ভুয়া ভেটেরিনারি ডাক্তার চিনুন ও ধরিয়ে দিন

  • Home
  • Bangladesh
  • Dhaka
  • ভুয়া ভেটেরিনারি ডাক্তার চিনুন ও ধরিয়ে দিন

ভুয়া ভেটেরিনারি ডাক্তার চিনুন ও ধরিয়ে দিন বাংলাদেশ ভেটেরিনারি প্রাক্টিসনার্স আইন অনুযায়ী ভেটেরিনারি প্র্যাকটিস কার্যকর করণে সহায়তা করা।

অদ্য ২৭-০৩-২৪ বুধবার,  ঝিনাইদহ জেলার,  মহেশপুর উপজেলার এসবিকে ইউনিয়নের এক খামারী অভিযোগ করেন, তার চার মাস গর্ভধারণ করা এ...
02/06/2024

অদ্য ২৭-০৩-২৪ বুধবার, ঝিনাইদহ জেলার, মহেশপুর উপজেলার এসবিকে ইউনিয়নের এক খামারী অভিযোগ করেন, তার চার মাস গর্ভধারণ করা এক গাভীকে সোহেল রানা নামক একজন কৃত্রিম প্রজনন কর্মী, পুনরায় হিটে আসছে বলে পরপর দুইদিন কৃত্রিম প্রজনন করে ও হরমোন ইনজেকশন করে, যার ফলশ্রুতিতে উক্ত গাভীর গর্ভপাত হয়।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল মহেশপুর, ঝিনাইদহ কর্তৃক উক্ত অভিযোগের সত্যতা যাচাই করার জন্য খামারী বাড়িতে যাওয়া হয়। গর্ভপাত গাভী সহ অন্য আলামত যাচাই করা পূবর্ক এলাকাবাসীর কাছে অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা হয়। পরবর্তীতে উক্ত অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত, সহকারী কমিশনার (ভূমি), মহেশপুর, ঝিনাইদহ কর্তৃক বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল আইন ২০১৯ এর ৩৫ ধারায় অভিযুক্ত সোহেল রানাকে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

02/05/2024
কপি পোস্টঃ সতর্ক হোন এই রকম ভূয়া কৃত্রিম প্রজনন কর্মী থেকে।ভূয়া কোম্পানির ভূয়া কৃত্রিম প্রজনন টেকনিশিয়ান হতে সাবধানঃগ...
09/04/2024

কপি পোস্টঃ সতর্ক হোন এই রকম ভূয়া কৃত্রিম প্রজনন কর্মী থেকে।
ভূয়া কোম্পানির ভূয়া কৃত্রিম প্রজনন টেকনিশিয়ান হতে সাবধানঃ
গত ২৭-০৩-২৪ বুধবার ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার এসবিকে ইউনিয়নের এক খামারী অভিযোগ করেন, তার চার মাসের গর্ভবতী এক গাভীকে সোহেল রানা নামক একজন কৃত্রিম প্রজনন কর্মী পুনরায় হিটে আসছে বলে পরপর দুইদিন কৃত্রিম প্রজনন করে ও হরমোন ইনজেকশন করে, যার ফলশ্রুতিতে উক্ত গাভীর গর্ভপাত হয়।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল মহেশপুর ঝিনাইদহ কর্তৃক উক্ত অভিযোগের সত্যতা যাচাই করার জন্য খামারী বাড়িতে যায়। গর্ভপাত গাভী সহ অন্য আলামত যাচাই করা পূবর্ক এলাকাবাসীর কাছে অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা হয়। পরবর্তীতে উক্ত অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত সহকারী কমিশনার(ভূমি), মহেশপুর, ঝিনাইদহ কর্তৃক বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল আইন ২০১৯ এর ৩৫ ধারায় অভিযুক্ত সোহেল রানাকে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

02/01/2024

"ভেটেরিনারি সায়েন্স বনাম পশুপালনঃ প্রাণিসম্পদ বিভাগের পশ্চাৎযাত্রা"
ডাঃ মোঃ আবু বকর আহাদ

