল কুবরা ২/৪৪৯]

এ হাদিসের সমার্থবোধক আরও একাধিক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। যেমন:

عبدالله بن عمر وأبو هريرةعَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
عليكم بالغَنمِ ، فإنَّها من دوابِّ الجنةِ ، وصَلُّوا في مُراحِها ، وامسحُوا رِغامَها- صحيح الجامع-ا4073
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَكْرِمُوا الْمِعْزَى، وَامْسَحُوا بِرُغَامِهَا، فَإِنَّهَا مِنْ دَوَابِّ الْجَنَّةِ»، وَإِسْنَادُهُ ضَعِيفٌ، لَكِنَّهُ يُقَوِّيهِ هَذَا الْمَوْقُوفُ الصَّحِيحُ

❑ উপরোক্ত হাদিসটির ব্যাখ্যা:

◽১) রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার উম্মতকে তাদের দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য উপকারী বিষয়ে তাদের সমাজ ব্যবস্থা ও অবস্থার আলোকে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।

◽২) উক্ত হাদিসে ছাগ*ল প্রতিপালন ও ছাগ*লের প্রতি যত্ন নেয়ার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

◽৩) মুহাদ্দিসগণ বলেন, (هذا إشارةٌ إلى طَهارتِها) ছা*গল বাধার স্থান বা ছা*গলের খোয়াড়ে (ছা*গল যেখানে রাত কাটায়) সালাত আদায় করার দ্বারা ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, উক্ত স্থানটা পবিত্র। সুতরাং কেউ যদি সেখানে দরকার বোধে সালাত আদায় করে তাহলে তার সালাত সহিহ হবে।

◽৪) জান্না*তে দুনিয়ার পশু-পাখীর নামের অনুরূপ কিছু পশু-পাখী আছে-যেগুলোর প্রকৃত আকার-আকৃতি আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেন না।
প্রকৃতপক্ষে জান্না*তে যে সব পশু, পাখি, ফল-মূল ইত্যাদি রয়েছে বলে বিভিন্ন হাদিসে উল্লেখিত হয়েছে সেগুলো কেবল নামের ক্ষেত্রে মিল আছে। বাস্তবে জান্না*তেরগুলো যে কত সুন্দর, সুস্বাদু ও মূল্যবান তা মানুষের কল্পনা করা সম্ভব নয়।

❑ ‘ছা*গল জান্না*তি প্রাণী’ এ কথার অর্থ কি?

◉ মুনাবী (মুহাম্মদ আব্দুর রঊফ আল মুনাবী, জন্ম: ৯৫১ মৃত্যু: ১০৩১-মিসর) তাইসির গ্রন্থে বলেন,

(الشَّاة من دَوَاب الْجنَّة) أَي الْجنَّة فِيهَا أشياه. وأصل هَذِه مِنْهَا، لَا أَنَّهَا تصير بعد الْموقف إِلَيْهَا؛ لِأَنَّهَا تصير تُرَابا؛ كَمَا فِي الخبر. انتهى.”

“ছা*গল জান্না*তের প্রাণী” এ হাদিসের অর্থ হল, জান্না*তে ছা*গল আছে আর দুনিয়ার ছাগ*লের মূল হল সেগুলো। তার অর্থ এই নয় যে, হাশরের পর এ সব ছা*গল জান্না*তে যাবে। কারণ হাশরের ময়দানে সেগুলো মাটিতে পরিণত হবে যেমনটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে।”

◉ “ছা*গল জান্না*তের প্রাণী” এ কথার ব্যাখ্যায় কানাযুঈ (القنازعي) শরহুল মুয়াত্তায় বলেন,

(فإنَّهَا مِن دَوَابِّ الجَنَّةِ)، يَعْنِي: هِيَ مِنْ طَعَامِ أَهْلِ الجَنَّةِ، قالَ اللهُ -جَلَّ وَعَزَّ- في أَهْلِ الجَنَّةِ: {وَأَمْدَدْنَاهُمْ بِفَاكِهَةٍ وَلَحْمٍ مِمَّا يَشْتَهُونَ} [الطور: 22] يَعْنِي بهِ: لَحْمَ الضَّأنِ. انتهى

