Furry kid's kindergarten

Furry kid's kindergarten We provide a cage free creche service for dogs & cats. We provide medical assistant for cats & dogs as per requirment.
(7)

We provide grooming services for cats as well as dogs.

উআজকে মধ্যরাতের জ্ঞান-ইনস্টাগ্রামে একটা ভিডিও দেখলাম। একজন তার পোষ্যকে(কুকুর) সকালের ব্রেকফাস্টে আলুর পরোটা খাওয়াচ্ছে। ভ...
20/06/2023

উআজকে মধ্যরাতের জ্ঞান-

ইনস্টাগ্রামে একটা ভিডিও দেখলাম। একজন তার পোষ্যকে(কুকুর) সকালের ব্রেকফাস্টে আলুর পরোটা খাওয়াচ্ছে। ভালো কথা। আলুর পরোটায় গাজর,আলু,বিনস,নুন দিয়ে ফিলিং বানানো হল আর নরমাল আটার খোল। তারপরে সেটাকে সেঁকে, হাফ স্পুন ঘী মাখিয়ে দই-য়ের সাথে সার্ভ করা হল।
আমার ইন্টারেস্ট থাকে কমেন্ট সেকশনে, সেখানে অনেকেই দেখলাম বিরোধ করেছে, নুন দেবেন না,ঘী দেবেন না বলে। সেখানে, পে'জের ওনার, অর্থাৎ যে খাওয়াচ্ছে, সে যুক্তি দিচ্ছে, ঘী খাওয়ানো ভালো কারণ, কোকোনাট অয়েল খাওয়ানো যায়, নুন দেওয়া ভালো কারণ নাহলে সোডিয়াম ডেফিসিয়েন্সি হয়। এবং, যদি কুকুরদের এটা-ওটা না-ই দেওয়া যায়,তাহলে রাস্তার কুকুরেরা কিকরে সবকিছু খেয়ে দিব্যি ১৪-১৫বছর বেঁচে থাকে।রিতীমত সবার সাথে ঝগড়া করছে যে সে কতটা ঠিক। এবং তার যুক্তি কতটা অকাট্য।
পুরোটাই দেখলাম, চিন্তা করলাম। এই প্রসঙ্গে এক সমুদ্র কথা বলা যায়। আজকে খুব শর্টে কিছু কথা বলি। পয়েন্ট ওয়াইজ-
১. টেবিল সল্ট দেওয়ার প্রয়োজন পোষ্যদের নেই।
নুন মানুষের মতনই, পশুদের জন্যই খুবই ইম্পর্টেন্ট। কিন্তু সেটা ওরা ওদের রোজকার ডায়েটের মাছ/মাংশ/ডিম থেকে পেয়ে যায়। এবং সেটাই সবথেকে সেইফ অপশন। টেবিল সল্ট সম্পূর্ণ এভয়েড করুন। ক্যানাইন/ ফেলাইন ও.আর.এস খাওয়ান নিজেদের বাচ্চাদের। ডায়েট সুষম রাখুন। তাহলেই আর কিছুর ডেফিশিয়েন্সি হবেনা।
টেবিল সল্ট খাওয়া মানুষের জন্যই যথেষ্ট ক্ষতিকর। পোষ্যদের দিয়ে নিজের আর ওদের চাপ বাড়াবেন না।
প্রয়োজনে নিজের ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
২. নরমাল আটা বা ময়দা, গ্লুটেনের একটা পাওয়ারহাউস বলা চলে। গ্লুটন প্রথমত সকলে সহ্য করতে পারে না, এবং এর দ্বারা যে ক্ষতি হয় সেটা সুদূরপ্রসারী।
তাই আটা বা ময়দা এভয়েড করে ওটসের আটা বানান। দিন, ওটস কমপ্লেক্স কার্ব। তবে কোনোওকিছুই অতিরিক্ত ভালো না। যা দেবেন, সেটা মডারেশনে দেওয়াই ভালো। ওরা কাঁচা মাছ,মাংশ খাওয়ার জীব। আমরা নিজেদের সুবিধার্ধে এমন অনেক কিছু ওদের দিই, যার প্রয়োজন ওদের শরীরে নেই। কিন্তু তবু, এসব দেওয়ার কি খুব প্রয়োজন?
৩. অনেকেই হয়ত জানে না। কিন্তু ঘী বা নারকেল তেল কিন্তু কুকুর দের জন্য খুব দারুন একটা জিনিস। কিন্তু এগেইন, মডারেশনে, নাহলে সুদূরপ্রসারী ফলভোগ করতে হবে। এমনকি সবাই ঘী বা নারকেল তেল সহ্য করতে পারে না, সুতরাং খুব সাবধান।
কতটা দিতে হবে, সপ্তাহে কতবার, কতটা এটা একমাত্র আপনার ভেটই আপনাকে বলতে পারে। আপনার বাচ্চার শরীরের অবস্থা অনুযায়ী।

এরকম ভিডিওতে ইন্টারনেট এখন ভর্তি। কাওকে কিছু করতে দেখেই আপনি প্রভাভিত হবেন না দয়া করে। সবসময় নিজের বাচ্চার মুখে কিছু তুলে দেওয়ার আগে, নিজে রিসার্চ করুন,ভেট কনসাল্ট করুন। আপনি যা নিজের বাচ্চার বা নিজের পেটে দিচ্ছেন, তার ফল যে সুদূরপ্রসারী হতে পারে সেটা আমরা জানি। সুতরাং, যা করবেন, চিন্তা করে। আর যা কিছু ওদের দেওয়া যায়, তাইই ওদের দিতে হবে, এমন মানে নেই।
আর নিজের বাড়ির পোষ্য, যে ২৪ঘন্টা এসিতে থাকে আর চেয়ারে বসে আলুর পরোটা খায়, ভ্যাক্সিন, ডিওয়ার্মড হয়, তার সাথে রাস্তার ষ্ট্রে ডগের তুলনা যে করে সে পাগল।
নেহাত ইন্সটাতে হ্যাজ নামানো যায় না, নাহলে সেই ব্যক্তিকে একটা প্রশ্ন করতাম, যাদের মাথার ওপরে ছাদ নেই, ফুটপাতে বা স্টেশনে থাকে, তারা আর আপনার বাড়ির বাচ্চা কি সেইম? ব্রেনটা ইউস না করে করে যে ঝুলগুলো পরেছে, সেগুলো ঝেড়েঝুড়ে একটু ব্রেনটাকে খাটিয়ে দেখুন, এই সহজ ব্যাপারটা অবশ্যই মাথায় ঢুকবে।

একটা অপেক্ষাকৃত ডগ-ফ্রেন্ডলি আলুর পরোটার রেসিপি দিয়ে গেলাম(এসব না খাওয়ালে এমন কিচ্ছু ক্ষতি হবেনা ওদের)-
সামগ্রী- ওটসের আটা(ওটস তাওয়ায় হাল্কা ড্রাই-রোস্ট করে গুঁড়িয়ে নিন),মিষ্টি আলু/আলু-গাজর-ফ্রেশ মটরশুঁটি (আলু/মিষ্টি আলু,গাজর,কুমড়ো ইত্যাদি সবজি আপনার বাচ্চা খেতে পারলে তবেই, যদি ডাক্তার পারমিশন দেন),
রেসিপি- ওটসের আটা জল দিয়ে মেখে নিন, সবজি সব হাল্কা ভাপিয়ে ম্যাশ করে ফিলিং বানান। টেস্টমেকার কিছু দেওয়ার দরকার নেই,পাম্পকিন পাউডার বা হোমমেড চিকেন পাউডার(চিকেন ডিহাইড্রেট করে পাউডার বানানো,প্রিসার্ভেটিভ ছাড়া) দিতে পারেন।
আটার লেইতে ফিলিং ভরে পাতলা বেলে সময় নিয়ে সেঁকে নিলেই রেডী।
বেস্ট হবে বাড়িতে পাতা দইয়ের সাথে পেয়ার করলে। আবার শশা,বিট দিয়ে রায়তাও বানিয়ে দিতে পারেন। সাথে অনেকটা ফ্রেশ জল।
* ঘী মাখানোর পরামর্শ রেসিপিতে দিলাম না, ডাক্তার এল্যাও করলে পরিমাণমতন মাখিয়ে নিতে পারেন।

বি.দ্র- ছবিতে বেগমের জন্য বানানো ওভারনাইট ওটস। এই বাটিটা অবশ্য আমার, বেগমের থেকেই নিয়ে বেশী করে ফল মিশিয়েছি।
বেগমকে দু'রকমের মিষ্টি ফল একসাথে আমরা কখনই দিই না। ও শুধু আম দিয়ে মাখা খেয়েছে।

