Poulvet Pharma

Poulvet Pharma Your trusted partner for animal feed and animal care

''POULVET PHARMA LTD'' - poultry and veterinary means animal vitamins manufacturer with dedicated Marketing deal with versatile imported products like vitamins & mineral premixes, enzymes, growth promoters, antioxidants, liver tonic, mould inhibitors, toxin binders, salmonellas killers, pH lowering agents, electrolyte & minerals, coccidiostat, larvicide, feed grade amino acids, respiratory stim

ulant, anti mastitic products etc of renowned Overseas Principals of Europe . In last one year we also commenced marketing activities of veterinary injectable products of Schering Plough Animal Health, the biggest global veterinary pharmaceutical company. Our overall activities are aiming to provide time worthy services to our valued customer.
''Your partner for animal feed and animal care''

06/07/2023
♥গাভী বীজ না রাখার কারণ♥আমাদের দেশের বেশিরভাগ খামারি ভাইদের গাভীর ঋতু চক্র সম্পর্কে ধারণা না থাকার কারণে তারা সময়মতো গা...
03/07/2023

♥গাভী বীজ না রাখার কারণ♥

আমাদের দেশের বেশিরভাগ খামারি ভাইদের গাভীর ঋতু চক্র সম্পর্কে ধারণা না থাকার কারণে তারা সময়মতো গাভিকে বীজ দিতে ব্যর্থ হয় ফলে গাভী কনসিভ করে না।

যদি খামারী ভাইয়েরা গাভির ঋতু চক্র সম্পর্কে ধারনা নিতে পারে তাহলে অনেকাংশে সফল হবে। "ঋতু চক্রের চারটি ধাপ রয়েছেঃ



প্রথম টি Pro Estrous বা প্রস্তুতি পর্ব

দ্বিতীয় টি Estrous বা উত্তেজনা পর্ব

তৃতীয়টি - Meta_ Estrous কাম উত্তেজনা পর্ব

৪র্থ টি Di-Estrus নিষ্ক্রিয় পর্ব

💞১.প্রস্তুতিপর্ব( pro-Estrous)

গাভী হিটে আসার তিন দিন পূর্ব থেকে খাওয়া-দাওয়া কম খাবে ঝিমানি ভাব থাকবে। গাভীর যোনি মুখ দিয়ে স্বচ্ছ পাতলা ঝিল্লি বের হবে।

💞২.যৌন উত্তেজনা পর্ব ( Estrous)

এই পর্ব ১ দিন স্থায়ী থাকে। আর আমাদের খামারি ভাইয়েরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই পর্বেই বিজ দিয়ে থাকেন যার ফলে সমস্যাটার জন্ম নেয় এখান থেকেই। এই পর্বে বিজ দিলে কন্সেপ্ট না করার হার ৯৮%

🙆‍♂️লক্ষনঃ

* গাভি ঘন ঘন প্রসাব করবে

* অন্য গাভির উপর লাফিয়ে উঠবে

*অন্য গাভীর যৌনাঙ্গ শুকতে থাকবে।

* দুধ উৎপাদন কমে যাবে

💞৩. কামত্তোর পর্ব( Meta Estrous)

এটি খামারি ভাইদের জন্য স্বর্ন যুগ বা সঠিক সময়। এই পর্বের স্থায়িত্ব কাল ১থেকে ২দিন। এই পর্বেই বিজ দেয়ার সঠিক সময়। এই সময় বিজ দিলে কন্সেপ্ট করার হার ৯৯%. এই পর্বের প্রধান লক্ষন গাভীর যোনি পথ দিয়ে অনেক সময় রক্ত মিশ্রিত ঝিল্লি বের হয়। আপনি মনে রাখবেন আপনার গাভীর Estrous পর্ব দেখা দেয়ার ১২ ঘন্টা পর বিজ দিবেন।অর্থাৎ সকালে হিট আসলে বিকালে( ৫/৬) টায় বিজ দিবেন। যদি গাভিটি পুর্বে হিট মিছ করে থাকে তাহলে সেই গাভিকে অবশ্যই পরের দিন সকালে আবার বিজ দিবেন।

💞শেষ পর্ব( Diestrous)

এটি থাকে ১৫ দিন। যদি আপনার গাভিকে বিজ না দেন তাহলে গাভির জরায়ু থেকে বের হওয়া ডিম্বানু মারা যাবে এবং গাভির সমস্ত জনন অঙ্গ স্বাভাবিক হবে। এর পর কয়েক দিনের মধ্যে আবার সাইকেল বা চক্র শুরু হবে।

