আমেরিকান ডেইরী লিমিটেড কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র গজালিয়া।

  • Home
  • Bangladesh
  • Bagerhat
  • আমেরিকান ডেইরী লিমিটেড কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র গজালিয়া।

আমেরিকান ডেইরী লিমিটেড কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র গজালিয়া। Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from আমেরিকান ডেইরী লিমিটেড কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র গজালিয়া।, Gozalia, Kachua, Bagerhat.
(1)

Cows and goats and buffaloes are artificially bred with 100% Elite Friesian, Sahiwal, Mirkadim, Pabna Breed, Murra, Jamunapari, Black Bengal breeds of high-quality frozen semen produced by ADL.

10/04/2024

ঈদ মুবারাক🌙
তাক্বাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম।
😍🥰🎆😍💞

15/02/2024

এই হলো বাস্তব অবস্থা, অধিকাংশ ডিএলও অফিসেও বর্তমানে প্যাথলজি সেবা পাওয়া যায় না। ইউএলও অফিসতো দূরের কথা। আর কিছু শকুন আছে নিজেরা চেয়ার নিয়ে বইসা বইসা দালালি করে, আর খোড় দের কাছে আকাশ ছোঁয়া দামে বিক্রি করে। সাধারণ খামারি ফকির তো ফকিরই রয়ে যায়।
https://www.facebook.com/somoynational/videos/695754262764599/?mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v

05/10/2022

অনেকে মনে করেন দেশের পশুর দাম হাওয়া হয়ে দৃদ্ধি পায়, আর আমদানি করা পশু একেবারে মাগনা।🤮 পরিশেষে দেখা গেলো মানুষ হোটেল রেস্টুরেন্টগুলোতে খেতে যায় গুরুর মাংস আর খেয়ে আসে পচা গলা মহিষের প্রিমিয়াম বীফ 🤮😁।

✨✨✨ঈদ মোবারক ✨✨✨সবাইকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা ♥️
09/07/2022

✨✨✨ঈদ মোবারক ✨✨✨
সবাইকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা ♥️

সিলেট বিভাগ সহ এর আশেপাশে বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে মানুষের পরে সব থেকে কঠিন পরিস্থিতে আছে পশু প্রাণী সমূহ। মানুষের জন্য হয...
19/06/2022

সিলেট বিভাগ সহ এর আশেপাশে বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে মানুষের পরে সব থেকে কঠিন পরিস্থিতে আছে পশু প্রাণী সমূহ। মানুষের জন্য হয়তো সাহায্য কিংবা উদ্ধারের তৎপরতা সব থেকে বেশি, তবে পশুদের ক্ষেত্রে তেমনটা দেখা যায় না। অনেক জায়গায় অনেক গবাদি পশু মারাও গিয়েছে, যা হয়তো ছিলো ওই খামারির শেষ সম্বল। বন্যা এবং বন্যা পরবর্তীতে পশুদের খাদ্যের চরম সংকট দেখা যায়। এমন কঠিন অবস্থায় গভাদিপশুর জীবন বাঁচাতে পারে আশেপাশের কলা গাছ। যার পাতা এবং সম্পূর্ণ গাছকে ছোট ছোট করে খাদ্য হিসেবে প্রদান করা যায়। তাছাড়া আশেপাশের অন্য গাছের পাতাও খাদ্য হিসেবে ব্যাবহার করা যায়। 🐄🐂🐃🐏🐑🐐

গরুর জাত উন্নয়নে কৃত্রিম প্রজননের গুরুত্ব, সমস্যা ও প্রতিকার।কৃত্রিম প্রজননের গুরুত্ব*বর্তমানে সারা বিশ্বে গবাদিপশুর জাত...
29/05/2022

গরুর জাত উন্নয়নে কৃত্রিম প্রজননের গুরুত্ব, সমস্যা ও প্রতিকার।

কৃত্রিম প্রজননের গুরুত্ব*
বর্তমানে সারা বিশ্বে গবাদিপশুর জাত উন্নয়নের জন্য যেসব পদ্ধতি আছে তার মধ্যে কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতি বহুলভাবে প্রচলিত। গবাদিপশুর জাত উন্নয়ন ছাড়া তার উৎপাদন বৃদ্ধি ও গুণগতমান পরিবর্তন করা সম্ভব হয় না। বংশগত কারণে গাভী নির্দিষ্ট মাত্রায় দুধ উৎপাদন করে । শুধুমাত্র খাদ্য ব্যবস্থা উন্নয়নের মাধ্যমে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করা সম্ভব হয় না। বেশি উৎপাদশীল জাতের ষাঁড়ের বীজ সংগ্রহ করে গাভীকে প্রজনন করা হলে উন্নত গুণাবলী তার বাচ্চার দেহে সঞ্চারিত হয়। উন্নত দেশ থেকে ষাঁড়ের পরিবর্তে উন্নত জাতের ষাঁড়ের বীজ সংগ্রহ করে এদেশে গবাদিপশুর জাত উন্নয়ন করার একমাত্র মাধ্যম কৃত্রিম প্রজনন। বর্তমানে আমদের দেশেও এ পদ্ধতি চালু আছে। গৃহপালিত পশুর ওপর মানুষের নির্ভরশীলতার ইতিহাস অতি প্রাচীন হলেও পশুর জাত উন্নয়ন ও উৎপাদনশীলতার ইতিহাস খুব প্রাচীন নয়। সর্ব প্রথম আরব দেশে ঘোড়ায় কৃত্রিম প্রজননের সূত্রপাত হয়। ইটালীর একজন বিজ্ঞানী ল্যাজানো স্প্যালানজানী সফল কৃত্রিম প্রজননের আবিস্কারক। এ দেশে গাভীর জাত উন্নয়নের জন্য ১৯৩৬ সালে বৃটিশ ভারতের ভাইসরয় লর্ড লিনলিথগো উত্তর পশ্চিম ভারতীয় অঞ্চল থেকে কিছু হারিয়ানা ষাঁড় সংগ্রহ করে পাবনা, সিরাজগঞ্জ, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, রাজবাড়ী, ঢাকা অঞ্চলে কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করেছিলেন। ত্রিশের দশকে সিলেটের টিলাগড় এবং তেজগাঁয়ে শাহিওয়াল, সিন্ধি ও থারপারকার জাতের গাভী ও ষাঁড় দ্বারা ২টি দুগ্ধ খামার স্থাপিত হয়। তখন থেকেই বাংলাদেশে গবাদিপশুর জাত উন্নয়নের সূচনা হয়। বাংলাদেশে ১৯৫৮ সালে ৩টি উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে কৃত্রিম প্রজনন কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়ঃ
* উন্নত মানের যাঁড়ের পরিপূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ।
* যৌন রোগের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ।
* সহজ উপায়ে গবাদিপশুর জাত উন্নয়ন করা ।

