O&O Aviary

O&O Aviary Pet Healthy Lifestyle Researcher. Article writer and video maker for a healthy life for your pet.

07/06/2023

গিরিবাজ কবুতরগুলি সাধারনত আমরা মেল ফিমেল আলাদা আলাদা ধাপরীতে রাখি। গরম বাড়লে প্রায়ই দেখা যায় মেল + মেল কিংবা ফিমেল + ফিমেল মেটিং করা শুরু করে। আমরা গিরিবাজ পালকরা বলি কবুতরটা গরম হয়ে গেছে। এই গরম হওয়া কবুতরকে ঠান্ডা না করলে স্বাস্থ্যর অবনতি ঘটে এবং রেসিং ও ফ্লাইং পারফরমেন্স খারাপ করে। এবার যেহেতু হঠাৎ করে অস্বাভাবিক গরম পড়েছে তাই এই সমস্যাটা বেশি হচ্ছে। অনেকেই ইনবক্সে নক দিয়ে সমস্যাটার সমাধান চাচ্ছেন। সময়ের অভাবে সবাইকে রিপ্লে দিতে পারিনি তাই আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

এ সিজনে কয়েকটি জিনিস ফলো করলে সহজেই এসমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।।

১. নর + নর / মাদী + মাদী মেটিং করতে দেখলে সাথে সাথে দুইটাকে আলাদা সিঙ্গেল খাঁচায় আটকান যাতে একটা আরেকটাকে দেখতে না পায় এবং ২/৩ দিন পর পর কবুতরকে গোসল এর পানি দিন।

২.মেটিং করা নর + নর / মাদী + মাদীকে সম্ভব হলে পেয়ার দিয়ে দিন। ডিম পাড়লে অনেকটাই ঠান্ডা হয়ে যাবে।

৩. খাবার হিসেবে শুধু ধান দিন ১ বেলা। ভরপুর খাবার দেয়া যাবে না। স্বাভাবিক সময়ে যতটুকু খায় তার চেয়ে কিছু কম দিন এবং ধান দেয়ার আগে ভাল মত ঝেড়ে তার সাথে টকদই মেখে কিছুক্ষণ রেখে দিলে ধান দই টেনে নিবে। তারপর খেতে দিন। ১ কেজি ধানে ১০০/১৫০ গ্রাম হারে টকদই দিতে পারেন। এভাবে টানা ৭-১০ দিন দেন। তবে যেদিন বৃষ্টি হবে সেদিন দেয়া যাবে না।

৪. রাতে একটি পাত্রে কাতিলা ২৫ গ্রাম + মেহেদীর শুকনা বিচি ১৫/২০ পিস + চিরতা ৬/৭ টা ডাল + ৪/৫ টুকরা বেলশ্যুট + শুকনা আমলকী ৪/৫ পিস + শুকনা হরতকী ৪/৫ পিস + বহেরা ৪/৫ পিস পাটাতে আধাছেচাঁ করে ১ লিটার পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে সেই পানি ভাল মত ছেঁকে নিন। এবার সেই ছেঁকে নেয়া পানিতে চারদানা পুরান তেতুলঁ ( বিচি ফেলে দিতে হবে) + ৫ চা চামুচ এ্যালোভেরা এবং একমুঠ আখেঁর গুড়ঁ মিশিয়ে ভাল মত নেড়ে নিন। ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করতে পারলে আরও ভাল। মিশ্রণটি তৈরী হয়ে গেলে ৫০০ মিলি পানিতে ২৫০ মিলি হারে মিশিয়ে কবুতরকে পরিবেশন করুন টানা ৭ দিন। ইনশাআল্লাহ গরম কেটে যাবে। এরপর সপ্তাহে ১ বার হলেও এই মিশ্রন কবুতরকে দেয়া উচিত। এই মিশ্রন বৃষ্টিচলাকালীন দিবেন না।

এই টোটকা দেয়ার পরে আবহাওয়া ঠান্ডা না হলে যদি ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ই, এডি৩ মারেন কিংবা খাবারে তেলবীজের পরিমান বেশি থাকে তাহলে কিন্তু কবুতর আবার গরম হয়ে যেতে পারে।

এখন তাহলে একটা প্রশ্ন আসে যে ভাদ্র মাসে ত কবুতর ছাড়ার পরে গুড়াঁ খাবার দেই আমরা আর গুড়াঁ খাবারে ত তেলবীজের পরিমান বেশিই থাকে। তখন তাহলে কি হবে? তখন কবুতরকে তেলবীজ ও দিতে হবে এবং সাথে সাথে ঠান্ডা ও রাখতে হবে তবে তখন ঠান্ডা রাখার পদ্ধতিও কিছুটা ভিন্ন। সেটা এখন আলোচনা করে লাভ নাই। আল্লাহ যদি বাচাঁয় রাখেন ভাদ্রমাসে
সেটা আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।।

© Fahad Ahammed

একটা বিদেশী মেডিসিন সেটা যত ভাল কোম্পানীরই হোক না কেন সেটার মান আসলেই ভাল কিনা তা বিবেচনা করে থাকে ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর...
05/11/2022

একটা বিদেশী মেডিসিন সেটা যত ভাল কোম্পানীরই হোক না কেন সেটার মান আসলেই ভাল কিনা তা বিবেচনা করে থাকে ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। ইমপোর্টেট মেডিসিন বিক্রির কিছু নীতিমালা আছে। তার ভিতর অন্যতম হলো আপনি একটা ঔষুধ আমদানী করার আগে বাংলাদেশ ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে ঔষুধটা আমদানীর জন্য নিবন্ধনকৃত কিনা সেটা চেক করতে হবে আর নিবন্ধনকৃত না হলে নিবন্ধন করাতে হবে। পাশাপাশি ডিএআর ( ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন রেজিস্ট্রেশন) নম্বর এবং বিএসটিআই এর অনুমোদন থাকতে হবে। আমদানী ত হলো এবার আসেন বাজারজাত করন। ঔষুধ নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৮২ অনুযায়ী সুস্পষ্ট ভাবে ঔষুধ এর বিজ্ঞাপন প্রচারের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আছে । এছাড়া ঔষুধ নীতি ২০১৬ অনুযায়ী ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নিবন্ধন এবং অনুমতি ব্যাতীত ঔষুধ এর বিজ্ঞাপন প্রচারের কোন সুযোগ নেই আর এ জাতীয় মেডিসিন বিক্রির জন্য ও কিন্তু আপনাকে ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের থেকে অনুমতিপত্র সংগ্রহ করতে হবে। যদি কেউ এই আইন না মানে তাহলে তার জেল জরিমানা দুইটাই হতে পারে আর যদি কেউ এমন অনুমতিপত্র বিহীন বিক্রেতার নামে ঔষুধের বিরুপ ক্রিয়ার অভিযোগ করে তাহলে ট্যাক্স ফাকিঁ,অনুমতি বিহীন বিদেশী ঔষুধ বিক্রি, জালিয়াতি, ভুল চিকিৎসা ইত্যাদি সহ মোটামুটি ৬/৭ টা ধারায়, সরকারী বাদী মামলা খাবে আর এখন অভিযোগ করা খুবই সহজ অনলাইনেই ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে ঔষুধের বিরুপ প্রতিক্রিয়ার উপর যেকেউ অভিযোগ করতে পারবেন।

এখন ধরেন আপনি গেলেন চায়না বেড়াতে আসার সময় কিছু ভেটেরিনারি মেডিসিন নিয়ে আসলেন। এনে নিজে কিছু ব্যাবহার করলেন আর কিছু সেল করে দিলেন। আপনি ত মনে করতেছেন বাহ ভালই ত। কবুতর পালকদের উপকার হচ্ছে খুব আবার ব্যাবসা কিন্তু খারাপ না। এক ঢিলে দুই পাখি। এটা যে কত ভয়ঙ্কর একটা ব্যাপার হতে পারে এ ব্যাপারে আমাদের অনেকেরই কোন ধারনা নেই।

দেখা গেলো মেডিসিনটা ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নিবন্ধিত নয় কিন্তু আসলেই কাজ ভাল করে। আপনি ত এই সুযোগে ধুমায়া বেচে পকেট ভর্তি করতেছেন কিন্তু হঠাৎ একদিন দেখা গেলো একচালানের মেডিসিন ৫০ জনের কাছে সেল দিলেন ৫ জন কমপ্লিন করে বসলো আপনার মেডিসিন খেয়ে আমার কবুতর মরে গেছে। আপনি ত এটা মানবেন ই না কারন অতীতে রিভিও ভাল মেডিসিনের। এখন যার কবুতর মরছে তার ত ডাবল লস। সে ত ধরে বসছে রিভিও ভাল হলে আমার কবুতর মরলো কেন?