“ছা*গল জান্না*তি প্রাণী’ অর্থ হল, তা জান্না*তবাসীদের খাবার। যেমন আল্লাহ বলেন, “আর আমারা তাদেরকে বাড়িয়ে দেব ফলমূল এবং গোশত যা তারা কামনা করবে।” (সূরা তুর: ২২) উদ্দেশ্য হল, ছা*গল বা ভেড়া*র গোশত।

❑ ইসলামে ছা*গল সংক্রান্ত কিছু বিধিবিধান:
কুরআন-হাদিস ছা*গল সংক্রান্ত অনেক আলোচনা এসেছে এবং এর সাথে বেশ কিছু বিধিবিধান জড়িত রয়েছে। যেমন:

◾১. কুরআনে বর্ণিত হয়েছে যে, মুসা আলাইহিস সালাম ছা*গল চরিয়েছেন। (সূরা ত্ব-হা ১৭ ও ১৮)

◾২. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বাল্যকালে ছা*গল চরিয়েছেন। (সহিহ বুখারি)

◾৩. বরং সকল নবী-রাসূল ছা*গল চরিয়েছেন।
روى البخاري في صحيحه من حديث أبي هريرة رضي الله عنه أن النبي صلى الله عليه وسلم قال: «مَا بَعَثَ اللَّهُ نَبِيًّا إِلَّا رَعَى الغَنَمَ»، فَقَالَ أَصْحَابُهُ: وَأَنْتَ؟ فَقَالَ: «نَعَمْ، كُنْتُ أَرْعَاهَا عَلَى قَرَارِيطَ لِأَهْلِ مَكَّةَ»
◾৪. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, السَّكِينَةُ فِي أَهْلِ الغَنَمِ “ছা*গল ওয়ালাদের মধ্যে প্রশান্তি রয়েছে।” (বুখারি ও মুসলিম)

◾৫. ইসলামে ছা*গল, ভেড়া, দুম্বা ইত্যাদি দ্বারা আকিকা দেয়া সুন্নত; উট, গরু ইত্যাদি দ্বারা নয়।

◾৬. যে সব গবাদি পশু দ্বারা কুরবানি দেয়া জায়েজ সেগুলো হল, উট, ছা*গল, ভেড়া ও দুম্বা (নর ও মাদী)।

◾৭. যে সব গবাদি পশু দ্বারা হাজিদের জন্য হাদি (হজ্জের কুর*বানি) দেয়া জায়েজ সেগুলো হল, উট, ছা*গল, ভেড়া ও দুম্বা (নর ও মাদী)।

◾৮. অধিক বিশুদ্ধ মতে, ওজু থাকা অবস্থায় ছা*গলের গোস্ত খেলে ওজু ভঙ্গ হয় না কিন্তু উটের গোশত খেলে ওজু ভঙ্গ হয়ে যায়। (সহিহ মুসলিম) যদিও এ বিষয়ে আলেমদের মাঝে দ্বিমত রয়েছে।

◾৯. ছাগ*লের খোয়াড়ে সালাত আদায় করা জায়েজ (পূর্বোল্লিখিত হাদিস) পক্ষান্তরে উটের খোয়াড়ে সালাত আদায় করতে হাদিসে নিষেধাজ্ঞা বর্ণিত হয়েছে।

◾১০. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুনিয়াকে একটা মৃ*ত কানকাটা ছা*গল ছানার সাথে তুলনা করেছেন।

◾১১. এ ছাড়াও ছা*গলের গোশত খাওয়া, দুধ পান করা, ছা*গলের চামড়া পরিশোধন (ট্যানারি) করে কাজে লাগানো, ছা*গলের যাকাত প্রদান ইত্যাদি বিষয়ে অনেক হাদিস রয়েছে।

আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে জান্না*তবাসী হিসেবে কবুল করুন। আমিন।

▬▬▬✪✪✪▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল।
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব।।

ঘাস কাটায় জরুরী সতর্কবার্তা ------------------------------------------ বজ্রপাতের পরে, দিনের প্রথম বৃস্টির পরে এবং মেঘলা ...
21/04/2022

ঘাস কাটায় জরুরী সতর্কবার্তা
------------------------------------------

বজ্রপাতের পরে, দিনের প্রথম বৃস্টির পরে এবং মেঘলা আবহাওয়ায় গরুর ঘাস কাটবেন না। কাটলেও ঘাস অবশ্যই ২/৩ ঘন্টা রোদে রেখে তারপর খাওয়াবেন। কারন বজ্রপাতের পরে অথবা প্রথম বৃস্টির পরে ঘাসে অতিরিক্ত বিষাক্ত নাইট্রেট জমা হয় যে কারনে গরুর পেট ফাপা, পাতলা পায়খানা, বিষক্রিয়া সহ একাধিক সমস্যা হতে পারে। এমনকি নাইট্রেট বিষক্রিয়ায় গরু মারাও যেতে পারে।
নাইট্রেট বিষক্রিয়ার কারন :--
-------------------------------------

১) অতিরিক্ত খরার পর বৃষ্টি,
২) শুকনা সিজনে যেসকল জমিতে অতিরিক্ত ইউরিয়া ব্যবহার হয়, সেই জমির ঘাস,
৩) আলু, ভুট্টা, তরমুজ, মরিচ ইত্যাদি চাষের জমির ঘাস,
৪) নতুন গজানো কচি (লকলকে), কিছুটা কালচে ঘাস,
৫) নতুন হেলেঞ্চা, কলমি জাতীয় ঘাস,
৬) বজ্রপাত।

সতর্কতা ----
১) এ সকল ঘাস কম পরিমাণে দেয়া
২) হে বা অর্ধ শুকনো অবস্থায় খাওয়ানো
৩) অর্ধেক ঘাস, অর্ধেক খড় মিশিয়ে খাওয়ানো।

সতর্ক থাকুন। ভালো রাখুন আপনার গরু।
Source:Internet/ Abdullah Al Masud Sagor

08/01/2022
গর্ভবতী গাভীকে নিরাপদে রাখতে যে বিষয়গুলো গুরুত্ব দিতে হবেপালন করা গাভী গর্ভবতী হলে গাভীকে নিরাপদ রাখার জন্য বেশ কিছু কাজ...
14/11/2021

গর্ভবতী গাভীকে নিরাপদে রাখতে যে বিষয়গুলো গুরুত্ব দিতে হবে

পালন করা গাভী গর্ভবতী হলে গাভীকে নিরাপদ রাখার জন্য বেশ কিছু কাজ করতে হয়। নিচে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল-

১। স্বাস্থ্যকর পরিবেশঃ

যে ঘরে আপনি গর্ভবতী গাভীকে রাখবেন সেটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হওয়া চাই। যাতে কোন ধরনের জীবাণুর সংক্রমণ না হয়। আর ঘরে অবশ্যই পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যবস্থা থাকতে হবে।খেয়াল রাখতে হবে, যাতে গরু নড়া চড়া ও ওঠা-বসা করার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা থাকে। কারন এসময় একটি ধাক্কা খেলেও গর্ভাপাত হয়ে যেতে পারে।গর্ভবতী গাভীর ঘর প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে।প্রয়োজনে হালকা জীবানু নাশক মিশিয়ে পানি দিয়ে ঘুয়ে দিতে হবে।এতে করে ঘরে রোগ জীবাণুর পরিমান অনেক কমে যাবে।