কৃত্রিম প্রজননের সুবিধা
* একটি ষাঁড় থেকে একবার সংগৃহীত বীজ দ্বারা ২০০-৬০০টি গাভীকে প্রজনন করানো যায়। ফলে ষাঁড়ের ব্যবহারযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়। একটি ষাঁড়ের সারা জীবনের সংগৃহীত বীজ দ্বারা এক লক্ষ থেকে দেড় লক্ষ গাভীকে প্রজনন করানো সম্ভব।
* অত্যন্ত দক্ষতার সাথে উন্নত জাতের ষাঁড় নির্বাচন করা যায়।
* উন্নত জাতের ষাঁড়ের বীজ দ্বারা অতি দ্রুত এবং ব্যাপকভিত্তিতে উন্নত জাতের গবাদিপশু উৎপাদন করা সম্ভব।
* এ পদ্ধতিতে শুক্রাণুর গুণাগুণ পরীক্ষা করা হয়।
* নির্বাচিত ষাঁড়ের বীজ দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায় এবং প্রয়োজনমত যে কোনো সময় ব্যবহার করা যায়।
* ভিন্ন ভিন্ন জাতের গবাদিপশুর মধ্যে প্রজনন ঘটিয়ে সংকর জাত সৃষ্টি করা যায়।
* প্রয়োজন হলে বিদেশ থেকে উন্নত জাতের ষাঁড়ের পরিবর্তে অল্প খরচে ষাঁড়ের বীজ আমদানি করা যায়।
* অনুন্নত ষাঁড় এবং অপ্রয়োজনীয় ষাঁড় বাতিল করতে সুবিধা হয়।
* ষাঁড়ের জন্মগত ও বংশগত রোগ বিস্তার প্রতিরোধ করা য়ায়।
* প্রজনন কাজে ব্যবহারের জন্য বাড়তি ষাঁড় পালনের প্রয়োজন হয় না।
* যে কোনো সময় যে কোনো স্থানে কৃত্রিম প্রজনন করা যায়।
* কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতিতে কম খরচে অনেক বেশি গাভীকে পাল দেয়া যায়।
* যৌন রোগের সংক্রমণ রোধ করা যায়। প্রাকৃতিক উপায়ে প্রজননের সময় বিভিন্ন যৌন রোগ যেমন- ব্রুসেলোসিস, ভিব্রিওসিস, ট্রাইকোমনিয়াসিস, ইত্যাদি মারাত্মক রোগসমূহ ষাঁড়ের মাধ্যমে আক্রান্ত গাভী থেকে অন্যান্য গাভীর মধ্যে সংক্রামিত হতে পারে।
* গাভীর জন্মগত ত্রুটি কিংবা রোগ-ব্যাধি থাকলে তা নির্ণয় করা সম্ভব ও সহজ হয়।
* প্রজনন ক্রিয়ায় অক্ষম ষাঁড় থেকে বীজ সংগ্রহ করে তা ব্যবহার করা যায়।
* ষাঁড় ও গাভীর দৈহিক অসামঞ্জস্যতার কারণে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে প্রজননের সম্ভাব্য দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।
* যে সমস্ত গাভী ষাঁড়কে ওপরে উঠতে দেয়া পছন্দ করে না সে সমস্ত গাভীকে কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতিতে পাল দেয়া যায়।
* উন্নত পালন পদ্ধতি অনুসরণ করে সঠিক পরিসংখ্যান রাখা যায়।

কৃত্রিম প্রজননের সীমাবদ্ধতা
=> সুষ্ঠুভাবে প্রজনন করানো, বীজ সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও ব্যবহারের জন্য দক্ষ জনশক্তির প্রয়োজন হয়।
=> গাভীর উত্তেজনা কাল সুষ্ঠুভাবে নির্ণয় করতে হয়।
=> প্রজননের জন্য রক্ষিত ষাঁড়ের বিশেষ পরিচর্যার প্রয়োজন হয়।
=> ষাঁড় যাতে যে কোনো ধরনের যৌন রোগ থেকে মুক্ত থাকে সে দিকে বিশেষ নজর রাখতে হয়।
=> গর্ভবতী গাভীকে ভুলক্রমে জরায়ুর গভীরে প্রজনন করালে গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
=> কৃত্রিম প্রজননের জন্য ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির মূল্য তুলনামূলকভাবে বেশি।
=> কৃত্রিম প্রজনন কাজের সহায়ক গবেষণাগারের প্রয়োজন হয়।

কৃত্রিম প্রজননের নিয়মাবলী
=> ডাকে আসা বা গরম হওয়া গাভী/বকনাকে ট্রাবিস বা খাঁচার মধ্যে আবদ্ধ করতে হবে।
=> গাভী/বকনার যোনীদ্বার ও পার্শ্ববর্তী স্থান পরিষ্কার করতে হয়।
=> হাতে হ্যান্ড গ্লাভস্ পরতে হবে।
=> গ্লাভস পরা হাত গাভীর মলদ্বারের ভেতর প্রবেশ করাতে হবে।
=> মলদ্বারে হাত ঢুকিয়ে যোনীপথ ও জরায়ুগ্রীবা খোলা কিনা সনাক্ত করতে হবে।
=> যোনীপথের ওপরের দেয়াল বরাবর অন্য হাত দ্বারা “এআই গান” প্রজনন অঙ্গে প্রবেশ করাতে হবে। যোনীপথের নীচেই মূত্রনালীর মুখ দিয়ে যেন এআই গান না ঢুকে সেদিকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
=> মলদ্বারে প্রবিষ্ট হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল জরায়ুগ্রীবা বা সার্ভিক্সের মুখে রাখতে হয় এবং এই গানসহ অন্য হাত জরায়ু গ্রীবার খোলা মুখ দিকে ঢুকাতে হয়। এআই গান জরায়ু গ্রীবার (সার্ভিক্সের) মধ্যে সহজভাবে প্রবেশ করলে বুঝতে হবে তৃতীয় রিং পার হয়েছে। এ সময়ে এআই গান পেছনে টেনে তৃতীয় রিংয়ের মাথায় স্থাপন করতে হয়। এরপর আস্তে আস্তে পিস্টনে চাপ দিয়ে বীজ তৃতীয় রিংয়ের ভেতর প্রবেশ করাতে হয়।
* কোনো ক্রমেই পিস্টনে জোরে চাপ প্রয়োগ করা উচিত নয়।
* জরায়ু শিং এ বা খুব গভীবে প্রবেশ করানো হলে গর্ভধারণের হার কমে যায়।
* বীজ প্রবেশ করানোর পর পিস্টনের ওপর চাপ রেখে এআই গান বের করে আনতে হবে।
* এআই গান থেকে এআই সীথ আলাদা করতে হবে এবং সিমেন স্ট্র বের করে ফেলতে হবে।
* স্ট্র বের করার পর স্ট্র-এর গায়ে লেখা তথ্যাবলী এআই কার্ডে লিখতে হবে এবং সংরক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে।
* পুনরায় প্রজনন করার পূর্বে এআই গান ও হ্যান্ড গ্ল­াভস্ পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে।

কৃত্রিম প্রজনন ফলপ্রসূ না হওয়ার কারণ
দ্রুত জাত উন্নয়নে কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতির বিকল্প নেই। ভালো জাতের বাছুর পাওয়ার বাসনা থেকেই কৃষক/খামারীদের মাঝে কৃত্রিম প্রজনন এতো জনপ্রিয়তা পেয়েছে এবং মাঠপর্যায়ে এটা সম্প্রসারিত হয়েছে। তবে কৃত্রিম প্রজননের ক্ষেত্রে একই বকনা / গাভীকে বার বার প্রজনন করানোর মতো সমস্যাও হয়। দেখা গেছে, কৃত্রিম প্রজননের চেয়ে প্রাকৃতিক প্রজননের ক্ষেত্রে পুনরায় প্রজনন করার হার কম এবং গর্ভধারণের হারও বেশি। বর্তমানে মাঠপর্যায়ে কৃষক / খামারীগণ এক বা দু’বার কৃত্রিম প্রজননে ভালো ফল না পেয়ে প্রাকৃতিক প্রজনন করে সফল হচ্ছেন। ফলে আমাদের দেশের গবাদিপশুর জাত উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। কৃত্রিম প্রজননে অনেক সময় গর্ভধারণের হার কম হওয়ার কারণসমূহ নিম্নে সংক্ষেপে আলোচনা করা করা হলো।

প্রধানত ৫ টি কারণে গাভী গর্ভধারণ করে না। সেগুলো হলঃ

১। বীজের গুণাবলী (Semen quality)ঃ বীজ ভালো না হলে যেমন ক্ষেতে ফসল ভালো হয় না তেমনি বীজ ভালো না হলে বাচ্চা উৎপাদনের হারও তেমন ভালো হয় না।
* মৃত শুক্রাণুযুক্ত বীজ ব্যবহার।
* দুর্বল শুক্রাণুযুক্ত বীজ ব্যবহার।
* স্ট্র বা বীজ ভায়ালের মধ্যে প্রয়োজনের তুলনায় শুক্রাণুর সংখ্যা কম থাকা।
* বীজের পরিমাণ কম দেয়া।
* অনুর্বর ষাঁড়ের বীজ ব্যবহার।
* বীজ পরীক্ষা না করে ব্যবহার।
* জীবাণু দ্বারা শুক্রাণু সংক্রামিত হওয়া।
* বীজের গুণগতমান সঠিক না থাকা।
২। সিমেন স্ট্র/ ভায়াল
* ত্রুটিপূর্র্ণভাবে স্ট্র বা ভায়াল পরিবহন।
* ত্রুটিপূর্ণভাবে স্ট্র / ভায়াল সংরক্ষণ
* ক্রটিপূর্ণভাবে সিমেন ক্যান থেকে স্ট্র বের করা।
* সিমেন ক্যানে লিকুইড নাইট্রোজেনের পরিমাণ কমে যাওয়া।
* সিমেন ক্যানের ঢাকনির সাথে সংলগ্ন­ লাল সিলের ত্রুটি।
* হিমায়িত বীজ ত্রুটিপূর্ণ পদ্ধতিতে গলানো (thawing)।
* তরল বীজ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ফ্রিজে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ না থাকা।