এই কেন এর উওরগুলি জানতে হলে এখান থেকে খুব ঠান্ডা মাথায় বুঝতে হবে।

১. মেডিসিনগুলি যেহেতু ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে আনা হচ্ছে এবং যারা আনছেন তারা বেশিরভাগই অপেশাদার লোক সেহেতু মেডিসিন পরিবহন ও সংরক্ষন এর যে নিয়ম আছে সেগুলো তারা জানেন না কিংবা জেনেও মানছেন না কারন মানতে গেলে খরচ বেড়ে যাবে ফলে মেডিসিন বেচেঁ লাভ হবে কম । যে কারনে মেডিসিনের মেয়াদ থাকার পরেও মান নষ্ট হয়ে যেতে পারে ।

২. আপনি রেগুলার বিদেশী মেডিসিন আনেন। এখন কিছু মেডিসিনের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, এতদামী মেডিসিন, ফেলে দিলে ত লস তাই আপনি করলেন কি মেডিসিন গুলি টিউনিং করলেন। বিদেশী মেডিসিনগুলি হাই প্রাইজের কারনে প্রায়ই অনেকে খোলা কিনেন। সুতরাং যদি ডেটওভার মেডিসিন ও দিয়ে দেন ধরার কোন উপায় নেই কিংবা ভাল কৌটা খুলে কিছু ভাল মেডিসিন বের করে রেখে খারাপ মেডিসিন ভরে দিলেন, অল্প অল্প করে কয়েকটি কৌটায় আর ভাল মেডিসিনগুলি খোলা আপনার পরিচিতজনদের কাছে সেল করে দিলেন কিংবা ডেটওভার ফাইলের ডেটটাই চেন্জ করে দিলেন। অনেকে হয়তো বলবেন ফাইলের ডেট চেন্জ করে কিভাবে? এ প্রশ্নের উওর হলো জিন্জিরা এলাকায় গিয়ে দেখে আসেন যেকোন প্রডাক্টটের ডেট চেন্জ করার কত আপডেট প্রযুক্তি বের হয়েছে আর কিভাবে ডেট চেন্জ করে।

৩. জলবায়ুর মেডিসিনের মুড অব একশনের উপর প্রভাব রয়েছে। যেহেতু মেডিসিনটি অবৈধভাবে আনা হয়েছে সেহেতু এই মেডিসিনটি আমাদের দেশের আবহাওয়ায় কেমন প্রভাব ফেলবে কিংবা গরম আবহাওয়ায় দিলে ব্যাড রিএকশন হবে নাকি ঠান্ডা আবহাওয়ায় দিলে ব্যাড রিএকশন হবে, এব্যাপারে আমাদের কোনই ধারনা নেই। সুতরাং মেডিসিনের ব্যাড রিএকশন হওয়ার এটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ কারন। যদি লিগ্যাল নিয়মে মেডিসিনটি ইমপোর্ট করা হতো তাহলে কিন্তু ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর গবেষনা করে এ মেডিসিনটির মুড অফ একশনের ব্যাপারে একটা ক্লিয়ার ধারনা দিয়ে তারপর বাজারজাত করতো। ফলে কখন দিলে প্রানীর লাভ হবে কখন দিলে প্রানীর ক্ষতি হবে এ ব্যাপারে ক্রেতার স্পষ্ট একটা ধারনা থাকতো।

আমি যদি এখন প্রশ্ন করি Victory Six in one এর জেনেরিক নেম কি? কিংবা গ্রুপ কি? মুড অফ একশন কি? যারা সেল করেন তারা অনেকেই উওর দিতে পারবেন না কারন আপনারা এসব মেডিসিন কি কি কাজ করে তা চায়না ভাষা ট্রান্সলেটর দিয়ে বাংলায় অনুবাদ করে তারপর ক্রেতাকে বলে থাকেন।

আমি নিজে শেখার জানতে চাইছি আপনাদের কাছে যে একটা মেডিসিনের জেনেরিক নেম কিংবা গ্রুপ কিংবা মুড অফ একশন না জেনে আপনি কিভাবে গ্যারেন্টি দিচ্ছেন এটা খুব কাজের মেডিসিন? আপনি ত জানেন ই না এটা কি জিনিস তাহলে ভাল বুঝলেন কিভাবে? চায়নায় যেটা ভাল কাজ করে আমার দেশে সেটা ভাল কাজ করবে কিনা এটা ত মূল্যায়ন করবে ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। আমার আপনার ত এটা মূল্যায়নের অনুমতি বা যৌগ্যতা কোনটাই নাই।

আমার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতায় আমি যেটা দেখেছি যেহেতু আপনি আমি অসুস্থ হলে স্কয়ার, বেক্সিমকো, এসিআই, একমি, রেনেটা, অপসোনিন, পপুলার ইত্যাদি কোম্পানির মেডিসিন খেয়ে সুস্থ হচ্ছি সেহেতু আমার আপনার কবুতর অসুস্থ হলেও দেশী মেডিসিনেই সুস্থ করা সম্ভব। এছাড়া আমাদের দেশী ভেটেরিনারি মেডিসিন কিন্তু বিদেশে ও রপ্তানী হচ্ছে এবং অনেক বিদেশী মেডিসিন ও কিন্তু এসমস্ত মেডিসিন কোম্পানীগুলি লিগ্যাল নিয়মে দেশে আমদানী করছে ।

আমার নিজের কবুতর অসুস্থ হলে কিন্তু আমি দেশী কিংবা কোন দেশী কোম্পানির ইমপোর্টেট মেডিসিন প্রয়োগ করেই ভাল রেজাল্ট পাই। এখন আপনার কবুতর অসুস্থ হলে আপনি ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর অনুমোদিত দেশী মেডিসিন দিবেন নাকি জেনেরিক নেম বিহীন এবং অনুমোদন বিহীন বিদেশী মেডিসিন দিবেন সে ডিসিশন সম্পূর্ন ই আপনার।

এগশেল মানে  ডিমের খোসা সাধারনত আবর্জনার মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়। আমরা অনেকেই এটা জানি না যে ডিমের বাইরের দিকটা ভেতরের মতই ...
20/06/2022

এগশেল মানে ডিমের খোসা সাধারনত আবর্জনার মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়। আমরা অনেকেই এটা জানি না যে ডিমের বাইরের দিকটা ভেতরের মতই সম্পূর্ণ ভোজ্য। ডিমের খোসায় ২৭টি পর্যন্ত বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে। যেমন:

ক্যালসিয়াম (হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ)

ম্যাগনেসিয়াম (নার্ভ এবং পেশী ফাংশন বজায় রাখা)

গ্লুকোসামিন, কোলাজেন এবং হায়ালুরোনিক অ্যাসিড (যৌথ স্বাস্থ্য এবং স্থিতিস্থাপকতার জন্য)

পটাসিয়াম (তরল ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য এবং সমস্ত কোষের সঠিক কাজ)

ক্যালসিয়ামের একটি বড় উৎস হিসেবে, ডিমের খোসায় 95% ক্যালসিয়াম কার্বনেট থাকে। মাত্র এক 1/2 চা চামচ পাউডার করা ডিমের খোসায় হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য প্রায় 400 মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। অস্টিওপরোসিস চিকিৎসায় হাড়কে পুনঃমিনিলাইজ করতে এবং এমনকি ব্যথা কমাতে ব্যবহার করা যেতে পারে।

মজার ব্যাপার হল, যেহেতু ডিমের খোসার গঠন আমাদের দাঁত এবং হাড়ের সাথে অনেক মিল, তাই উন্নত বিশ্বের বিশেষজ্ঞগন মনে করেন যে এগুলি দাতেঁর গহ্বর নিরাময় এবং দাঁতের এনামেল পুনরুদ্ধার করার একটি প্রাকৃতিক উপায় হতে পারে।