ঔপনিবেশিক ভারতের সামরিক বাহিনীর প্রয়োজনে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ঘোড়া ও ষাঁড়ের উৎকর্ষতায় আগ্রহ দেখায় এবং ১৭৭৪ সালে ভারতে ঘোড়ার প্রজনন খামার স্থাপন করে। তখন থেকেই উপমহাদেশে আধুনিক প্রাণি চিকিৎসাবিজ্ঞানের সূচনা হয় এবং ভেটেরিনারি পেশার ক্রমবিকাশ ঘটতে থাকে। শুরুর দিকে প্রজনন খামারগুলোর উন্নয়নের জন্য লন্ডন ভেটেরিনারি কলেজ থেকে পাশ করা দক্ষ ভেটেরিনারিয়ানরা ভারতে আসতে থাকে। তাদের মধ্যে অন্যতম প্রথিতযশা ব্রিটিশ ভেটেরিনারিয়ান William Moorcroft -কে ঘোড়ার প্রজনন খামারের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পর খামারের ক্ষতি ৯০ শতাংশ হ্রাস পায়। ১৮৬২ সালে পুনেতে “আর্মি ভেটেরিনারি স্কুল” প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে উপমহাদেশে আনুষ্ঠানিক ভেটেরিনারি শিক্ষার শুরু হয়। এর পনেরো বছর পর ১৮৭৭ সালে প্রথম “সিভিল ভেটেরিনারি স্কুল” প্রতিষ্ঠিত হয় উত্তর প্রদেশের বাবুগড়ে। গবাদি প্রাণীর রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং প্রজনন ব্যবস্থার উন্নয়নে ১৮৮১ সালে ভারতে সিভিল ডিপার্টমেন্টের যাত্রা শুরু হয়। ১৮৮২ সালে পাকিস্তানের লাহোরে প্রথম ভেটেরিনারি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯২৮ সালে রয়্যাল কমিশন অন এগ্রিকালচার ভারতীয় উপমহাদেশে সহকারী ভেটেরিনারি সার্জনের সংখ্যা ৪ গুণ বাড়ানোর প্রস্তাব করে এবং একই সাথে মানসম্মত ভেটেরিনারি ডিগ্রী দেওয়ার লক্ষ্যে বিদ্যমান ভেটেরিনারি কলেজগুলো উন্নত করার পরামর্শ দেয়। পরামর্শ মোতাবেক মাদ্রাজ ভেটেরিনারি কলেজ এই লক্ষ্যে নেতৃত্ব দেয় এবং ১৯৩৬ সালে মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে “ব্যাচেলর অব ভেটেরিনারি সায়েন্স” ডিগ্রী প্রদান শুরু হয়। ঐ সময়ে অবিভক্ত বাংলায় সদ্য প্রতিষ্ঠিত কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ছিলো প্রাণিসম্পদ সেক্টর।

১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ ভাগ হওয়ার পর বেশিরভাগ মুসলিম ভেটেরিনারি সার্জন পূর্ব পাকিস্তানে চলে আসে। ঐ বছরের ৭ ডিসেম্বর কুমিল্লায় “ইস্ট পাকিস্তান ভেটেরিনারি কলেজ” প্রতিষ্ঠা করা হয় যেখানে ৩ বছয় মেয়াদী “ডিপ্লোমা ইন ভেটেরিনারি মেডিসিন এন্ড সার্জারি (ডিভিএমএস)” ডিগ্রি দেয়া হতো যা পরবর্তীতে “লাইসেন্সিয়েট ভেটেরিনারি সায়েন্স (এলভিএস)” হিসেবে নামকরণ করা হয়। এসময় কৃষি ও প্রাণিসম্পদ সেক্টর দুটোকে আলাদা করা হয়। ১৯৫১ সালে কুমিল্লা থেকে “ইস্ট পাকিস্তান ভেটেরিনারি কলেজ” ঢাকার তেজগাঁওয়ে স্থানান্তর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। কলেজের নামকরণ করা হয় “ইস্ট পাকিস্তান কলেজ অব ভেটেরিনারি সাইন্স অ্যান্ড অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি” যেখান থেকে ৫ বছর মেয়াদী “বিএসসি ইন এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি” ডিগ্রি দেয়া হতো (মূলত ভেটেরিনারি সায়েন্স এবং এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি কে অবিচ্ছেদ্য বিবেচনায় এ ধরণের নামকরণ করা হয়)। ১৯৫৭ সালে “ইস্ট পাকিস্তান কলেজ অব ভেটেরিনারি সাইন্স অ্যান্ড অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি” তেজগাঁও, ঢাকা থেকে ময়মনসিংহে স্থানান্তরিত হয় এবং “বিএসসি ইন এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি” ডিগ্রীর নাম পরিবর্তন করে “বিএসসি ইন ভেটেরিনারি সায়েন্স এন্ড এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি” রাখা হয় যা ১৯৬১ সাল পর্যন্ত বলবৎ ছিল।