আপনার খামার সফল হোক, বিনিয়োগ নিরাপদ হোক।

(সংগৃহীত)

🐂 গরুর চামড়া  শতভাগ হালাল খাদ্য। ....ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং নাইজেরিয়ায় গরুর চামড়া প্রাণীজ আমিষের উৎস হিসেবে ব্যাপক উ...
26/06/2023

🐂 গরুর চামড়া শতভাগ হালাল খাদ্য। ....
ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং নাইজেরিয়ায় গরুর চামড়া প্রাণীজ আমিষের উৎস হিসেবে ব্যাপক উৎসাহের সাথে খাওয়া হয়।
চামড়া প্রথমে ১ বর্গফুট করে কেটে খাওয়ার সোডা দিয়ে ব্রাশ দিয়ে ঘষে যে দিকে লোম আছে সেদিক ভাল করে পরিস্কার করে নিতে হবে। লবন পানিতে ১৫ মিনিট ফুটাতে হবে, এর পর ধুয়ে পরিস্কার করে আবার পরিস্কার পানিতে ডুবিয়ে ১৫-২০ মিনিট ফুটিয়ে নামিয়ে ৩-৪ ঘন্টা রেখে দিতে হবে।
এর পর নামিয়ে ভোতা ছুরি দিয়ে ঘসা দিলেই উপরের দিকের একটা লেয়ার লোম সহ উঠে আসবে ও একদম পরিস্কার হয়ে যাবে।
এর পর ভাল করে ধুয়ে ফ্রিজে রেখে যেকোনো সময় ছোট টুকরা করে গোশতর মত ঝোল /ভুনা বা ফ্রাই করে খেতে পারবেন।

পরিস্কার করার পরে ৫-৬ মনের একটা গরুর চামড়া থেকে ১৫-১৮ কেজি পরিস্কার করা খাওয়ার উপযোগী অংশ পাওয়া যায়।

প্রতি ১০০ গ্রাম গরুর চামড়ায় ২২৫ কিলো ক্যালরি শক্তি থাকে। উপাদান হিসেবে এই ১০০ গ্রামে ৪৭ গ্রাম প্রোটিন, ৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১ গ্রাম চর্বি, ০.০২ গ্রাম ফাইবার এবং ৪৫ গ্রাম পানি থাকে। গরুর চামড়ার প্রোটিন সাধারণত জিলাটিন হিসেবে থাকে। জিলাটিন হাড় ও ত্বক গঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

এত একদিকে আমিষের চাহিদা পূরণ হবে,অপর দিকে চামড়া সিন্ডিকেটদের বিরুদ্ধে হবে নিরব প্রতিবাদ।

#সংগ্রহ

21/06/2023

গরু কোরবাণীর সময় , অত্যান্ত সহজ পদ্ধতিতে কিভাবে গরু কে শোয়ানো যায় শিখে রাখুন। আপনার কাজে আসবে....

দেশে গরু, ছাগলের সংখ্যা বেড়েছেএক যুগের ব্যবধানে দেশে গরু ও ছাগলের সংখ্যা বেশ বেড়েছে। গরুর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৪০ লাখ, আর...
13/06/2023

দেশে গরু, ছাগলের সংখ্যা বেড়েছে

এক যুগের ব্যবধানে দেশে গরু ও ছাগলের সংখ্যা বেশ বেড়েছে। গরুর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৪০ লাখ, আর ছাগল বেড়েছে প্রায় ৬১ লাখ। গরু-ছাগলে দেশ প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ বলা চলে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) কৃষিশুমারির প্রাথমিক ফলাফলে এই চিত্র পাওয়া গেছে।

বিবিএস ২০২০ সালে কৃষিশুমারি করেছে। সম্প্রতি বিবিএস এই শুমারির প্রাথমিক ফলাফল নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে।

বিবিএসের শুমারি অনুযায়ী, দেশে এখন গরুর সংখ্যা ২ কোটি ৪০ লাখ ১৪ হাজার ১৪৪। ২০০৮ সালে এই সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৫৭ হাজার ৮৫৩। এক যুগের ব্যবধানে গরু বেড়েছে ৪০ লাখের বেশি। অন্যদিকে দেশে বর্তমানে ছাগলের সংখ্যা ১ কোটি ৬২ লাখ ৯৫ হাজার ২০০। এক যুগ আগে ছাগলের সংখ্যা ছিল ১ কোটি ১ লাখ ৫৯ হাজার ৫০৯।