আমরা জানি 100° C (212° F) তাপমাত্রায় পানি ফুটতে শুরু করে আর 200° F তাপমাত্রা যেকোন জীবানুকে মেরে ফেলার জন্য যথেষ্ট। সুতরাং ডিমের খোসাকে যদি ১৫ - ২০ মিনিট পানিতে সিদ্ধ করে ভাল মত শুকিয়ে ফেলা হয় তাহলে এটি মানুষসহ যেকোন প্রানীর খাদ্যে ব্যাবহার উপযোগী হয়ে যায়। এটিকে ফুটিয়ে শুকানোর কিছুক্ষন পরে এতে আবার ব্যাকটেরিয়া আক্রমন করবে এটি একটি সম্পূর্ন অবৈজ্ঞানিক ধারনা এবং এর সপক্ষে কোন নির্ভরযোগ্য বৈজ্ঞানিক ব্যাখা নেই।।

উন্নত বিশ্বসহ বাংলাদেশের ও বড় বড় নামীদামী ফাস্টফুডের কোম্পানীগুলো কেক এবং পিজ্জার সাথে ইদানীং এগশেল পাউডার ব্যাবহার করছে যেটা আমাদের অনেকেরই অজানা।। জাপানে রুপচর্চার কাজেও এগশেল ফেসপ্যাক দীর্ঘদিন ধরে ব্যাবহার হয়ে আসছে এবং আমাদের বাংলাদেশেও অনেক বিউটিশিয়ান ইদানীং ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষায় এগশেল ফেসপ্যাক ব্যাবহার করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।।

আজকে অনেকেই সকাল থেকে প্রশ্ন করেছেন, যে ডিমের খোসা কবুতরকে দিলে সালমোনেলা হওয়ার চান্স আছে কিনা?

এগশেল মানে ডিমের খোসা যদি মানুষের ব্যাবহারে ক্ষেত্রে কোন বাধা না থাকে তাহলে কবুতরের কেন সালমোনেলা হবে? আজকে ২৫ বছর ধরে টানা ব্যাবহার করে আসছি ডিমের খোসা। কবুতর পালনের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আলহামদুলিল্লাহ বাসায় সবসময় ২০০ + কবুতর ছিলো এখন ও আছে। ২৫ বছরে একসাথে সর্বোচ্চ ২/৪ পিছ কবুতর সালমোনেলায় আক্রান্ত হয়েছে কিন্তু ২৫ বছরে মোট ২৫ পিস কবুতরও সালমোনেলায় মরেনি আমার আল্লাহর রহমতে। এখন কারও যদি মরে থাকে আর সে কেন কবুতর সালমোনেলায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে?
সে কারন বের করার যৌগ্যতা যদি তার না থাকে তাহলে ত ডিমের খোসার দোষ হবে এটাই স্বাভাবিক।।

তবে হ্যা সঠিক ও স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে যদি আপনি সংরক্ষন করে ব্যাবহার না করেন তাহলে শুধু ডিমের খোসা কেন? পানি কিংবা অন্য খাবার খেয়েও কিন্তু আপনার কিংবা কবুতরের সালমোনেলা হতে পারে।

এগশেল বা ডিমের খোসা যে খাদ্য হিসেবে জীবদেহের জন্য সম্পূর্ন নিরাপদ, এটার রেফারেন্স এবং ডিমের খোসার নিউট্রিশন চার্ট এর ছবি সংযুক্ত করা হলো।। আপনারা নিজ দায়িত্বে যাচাই করে নিতে পারেন । চাইলে ইনশাআল্লাহ আরও রেফারেন্স দেয়া সম্ভব।।

আমি কবুতর সেক্টরের পরিচিত মুখ, সিনিয়র বড়ভাই আবার আমার কিছু অন্ধভক্ত আছে, আমি যাই বলি না কেন, কোন যাচাই বাছাই না করেই জি বড়ভাই, জি ভাই করে তাল দেয়। সুতরাং আমি যা মন চাইলো বললাম আর সেটাই সঠিক হয়ে গেলো? এমন মূর্খ এবং সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ আচরনকারী লোকজন বরাবরই আমি অপছন্দ করি। আমার কথা হলো আমি কিছু বললে তার সপক্ষে যদি আমার কোন নির্ভরযোগ্য রেফারেন্সই আমি দিতে না পারি তাহলে আমার আর ফুটপাতের মলম বিক্রেতার মধ্যে পার্থক্য কি?

সবাই সব কিছু জানবে না এটাই স্বাভাবিক কিন্তু কোন কিছুর পরিপূর্ণ বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা যদি আপনার জানা
না থাকে তাহলে চুপ থাকেন। বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে সকলের ভিতর বিভ্রান্তি ছড়ানোর ত কোন প্রয়োজন নেই।।

© Fahad Ahammed

কবুতরের চোখে পানি, বদহজম, গরম ঠান্ডায় সর্দি, গলায় গর গর শব্দ এ সমস্যা গুলি হঠাৎ খুব বেড়েছে। গত ৩ দিনে ১০০+ কমপ্লিন পেয়েছ...
21/03/2022

কবুতরের চোখে পানি, বদহজম, গরম ঠান্ডায় সর্দি, গলায় গর গর শব্দ এ সমস্যা গুলি হঠাৎ খুব বেড়েছে। গত ৩ দিনে ১০০+ কমপ্লিন পেয়েছি এ সমস্যাগুলির। যাদের পেরেছি সাজেশন দিয়েছি, ইনবক্সে বহু ম্যাসেজ জমে আছে চেক করে কুলাতে পারছি না। চেক করতে পারলে হয়তো এসব সমস্যা আরও বহু জনের পাওয়া যাবে। এসবের সমাধান দিতে যেয়ে, অনেকের রোগের কারন খুজেঁ না পেয়ে লফটের ভিডিও চেয়েছি, লফটের পরিবেশ দেখার জন্য। অনেকের লফটের পরিবেশ খুবই সুন্দর ছিলো। আবার অনেকের লফটের পরিবেশ যা দেখেছি তাতে কবুতর ত পরের কথা শূয়র পালা সম্ভব কিনা তাতে ও আমার সন্দেহ আছে।

আমাদের কবুতর পালকদের বড় সমস্যা কি জানেন?

আমরা ১৫/২০ হাজার টাকা দিয়ে কবুতর কিনতে পারি কিন্তু কবুতরের লফটের সেটআপের পিছনে টাকা খরচ করার ব্যাপারে আমরা চরম পরিমানে কৃপন। ৫০০০ খরচ করতে ও শরীর জ্বলে। আরে ভাই আপনার যদি ৫ হাজার টাকা দামের ১০ পেয়ার কবুতর থাকে তাহলে ত এখানে ইনভেষ্ট আছে ৫০ হাজার । এই ৫০ হাজারের কবুতরগুলি যদি সুস্থ থাকে তাহলে ত আরও কত ৫০ হাজার বের হয়ে আসবে এগুলো থেকে তাহলে লফটটাকে একসাথে ১৫/২০ হাজার খরচ করে সুন্দর করতে এত কৃপনতা কেন রে ভাই? স্বর্নের জিনিস কিনে ত ডাইনিং টেবিলের উপর ফেলে রাখেন না, ঠিকই সিন্দুকে বা ব্যাংকের ভল্টে রাখেন তাহলে কবুতর রাখার লফট আর ফ্লাইং জোন সেটআপ স্বাস্থ্যসম্মত করা নিয়ে এত কৃপনতা কেন?

আমাদের বেশিরভাগ কবুতর পালকদের লফটে যে সমস্যাগুলির কথা বললাম আমি উপরে, এগুলি হওয়ার প্রধান কারন ক্রস ভেন্টিলেশন সিস্টেম না থাকা এবং অল্প জায়গায় ওভার কবুতর রাখা। এত দিন শীত ছিলো তাই সমস্যগুলি প্রকট হয়নি কিন্তু এখন সিজন চেন্জ হচ্ছে। পরিবেশই এলোমেলো এ অবস্থায় যদি লফটের সেটআপ ঠিক না থাকে তাহলে এই এক ক্রসভেন্টিলেশন সমস্যা কতটা মারাত্নক অবস্থা সৃষ্টি করতে পারে তা অনেকেরই ধারনার ও বাইরে। আপনার লফট টাইলস করা, পরিস্কার এতে এসব সমস্যা দূর হবে না, যদি না বায়ুচলাচল স্বাভাবিক হয়। ক্রস ভেন্টিলেশন বায়ুচলাচল স্বাভাবিক রাখার অন্যতম প্রধান শর্ত। সহজ কথায় ক্রস ভেন্টিলেশন মানে হলো রুমে বাতাস একদিক দিয়ে ঢুকবে অন্যদিক দিয়ে বেরিয়ে যাবে। এখন আপনার রুমে একটাই জানালা কিংবা জানালার বিপরীথে কোন জানলা নেই তাহলে বাতাসটা ঢুকে রুমে জমে থাকা গ্যাস নিয়ে বের হবে কোন দিক দিয়ে?

