Birds community of Bangladesh

Birds community of Bangladesh Stay with us to get help
with any bird related issues.

নেটো শাক।পাখির হাড় ভেঙ্গে গেলে এই শাকের রস পাখির হাড় জোড়া লাগাতে সহায়তা করে।খুবই সহজলভ্য এটি৷ বাড়ির আশে পাশে পাওয়া যায়।
24/12/2022

নেটো শাক।
পাখির হাড় ভেঙ্গে গেলে এই শাকের রস পাখির হাড় জোড়া লাগাতে সহায়তা করে।
খুবই সহজলভ্য এটি৷ বাড়ির আশে পাশে পাওয়া যায়।

এই প্রথম পাখিদের জন্য তৈরি বাংলাদেশে তৈরি করা হলো আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন হ্যান্ড ফিড ফর্মুলা NutriFeed। এটিতে আছে হরেক ...
11/06/2022

এই প্রথম পাখিদের জন্য তৈরি বাংলাদেশে তৈরি করা হলো আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন হ্যান্ড ফিড ফর্মুলা NutriFeed। এটিতে আছে হরেক রকমের আইটেম বাদাম, পোলাও চাল, পপকর্ন, সয়াবিন, ওটস, বাকহুয়িট, অ্যাপল, ড্রাই এগ, ফ্লেক্স সীড, সান ফ্লাওয়ার সীড, মেলন সীড, পাম্পকিন সীড, ডেটস, রাইসিন, ওমেগা থ্রি, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, কলিন ক্লোরাইড, পটাসিয়াম, ভিটামিন বি 2, বি 6, বি 12, ভিটামিন সি, ম্যাঙ্গানিজ, প্রোটিন, জিঙ্ক, ফলিক এসিড, বিওটিন, সোডিয়াম, আন্টি অক্সিডেন্ট, বেটা ক্যারোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ইত্যাদি। পাখির বাচ্চার হজম, গ্রোথ, হেলথ সব কিছু পারফেক্টলি হয়। অন্যান্য লোকাল হ্যান্ড ফিড এর মত হজম এর জন্য কোনো মেডিসিন মিক্স করে খাওয়াতে হয় না। এটি পাখির পুষ্টির একটি ফুল প্যাকেজ বলা যায়। প্রাপ্ত বয়স্ক পাখিদের জন্য সফট ফুডের সাথে ও মিক্স করে দেয়া যাবে। স্বল্প মূল্যের একটি উন্নত মানের হ্যান্ড ফিড।
আকর্ষণীয় মোড়কে নয়
গুণগত মানে বিশ্বাসী তাই ঝাঁকজমক মোড়কের চেয়ে গুণগত মান সম্মত ভাবে তৈরি করা হয়েছে।

পাখির সুস্থ থাকার জন্য কিংবা সুস্থ রাখার জন্য পাখির বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান দরকার। যেমন ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, আয়রন...
31/05/2022

পাখির সুস্থ থাকার জন্য কিংবা সুস্থ রাখার জন্য পাখির বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান দরকার। যেমন ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, আয়রন ইত্যাদি। পাখির এসবের যেকোনো একটিতে অভাব হলে সেটা পাখির পালক দেখলে বুঝা যায়। কিন্তু কোন উপাদানের অভাবে এমন হচ্ছে তা আমরা অনেকে জানি না। পাখির পালক ঝরলে, পাখির পালকের কালার সুন্দর না হলে বেশির ভাগই জিঙ্ক সাজেস্ট করে। কিন্তু এইটা ভুল ধারণা। তাই জিঙ্ক দিলেও অনেক সময় এসব সমস্যা সমাধান হয় না। জিঙ্ক জনিত সমস্যা হলে তখনই ভালো হয়। ফেদার জাতীয় সমস্যা শুধু জিংকের অভাবে হয় না। অন্যান্য কিছুর অভাবেও হয়। আজ জানবো কি উপাদানের অভাব হলে পাখির ফেদারে কেমন সমস্যা হয়। এবং এসব উপাদান গুলো কোন খাবারে পাওয়া যাবে।