বিবিএসের কৃষি শাখার পরিচালক আলাউদ্দিন আল আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, দুটি শুমারি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এক যুগের ব্যবধানে দেশে গরু-ছাগলের সংখ্যা বেড়েছে। এর মানে, দেশ পশুসম্পদে স্বয়ংসম্পূর্ণ হচ্ছে।

গরু–ছাগল ছাড়াও বিবিএসের ওই প্রতিবেদনে ভেড়া ও মহিষের হিসাবও দেওয়া হয়েছে। ২০০৮ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ভেড়া উৎপাদন বেশ বেড়েছে। এর ফলে ভেড়ার সংখ্যা তিন গুণ বেড়ে ১৩ লাখ ৪১ হাজার ৬১৯ হয়েছে। ২০০৮ সালে এই সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৭৮ হাজার ১৭। অবশ্য সরকার ভেড়া উৎপাদনে খামারিদের উৎসাহিত করতে নানা প্রকল্প নিয়েছে।

অন্যদিকে মহিষের সংখ্যাও বেড়েছে ৩০ শতাংশের বেশি। দেশে এখন ৬ লাখ ২৯ হাজার ৬৪০টি মহিষ আছে। ২০০৮ সালে এই সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৩১ হাজারের মতো। সব মিলিয়ে সারা দেশে দুধ দেয় এমন গরু, মহিষ ও ছাগল আছে ১৮ লাখের মতো।

এক যুগের ব্যবধানে হাঁস-মুরগি, পাখিসহ বিভিন্ন ধরনের পাখপাখালি পালনও ব্যাপকভাবে বেড়েছে। দেশে প্রায় ১৪ কোটির বেশি দেশি ও ব্রয়লার মুরগি আছে। হাঁস আছে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি। এক যুগে ব্যবধানে হাঁসের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।

অন্যদিকে মাছ চাষেও ব্যাপক আগ্রহ বেড়েছে। একই সময়ের ব্যবধানে মাছ চাষের জলাশয়ের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে। শুমারির ফলাফল অনুযায়ী, ২০২০ সালে দেশে প্রায় ১১ লাখ একর জলাশয়ে মাছ চাষ হয়েছে। এক যুগ আগে সোয়া পাঁচ লাখ একর জলাশয়ে মাছ চাষ হতো।
https://www.prothomalo.com/business/%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%96%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A7%9C%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87

সুস্থ গরু চেনার উপায়ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে কোরবানির পশুর হাট জমবে। আর অনেকেই নিশ্চয় গরু কেনা নিয়...
14/02/2023

সুস্থ গরু চেনার উপায়

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে কোরবানির পশুর হাট জমবে। আর অনেকেই নিশ্চয় গরু কেনা নিয়ে চিন্তা ভাবনা শুরুও করে দিয়েছেন। তবে এতো গরুর মধ্য থেকেও নিজের মনের মতো একটি ভালো গরু কেনা সহজ নয়। কৃত্রিমভাবে নানা ওষুধ খাইয়ে মোটাতাজা গরুর ভিড়ে সত্যিকার স্বাস্থ্যবান ও সুস্থ গরু চেনা একটু কঠিন বটে। তবে কিছু বিষয় খেয়াল করলে ভালো গরু চিনে নেয়া সম্ভব। তাহলে জেনে নিন সুস্থ গরু চেনার উপায় সম্পর্কে।
* গরুর নাকের ওপরটা ভেজা ভেজা থাকে তাহলে বুঝতে হবে গরু সুস্থ। এছাড়া গরুর মুখের সামনে খাবার ধরলে যদি সঙ্গে সঙ্গে জিহ্বা দিয়ে টেনে নেয় তাহলেও বোঝা যায় গরুটি সুস্থ কারণ অসুস্থ পশু খাবার খেতে চায় না।
* অনেকে মনে করে মোটা গরু মানেই সুস্থ গরু। আসলে তা না, মোটা গরুতে চর্বি অনেক বেশি থাকে যা খাওয়ার পর মানুষের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খাইয়ে অনেক সময় গরু মোটাতাজা করা হয়। তাই এ সব গরু হতে সাবধান।

* কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় কোরবানির পশুকে মোটাতাজাকরণ ওষুধ খাইয়ে স্বাভাবিকের চাইতে অতিরিক্ত মোটাতাজা করে কোরবানির হাটে নিয়ে আসে। এসব গরু অন্যসব গরুর চাইতে ফোলা থাকে। তাই ভালো করে লক্ষ্য করুণ আপনার পছন্দের গরু চটপটে কি না? ভালো গরু দৌড়াতে চাইবে, কান দিয়ে মশা, মাছি তাড়াবে এবং সঙ্গে সঙ্গেই লেজ নাড়াবে। কিন্তু স্টেরয়েড খাওয়ালে গরু নড়াচড়ার বদলে ঝিম মেরে থাকবে। এছাড়া স্টেরয়েড ট্যাবলেট খাওয়ানো গরুর ঊরুতে প্রচুর মাংস থাকে। তাই এ ধরণের গরু কিনবেন না।
গরুর কুঁজ মোটা ও টানটান থাকলে বুঝতে হবে গরুটি সুস্থ।
* শিং ভাঙা, লেজ কাটা, জিহ্বা, ক্ষুর, মুখ, গোড়ালি খত আছে কি না তা ভালো করে দেখে নিতে হবে।

* গরুর পাঁজরের হাড়ে যে তিন কোনা গর্ত থাকে যাকে ফ্লায়েন্ট জয়েন্ট বলে তাতে কোনা রয়েছে কিনা সেটি খেয়াল রাখতে হবে। যেসব গরুকে স্টেরয়েড জাতীয় খাবার খাওয়ানো হয় সেগুলোর পাঁজরের স্থান ফোলা থাকে এবং সেখানেও মাংস থাকে।

দেশি গরু চেনার সহজ উপায়দেশি-বিদেশি নানা জাতের গরু নিয়ে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে কোরবানির পশুর হাট। আমাদের দেশে কোরবানির জন্য ...
14/02/2023

দেশি গরু চেনার সহজ উপায়

দেশি-বিদেশি নানা জাতের গরু নিয়ে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে কোরবানির পশুর হাট। আমাদের দেশে কোরবানির জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় পশু হলো গরু। আর গরুর মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় হলো দেশি গরু। বিগত কয়েক বছর ধরেই মূলত দেশের বাজারে এর চাহিদা বেড়েছে। যার অন্যতম কারণ মাংসের স্বাদ ও দামের সহনশীলতা।

সাধারণভাবে দেশি গরু বিদেশি জাত বা সংকর জাতের চেয়ে আকারে কিছুটা ছোট হয়। দেশি জাতের গরুর শরীরে চর্বি কম থাকে। মাংসে স্বাদ বেশি হয়, কিন্তু দুধের পরিমাণ বিদেশি গরুর তুলনায় কম হয়। কোরবানির সময় মানুষ সাধারণত বেশি মাংস হবে এমন জাতের গরুই খোঁজ করেন।

দেশি গরুর মাংসের স্বাদ বিদেশি গরুর চেয়ে বেশি মজাদার। তবে অনেকে বিদেশি গরুকে দেশি গরু ভেবে প্রতারিতও হন। তাই দেশি গরু চেনার জন্য মানুষের আগ্রহ এবং কৌতূহলের শেষ নেই।

যেহেতু দেশি জাতের জনপ্রিয়তা বাড়ছে, ফলে দেশি জাত কীভাবে চেনা যায়, সে প্রশ্ন অনেকের মধ্যেই দেখা যায়। দেশি গরুর মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এরা ছোট ও মাঝারি আকৃতির। এ ছাড়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেশি গরু এক রঙের হয়। এ জাতের গরুর চামড়া শক্ত থাকে, গলার নিচে চামড়ার ভাঁজ কম থাকে। এদের পা চিকন ও শিং বড় হয়। গায়ের লোম ছোট এবং দেহ চকচকে হয়। চামড়া শক্ত থাকে।
আমাদের দেশে মূলত পাঁচ ধরনের দেশি গরু পাওয়া যায়। স্থানীয় দেশি জাতের গরু, মুন্সিগঞ্জের মীরকাদিম, চট্টগ্রামের রেড চিটাগাং ক্যাটল, পাবনা ক্যাটল ও নর্থ বেঙ্গল গ্রে। আসুন জেনে নিই, দেশি গরুর কোন জাতের বৈশিষ্ট্য কেমন হয়।