ভাই আমরা ত থাকি এভাবেই আমাদের ত সমস্যা হয় না?

আরে ভাই আপনি কি পরিবারবর্গ সহ খাটের নিচে ট্রে এর মধ্যে পটি করেন নাকি? জমিয়ে রাখেন ওগুলি তারপর সপ্তাহে ২ দিন ক্লিন করেন? আপনার শরীর থেকে কি সাদা সাদা পাউডার বের হয়? যদি উওর হয় না তাহলে সমস্যা না হওয়াই স্বাভাবিক।

অনেকেই লফটে এগজস্ট ফ্যান লাগান কিন্তু একটা এগজস্ট ফ্যান কোথায় লাগালে রুমের বায়ুচলাচল সর্বোচ্চ স্বাভাবিক করবে তাও আমরা অনেকেই জানিনা। আর রুমের সাইজ অনুযায়ী এগজস্টের সাইজ কত হবে তাও হিসাব করি না, যার ফলে এগজস্ট লাগিয়ে বলতে থাকি ভাই আমার লফটে বায়ুচলাচল স্বাভাবিক, এগজস্ট ফ্যান আছে ত কিন্তু এদিকে যে এগজস্ট ফ্যান চালিয়ে কারেন্ট বিল বাড়ানো ছাড়া আর কোন লাভ হচ্ছে না তার খবর কে রাখে???

যারা বহুতল ভবনের রুমে কবুতর পালেন তাদের ক্রসভেন্টিলেশনে কিছুটা কমবেশি হলেও সেটা অনেক সময় উচুতে বাতাস বেশি থাকার কারনে সমস্যা হয় না কিন্তু যারা একতলায় কবুতর পালেন তাদের লফটে ক্রস ভেন্টিলেশনে সামান্য এদিক ওদিক হলেই কবুতরের নানান সমস্যা শুরু হবে । এছাড়া আমরা যতই বয়ান মেরে বেড়াই কবুতর লস লস কিন্তু পালতে কেউই কম পালি না। ১০/১০ একটা রুমের ভিতর ৫০ পিস খাচায়ঁ ৫০ জোড়া কবুতর ঢুকিয়ে রুম জ্যাম করে রাখি। এটাও কবুতর অসুস্থ হওয়ার অন্যতম প্রধান কারন। দুঃখ লাগে ফেন্সি কবুতরপালকরা কবুতরের সবুজ পায়খানা দূর করার মেডিসিন কি অনেকেই জানতে চায় কিন্তু একথা কেউ জানতে চায় না, ভাই আমার ব্রিডিং রুমের সাইজ ১০/১০ এই রুমে সর্বোচ্চ কয়টা খাঁচা রাখলে কবুতরের সমস্যা হবে না? অবশ্য রেসিং গিরিবাজ এবং হোমার পালকরা এই জিনিস টা কঠোরভাবে মেনে চলেন। যেখানে ৩০টা রাখা যাবে সেখানে ২০/২৫ রাখেন সর্বোচ্চ আর যেটার সুফল ও তারা পাচ্ছেন।

লফট ম্যানেজমেন্ট বা খামার ব্যাবস্থাপনা সুন্দর করেন কবুতরের অনেক রোগ থেকে বেচেঁ যাবেন। যদি ভেবে থাকেন লফট ম্যানেজমেন্ট আবার কি? মেডিসিন আছে না? ওটা দিয়েই চালিয়ে নিব, তাহলে সেদিন বেশি দূরে নয়, কবুতর পাইকারীহারে মরক লেগে মরবে এবং মেডিসিনে কোন কাজ হবে না এবং ফেসবুকে পোষ্ট করবেন কবুতর মানুষে পালে? বাজে জিনিস। কবুতর পেলে লক্ষাধিক টাকা লস খেয়ে আমি শেষ হয়ে গেছি। দরকার কিরে ভাই যদি কবুতরের বসবাস উপযোগী পরিবেশ দিতে না পারেন তাহলে কবুতর পালার? মন চায়, ভালোলাগে, ভালবাসি। আরে ভাই ভালো লাগলেই সব জায়গায় সব কিছু করা যায় না। অনেকে ত ছাগল, দেশি হাসঁ, মুরগি ভালবাসেন । ফ্লাটের রুমের ভিতর পালেন না কেন?

সব প্রানীরই একটা বসবাস উপযোগী পরিবেশ আছে। যদি পরিবেশ দিতে পারেন তাহলে পালেন আর নাহলে বাদ দিন। এই বোবা পাখিগুলিকে কষ্ট দিয়েন না।

© Fahad Ahammed

কবুতরের জন্য SMC ওরস্যালাইন কতটুকু নিরাপদ ১ ডায়রিয়া হলে বা গরম পড়লেই যারা SMC এর ওরস্যালাইন  ৩ ভাগের একভাগ গুলে নিজে খান...
15/03/2022

কবুতরের জন্য SMC ওরস্যালাইন কতটুকু নিরাপদ ১

ডায়রিয়া হলে বা গরম পড়লেই যারা SMC এর ওরস্যালাইন ৩ ভাগের একভাগ গুলে নিজে খান কিংবা কবুতরকে খাওয়ান তারা নিজেরাও জানেন না, যে এভাবে স্যালাইনকে কয়েকভাগ করে গুলে খাওয়া যেকোন জীবদেহের জন্য কতটা ক্ষতিকর।

কিছুদিন আগে একজন ডাক্তার সাহেবের স্ট্যাটাস মারফত জানতে পারলাম তার কাছে আসা এক ছোট্ট শিশু মারা গেছে। কারণ কী? অনুসন্ধান করে জানা গেলো শিশুটির ডায়রিয়া হয়েছিল। মা ওরস্যালাইন খাবার যে নিয়মটি তা জানতেন না অথবা মানেননি। ফলে শিশুটির শরীরের লবণের মাত্রা ভীষণ রকমের বেড়ে যায় এবং অবধারিতভাবে মারা যায়। একটি ফুটফুটে শিশুর জীবনবাতি চিরতরে নিভে গেল।

আসলে ঘটনাটি কী হয়েছে? সবার বোঝার জন্যে খুব সিম্পলিফাই করে বলা যাক। ওরাল রিহাইড্রেশান সল্টের (যাকে পানিতে মেশানোর পর আমরা স্যালাইন বলছি) মধ্যে থাকে লবণ অর্থাৎ সোডিয়াম ক্লোরাইড, পটাশিয়াম ক্লোরাইড। আরও থাকে গ্লুকোজ এবং ট্রাইসোডিয়াম সাইট্রেট৷ নিয়ম হচ্ছে আমাদের যে স্যালাইনের প্যাকেটটি পাওয়া যায় তা হাফ লিটার পানির মধ্যে মিশিয়ে খাওয়তে হয়।

এখন কেউ যদি এর চেয়ে অল্প পানিতে স্যালাইন মিশিয়ে খাওয়ায় তাহলে কী হবে? শরীরে লবণের মাত্রা বেড়ে যাবে অনেক বেশি।

এর প্রভাবে কোষ থেকে পানি বেরিয়ে আসবে, বিশেষ করে ব্রেইনের। কোষগুলো নষ্ট হবে। এবং তা থেকে মৃত্যু হওয়া অস্বাভাবিক না৷ যেমনটি হয়েছে এই শিশুর ক্ষেত্রে। সোডিয়াম ক্লোরাইড রক্তে থাকার কথা ১৩৫-১৪৫ মিলিমোল/লিটার, সেখানে শিশুটির হয়ে গিয়েছিল ১৬৫ মিলিমোল/লিটার! তার মা না কি একটু একটু করে সল্ট নিয়ে একটু একটু করে পানিতে মেশাচ্ছিলেন৷ ফলে লবণ পানির যে রেশিওটি মেইন্টেইন করার কথা ছিল তা সম্ভব হয়নি।

প্রশ্ন : তাহলে স্যালাইন কীভাবে বানাতে হবে?