২। আলাদা বাসস্থানঃ

গর্ভকালের ৭ মাস পর্যন্ত গাভীর দেখা শোনা, খাদ্য, পরিচর্যা, দুধ দোহন সবই স্বাভাবিক ভাবে চলতে থাকবে। কিন্তু ৭ মাসে পরার সাথে সাথে গাভিটি বিশেষ যত্ন প্রত্যাশা করে।কারন এই সময়ই থেকে গর্ভস্থ বাচ্চাটির বৃদ্ধি খুব দ্রূত হয়। এ বাড়তি পরিচর্যার প্রথম কাজ হিসেবে গাভীটিকে অন্যান্য গাভী থেকে আলাদা করতে হবে। এই সময় গাভির পূর্ন বিশ্রাম প্রয়োজন। আর দিতে হবে বাড়তি খাবার, বাড়তি পরিচর্যা থাকার ঘরটি গাভীর উপযোগী হওয়া দরকার।

৩। বাচ্চা প্রসবের সঠিক সময় জানাঃ

গর্ভবতী গাভীর সুরক্ষার জন্য প্রথমেই জানতে হবে প্রাকৃতিক বা কৃত্রিম উপায়ে প্রজনন করানোর বিষয়টি। একটি গাভীকে বীজ দেওয়ার পর ২৭০-২৯০ দিনের মধ্যে সাধারণত বাচ্চা দেয়। তাই বীজ দেওয়ার পরই আপনার জেনে নিতে হবে সম্ভাব্য কত দিন পরে প্রসব হবে। সেই হিসেবে আপনাকে প্রস্তুতি নিতে হবে।

৪। গাভীকে শান্ত রাখতে হবেঃ

গর্ভাবস্থায় গাভীর জন্য শান্ত ঝামেলা মুক্ত পরিবেশ খুব প্রয়োজন।এই অবস্থায় গাভীকে কোন ভাবেই ভয় পাওয়ানো, দ্রুত তাড়ানো বা উত্তেজিত করা যাবে না।অস্থির হয়ে লম্প-ঝম্প করতে গিয়ে কম্প হয়ে গর্ভের বাচ্চাটির মহা সর্বনাশ হতে পারে।

৫। সুষম খাদ্য প্রদানঃ

দুধ উৎপাদঙ্কারী গর্ভবতী গাভীর দুধ উৎপাদনের শেষ ভাগে ৭১ দেহের সঞ্চিত ভিটামিন, মিনারেল,চর্বি ও অন্যান পুষ্টিকর উপাদান সমূহ দুধের মাধ্যমে প্রায় নিঃশেষ হয়ে যায়। গর্ভাবস্থার শেষের দিকে গর্ভস্থ বাচ্চাটি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে। তাই এই সময়ই গাভীর স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য ও গর্ভস্থ বাচ্চার স্বাভাবিক বাড়ন অক্ষুন্ন রাখার জন্য ২-৩ মাস অতিরিক্ত সুষম খাদ্য ও বিশেষ যত্নের প্রয়োজন।

গবাদী পশুর শরীরে 'জিংক' এর ভূমিকাঃজিঙ্ক কি ?জিংক একটা ধাতব পদার্থ এবং একই সাথে গরুর জন্য প্রয়োজনীয় একটা ট্রেস মিনারেল। ট...
06/11/2021

গবাদী পশুর শরীরে 'জিংক' এর ভূমিকাঃ

জিঙ্ক কি ?

জিংক একটা ধাতব পদার্থ এবং একই সাথে গরুর জন্য প্রয়োজনীয় একটা ট্রেস মিনারেল। ট্রেস মিনারেলস এই জন্য বলা হয় কারণ গরুর শরীরে এটা খুব সামান্য মাত্রায় দরকার হয়।