স্থানীয় দেশি জাতের গরু

এ জাতের গরু দেশের সবখানে পাওয়া যায়। এ গরু আকারে ছোট হয়। এর কুঁজ সুগঠিত থাকে। গলার নিচের চামড়া বেশ বিকশিত থাকে। প্রাপ্তবয়স্ক ষাঁড়ের গলার নিচের চামড়া ঝুলে থাকে। কান লম্বা এবং পাতার মতো ভাঁজ হয়ে থাকে। এদের শিং বাঁকানো থাকে। গায়ের রং লাল, সাদা, কালো, ধূসর বা ছাইরঙা কিংবা দুই বা ততোধিক রঙের মিশ্রণও হতে পারে। এদের উচ্চতা তিন থেকে সাড়ে তিন ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে।

মীরকাদিমের ধবল গাই

নগরকেন্দ্রিক ঈদের হাটে কোরবানির জন্য মুন্সীগঞ্জের মীরকাদিমের ধবল গাই বেশ জনপ্রিয়। এই গরুর চাহিদা ব্যাপক। এটি আকারে সাধারণ গরুর চেয়ে বড়।

এই গরুর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি সাদা রঙের হয়ে থাকে। তবে কখনো হালকা ছাই রঙেরও দেখা যায়। এটি পালনে খাবারের খরচ কম লাগে। খৈল, গম, মসুর ডালের ভুসি এবং ভুট্টা গুঁড়ার মতো খাবার দিয়েই পালন করা যায়। মীরকাদিমের গরুর মাংসে আঁশ কম থাকে, এর হাড় চিকন হয়। ফলে মাংস হয় নরম ও তেলতেলে।

রেড চিটাগাং ক্যাটল

দেশি আবহাওয়া সহনশীল বলে খামারিদের কাছে বেশ জনপ্রিয় চট্টগ্রামের রেড চিটাগাং ক্যাটল। মূলত এ জাত চট্টগ্রাম এবং এর আশপাশের জেলায় বেশি উৎপাদন হয়। এ গরুর গায়ের রং লাল। এর ক্ষুরা মানে পায়ের রঙ লাল। এটি আকারে মাঝারি এবং এর কুঁজ ছোট আকারের হয়। এ গরু পালনে খাবার কম লাগে।

সরকার যেসব দেশি জাত নিয়ে গবেষণা করছে, তার মধ্যে এই রেড চিটাগাং ক্যাটলকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। এর কারণ এ গরু কেবল চট্টগ্রাম ও পার্বত্য জেলা নয়, দেশের অন্য যেকোনো জায়গাতেই পালন করা সম্ভব। সে কারণে এই জাত উন্নয়নের চেষ্টা করা হচ্ছে।

পাবনা ক্যাটল

বাংলাদেশের জাতীয় তথ্য বাতায়নে পাবনা ক্যাটল সম্পর্কে বলা হয়েছে, পাবনার চলনবিল সংলগ্ন এলাকায় এ গরুর বাস। এটি পাবনা ব্রিড নামেও পরিচিত। মাঝারি আকৃতির এ জাতের গরু সাদা বা সাদা মেশানো ছাই রংয়ের হয়ে থাকে। এ ছাড়া লাল, ধূসর বা মিশ্র বর্ণেরও হয়। দেশীয় আবহাওয়া সহনশীল এসব গরু পালনে খাবার কম লাগে।

এদের স্বাস্থ্য সুঠাম, রোগব্যাধি কম হয়। এটি ঘাস খায়, এর বাইরে অন্য ধরনের খাবার কমই দিতে হয়। গত কয়েক বছর ধরে দেশে দুধের উৎপাদন বাড়াতে ফ্রিজিয়ান গরুর সঙ্গে এর কৃত্রিম প্রজনন করা হচ্ছে।

নর্থ বেঙ্গল গ্রে

আমাদের দেশের উত্তরাঞ্চলে নর্থ বেঙ্গল গ্রে গরুর দেখা মেলে। এর গায়ের রং সাদা বা গাঢ় ধূসর এবং সাদা রঙের মাঝামাঝি যেকোনো রঙের হতে পারে। পূর্ণবয়স্ক পুরুষ গরুর ঘাড়ে ছাই রঙের ছোপ দেখা যায়। মুখ, চোখের পাতা ও খুর কালো রঙের হয়ে থাকে। তবে লেজের প্রান্ত সাদা রঙের হয়। গরুর শিং ছোট বা মাঝারি আকারের হয়ে থাকে এবং শিং ভেতরের দিকে বাঁকানো থাকে।