উত্তর : হাফ লিটার পানি নিতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় হাফ লিটারের একটা বোতল দিয়ে মেপে নিলে। এবার পুরো প্যাকেটটির সবটুকু ঢেলে দিয়ে মিশিয়ে নিতে হবে৷ এরপর পরিমাণমতো খাওয়াতে হবে।

প্রশ্ন : কী ধরনের পানির সঙ্গে মিশাবো? ডিসটিলড ওয়াটার না কি আমরা যে পানি খাই সেটা?

উত্তর : আমরা নিয়মিত যে পানি পান করি সেটাই ব্যবহার করব; ডিসটিলড ওয়াটার না। কারণ সে পানিতে বেশ কিছু মিনারেল আছে। ডায়রিয়ার সঙ্গে মিনারেল বেরিয়ে যায় শরীর থেকে।

প্রশ্ন : একটু একটু করে সল্ট পানির সাথে মেশালে হবে না?

উত্তর : না, হবে না। লবণের তুলনায় পানি কম-বেশি হয়ে উপরের কেইসের মতো ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনতে পারে। তাই পুরোটা একসাথেই বানাতে হবে।

প্রশ্ন : স্যালাইন বানিয়ে কতোক্ষণ রাখা যাবে?

উত্তর : ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত খাওয়ানো যাবে।

প্রশ্ন : ১২ ঘণ্টা পর স্যালাইন রয়ে গেলে সেটা কী করব?

উত্তর : ফেলে দিতে হবে।

প্রশ্ন : টাকা দিয়ে কিনেছি নষ্ট কেন করব?

উত্তর : এটা নষ্ট করা না। এর মধ্যে গ্লুকোজ থাকে। যে পানিতে গ্লুকোজ থাকে তা জীবাণু বেড়ে ওঠার জন্যে বিপজ্জনকভাবে কাজ করে। আর ১২ ঘণ্টা পর সেখানে জীবাণুর সংক্রমণ হবার সম্ভাবনা খুব বেশি। এই স্যালাইন খাওয়ালে শরীরে জীবাণুর সংক্রমণ হতে পারে।

প্রশ্ন : গ্লুকোজ যখন খারাপই, তাহলে এখানে গ্লুকোজ দেবারই বা কী দরকার ছিল?

উত্তর : কোন জীবের যখন বারবার লুজ স্টুল পাস হতে থাকে, সে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। এই গ্লুকোজ তাকে এনার্জি দেয়। তাছাড়া ডায়রিয়ার সময় প্রচুর লবণ বেরিয়ে যায় শরীর থেকে, এখন স্যালাইনের মধ্যে যে লবণ (সোডিয়াম) থাকে তা কোষের ভেতরে ঢোকাতে গ্লুকোজের সহায়তা লাগে।

সামনে ইনশাআল্লাহ ওরস্যালাইন কিভাবে কবুতরের ক্ষতি করতে পারে সে বিষয়ে বলবো। চলবে.......

© Fahad Ahammed
Reference : ডা. মারুফ রায়হান খান ( ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ)

সুবিধাবাদী ইকোলাই  ২ ( শেষ পর্ব ) E.Coli  বা কলিব্যাসিলোসিস (Colibacillosis) কবুতরের গ্রাম নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন...
13/03/2022

সুবিধাবাদী ইকোলাই ২ ( শেষ পর্ব )

E.Coli বা কলিব্যাসিলোসিস (Colibacillosis) কবুতরের গ্রাম নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন। সব বয়সের কবুতর এ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। E.coli সহ কবুতরের অন্যান্য ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন প্রতিকারে কবুতরকে প্রতি সপ্তাহে ১ দিন একবেলা এপলসিডার ভিনেগার কিংবা যেকোন একটি এসিডিফায়ার প্রদান করা এবং এরপর ২ দিন, একবেলা যেকোন প্রোবায়টিকস অথবা প্রিবায়োটিকস কিংবা সিমবায়োটিকস প্রদান করা। কেউ চাইলে মাসে টানা ৫ দিন করে এসিডিফায়ার এবং প্রোবায়টিকস বা প্রিবায়োটিকস কিংবা সিমবায়োটিকস দিতে পারেন। তবে এসিডিফায়ার এবং প্রোবায়টিকস বা প্রিবায়োটিকস কিংবা সিমবায়োটিকস কখনোই একত্রে দিবেন না আর এসিডিফায়ার অবশ্যই আগে দিবেন তারপর প্রোবায়টিকস বা প্রিবায়োটিকস কিংবা সিমবায়োটিকস । এন্টিবায়োটিকস বা যেকোন মেডিসিন প্রয়োগের পরে টানা ৫ দিন প্রোবায়টিকস বা প্রিবায়োটিকস কিংবা সিমবায়োটিকস প্রদান করা। নিয়মিত ভিটামিন বি, ডি, সি এবং জিংক, ক্যালসিয়ামের এবং এইনজাইমের সরবরাহ নিশ্চিত করা। প্রতি ২ মাস পর পর কৃমির কোর্স করানো। সারা বছর কবুতরকে খাচাঁয় আটকে না রেখে ৩ বার ডিম বাচ্চা করার পরেই ফ্লাইং জোনে কিছুদিন রেস্টে রাখা, লফটে বায়ুচলাচল পর্যাপ্ত রাখা, কবুতরকে নিয়মিত গোসল করানো এবং রোদে রাখা , ধূলা বালি এবং পিজিয়ন ডাস্ট যাতে লফটে জমে না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখা , খাবার, পানির পট, ডিমের সরা এবং ট্রে নিয়মিত জীবানুনাশক দ্বারা জীবাণুমুক্ত করা। ফাংগাস ও ধূলাবালি মুক্ত খাবার এবং বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা , নতুন কবুতর আনলে ১৪ দিন লফটের বাইরে কোয়ারেন্টাইনে রাখা, ইদুঁর, তেলাপোকা, টিকটিকি কিংবা অন্যান্য বুনো পাখি যাতে লফটে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখা বায়োসিকিওরিটি ১০০% মেনে চলার দ্বারা এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব । এর পরে ও যদি কোন কারনে কবুতর আক্রান্ত হয়ে যায় তাহলে সাথে সাথে আক্রান্ত কবুতরকে লফট থেকে আলাদা করতে হবে এবং সম্পূর্ন লফট ভাইরোসিড লিটারে ৩ মিলি মিশিয়ে স্প্রে করে জীবানুমুক্ত করতে হবে এবং সুস্থ কবুতরকে অবশ্যই টানা ৭ দিন এসিডিফায়ার এবং তারপর ৭ দিন প্রোবায়টিকস বা প্রিবায়োটিকস বা সিমবায়োটিকস এই তিনটির যেকোন একটি দিতে হবে। উন্নত বিশ্বে অনেক ফেন্সিয়াররা E.coli প্রতিরোধে ভ্যাক্সিন ব্যাবহার করেন কিন্তু আমাদের দেশে যতদূর জানি E.coli এর কোন ভ্যাক্সিন নেই।