৩। প্রজননকারী
* প্রজননকারীর অনভিজ্ঞতা।
* ত্রুটিপূর্ণ ও অদক্ষভাবে প্রজনন করা।
* প্রজনন অঙ্গের ভেতর ভুল স্থানে শুক্রাণু স্থাপন।
* গাভীর ইস্ট্রাস বিষয়ে ভুল ধারণা।
* প্রজননের পর গাভীকে বিশ্রাম না দেয়া।

৪। গাভী
=> গাভী সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়া।
=> যৌন রোগে আক্রান্ত হওয়া।
=> জননাঙ্গে যে কোনো প্রকারের প্রদাহ থাকা।
=> অনিয়মিত ঋতুচক্র।
=> পুনঃপুনঃ গরম হওয়া ও গরম হওয়ার ভ্রান্ত লক্ষণ প্রকাশ পাওয়া।
=> হরমোন নিঃসরণের অভাব।
=> হরমোন নিঃসরণে ভারসাম্যহীনতা।
=> অপ্রকাশিত/নীরব ইস্ট্রাস (গরম হওয়া)।
=> অধিক বয়স।
=> পুষ্টির অভাব।

৫। প্রজননের সময়
=> বকনা / গাভী ডাকে আসার ১২-১৮ ঘন্টার মধ্যে প্রজনন না করা।
=> ত্রুটিপূর্ণ গরমের লক্ষণ চিহ্নিত করা।
=> প্রজনন ব্যবস্থাপনা পালন না করা।
=> সকালে গরম হলে সকালেই প্রজনন করানো।
=> বিকালে গরম হলে ওই দিন বিকালেই প্রজনন করানো।
=> প্রজননের জন্য উপযুক্ত সময় না মানা।
বর্ণিত ৫টি কারণে বকনা বা গাভী গরম হওয়ার পর প্রজনন করালেও গর্ভধারণে ব্যর্থ হয়। এছাড়া আরো অনেক কারণ আছে যে কারণে কৃত্রিম প্রজনন ফলপ্রসু হয় না। তবে বীজের গুণাবলী, সিমেন স্ট্র বা ভায়াল, প্রজননকারী ও গাভীর যেসব ত্রুটির কথা বলা হয়েছে তা যথাযথভাবে সমাধান করা হলে গর্ভধারণের হার বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। কারণ হলো-শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর যৌথ মিলনে জাইগোট তৈরি হয় যা হয়ে থাকে স্ত্রী প্রজননতন্ত্রের ফেলোপিয়ন টিউবের ৪টি অংশের একটি নির্দিষ্ট অংশে। অর্থাৎ জাইগোট তৈরি হয় গাভীর এম্পুলা বা এম্পুলো ইস্তমাস জাংশনে। আর বকনা বা গাভীর ডিম্বাণুক্ষরণ হয় গরম হওয়ার ৮-১০ ঘন্টা পর এবং তা বেঁচে থাকে মাত্র ৮-১২ ঘন্টা। অপরপক্ষে জরায়ুর পরিবেশ ভালো থাকলে শুক্রাণু ২৪-৪৮ ঘন্টা বেঁচে থাকে। আবার ফেলোপিয়ান টিউবের নির্দিষ্ট স্থানে ডিম্বাণুর ভেতর প্রবেশ করতে শুক্রাণুর ক্যাপাসিটাইজেশন প্রয়োজন। ডিম্বাণু ও শুক্রাণু যাতে সঠিক সময়ে নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছাতে পারে এ জন্য সঠিক সময়ে প্রজনন করতে হয়।

প্রতিকার
উপরোক্ত সমস্যাসমূহ প্রতিকারে যা করণীয় তা নিম্নে দেয়া হলোঃ
* বীজের গুণাগুণ আন্তর্জাতিক মানের হতে হবে। বীজের ভেতর শুক্রাণুর মটিলিটি, পরিমাণ, সংখ্যা, ইত্যাদি সঠিক হতে হবে। সে জন্য প্রজননের ষাঁড় বাঁছাই ও ছাটাই পদ্ধতি প্রজনন মানের (Estimated breeding value) ভিত্তিতে করা উচিত।
* বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ, পরিবহন এবং যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা এবং এদের মান ঠিক আছে কিনা তা প্রতিনিয়ত পরিদর্শন করা উচিত।
* তরলীকৃত বীজ পরিবহনে অসুবিধার ক্ষেত্রে তার পরিবর্তে তরল নাইট্রোজেন স্ট্র (Straw) সিমেন পদ্ধতিকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
* কৃত্রিম প্রজনন করার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিকে অবশ্যই প্রজনন করার পূর্বে বীজের গুণগত মান ঠিক আছে কিনা তা পরীক্ষা করে নেয়া প্রয়োজন।
* কৃত্রিম প্রজননে ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবস্থা অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
* প্রজননক্ষম বকনা বা গাভী হতে হবে সকল রোগ থেকে মুক্ত এবং প্রজননতন্ত্র হতে হবে জীবাণুমুক্ত এবং ত্রুটিমুক্ত।
* হিট বা গরমের সময় সঠিকভাবে নির্ণয় করে ডাক আসার ১২-১৮ ঘন্টার মধ্যে প্রজননের ব্যবস্থা করতে হবে।
* কৃত্রিম প্রজনন এবং এর মাধ্যমে গাভীর ঊর্বরতা বৃদ্ধির অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সুবিধা প্রয়োগের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক কৃত্রিম প্রজনন সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার জন্য প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগযোগ করা প্রয়োজন।
পরিশেষে বলা যায়, কৃত্রিম প্রজনন ব্যবস্থা আমাদের মত দেশে গাভীর জাত উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। তাই তো শহর ও শহরতলী এমনকি গ্রামাঞ্চলে চোখ মেললেই দেখা যায় দেশী গরুর পাশাপাশি সাদা-কালো গায়ে ছাপ অথবা ফিকে লাল রং এর বড় আকারের সংকর জাতের গরু। আবার কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে জাত উন্নয়নের ফলেই চোখে পড়ে মিল্কভিটা, প্রাণ, আড়ং, ফ্রেশ ডেইরীর বড় বড় কুল ভ্যান /লরী। কৃত্রিম প্রজননের কিছুটা সুফল পাওয়ার কারণে ১৬ কোটি লোকের প্রোটিনের ঘাটতি একটু একটু করে কমে আসছে এবং গড়ে উঠেছে ছোট ছোট সংকর জাতের ডেইরী খামার। এসব খামার গড়ে ওঠার কারণে অনেক লোকের কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবার ব্যবস্থা হয়েছে। যদি সরকার এ খাতে আর একটু নজর দেন তাহলে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার দুধ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে না। দুধ ও মাংসের চাহিদা মেটাতে পারলে জাতি মেধাসম্পন্ন হয়ে ওঠার সুযোগ পাবে এবং উন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে।

ড. মোঃ জালাল উদ্দিন সরদার
অধ্যাপক
এনিমেল হাজবেন্ড্রী এন্ড ভেটেরিনারি সায়েন্স বিভাগ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

সভাপতি
বাংলাদেশ লাইভস্টক সোসাইটি।
#আমেরিকান_ডেইরী_লিমিটেড #হলিস্টাইন_ফ্রিজিয়ান #ফ্রিজিয়ান #ফ্রিজিয়ান_গরু #লাল_সাদা_গরু #দুধের_গাভী #ব্রাহমা #লালগরু #ফ্লেকভি #বড়গরু #দুধের_গরু #লালগরু #কৃত্রিম_প্রজনন_কেন্দ্র #গজালিয়া 🐂🐂🐂🧬

ঈদ মোবারক।সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা। 🌙🌙আমেরিকান ডেইরী লিমিটেড কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র গজালিয়া।
02/05/2022

ঈদ মোবারক।
সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা। 🌙🌙
আমেরিকান ডেইরী লিমিটেড কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র গজালিয়া।

'আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল এবং সুদকে হারাম করেছেন। ' (সুরা বাকারা : ২৭৫)
29/04/2022

'আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল এবং সুদকে হারাম করেছেন। ' (সুরা বাকারা : ২৭৫)