পূর্ব বাংলার জাতীয় শিক্ষা কমিশন এবং খাদ্য ও কৃষি কমিশনের সুপারিশক্রমে ১৯৬১ সালে “ইস্ট পাকিস্তান কলেজ অব ভেটেরিনারি সাইন্স অ্যান্ড অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি” কে কেন্দ্র করে “ইস্ট পাকিস্তান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়” (বর্তমানে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়) প্রতিষ্ঠিত হয় । ১৯৬২ সালে একই কমিশনের সুপারিশে ইস্ট পাকিস্তান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে “বিএসসি ইন ভেটেরিনারি সায়েন্স এন্ড এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি” ডিগ্রীকে বিলুপ্ত করে ভেটেরিনারি ও পশুপালন নামক দুটি পৃথক অনুষদ তৈরি করা হয়। ভেটেরিনারি অনুষদে “ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন (ডিভিএম)” এবং পশুপালন অনুষদে “বিএসসি ইন এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি” ডিগ্রী প্রবর্তন করে পেশাগত বিভাজনের বীজ বপন করা হয়। উল্লেখ্য, যৌথ ইন্দো-আমেরিকান ও পাক-আমেরিকান বিশেষজ্ঞরা ভারতবর্ষের কৃষি শিক্ষা ও গবেষণায় আমেরিকার এ সুপারিশে “বিএসসি ইন ভেটেরিনারি সায়েন্স এন্ড এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি” ডিগ্রীকে দুটি পৃথক ডিগ্রীতে বিভক্ত করার সুপারিশ করে। ভারতের ২২টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র ৩টি এবং পাকিস্তানের ২টি বিশ্ববিদ্যালয় দুটো ডিগ্রীকে আপাতত আলাদা করে দিলেও পরবর্তী সময়ে ভারতের ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল কমিশন এ দুই ডিগ্রীর বিভক্তি প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করে আবারও সমন্বিত ডিগ্রী চালু করে। কিন্তু বাংলাদেশে এই হুমকি সনাক্ত ও ব্যবস্থা নিতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। ফলে দুই ডিগ্রিধারীদের মধ্যে পেশাগত দ্বন্দ্ব মাঠপর্যায়ে ছড়িয়ে পড়ে।

কৌশলগতভাবে দ্বন্ধ নিরসনে বাংলাদেশ সরকার ভেটেরিনারি মেডিসিন ও পশুপালন উভয় ডিগ্রীকে পুণরায় একীভূত করে “কম্বাইন্ড ডিভিএম” ডিগ্রী চালু করার উদ্যোগ নেয়। যার প্রেক্ষিতে ১৯৯৪ সালে সিলেট সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ এবং ১৯৯৬ সালে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয় যেগুলো পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ নেয়। “কম্বাইন্ড ডিভিএম” ডিগ্রী পরবর্তীতে আরও অনেক কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া শুরু হয় এবং এই ডিগ্রীধারীদের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। প্রতিযোগিতার মনোভাব থেকে পশুপালন ডিগ্রীধারীরাও তাদের সংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্যে শত বিরোধিতা স্বত্ত্বেও ২০১০ সালে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পশুপালন অনুষদ খুলে পশুপালন ডিগ্রী প্রদান শুরু করে। পশুপালন ডিগ্রিধারীরা কম্বাইন্ড ডিভিএম ডিগ্রীর অন্তর্গত পশুপালন বিষয়ের স্বীকৃতি দিতে নারাজ যদিও সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে এসব বিষয়ের বেশিরভাগ শিক্ষক পশুপালন ডিগ্রিধারী। এজন্য পরবর্তীতে যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুনভাবে ভেটেরিনারি সায়েন্স পড়ানো হচ্ছে সেখানে “কম্বাইন্ড ডিভিএম” ডিগ্রীর নাম পুণরায় “বিএসসি ইন ভেটেরিনারি সায়েন্স এন্ড এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি” করা হয়েছে। ভেটেরিনারিয়ানরা “ডিভিএম” অথবা “বিএসসি ইন ভেটেরিনারি সায়েন্স এন্ড এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি” ডিগ্রীর সাথে “বিএসসি ইন এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি” ডিগ্রী একীভূত করার ব্যাপারে সম্মতি দিলেও পশুপালন ডিগ্রীধারীরা স্বকীয়তা ধরে রাখতে বরাবরের মতই অনাগ্রহ প্রকাশ করে আসছে।