E. coli আক্রান্ত কবুতরের রোগের সিম্পটম অনুযায়ী বিবেচনা করে এন্টিবায়োটিক সিলেক্ট করে প্রয়োগ করতে হবে। সবুজ ডায়রিয়া সাথে টক্সিসিটির কারনে বমি, বদহজম হলে এক হিসাব আবার যদি শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমন, হা করে শ্বাস নেয়া, চোখে পানি, সর্দি, জয়েন্ট বয়েল, হঠাৎ করে খোঁড়ায় , ডিমের ভিতর বাচ্চা মারা যায় তাহলে অন্যহিসাব। যেহেতু প্যাথোলজিক্যাল টেষ্ট ব্যাতীত ১০০% কনফার্ম হওয়া সম্ভব নয় সেহেতু উপরের সিম্পটম গুলি প্রকাশ পেলেই E. coli ভেবে মুখস্ত মেডিসিন প্রয়োগ করা শুরু না করে অভিজ্ঞ ভেট কিংবা অভিজ্ঞ ফেন্সিয়ারের সাহায্যে নিন। উনারা আসলেই কি E.coli ইনফেকশন নাকি অন্য কোন ইনফেকশন এটা শিওর হওয়ার ব্যাপারে আপনাকে সাহায্য করতে পারবেন এবং আপনার কবুতরের অবস্থা বিবেচনা করে সঠিক গ্রুপের এন্টিবায়োটিক এবং মেডিসিন সাজের্ষ্ট করতে পারবেন। সাধারনত এমক্সিসিলিন, সিপ্রোফ্লক্সাসিন, ফ্লোরফেনিকল, লিভোফ্লুক্সাসিন, এনরোফ্লুক্সাসিন, সালফোনামাইড ইত্যাদি এন্টিবায়োটিক E. coli কেসে ভাল কাজ করে তবে অবশ্যই ভাল রেজাল্ট পেতে এগুলোর সাথে কবুতরের অবস্থা বিবেচনা করে অন্যান্য মেডিসিন, টক্সিন বাইন্ডার, এনজাইম, ইমিউন বুস্টার, লিভারটনিক যোগ করতে হয়।

ভয়ের কথা হলো আমরা জানি সঠিক নিয়মে কোন এন্টিবায়োটিকস যদি কোন প্রানীকে প্রয়োগ না করা হয় তাহলে তার দেহে এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্রেন্স গ্রো হবে যার কারনে পরবর্তীতে রোগাক্রান্ত হলে সেই গ্রুপের এন্টিবায়োটিকস আর কাজ করবে না।
যখন আমরা E. coli নির্ণয় করি তখন এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা শুধুমাত্র উপসর্গের উপর নির্ভর করে ডিসিশন নিতে পারি না , কারণ অন্যান্য ব্যাকটেরিয়া, বিশেষ করে সালমোনেলা, মাইক্রোপ্লাজমোসিস, সাওয়ার ক্রপ একই রকম উপসর্গ সৃষ্টি করে। যদি আমরা সন্দেহ করি কোন কবুতর E. coli আক্রান্ত, তখন আমরা সংক্রামিত কবুতরের বিষ্ঠা এবং মৃতদেহকে যদি ল্যাবটেষ্ট করাতে পারি তাহলে E.coli সনাক্তকরা সহজ। যদি টেষ্ট করার পর E.coli পাওয়া যায় তাহলে কোন অ্যান্টিবায়োটিক টেস্টে পাওয়া সেরোটাইপে কাজ করবে তা নির্ধারণ করতে ল্যাবে সেনসিটিভিটি টেষ্ট করা হয়। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ E. coli ব্যাকটেরিয়া কে , কোন গ্রুপের অ্যান্টিবায়োটিক মারবে এটা ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয় ৷ E.coli ব্যাকটেরিয়া অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে খুব দ্রুত রেজিস্ট্রেন্স গ্রো করে। অন্য কোন ব্যাকটেরিয়া E. coli এর মত এত দ্রুত এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্রেন্স গ্রো করতে পারে কিনা তা আমার জানা নেই। তাই আপনার কখনই অনুমান করা উচিত নয় যে এক বার যা কাজ করেছে তা পরের বার কাজ করবে ৷ তবে এ জাতীয় প্যাথোলজিক্যাল টেষ্ট করাটা বর্তমানে আমাদের দেশের সাধারন শৌখিন পালকদের জন্য অসম্ভব তাই যারা সৌখিন পালক কিংবা ক্ষুদ্র খামারী তাদের জন্য বুদ্ধিমানের কাজ হবে E.coli প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধের দিকে বেশি গুরুত্ব দেয়া। তবে যারা ইমর্পোটার, ট্রেডার, বড় ব্রিডার কিংবা শৌখিন পালক হলেও আর্থিক স্বচ্ছলতা আছে। আমি মনে করি যে সমস্যাগুলির কথা আলোচনা করা হলো সেগুলো যদি আপনার লফটে দীর্ঘদিন যাবত চলতে থাকে তবে আপনি অবশ্যই আপনার লফটের কবুতরের বিষ্ঠা বা ব্লাড স্যাম্পল কিংবা মৃতদেহ প্যাথোলজিক্যাল টেষ্ট করান কারন আনুৃমানিক ভাবে একটা সমস্যাকে সমাধান করা চেষ্টা করার চেয়ে শিওর হয়ে সমাধান করার চেষ্টা করলে সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে আমি মনে করি ।।

© Fahad Ahammed

সুবিধাবাদী ইকোলাই - ১কবুতর খাবার খাচ্ছে কিন্তু শুকিয়ে বুকের হাড় বের হয়ে যাচ্ছে, কবুতরের খাবার হজম হচ্ছে না, বমি করছে, সব...
12/03/2022

সুবিধাবাদী ইকোলাই - ১

কবুতর খাবার খাচ্ছে কিন্তু শুকিয়ে বুকের হাড় বের হয়ে যাচ্ছে, কবুতরের খাবার হজম হচ্ছে না, বমি করছে, সবুজ বমি করছে, কবুতরের চোখে পানি, হা করে শ্বাস নিচ্ছে, ডিমের ভিতর বাচ্চা মারা যাচ্ছে এই সমস্যা গুলিতে অনেকেই ভুগছেন। এ সমস্যা গুলির বিভিন্ন নিদির্ষ্ট কারন ত আছেই এর বাইরে অন্যতম একটি প্রধান কারন E. coli সংক্রমন ।

E.coli ব্যাকটেরিয়া কে আমি একটি চরম সুবিধাবাদী
ব্যাকটেরিয়া বলে থাকি কারন এটি নিজে আক্রমন করে যতটা না ক্ষতি করে তারচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থা সৃষ্টি করে অন্যরোগের আক্রমনের সময় কম্বাইন্ড এটাক করে।

E. coli সংক্রমণ Escherichia coli ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট হয়। এই ব্যাকটেরিয়া বিশ্বব্যাপী খুব সাধারণ এবং স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং পাখির অন্ত্রের একটি সাধারণ বাসিন্দা।

E. Coli অনেক প্রজাতির প্রাণীর বিভিন্ন রোগের কারণ হিসেবে দায়ী এবং প্রজাতি থেকে প্রজাতিতে লক্ষণগুলি পরিবর্তিত হয়। এই ব্যাকটেরিয়াটির অনেকগুলি "স্ট্রেন" রয়েছে যা আমাদের কবুতরকে সংক্রামিত করে এবং তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ব্যাপকভাবে হ্রাস করে। এই "স্ট্রেন" গুলি কে সেরোটাইপ বলা হয় । E. coli ব্যাকটেরিয়া বিভিন্ন সেরোটাইপের রোগ (প্যাথোজেনিসিটি) সৃষ্টি করে এবং E. coli এর কিছু স্ট্রেন এন্ডোটক্সিন তৈরি করে যা গভীর অসুস্থতা তৈরি করতে পারে। E. coli কবুতরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে নষ্ট করে দেয় ফলে কবুতর সহজেই নানান রোগে আক্রান্ত হয়। আমরা ত অনেকেই সালমোনেলা নিয়ে খুবই নাচানাচি করি কিন্তু E. coli সংক্রমন সালমোনেলা সংক্রমনের চেয়ে কোন অংশে কম নয় এবং E.coli সংক্রমনে কবুতরের যে লক্ষনগুলি প্রকাশ পায় তা অধিকাংশ ক্ষেত্রে সালমোনেলা আক্রান্ত কবুতরের মত একই হওয়ায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয় । এছাড়া এন্টারাইটিস,সেপ্টিসেমিয়া,মাইক্রোপ্লাজমোসিস , কক্সিডিওসিস, টক্সিসিটি ইত্যাদি সংক্রমনে মৃত্যুর হার বৃদ্ধির অন্যতম কারন E. coli ব্যাকটেরিয়া। সুস্থ কবুতরের হঠাৎ মৃত্যুর অন্যতম একটি প্রধান কারন ও কিন্তু E. coli ব্যাকটেরিয়া। E.coli একটি সুযোগ সন্ধানী ব্যাকটেরিয়া। কবুতরের শরীরে হয়তো E.coli সংক্রমন নেই কিন্তু কবুতরের দেহে অন্যান্য ব্যাকটেরিয়াল বা ভাইরাল ইনফেকশন হলে, কিংবা কোন কারনে যখন কবুতরের ইমিউন সিস্টেম দূর্বল অবস্থায় থাকে তখন E.coli কবুতরের দেহের এই নাজুক অবস্থার সুযোগ নিয়ে কবুতরকে আক্রমন করে বসে এবং অন্য ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের কারনে কবুতরের শরীরে সৃষ্ট রোগগুলিকে আরও বাড়িয়ে ব্যাপক জটিলতা সৃষ্টি করে।

