02/06/2023
কবুতরের খাবার মিক্স এবং আমার পছন্দ নিয়ে কিছু কথা।
কবুতরের খাবার উপাদানগুলোকে আমরা মুলত প্রধান তিন ভাগে ভাগ করতে পারি।
(১) #কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার:
#কার্বোহাইড্রেট হচ্ছে কবুতরের আসল চালিকা শক্তি বা পেট্রোল।
অন্যান্য প্রানী এবং পাখিদের মতোই কার্বোহাইড্রেট কবুতরের মূল জ্বালানীর সরবরাহকারী। এটা দ্রুত ব্লাড সুগার সরবরাহ করে কবুতরকে উড়তে সাহায্য করে।
ধান, চাল, গম, ভুট্টা, বাজরা, চিনা, মিলেট, জব, বাকহুইট ইত্যাদি।
(২) #প্রোটিন জাতীয় খাবার:
#প্রোটিন দেহ গঠনের মুল উপাদান। শক্তিশালী দেহ এবং ডানা গঠনে এর কোন বিকল্প নেই।
ওড়ার ক্ষেত্রে কবুতরের জন্য দ্বিতীয় পর্যায়ের জ্বালানী হিসেবে কাজ করে।
থর বা ব্রীডিং এর কবুতরের জন্য প্রোটিনের গুরুত্ব অপরিসীম। কবুতরের বাচ্চাদেরকে বাবা-মা যে পিজন মিল্ক খাওয়ায় তাতে প্রায় ৬০% প্রোটিন থাকে।
ডাবলি, ছোলা, মুশুরি,হেলেন, মুগ, রেজা, খেশারি, ফেলন, মটর, কালী, এংকর, ইত্যাদি।
(৩) #ফ্যাট/তেল জাতীয় খাবার:
#ফ্যাট ঠান্ডার বিরুদ্ধে লড়ার জন্য কবুতরের মূল হাতিয়ার আর লম্বা সময় ওড়ার জন্য ৩য় পর্যায়ের জ্বালানী হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া ব্রীডিং এর কবুতরের জন্য ফ্যাট একটি গুরুত্বপূর্ন খাবার। পিজিন মিল্কে প্রায় ৩৬% ফ্যাট থাকে।
সমীক্ষায় দেখা গেছে ১ ঘন্টা ওড়ার পর কবুতরের ব্লাড সুগার, যা সে কার্বোহাইড্রেট থেকে সংগ্রহ করে, শেষ হয়ে যায়। এর পর সে উড়ার জন্য দেহে জমা থাকা ফ্যাট ভেঙ্গে শক্তি সংগ্রহ করে। দেহে জমা ফ্যাট যখন নিঃশেষ হয়ে যায় তখন সে দেহের কোষ ভেঙ্গে ওড়ার শক্তি সংগ্রহ করে। দেহ কোষ ভাঙ্গা শেষ হয়ে গেলে কবুতরের জ্বালানী শেষ। এরপর কবুতর আর উরতে পারবে না, তাকে বিশ্রাম।নিয়ে পুনরায় জ্বালানী সংগ্রহের জন্য আকাশ ছেড়ে নেমে আসতে হবে।
সয়াবিন, হেম্প সীড, সরিষা, কুসুম ফুলের বীজ, তীসি, সূর্যমুখীর বীজ, তিল, কালিজিরা, বাদাম ইত্যাদি।
👉 কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং তেলবীজ এই তিন ধরনের খাবার থেকে অন্তত দুটি করে আইটেম মিশিয়ে খাবার মিক্স তৈরী করে নিলে ইনশা আল্লাহ কবুতর ভালো থাকবে। আইটেম যত বেশী হবে কবুতর তত বেশী পছন্দ করবে, কবুতরের দীর্ঘায়ু এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য হবে দারুন উপকারী।