অস্তিত্ব সংকটের আশঙ্কা থেকে পশুপালন ডিগ্রিধারীরা এখন নতুন অপকৌশল অবলম্বন করেছে। তার সর্বশেষ উদাহরণ হচ্ছে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বর্তমান সচিব ড. নাহিদ রশীদ (তিনি একজন পশুপালন ডিগ্রিধারী) -এর নেতৃত্বে পশুপালন ডিগ্রীধারীরা স্টেকহোল্ডারদের সাথে পরামর্শ এবং যাচাই বাছাই ছাড়া গোপনীয়তার সাথে “বাংলাদেশ এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি কাউন্সিল আইন” তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন। এই আইনের মাধ্যমে গোষ্ঠীগত স্বার্থ বিবেচনায় পশুপালন ডিগ্রিধারীরা ন্যক্কারজনকভাবে ভেটেরিনারি পেশাজীবীদের অনেক প্রতিষ্ঠিত অধিকার খর্ব করে তা নিজেদের বলে দাবি ও প্রচারণা করছেন। তারা দাবি করছেনঃ প্রাণি উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা, প্রানি পুষ্টি, প্রানি প্রজনন, প্রানিজাত পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, খাদ্য নিরাপত্তা ইত্যাদি তাদের কাজ; আর ভেটেরিনারিয়ানদের কাজ শুধুমাত্র চিকিৎসা করা! অথচ বিশ্ব প্রাণী স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী প্রাণিজাত খাদ্যপণ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং স্থানীয় অথবা আন্তর্জাতিকভাবে বাজারজাতকরণের প্রতিটি স্তরে ইন্সপেকশন ও সার্টিফিকেশনের দায়িত্বে থাকবে শুধুমাত্র ভেটেরিনারিয়ান। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এবং বিশ্ব প্রাণী স্বাস্থ্য সংস্থার সুস্পষ্ট নির্দেশনায় বলা আছে যেঃ ভেটেরিনারিয়ানরা প্রাণি কল্যাণ সমুন্নত রেখে প্রাণি উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা, প্রাণির রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ, প্রজনন ব্যবস্থাপনা, কৃত্রিম প্রজনন, খাদ্য নিরাপত্তা, গণস্বাস্থ্য, জুনোসিস ও মহামারী নিয়ন্ত্রণ, ওষুধ ও টিকা উৎপাদন, প্রাণিজাত পণ্য বাজারজাতকরণ, আমদানি ও রপ্তানিতে সার্টিফিকেশন, প্রজাতি সংরক্ষণ, স্থল ও জলস্থ্ বন্যপ্রাণীর সুরক্ষা, গবেষণা, সম্প্রসারণ ইত্যাদি কার্যক্রমে সরাসরি যুক্ত থাকবেন।

ভেটেরিনারি আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম এমনভাবে সাজানো যাতে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার পর একজন ভেটেরিনারি জেনারেলিস্ট জল, স্থল কিংবা আকাশচরী, গৃহপালিত থেকে বন্য, ভক্ষণযোগ্য কিংবা সহচর এই বিশাল প্রাণী জগতের কল্যাণে কাজ করতে পারেন। এরপর সুনির্দিষ্ট বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহন করে ভেটেরিনারি স্পেশালিস্টগণ মেডিসিন, সার্জারি, থেরিওজেনোলজি, কার্ডিওলজি, ডেন্টিস্ট্রি, ডার্মাটোলজি, অপথালমোলজি, প্যাথলজি, মাইক্রোবায়োলজি, এনেস্থেসিয়া, ইমার্জেন্সি এন্ড ক্রিটিক্যাল কেয়ার, নিউট্রিশন, স্পোর্টস মেডিসিন এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন, ফার্মাকোলজি, টক্সিকোলজি, রেডিওলজি, প্রিভেন্টিভ মেডিসিন, প্রাণী আচরণ, প্রাণী কল্যাণ, গণস্বাস্থ্য ইত্যাদি বিষয়ে প্র্যাকটিস অথবা গবেষণা কার্যক্রমে নিযুক্ত হন। আবার প্রজাতি ভেদে ভেটেরিনারি ডাক্তারগণ দুগ্ধজাত কিংবা মাংসজাত গবাদিপ্রাণী, পোল্ট্রি, পাখি, ঘোড়া, ক্যানাইন (কুকুর জাতীয়), ফেলাইন (বিড়াল জাতীয়), ভক্ষণযোগ্য প্রাণী, ল্যাবরেটরি প্রাণি, সরীসৃপ এবং উভচর প্রাণী, চিড়িয়াখানার প্রাণি, জলজ প্রাণি, সামুদ্রিক বন্যপ্রাণি বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।