যেসব কবুতর আক্রান্ত হয় তাদের সাধারণত সবুজ ডায়রিয়া হয় এবং কিছু বমি করে, সবুজ বমি ও হতে পারে । খাবার দেরীতে হজম হয়, কোন কোন ক্ষেত্রে হজম ই হয়না। ক্রপে খাবার জমে থাকে এবং পচেঁ দূর্গন্ধ বের হয়। দ্রুত ওজন হারাতে পারে এবং এই ফর্মের সাথে হঠাৎ মারা যেতে পারে। হাড়ের জয়েন্টে ইনফেকশন হতে পারে। এর ফলে পঙ্গুত্ব বা ডানা পড়ে যায়। আক্রান্ত জয়েন্টে বয়েল দেখা যায় বা নাও হতে পারে। শ্বাস তন্ত্রের সমস্যা, দীর্ঘস্থায়ী ক্ল্যামেডিয়া অথবা করিজা, ডিমের ভিতর বাচ্চা মরে যাওয়া, ছোট বেবি মরে যাওয়া, কবুতরের ফ্লাইং টাইম কমে যাওয়া এবং হঠাৎ করে প্যারালাইজড হয়ে যাওয়ার অন্যতম একটি কারন E.coli সংক্রমন।

নোংরা, অবদ্ধ, ধূলাবালিযুক্ত স্যাতঁস্যাতেঁ পরিবেশ, দীর্ঘদিন খাচায়ঁ আটকে ব্রিডিং করানো, এন্টিবায়োটিক বা এসিডিফায়ার প্রয়োগের পরে প্রোবায়টিকস, প্রিবায়োটিকস প্রদান না করা, ফাংগাসযুক্ত খাবার, দূষিত পানি, অপরিচ্ছন খাবার ও পানির পাত্র এবং লফটে বায়োসিকিওরিটি মেনে না চলা E.coli সংক্রমনের অন্যতম প্রধান কারন।

সামনে E.coli প্রতিরোধ, প্রতিকার এবং এন্টিবায়োটিক প্রয়োগে E.coli এর অদ্ভুত আচরন নিয়ে লেখা আসবে ইনশাআল্লাহ

চলবে......................

© Fahad Ahammed

সিজন চেন্জ হচ্ছে। অনেক এলাকায় গরম পড়ে গেছে। এখন একটু অসর্তকতা আপনার লফটে বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। তাই নিম্নের বিষয়গুলির প...
04/03/2022

সিজন চেন্জ হচ্ছে। অনেক এলাকায় গরম পড়ে গেছে। এখন একটু অসর্তকতা আপনার লফটে বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। তাই নিম্নের বিষয়গুলির প্রতি লক্ষ্য রাখা জরুরী।

১. কবুতর এর ঘরের বায়ু প্রবাহিত হওয়ার ব্যাবস্থা করুন। চট বা পর্দা যেগুলো শীতের সময় লাগানো হয়েছিলো সেগুলো খুলে ফেলতে পারেন। ঘরে যাতে গ্যাস না জমে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।।

২. কবুতর এর খাবারে তেলবীজ এর পরিমান কমিয়ে প্রোটিন বাড়িয়ে দিন। সরিষা বাদ দিয়ে দেয়াই ভালো এখন। কবুতরকে এখনও শীতের অতিরিক্ত তেলবীজ যুক্ত খাবার দেয়ার কারনে কবুতর এর বদহজম হতে পারে।

৩. কবুতরকে সপ্তাহে অন্তত ২ দিন জীবানুনাশক মেশানো পানিতে গোসল দিন।

৪. ফ্লাইং ইউনিট এর কবুতর লক করে দিতে পারেন।

৫. লফটে প্রতিদিন জীবানুনাশক স্প্রে করুন এবং খাবার ও পানির বাটি পরিষ্কার রাখুন।

৬. কবুতর যদি স্বাভাবিক থাকে তাহলে কৃমির কোর্স না করানো হলে করিয়ে ফেলুন।

৭. কবুতর এর চোখে এসময় পানি আসে। শেষ রাত্রে ঠান্ডা এবং দিনের বেলা গরম থাকার কারনে কবুতর ইনফেকসাস করিজাতে বেশি আক্রান্ত হয় এসময়। তাই চোখে পানি আসলেই করিজা কিনা সেটা শিওর না হয়ে আইড্রপ দেয়া শুরু করা ঠিক নয় । করিজাতে শুধু আইড্রপ দিলে রেজাল্ট আসার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এছাড়া ppmv এর একটা সিম্পটম এর প্রার্দূভাব বেড়েছে লক্ষ্য করেছি এবছর যেটা বিগত দিন গুলোতে এতটা চোখে পড়েনি। এটাতেও চোখে পানি এসেছে কবুতর এর এবং এটার লক্ষন অনেকটা Crd complex এর মত হওয়ার কারনে বিভ্রান্ত হয়েছেন অনেকে। ভাইরাস এর কেসে না বুঝে এন্টিবায়োটিক দেয়ার কারনে অনেকের কবুতর মারা গেছে। এমন কয়েকটি কবুতরকে পোস্টমর্টেম করার পর রিপোর্ট এ ppmv type 1 positive হয়েছে। সুতরাং কবুতর এর চোখে পানি আসলে আগে শিওর হন কেন আসলো তারপর চিকিৎসা দিন। প্রয়োজনে অভিজ্ঞ ভেট অথবা অভিজ্ঞ সিনিয়র ফেন্সিয়ারদের পরামর্শ নিন।

৮. এসময় মশার উপদ্রপ খুব বেড়ে যায় তাই আপনার লফটে যদি মশা প্রতিরোধ এর ব্যাবস্থা ভাল না হয় তাহলে কবুতরকে ১৫ দিন / একমাস এর জন্য জোড়া ভেঙ্গে রেস্টে দিতে পারেন।

৯. সিজন চেন্জ হচ্ছে তাই এখন বিভিন্ন রোগের আক্রমন বৃদ্ধি পাবে। মাথা ঠান্ডা রাখুন। কবুতর অসুস্থ হলে আগে শিওর হন কি হয়েছে তারপর ট্রিটমেন্ট করুন। কবুতরকে প্রথমে একবার ভুল মেডিসিন দিয়ে পরে সঠিক মেডিসিন প্রয়োগ করলে ও আর সহজে কাজ করতে চায় না। তাই উল্টাপাল্টা মেডিসিন দিয়ে কবুতরকে দূর্বল না করে সঠিক রোগ নির্নয় করে সঠিক মেডিসিন প্রয়োগ করুন।

© Fahad Ahammed

জিংক কবুতরের জন্য খুবই জরুরী একটি মিনারেলস। আমাদের দেশে  বেশিরভাগ কবুতর পালকদের ধারনা জিংক সাপ্লিমেন্ট  শুধু মল্টিং চলাক...
21/01/2022