ভিটামিন এ = এটির অভাবে পালক দুর্বল ও পাতলা হবে উস্কো খুস্কো টাইপের।

বায়োটিন = এটির অভাবে পালক ঝরে যায়।

ক্যালসিয়াম = এটির অভাবে পালক ভঙ্গুর হয়ে যায়। অল্পতে ঝরে যায় বা ছিঁড়ে যায়।

কপার= এটির অভাবে পাখির যে ফেদার গুলু গাঢ় ঐ পালক গুলি ঝরে যেতে পারে।

আয়রন = এটির অভাবে পালকের কালার চেঞ্জ হয়ে বিবর্ণ হয়ে যায়।

লাইসিন = এটির অভাবে পালক বৃদ্ধি বিলম্বিত হবে ।

প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড = এটির অভাবে কনট্যুর পালকের বিলম্বিত বৃদ্ধি ।

জিঙ্ক = এটির অভাবে পিন ফেদার পাতলা হয় এবং ভঙ্গুর আবরণ হয়।

এখন জানা যাক এসব উপাদান গুলো কি কি খাবারে আছে।

ভিটামিন এ = ব্রকলি, রান্না করা মিষ্টি আলু, পালং শাক, গাজর ।

বায়োটিন = ডিম, কলা, সাগরের মাছ (সাগরের মাছ পাখিকে খাওয়ানো যায়, ১০০%খাবারের মধ্যে 5% বা এক চা চামুচ পরিমাণ), বাদাম, রান্না করা মিষ্টি আলু।

ক্যালসিয়াম = ডিম, শাক, পালং শাক, ব্রোকলি, প্লেইন কর্ন ফ্লেক্স.

কপার = শস্য, মটরশুটি, বাদাম, গাঢ় শাক, শুকনো ফল ।

আয়রন = বাদাম, মসুর ডাল (সফট ফুডের 8% পরিমাণ 8ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে সিদ্ধ করে মুসুরি ডাল খাওয়ানো যায়)। পালংশাক।

লাইসিন = আম, বিট, নাশপাতি, লাল এবং সবুজ মরিচ।

প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড = ব্রকলি, ডিম, গোটা শস্য, সূর্যমুখী বীজ

জিঙ্ক = পালং শাক, ব্রোকলি, কেল, কিছু সুরক্ষিত সিরিয়াল।

#কার্টেসি fk fahim

পাখিদের জন্য বানানো আমার তৈরি হ্যান্ড ফিড ফর্মুলা। পাখির জন্য প্রয়োজনীয় সব উপাদান দেয়া আছে। পাখির বাচ্চার হজম হয় দ্র...
25/05/2022

পাখিদের জন্য বানানো আমার তৈরি হ্যান্ড ফিড ফর্মুলা। পাখির জন্য প্রয়োজনীয় সব উপাদান দেয়া আছে। পাখির বাচ্চার হজম হয় দ্রুত, গ্রুথ হেলথ সব ভালো থাকে। যাদের লাগবে ইনবক্স করতে করবেন।

সাধারণ পুষ্টির ঘাটতিবিভিন্ন পাখির রয়েছে বিভিন্ন রকমের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য  বিভিন্ন পুষ্টি এবং খাদ্য-সম্পর্কিত স্বাস্থ্য...
04/03/2022

সাধারণ পুষ্টির ঘাটতি

বিভিন্ন পাখির রয়েছে বিভিন্ন রকমের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন পুষ্টি এবং খাদ্য-সম্পর্কিত স্বাস্থ্য সমস্যা। চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের মাঝে যেমন পার্থক্য আছে তেমনি তাদের স্বাস্থ্য সমস্যার মধ্যেও ভিন্নতা রয়েছে।

চর্বি, ক্যালসিয়াম, ব্যাক্টেরিয়াল সমস্যা প্রায় সব পাখির হলেও নির্দিষ্ট একটা সমস্যা প্রায় দেখা যায়। কোনো পাখির চর্বি জনিত সমস্যা হয় বেশি, কোনো পাখির ক্যালসিয়াম সমস্যা আবার অন্যান্য পাখির অন্যান্য রকম সমস্যা হয় বেশি। তাই কোন পাখির কি সমস্যা বেশি হয় তা নিচে উল্লেখ করা হলো।

আফ্রিকান গ্রে- ক্যালসিয়ামের অভাব

আমাজন- ভিটামিন এ এর ​​অভাব, ফ্যাটি লিভার রোগ, স্থূলতা

ককাটিয়েল - ভিটামিন এ এর ​​অভাব, ফ্যাটি লিভারের রোগ

ককাটু - স্থূলতা (তাদের কম চর্বিযুক্ত খাদ্য প্রয়োজন)