19/06/2023

বেশ কিছুদিনের ব্রেকের পর ফিরে এলাম।

আজকে আমার বাড়িতে আমার জীবনের এক অত্যন্ত প্রীয়জন এসেছে, ক'দিনের ছুটি কাটাতে। টিয়ারা(গোল্ডেন রিট্রিভার)কে আমরা ছোট থেকে চোখের সামনে বড় হতে দেখছি,ওদের ছোট-বড় ক্রাইসিসে সবসময় আমাদেরই ওর পরিবার ওদের পাশে চেয়েছে। এবং, ওর বাড়ির লোকের সাথেও এখন আমাদের ফ্যামিলির মতন সম্পর্ক তৈরী হয়েছে ওর আর ওর দাদার(ক্যান্ডি,স্পিত্জ) সূত্র ধরে🧿। মোদ্দা কথা, টিয়ারা আর ক্যান্ডিকে(🧿) আমরা নিজেদের বাচ্চাই মনে করি এবং ভালোবাসি।ও আমাদের বাড়ি এলে আমাদের মন নিমেষে ভালো হয়ে যায়। টিয়ারাও প্রচন্ড ভালোবাসে বন্ধুদের সাথে সময় কাটাতে। তাই কয়েকটা দিন যেন হুস করে কেটে যায়, আমাদের কিছু বুঝে ওঠার আগেই। আর সেইজন্যই, আমি যতটা সম্ভব ওদের ভিডিও মুহুর্তবন্দী করে রাখার চেষ্টা করি।
আজকে আসার পর টিয়ারার মুড অফ ছিল, বাড়ির লোক ওর চোখের সামনে ব্যাগপত্র গোছগাছ করেছে, তখন থেকেই ওর মুড অফ।রাস্তাতেও কেঁদেছে, বাড়িতে আসার পরেও কাঁদছিল। তাই কিটি ওকে কম্ফোর্ট দেওয়ার জন্য নানান কিউট অঙ্গভঙ্গি করে,কুকি বানিয়ে দেখাচ্ছিল, কিন্তু টিয়ারা তাতে বেটার ফিল করছিল না। কারণ ও আগে কোনোওদিন বেড়াল দেখেনি, এর আগেও ও যতবার এসেছে, বেড়ালদের সাথে ওর এনকাউন্টার হয়নি।ও এএওব বোঝেই না। এত কাছ থেকে বেড়ালও দেখেনি, কিন্তু কি অসম্ভব জেন্ট্ল ও বেড়ালদের সাথে, আর আমার বেড়ালেরা(🧿) টিয়ারাকে অসম্ভব ভালোবাসা দিয়েছে, কিটি বাড়ির সবথেকে বড় সদস্যা, ও টিয়ারার বডি ল্যাঙ্গুয়েযে হয়ত বুঝতে পেরেছিল যে ও ডিস্টার্বড হয়ে আছে, তাই ওকে কম্ফোর্ট দেওয়ার চেষ্টা করছিল, কিন্তু সেটা কাজ করছিল না, তারপরে যেমুহুর্তে Pratyusa Dey কিটিকে বলল ওকে হাত দিয়ে আদর করতে, তক্ষুনি কিটির রিয়্যাকশন দেখুন❤️
যারা বেড়াল বা কুকুরদের নামে বদনাম করেন, যে, বেড়ালেরা স্বার্থপর ওরা ইমোশন বোঝে না আর কুকুরেরা বেড়াল সহ্য করতে পারেনা, মেরে ফেলে। তারা আসলে তাদের ঠিকঠাক লালন করতে পারেননি(ষ্ট্রে কুকুরের কথা সম্পূর্ণ ভিন্ন,এখানে ষ্ট্রে কুকুর বা বেড়ালের কথা বলা হচ্ছ না, সম্পূর্ণ ডোমেস্টিক,ইনডোর ক্যাট এবং ডগের আলোচনা হচ্ছে)।
সত্য কঠিন, কিন্তু এটাই ফ্যাক্ট। সম্পূর্ণ অচেনা, একটি বেড়াল এবং শক্তিশালী বিশালদেহী কুকুরের প্রথম এনকাউন্টারের ভিডিও প্রুফ দেখিয়ে আশা করি সেই কথাটা আমি প্রমাণ করতে পারলাম😊

আগের দিন এই ছবিটা শেয়ার করে দেখতে চেয়েছিলাম কতজন এই বিশেষ জিনিসটার ব্যাপারে অবগত।বেশীরভাগ লোকেই ঠিক বলেছেন দেখে সত্যিই খ...
06/06/2023

আগের দিন এই ছবিটা শেয়ার করে দেখতে চেয়েছিলাম কতজন এই বিশেষ জিনিসটার ব্যাপারে অবগত।
বেশীরভাগ লোকেই ঠিক বলেছেন দেখে সত্যিই খুশী হয়েছি, এখনকার পেট-পেরেন্টরা পেরেন্টিং টাকে মালিকত্ব ভেবে নিচ্ছেন না এবং বিভিন্নভাবে নিজেদের এডুকেট করার চেষ্টা করছেন দেখে সত্যিই খানিক নিশ্চিন্ত আর অনেকটা খুশি হলাম।
এই জিনিসটা নিউটিকল্'স, প্রস্থেটিক টেস্টিকল। আমাদের ভারতে এই জিনিসের এখনও তেমন চল নেই, কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলিতে এটা খুবই খ্যাত। সিল্যিকন আর আরোও উন্নত মেটেরিয়াল দিয়ে বানানো হয়, এক্সপেন্সিভ। নিউটার পরবর্তী ষ্ট্রেস থেকে পোষ্য এবং তার 'মালিককে' বাঁচাতে এই প্রস্থেটিক টেস্টিসের উৎপত্তি। বেড়াল-কুকুর সহ অনেক প্রাণির জন্য বিভিন্ন সাইজে এই নিউটিকল এভেইলেবেল।

ক'জন এই বিশেষ বস্তুটির সম্পর্কে জানেন?
দেখা যাক। সকলে নিজেদের মতন করে মতামত দিন কমেন্টে।

বি.দ্র- অসুস্থতার জন্য দাদুর গল্প আনতে পারছি না। দুঃখিত।

05/06/2023

ভিডিওতে যাকে দেখা যাচ্ছে, সেই ঘোড়া(!)টি একা নয়, এদের তিনজনের একটি গ্রুপ আছে, এবং অবশ্যই একজন মালিক(!!) আছে। এদের আর এদের অথাকথিত "মালিক"এর ব্যাপারে এক সমুদ্র আছে লেখার জন্য, কিন্তু হাত চলছেনা। যতবার এদের দেখি, আমার মন ভেঙে শতখন্ডে বিভক্ত হয়ে যায়। তাই আজ থাক। হয়ত কোনোওদিন নিজেকে শক্ত করে তুলতে পারব আর মনের সবটুকু ভাব প্রকাশ করে লিখতে পারব, এদের ব্যাপারে আমি যতটুকি জানি।
এইদিন, এই ঘোড়াটির বাকী দুই সঙ্গী মাঠের ভেতরে ছিল, এ ভেতরে যাওয়ার রাস্তা খুঁজে পাচ্ছিল না তাই ঠায় এই এক জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিল ,কারণ এখান থেকে বাকী দুজনকে দেখা যাচ্ছিল স্পষ্ট। এর পায়ের এক জায়গায় একটা বড় সোয়েলিং আর একটা টিউমার(আশা করছি ম্যালিগনেন্ট নয়) ছিল। বডি মুভমেন্ট,টেন্স মাসল দেখেই বোঝা যায় ও এইসময় অত্যন্ত বিরক্ত এবং ষ্ট্রেসে ছিল। বলাই বাহুল্য কেও ওর কাছে যাচ্ছিল না, কিছুক্ষণ অবসার্ভেশনের পর প্রত্যুষা ও কাছে যেতেই আশেপাশের দোকানদার থেকে যারা খাচ্ছিলেন, প্রত্যেকেই রে-রে করে ওঠে।কাছে গেলে নাকি ও লাথি মারবেই, কিছুক্ষণ ওকে নিজেদের অবসার্ভ করার সময় দিয়ে প্রত্যুষা ওকে টাচ করল। তখনও আশপাশ দিয়ে হাসি-ঠাট্টা-টিপ্পনি ভেসে আসছে, সবাই যেন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে যে ঘোড়াটা কখন ওকে লাথাবে।আমি সহ্য করতে না পেরে বললাম 'উনি পশুদের নিয়েই কাজ করেন, আপনাদের ওনাকে নিয়ে এত চিন্তা করতে হবেনা'। মানুষজন সেটাকে নিজেও খিল্লি করতে শুরু করল। কিন্তু ভাই, এতদিনে একটা কথা তো আমি বুঝেইছি, যাদের যোগ্যতা নেই, শুধুমাত্র তারাই মজা করে। আর ঠিক এই কারণেই, ভিডিওতে দেখুন, ঘোড়াটি বোধকরি তার জীবনে প্রথমবার একজন অচেনা লোকের থেকে সেইফ এবং কম্ফোর্টেবল টাচ পাচ্ছে। একপর্যায়ে প্রত্যুষা হার সরিয়ে নেওয়ার পরে আবার টাচ কিরার চেষ্টা করলে ও মুখ ঘুরিয়ে নিল ভয়ে(বোঝাই যাচ্ছে মা*র খায় নিয়মিত), কিন্তু, পরবর্তীতে স্নেহের হাত গায়ে পড়াতে ও কিন্তু প্রত্যুষার দিকে দু'পা এগিয়ে এল(এই জায়গা দেখে বারবার চোখে জল আসে)।
যাইহোক, প্রায় আধঘন্টারও বেশী সময় ধরে ওকে কম্ফোর্ট দেওয়ার পরে ওর ফ্রীজ্ ভাবটা কেটে গেছিল, এবং ততক্ষণে ওর বাকী সাথীরাও মাঠ থেকে বেড়িয়ে আসে। ততক্ষণ ওকে ছেড়ে আমরা যেতে পারিনি। বন্ধুদের সাথে রি-ইউনাইট হওয়ার পর ওর মন ভালো হল আমরাও বাড়ি ফিরে আসি। সেদিন, বেশীরভাগ লোকেরই এ দৃশ্য দেখে মুখ বন্ধ হয়ে গেছিল। যদিও কিছু লোক এটা দেখার পরেও হেসেছে এবং 'ভাগ্য ভালো ছিল' বলেছে। আর তাতে আমাদের একটা কুঞ্চিত কেশও উৎপাটিত হয়নি, বলাই বাহুল্য!