বিশ্ব প্রাণী স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী প্রাণী উৎপাদনের মূলনীতি (বাসস্থান, খাদ্য ও প্রজনন ব্যবস্থাপনা), প্রাণি পুষ্টি, প্রাণিজাত খাদ্যপণ্যের বাজারজাতকরণ এবং খাদ্য নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়গুলো ভেটেরিনারি আন্ডারগ্র্যাজুয়েট শিক্ষার কোর কারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত। এই বিষয়গুলোকে প্রি-ভেটেরিনারি সায়েন্স বলে। গাইডলাইনে সুস্পষ্টভাবে এটাও উল্লেখ আছেঃ মৌলিক ভেটেরিনারি সায়েন্স এবং এনিম্যাল প্রডাকশন সম্পর্কিত বিষয়গুলো ভেটেরিনারি আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের শুরুর দিকে পড়াতে হবে অথবা এই বিষয়গুলোকে ভেটেরিনারি আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির পূর্বশর্ত হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রে “ডিভিএম” কিংবা “এমবিবিএস” ডিগ্রীতে আবেদনের যোগ্যতা হিসেবে মৌলিক বিজ্ঞান অথবা সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে অনার্স ডিগ্রী থাকা বাধ্যতামূলক। এ্যাসোসিয়েশন অব অ্যামেরিকান ভেটেরিনারি মেডিক্যাল কলেজের নির্দেশনা অনুযায়ী ডিভিএমে আবেদনের পূর্বশর্ত হিসেবে প্রি-ভেটেরিনারি সায়েন্সের (এনিম্যাল সায়েন্স/হাজবেন্ড্রি, এনিম্যাল নিউট্রিশন এবং জেনেটিক্স) কথা উল্লেখ আছে।এই প্রি-ভেটেরিনারি সায়েন্সের বিষয় নিয়ে বাংলাদেশে “এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি” নামে ব্যাচেলর ডিগ্রী দেওয়া হচ্ছে। প্রি-ভেটেরিনারি সায়েন্স নিয়ে দেশে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম চালু থাকা দোষের কিছু না। কিন্তু প্রি-ভেটেরিনারি সায়েন্সকে ভেটেরিনারি সায়েন্সের সমতুল্য ভাবা এবং সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্রে পশুপালন ডিগ্রীধারীরা নিজেদেরকে ভেটেরিনারি ডাক্তারের চেয়ে অধিকতর যোগ্যতাসম্পন্ন ভাবা অবশ্যই দোষের কিছু। ভেটেরিনারি ডাক্তারদের কাজ শুধুমাত্র প্রাণি চিকিৎসা ইত্যাদি প্রচার করে ভেটেরিনারিয়ানদের প্রতিষ্ঠিত অধিকার খর্ব করার চেষ্টা এবং প্রাণিসম্পদ বিভাগে কাজ ভাগাভাগি করার উদ্দেশ্যে বিদ্যমান “বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল আইন-২০১৯” এর বেশিরভাগ নকল করে “বাংলাদেশ এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি কাউন্সিল আইন-২০২৩” প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়ে পশুপালন ডিগ্রীধারীরা প্রানিসম্পদ বিভাগে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন।

এমবিবিএস ডাক্তাররা নিউট্রিশন এন্ড ফুড সায়েন্স, ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন, পেডিয়াট্রিক নিউট্রিশন ইত্যাদি বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রী নিয়ে মানুষের পুষ্টিরোগ বিশেষজ্ঞ অথবা পুষ্টিবিদ হিসেবে কাজ করছেন। আবার নিউট্রিশন এন্ড ফুড সায়েন্স অথবা ফুড সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি ডিগ্রিধারী গ্র্যাজুয়েটরাও মানুষের ডায়েটিশিয়ান বা পুষ্টিবিদ হিসেবে কাজ করছেন। তাই বলে শেষোক্ত পুষ্টিবিদেরা নিজেদেরকে এমবিবিএস ডাক্তারের চেয়েও বড় পুষ্টিবিদ দাবি করে স্বাস্থ্য ক্যাডারে চাকুরি করছেন না। পুষ্টিবিদ হিসেবে নিজেদের পেশাজীবী দাবি করে বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইনের অনুলিপি তৈরির উদ্যোগ নিচ্ছেন না বরং স্বাস্থ্য বিভাগের কিছু ক্ষেত্রে সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন।

বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত নিয়ন্ত্রিত পেশা আছে হাতেগোনা কয়েকটি। তার মধ্যে ভেটেরিনারি পেশা অন্যতম। কেবলমাত্র নিয়ন্ত্রিত পেশায় প্র্যাকটিস করার পূর্বে সরকারি রেগুলেটরি বডি থেকে লাইসেন্স গ্রহন করা বাধ্যতামূলক। বাংলাদেশেও নিয়ন্ত্রিত পেশাগুলোর জন্য সরকারি রেগুলেটরি বডি রয়েছে যেগুলো প্রফেশনাল কাউন্সিল (যেমন বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল, বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ইত্যাদি) হিসেবে পরিচিত। প্রফেশনাল কাউন্সিল গঠিত হয় জনগণের স্বার্থে (মানুষ ও প্রাণীর জীবনের সুরক্ষার জন্য) আর এসোসিয়েশন হয় গোষ্ঠীর স্বার্থে। কিন্তু দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পেশা না হয়েও পশুপালন ডিগ্রিধারীদের জন্য নিয়ন্ত্রিত পেশার অনুরূপ বাংলাদেশ এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি কাউন্সিল কার স্বার্থে গঠন করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে? তাও আবার বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল আইন-২০১৯ কে নকল করে!