সকল প্রকার দ্রব্য পণ্যের সাথে সাথে পশু খাদ্যের মূল্যও বেড়েছে, তবে তা স্বাভাবিক পণ্যের থেকে বেশ কয়েক গুণ। গবাদি পশু পাল...
17/04/2022

সকল প্রকার দ্রব্য পণ্যের সাথে সাথে পশু খাদ্যের মূল্যও বেড়েছে, তবে তা স্বাভাবিক পণ্যের থেকে বেশ কয়েক গুণ। গবাদি পশু পালন মানবসভ্যতার সাথে সরাসরি সংযুক্ত। মানব সভ্যতা আদি কৃষিকাজ হিসেবে গবাদি পশু পালন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। বর্তমানে প্রাকৃতিক খাদ্যের স্বল্পতা থাকায় বাহির থেকে খাদ্যের যোগান দিয়ে গবাদি পশু পালন করা হয়। গো খাদ্যের মূল্য এমন অস্বাভাবিক হারে বাড়তে থাকলে এই সেক্টর ধ্বংস হয়ে যাবে খুব শীঘ্রই। এই সময়ে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে বাহির থেকে এসব খাদ্যের যোগান কমিয়ে উচ্চ পুষ্টিসমৃদ্ধ ঘাস চাষ করা। সাধারণভাবে ঘাস গবাদিপশুর একমাত্র প্রধান খাদ্য, তাই আমাদের উচিৎ উচ্চ পুষ্টিসমৃদ্ধ ঘাস চাষের দিকে দিকে নজর দেওয়া। 🌾🍀☘️🌿🌱🐄🐂????????🐮

#আমেরিকান_ডেইরী_লিমিটেড #হলিস্টাইন_ফ্রিজিয়ান #ফ্রিজিয়ান #ফ্রিজিয়ান_গরু #লাল_সাদা_গরু #দুধের_গাভী #ব্রাহমা #লালগরু #ফ্লেকভি #বড়গরু #দুধের_গরু #লালগরু #কৃত্রিম_প্রজনন_কেন্দ্র #গজালিয়া 🐂🐂🐂🧬

Flyffi Cow 🐮🐮🐮
27/03/2022

Flyffi Cow 🐮🐮🐮

Ankole-Watusi🐂🐂🐂🐂🐄
04/03/2022

Ankole-Watusi🐂🐂🐂🐂🐄

30/01/2022

আমেরিকা ডেইরী লিমিটেডের শতভাগ পিওর ব্রিডিং বুল থেকে সিমেন উৎপাদন এবং সেই সাথে আধুনিক খামার বাবস্থাপনা।

Semen production from 100% Pure Breeding Bull of America Dairy Ltd. as well as modern farm management.

Video credit -MdBayezidMoral

#আমেরিকান_ডেইরী_লিমিটেড #হলিস্টাইন_ফ্রিজিয়ান #ফ্রিজিয়ান #ফ্রিজিয়ান_গরু #লাল_সাদা_গরু #দুধের_গাভী #ব্রাহমা #লালগরু #ফ্লেকভি #বড়গরু #দুধের_গরু #লালগরু #কৃত্রিম_প্রজনন_কেন্দ্র #গজালিয়া 🐂🐂🐂🧬

সবাইকে নতুন ইসায়ী নববর্ষের সুভেচ্ছা। Happy New Year 2022 🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆
31/12/2021

সবাইকে নতুন ইসায়ী নববর্ষের সুভেচ্ছা। Happy New Year 2022 🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆

গরুর জাত পরিচিতি (ফ্লেকভি)গরুর নাম :ফ্লেকভি গরু। সবচেয়ে লাভজনক জাতের গরু। ফ্লেকভি গরু হলো সারা পৃথিবীতে বর্তমান সময়ের স...
17/12/2021

গরুর জাত পরিচিতি (ফ্লেকভি)

গরুর নাম :
ফ্লেকভি গরু। সবচেয়ে লাভজনক জাতের গরু। ফ্লেকভি গরু হলো সারা পৃথিবীতে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে লাভজনক এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় ডুয়াল পারপাস (মাংস এবং দুধ) গরুর জাত। যা আমাদের আজকের আলোচিত গরুর জাত। গরুর এই বিস্ময়কর জাত Fleckvieh কে বেস্ট ট্রিপল পারপাস গরু ও বলা হয়ে থাকে। কারণ এটা মাংসর জন্য, দুধের জন্য এবং যেকোনো আবহাওয়া তে পালন উপযোগী।

ফ্লেকভি গরুর জাত পরিচিতি:
জাতের নাম ফ্লেকভি / Fleckvieh
জাতের ধরন দুধ এবং মাংস
উচ্চতা ষাঁড়- ১৫০-১৬৫ সেন্টিমিটার
গাভী- ১৪০-১৫০ সেন্টিমিটার
গড় ওজন ষাঁড়- ১১০০-১৩০০ কেজি
গাভী- ৭০০-৮০০ কেজি
বাছুর- ৩০ কেজি
আদি বাসস্থান সুইজারল্যান্ড
বিস্তৃতি ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও এশিয়ার প্রাই সকল গরু পালনকারী দেশ।

ফ্লেকভি জাতের গরুর গড় ওজন:
ফ্লেকভি জাতের ষাঁড় গরুর গড় ওজন সাধারণত ১১০০-১৩০০ কেজি হয়ে থাকে। এবং ফ্লেকভি জাতের গাভী গরুর গড় ওজন সাধারণত ৭০০-৮০০ কেজি হয়ে থাকে।

ফ্লেকভি গরুর বৈশিষ্ট এবং সুবিধা:
চরম ভাবাপন্ন শীত ও গরম আবহাওয়ায় ভালোভাবে টিকে থাকতে পারে
রোগ প্রতিরোধী হিসাবে সবচেয়ে জনপ্রিয় গরু ফ্লেকভি বিশাল আকৃতির লাল এবং সাদা রং এর মিশ্রণ এই গরুর আলাদা সৌন্দর্য।
এই জাতের গরুর শরীরের উপরের ভাগ লাল হলেও পেটের নিচের ভাগ এবং মুখের কাছে ও পা এর নিচের অংশে সাদা রং এর আধিক্য দেখা যায়।
এই গরু যেমন ইউরোপের শীতপ্রধান আবহাওয়া তে সহজে মানিয়ে নিতে পারে তেমনি কেনিয়ার প্রচন্ড গরমেও এগরুর কোনো সমস্যা হয়না।
এটাই একমাত্র গরুর জাত যা মাংসের জন্য যেমন জনপ্রিয় তেমনি দুধের জন্য।

ফ্লেকভি গাভী:
এই ফ্লেকভি গাভী গরু প্রথম বাচ্চায় এক উৎপাদন কালে তথা ৩১০ দিনে ৭০০০ লিটার দুধ দেয়। প্রতি দিন গড়ে ২২ লিটার দুধ। পর পরবর্তী বাচ্চা প্রসবের পর হতে প্রতি উতপাদনকালে গড়ে ৯০০০-১০০০০ লিটার দুধ দেয় যা প্রতি দিন গড়ে ২৯-৩২ লিটার দুধ। উতপাদনকাল থাকে ৩১০-৩৬০ দিন। এই গাভীর দুধে ফ্যাট এর গড় পরিমান ৪.২-৪.৪ % এবং মিল্ক প্রোটিন ৩.৫-৩.৮ % । এই গরুর দুধের একটি বিশেষ বৈশিষ্ঠ্য হলো এর দুধে অধিক পরিমানে উপকারী ওমেগা ৩ ওয়েল থাকে।

ফ্লেকভি ষাঁড়:
ফ্লেকভি গাভী থেকে জন্ম নেওয়া ফ্লেকভি ষাঁড় প্রথম ২০০ দিনে ১.৫ কেজি করে ওজন বৃদ্ধি পায় যা যেকোনো ইন্ডিজেনাস গরুর জন্য সর্বোচ্চ। এই জাতের গরুর মাংস অন্যান্য ইউরোপিয়ান গরুর মাংস হতে বেশি সুস্বাদু। এই জাতের গরু দেখতে অন্যান্য গরু থেকে সুন্দর হওয়ায় ষাড়ের বাজার মূল্য অন্যান্য ইউরোপিয়ান ব্রীড এর চেয়ে সবসময় অনেক বেশি।

