03/10/2022
☰
যে ৪ দোয়া পড়তে পারেন এক মিনিটেই!
যে ৪ দোয়া পড়তে পারেন এক মিনিটেই!
আল্লাহর ভয় অর্জনের মাধ্যমে গোনাহ থেকে ক্ষমা লাভের মাস রমজান। মুমিন মুসলমানের জন্য অনেক সাওয়াব ও পুরস্কার লাভের ফজিলতপূর্ণ তাসবিহ ও দোয়া তুলে ধরা হলো। যা এক মিনিটেই পড়া সম্ভব। এ দোয়া ও তাসবিহগুলো হলো-
- سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ سُبْحَانَ اللهِ الْعَظِيمِ
উচ্চারণ : 'সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম'। (বুখারি, মুসলিম)
- رَبِّ ابْنِ لِي عِندَكَ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ
উচ্চারণ : 'রাব্বিবনি লি ইংদাকা বাইতান ফিল জান্নাহ'। (সুরা তাহরিম : আয়াত ১১)
- سُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ خَلْقِهِ وَرِضَا نَفْسِهِ وَ زِنَةَ عَرْشِهِ وَ مِدَادَ كَلِمَاتِهِ
উচ্চারণ : 'সুবহানাল্লাহি আদাদা খালক্বিহি ওয়া রিদা নাফসিহি ওয়া ঝিনাতা আরশিহি ওয়া মিদাদা কালিমাতিহি' (মুসলিম)
- رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنفُسَنَا وَإِن لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ
উচ্চারণ : 'রাব্বানা জ্বালামনা আংফুসানা ওয়া ইল-লাম তাগফিরলানা ওয়া তারহামনা লানাকুনান্না মিনাল খাসিরিন' (সুরা আরাফ : আয়াত ২৩)
বিজ্ঞাপন
এ দোয়া ও তাসবিহগুলোর ২টি কুরআন থেকে নেয়া আর ২টি হাদিস থেকে নেয়া। কুরআন হাদিসের পুরো বর্ণনা হলো-
- তাসবিহ
سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ سُبْحَانَ اللهِ الْعَظِيمِ
উচ্চারণ : 'সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম'। (বুখারি, মুসলিম)
বিজ্ঞাপন
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, দু’টি কলেমা (বাণী) রয়েছে, যেগুলো দয়াময় আল্লাহ্র কাছে অতি প্রিয়, উচ্চারণে খুবই সহজ, (আমলের) পাল্লায় অত্যন্ত ভারী। (বাণী দু’টি হচ্ছে)- 'সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহান্নাল্লাহিল আজিম’—আমরা আল্লাহ্ তা’আলার প্রশংসাসহ তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করছি, মহান আল্লাহ্ অতি পবিত্র।' (বুখারি, মুসলিম)
- দোয়া
رَبِّ ابْنِ لِي عِندَكَ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ
'রাব্বিবনি লি ইংদাকা বাইতান ফিল জান্নাহ'। (সুরা তাহরিম : আয়াত ১১)
বিজ্ঞাপন
ফেরাউনের স্ত্রী হজরত আছিয়া আল্লাহর কাছে তার কাছেই জান্নাত লাভের প্রার্থনা করেছিলেন। যা আল্লাহর অনেক পছন্দ হয়ে যায়। যা তিনি উম্মতে মুহাম্মাদির জন্য কুরআনে তুলে ধরেন। আর তাহলো- আল্লাহ তা'আলা মুমিনদের জন্য ফেরাউনের স্ত্রীর দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন। সে বলল- হে আমার পালনকর্তা! আপনার সন্নিকটে জান্নাতে আমার জন্য একটি গৃহনির্মাণ করুন, আমাকে ফেরাউন ও তার দুষ্কর্ম থেকে উদ্ধার করুন এবং আমাকে জালেম সম্প্রদায় থেকে মুক্তি দিন।' (সুরা তাহরিম : আয়াত ১১)
- তাসবিহ
سُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ خَلْقِهِ وَرِضَا نَفْسِهِ وَ زِنَةَ عَرْشِهِ وَ مِدَادَ كَلِمَاتِهِ