জিংক কবুতরের জন্য খুবই জরুরী একটি মিনারেলস। আমাদের দেশে বেশিরভাগ কবুতর পালকদের ধারনা জিংক সাপ্লিমেন্ট শুধু মল্টিং চলাকালীন কবুতরকে দিতে হয় এবং জিংক শুধু কবুতরের পালক গজানোর কাজ করে। এটা একটি সম্পূ্র্ন ভুল ধারনা। জিংক কবুতরের যৌন পরিপক্কতা এবং বংশবৃদ্ধির সক্ষমতা অর্জনের জন্য অত্যাবশ্যক। জিংক এমন একটি পুষ্টি উপাদান যা কবুতরের দৈহিক বৃদ্ধি, হাঁড়ের বৃদ্ধি, পালক বিন্যাস, এনজাইমের গঠন ও হজম প্রক্রিয়া এবং রুচি বৃদ্ধিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কবুতরের শরীরে জিংকের প্রবল ঘাটতি হলে যে শুধু পালক পড়ে যাবে কিংবা পালক উষ্কখুষ্ক থাকবে এমন নয় বরং জিংকের অভাবে কবুতরের বদহজম, পাতলা মারাত্নক দুর্গন্ধযুক্ত ড্রপিং, লেগ এন্ড ন্যাক প্যারালাইসিস এমন কি চিরতরে বান্জা হয়ে হয়ে পর্যন্ত যেতে পারে। আমরা অনেকেই কবুতরের জন্য ক্যালসিয়াম কে যতটা গুরুত্ব দেই জিংক কে ততটা গুরুত্ব দেই না। এটা ঠিক নয়। বিশেষ করে আমরা যারা পার্মানেন্টলি খাচায়ঁ আটকে কবুতর পালি তাদের উচিত কবুতরকে প্রতিমাসে মিনিমাম ৩ দিন জিংক সাপ্লিমেন্ট প্রদান করা। মল্টিং সিজনে জিংক সাপ্লিমেন্ট দেয়ার ক্ষেত্রে অনেকে রেগুলার ডোজের থেকে ৫/১০ গুন ওভারডোজে জিংক দিয়ে থাকেন। এটা ঠিক নয়। একসাথে অতিরিক্ত জিংক কবুতরকে দেয়া হলে কবুতর zinc toxicosis এ আক্রান্ত হতে পারে। zinc toxicosis এ আক্রান্ত কবুতরের লক্ষন এবং চিকিৎসা নিয়ে বিস্তারিত আরেকদিন সময় সুযোগ হলে লেখবো ইনশাআল্লাহ।। তাই আমরা জিংক সাপ্লিমেন্ট যেটাই
আমাদের কবুতরগুলিকে দেই না কেন, অবশ্যই সবসময় সঠিক ডোজে দেয়ার চেষ্টা করবো।।

জিংকের ঘাটতির কারনে হওয়া পাতলা ড্রপিং এর জন্য একভাইয়ের সাথে কথোপকথনের কিছু স্ক্রিনশট ভাইয়ের নাম গোপন রেখে পোষ্টে এড করে দিলাম।
নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো যে কতটা মজার সেটা স্ক্রিনশট গুলি পড়লেই বুঝে আসবে।।

© Fahad Ahammed

কবুতরের যত্নে  প্রিবায়োটিকসের প্রয়োজনীয়তা মানুষ সহ যেকোন জীবের সুস্বাস্থ্যর জন্য প্রোবায়টিকস এবং প্রিবায়োটিকসের ভূমিকা অ...
19/01/2022

কবুতরের যত্নে প্রিবায়োটিকসের প্রয়োজনীয়তা

মানুষ সহ যেকোন জীবের সুস্বাস্থ্যর জন্য প্রোবায়টিকস এবং প্রিবায়োটিকসের ভূমিকা অপরিসীম। কবুতরসহ যেকোন জীবের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রোবায়টিকস এবং প্রিবায়োটিকস ব্যাবহার করা, বর্তমানে দেশ ও বিদেশের অভিজ্ঞ ফেন্সিয়ারদের কাছে একটি জনপ্রিয় এবং সফল পদ্ধতি। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই এবং সাকসেস রেট ভাল বলে বর্তমানে অনেকেই কবুতরের রোগ প্রতিরোধে মেডিসিন প্রয়োগ নির্ভর কবুতরপালন বাদ দিয়ে প্রোবায়োটিকস এবং প্রিবায়োটিকস ব্যাবহারের দিকে আগ্রহী হচ্ছেন।

অনেকে প্রায়ই আমাকে প্রশ্ন করেন প্রোবায়টিকস এবং প্রিবায়োটিকস কি একই জিনিস?

জি না। প্রোবায়োটিক ও প্রিবায়োটিকস এক জিনিস নয়। প্রোবায়োটিক অন্ত্রের উপকারী জীবন্ত ব্যাকটেরিয়া আর প্রিবায়োটিক হচ্ছে একধরনের অদ্রবণীয় খাদ্য আঁশ, যা খেয়ে প্রোবায়টিকসগুলি বংশবিস্তার করে এবং বেচেঁ থাকে।

যেকোন জীবদেহেই উপকারী এবং অপকারী ব্যাকটেরিয়া বিদ্যমান। এই দুইদলই প্রতিনিয়ত একদল অপর দলকে পরাজিত করার জন্য যুদ্ধ করে যাচ্ছে। কবুতরের শরীর ও এর ব্যাতিক্রম নয়। উপকারী ব্যাকটেরিয়া দলে ভারী হলে স্বাভাবিক ভাবেই ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে পরাজিত করে দিবে কিন্তু কোন কারনে যদি কবুতরের দেহে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বেড়ে যায় আর এরা উপকারী ব্যাকটেরিয়াদের কে পরাজিত করে দেয় তখনই কবুতরের ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন শুরু হয়। কবুতরের সালমোনেলা, ইকোলাই, কক্সিডিওসিস, এয়ার স্যাকডিজিজ, বদহজম, স্ট্রেস ইত্যাদি সহ বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের অন্যতম একটি কারন কবুতরের দেহে প্রোবায়টিকসের অভাব হওয়া। প্রোবায়টিকস মানে উপকারী ব্যাকটেরিয়া, কবুতরকে নিয়মিত প্রদানের পাশাপাশি যদি আমরা কবুতরকে প্রোবায়টিকসের খাদ্য হিসেবে প্রিবায়োটিকস ও প্রদান করি তাহলে প্রোবায়টিকসের সংখ্যা কবুতরের দেহে বৃদ্ধি পাবে এবং ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমে গিয়ে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে । যার ফলে কবুতরের ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের কারনে সৃষ্ট রোগগুলিতে আক্রান্ত হওয়ার চান্স ৭০% পর্যন্ত কমে আসবে ইনশাআল্লাহ।।

লালগম, লালচাল, লালচিনি, মধু, তিষি, ছোলা, সবুজ মটর, বাদাম, রসুন, পেয়াজ, ইসবগুল ইত্যাদি কবুতরের জন্য উওম প্রাকৃতিক প্রিবায়োটিকসের উৎস। এছাড়া বাজারে বিভিন্ন কোম্পানীর প্রোবায়টিকস + প্রিবায়োটিকস কম্বাইন্ড ফর্মে পাওয়া যায়।
যেমন পোল্টিস্টারসল, বায়োলাক্ট বোলাস, রুমিসেল, প্রোজাইম ভেট ইত্যাদি।

কবুতরের শারীরিক অবস্থা বিবেচনায়, ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন প্রতিরোধে, প্রাকৃতিক প্রিবায়োটিকসগুলির ভিতর হতে যেকোন দুটি বা সম্ভব হলে কয়েকটি একসাথে কবুতরকে নিয়মিত প্রতিদিন প্রদান করা উচিত। তবে প্রাকৃতিক প্রিবায়োটিকস গুলি প্রদানের ক্ষেত্রে আবহাওয়া এবং সিজনের দিকে লক্ষ্য রাখা জরুরী। যেমন গরমকালে আপনি কবুতরকে যদি প্রতিদিন মধু,পেয়াজ, রসুন কিংবা বাদাম দেন তাহলে কিন্তু কবুতরের উপকারের বদলে ক্ষতি হবে।

তবে কবুতরের চিকিৎসায়, এন্টিবায়োটিক বা যেকোন মেডিসিন কবুতরকে প্রয়োগের পরে, রোগ থেকে সুস্থ হওয়ার পরে, সিজন চেন্জের সময়, খারাপ আবহাওয়ায়, রেসিং কিংবা পরিবহনের পূর্বে এবং পরে, ব্রিডিং এ দেয়ার পূর্বে বিভিন্ন কোম্পানীর প্রোবায়টিকস + প্রিবায়োটিকস মিক্সড কম্বিনেশন টানা ৫/৭ দিন দেয়াটাই আমি উওম মনে করি।।

© Fahad Ahammed

Address

Dhaka
1361

Opening Hours

Monday 10:00 - 18:00
Tuesday 10:00 - 18:00
Wednesday 10:00 - 18:00
Thursday 10:00 - 18:00
Saturday 10:00 - 18:00
Sunday 10:00 - 18:00

Telephone

+8801628082522

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when O&O Aviary posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to O&O Aviary:

Videos

Share

Category


Other Pet Services in Dhaka

Show All