এই গরুর অর্থনৈতিক গুরুত্ব:
রোগ প্রতিরোধী হওয়াতে ফ্লেকভি চিকিতসা খরচ প্রায় ৪০-৫০% কম দরকার হয়।
এছাড়া হোলস্টাইন ফ্রিসিয়ান এর তুলনায় এটা ২৫ % খাবার কম খায়।
এই জাতের গরুর রয়েছে যেকোনো আবহাওয়া তে সহজে মানিয়ে নেয়ার সহজাত ক্ষমতা।
চামড়া মোটা হওয়াতে যেকোনো টিক্স বা চামড়ার উপরের পোকা এটাকে সহজে আক্রান্ত করতে পারেনা।
ফ্লেকভি একটি পরীক্ষিত গাভী যা সপ্তম বা অষ্টম বার বচ্চা দেয়ার পরেও দুধ দেয়ার ক্ষমতা ও প্রজনন ক্ষমতা অপরিবর্তিত থাকে।
এই জাতের ষাড় প্রথম দেড় বছরের মধ্যে ৫০০ কেজি হয়ে থাকে।
ফ্রিজিয়ান যেখানে ৭ টি বাচ্চা দেয়ার পর পালনের অনুপযোগী হয়ে যায় সেখানে ফ্লেকভি অ্যাভারেজ ১০ টা পর্যন্ত বাচ্চা খুব সহজে দেয় দুধ উতপাদনের কোনো পরিবর্তন ছাড়াই।

#ফ্লেকভি #বড়গরু #দুধের_গরু #লালগরু #আমেরিকান_ডেইরী_লিমিটেড #কৃত্রিম_প্রজনন_কেন্দ্র #গজালিয়া 🐂🐂🐂🧬

গরুর জাত পরিচিতি (জার্সি)🐂🐂🐂🧬গরুর নাম :বিভিন্ন জাতের গরুর মিশ্রনে এক বড় গরুর পালের মধ্যে আকৃতিতে সবচে ছোট কিন্তু সবচে মা...
17/12/2021

গরুর জাত পরিচিতি (জার্সি)
🐂🐂🐂🧬
গরুর নাম :
বিভিন্ন জাতের গরুর মিশ্রনে এক বড় গরুর পালের মধ্যে আকৃতিতে সবচে ছোট কিন্তু সবচে মায়াবী সুন্দর মুখের যে গরুটি দেখবেন অন্য সব গরুকে নেতৃত্ব দিচ্ছে, ওটাই আমাদের আজকের আলোচিত গরু, ‘জার্সি’।
আকৃতি ছোট হলেও জার্সি গরুর রয়েছে নেতৃত্ব দেয়ার অসাধারণ ক্ষমতা।

গড় ওজন : ষাঁড় : ৫০০-৮০০ কেজি।
গাভী : ৪০০-৫০০ কেজি।

উৎস দেশ :
যেমন গরুর নাম পরিচয় দিচ্ছে, ব্রিটিশ ইংলিশ চ্যানেল এর জার্সি আইল্যান্ড হচ্ছে জার্সি গরুর উৎস দেশ। জার্সি দ্বীপের সাথে মিলিয়ে নাম নামকরণ হলেও আসলে পার্শবর্তী নরমান দ্বীপ থেকে গরুটি জার্সি দ্বীপে আসে এবং ১৭০০ সালে প্রথম আলাদা জাত হিসাবে রেকর্ড করা হয়।
ইতিহাসবিদদের ধারণা জার্সি জাতের পূর্ব পুরুষ এশিয়া থেকে ইউরোপে আগমন করেছিল। জার্সি জাতের স্বকীয়তা রক্ষা করার জন্য ২০০৮ সল্ পর্যন্ত জার্সি দ্বীপে অন্য যেকোনো জাতের গরু পালন বা সিমেন আনা সম্পূর্ণ নিষেধ ছিল।

জার্সি গরু চেনার উপায়:
গায়ের রঙ:
জার্সি জাতের গরুর রঙ হালকা শুভ্র/ধূসর থেকে শুরু করে প্রায় কালো পর্যন্ত হয়ে থাকে। গারো বাদামি / ধূসর রঙের থেকে শুরু করে গারো লাল রঙেরও হয়ে থাকতে পারে তবে শরীরে সাদা রঙের ছটা থাকে। হয়তো কাঁধে বা নিতম্বের উপর হীরা আকারের প্যাচ কিংবা সাদা পা বা হয়তো কাঁধের উপর থেকে কনুইয়ের পেছনের দিক পর্যন্ত সাদা স্ট্রাইপ থাকতে পারে। তবে একটা প্রকৃত জার্সি গরুর নাক এবং খুর অবশ্যই কালো রঙের হবে। তাদের চোখ এবং নাকের চারপাশে প্রায়শই হালকা রঙ হয়। প্রতিটি পায়ের ভেতরের অংশের রঙ বেশ হালকা হয়। প্রচুর হালকা বাদামি রঙের গরুর গাঢ় রঙের মুখ দেখতে পাওয়া যায়। ষাঁড়গুলির মাথার গোড়া থেকে কাঁধ পর্যন্ত প্রায়শই গাঢ় রঙ হয়। গাঢ় চোখ আর গাঢ় নাকের কারণে এদের কে অন্য সকলে জাতের চেয়ে বেশ আদুরে দেখায়।

দেহের ধরণ এবং বৈশিষ্ট্য:
জার্সিগরুর হাড়ের গঠন এবং মাংসের আকার অন্য যেকোন বিফ ব্রিডের থেকেও সুগঠিত। শরীরের ধরণে কৌণিক আকারের কারণে জার্সি গরু বিফ ব্রিড না হয়ে ডেইরি ব্রিড হিসেবে পালিত হয়। হলস্টেইনের মতই ফানেল আকৃতির নিতম্ব রয়েছে এদের, পাশাপাশি এটি বেশ পাতলা এবং হাড়হীন। জার্সিগুলি হোলস্টেইনের তুলনায় অনেক ছোট,প্রাপ্ত বয়স্ক জার্সি জাতের গাভীর ওজন ৪০০ কেজি থেকে ৫০০ কেজি (৮৮০ থেকে ১১০০ পাউন্ড) হয় । প্রাপ্ত বয়স্ক ষাঁড় ৫৪০ থেকে ৮২০কেজি (১১৯০ থেকে ১৮১০ পাউন্ড) হয়ে থাকে । জন্মের পর বাছুরের ওজন প্রায় ২৫ থেকে ২৭ কেজি পর্যন্ত হয়। এদের ওলান এর আকার বেশ বড় হওয়ায় বাছুরের প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি দুধ এরা দেয়। একটি জার্সি গরু এক ল্যাক্টেশন পিরিয়ডে ৬০০০–৮০০০ কেজি দুধ দেয় যা শরীরের ওজনের চেয়ে প্রায় ১৩ গুণ বেশি।

অন্যান্য:
জার্সি গরু চরম তাপমাত্রায় খুব ভাল মানিয়ে নিতে পারে। শীতের সময় তাদের কোট ঘন হতে পারে। যেকোনো আবহাওয়াতে সহজেই মানিয়ে নিতে পারে।জার্সি গরুর দুধে রয়েছে ৪.৫%-৫.৫% মিল্ক ফ্যাট যা হোলস্টাইন এর ক্ষেত্রে ৩.৭–৪.৭। অন্যান্য অ্যাভারেজ গরুর (হোলস্টাইন, ব্রাউন সুইস, ফ্লেকভি) তুলনায় ১৮% বেশি প্রোটিন, ২০% বেশি ক্যালসিয়াম এবং ২৫% বেশি ফ্যাট রয়েছে। জার্সি ষাঁড়গুলি তাদের আগ্রাসী ব্যবহারের কারণে বিখ্যাত, এদের সামলানো বেশ ঝক্কির কাজ।

জার্সি গরুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্দান্ত। ম্যাসটাইটিস এবং ডাইস্টোসিয়া রোগ জার্সি গরুর ক্ষেত্রে খুব কম। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে জার্সি গরু হলস্টেইন ফ্রিজিয়ানদের তুলনায় ওলান জনিত সমস্যায় ভোগার হার অর্ধেক। খুর শক্ত কালো ক্ষুর হওয়ায় এই জাতের গরুর এফ এম ডি বা খুরারোগ হয়না বললেই চলে।