*ফ্রী-জ্ঞান টাইম*-
লেট মি টেল ইউ, 'ফিজিক্যাল টাচ' ইয সো ইম্পর্টেন্ট, কিন্তু শুধুমাত্র তখনই যখন আপনার সামনের জন সেটা আপনাকে এল্যাও করছে। এটা প্রাণীদের ক্ষেত্রেও ভীষণভাবে প্রযোজ্য, যেমুহুর্তে একজন প্রাণী দেখে আপনি তার স্পেস এবং প্রাইভেসিকে রেসপেক্ট করছেন, অর্থাৎ তার মতামতকে গুরুত্ব দিচ্ছেন, সে আনকম্ফোর্টেবল হলে আপনি সেটাকে সম্মান করে ব্যাকফুট করছেন এবং একমাত্র তার কনসেন্টে তাকে টাচ বা আদর করছেন, তখনই কিন্তু তারও আপনার প্রতি একটা আলাদা সম্মান জন্মে যায়, সে জানে আপনি সেইফ। এক্ষেত্রে তাদের সাথে কাজ করাও অনেক সহজ হয়ে যায়। মানুষজনের সাথে ওদের সত্যিই একটা বড় তফাত এখানে, ওদের সম্মান দিয়ে বদলে সত্যিই নির্ভেজাল সম্মানই পাওয়া যা, এটা প্রাইসলেস।
প্রমাণ ভিডিওতে।

আজ সকাল থেকে এই পোস্টটা ফেসবুক জুড়ে ঘুরছে। প্রচুর লোক পোস্ট সেভ করছেন কারণ এখানে ওষুধের নাম লেখা আছে। অনেকেই ডোয জানতে চ...
04/06/2023

আজ সকাল থেকে এই পোস্টটা ফেসবুক জুড়ে ঘুরছে। প্রচুর লোক পোস্ট সেভ করছেন কারণ এখানে ওষুধের নাম লেখা আছে। অনেকেই ডোয জানতে চাইছেন, কিছু অসাধারন প্রফেশনাল এন্যিমাল 'কি*লা*র' ডোয বলেও দিচ্ছেন, তাদের কাছে অবশ্য ডাক্তারি ডিগ্রিও নেই আর প্রয়োজনীয় পড়াশোনাও নেই৷ কিন্তু তারা তাদের দেড় হাজার বছরের কুকুর 'পোষার' এক্সপিরিয়েন্স থেকেই ডোয বলছেন, অনেকেই জিজ্ঞাসা করছেন, বেড়ালকে দেওয়া যাবে কিনা।
তাই ভাবলাম, কিছু কথা লিখি, আমার লেখাটা পড়ে যদি দশটা মানুষও সাবধান হন, তাহলেও আমার লেখা সার্থক।
১. ডেকড্যান বা ডেরিফাইলিন, র‍্যানট্যাক বা ইনোর মতন সেইফ ড্রাগ নয় যে দুম-দাম খেলেই আর দুটো ফুস পা*দ হয়ে ব্যাপারটা মিটে গেল। না। এগুলো জীবনদায়ী ওষুধ তা ঠিক, কিন্তু এগুলো চাইলেই খাইয়ে বা ইঞ্জেক্ট কিরে দেওয়া যায়না।
আবারও বলছি, র‍্যানট্যাক বা ইনোর মতন যখন তখন এগুলো দেওয়া যায়না, জীবনদায়ী ওষুধ হলেও শারীরিক অবস্থার বিচার না করে এই ওষুধগুলো দিলে, এগুলো জীবন হরণ করবে অচিরেই।
একটা ঘটনা বলি, কিছুদিন আগে বারাসাতের এক আবাসনে পরপর কুকুর নিধনের এক পৈশাচিক ঘটনা শুরু হয়। একসময়ে আমাদের ডাক পরে একটি কুকুরকে গিয়ে পরীক্ষা করার, সেখানে গিয়ে আমরা কনফার্ম হই যে কুকুরটিকে বি*ষ দেওয়া হয়েভহে। দৈবক্রমে আমাদের সাথে সেখানে অন্য একজন প্যারাভেটও উপস্থিত ছিল, তিনি আমাদের বারবার বলেন ডেরিফাইলিন দিতে, সেটা স্বাভাবিক বিষক্রিয়ায়। কিন্তু ওর শারীরিক অবস্থা ওই ড্রাগটি দেওয়ার অনুকূল ছিল না। তাই যা যা করণিয়, সেটা আমরা করি এবং আধঘন্টার পরে ওর অবস্থার বেশ খানিকটা উন্নতি হয়। যদিও বাচ্চা কুকুরটি বিষ ও শারীরিক প্রহারের ট্রমা নিতে না পেরে পরদিন মা*রা যায়। কিন্তু, সেদিন ওই কুকুরটিকে এন.জি.ও তে পাঠানো হলে তারাও কনফার্ম করে যে ওইসময়ে, ওইঅবস্থায় কুকুতটিকে যদি ডেরিফাইলিন দেওয়া হত তাহলে তখনই একটা বিপদ ঘটত। বাচ্চাটি সারভাইব না করলেও,আমরা চিকিৎসা করার বা একটা শেষ চেষ্টা করার সুযোগ সেদিন পেয়েছিলাম।
২. প্রেডনিসোলোন যে স্টেরয়েড সেটা কে না জানে। মানুষের বহুল রোগের চিকিৎসা হয় প্রেডনিসোলোন ড্রাগটি দ্বারা। আর যখন তখন যে এই ওষুধ দেওয়া যায়না সেটা সকলেই জানে। (না জানলে গুগল করে দেখে নিতে সময় লাগবে ঠিক ২মিনিট)। এবং এক্সপার্ট কেও এডভাইজ না করার সত্ত্বেও এই ড্রাগ নিলে যে তার ফল ভালো হয়না, সেটাও বলাই বাহুল্য।

আমি জানিনা, এইধরনের রিস্কি ড্রাগ, যেগুলো ডাক্তার প্রেসক্রাইব না করলে কখনওই দেওয়া উচিত নয়, এরকম তিন-তিনটি ওষুধের নাম কিকরে পেপারে এমন ভাবে ছেপে দেওয়া হল। ডোযের উল্লেখ নেই, সাবধানতা বলা নেই, এমনকি এক্সপার্টের ওপিনিয়ন নিতেও বলা নেই। সোজাসুজি এরকমভাবে ওষুধের নাম কি ছাপানো যায়, শহরের প্রথম সারির একটি সংবাদপত্রে? জানা নেই এধরনের ইরেসপন্সিনিলির জন্য কত কুকুর-বেড়ালকে মৃ*ত্যুবরণ করতে হবে।
সত্যিই হিটষ্ট্রোক এখন প্রায় মহামারীর রূপ নিতেবচলেছে, প্রতিদিন গড়ে অন্তত ৫টা ফোন পাই হিটষ্ট্রোকের এমনকি আমার নিজের বাড়িতে, ফেব্রুয়ারী মাসে আমার নিজের বেড়ালের হিটষ্ট্রোক হয়ে গেছে।কিন্তু প্লিজ, যারা এই পোস্টটা পড়বেন, আপনারা কেও প্যানিকড হয়ে এর দ্বারা প্রভাবিত হবেন না। হিটষ্ট্রোকের ক্ষেত্রে প্রিভেনশনটাই জোরদার হওয়া উচিত। একবার ষ্ট্রোক হয়ে গেলে সারভাইব করানোর চান্স ৫০-৫০ হয়ে যায়। তবু আপনারা চাইলে আমি প্রিভেনশন এবং ষ্ট্রোক হয়ে গেলে আপনি তৎখনাৎ কি করবেন, সেই বিষয়ক একটা পোস্ট দিতে পারি। কিন্তু সেক্ষেত্রেও, আপনার কর্তব্যটুকু পালন করে আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতেই হবে।
দয়া করে ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে, ওজন অনুযায়ী প্রপার ডোয না জেনে নিজের বাচ্চার মুখে কোনোওরূপ ওষুধ দেবেন না।
নাহলে সারাজীবনের মতন, আপনার হাত ওর র*ক্তে লাল হয়ে থাকবে।