গবাদিপশুর রক্তশূন্যতা জন্ডিস ও জ্বর হলে করণীয়বাংলাদেশের আবহাওয়া পশু পালনের অত্যন্ত উপযোগী। গৃহপালিত এসব পশু রোগ প্রতিরোধ...
14/02/2023

গবাদিপশুর রক্তশূন্যতা জন্ডিস ও জ্বর হলে করণীয়

বাংলাদেশের আবহাওয়া পশু পালনের অত্যন্ত উপযোগী। গৃহপালিত এসব পশু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন জাতের হলেও প্রতি বছর রক্তশূন্যতা জন্ডিস ও জ্বর রোগে আক্রান্ত হয়ে লাখ লাখ টাকা মূল্যের গরুর মৃত্যু হয়ে থাকে। আসুন জেনে নেয়া যাক গবাদিপশুর রক্তশূন্যতা জন্ডিস ও জ্বর হলে করণীয় দিকগুলো।

এনাপ্লাজমোসিস গরুর একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ। যার কারণে খামারিরা অর্থনৈতিকভাবে খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন। এটি মূলত রক্তবাহিত রোগ। এ রোগে রক্তশূন্যতা জন্ডিস ও জ্বরের লক্ষণ দেখা যায়।

রোগতত্ত্ব : এ রোগ Anaplasma marginale নামক এক প্রকার রিকেটশিয়া দ্বারা হয়ে থাকে। এই জীবাণু আকারে খুবই ছোট, Spherical আকৃতির কিন্তু সাইটোপ্লাজম নেই। এই জীবাণু লোহিত কণিকার (RBC) স্ট্রোমা অবস্থান করে। লোহিত কণিকায় প্রবেশের সময় জীবাণুর ডায়ামিটার থাকে ০.২-০.৫/বাইওনারি ফিসনের মাধ্যমে বংশবিস্তার করে থাকে Inclusions body- এর ডায়ামিটার ১/২ পর্যন্ত হয়ে থাকে। Anaplasma Centrale লোহিত কণিকার কেন্দ্রে অবস্থান করে।
রোগ পরিবহণ: এনাপ্লাজমা রোগের জীবাণু সাধারণত ২০ প্রজাতির আঠালি (Ticks) দ্বারা অসুস্থ গরু থেকে সুস্থ গরুতে পরিবাহিত হয়ে থাকে। তবে বিশেষ করে Boophilus Spp এবং Dermacentor Spp খুবই গুরুত্বপূর্ণ পরিবাহক।
এনাপ্লাজমা জীবাণু জৈবিকভাবে আঠালির দ্বারা পরিবাহিত হয়ে থাকে। বিশেষ করে পুরুষ আঠালি এনাপ্লাজমা জীবাণু ছড়িয়ে থাকে। স্ত্রী আঠালি খুব কম পরিমাণে পরিবহন করে থাকে।
Horse flies (Tabanus spp) এবং Stable flies (stomoxys spp) সমভাবে এনাপ্লাজমা রোগের জীবাণু যান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ছড়ায়। এই মাছিগুলো যান্ত্রিক বাহক। এ রোগে সংক্রামিত গরুর রক্ত দ্বারা সহজেই যান্ত্রিকভাবে সুস্থ গরুকে বিভিন্ন প্রকার অপারেশন, কাটাছেঁড়া, রক্তপাত, শিংকাটা, খাসি করানো, কানে ট্যাগ করানো এবং টিকা প্রদানের মাধ্যমে সংক্রামিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশে গরমকালে (মার্চ-নভেম্বর) এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি ঘটে থাকে।

লক্ষণ : এ রোগের তীব্রতা/ মারাত্মকতা গরুর বয়সের ওপর নির্ভর করে। বাছুর গরু খুব মৃদুভাবে আক্রান্ত হয় এবং খুব একটা মারা যায় না। এমনকি ১ বছর বয়সের গরু আক্রান্ত হলে বা লক্ষণ তীব্র হলেও চিকিৎসা দিলে সুস্থ হয়ে যায়। কিন্তু প্রাপ্ত বয়স্ক গরুতে এনাপ্লাজমা খুবই মারাত্মক আকার ধারণ করে। তীব্র রক্তশূন্যতা দেখা দেয় এবং মৃত্যুর হার ২০-৫০%। সব প্রজাতির গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়।

