কালিম পাখি পালনঃ
আমাদের বাংলাদেশে কালিম পাখি অনেক নামে পরিচিত,যেমন :কায়িম পাখি , কামিয়া পাখি , কাম পাখি কালিম পাখি , কালেম পাখি , কায়েম পাখি , করমা পাখি , সুন্দরী পাখি , বুরি পাখি ইত্যাদি।
কালেম বা কালিম পাখি হল জলাভূমির পাখি । তবে এরা জল - ডাঙা উভয় স্থানে বিচরণ করে । কালিম পাখি খুবই দুঃসাহসী , লড়াকু ও মারকুটে স্বভাবের । এ পাখির আরও একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে । পোষ মানলে কালিম পাখি আর উড়ে যায় না । কালিম এর মাথা ফিকে , ডানা সবুজ দীপ্তিময় । লেজের অংশ কালো পালকে ঢাকা । লেজতল - ঢাকনি সাদা । এছাড়া দেহের সর্বত্র রঙ নীলচে বেগুনি । ঠোঁটের গোড়া থেকে পেছন পর্যন্ত লাল বর্ম বা মুকুট রয়েছে । সাধারণত স্ত্রী পাখির বর্ম পুরুষ পাখির বর্ম থেকে ছোট হয় । স্ত্রী ও পুরুষ উভয়েরই চোখ রক্ত লাল । ঠোঁট টকটকে লাল , ঠোঁটের আগা ফিকে । পা দীর্ঘ , শক্ত ও লাল । পায়ের সন্ধি বাদামি । অপ্রাপ্ত
একজোড়া বাচ্চাসহ বাজরিগার পাখি বিক্রি করা হবে। যদি কেহ নিতে আগ্রহী হন তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন
বাজরিকা খুবই ছোট পাখি, কিন্তু এর অবস্থান সারা পৃথিবীতে খাচার পাখি হিসেবে অন্যতম। কুকুর এবং বিড়াল এর পরেই বাজরিগারের স্থান, এতে অবাক হওয়ার কিছুই নেই। এই স্নেহময়ী, চতুর পাখিটি ছোট এবং কম ব্যয়বহুল, এদেরকে সঠিকভাবে প্রশিক্ষন দেয়া হলে কোনও বাজরিগার মানুষের ভাষা অনুকরণ করতে পারে।
বাজিগার পাখি লালন পালন ও পরিচর্যা।
বাজরিগার প্রধানত অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব ও দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল অঞ্চলে বনাঞ্চলের পাখি। তাছাড়াও তাস্মেনিয়া এবং আশপাশের কয়েকটি দেশেও এই পাখি দেখতে পাওয়া যায়। বনে বাস করে এমন বাজরিগার লম্বায় প্রায় ৬.৫ থেকে ৭ ইঞ্চি হতে পারে। তবে খাঁচায় পালা পাখি লম্বায় ৭ থেকে ৮ ইঞ্চি হয়ে থাকে। বন্য পাখির ওজন ২৫ থেকে ৩৫ গ্রাম। আর খাঁচায় পালনকারা পাখির ওজন ৩৫ থেকে ৪০ গ্রাম পর্যন্ত হয়।
শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়া মেলোপসিট্টাকাস প্রজাতির এই পাখি ১৭০০ শতাব্দিতে তালিকাভূক্ত হয়। বাজরিগার প্রাকৃতিকভাবে সবুজ ও হলুদের সঙ্গে কালো রংয়ের হয়। এছাড়াও থাকে নীল, সাদা, হলুদ রংয়ের ছোপ। সারা গায়ে পেটের নিচে আকাশি, হলুদ বা অন্য রংয়েরও হয়ে থাকে। এই পাখির উপর গবেষণা চালিয়ে অস্ট্রেলিয়ার অধিবাসীগণ প্রতিপালন শুরু করে সফলতা পায়। জানতে পারেন ঘনঘন ব্রিডিং সম্ভব এই পাখির। এরা প্রায় সারাবছরই বাচ্চা দিতে থাকে।
আমরা কম বেশি অনেক সময় বিভিন্ন প্রয়োজনে বাজরিগার পাখি ক্রয় করে থাকি এবং ঠিকমত ছেলে বা মেয়ে পাখি চিনতে না পারার কারণে বিক্রেতার কাছ থেকে প্রতারিত হয়। এই প্রতারনাটি হয়ে থাকে বেশিরভাগ সময় নতুন পাখি পালকের সাথে।