ফিঞ্চস/ক্যানারি- আয়োডিন, ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিনের ঘাটতি

লরি- ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ, আয়রন স্টোরেজ রোগ

ম্যাকাও- ভিটামিন এ-এর অভাব ( কিছুটা উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবারের প্রয়োজন হয়)

ময়না - আয়রন স্টোরেজ ডিজিজ (তাদের কম চর্বিযুক্ত খাবার প্রয়োজন)

প্যারাকিট - লিভারের রোগ, স্থূলতা ( কম চর্বিযুক্ত খাদ্য প্রয়োজন)

সীড ভিত্তিক খাবার

কিছু সীড মিক্স এর মধ্যে সুষম ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য পেলেটও দেয়া হয়।
সুষম খাবার গ্রহণের জন্য পাখিটিকে সীডের সাথে পেলেট ও খেতে হবে।
প্রায়শই দেখা যায় পাখিরা এই ধরণের পণ্যের পেলেট খায় না।
আরেকটি ভিন্নতা হল ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য ভিটামিন এবং মিনারেল দিয়ে সীডের মিশ্রণকে আবরণ করা।
আবরণগুলি প্রায়শই রঙিন হয় এবং সীডের হুলে প্রয়োগ করা হয়;
যাইহোক, পাখি যখন সীডের খোসা ফেলে দেয় তখন আবরণ থেকে ভিটামিন এবং মিনারেল এসব আর গ্রহণ করা হয় না। তাই পাখির সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করতে সীড মিক্স এর পাশাপাশি পেলেট, ভেজিটেবল, ফ্রুট, অঙ্কুরিত বীজ খেতে দিতে হবে।

আপনার পাখি সঠিক পুষ্টি পাচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করার বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট দেয়া যেতে পারে। যেমন ডক্টর রব মার্শালের ডুফো প্লাস এবং আইফোর্ড বা মর্নিং বার্ডস হার্টি বার্ডের মতো বিশেষজ্ঞভাবে তৈরি এভিয়ান মাল্টিভিটামিন সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করা অথবা ভালো মানের দেশি ভিটামিন মাল্টিভিটামিন ব্যাবহার করা ।
তবে সাপ্লিমেন্ট এর চেয়ে ভালো খাবার দিয়ে পাখির পুষ্টি চাহিদা পূরণ করা ভালো। অতিরিক্ত সাপ্লিমেন্ট পাখির জন্য পরবর্তীতে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

পাখিদের ভিটামিন ডি এর প্রয়োজনীয়তা এবং অতিরিক্ত ভিটামিন ডি এর ক্ষতিকারক দিক সমূহ:-ভিটামিন ডি মানুষের জন্য যেমন প্রয়োজন...
14/01/2022

পাখিদের ভিটামিন ডি এর প্রয়োজনীয়তা এবং অতিরিক্ত ভিটামিন ডি এর ক্ষতিকারক দিক সমূহ:-

ভিটামিন ডি মানুষের জন্য যেমন প্রয়োজন তেমনি পাখির জন্যও প্রয়োজন। পাখিকে সুস্থ রাখতে ভিটামিন ডি এর গুরুত্ব অনেক। এর অভাবে অনেক ধরনের সমস্যা হয়। আবার অতিরিক্ত ভিটামিন ডি পাখির বিপদ ডেকে আনে।
চুলুন আজ জানা যাক পাখির জন্য ভিটামিন ডি এর অভাবে কি কি রোগ হয়, আবার অতিরিক্ত ভিটামিন ডি খেলে কি কি সমস্যা হতে পারে।

ভিটামিন ডি এর অভাবে পাখিদের যেসব শারীরিক সমস্যা হতে পারে:
ভিটামিন ডি এর অভাবে পাখির বাচ্চার হাড় বাঁকা হয়ে যাওয়া বা হাড় নরম হয়ে যাওয়া, স্পিলেড লেগ বা পাঁ চড়ানো রোগ হওয়া, এডাল্ট পাখির হাড় ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যাওয়া, এগ বাইন্ডিং বা ডিম আটকে যাওয়া, পাতলা খোসার ডিম পাড়া,

