![বাংলাদেশে শীতকাল, অর্থাৎ নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি, শুধুমাত্র আমাদের জন্য নয়, রাস্তার অসহায় কুকুর-বিড়ালদের জন্যও একটি ক...](https://img4.voofla.com/832/707/578317498327079.jpg)
18/12/2024
বাংলাদেশে শীতকাল, অর্থাৎ নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি, শুধুমাত্র আমাদের জন্য নয়, রাস্তার অসহায় কুকুর-বিড়ালদের জন্যও একটি কঠিন সময়। হাড়-কাঁপানো ঠান্ডায় তাদের কষ্টের শেষ থাকে না। ঠান্ডা থেকে তাদের রক্ষা করার জন্য আমাদের একটু সহানুভূতি আর যত্নই পারে তাদের এই দুঃসময়টা সহজ করে তুলতে। শীতকালে কুকুর-বিড়ালের শরীরের তাপমাত্রা ধরে রাখতে খাবারের প্রয়োজন বেড়ে যায়। তাই শুকনো খাবার, যেমন বিস্কুট বা বিশেষ ড্রাই ফুড, কিংবা রান্না করা সেদ্ধ খাবার দিতে পারি। তবে মশলাদার ও তেলে ভাজা খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি, কারণ এগুলো তাদের জন্য ক্ষতিকর। সঙ্গে অবশ্যই তাদের জন্য পরিষ্কার ও টাটকা পানি সরবরাহ করতে হবে, যাতে তারা হাইড্রেটেড থাকে।
তাদের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয় তৈরি করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গাছের তলায়, দোকানের বারান্দায় বা অন্য কোনো শুকনো স্থানে পলিথিন, কাঠ বা কার্ডবোর্ড দিয়ে ছোট একটি ঘর তৈরি করা যেতে পারে। পাশাপাশি, একটি পুরনো কম্বল, সোয়েটার বা কাপড় তাদের শরীর গরম রাখতে অনেক সহায়ক হতে পারে। শীতকালে অসুস্থতার ঝুঁকি বেশি থাকে, তাই যদি সম্ভব হয়, কাছাকাছি পশু চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের টিকার ব্যবস্থা করা বা প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া উচিত। বাচ্চা কুকুর-বিড়ালের বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন, কারণ তারা শীতে আরও বেশি অসহায়। নরম কাপড়, তুলা বা কম্বল দিয়ে তাদের গরম রাখার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
শীতের কষ্ট শুধু শারীরিক নয়, মানসিকভাবেও তারা একাকীত্বে ভোগে। তাদের সঙ্গে একটু সময় কাটানো, আদর করা বা খেলার মাধ্যমে তাদের মন উষ্ণ করা সম্ভব। পাশাপাশি, এই উদ্যোগে আশপাশের মানুষদের জড়িত করা যেতে পারে। কমিউনিটির সবাই মিলে ফান্ড তৈরি করে খাবার ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা সম্ভব। সোশ্যাল মিডিয়ায় সচেতনতা ছড়িয়ে আরও মানুষকে এই উদ্যোগে যুক্ত করা যেতে পারে। শীতকালে কুকুর-বিড়ালের জন্য এই ছোট ছোট পদক্ষেপগুলো তাদের জন্য জীবন বদলে দিতে পারে। একটি কম্বল, এক মুঠো খাবার কিংবা একটু নিরাপদ আশ্রয় তাদের বেঁচে থাকার বড় ভরসা হয়ে উঠতে পারে। আসুন, এই শীতে সহানুভূতি আর ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দিয়ে তাদের জীবনে একটু উষ্ণতা নিয়ে আসি।