বিক্রেতা নিজের সুবিধার জন্য ছেলে পাখিকে মেয়ে পাখি বা মেয়ে পাখিকে ছেলে পাখি বানিয়ে জোড়া হিসেবে বিক্রি করে থাকে। যার ফলে নতুন পাখি পালক একটা নির্দিষ্ট সময় পরে হতাশায় ভুগেন এই ভেবে যে পাখি ডিম দিচ্ছে না এবং অনেক সময় পাখি পালনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
সাধারণত ৩-৪ মাস বয়স হলেই নাকের উপরের রং দেখেই সনাক্ত করা যায় স্ত্রী ও পুরুষ পাখি। যেমন- পুরুষ পাখির প্রথমে নাকের বর্ণ থাকবে গোলাপি রংয়ের। বয়স বাড়ার সঙ্গে রং হবে নীল। আর স্ত্রী পাখির নাকের বর্ণ হবে সাদা। বয়স বাড়ার সঙ্গে হবে খয়েরি বা চকলেট। ছোট বড় চেনার উপায় হচ্ছে প্রধানত চোখ দেখে। ছোট পাখির চোখের আকার হবে বড়। বড় হওয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চোখের আকার হবে ছোট। কারণ বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত চোখের বৃত্ত তৈরি হয় না। সেই সঙ্গে নাকের বর্ণ হবে গাঢ়।
বাজরিগার পাখির প্রজনন সময় কালঃ
বনে জঙ্গলে এরা ৪ থেকে ৫ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে। খাঁচাতে প্রায় ১০ থেকে ১২ বছর। প্রজনন উপযোগী হতে সময় লাগে চার মাস। তবে চার থেকে আট মাস বয়সে প্রজনন ক্ষমতা অনেক বেশি। পাখি পালনে যারা বেশি অভিজ্ঞ তাদের মতে আট মাস বয়সের আগে জোড়া তৈরি করা ঠিক না। কম বয়স হলে ডিম-বাচ্চা পূর্ণাঙ্গ রূপ নে
আপনারা যারা নতুন বাজরিগার পাখি পালক বা পুষবেন বলে চিন্তা ভাবনা করছেন তাদের জন্য কিছু নিচের কিছু গুরুত্বপূর্ন পরামর্শ জেনে রাখা দরকার।
1** প্রথমে আপনার মনকে স্থির করুন,
2** পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে কথা বলুন এবং তাদের মতামত নিন।
3** পরিবারের সম্মতি থাকলে তাহলে পাখি কিনুন, কেননা মাঝে মাঝে তাদের সাহায্য আপনার প্রয়োজন হতে পারে। তাছাড়া বাজরিগার পাখি অনেক অনেক ডাকাডাকি করে। পরিবারের সম্মতি না থাকলে আপনাকে অনেক ঝামেলা পোহাতে হতে পারে,
4** কয়েকজন পাখি পালকের সাথে কথা বলুন। তারা কিভাবে পাখি পালে তা লক্ষ্য করুন। তাদের সাথে সুবিধা ও অসুবিধাগুলো নিয়ে আলোচনা করুন,
5** পাখি পালন করতে গিয়ে আপনি যে সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হবেন, তা মোকাবেলা করার জন্য কতটুকু প্রস্তুত তা পর্যবেক্ষণ করুন,
6** প্রাথমিক অবস্থায় লাভের চিন্তা ভাবনা করবেন না। আগে পাখি সুস্থভাবে পালন করা শিখুন তারপর অন্য চিন্তা ভাবনা করুন,
7** ডিম বাচ্চার আশায় পাখি পালার কথা চিন্তা করবেন না। এদের সঠিকভাবে যত্ন করলে নিজ থেকে এরা আপনাকে ডিম বাচ্চা দিয়ে আনন্দে ভরিয়ে দিবে,
8** বাজরিগা পাখি কেনার আগে পাখি রাখার জন্য যতাযথ স্থান এবং খাচার ব্যবস্থা করুন,
9** প্রথমে ২ জোড়া কম বয়সী পাখি কিনুন, ছেলে মেয়ে পাখিকে আলাদা রাখুন। বাজরিগার পাখির বয়স সর্বনিম্ন ৮ মাস হলে ব্রীডিং অবস্থায় আসলে ছেলে মেয়ে পাখিকে একসাথে দিন। মনে রাখবেন, সঠিক নিয়মে পাখি পালন না করলে এরা আপনার মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে উঠতে পারে।
আরো বিস্তারিত জানতে ইনবক্স করুন অথবা যোগাযোগ করুন 01990 222 761 এই নাম্বারে