04/06/2023

আমাদের মতন গরিবদের লোক্যাল গাবাদোনা ফুটবলটা মোটেই ভালো খেলেন না। একটু হাত নাড়ার পরেই, ম্যাটারটা মুখে তুলে নিতেই উনি ভালোবাসেন।

ক'জন এই বিশেষ বস্তুটির সম্পর্কে জানেন? দেখা যাক। সকলে নিজেদের মতন করে মতামত দিন কমেন্টে।বি.দ্র- অসুস্থতার জন্য দাদুর গল্...
30/05/2023

ক'জন এই বিশেষ বস্তুটির সম্পর্কে জানেন?
দেখা যাক। সকলে নিজেদের মতন করে মতামত দিন কমেন্টে।

বি.দ্র- অসুস্থতার জন্য দাদুর গল্প আনতে পারছি না। দুঃখিত।

24/05/2023

প্রথমের বলি, ফেলাইন বা ক্যানাইন, এদের কারোরই শরীরে সব্জী বা ওটসের প্রয়োজন নেই। এরা কার্নিভোরাস প্রাণী এবং মাছ-মাংশই এদের শরীরের প্রয়োজনীয় সব চাহিদা মেটায়।
একজন বাচ্চার সুস্থ ও হেলদি হওয়ার জন্য যতটা প্রোটিন ইত্যাদি দরকার, সেই কোটা ফুলফিল হলেই ওরা ভালো থাকবে। আমি মাঝেমাঝে এন্যিমাল প্রোটিনের সাথে ওদের সব্জী-ওটস ইত্যাদি মিশিয়ে দিই, কারণ আমার বাচ্চারা ভালোবেসে খায়। আপনার বাচ্চা না খেলে কোনোও অসুবিধা নেই।
কালকে বাচ্চাদের সন্ধ্যেকার স্ন্যাক্সে ছিল ওটস-ডিম- চিকেন আর গাজরের চিলা, এই চিলাটা বেসে রেখে আমি মাঝে মাঝে ওদের পিৎজাও বানিয়ে দিই, সেটাও ওরা দারুন খায়, আবার ওসব না দিয়ে শুধু চিলাটাও বাচ্চারা দারুন খায়। আর আমার বাড়িতে যেটা বানানো হয় এটা মাথায় রেখেই হয় যাতে আমার সব বেড়াল-কুকুর সবাই খেতে পারে। এখানে রইল সেই মুহুর্তেরই একটা ছোট্ট ক্লিপিং♥️

বি.দ্র- জীবনে প্রথম কাটাকুটি করে ভিডিও এডিট করেছি। খারাও ও ফ্ল'স এ ভরা। আশা করছি ধীরেধীরে শিখে যাব ভালো ভিডিও এডিট করে।

বি.বি.দ্র- দাদুর গল্পের শেষ পর্ব আজকে রাতেই আসবে।

কথা দিয়ে কথা রাখতে পারলাম না, আজকে দাদুর গল্পের দ্বিতীয় ভাগ আনার কথা ছিল, কিন্তু সারাদিন ব্যাস্ততায় কোথায় দিয়ে যে কিভাবে...
22/05/2023

কথা দিয়ে কথা রাখতে পারলাম না, আজকে দাদুর গল্পের দ্বিতীয় ভাগ আনার কথা ছিল, কিন্তু সারাদিন ব্যাস্ততায় কোথায় দিয়ে যে কিভাবে কেটে গেল, বুঝতেই পারলাম না। নিজেকে কথা দিয়েছে পে'জে এক্টিভ থাকব, তাই দিনশেষে, আমাদের আরেক, অত্যন্ত স্নেহের-ভালোবাসার নাতির ছবি সকলকে দেখাতে এলাম🧿♥️
এনার নাম আন্দাজ করা কঠিন না মোটেই, আচ্ছা হিন্ট দিচ্ছি, দেখি তো ক'জন ঠিক নাম বলতে পারেন-
১. এনাকে দেখে প্রথমেই যে কথাটা আপনার মাথায় আসছে, এনার নামই সেটা!

বোনাস হিন্ট-
২. ইনি পুলুশ শিংগ! তাই ছুন্নর ছেলেদের যা নামে ডাকা হয়, সেটাই এনার নাম!
এবার দেখি ক'জন ঠিক নাম বলে😁

অনেকদিন পেইজে আসা হয়না, এতে করে পে'জ এর রিচ এর অবস্থা একেবারে খারাপ। তাই ভাবলাম এবার থেকে পে'জ টাকে সচল করে রাখতেই হবে। ...
21/05/2023

অনেকদিন পেইজে আসা হয়না, এতে করে পে'জ এর রিচ এর অবস্থা একেবারে খারাপ। তাই ভাবলাম এবার থেকে পে'জ টাকে সচল করে রাখতেই হবে। কিন্তু, এতদিন পরে বন্ধুদের কাছে আসলে তো স্পেশাল কিছু নিয়েই আসতেই হয়। তাই বহু চিন্তা-ভাবনা করে ঠিক করলাম, আজকে আমার দাদুর কথা শেয়ার করি সকলের সাথে।
দাদু মানে, ও আসলে আমার মেয়ে কিটি-র ছেলে। তাই সম্পর্কে আমাদের নাতি,অর্থাৎ, দাদুভাই! সেইথেকেই শর্ট করে ওকে দাদু বলে ডাকার শুরু।ওর আসল নাম ক্যান্ডেল, আর ছবিতে যে মেঘের মতন বস্তুকে দেখা যাচ্ছে, সেইই আমাদের আদরের একমাত্র দাদুভাই🧿♥️
ক্যান্ডেল জনমদুখি, ও ছিল ওর মায়ের ফাস্ট প্রেগন্যান্সির শেষ বেবী। বাকী দুই ভাইয়ের থেকে ও ছিল অনেক দূর্বল, আমাদের এটা বুঝতেও খুব দেরী হলনা, যে ও আর পাঁচটা বেড়ালের থেকে আলাদা। ছোট থেকে ও এমনিই চিৎকার করত, কোনোও কারণ ছাড়া, ওকে খাইয়ে দিতে হত আর সবসময় জামাকাপড়ে মুড়িয়ে রাখতে হত, আলোতে বের করলেই চেঁচাতো। একটু বড় হওয়ার পরে বোঝা গেল, ওর সামনের পা দুটোই, ওর পেছনের পা'এর থেকে বেশ অনেকটা ছোট। ফলে চলাফেরা,হিসু পটি করতে ওর খুব সমস্যা হত, ক্রমশ পেছনের পা দুটো স্লিপ করত,হিসু পটি মাখামাখি হত। তবু সবার সাথে পাল্লা দিয়েই ও বড় হচ্ছিল, যখন ও আর ওর তিন ভাই যখন সবে এক বছর বয়স পার করেছে। তখন আমার বাড়ির মড়ক লাগল, একের পর এক, মাত্র মাদখানেকের মধ্যে ৮জন বাচ্চা মারা গেল, 'আপার রেসপিরেটরি ট্র‍্যাক ইনফেকশন'-এ। ক্যান্ডেলের দুই ভাই, হুইস্কি আর ককটেল ও মারা গেল। ক্যান্ডেলও এই রোগে আক্রান্ত হল, আমরা কেওই ভাবিনি ও বাঁচবে। আমরা ভেবেছিলাম, আর যেই বাঁচুক, ও পারবে না। ও তখন দূর্বল আর ভীষণ অসুস্থ। আর ও ছিল বাড়ির দশম আক্রান্ত, নবম আক্রান্ত ছিল টফি বলে আমার আরেক বেড়াল। সেও একমাস বয়সে প্যানলিউকোপেনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিল, ওকে সুস্থ করার পর আমার বড় মেয়ে কিটি ওকে মানুষ করে। কিন্তু ওও ছিল ভীষণ দূর্বল আর নড়বড়ে। আমার ৮জন সুস্থ,তাগড়া প্রপারলি ডিওয়ার্মড আর ভ্যাক্সিনেটেড বাচ্চা যখন পরপর চলে গেছিল, ভাবতেই পারিনি ওদের দুজনকে বাঁচাতে পারব। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে দাদু আর টফি মৃত্যুকে ১০গোলে হারিয়ে ফিরে এল। আরেকটা কথা, তখন আমার দাদুর সাইজ ছিল হাতের একটা পাতার একটু বেশী, অথচ বয়স ১বছর+। ওর বাড় হয়নি ছোটবেলা থেকে সেভাবে।

আজকে এটুকুই থাক,
পরবর্তী গল্প কালকে বলব।এই দাদু এক ওয়ান্ডার দাদু, তা কেন, সেটা কালকের গল্পে বোঝা যাবে!

