
14/01/2025
সুস্থ ও স্বাভাবিক গরু চিহ্নিত করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য বা লক্ষণ দেখা যায়। এগুলো গরুর শারীরিক, আচরণগত ও সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়। নিচে সুস্থ গরুর বৈশিষ্ট্যগুলো উল্লেখ করা হলো:
১. শারীরিক বৈশিষ্ট্য:
উজ্জ্বল ত্বক ও লোম: গরুর চামড়া মসৃণ ও লোম উজ্জ্বল থাকবে। এটি পুষ্টি ও সুস্থতার লক্ষণ।
পরিষ্কার চোখ: চোখ উজ্জ্বল, পরিষ্কার এবং জলযুক্ত থাকবে। ফোলা বা লালচে ভাব থাকবে না।
স্বাভাবিক নাক ও মুখ: নাকের চারপাশে আর্দ্রতা থাকবে এবং মুখ থেকে অতিরিক্ত লালা পড়বে না।
শক্তিশালী পা ও খুর: পা মজবুত থাকবে এবং হাঁটাচলা স্বাভাবিক হবে।
সুস্থ শরীরের ওজন: শরীর অতিরিক্ত শীর্ণ বা মোটা হবে না।
২. আচরণগত বৈশিষ্ট্য:
সক্রিয় ও সতর্ক: গরু চঞ্চল এবং পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন থাকবে।
স্বাভাবিক আচরণ: গরু নিজের স্বাভাবিক আচরণ যেমন চারণভূমিতে ঘাস খাওয়া এবং বিশ্রাম নেওয়ার অভ্যাস বজায় রাখবে।
সামঞ্জস্যপূর্ণ খাদ্যগ্রহণ: গরু নিয়মিত পরিমাণে খাবার খাবে এবং পানি পান করবে।
স্বাভাবিক ঘুমের অভ্যাস: সুস্থ গরু দিনে নির্দিষ্ট সময় বিশ্রাম বা ঘুমাবে।
৩. শারীরবৃত্তীয় বৈশিষ্ট্য:
শ্বাসপ্রশ্বাস: শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়মিত এবং শান্ত হবে। শব্দযুক্ত বা তীব্র শ্বাস হলে অসুস্থতার লক্ষণ হতে পারে।
স্বাভাবিক মলত্যাগ ও মূত্রত্যাগ: মল ও মূত্রের রং এবং পরিমাণ স্বাভাবিক থাকবে। ডায়রিয়া বা প্রস্রাবের রং অস্বাভাবিক হলে তা অসুস্থতার লক্ষণ হতে পারে।
শরীরের তাপমাত্রা: গরুর শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা (১০১-১০২.৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট) বজায় থাকবে।
৪. রোগমুক্ত অবস্থা:
ফোঁড়া বা ক্ষত মুক্ত: শরীরে কোনো ক্ষত বা ফোঁড়া থাকবে না।
পোকামাকড় বা পরজীবী মুক্ত: গরুর গায়ে কোনো পরজীবী যেমন উকুন বা মাইট থাকবে না।
নাক, চোখ বা কান থেকে স্রাব মুক্ত: এই অঙ্গগুলো থেকে স্রাব বা পুঁজ বের হলে তা অসুস্থতার ইঙ্গিত হতে পারে।
৫. দুধের গরুর জন্য অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য:
স্বাভাবিক দুগ্ধ উৎপাদন: দুধের গরু হলে এটি স্বাভাবিক পরিমাণে দুধ দেবে।
উদর পরিষ্কার ও মসৃণ: দুধ উৎপাদনের জন্য গরুর স্তন পরিষ্কার এবং আঘাত বা সংক্রমণমুক্ত থাকবে।
যত্ন নেওয়ার সুপারিশ:
সঠিক খাবার এবং পুষ্টি সরবরাহ করুন।
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও পর্যাপ্ত জায়গা দিন।
সময়মতো টিকাদান ও পরজীবী নিরোধক ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।