13/05/2020
কবুতরের কিছু রোগ এবং চিকিৎসা
১। চোখের সমস্যা,,চোখ দিয়ে পানি পড়া,চোখ বন্ধ হয়ে গেলে,,, গ্যাটিসন ড্রোপ ২ বেলা ২ ফোটা করে দিবেন।।
অনেকে সিনাজেন,,গ্যাটিডাট,,সিবোডেক্স ব্যবহার করে।।কিন্তু গ্যাটিসনের উপর ড্রোপ নাই।
২। গাড় টাল বা প্যারালাইসিস হলে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এবং ক্যালসিয়াম ব্যবহার করবেন।।অনেকে ইনজেকশন ও ব্যবহার করে,,,,ওষুধ হিসাবে,,ভিওবিট এবং ক্যালটেট ব্যবহার করুন।।।
গাড় টাল ভালো করা অনেক সময় সাপেক্ষ।।খাদ্য তালিকায় ছোলা,বুট রাখেন।
৩।গুটি /পক্স/বসন্ত হলে,,,, পটাশ আর চুন মিশিয়ে পেষ্ট লাগিয়ে দিন।।অার মশা তাড়াবার ব্যবস্থা করুন।।অনেকে ভেটনোবেট,,পেনভিক ইত্যাদি ব্যবহার করে।
তবে আমি বলবো পটাশ আর চুন ব্যবহার করুন
৪।খাদ্য হজম না হলে,,অর্ধেক হজম হলে,গিলায় নরম নরম মনে হলে,,,জ্যাইম্যাট ট্যাবলেট ৪ ভাগের এক ভাগ খাওয়াবেন,,সাথে সিরিন্জ দিয়ে ওর স্যালাইন,,ওর সামনে কনো দানাদার খাবার দিবেন না।
(লিভার টনিক+এনজাইম) দিয়েও খাবান হজম করানো যায়।।খরচ বেশি।। দরকার নাই।
৫।সবুজ/হলুদ/নীল ফেনাযুক্ত ডায়রিয়া হলে
সিপ্রোসিন ৮ভাগের এক ভাগ।।সাথে রাইস স্যালাইন পরপর তিন থেকে ৫ দিন অবস্থা বুজে খাওয়াবেন।।
যদি ডায়রিয়ার পরিমান বেশি হয় তাহলে এমোডিস ৮ ভাগের এক ভাগ সিপ্রোসিনের সাথে খাওয়াবেন।।।রাইস স্যালাইন চলবেই সুস্হ না হওয়া পর্যন্ত।
৬।উৎপাদন কমে গেলে,,পাখা ঝুলে পড়লে
ই সেল আর ক্যালসিয়াম ব্যবহার করবেন।।
৭।ভিটামিনের অভাব অনুভব কররে কডলিভার ওয়েল এবং ক্যালসিয়াম ব্যবহার করবেন।
৮ ঠান্ডা লাগলে হিস্টারসিন সিরাপ/কিংবা ডক্সিক্যাপ ক্যাপসুল এর প্লাস্টিকস ফেলেদিয়ে লিটার পানিতে মিক্স করে তিন থেকে পাচ দিন খাওয়াবেন।।সাথে প্যারাসিটামল ব্যবহার করবেন।
৯।জ্বর,,, কাশি,,হলে সিপ্রোসিন,, প্যারাসিটামল,, লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫ দিন খাওয়াবেন।।।
১০। দীর্ঘ দিনের ঠান্ডা,,কাশি,, হা করে নিশ্বাস, ডাকে শব্দ না হলে এজিথ্রোমাইসিন ব্যবহার করবেন।।
আমার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ হতে বললাম।।কারো ভালো নাও লাগতে পারে।।তবে আমি সিউর,,এরকম করে যদি ট্রিটমেন্ট নিতে পারেন,,,সুস্হ হয়ে উঠবে।।
অনেকে ইরোকট,,ক্রেমোনিড,,মাইক্রোনিড,, কসমিকস,,scz,,কে মক্স, রেনামাইসিন বিভিন্ন ওষুধ ব্যবহার করেন।।ভালো রেজাল্ট পাওয়া যায় না।
আসলে এসব ভেটেনারি ওষুধের চেয়ে মানুষের জন্য তৈরি ওষুধ গুলোর রেজাল্ট অনেক ভালো।।
আমার অভিজ্ঞতা হতে বলতেছি কবুতরের জন্য (সিপ্রোসিন/রাইস স্যালাইন) বেষ্ট
copy-paste