আক্রান্ত গরু ঝিমাবে, মনমরা হয়ে থাকবে, ক্ষুধামন্দা, গায়ে জ্বর সাধারণত ১০৪-১০৬ ফারেন হাইট, দুধ উৎপাদন দ্রুত কমে যাবে। রোগ বৃদ্ধির সাথে সাথে রক্তশূন্যতা দেখা দেবে, উল্লেখযোগ্যভাবে ওজন কমে যাবে, শরীর একদম ভেঙে যাবে, পানিশূন্যতা তীব্রভাবে লক্ষণীয়, জন্ডিস দেখা দিতে পারে, আক্রান্ত গরুকে হাঁটাহাঁটি করালে শ্বাসকষ্টের লক্ষণ দেখা যাবে, যদি চিকিৎসার পর গরু বেঁচে যায় তবে ধীরে ধীরে সবল হয়ে থাকে। বেঁচে যাওয়া গরু কখনও এ রোগের সারা জীবন বাহক হিসেবে কাজ করে।
রোগ নির্ণয় : আক্রান্ত এলাকায় এ রোগে আক্রান্ত সন্দেহজনক গরুর রক্ত প্রস্রাব ছাড়াই রক্তশূন্যতা দেখা যাবে। কখনও জন্ডিসে লক্ষণ দেখা যেতে পারে।

রক্ত কাঁচ Giemsa Stained করলে জীবাণু শনাক্ত করা যাবে, ৫০-৬০% লোহিত কণিকা জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে। Complement fixation এবং Indirect FA এবং DNA Probe test করেও রোগ নির্ণয় করা যায়।
আক্রান্ত গরুর লোহিত কণিকা ভেঙে ধ্বংস হয়ে যায়, রক্ত পাতলা পানির মতো দেখায়। প্লিহা ও কলিজা আকারে বড় হয়ে যায়। পিত্তথলি ফুলে যায়। রক্তশূন্যতা ও জন্ডিস ছাড়াই যদি গরু দ্রুত মারা যায়, সে ক্ষেত্রে তড়কার মতো মৃত গরুর প্লিহা ফোলা/বড় দেখা যাবে।
চিকিৎসা : খুব ফলপ্রসূ চিকিৎসা হলো- টেট্রাসাইক্লিন ব্যবহার করা। এছাড়া গবাদি পশু সংক্রান্ত যে কোন পরামর্শের জন্য উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।

গবাদি পশু কৃমি মুক্ত রাখার উপায়বর্তমানে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গবাদিপশু পালন লাভজনক ও বেকার সমস্যা সমাধানের একটি গুরুত্ব...
14/02/2023

গবাদি পশু কৃমি মুক্ত রাখার উপায়

বর্তমানে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গবাদিপশু পালন লাভজনক ও বেকার সমস্যা সমাধানের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হওয়ার ক্ষমতা রাখে। কিন্তু আমাদের খামারিরা গবাদিপশু পালন করতে গিয়ে একটি সমস্যার সম্মুখীন হয়, তা হলো পরজীবী বা কৃমি। কৃমি এক ধরনের পরজীবী যা পশুর ওপর নির্ভর করে জীবন ধারণ করে। তারা পশুর অন্ত্রে, ফুসফুসে, লিভারে, চোখে, চামড়ায় বাস করে ও পশুর হজমকৃত খাবারে ভাগ বসিয়ে পশুর ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। অনেক কৃমি পশুর রক্ত চুষে ও আমিষ খেয়ে পশুকে দুর্বল ও স্বাস্থ্যহীন করে ফেলে।