প্রাণিসম্পদ বিভাগে দুই ডিগ্রীদারীদের দ্বন্ধ মেটাতে ব্যর্থ হয়েছিলো অতীতের সকল সরকার। নাহয় এতদিনে মাঠ পর্যায়ে প্রান্তিক খামারিরা ভেটেরিনারি জেনারেলিস্টের পরিবর্তে অনেক ভেটেরিনারি স্পেশালিস্টের সেবা পেতো। সাম্প্রতিক সময়ে অনেকের প্রচেষ্টায় এবং দুই ডিগ্রিধারীদের সমঝোতায় প্রাণি চিকিৎসা, উৎপাদন এবং ব্যবস্থাপনায় এক ডিগ্রী প্রবর্তনে অনেকদূর এগিয়েছিলো প্রানিসম্পদ বিভাগ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। কিন্তু সেই প্রচেষ্টাকে ভন্ডুল করে দিয়েছে পশুপালন ডিগ্রীধারীরা। তাহলে দীর্ঘদিনের দ্বন্ধ জিইয়ে রেখে প্রাণিসম্পদ বিভাগের পশ্চাৎযাত্রা ঠেকাবে কে?

27/12/2023

বিদ্যমান বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল আইন-২০১৯ বলবৎ থাকার পরও পক্ষপাতদুষ্ট ও বিতর্কিত বাংলাদেশ এনিমেল হাজবেন্....

 #পাকিস্তানের_প্রেতাত্মারাবিশ্বে কোথাও এনিম্যাল হাসবেন্ড্রি নামে কোন কাউন্সিল নাই। ২০২২ সালে পাকিস্তান এনিম্যাল হাসবেন্ড...
25/12/2023

#পাকিস্তানের_প্রেতাত্মারা
বিশ্বে কোথাও এনিম্যাল হাসবেন্ড্রি নামে কোন কাউন্সিল নাই। ২০২২ সালে পাকিস্তান এনিম্যাল হাসবেন্ড্রি তৈরী করতে চেয়েছিল বাট তাদের সিনেট আইন বাতিল করে দেয়। কারন হাসবেন্ড্রি কাউন্সিলের আইন ভেট কাউন্সিলের অনেকটা কপি পেস্ট করা।বাংলাদেশ এনিম্যাল হাসবেন্ড্রি এসোসিয়েশন ঠিক পাকিস্তানের দেখানো পথেই হাঠছে। তারা কোন স্টেকহোল্ডারদের সাথে আলোচনা না করেই হাসবেন্ড্রি সচিব নাহিদ রশিদ কিছু হাসবেন্ড্রি গ্রাজুয়েট নিয়ে একটা কাউন্সিল করতে চাইছে যা বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের শুধু চিকিৎসা অংশ বাদ দিয়ে বাকি অংশ কপি পেস্ট করে কাউন্সিল করবে যা অসঙ্গতিপূর্ণ এবং দেশের জনগনের টাকায় দেশের সাথে প্রতারনা।

নিচে প্রমাণসহ পাকিস্তান এএইচ কাউন্সিলের বাতিল হওয়ার দলিল দিলাম।

(সংগৃহীত)

25/12/2023

বাংলাদেশ অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি কাউন্সিল আইন-২০২৩ প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। বিদ্.....

25/12/2023

অবৈধ "এনিম্যাল হাসবেনড্রি কাউন্সিল" প্রস্তাবকে প্রতিহত করুন:
১৯৩৬ সালে (বৃটিশ আমলে) অবিভক্ত বাংলায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল কৃষি মন্ত্রণালয় যার অন্তর্গত ছিল কৃষি এবং লাইভস্টক।

১৯৩৮ সালে “বেঙ্গল এগ্রিকালচারাল ইনস্টিটিউট (BAI)” কর্তৃক B.Ag. কোর্স চালু করা হয় যেখানে লাইভস্টক সায়েন্স ছিল মূল কোর্সের মাত্র ১৫·৭%।

১৯৪৭ সালে পাকিস্থান স্বাধীন হবার পর কৃষি ও লাইভস্টক সেক্টর দুটোকে আলাদা করা হয়।

১৯৫০ সালে কুমিল্লাতে নতুনভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় “ইস্ট পাকিস্তান ভেটেরিনারি কলেজ” যা ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত।

