03/02/2025
বিড়ালের কিছু সাধারণ ভাইরাল ডিজিজ আছে, যা দ্রুত ছড়াতে পারে এবং মারাত্মক হতে পারে। এর মধ্যে প্রধান কিছু হলো—
১. ফেলাইন প্যানলিউকোপেনিয়া ভাইরাস (FPV)
পরিচিতি: "ক্যাট ডিস্টেম্পার" বা "ফেলাইন পারভোভাইরাস" নামেও পরিচিত।
লক্ষণ: উচ্চমাত্রার জ্বর, বমি, ডায়রিয়া, শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়া।
সংক্রমণ: আক্রান্ত বিড়ালের শরীর থেকে বের হওয়া তরল (লালা, মল-মূত্র) দ্বারা ছড়ায়।
প্রতিরোধ: নিয়মিত ভ্যাকসিন।
২. ফেলাইন হের্পেস ভাইরাস (FHV-1) ও ফেলাইন ক্যালিসি ভাইরাস (FCV)
পরিচিতি: সাধারণত "ফেলাইন ভাইরাল রেসপিরেটরি ডিজিজ" বা "ক্যাট ফ্লু" নামে পরিচিত।
লক্ষণ: হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া, চোখ দিয়ে ময়লা পড়া, জ্বর, ক্ষুধামন্দা।
সংক্রমণ: হাঁচি বা সংক্রমিত বস্তু থেকে ছড়ায়।
প্রতিরোধ: ভ্যাকসিন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা।
৩. ফেলাইন লিউকেমিয়া ভাইরাস (FeLV)
পরিচিতি: বিড়ালের রক্তে সংক্রমণ ঘটিয়ে লিউকেমিয়া ও অন্যান্য ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে।
লক্ষণ: ওজন কমে যাওয়া, রক্তশূন্যতা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া।
সংক্রমণ: লালা, রক্ত, মূত্র, মায়ের দুধের মাধ্যমে ছড়াতে পারে।
প্রতিরোধ: ভ্যাকসিন ও নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা।
৪. ফেলাইন ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস (FIV)
পরিচিতি: বিড়ালের এইডস নামে পরিচিত।
লক্ষণ: বারবার সংক্রমণ হওয়া, ক্ষত শুকাতে দেরি হওয়া, দাঁতের সমস্যা।
সংক্রমণ: কামড়ানোর মাধ্যমে ছড়ায়।
প্রতিরোধ: ভ্যাকসিন নেই, তবে আক্রান্ত বিড়ালকে আলাদা রাখা জরুরি।
৫. রেবিস (Rabies)
পরিচিতি: মানুষের জন্যও মারাত্মক, সাধারণত আক্রান্ত প্রাণীর কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়।
লক্ষণ: আচরণ পরিবর্তন, অতিরিক্ত রাগ বা ভয়, খিঁচুনি, পানি বা খাবার গিলতে অসুবিধা।
সংক্রমণ: আক্রান্ত বিড়ালের কামড় বা লালা দ্বারা ছড়ায়।
প্রতিরোধ: নিয়মিত ভ্যাকসিন ও আক্রান্ত প্রাণী থেকে দূরে থাকা।
প্রতিরোধের উপায়
বিড়ালের ভ্যাকসিন সময়মতো দেওয়া
পরিচ্ছন্ন পরিবেশ বজায় রাখা
আক্রান্ত বিড়ালকে আলাদা রাখা
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো
আপনার বিড়ালের যদি এসব ভাইরাল রোগের লক্ষণ দেখা যায়, তবে দ্রুত পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।