উচ্চ প্রজননক্ষম জার্সি গরু অন্নান্য গরুর তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম বয়সে প্রজননক্ষম হয় এবং অধিক কাল ধরে দুধ প্রদান করে। এই জাতের গরু খুবই রোগ প্রতিরোধী হয়ে থাকে এবং এফ এম ডি রোগ হয়না বললেই চলে। তাই জার্সি গরু পালন খরচ অনেকাংশে কমে যায়। জার্সি গরু হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ান এর তুলনায় ৪০% কম খাবার খায়। এছাড়া জার্সি গরুর দুধে রয়েছে অন্য যেকোনো গরুর তুলনায় অধিক মিল্ক ফ্যাট এবং প্রোটিন। এই ধরনের গরু তাই খামারির জন্য আশীর্বাদ।

তবে এটি মনে রাখা দরকার যে জার্সি গরু ‘দুধে জ্বরে’ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অন্যান্যদের তুলনায় কিছুটা বেশি। দুর্বলতা, অস্থিরতা এবং প্রসবের পরে অত্যধিক শুয়ে থাকার প্রবণতা – এই লক্ষণগুলি সতর্কতার সাথে লক্ষ্য করা উচিত! প্রয়োজনে নিকটস্থ ভেটেনারি ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত।

দুধ ও মাংস উৎপাদন :

একটি জার্সি গরু অ্যাভারেজ ৬০০০-৮০০০ কেজি সর্বোত্তম গুন্ সম্পন্ন দুধ দেয় এবং দুধ উৎপাদন কাল ৩০০-৩০৫ দিন।

এক ল্যাক্টেশন পিরিয়ডে একটি জার্সি গরু তার শরীরের ওজোনের অ্যাভারেজ ১৩ গুন্ দুধ প্রদান করে, যা যেকোনো ডেইরি গাভীর তুলনায় বেশি।

জার্সি গরুর দুধে রয়েছে ৪.৫%-৫.৫% মিল্ক ফ্যাট যা হোলস্টাইন এর ক্ষেত্রে ৩.৭-৪.৭।

অন্যান্য অ্যাভারেজ গরুর (হোলস্টাইন, ব্রাউন সুইস, ফ্লেকভি) তুলনায় ১৮% বেশি প্রোটিন, ২০ % বেশি ক্যালসিয়াম এবং ২৫ % বেশি ফ্যাট রয়েছে।

যদিও জার্সি গরু মাংসের জন্য পালন করা হয়না তারপর ও যেহেতু পৃথিবীতে অধিক সংখ্যায় এই গরু পালন করা হয়, তাই মাংসের বাজারে এই গরুর রয়েছে ব্যাপক উপস্থিতি।

#জার্সি #ছোটগরু #দুধের_গরু #লালগরু #আমেরিকান_ডেইরী_লিমিটেড #কৃত্রিম_প্রজনন_কেন্দ্র #গজালিয়া 🐂🐂🐂🧬

17/12/2021
15/12/2021
গরুর জাত পরিচিতি (ব্রাহমা, ব্রাহ্মণ)গরুর নাম :সনাতন ধর্মালম্বীদের নামে নামকরন হলেও বর্তমানে যে ব্রাহমান গরু পৃথিবীর বিভি...
03/12/2021

গরুর জাত পরিচিতি (ব্রাহমা, ব্রাহ্মণ)
গরুর নাম :
সনাতন ধর্মালম্বীদের নামে নামকরন হলেও বর্তমানে যে ব্রাহমান গরু পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গা মাংসের গরু হিসাবে বেশ জনপ্রিয় সেটা আসলে ইন্ডিজেনাস জাত না। সেটা জেবু (বস ইন্ডিকাস) জাতের ৪/৫ টা গরুর শংকর করে উন্নয়ন করা হয়েছে।
গড় ওজন : ষাঁড় : ৭০০-১০০০ কেজি।
গাভী : ৪৫০-৬০০ কেজি।
বাছুর : ২৮-৩৫ কেজি।
উৎস দেশ :
ব্রাহমা যদিও এখন পৃথিবীর প্রায় সব গরু পালনকারী দেশ গুলোতে পাওয়া যায় তারপর ও এই গরুর উৎস দেশ ইন্ডিয়া।
বর্তমানে আমাদের দেশে যে ব্রাহমান পাওয়া যায় এটার নাম ব্রাহমান হলেও এটা মূলত ‘আমেরিকান ব্রাহমা ব্রীডারস এসোসিয়েশন’ কর্তৃক গীর, সাহিওয়াল, কংকরেজ সহ বস ইন্ডিকাস জাতের আরো কয়েকটি গরুর একটি সম্মিলিত রূপ।
‘আমেরিকান ব্রাহমা ব্রীডারস এসোসিয়েশন’ এর প্রথম সেক্রেটারি জনাব স্টার্টওয়েল বলেন : ‘এটা মাংসের জন্য সম্পূর্ণ নতুন জাতের একটি গরু।’
তাই বর্তমান ব্রাহমা জাতের গরুর উৎস দেশ ‘ইন্ডিয়া’ না বলে ‘আমেরিকা’ বলাই অধিক যুক্তিযুক্ত।

বৈশিষ্ট ও সুবিধা :
ব্রাহমা গরুর আদি জাতের রং সাদা হলেও বর্তমান ব্রাহমা অঞ্চলভেদে ভিন্ন ভিন্ন রং এর হয়ে থাকে।
তবে মার্কিন ব্রাহমা গরুতে সাদা এবং কালো রং এর আধিক্য দেখা যায়। অত্যন্ত রোগ প্রতিরোধী এবং শক্ত জাতের গরু থেকে উন্নয়ন করা বলে এই জাতের গরুর রোগ বালাই খুব কম দেখা যায়।
মাংসের জন্য দুনিয়াজোড়া খ্যাত ব্রাহমা গরু খুব সহজে গরম ও আদ্রতা সহ্য করতে পারে।
এক গবেষণায় দেখা গেছে বস টোরাস জাতের গরু যেখানে ৭৫ ডিগ্রী ফারেনহাইট তাপমাত্রায় দুর্বল হয়ে পরে সেখানে এই জাতের গরু ১০৫ ডিগ্রী তাপমাত্রায় ও সবল থাকে।
এই জাতের গরুর একটা বিশেষ বৈশিষ্ট হচ্ছে অতি গরমে এই গরু ঘেমে শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখে। তাছাড়া গবেষণায় দেখা গেছে এই জাতের গরু শরীরে কম তাপ উৎপন্ন করে।
প্রচন্ড সূর্যের তাপেও এই গরু খোলা জায়গা ঘাস খেতে পারে বলে আমেরিকার এবং অস্ট্রেলিয়ার সব জায়গা এই গরু ছেড়ে ঘাসের উপর নির্ভর করে পালন করা হয়।
ক্ষতিকর পরজীবী এই গরুকে সহজে আক্রমণ করতে পারেনা। স্বল্প ঘাস এবং খাবারে ও ব্রাহমা গরু সহজে টিকে থাকতে পারে।
দেশে মাংসের ঘাটতি পূরণে নতুন সংযোজন হচ্ছে ব্রাহমা জাতের ষাঁড় বা গরু। দৈনিক মাংস বাড়ে ৯ শত গ্রাম থেকে ১ হাজার গ্রাম। ২৭ থেকে ৩০ কেজি মাংস উৎপাদন হবে প্রতি মাসে। ৮-১০ বছর বয়সের দেশীয় গরুর মাংস উৎপাদন ক্ষমতা মাত্র ২৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৪০০ কেজি পর্যন্ত হয়। তবে মাত্র ২৪ মাস বয়সেই এ জাতের গরু ৭৩০ থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার কেজি বা ১ টন মাংস উৎপাদন করবে।

দুধ ও মাংস উৎপাদন :
মাংস উৎপাদনে এই নতুন সৃষ্ট ব্রাহমা গরু পুরো পৃথিবীতে খ্যাতি ছড়ালেও দুধ উৎপাদনে ঠিক বিপরীত অবস্থা।
ছোট দুধ উৎপাদন কালের এই গরুর দুধ উৎপাদন ক্ষমতা সন্তোষজনক না হলেও দুধের মান খুবই উন্নত।
অধিক মিল্কফ্যাট এবং মিল্ক প্রোটিন বিদ্যমান থাকায় এই জাতের দুধ খুব সুস্বাদু।

জীবনকাল :
যেহেতু ব্রাহমা গরু উপমহাদেশের শক্ত জাতের গরু তাই এই গরুর রয়েছে দীর্ঘ জীবনকাল।
এই জাতের গরুর গড় জীবনকাল ২৫-২৯ বছর। তবে এই জাতের গরুর ৪৭ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকার রেকর্ড রয়েছে।