পা প্যারালাইসিস হয়ে যাওয়া, ডানা অবশ হয়ে যাওয়া, টিউমার সহ পাখির অভ্যন্তরীন জটিলতা দেখা দেয়া এবং পাখির ডিম বাচ্চা উৎপাদন কমে যাওয়া সহ অনেক রকম রোগ হয় এই ভিটামিন ডি এর অভাবে।

ভিটামিন ডি এর জন্য পাখিকে যা যা দেয়া যেতে পারে:

১। প্রতিদিন সকালে সূর্যের আলো পাখির গায়ে লাগলে পাখির শরীরে ভিটামিন ডি সরবরাহ হয়।

২। কমলার জুস: কমলার জুসে ভিটামিন ডি রয়েছে। পাখি সপ্তাহে ১দিন হলেও কমলার জুস দিতে হবে।

৩। ডিমের কুসম: ডিমের কুসুমে ভিটামিন ডি রয়েছে বিধায় পাখিকে সপ্তাহে ১দিন ডিমের কুসুম দিতে হবে। শীতকালে দুই তিনবার দেয়া যেতে পারে। তবে মুরগীর ডিমে চর্বি বেশি তাই পাখিকে মুরগীর ডিমের কুসুম না দিয়ে কোয়েল পাখির ডিমের কুসুম দিলে পাখির জন্য ভালো হবে।

৪। কড লিভার ওয়েল: এডাল্ট পাখিকে ব্রিডিং এ দেয়ার আগে বা নিয়ম মত কড লিভার দিতে হবে। কড লিভারে ভিটামিন ডি রয়েছে।

৫।সবুজ শাক পাতা:- শাক সবজির সবুজ পাতাতে ভিটামিন ডি রয়েছে। তাই ভিটামিন ডি সহ যেকোনো ভিটামিনের যোগান পেতে পাখিকে শাক সবজির সবুজ পাতা খাওয়াতে হবে।

৬।ক্যাটল ফিশ বোন:- ক্যাটল ফিশ বোন ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস। ভিটামিন ডি এর জন্য পাখিকে ক্যাটল ফিশ বোন দিতে হবে।

৭। ঝিনুকের খোসা:- ঝিনুকের খোসাও ভিটামিন ডি এর ভালো ভালো উৎস। পাখির ডায়েটে ভিটামিন ডি এর যোগান দিতে ঝিনুকের খোসা গুঁড়া করে পাখিকে দেয়া যায়।

ডিমের খোসা:- ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়ামের জন্য অন্যতম সেরা উৎস ডিমের খোসা। ক্যাটল ফিশ , ঝিনুকের খোসা থেকেও ডিমের খোসাতে ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম বেশি থাকে। পাখির ভিটামিন ডি এর অভাব দূর করতে ডিমের খোসা গুঁড়া করে গ্রীট হিসেবে পাখিকে দিতে হবে।
ক্যাটল ফিশ, ঝিনুকের খোসা, ডিমের খোসা এক সাথে গুঁড়া করে মিক্স করে দিতে হবে।

৮। AD3: পাখি শারীরিক ভাবে দুর্বল হলে কিংবা ডায়েটের মাধ্যেমে ভিটামিন ডি এর যোগান দিতে না পারলে ব্রিডিং কোর্স করানোর আগে অন্য সব ভিটামিন ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি AD3 টাও দেয়া যেতে পারে। এতে করে পাখির ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণ হবে সেই সাথে ডিম ও ফার্টাইল হবে।
তবে এক্সট্রা সাপ্লিমেন্ট বেশি দেয়া উচিত না। আর ব্রিডিং এর জন্য প্রতিবার সাপ্লিমেন্ট দিতে হবে এমন কথা নেই। পর্যাপ্ত ডায়েট, রেস্ট দিয়ে পাখিকে ব্রীড করালে সাপ্লিমেন্ট এর তেমন দরকার হয় না।

এখন জানা যাক অতিরিক্ত ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট দিলে কি কি ক্ষতি হয় পাখির।

এভিয়ান ভিটামিন ডি টক্সিকোসিস:-

ভিটামিন ডি পাখিকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।
এমনই একটি পুষ্টি উপাদান ভিটামিন ডি যা পাখির জন্য খুবই উপকারী।