'সুবহানাল্লাহি আদাদা খালক্বিহি ওয়া রিদা নাফসিহি ওয়া ঝিনাতা আরশিহি ওয়া মিদাদা কালিমাতিহি' (মুসলিম)
হজরত জুওয়াইরিয়াহ রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, ফজরের নামাজের সময় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর কাছে আসলেন অথবা ফজরের নামাজের পর সকালে আসলেন। তারপর রাবী তার হুবহু হাদিস বর্ণনা করেন। কিন্তু তাতে পার্থক্য শুধু এই যে, তিনি বলেছেন, 'সুবহানাল্লাহি আদাদা খল্কিহি সুবহানাল্লাহি রিদা নাফ্সিহি সুবহানাল্লাহি যিনাতা আরশিহি সুবহানাল্লাহি মিদাদা কালিমাতিহি', অর্থাৎ- 'আমি আল্লাহর প্রশংসার সাথে পবিত্রতা বর্ণনা করছি তাঁর অসংখ্য মাখলুকের পরিমাণ, তার সন্তুষ্টির সমান, তাঁর আরশের ওজন পরিমাণ এবং তাঁর কালিমাসমূহের সংখ্যার সমান।' (মুসলিম)
- দোয়া
رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنفُسَنَا وَإِن لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ
'রাব্বানা জ্বালামনা আংফুসানা ওয়া ইল-লাম তাগফিরলানা ওয়া তারহামনা লানাকুনান্না মিনাল খাসিরিন' (সুরা আরাফ : আয়াত ২৩)
হজরত আদম ও হাওয়া আলাইহিস সালাম জান্নাতে আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করায় তারা উভয়ে আল্লাহর কাছে এভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন, 'হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা নিজেদের প্রতি জুলুম করেছি। যদি আপনি আমাদের ক্ষমা না করেন এবং আমাদের প্রতি অনুগ্রহ না করেন, তবে আমরা অবশ্যই অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব।' (সুরা আরাফ : আয়াত ২৩)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রমজানসহ সব সময় অল্প সময়ের এ দোয়াগুলো পড়ে যথাযথ ফজিলত ও মর্যাদা লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/পিআর
দোয়া আমল কুরআন হাদিস ইবাদত উপদেশ
আরও পড়ুন
সাহরি-ইফতারের সময়সূচি ২০২০
সাহরি-ইফতারের সময়সূচি ২০২০
যেসব তাৎপর্যপূর্ণ দোয়া পড়া হবে আজকের তারাবিহতে
যেসব তাৎপর্যপূর্ণ দোয়া পড়া হবে আজকের তারাবিহতে
করোনায় শুরু হওয়া রমজান যেভাবে কাটাবেন মুমিন
করোনায় শুরু হওয়া রমজান যেভাবে কাটাবেন মুমিন
মক্কা-মদিনায় তারাবিহ শুরু : নামাজ পড়াবেন যারা
মক্কা-মদিনায় তারাবিহ শুরু : নামাজ পড়াবেন যারা
আল্লাহর ক্ষমা লাভের সেরা দোয়া পড়া হবে আজ
আল্লাহর ক্ষমা লাভের সেরা দোয়া পড়া হবে আজ
ইফতারের দোয়া
ইফতারের দোয়া
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী খবর
জুমআর দিনের বিশেষ আমলে রয়েছে যেসব ফজিলত
ধর্ম ডেস্ক | প্রকাশিত: ১২:৩৯ পিএম, ০১ মে ২০২০
জুমআর দিনের বিশেষ আমলে রয়েছে যেসব ফজিলত
মুমিন মুসলমানের বিশেষ ইবাদতের দিন শুক্রবার। এ দিনের একটি বিশেষ আমল সুরা কাহাফ তেলাওয়াত করা। কুরআনুল কারিমের ১৮নং সুরা এটি। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ১১০ এবং ১২ রুকু। সুরাটি পবিত্র নগরী মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।