#ব্রাহমা #লালগরু #আমেরিকান_ডেইরী_লিমিটেড #কৃত্রিম_প্রজনন_কেন্দ্র #গজালিয়া

রেড চিটাগাং গরু পরিচিতি:বাংলাদেশের নিজস্ব সম্পদ অষ্টমুখি লাল গরু।উৎপত্তি স্থলঃচট্টগ্রাম জেলা।জাতঃ অষ্টমুখি লাল গরু/রেড চ...
03/12/2021

রেড চিটাগাং গরু পরিচিতি:
বাংলাদেশের নিজস্ব সম্পদ অষ্টমুখি লাল গরু।
উৎপত্তি স্থলঃচট্টগ্রাম জেলা।
জাতঃ অষ্টমুখি লাল গরু/রেড চিটাগাং ক্যাটেল/সুন্দরি গরু/RCC ।
আরসিসি বা রেড চিটাগাং ক্যাটেল। স্থানীয়ভাবে অষ্টমুখী লাল গরু বা লাল বিরিষ গরুও বলে। দেশী জাতের গরুর মধ্যে এটি অন্যতম। এ জাতের গরু চট্টগ্রাম বিভাগজুড়েই কম বেশি পাওয়া যায়। লাল সুদর্শন এ জাতের গরু নোয়াখালী ও কুমিল্লা জেলায় কিছু সংখ্যক দেখা যায়।
বৈশিষ্ট্য
হালকা লাল বর্ণের এ জাতের গরু আকারে ছোটো খাটো, পেছনের দিক বেশ ভারী, চামড়া পাতলা, শিং ছোটো ও চ্যাপ্টা। এদের মুখ খাটো, চওড়া, মাঝারি ধরনের গলকম্বল, গলাখাটো ও সামান্য কুঁজ আছে। ওলান বেশ বড়, বাট সুডৌল, দুগ্ধ শিরা স্পষ্ট, গাভী অনুপাতে লেজ যথেষ্ট লম্বা, শেষ প্রান্তের লেজের গুচ্ছ লাল বর্ণের। প্রজনন অঙ্গ লাল বর্ণের।
গরুর দৈহিক ওজন ২০০-৩০০ কেজি। দুধ উৎপাদন ২.২ কেজি। দুগ্ধদান কাল ২৬০ দিন। এক বিয়ানে সর্বমোট ৫০০-৬০০ কেজি দুধ পাওয়া যায়। এ জাতের গরুর দুধে চর্বির পরিমাণ বেশি (৫-৬% পর্যন্ত হয়ে থাকে)। ১০ বছরে এ জাতের গরু থেকে ৬-৭টি বাচ্চা পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ প্রাণি সম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরই) চট্টগ্রামের ৫টি উপজেলাতে (পটিয়া রাউজান, চন্দনাইশ, আনোয়ারা ও সাতকানিয়া) এ জাতের গরু পালনের ওপর পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখেছে, আরসিসি জাতের গরুর গর্ভধারণের হার বেশি, প্রায় প্রতি বছর বাচ্চা দেয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। দুধে চর্বির পরিমাণ বেশি, প্রান্তিক চাষি পর্যায়ে এ জাতের গরুর খামার লাভজনক। দৈনিক দুধ উৎপাদন ২.৭ লিটার, এক বিয়ানে দুগ্ধদানকাল ২১৫ দিন এবং এক বিয়ানে প্রাপ্ত দুধের পরিমাণ সর্বমোট ৫৮১ লিটার। বিএলআরআইয়ের অন্য একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ৬-৭ বছর বয়সে অথবা ৫ম বিয়ানে দুধের পরিমাণ বেশি পাওয়া যায়। যার পরিমাণ ৫৫০-৬০০ কেজি।

বিশেষ বৈশিষ্ট্য
দেশী জাতে গরুর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এরা এখানকার আদি জাত হওয়ার কারণে এ অঞ্চলের আবহাওয়া ও জলবায়ুর সাথে চমৎকারভাবে অভিযোজিত হয়েছে। ফলে এদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি হয়। কারণ দীর্ঘদিন প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে স্থানীয় রোগগুলোর সঙ্গে লড়াই করতে করতে এদের শরীরে সেসব রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে, এ প্রতিরোধ ক্ষমতা বংশানুক্রমে প্রবাহিত হয়। ফলে সাধারণ ব্যবস্থাপনায়ও দেশী জাতের গরু থেকে ভালো ফল পাওয়া যায়। প্রতিকূল পরিবেশের সাথে এরা সহজে মানিয়ে নিতে পারে। রেড চিটাগাং ক্যাটেলেরও একই বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তবে দুধ ও মাংসের স্বাদে অন্যান্য দেশী জাতের চেয়ে এ জাতটিকে এগিয়ে রাখতেই হবে।

বিদেশী জাতের গরুতে কিন্তু এ সুবিধা পাওয়া যাবে না। কারণ তারা এক পরিবেশ ও আবহাওয়া থেকে নতুন আবহাওয়ায় এসে মানিয়ে নিতে দীর্ঘদিন সময় নেয়। পুরোপুরি অভিযোজিত হতে কয়েক প্রজন্ম অপেক্ষা করতে হতে পারে। বিশেষ করে শীতের দেশের গরুগুলো যেমন হলিস্টিন ফ্রিজিয়ান, এদেশের গরম সহ্য করতে পারে না। শীতের দেশে মশা-মাছি না থাকার কারণে এরা এদেশে এসে মশা-মাছি বাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। দেশী জাতের গরু মশা-মাছ বাহিত রোগে কম আক্রান্ত হওয়ার বড় কারণ এরই মধ্যে এদের শরীরের মধ্যে সেসব রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা তৈরি হয়ে গেছে। এ কারণে সরাসরি বিদেশী গরু না বা বিদেশী বকনার মধ্যে বিদেশী জাতের সিমেন দেওয়ার চেয়ে দেশী গরুতে বিদেশী গরুর সিমেন দিয়ে জাত উন্নয়ন করা বেশি নিরাপদ। তাতে নতুন সংকর জাতটি কিছু হলেও মায়ের বৈশিষ্ট্য পায় এবং এদেশের আবহাওয়ার সঙ্গে নিজেকে দ্রুত মানিয়ে নিতে পারে।

#অষ্টমুখি_লাল_গরু #রেড_চিটাগাং_ক্যাটেল #সুন্দরি_গরু #লালগরু #আমেরিকান_ডেইরী_লিমিটেড #কৃত্রিম_প্রজনন_কেন্দ্র #গজালিয়া।

গির জাতের গরুর পরিচিতিগরুর নাম :বস ইন্ডিয়াকাস জাতের ইন্ডিয়ান যে গরুটি পৃথিবীব্যাপী সবচে বেশি জাত উন্নয়নের জন্য ব্যবহার ক...
03/12/2021

গির জাতের গরুর পরিচিতি
গরুর নাম :
বস ইন্ডিয়াকাস জাতের ইন্ডিয়ান যে গরুটি পৃথিবীব্যাপী সবচে বেশি জাত উন্নয়নের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে সেটাই হচ্ছে গ্রীষ্মন্ডলীয় চরম আবহাওয়ার গরু ‘গির’ বা গুজরাটি বা দেশান। ইন্ডিয়ান নিজস্ব জাত গুলোর মধ্যে সবচে ভালো ডুয়াল পারপাস ( দুধ ও মাংস) গরু হচ্ছে আমাদের আজকের গরু।
ব্রাহমা ছাড়াও এটাকেও ইন্ডিয়ার পবিত্র গরু বলে মনে করা হয়।