তবে যদি ভিটামিন ডি শরীরে অতিরিক্ত পাওয়া যায়, তবে এর ফলে ভিটামিন ডি টক্সিকোসিস হতে পারে।
ভিটামিন ডিও শরীরে ক্যালসিয়ামে রূপান্তরিত হয়।
অতএব, যদি একটি পাখি প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি পায়, তবে রক্তে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যাবে।
ভিটামিন ডি আপনার পাখিকে সুস্থ রাখতে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের সাথে একসাথে কাজ করে।
যদিও, তাদের প্রয়োজনীয় অনুপাতের ভারসাম্যহীনতার কারণে পাখি বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় ভুগতে পারে।
তবে প্যারোট জাতের মধ্যে ভিটামিন ডি টক্সিকোসিসের প্রবণতা বেশি, বিশেষ করে ম্যাকাও।

লক্ষণ এবং প্রকার:-

ভিটামিন ডি টক্সিকোসিস দ্বারা সৃষ্ট একটি প্রধান সমস্যা হল কিডনির ক্ষতি।
এটি ঘটে কারণ ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম কিডনিতে জমা হয়, যা অঙ্গটিকে স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে বাধা দেয়।
কিডনির ক্ষতি থেকে সৃষ্ট এমনই একটি কিডনি রোগ হল গাউট।

প্রতিরোধ:-

ভিটামিন ডি টক্সিকোসিস প্রতিরোধ করা যেতে পারে সতর্কতার সাথে পাখির খাদ্য নির্বাচন করে এবং অতিরিক্ত ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট বাদ দিয়ে।
পাখির ডায়েটে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি এবং ফসফরাস ভারসাম্য বজায় রাখা ভিটামিন ডি টক্সিকোসিস প্রতিরোধে সহায়তা করবে।

কার্টেসি:- fk fahim

পাখিদের কি জ্বর হয়??জ্বর হলে মানুষের মতো শরীর গরম হয়ে যায়??জ্বর হলে কি নাপা/প্যারাসিটামল দেয়া যাবে ??চলুন জানা যাক প...
04/12/2021

পাখিদের কি জ্বর হয়??
জ্বর হলে মানুষের মতো শরীর গরম হয়ে যায়??
জ্বর হলে কি নাপা/প্যারাসিটামল দেয়া যাবে ??

চলুন জানা যাক পাখির জ্বর বলতে কিছু আছে কিনা।।
পাখির জ্বর v মানুষের জ্বর।

অনেক পাখাল বলেন যে পাখির জ্বর হয়।
স্পর্শ করলে তারা অনুভব করে পাখির শরীর গরম।

মানুষের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা 36.1C (97F) থেকে 37.2C (99F) এর মধ্যে, পাখিদের স্বাভাবিক শরীরের তাপমাত্রা প্রজাতির উপর নির্ভর করে 38.3C (101F) থেকে 41.7C (107F) পর্যন্ত হয়।
এই কারণেই আমরা যখন পাখিদের ধরে রাখি তখন আমরা গরম অনুভব করি, কারণ তাদের শরীরের তাপমাত্রা আমাদের চেয়ে বেশি।
পাখিরা মানুষ বা অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর মতো জ্বরে ভোগে না।

আর পাখিরা ঘামে না, তাই তারা অতি গরমে হাঁপায়।
যখন পাখি হাঁপায় তখন বুঝতে হবে যে পাখিটি তাপ বা গরম অনুভব করছে, তখন তারা তাদের ডানা চেপ্টা করে ধরে রেখে নিজেকে ঠান্ডা করে।
পানি পেলে তারা গোসল করে বডি ঠান্ডা করে।
একটি পাখি যে তাপ দ্বারা প্রভাবিত হয় সেটা জ্বর নয় , গরমে তাদের ঘাম হয় না তাই বডি টেম্পারেচার বেড়ে যায়। এই জন্য দেখা যায় গরম পড়লে পাখি হাপায় আর বডি ও গরম হয়ে যায় অনেক।
আক্রান্ত পাখির শরীরের তাপমাত্রা কমিয়ে আনা না হলে তা হিটস্ট্রোক এবং সম্ভাব্য মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