১৯৫৭ সালে আরো পরিবর্ধিত এবং পরিমার্জিত রূপে “ইস্ট পাকিস্তান ভেটেরিনারি কলেজ” কুমিল্লা হতে ময়মনসিংহে স্থানান্তরিত করে নতুন আঙ্গিকে যাত্রা শুরু করে যার নাম ছিল “East Pakistan Vetrrinary and Animal Husbandry college যা এখন করিম ভবন নামে পরিচিত। এখান হতেই পরবর্তীতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গোরাপত্তন।

১৯৫৯ সালে তৎকালীন জাতীয় শিক্ষা কমিশন এবং খাদ্য ও কৃষি কমিশনের সুপারিশক্রমে ১৯৬১-৬২ সেশনে “ইস্ট পাকিস্তান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়” যাত্রা শুরু করে ১৮ই আগস্ট “ইস্ট পাকিস্তান ভেটেরিনারি এন্ড অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি কলেজ” ক্যাম্পাসকে কেন্দ্র করে। পরবর্তীতে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশ স্বাধীন হবার পর “ইস্ট পাকিস্তান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়”-এর নাম পরিবর্তিত হয় “বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়”। ইস্ট পাকিস্তান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয় দুটি অনুষদ নিয়ে কৃষি অনুষদ এবং ভেটেরিনারি অনুষদ।
পরবর্তীতে ১৯৬২ সনে অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি আলাদা ভাবে অনুষদ শুরু হলো।
এর পর আমরা জানি PSTU তে আরেকটি ২য় অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি ডিগ্রী চালু করা হলো।

ইদানিং সময়ে একজন Animal Husbandy graduate যিনি বাংলাদেশ সরকারের একজন দায়ীত্মশীল সচিব। উনার মাথায় উদিত হলো Animal Husbandry Council গঠন করে AH গ্রেজুয়েটদের সুরক্ষা দিতে। কিসের সুরক্ষা? অবাক লাগে সরকারের সর্বচ্চ পর্যায়ের একজন কর্ম চারীর knowledge এবং চিন্তাভাবনা দেখে। উনি কি জানেন না সারা পৃথিবীতে তিনটি Profession ই, কাউন্সিল এর অন্তরভুক্ত?
1. Medical Council (Doctor)
2. Veterinary Council (Veterinarian)
3. Bar Council (Advocate)

এসকল সদস্য রা হলেন একজন ডাক্তার (Medical council), একজন ভেটেরিনারিয়ান (Veterinary Council) কিম্বা এডভোকেট (Bar council).
মুল বিষয় হলো এনাদের হাতেই একজন মানুষ কিম্বা পশুর মৃত্যুর কারন দর্শানোর আইনি সুরক্ষা রয়েছ।
Animal Husbandry Graduate দের কিসের সুরক্ষা? কি জন্য সুরক্ষা? সেটির জন্য এই কাউন্সিল নয়।
আমি আরো অবাক হয়ে দেখছিলাম সাংবাদিকদের বুঝে না বুঝেই একতরফা তাদের সমর্থন। কেন?

© Abusaleh Bari স্যার ❤️

বিশ্বের কোথাও এ ধরণের কাউন্সিলের অস্থিত্ব না থাকলেও কতিপয় অসাধু কর্মকর্তারা এই আইন করে ফায়দা হাসিল করতে উদগ্রীব।
24/12/2023

বিশ্বের কোথাও এ ধরণের কাউন্সিলের অস্থিত্ব না থাকলেও কতিপয় অসাধু কর্মকর্তারা এই আইন করে ফায়দা হাসিল করতে উদগ্রীব।

'অ্যানিমেল হাজবেনড্রি কাউন্সিল আইন-২০২৩ বাতিল সময়ের দাবি' | Animal Husbandry Council Act |Veterinaryআরও বিস্তারিত জানতে...

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার, সাটুরিয়া, মানিকগঞ্জ কতৃক সকল পল্লী চিকিৎসককে "বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল আইন-২০১৯" সম্পর্কে...
09/12/2023

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার, সাটুরিয়া, মানিকগঞ্জ কতৃক সকল পল্লী চিকিৎসককে "বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল আইন-২০১৯" সম্পর্কে অবগত এবং মেনে চলার পরামর্শ প্রদান করা হয়। অধিকাংশই নির্দেশনা মেনে কাজ করা সত্ত্বেও অল্প কিছু পল্লী চিকিৎসক আইনের থোড়াই কেয়ার করে অপচিকিৎসা করে যাচ্ছে। তাই আজ সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোঁড়া ইউনিয়নের ঈসমাঈল নামক এক পল্লী চিকিৎসক ৭মাসের গর্ভবতী গাভীকে ভুল ওষুধ প্রয়োগে মেরে ফেলায় ৬০হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং তাকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়।