গড় ওজন :
ষাঁড় : ৫৫০ – ৭০০ কেজি।
গাভী ৪০০-৪৫০ কেজি।

উৎস দেশ :
ইন্ডিয়ার গুজরাটের সৌরাষ্ট্র এবং পার্শবর্তী ‘গির’ জঙ্গল এলাকার গরু বলেই জঙ্গল এর নাম এর সাথে মিল রেখে এটার নামকরণ হয়েছে ‘গির’।
তবে গুজরাটের আদি গরু হলেও পৃথিবীর এমন কোনো গরু পালনকারী শীতপ্রধান বা উষ্ণমণ্ডলীয় দেশ নাই যেখানে গির বা গির থেকে উন্নয়ন করা গরু পালন করা হয় না।
ইন্ডিয়ান ইন্ডিজেনাস জাতের গরু হলেও এখন পৃথিবীতে গিরের সবচে বেশি জনপ্রিয়তা ব্রাজিলে।
বৈশিষ্ট ও সুবিধা :
গারো লাল গিরের প্রধান রং হলেও হালকা হলুদাভ ও সাদা রঙের হয়ে থাকে।
এছাড়া কালো রং এর গির ও দেখা যায়। মোটা এবং পিছনে দিকে বাঁকানো সিং এবং চওড়া কপাল গিরের চেহারাতে আভিজাত্যের ছাপ এনে দিয়েছে। চওড়া কপাল অতি উষ্ণ আবহাওয়াতে গিরের শরীর ঠান্ডা করার রেডিওটর হিসাবে কাজ করে।
লম্বা ঝুলানো কান এবং জেবু জাতের গরুর মধ্যে সবচে উঁচু চুট গির গরুতে এনে দিয়েছে সৌন্দের্যের এক বিশেষ মাত্রা। গির গরু উষ্ণ এবং আদ্র আবহাওয়াতে খুব ঘাম দেয়।
যার ফলে তাপ নিয়ন্ত্রণ এবং বিভিন্ন প্রকার পরজীবী নিয়ন্ত্রণ নিয়ন্ত্রণ এই জাতের একটা বিশেষ বৈশিষ্ট। জেবু জাতের গরুর মধ্যে সবচে শান্ত এবং অনুগত গরু হিসাবে পরিচিত গির মানুষের সাথে ঘনিষ্ঠ থাকতে পছন্দ করে।
এই জাতের ষাঁড় গরু পুরো গরুর পালের নিরাপত্তা প্রহরী হিসাবে কাজ করে। অত্যন্ত রোগ প্রতিরোধী এই জাতের গরু পালন খুবই সহজ এবং যেকোনো খাবারে এরা অভ্যস্ত।
গির জাতের গরু ২০-২৪ মাসে প্রথম প্রজননক্ষম হয় এবং গাভী ৩০-৩৪ মাসে প্রথম বাচ্চা দেয়।
দুধ ও মাংস উৎপাদন :
ইন্ডিয়াতে গিরের গড় দুধ উৎপাদন ১৬০০-১৮০০ কেজি হলেও ৩১০০ কেজি দুধ উৎপাদনের রেকর্ড ইন্ডিয়াতে রয়েছে।
ইন্ডিয়া তে ‘হিরাল’ নামের গির গরুর এক উৎপাদন সময়ে ৮২০০ লিটার দুধ দেয়ার রেকর্ড রয়েছে।
তবে কমে গেলেও ২৮০-৩০০ দিন পর্যন্ত দুধ উৎপাদন চলতে থাকে।
অন্যান্য জেবু জাতের গরুর মতো এই জাতের গরুতে রয়েছে ৪.১ -৪.৯ মাত্রার ফ্যাট এবং প্রায় সময় পরিমান মিল্ক প্রোটিন।
আর এই জাতের ষাঁড় বড় জাতের হয়ে থাকে এবং মাংস সুস্বাদু হওয়ায় চাহিদা ও বেশি। যে বৈশিষ্ট্য ‘গির’ কে জেবু জাতের অন্য গরু থেকে শ্রেষ্ঠত্ব এনে দিয়েছে সেটা হলো দ্রুত শারীরিক বৃদ্ধি।
গির বাছুর খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়।

আমেরিকান ডেইরী লিমিটেড( ADL) উন্নত গুনবলি সমৃদ্ধ গির বুল দ্বারা সিমেন উৎপাদন করে থাকে। উক্ত সিমেন থেকে উৎপাদিত বকনা হতে পারে খামিরিদের জন্য খুবই লাভজনক। নিম্মে ADL এর উৎপাদিত সিমেন দ্বারা জন্মক্রিত গির শাবকের ছবি প্রদান করা হল। 🐂🐂🐂💉🧬🧬
#শহীওয়াল #শহিওয়ালজাত #লালগরু #আমেরিকান_ডেইরী_লিমিটেড #কৃত্রিম_প্রজনন_কেন্দ্র #গজালিয়া।

শাহিওয়াল -----  🐂🐂🐂🧬শাহিওয়াল গরু হচ্ছে জেবু জাতের গরু যাদেরকে প্রধানত দুধের জন্য পালন করা হয়। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্র...
26/11/2021

শাহিওয়াল ----- 🐂🐂🐂🧬

শাহিওয়াল গরু হচ্ছে জেবু জাতের গরু যাদেরকে প্রধানত দুধের জন্য পালন করা হয়। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের শাহিওয়াল জেলায় উৎপত্তি লাভ করে।জেবু জাতের গরুর মধ্যে শাহিওয়াল গরুই সব থেকে বেশি দুধ উৎপাদন করে।
স্থানীয় নাম:
মুলতানী , মন্টোগোমারী
ডাকনাম:
লাম্বি বার, লোলা, মন্টগোমারি, মুলতানি , তেলি
উৎ‌পত্তি:
পাকিস্তানের পাঞ্জাবের মন্টোগোমারী জেলায় শাহীওয়াল জাতের গরুর আদি বাসস্থান।
বিস্তার:
উৎ‌পত্তি পাকিস্তানে হলেও বাংলাদেশ, ভারতসহ অনেক দেশে এ জাতটির বিস্তার রয়েছে।
বৈশিষ্ট্য:
ধীর ও শান্ত প্রকৃতির, মোটাসোটা ভারী দেহ , ত্বক পাতলা ও শিথি। পা ছোট, শিং ছোট ও পুর, এজাতের গাভীর শিং নড়ে, মাথা চওড়া। ষাঁড়ের চূড়া অত্যধিক বড়। গলকম্বল বৃহদাকার যা ঝুলে থাকে, লেজ বেশ লম্বা, প্রায় মাটি ছুঁয়ে যায়, লেজের আগায় দর্শনীয় একগোছা কালো লোম থাকে। গাভীর ওলান বড়, চওড়া, নরম ও মেদহীন, বাটগুলো লম্বা, মোটা ও সমান আকৃতি বিশিষ্ট।
ওজন:
ষাঁড়ের দৈহিক ওজন ৫০০ -৫২০ কেজি এবং গাভীর ২৫০ - ৪০০ কেজি পর্যন্ত হয়।
শাহীওয়াল জাতের গাভী:
শাহীওয়াল গাভী দুধ উৎপাদনের জন্য একটি উৎকৃষ্ট জাত বলে সর্বোজন সিকৃত। এ জাতের গাভী স্বাভাবিক অবস্থায় পালনের মাধ্যমে প্রতিদিন ৬-৮ লিটার দুধ পাওয়া সম্ভব। একটি শাহীওয়াল বক্না ২৪-২৮ মাস বয়সে প্রথম বারের মতো গর্ভধারণ করে। শাহীওয়াল জাতের গাভী পালনে ৩ টি বিষয়ে বিশেষ ভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে।
প্রজনন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা,ওলানের বিশেষ পরিচর্যা এবংখাবার ব্যবস্থাপনা।
দুধ প্রদানের হার:
শাহীওয়াল গাভী দুধ উৎ‌পাদনের জন্য একটি উৎ‌কৃষ্ট জাত। এ জাতের গাভী গ্রামীণ অবস্থায় পালনে ৩০০ দিনে প্রায় ২১৫০ লিটার দুধ দেয়। খামারে পালনকারী গাভী প্রায় ৪-৫ হাজার লিটার দুধ দিয়ে থাকে৷

আমেরিকান ডেইরী লিমিটেড( ADL) উন্নত গুনবলি সমৃদ্ধ শাহীওয়াল বুল দ্বারা সিমেন উৎপাদন করে থাকে। উক্ত সিমেন থেকে উৎপাদিত বকনা হতে পারে খামিরিদের জন্য খুবই লাভজনক। নিম্মে ADL এর উৎপাদিত সিমেন দ্বারা জন্মক্রিত শাহীওয়াল শাবকের ছবি প্রদান করা হল। 🐂🐂🐂💉🧬🧬

#শহীওয়াল #শহিওয়ালজাত #লালগরু #আমেরিকান_ডেইরী_লিমিটেড

Address

Gozalia, Kachua
Bagerhat
9300

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when আমেরিকান ডেইরী লিমিটেড কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র গজালিয়া। posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to আমেরিকান ডেইরী লিমিটেড কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র গজালিয়া।:

Share