পরজীবী সাধারণত দুই ধরনের-
১. দেহের ভেতরের পরজীবী
২. দেহের বাইরের পরজীবী।

একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, দেশের প্রাণিসম্পদ হাসপাতালগুলোতে গত বছর (২০১০) বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত গবাদিপশুর (গরু, ছাগল, ভেড়া) মধ্যে ৫১.৩৬ ভাগ কৃমি বা পরজীবী দ্বারা আক্রান্ত। এর মধ্যে আক্রান্ত গরুর মধ্যে ৬৮.৯২ ভাগ, আক্রান্ত গাভীর মধ্যে ৪৫.১৬ ভাগ, বাছুরের মধ্যে ৫০.০৭ ভাগ, ভেড়ার মধ্যে ৬১.৬৬ ভাগ এবং আক্রান্ত ছাগলের মধ্যে ৩৪.৭৯ ভাগ বিভিন্ন কৃমি বা পরজীবী দ্বারা আক্রান্ত হয়। সুতরাং কৃমি বা পরজীবী আমাদের গবাদিপশু পালনের প্রধান শত্রু। কৃমি বা পরজীবীগুলো হচ্ছে কলিজাকৃমি, পাতাকৃমি, গোলকৃমি, রক্তকৃমি, ফিতাকৃমি, প্রটোজয়া ও বিভিন্ন ধরনের বহিঃপরজীবী উকুন, আঠালী, মাইট ইত্যাদি গবাদিপশুকে আক্রান্ত করে। কৃমির কারণে গাভীর দুগ্ধ উত্পাদন ক্ষমতা কমে যায় অস্বাভাবিকভাবে এবং বাছুরগুলো পেট ফুলে গিয়ে স্বাস্থ্যহীন হয়ে পড়ে। ফলে দুগ্ধ ও মাংস উত্পাদন ক্ষমতা মারাক্তকভাবে ব্যাহত হয়। এর কারণে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গাস গবাদিপশুকে আক্রান্ত করার পরিবেশ তৈরি করে।

গবাদিপশুকে কৃমি বা পরজীবী থেকে মুক্ত রাখার উপায়গুলো হচ্ছে-
১) গবাদিপশুর বাসস্থানের জন্য নির্ধারিত স্থানের মাটি শুষ্ক ও আশপাশের জমি থেকে উঁচু হওয়া প্রয়োজন। সম্ভব হলে নদীনালা, খালবিল, হাওর-বাঁওড় থেকে দূরে করতে হবে।
২) গবাদিপশুর খামারের আশপাশে যেন বৃষ্টির পানি এবং অন্যান্য বর্জ্য জমে না থাকে ।
৩) খামারের জন্য নির্ধারিত স্থানের মাটিতে বালির ভাগ বেশি হওয়া প্রয়োজন যেন বর্ষাকালে খামারের মেঝে কর্দমাক্ত না হয় ।
৪) পশুর মলমূত্র ও আবর্জনা অল্প সময় পরপর পরিষ্কার করতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন ঘরে মলমূত্র ও আবর্জনা জমা না থাকে।
৫) খামারের অনেক দূরে পশুর মলমূত্র ও আবর্জনা পুঁতে রাখতে হবে।
৬) গবাদিপশুর বাসস্থান প্রতিদিন আদর্শ ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে এবং জীবাণুনাশক মেশানো পানি দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
৭) তিন মাস অন্তর গবাদিপশুকে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়াতে হবে।
কলিজাকৃমি, পাতাকৃমি, গোলকৃমি, রক্তকৃমি, ফিতাকৃমি দ্বারা আক্রান্ত পশুকে অ্যালবেনডাজল ইউএসপি ৬০০ মি.গ্রা., হেক্সাক্লোরোফেন ইউএসপি ১ গ্রাম, লিভামিসোল হাইড্রোক্লোরাইড বিপি ৬০০ মি.গ্রা. এবং ট্রাইক্লাবেন্ডাজল আইএনএস ৯০০ মি.গ্রা. জাতীয় ওষুধ ভালো কাজ করে। কর্কসিডিয়াতে সালফোনামাইডস, স্ট্রেপটোমাইসিন ও মেট্রোনিডাজল ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। ট্রিপানোসোমা ও ব্যাবেসিওসিস তে ব্যাবকপ খাওয়ালে রোগ ভালো হয়। উঁকুন, আঠালী ও মাইটে আক্রান্ত গবাদিপশুর শরীরে আইভারমেকটিন, সেভিন, নেগুভান ইত্যাদি ওষুধ ব্যবহার করলে ওইসব পরজীবী থেকে গবাদিপশুকে রক্ষা করা যায়। পরিশেষে আমাদের গবাদিপশুকে কৃমি বা পরজীবীমুক্ত রাখতে পারলে আমরা দুগ্ধ ও মাংস উত্পাদনের লক্ষ্যে পৌঁছাব।
লেখক: ডা. দীপংকর দেবনাথ

09/12/2022
07/10/2022

Address

38, Gorib-E-Nawaz Avenue , Sector-11 , Uttara
Dhaka
1230

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Poulvet Pharma posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Poulvet Pharma:

Videos

Share