অবৈধভাবে গজিয়ে উঠা ও পরিচালিত প্রশিক্ষণ সেন্টারগুলো ভেটেরিনারি প্রফেশনের জন্য বিষ ফোড়া, যার দ্বারা প্রতারিত হয় সাধারণ মা...
02/11/2023

অবৈধভাবে গজিয়ে উঠা ও পরিচালিত প্রশিক্ষণ সেন্টারগুলো ভেটেরিনারি প্রফেশনের জন্য বিষ ফোড়া, যার দ্বারা প্রতারিত হয় সাধারণ মানুষ। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার উৎপাদন ও প্রাণিচিকিৎসা সংক্রান্ত কাজের পাশাপাশি এ ধরনের অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য কাজ করতে হয়। বেশ কিছুদিন লেগে থেকে তথ্য সংগ্রহ করে চারটি এরূপ প্রতিষ্ঠানের সন্ধান পেয়েছি যা বন্ধ করার প্রক্রিয়া চলমান। আশাকরি আগামী এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে বীরগঞ্জ এদের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে। যদি না হয় মোবাইল কোর্ট তাদের জন্য অবশ্যম্ভাবি। ধন্যবাদ সংশ্লিষ্ট সকলকে পাশে থাকার জন্য।

মোবাইল কোর্ট, হাজীগঞ্জ চাঁদপুর আজ ২৩/১০/২৩ ইং দুপুর ১.০০ টায় হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজার রিয়াদ পোল্ট্রি এন্ড ডেয়ারি ভেটেরিনারি...
25/10/2023

মোবাইল কোর্ট, হাজীগঞ্জ চাঁদপুর

আজ ২৩/১০/২৩ ইং দুপুর ১.০০ টায় হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজার রিয়াদ পোল্ট্রি এন্ড ডেয়ারি ভেটেরিনারি ফার্মেসিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।

মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার ভূমি জনাব মেহেদি হাসান মানিক ( নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট) এবং প্রসিকিউটর ডা মোহাম্মদ শাহীন মিয়া, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।
এন্টিবায়োটিক প্রয়োগে চিকিৎসা করে বদরপুরের খামারির দুই লক্ষ টাকার গরু মারা যাওয়ায় অভিযোগ এর ভিত্তিতে অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে কোর্ট পরিচালনা করা হয়।

অভিযান চলাকালে ফার্মেসীর ড্রাগ লাইসেন্স দেখাতে ব্যার্থ হয় অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম এবং মেয়াদোত্তীর্ণ মেডিসিন এবং ডিএলএস লাইসেন্স বিহীন মেডিসিন জব্দ করে বিনষ্ট করা হয়।

বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল আইন ২০১৯ এর ধারা ১৭ অনুযায়ী ত্রিশ হাজার (৩০০০০) টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম প্রাণিচিকিৎসা না করার প্রতিশ্রুতি প্রদান সহ সকল লাইসেন্স এর জন্য একমাস সময় প্রার্থনা করেন।

01/12/2021

চিড়িয়াখানার বাঘের বাচ্চা নিয়ে সাক্ষাৎকারে সম্মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জীববিজ্ঞান ....

Address

Farmgate
Dhaka
3100

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ভুয়া ভেটেরিনারি ডাক্তার চিনুন ও ধরিয়ে দিন posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Category

বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল আইন ২০১৯

বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল আইন ২০১৯ অনুসারে কোন পল্লি চিকিৎসক কোন প্রাণীর চিকিৎসা করলে ভোক্তা অধিকারে অভিযোগ করুন। এতে পল্লি চিকিৎসকের যে পরিমান জরিমানা হবে তার চার ভাগের এক ভাগ আপনি পবেন। এক লক্ষ টাকা জরিমানা হলে আপনার অভিযোগের কারনে আপনি ২৫ হাজার টাকা পাবেন।

অভিযোগ দায়েরের পদ্ধতি

ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ধারা ৭৬ (১) অনুযায়ী, “যে কোন ব্যক্তি, যিনি, সাধারণভাবে একজন ভোক্তা বা ভোক্তা হইতে পারেন, এই অধ্যাদেশের অধীন ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কার্য সম্পর্কে মহাপরিচালক বা এতদুদ্দেশ্যে মহাপরিচালকের নিকট ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে অবহিত করিয়া লিখিত অভিযোগ দায়ের করিতে পারিবেন।”

যেখানে অভিযোগ দায়ের করা যাবে