সুরাটিতে আল্লাহ তাআলা তিনটি উল্লেখযোগ্য ঘটনার বর্ণনা করেছেন-
- ওইসব যুবকের ঘটনা, যারা ঈমান আকিদা রক্ষার জন্য নিজেদের ওপর কুরবানি করে নিজেদের আবাস, সহায়-সম্পদের মায়া ত্যাগ করে দূর অজানায় কোনো পাহাড়ের গুহায় আত্মগোপন করে আশ্রয় নিয়েছিলেন এবং সেখানে ৩০৯ বছর ঘুমিয়ে কাটানোর পর আল্লাহ তাআলা তাদের আবার জাগ্রত করেন।
বিজ্ঞাপন
- হজরত মুসা ও খিজির আলাইহিস সালামের মাঝে সংঘটিত ঘটনাও এ সুরায় আলোচিত হয়েছে।
- দুনিয়ার ক্ষমতাশালী বাদশাহদের একজন ‘বাদশাহ জুলকারনাইন’। যিনি সারাবিশ্বের বাদশাহ ছিলেন এবং সারা পৃথিবী ভ্রমণ করেছিলেন। তাঁর রাজত্বকালের অনেক তথ্যবহুল ঘটনার জন্যও এ সুরাটি যেমন বৈশিষ্ট্যপূর্ণ তেমনি অনেক তাৎপর্যপূর্ণ। জুমআর দিন পুরো সুরাটি তেলাওয়াত কিংবা প্রথম ও শেষ ১০ আয়াত তেলাওয়াতে রয়েছে অনেক ফজিলত ও মর্যাদা।
বিজ্ঞাপন
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিভিন্ন বর্ণনায় এ সুরার তেলাওয়াতকারীর জন্য যেসব ফজিলত ও মর্যাদা ঘোষণা করেছেন। তা হলো-
- হজরত সাহাল ইবনে মুআয রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের প্রথম ও শেষ আয়াতগুলো পাঠ করবে; তার পা থেকে মাথা পর্যন্ত একটি নূর হয়ে যায়। আর যে পূর্ণ সুরা তেলাওয়াত করে তার জন্য জমিন থেকে আসমান পর্যন্ত নূর হয়ে যায়। (মুসনাদে আহমদ)
বিজ্ঞাপন
- হজরত নাওয়াস ইবনে সামআন রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদিন সকালে দাজ্জালের কথা আলোচনা করলেন। তিনি আওয়াজকে উঁচু-নিচু করছিলেন, ফলে আমরা মনে করলাম দাজ্জাল খেজুর বাগানের মধ্যেই রয়েছে। অতপর যখন আমরা উনার কাছে গেলাম তখন তিনি আমাদের অবস্থা বুঝে ফেললেন।
তিনি বললেন, তোমাদের কী হলো!
আমরা বললাম, আল্লাহর রাসূল! আপনি সকালে দাজ্জালের কথা আলোচনা করেছিলেন, আওয়াজকে উঁচু-নিচু করেছিলেন- তাই আমরা মনে করলাম দাজ্জাল হয়তো খেজুর বাগানেই আছে।
তিনি বললেন, তোমাদের জন্য দাজ্জাল ছাড়া অন্য কিছুতে এত বেশি ভয় আমাকে দেখানো হয়নি। যদি আমি তোমাদের মাঝে থাকা অবস্থায় সে বের হয়, তাহলে তোমাদের ছাড়া আমি সর্বপ্রথম তার প্রতিরোধ করব। আর যদি তোমাদের মাঝে না থাকা অবস্থায় সে বের হয়, তাহলে প্রত্যেকে তার প্রতিরোধ করবে।
আল্লাহর শপথ! প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আমার খলিফা রয়েছে। নিশ্চয় দাজ্জাল কোঁকড়া চুলবিশিষ্ট যুবক হবে এবং তার চোখ কানা হবে। যেন আমি আব্দুল ওযা ইবনে কাতালের মতো তাকে দেখতে পাচ্ছি। তোমাদের মধ্যে যে তাকে পাবে সে যেন সুরা কাহাফের শুরু অংশ পড়ে। (মুসলিম, তিরমিজি, আবু দাউদ)
- হজরত আবু সাইদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি সুরা কাহাফ পড়বে যেমনভাবে (সুরাটি) নাজিল করা হয়েছে, তাহলে সেটা তার স্থান থেকে মক্কা পর্যন্ত নূর হবে এবং যে সুরার শেষ দশ আয়াত পড়বে সে দাজ্জালের গণ্ডির বাইরে থাকবে এবং দাজ্জাল তার ওপর কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না।' (নাসাঈ)