পাখি অসুস্থ হলে বরং তাদের শরীরের তাপ কমে যায়।
পাখির তাপমাত্রা যাওয়াকেই পাখির হাইপারথার্মিয়া বা জ্বর বলে। পাখি অসুস্থ হলে তাদের শক্তি ক্ষয় হতে শুরু করে এতে করে শরীরের তাপমাত্রা কমে যায়। তাই পাখিকে বাল্ব এর হিট দিতে হয় যাতে পাখিটি শরীরের তাপ হারাতে না পারে এবং সেই শক্তিটি অসুস্থতার সাথে লড়াই করার জন্য ব্যবহার করে, শরীরের শক্তি বজায় রাখতে না। বাল্ব এর হিট দিলে পাখি সুস্থ হয় না বরং পাখির শরীরের তাপমাত্রা ঠিক থাকে তাই পাখির গায়ে শক্তি থাকে রোগ মোকাবেলা করার।
একটি অসুস্থ পাখিকে তাপমাত্রা 80 - 85 ফারেনহাইট (27 - 30 ডিগ্রি সেলসিয়াস) দিতে হবে।
তবে আরও ভালো হবে যদি এক বা দুই দিনের জন্য 100 ফারেনহাইট (38 ডিগ্রি সেলসিয়াস) বৃদ্ধি করা হয় এবং ধীরে ধীরে হ্রাস করা হয়।

তাই যখন শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় এর মানে হল যে পাখিটি হিটস্ট্রোক করতে পারে।
তাই পাখিকে ঠান্ডা করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। কিডনি প্রবলেম হলেও পাখির তাপমাত্রা বেড়ে যায়।

যখন পাখিটি তার শরীরের তাপমাত্রা হারাতে শুরু করে তার মানে পাখিটি অসুস্থ (জ্বর হয়েছে)।
পাখিকে উষ্ণ রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত যাতে তার শরীরের তাপমাত্রা বজায় থাকে, তাপ পাখিকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে।

মানুষ এবং স্তন্যপায়ী প্রাণীদের শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় যখন তারা অসুস্থ হয় এবং পাখিদের সাথে ঠিক উল্টো কারণ তারা অসুস্থতার কারণে তাপ হারায়।

এখন দ্বিতীয় প্রশ্নে আসি পাখিদের কি নাপা/প্যারাসিটামল (অ্যাসিটামিনোফেন) দেওয়া যেতে পারে?

এটি এমন একটি ওষুধ যা মানুষ এবং স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে কিছু সংক্রমণের কারণে বেড়ে যাওয়া তাপমাত্রা কমাতে ব্যবহৃত হয়।
কিন্তু পাখিদের ক্ষেত্রে তা হয় না। কারণ পাখির জ্বর হলে তাপমাত্রা কমে আর প্যারাসিটামল তাপমাত্রা কমায়। তাহলে পাখির জ্বর হলে নাপা প্যারাসিটামল দিলে পাখির তাপমাত্রা আরো দ্রুত কমে পাখি মারা যাবে। পাখির আর মানুষের জ্বর একরকম না । তাই মানুষের জ্বর হলে তাপমাত্রা কমাতে নাপা প্যারাসিটামল খাওয়া গেলেও পাখির ক্ষেত্রে খাওয়ানো যাবে না।
শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা হয় শরীরের তাপমাত্রা হ্রাসের ক্ষেত্রে নয়।

এটি পাখিদের জন্য অত্যন্ত বিষাক্ত বলে প্রমাণিত হয়েছে।
কিন্তু এশিয়ান উপমহাদেশে অ্যাভিকালচারে এর ব্যবহারে খুব বেশি ক্ষতি হয় না কারণ এটি ট্রেস আকারে ব্যবহৃত হয় নিয়মমাফিক ডোজ দিয়ে।
প্যারাসিটামলের একটি ট্যাবলেট একটি ভাল জাতের টিয়া পাখি কে মেরে ফেলতে পারে।
সো পাখির জ্বর হয়, জ্বর হলে নাপা/প্যারাসিটামল খাওয়ান এসব ভিত্তিহীন কথা।

পাখির জ্বর=তাপমাত্রা কমে।
মানুষের জ্বর=তাপমাত্রা বাড়ে।
প্যারাসিটামল=(তাপমাত্রা বেড়ে গেলে দেয়া হয়)।

কার্টেসি Fk Fahim

পাখির জন্য সফট ফুড হিসেবে খেসারি আর মসুরি ডাল কতটা নিরাপদ ?? জানা যাক। খেসারি ডাল:-খেসারির ডালের বৈজ্ঞানিক নাম লাথাইরাস ...
09/11/2021