কিন্তু পরিমানে কম হলেও গবাদী পশুর তথাা শরীরবৃত্তীয় কাজে এটার ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। হল্যান্ড সরকার এবং ওয়েজেনিনজেন বিশ্ববিদ্যালয় এর এক যৌথ গবেষণায় বলা হয়েছে ৪০ লিটার দুধ দেয় এরকম একটা গভীর দৈনিক ৩২ মিলিগ্রাম জিঙ্ক দরকার হয় যার বেশিরভাগ গরু ঘাস থেকে পেয়ে থাকে। কিন্তু যেসব গরুকে সঠিক মাত্রায় পর্যাপ্ত পুষ্টিকর ঘাস দেয়া সম্ভব হয়না এবং দুধের পরিমান বেশি হয়, সেইসব গরুকে বাইরে থেকে খাদ্যের উপাদান হিসাবে জিংক সরবরাহ করা হয়।

#জিংক এর প্রয়োজনীয়তা : জিংক গবাদী পশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, কোষের গঠন ঠিক রাখে। জিংক স্বল্পতায় গরু ধীরে ধীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। এছাড়া জিংক এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো স্বাদের অনুভূতি ঠিক রাখে এবং খাদ্যের প্রতি চাহিদার ধরে রাখে। জিংক স্বল্পতায় গরু খাদ্য গ্রহণ কমিয়ে দেয়।

জিংক এর একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ চামড়ার গঠন ঠিক রাখে ,যার ফলে গরু দেখতে সুন্দর হয় এবং ত্বকের রোগ থেকে রক্ষা পায়।

*** চেক রিপাবলিক সরকারের প্রাণিসম্পদ বিভাগের করা এক গবেষণায় দেখা গেছে জিংক স্বল্পতায় গরুর দৃষ্টিশক্তি কমে যায়, এমনকি অন্ধ হয়ে যায় এবং অবয়ব বিকৃত হয়ে যায় এবং গরুর শরীরে প্রোটিন এবং এনার্জি মেটাবলুজম বাধাগ্রস্থ হয়। যার ফলে গরুর ওজন কমে যায়। একই গবেষণায় আরো দেখা যায় জিংক গরুর প্রজনশক্তির উপরে প্রভাব বিস্তার করে এবং দুধ উৎপাদন বৃদ্ধিতে সাহাজ্য করে।

নোট : অনেকে জিংক ঔষধ মনে করেন, তাদের জন্য জানাচ্ছি, জিংক ঔষধ নয়। জিংক খাদ্য উপাদান।(সংগ্রহ)

06/11/2021
কৃমি (পরজীবি): সকল প্রকার গবাদি পশুই অন্তঃ ও বহিঃ পরজীবি দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে। অন্তঃ পরজীবিকে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়-  ...
05/11/2021

কৃমি (পরজীবি): সকল প্রকার গবাদি পশুই অন্তঃ ও বহিঃ পরজীবি দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে।

অন্তঃ পরজীবিকে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়-



ক) পাতা কৃমি।

খ) ফিতা কৃমি।

গ) গোল কৃমি।

বহিঃ পরজীবির মধ্যে উকুঁন, আঁটালী ও মাইট উল্লেখযোগ্য। আইভারমেকটিন ঔষধ দ্বারা চিকিৎসা করা যেতে পারে ।



লক্ষণঃ

পশুর খাদ্য পুষ্টিতে ভাগ বসায় ও পশুর রক্ত শোষণ করে। পশু দিনদিন শুকিয়ে দূর্বল ও হাড্ডিসার হয়ে পড়ে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। পাতলা পায়খানা করে। শরীরের লোম বা পশম উসকো খুসকো থাকে। অনেক ক্ষেত্রেই বাছুরের মৃত্যু ঘটে। বয়স্ক পশুর উৎপাদন কমে যায়।



করণীয়ঃ

পশুকে বছরে ৩-৪ বার নিয়মিত কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়াতে হবে গবাদি পশুর বাসস্থান পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বহিঃ পরজীরি ক্ষেত্রে নিয়মিত পরজীবি নাশক ঔষধ সেপ্র করতে হবে।

আমাদের প্রোডাক্ট
05/11/2021

আমাদের প্রোডাক্ট

Address


Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Jasco Agro Vet posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Pet Store/pet Service?

Share