- হজরত আবু দারদা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্ত করবে সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে হেফাজত থাকবে।' (মুসলিম, আবু দাউদ)
- হজরত আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি জুমআর দিন সুরা কাহফ পাঠ করবে তার জন্য এক জুমআ থেকে অপর (পরবর্তী) জুমআ পর্যন্ত নূর হবে।
- অন্য রেওয়ায়েতে এসেছে- এক জুমআ থেকে অপর জুমআ পর্যন্ত তার সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। তবে উল্লিখিত গুনাহ মাফ হওয়ার দ্বারা সগিরা গুনাহ উদ্দেশ্য। কারণ ওলামায়ে কেরামের ঐকমত্য হচ্ছে যে, কবিরা গুনাহ তওবা করা ছাড়া ক্ষমা হয় না।
- হজরত বারা ইবনে আজেব রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন এক ব্যক্তি রাতে সুরা কাহাফ তেলাওয়াত করছিলেন। তার কাছে দুটি রশি দিয়ে একটি ঘোড়া বাঁধা ছিল। এরই মধ্যে একটি মেঘখণ্ড এসে তাকে ঢেকে ফেলল। এরপর যখন মেঘখণ্ডটি তার কাছে চলে আসছিল, তখন তার ঘোড়া ছোটাছুটি করতে লাগল। অতপর সকালে ওই ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে রাতের ঘটনা বর্ণনা করলেন। তিনি (প্রিয় নবি) বললেন, ওটা ছিল সাকিনা (রহমত), যা কুরআন তেলাওয়াতের বরকতে নাজিল হয়েছিল।' (বুখারি, মুসলিম)
- হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমআর দিন সুরা কাহাফ তেলাওয়াত করবে, সে আটদিন পর্যন্ত সব ধরণের ফেতনা থেকে মুক্ত থাকবে। যদি দাজ্জাল বের হয় তবে সে দাজ্জালের ফেতনা থেকেও মুক্ত থাকবে।
- হজরত আবু সাইদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি সুরা কাহাফ নাজিল হওয়ার মতো অবিকল তেলাওয়াত করবে, তার জন্য কেয়ামতের দিন সেটা নূর হবে।' (শোয়াবুল ঈমান)
- হজরত আবু দারদা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, যে সুরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত মুখস্ত করবে; সে দাজ্জালের ফিৎনা হতে নিরাপদ থাকবে। অন্য হাদিসে ভিন্ন রেওয়ায়েতে শেষ ১০ আয়াতের ব্যাপারে উল্লিখিত ফজিলতের বর্ণনা রয়েছে। (মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিজি, নাসাঈ ও মুসনাদে আহমদ)
সুতরাং প্রথম বা শেষ ১০ আয়াত অথবা উভয় দিক দিয়ে মোট ২০ আয়াত যে মুখস্ত করবে সেও হাদিসের ঘোষিত ফজিলত লাভের অন্তর্ভুক্ত হবেন।
হাদিসে পুরো সুরাটি তেলাওয়াত করার কথাও এসেছে আবার প্রথম ১০ আয়াত এবং শেষ ১০ আয়াত তেলাওয়াত করার কথাও এসেছে। এর প্রতিটিতে আলাদা আলাদা ফজিলত বর্ণনা করা হয়েছে। সুতরাং যারা এটি তেলাওয়াত করতে সক্ষম তাদের উচিত পুরো সুরাটি জুমআর দিন সন্ধ্যার আগেই তেলাওয়াত করে নেয়া। আর যারা পুরো সুরাটি তেলাওয়াত করতে সক্ষম নয়, তারা অন্তত প্রথম ও শেষ ১০ আয়াত তেলাওয়াত করবে। আর তাতে মিলবে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষিত ফজিলত ও মর্যাদা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সুরা কাহাফের যথাযথ ফজিলত, মর্যাদা ও উপকারিত লাভের তাওফিক দান করুন। দাজ্জালের ফেতনা থেকে মুসলিম উম্মাহকে হেফাজত করুন। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন।