02/08/2023
#জীবাণু_কখন_ঔষধের_থেকেও_শক্তিশালী_হয়?
আপনার কি কখনো এরকম মনে হয়েছে আপনি কোনো নির্দিষ্ট রোগের জন্য ওষুধ খাচ্ছেন,কিন্তু ওষুধ খুব একটা কাজে দিচ্ছে না ? তারপর যখন কি করবেন বুঝতে না পেরে আবার ডাক্তারের কাছে গেলেন ডাক্তার তখন ওই ওষুধেরই ডোজ বাড়ায় দিলো, তারপর সুস্থ হয়ে গেলেন। মেকানিজম টা কি? ঘটনা একটু খতিয়ে দেখতে গেলে আরেকটা কমন উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। খুব সামান্য জ্বর,ব্যাথা জাতীয় সমস্যা থেকে শুরু করে যেকোনো আচমকা অসুখে ডাক্তারের প্রেসক্রাইব ছাড়াই (ওটিসি ড্রাগ) যেই ড্রাগ গুলা আমরা ইনটেক করি তার মধ্যে একটা হচ্ছে প্যারাসিটামল বা অ্যাসিটামিনোফেন। সুস্থ্য করে তোলার পাশাপশি প্যারাসিটামল বা ওটিসি ড্রাগগুলো আমাদের আরেকটা কাজ করে দিচ্ছে; খুব সাইলেন্টলি আমাদের শরীরে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (AMR) তৈরী করছে। এখন যারা এই টার্ম টার সাথে পরিচিত নন তাদের অনেকের মধ্যে প্রশ্ন AMR টা আসলে কি? ধরেন আপনার বডি তে কোনো foreign particle প্রবেশ করলো, যেহেতু মেডিকেল সায়েন্স এর কল্যাণে আপনি জানেন স্পেসিফিক কোন ড্রাগ বডিতে ইনটেক করলে foreign particle বা অনুজীব কে প্রতিরোধ করা সম্ভব। যেহেতু আপনি চালাক, আপনি যতবার অনুজীব দ্বারা ওই অসুখে আক্রান্ত হবেন, ততবার তাড়াতাড়ি ওষুধ খেয়ে সুস্থ হয়ে যেতে চাইবেন। কিন্তু আপনার বডিতে থাকা অনুজীব ডাবল স্মার্ট হওয়ায় সে একটা পর্যায়ে এসে বুঝে যাবে ওষুধ কিভাবে কাজ করছে, তাই সে নিজেকে টিকিয়ে রাখার জন্য আস্তে আস্তে ওই ড্রাগের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে নিবে,তখন ওষুধ খেলেও ওই রোগের বিরূদ্ধে কোনো ধরনের প্রতিরোধ করা সম্ভব না, স্মার্ট অণুজীবের Anti microbial resistance হয়ে গিয়েছে।