19/02/2023

** INFORMATIVE **

কিছুদিন আগে urmi banerjee র বাড়িতে ওর বাচ্চার ব্লাড নিতে যাই আমরা, গোলগোল যে বিগত ২+মাস ধরে ভুগছে সেটা আমরা জানতাম, কিন্...
21/10/2022

কিছুদিন আগে urmi banerjee র বাড়িতে ওর বাচ্চার ব্লাড নিতে যাই আমরা, গোলগোল যে বিগত ২+মাস ধরে ভুগছে সেটা আমরা জানতাম, কিন্তু ওর অবস্থা বা শরীর যে এত ভেঙে পড়েছে সেটা দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করতে পারিনি, ব্লাড নিতে গিয়ে দেখা গেল ভেইনই উঠছে না, সাথে অসম্ভব লো ব্লাড প্রেসার।
এবারে, Pratyusa Dey ব্লাড নেওয়া বা আইভি করে থাকে ইউসুয়ালি, আমার এক্সট্রিম এংজাইটির জন্য বেড়াল বেশীরভাগ কাজ করতেই আমি অপারগ, কিন্তু প্রত্যুষার প্রফেশনালিজম দেখার মতন, সেটা যারা আমাদের সার্ভিস নিয়েছেন, সকলেই একবাক্যে স্বীকার করবেন, জানি। এদিকে, ও কখনই একটা বেড়ালকে একটা হাতে একবারের বেশী নিডল ফোটায় না+তার সাথে কনস্ট্যান্ট এই খেয়াল রাখতে হয় যাতে বেড়ালটির কোনোওভাবে অত্যাধিক ষ্ট্রেস না হয়ে যায়,(ব্লাড কালেকশন বা আইভির ক্ষেত্রে)। তাই দুহাতে আমাদের সুযোগ মাত্র ২টো, পায়ে দেওয়াটা ওর লাস্ট রিসর্ট, যেটা আজ অবধি খুব কম বার করতে হয়েছে। প্রথম হাতে বাটারফ্লাই কানেক্ট করতেই ও বুঝে গেছিল যে চিরাচরিত ভাবে ব্লাড নেওয়া যাবে না। এদিকে একোতা সুযোগ নষ্ট হল, আর একটাই সুযোগ আছে সুস্থভাবে ব্লাড নেওয়ার, নাহলে বেশ খানিকটা সময় কেটে যাওয়ার জন্য(৩০সেকেন্ড মতন) গোলগোলও ষ্ট্রেসড হতে শুরু করবে। তাই সেকেন্ড হাতে কোনোওরকম রিস্ক না নিয়ে নিজের শিক্ষা ও এতদিনের প্রাকটিসের ওপরে ভরসা করে, কোথা ফিয়ে ভেইন যায়, বা গেছে,তার লোকেশন আন্দাজ করে ও বাটাতফ্লাই কানেক্ট করে। এন্ড, ভয়লা! ও ব্লাড নিতে সক্ষম হয়, যদিও ব্লাড ফ্লো ছিল ভীষণ কম, ১.৫এম.এল ব্লাড নিতে বেশ কসরত করতে হয়। কিন্তু গোলগোলকে সর্বাধিক কম ষ্ট্রেস দিয়ে ওর ব্লাড নিতে আমরা সক্ষম হই। ব্লাড নেওয়ার খানিক্ষনের মধ্যেই গোলগোল খেতেও শুরু করে আর কোথায় পালিয়েও যায় না বা ওর ষ্ট্রেস আমাদের দেখে ট্রিগারও করে না।
আমি সবসময় বলি, আবারও বলব। শুধু ইঞ্জেকশন দিতে পারা বা স্যালাইন কানেক্ট করতে জানা থাকলেই সে প্যারাভেট নয়, প্যারাভেট মানে তার থেকেও কিছু বেশী। অবশ্যই প্যারাভেট কখনই ভেট নয়, তা সে যত কোয়ালিফায়েডই হোক না কেন। আর একজন প্যারাভেটের গুণ বা প্রাইড এটা নয় যে সে আই.ভি বা ইঞ্জেকশন করতে পারছে, তার আসল পরীক্ষা সে কতটা স্মুদলি আর কতটা কম ষ্ট্রেস দিয়ে তার পেশেন্টকে প্লিজ করতে পারছে। কারণ মনে রাখতে হবে, আমাদের যারা পেশেন্ট, তাদের মানসিক বিকাশ মানুষের মতন নয়, হাজার হলেও তারা মানু্ষ নয়, আর তারা কথাও বলতে পারে না।তাদের সমব্যাথী হওয়াটাও আমাদের কর্তব্য হওয়া উচিত, গুণ না।
ধন্যবাদ।

ছবি- ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত

13/10/2022

এখানে যাদের যাদের দেখলেন, সকলেই বিশুদ্ধ পাড়াবেড়ানো রাস্তার কুকুর*। কেও বাড়ির পোষ্য নয়, নিজেদের কপালের জোরে একজন মানুষ-মা জুটিয়ে নিয়েছে, সেই মা ওদের ভীষণ ভালোবাসে।
* প্রথমেই এই কথা বলে নেওয়ার কারণ, ওদের সহবতটা দেখানোর জন্য, যারা রাস্তায় কুকুর দেখামাত্রই ছিটকে পালায় বা ভয় পায় ওদের দেখে, তাই মারে, তাদের সেই কথাগুলো শুধুমাত্র অযুহাত, আর, কাওকে আঘাত করার একটা ছুতোমাত্র। দেশী-বিদেশীটা সহবতের ক্ষেত্রে খুব একটা ম্যাটার করে না(হাইলি ট্রেইনড না হলে)। আমার বাড়ির মেয়ে লাইকা বা বেগমকে কেও মুখ খুলিয়ে ওষুধ খাওয়াতে গেলে ওরা যাস্ট তাদের চিবিয়ে রেখে দেবে। এবং এটা একেবারেই গর্বের কথা নয়, এটা এলার্মিং, তাই অচেনা কুকুর দেখলেই, তা সে যতই পোষ্য হোক নিজের পোটেনশিয়াল যাচাই না করে এই স্টান্ট গুলো রিয়েল লাইফে এল্পাই না করাই উচিত। ভিডিওতে যে এই কাজটা করছে, সে হাইলি প্রফেশনাল মানুষ।
এদের মানুষ মা এখানে থাকেন না, তাই এদের পোষ্য করে রাখার উপায় ওনার নেই,এখানে ওনার বাগানবাড়ি, ছুটি-ছাটায় দু-একদিন কাটিয়ে যাওয়ার ঠিকানা। তাসত্ত্বেও এই চারপায়াদের ভালোবাসায় প্রতিমাসেই ছুটে আসেন। সোত্তরোর্ধ বয়সেও কি ভীষণ মনে জোর! এদের টানে নিজেই ড্রাইভ করে আসেন, এদের যথাসাধ্য দেখভাল করেন! আবার এদের মধ্যে মেয়েদের স্টেরিলাইজেশন করিয়েছেন বাড়িতে ডাক্তার ডেকে নিজে দায়িত্ব নিয়ে!
এবারের হিটসিজনে ওনার প্রীয় 'ভালোবাচ্চা' অন্য পাড়ায় হিরোগিরি দেখাতে গিয়ে আহত হয়ে এসেছে,পূজোর সময় দূর-ছাই হয়েওছে প্রচুর, ফলে যা হয়, ম্যাগট হয়ে গেছিল, উনি এটা দেখামাত্র, ওর যাতে একটু ট্রিটমেন্ট হয় তার জন্য ছুটে বেড়িয়েছেন, সবশেষে আমাদের নম্বর পান আর যোগাযোগ করেন। তারপর? আজকে ৬নম্বর দিন মাত্র ট্রিটমেন্টের। প্রথম দিন যেদিন গেলাম সেদিনের সাথে আজকের আকাশ আর পাতাল তফাত(ছবিসহ সেই রিকভারির গল্পগুলো অন্য পোস্টে দেব), এত স্পিডি রিকভারি আশাতীত, কিন্তু হচ্ছে। ভালোবাচ্চা সুস্থ হচ্ছে।
আজকে ভালোবাচ্চার বাকী সাথীদের ডিওয়ার্মিং হল ভালোবাচ্চার অবশ্য এটা রুটিন ওষুধ খাওয়ার ভিডিও। কিন্তু বাকী যাদের ডিওয়ার্ম করা হল, তাদের ভিডিওও আছে।
আর একটা কথা বলে যাই😁, যদি একটি বাচ্চা ভালো ভাবে ওষুধ খায়, তাহলে সে ভালোবাচ্চা, কিন্তু যদি ৪জন ভালোভাবে ওষুধ খায়, তাহলে যে ওষুধ খাওয়াচ্ছে সেটা তার গুণ😁

একটা অদ্ভুত মনখারাপ কিন্তু আশ্চর্য অভিজ্ঞতা আজকে ভাগ করে নেব সবার সাথেকিছুদিন আগে আমার বাড়িতে ঊর্মির urmi  Banerjee ছানা...
30/09/2022

একটা অদ্ভুত মনখারাপ কিন্তু আশ্চর্য অভিজ্ঞতা আজকে ভাগ করে নেব সবার সাথে

কিছুদিন আগে আমার বাড়িতে ঊর্মির urmi Banerjee ছানা গুঁড়ো স্টেরিলাইজড হতে আসে, ব্লাড টেস্ট করে, সামান্য কিছু চিকিৎসা চলে ফিট হয়ে ওর একটা বড় সার্জারি হয়,তারপরে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ও ফিরে যায় ওর বাড়িতে এই মহালয়ার দিন।
এত শুভ দিনে বাড়ির মেয়ে বাড়ি ফিরছে ভেবে আমরা সবাই খুব খুশী ছিলাম, কিন্তু গুঁড়ো বাড়ি যাওয়া ইস্তক অন্য খেল দেখাতে থাকে, ওর মতন নিপাট ভদ্র আর শান্ত বেড়াল(যে আমাদের বাড়িতে এসে আমাদের একটা দিনের জন্য ফ্যাস করেনি বা আমার বাচ্চাদের মারেনি বা মারতে যায়ওনি) বাড়ি যাওয়ার পর থেকে বাড়ির সকল সদস্য এমনকি মনুষ্য সদস্যদেরও ফ্যাস করতে থাকে, তেড়ে তেড়ে মারতে যাওয়ার মতন করতে থাকে। এবারে, লোকানোর কিছু নেই, আমার বাড়ি এসে বেশীরভাগ বেড়ালই তাদের বাড়িতে ফিরতে চায় না, এই বদনাম আমার আছে, গুঁড়োও প্রথমে বাড়ি যেতে চায়নি, খুব কান্নাকাটি করছিল বাড়ি যাবে না বলে, কিন্তু আমরা বুঝিয়ে সুঝিয়ে ওকে বাড়ি পাঠাই। এবারে বাড়ি গিয়েই ওর ওই মূর্তি দেখে স্বাভাবিকভাবেই ঊর্মিরা খুব ঘাবড়ে যায়, বেচারী যাওয়া উস্তক শুধু কিছু খুঁজতে থাকে চারিদিকে আর ডাকতে থাকে, খুবই ষ্ট্রেসড হয়ে যায়, কিন্তু শুধু এটুকুই নয়, এর পরে গুঁড়ো যেটা করে সেটা আরোও ভয়ানক। ও বাড়ি ছেড়ে বেড়িয়ে যায় এবং খাওয়া পরিত্যাগ করে। এর মধ্যে অনেকবার ওকে ধরে আনা হয় কিন্তু ও যেকোনোও ফাঁকে বারবার করে পালিয়ে যেতে থাকে আর ওর প্রীয় খাবারও খায় না। এর মধ্যেই পূজো শুরু হয়, ঊর্মিদের পাড়াতেও পূজো হয়, আর পূজো জুড়ে মানুষের অসভ্যতার ব্যাপারে আমরা সবাই জানি, আলাদা করে বলার কিছু নেই। আমরা সবাই ভয় পেয়ে যাই এবারে, বিভিন্নরকম প্ল্যানিং করতে থাকি কিভাবে ওকে সেইফ রাখা যায় পূজোর এই ক'দিন।একটা কনক্লুসনেও এসে যাউ বলতে গেলে, কিন্তু,
অবশেষে, কালকে থেকে, এবং আজকে সকাল থেকে পুরোপুরি ভাবে মেয়ে ঘরে ফিরেছে, খাওয়া দাওয়াও ঠিকঠাক করছে। আমরা সকলেই খুব নিশ্চিন্ত এবং এবারে নিজেদের পূজো ঠিকঠাক করে এনজয় করতে পারব৷
এর আগে অনেকেই এক্সট্রিম ভালোবাসা দেখিয়েছে আমাদের প্রতি, মাম্মা ক্যাট Shrestha Chatterjee ওকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার অপরাধে প্রায় আড়াই দিন ঘরে ফেরেনি, মা-বাবার থেকে মুখ ফিরিয়ে ছিল, কিন্তু এই অবধি কেও যায়নি। খুবই ভয়ের এক্সপিরিয়েন্স ছিল আমাদের কাছে পুরোটা৷ ওকে ফেরানো যেত না যদিনা ওর মা ক্যাটফুড কিনে আনত ( গুঁড়ো ক্যাটফুড খায়না বাড়িতে কিছু পেটের সমস্যাজনিত কারণে, কিন্তু আনার বাড়িতে আমার বাচ্চাদের সাথে থাকত বলে ওকে আটকানো যেত না, ও খেতই, যদিও ওর কোনোও রকম সমস্যা হয়নি দেখেই আমরা সেটা এলাউ করেছিলাম,) ওর মা ক্যাটফুড এনে সামান্য ওর ইউসুয়াল খাবারের ওপরে ছড়িয়ে দিতে ও খেয়েছে, ভেবে দেখুন ব্যাপারটা, ক্যাটফুডের নেশা হয়নি কিন্তু, ওটা শুধু ওর সুখস্মৃতির একটা অংশ বহন করে, আর, আরেকটা প্রমাণও পেয়েছি, আজকে সকালে ঊর্মি আমাদের ভিডিও কল করেছিল, গুঁড়োকে দেখাবে বলে, তখন ও শুয়ে ছিল, কিন্তু আমাদের কথায় আমার গলার আওয়াজ পেয়ে ও উঠে বসে আর খুঁজতে থাকে আমাকে, প্রত্যুষা Pratyusa Dey কথা বলতে শুরু করার সাথে সাথে ও আরোও এক্সাইটেড হয়ে যায়, প্রত্যুষা 'আয়,আয়' বলাতে ও ঊর্মির গায়ে উঠে দেখতে চায় আমরা কোথায় আছি বা আওয়াজটা কোথা থেকে আসছে, প্রত্যুষা তা দেখে বলে 'বসো,বসো' শোনামাত্র ও বসে পরে। সত্যি আমরাও চমকে যাই এই দৃশ্য দেখে৷ ফাইনালি ও যখন বুঝতে পারে যে আমরা আসলে নেই ওকাহ্নে তখন ও মন খারাপ করে চলে যায়।
সত্যি, একটা অভিজ্ঞতা হল বটে আমাদের সবার।

*VERY IMPORTANT POST*অনেকেই হয়ত জানেন না, আমরা ক্রেশ বা ট্রিটমেন্ট(নার্সিংহোমের মতন ব্যাবস্থা) করার সাথে সাথে স্টেরিলাইজ...
03/09/2022

*VERY IMPORTANT POST*

অনেকেই হয়ত জানেন না, আমরা ক্রেশ বা ট্রিটমেন্ট(নার্সিংহোমের মতন ব্যাবস্থা) করার সাথে সাথে স্টেরিলাইজেশনও অর্গ্যানাইজ করাই।

★স্টেরিলাইজেশনের ব্যাবস্থাপনা-
১. অপারেশনের ডিউ ডেটের দু'দিন আগে আপনার বাচ্চাকে আমাদের কাছে দিয়ে যাতে হবে।
দু'দিন আগে দিতে হবে যাতে জার্নির প্রাথমিক ধকল ও কাটিয়ে উঠতে পারে, এবং, আমাদের সাথে একটু মিশেও যেতে পারে। একটা অচেনা যায়গায় আসার পর অচেনা মানুষ ও বেড়াল-কুকুর দেখে সকলেরই কম-বেশী ষ্ট্রেস হয়, আমরা যেহেতু শুধু শারীরিক হয়, মানসিক দিকটাকেও সমান গুরুত্ব দিই, তাই আমাদের জন্য এটা এনশিওর করা খুব দরকারী যেন অপারেশনের আগেই ওরা কোনোওরকম ষ্ট্রেসে না থাকে, দু'দিন আমাদের সাথে মিশলে আপনার বাচ্চা বুঝতে পারবে আমরা ওর জন্য সেইফ এবং সার্বিকভাবে ওর ভালো চাই,ওর ক্ষতি করব না, এটা বুঝে গেলে ওরা অনেক ইজি হয়ে যায়। ফলে অপারেশনের আগে ষ্ট্রেসটা কম হয়
২. ডিউ ডেটে অপারেশন হবে
আপনাকে টাইম-টু-টাইম আপডেট দেওয়া হবে
৩. অপারেশনের পরে ৫দিন থেকে ৭দিন পোস্ট অপারেশন কেয়ার হবে।
স্টিচ শুকিয়ে যাওয়ার পর আপনি সুস্থ আর হ্যাপি বাচ্চা নিয়ে বাড়ি যাবেন
৪. এই পুরো প্রসেসটি একটি প্যাকেজের মধ্যে পড়বে।
আপনি শুধু বাচ্চা দিয়ে যাবেন, এবং সুস্থ বাচ্চা নিয়ে যাবেন। তার মধ্যে খাওয়া,ওষুধ বা অন্যান্য কোনোও খরচের জন্য আপনাকে কোনোও এক্সট্রা টাকা খরচ করতে হবে না।

★আমাদের কাছেই করাবেন কেন?
১. আমরা বাচ্চাদের শারীরিক স্বাস্থ্যের সাথে মানসিক স্বাস্থ্যকেও সমান গুরুত্ব দিই
২. কেইজ/খাঁচা ফ্রী একোমোডেশন
৩. হাইজিনিক ও ক্যাটপ্রুফ একোমোডেশন
৪. কোনোও একটি জায়গা বা ঘরে বদ্ধ করে রাখা হয়না। পুরো বাড়িটাই তাদের চারণক্ষেত্র
৫. আমরা নিজেরা বাই প্রফেশন প্যারাভেট। তাই ২৪*৭ মেডিকেল সবরকম সাপোর্ট এভেইলেবেল।
৬. এছাড়া অন কল এবং ওভার ফোন ডাক্তারবাবুর গাইডেন্সের ব্যাবস্থা তো রয়েইছে৷
৭. দিনে দুটো করে ভিডিও দেওয়া হবে।
৮. বাচ্চার ভালো-মন্দের আপডেট দিতে থাকা হবে।

★আমাদের কাছে স্টেরিলাইজেশন করানোর আগে যে ব্যাপারগুলি আপনার জেনে রাখা দরকার-
১. ভ্যাক্সিনেশন এবং ডিওয়ার্মিং করানো না হলে আমরা অপারেশন করাই না
২. ৫০% এমাউন্ট আগে এডভান্স করতে হয়, তারপরেই আমরা ডক্টরের ডেট নিই
৩. ওকে দিয়ে যাওয়া ও নিয়ে যাওয়ার মাঝে(অপারেশন হলে) দেখা করতে আসা যাবে না, এতে ওদের অসুবিধা হয়, এটা আপনাকে বুঝতে হবে।
৪. আপনার বাচ্চা যখন আমার কাছে অপারেশনে আসবে, তখন আমি বেশীরভাগ সময়ে ওর পরিচর্যা ও দেখভালে ব্যাস্ত থাকব, যদি কখনও আপডেট দিতে বা ফোন তুলতে না পারি বা দেরী হয়, প্লিজ একটু আমাদের অবস্থাটা কনসিডার করে সহিষ্ণু হবেন, ফ্রী হওয়া মাত্র আপনার সাথে যোগাযোগ স্থাপন করব
৫. আপনার বাচ্চার সমস্ত মেডিকাল হিষ্ট্রি জানাতে হবে, কিছু গোপন করা চলবে না(আমরা ঠিকই জানতে পারব)
৬. পিক-আপ,ড্রপ ফেসিলিটি এভেইলেবল নেই
৭. লোকেশন - বারাসাত
৮. যেদিন আপনি আমার বাড়িতে বাচ্চা রাখতে আসবেন, সেদিনই বাকী ৫০% পেমেন্ট ক্লিয়ার করে দিতে হবে।
৯. কোনোও কারণে থাকার দিন(প্যাকেজ বহির্ভুত) এক্সটেন্ড করতে হলে সেক্ষেত্রে দিনপ্রতি হিসাবে আলাদা চার্জ করা হবে।
১০. এটি কোনোও এন.জি.ও না।
সম্পূর্ণ প্রাইভেট ফেসিলিটি। প্রাইভেটের মতনই ব্যাবস্থাপনা, এবং খরচটাও এনজিওর থেকে বেশ খানিকটা বেশী-ই।

সবশেষে আবারও বলব, প্লিজ কেও আগেই টাকার অংক শুনেই কম্পেয়ার করবেন না, প্লিজ সার্ভিস এবং ব্যাবস্থাপনার কথাটাও মাথায় রাখবেন।
প্রয়োজনে রিভিউ দেখবেন যারা আগে করিয়েছেন আমাদের থেকে অপারেশন তাদের কাছে, ক'টা টাকার মূল্য ভীষণ এই দুর্মূল্যের বাজারে, জানি, কিন্তু আমাদের বাচ্চার ভালো থাকাটাও তো সমান গুরুত্বপূর্ণ, তাই না?

বি.দ্র- গুলকান্দ এই ক'দিন আগেই আমাদের কাছ থেকে গেল, এখন সে মহানন্দে নেচে কুঁদে বেড়াচ্ছে, স্টিচের দাগও সম্পূর্ণ মিশে গেছে। ৫দিনেই একদম স্টিচ শুকিয়ে গেছিল।❤️
রিভিউওয়ের জন্য কমেন্টবক্স চেক করুন

"লোকে যখন বলে তাদের 'বাড়ির পাশের' ক্রেশে ৩০/দিন নেয়, আমি ৩০০/দিন কেন নিচ্ছি"-অবলা জীবদের নিয়ে ব্যাবসা শুরু করেছি-ওইটুকু ...
21/08/2022

"লোকে যখন বলে তাদের 'বাড়ির পাশের' ক্রেশে ৩০/দিন নেয়, আমি ৩০০/দিন কেন নিচ্ছি"
-অবলা জীবদের নিয়ে ব্যাবসা শুরু করেছি
-ওইটুকু বাচ্চা কতটুকুই বা খায়🙂

লে ৩০টাকার সার্ভিস-

বি.দ্র- আপনি যদি ৩০০০ টাকার কেকটি ৩০০টাকায় চান, তাহলে ডানদিকের কেকটি পাওয়ার পর জানবেন আপনি সেটাই পেয়েছেন যেটি আপনি ডিসার্ভ করেন, এবং যে জিনিসটির জন্য আপনি পে করেছেন, আপনি ঠিক তাইই পেয়েছেন, আপনাকে ঠকানো হয়নি।
ডানদিকের কেকটি পাওয়ার পর আপনার মন খারাপ হবে, এবং একটা স্পেশাল দিন একেবারে নষ্ট হয়ে যাব, তাইনা? আপনি এই অপমান ভুলতে পারবেন না এবং এই ঘটনার ছাপ আপনার মনে অনেকদিন থেকে যাবে? কি? তাইতো?
তাহলে ভাবুন তো, একটি বেড়াল বা কুকুর, যাদের প্রাণ আছে, যারা সবকিছু বোঝে,ফিল করে,আপনাকে চোখ বন্ধ করে ভরসা করে, তাদের যখন আপনি ৩০টাকা/দিনের ক্রেশে দিয়ে আসেন এবং তারা তাদের খাঁচায় পুরে রেখে দেয়, ঠিকঠাক খেতে দেয়না বা খাঁচা পরিচ্ছন্ন করে না, তখন তাদের কি অবস্থা হয়! তারা কি পরিমাণ মানসিক ট্রমার মধ্যে দিয়ে যায়, ভাবতে পারছেন! ভাবতে পারছেন, তারা ওইক'টি দিন খাঁচায় কাঁদে আর ভাবে যাদের ওপরে তারা চোখ বন্ধ করে ভরসা করল, তারা তাদের ঠকিয়ে দিল! তারা তাদের নরকে দিয়ে গেল! কয়েকজন সারাজীবনেও এই ট্রমা কাটিয়ে উঠতে পারে না।সারাটা জীবন তাদের অভিশপ্ত হয়ে যায়
যদি আমরা নিজেরা ঘুরতে গিয়ে, শুধু মাথার ছাদের জন্য(হোটেল রুম) ১০০০-১৫০০-২০০০টাকা অবলীলায় দিতে পারি, তাহলে আমাদের সন্তানসম পোষ্যদের ক্ষেত্রে কেন এইরকম ধারনা পোষণ করি? কেন তখন আমাদের মনে হয়, "ও কতটুকুই বা খায়, কেন দেব এত টাকা?!"
প্লিজ এরকম মা-বাবা হবেন না। আপনারা নিজেরা যখন ঘুরতে যাচ্ছেন, তখন ওকেও এমন একটি জায়গায় ক্রেশে দিয়ে যান, যেখানে ওও নিজের মতন করে ভ্যাকেশন কাটাতে পারবে,
যারা ওকে শারীরিক ভাবে তো বটেই,ওর সেইসময়কার মানসিক অবস্থা বুঝে ওর প্রতি সহমর্মি ও মানবিক হয়ে ওর মা-বাবা-পরিবার ছেড়ে থাকার দুঃখ কিছুটা ভুলিয়ে ওর সেই সময়টাকে সুখের স্মৃতিতে পরিবর্তন করে দিতে পারে।
দয়া করে, ক্রেশে দেওয়ার আগে ক্রেশের রিভিউ শুনুন, জানুন। আর প্রতিটি ক্রেশের নিজস্ব কিছু নিয়ম থাকে, সেগুলো তাদের সাথে আগেই আলোচনা করে নেবেন, ভবিষ্যতের কোনোও অনভিপ্রেত অভিজ্ঞতা এড়াতে

ধন্যবাদ

এইরকম একটা পোস্ট কখনও করতে হবে ভাবিনি, কিন্তু কিছু মানুষের ক্রমাগত করা নোংরামি এই পোস্ট করতেও আজ বাধ্য করল।অনিন্দিতা-দির...
20/08/2022

এইরকম একটা পোস্ট কখনও করতে হবে ভাবিনি, কিন্তু কিছু মানুষের ক্রমাগত করা নোংরামি এই পোস্ট করতেও আজ বাধ্য করল।

অনিন্দিতা-দির সাথে ছবিতে দেখতে পাওয়া বেড়াল ছানাটিকে( আমরা নাম দিয়েছিলাম লম্বকর্ন) দিদি আমাদের কাছে ক্রেশে রাখতে দেন ৬আগষ্ট রাতে, উদ্দেশ্য, বাচ্চাটিকে রেখে ডিওয়ার্ম,ভ্যাক্সিন, ডি-ফ্লিয়া ইত্যাদি করাতে হবে এবং ওকে এডপশনে দেওয়ার আগে একটা সুস্থ যাপনে অভ্যস্ত করিয়ে বেসিক ট্রেনিং দেওয়া আর সেইফ রাখা। আমরা নিজেদের কাজের ব্যাপারে কনফিডেন্ট এবং সিরিয়াস, তাই আমরা নিজেদের দেওয়া কথামতন সমস্ত প্রমিস পালন করি। এবং, অনিন্দিতা দি-ও আমাদের ক্রেশের যা চার্জ (ওনার কাছে আমরা ৩০০/দিন নিয়েছিলাম, এমনিতে আমাদের দিনপ্রতি ক্রেশিং-এর চার্জ ৩৫০) তা আমাদের দিয়ে দেন(শুধু ৬আগষ্ট রাতে এসেছিল বলে ওইদিনের হাফডে চার্জ নেওয়া হয়, বাকী ১৪দিনের ফুলডে পেমেন্ট নেওয়া হয়েছে)।
এছাড়া ডিওয়ার্মিং ট্যাবলেট,ডিফ্লিয়া মেডিসিন, ভ্যাস্কিন, এছাড়াও, ওর জন্য হজম,গ্যাস এবং লিভার টনিক ইত্যাদি অনিন্দিতা দি নিজেই আমাদের কিনে এনে দেন, ওর জন্য, আমরা সেই জিনিসগুলো প্রতিটি নিয়ম মেনে ওকে দিই। এবং বাচ্চাটি আমার বাড়ি থেকে সম্পূর্ণ সুস্থাবস্থায় আজকে দিদির সাথে ফিরে গেছে ওর সারাজীবনের বাড়ির উদ্দেশ্যে(হয়ত)

কিন্তু, এরই মাঝে কিছু নতুন সমস্যা দেখা দেয়, যিনি লম্বুকে এডপ্ট করবেন বলে কথা দিয়েছিলেন, তিনি বেঁকে বসেন, কারণ হিসাবে তিনি কিছু অদ্ভুত কথাও বলেন, যেটি একজন পেট পেরেন্ট হিসাবে আমার অদ্ভুত লেগেছে, এখানে আমি আবারও একটি কথা জোরে এবং ক্লিয়ারলি বলতে চাই, "একজন পেট পেরেন্ট হিসাবেই আমার অদ্ভুত লেগেছে"।
আজকে যারা যারা এই পোস্টটা পড়বেন, তাদের প্রত্যেককে আমি একটি কথা বলতে চাই, স্পষ্টভাবে, একটি বেড়াল বাড়িতে আনার আগে, এবং বিশেষ করে যদি আপনি সেই বেড়ালটিকে কারোর কাছ থেকে এডপশনে নিতে চান, তাহলে আপনাকে একটা লম্বা প্রসিডিওরের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে, যেতেই হবে। কারণ, আমরা যখন একটি বাচ্চাকে(হ্যা, আমাদের কাছে বাচ্চাই) দায়িত্ব নিয়ে কারোর হাতে তুলে দিই, সেখানে আমাদেরও একটা সাংঘাতিক দায় এবং চিন্তা থেকে যায় তার প্রতি, আমাদের একটা এশিওর করতেই হয়, যেন বাচ্চাটি কোনোওভাবেই আপনার বাড়ি থেকে বা হাত থেকে ছুটে পালিয়ে বা বেড়িয়ে না যায়, যাতে তার সময় মতন ডিওয়ার্মিং,ভ্যাক্সিন আর স্টেরিলাইজেশন হয়, সে যেন হাইজিনিক ভাবে একটি সুষ্ঠ জীবন যাপন করতে পারে, এবং সর্বপরি তার মানসিক স্বাস্থ্য যেন কোনোওভাবেই কম্প্রোমাইজড না হয়, এবং যদি এই কোনো একটি জিনিস মেইনটেইন না হওয়ার জন্য বাচ্চাটির একটুও অসুবিধা বা ক্ষতি হয়, তাহলে আপনার সাথে আমরাও কিন্তু একই দোষের দোষি হয়ে যাই, এবং তার আপরাধবোধ আমাদের কুড়ে কুড়ে খায়, আশা করি সমাজের সভ্য ও সুশিক্ষিত মানুষ হিসাবে আপনারা আমাদের এইটুকু কনসার্ণটা বুঝবেন এবং এই ব্যাপারে অন্তত একমত হবেন? এটুকু আশা করাটা মোটেই বাড়াবাড়ি নয়, আশা করি? তাহলে কেন এখন এতরকম নোংরা পলিটিক্স?
আসল যে কথাটা, মানে এই বাচ্ছাটিকে এই ফরএভার হোমের ব্যাবস্থা করে দেওয়া, সেই ব্যাপারে তো কোনোও কথাই হচ্ছে না?

আমরা আমাদের ১৫দিনের ক্রেশিং-এর চার্জ পেয়ে গেছি। এতে কোনোও সন্দেহ নেই, প্রমাণস্বরূপ স্ক্রিনশট দিলাম।
আর এই চার্জটা খুবই বেসিক ও মিনিমাল আমাদের সার্ভিস হিসাবে, "এত চার্জ কেন?" "ব্যাবসা হচ্ছে" এসব বা*ল*খি*ল্য কথার উত্তর দেওয়ার প্রয়োজনোও বোধ করছি না, কারণ প্রশ্নগুলোই হাস্যকর।

আর একটি কথা, আমাদের কিন্তু শুধুই 'ক্রেশের ব্যাবসা' নেই, আমরা কিন্তু প্রফেশনালি প্যারাভেট (হ্যা, কনসাল্টেশন চার্জ নিই, খুব স্বাভাবিক ভাবেই), তাই বাচ্চাটিকে ডিফ্লিয়া বা ভ্যাক্সিন ইত্যাদি করার আগে অবশ্যই যা যা চেক করার, যেমন- ওর বয়স,টেম্পারেচার ইত্যাদি সব চেক করে নিয়েই আমরা সেগুলো দিয়েছি, তাই এইনিয়ে কোনোওধরনের প্রশ্ন বা অভিযোগ যদি থাকে, আগে আমাদের থেকে পুরো বিষয়টা জানুন।
ধন্যবাদ

Address

Kolkata

Telephone

8240201443

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Furry kid's kindergarten posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Furry kid's kindergarten:

Videos

Share

Category


Other Pet Services in Kolkata

Show All