পাখির জন্য সফট ফুড হিসেবে খেসারি আর মসুরি ডাল কতটা নিরাপদ ?? জানা যাক।

খেসারি ডাল:-

খেসারির ডালের বৈজ্ঞানিক নাম লাথাইরাস সাটিভাস (Lathyrus sativus)। এই ডালে বোয়া (BOAA) নামক এক প্রকার অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে। এই অ্যাসিড ‘ল্যাথারিজম’ নামক পায়ের প্যারালাইসিসের জন্য দায়ী।

ল্যাথারিজমের লক্ষণগুলো হঠাৎ করেই শুরু হয়। পা হঠাৎ করেই অবশ হয়ে যায়।
তাই পাখিকে খেসারি ডাল দেয়া যাবে না।

মসুরি ডাল:-

মসুরি ডাল মানুষের জন্য খুব উপকারী একটি ডাল। মসুরি ডালে সোডিয়াম, পটাসিয়াম, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন সি, ডি , ভিটামিন বি ৬, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, কেলশিয়াম সব ধরনের উপাদান বিদ্যমান থাকায় এটি মানুষের জন্য খুব ভালো। কিন্তু উক্ত উপাদান বেশি পরিমাণে থাকায় এই ডাল পাখির হজমে সমস্যা করে, পেটে গ্যাস হয়। তবে মসুরি ডাল পাখিকে নিয়ম মত দেয়া যাবে। যেদিন পাখির জন্য সফট ফুড বানাবেন সেদিন সফট ফুডের ১৫% মসুরি ডাল দেয়া যাবে। বাকি ৮৫% অন্য ডাল, শাক, সবজি থাকবে। ১৫% মসুরি ডাল ৮ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে তারপর সিদ্ধ করে সফট ফুডের সাথে মিক্স করে পাখিকে দিতে হবে।

বি: দ্র:- অনেকে মনে করেন পাখিকে খেসারি দেয়া যাবে কিন্তু মসুরি দেয়া যাবে না। এইটা ভুল ধারণা। খেসারি কম দিলেও পাখির সমস্যা হবে। খেসারি টোটালি দেয়া উচিত না। মসুরি নিয়ম মেনে দেয়া যায়। তবে নিয়ম মেনে দেয়া সম্ভব না হলে না দিলেও চলবে। মসুরি তে যে উপাদান আছে টা অন্যান্য শাক, সবজি, ডাল থেকে পাখি পাবে।

Fk Fahim

জিনজিরা হাট থেকে গত ১৬ তারিখ থেকে আজকের মধ্যে কেউ এই ধরনের হলুদ টিয়া কিনে থাকেনদয়া করে বলবেন প্লিজ জিনজিরা হাটে s*E*ll হ...
18/10/2021

জিনজিরা হাট থেকে গত ১৬ তারিখ থেকে আজকের মধ্যে কেউ এই ধরনের হলুদ টিয়া কিনে থাকেন
দয়া করে বলবেন প্লিজ
জিনজিরা হাটে s*E*ll হইছে
আমরা আপনার ক্রয়কৃত মুল্যের দ্বিগুন টাকা দিয়ে নিবো
ওর পায়ে রিং লাগানো আছে
রিংয়ে নাম্বার দেওয়া আছে
যদি কোনো সহৃদয়বান ব্যক্তি আমার হিপ্পোকে ফিরিয়ে দেন তাহলে তার কাছে চির কৃতজ্ঞ থাকবো
মোবাইলঃ-01749010067

পাখিদের মাইটস , উকুন বহিঃপরজীবী (ectoparasites)...পাখি পালক তুলে ফেলা, ওজন কমে যাওয়া, খিটখিটে হয়ে যাওয়া, ফ্যাকাসে হয়...
10/10/2021

পাখিদের মাইটস , উকুন বহিঃপরজীবী (ectoparasites)...

পাখি পালক তুলে ফেলা, ওজন কমে যাওয়া, খিটখিটে হয়ে যাওয়া, ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া, এসব সমস্যার অন্য তম কারণ হলো পাখিদের বহিঃপরজীবীর আক্রমন।

পাখিরা অতিসহজেই বিভিন্ন ধরনের বহিঃপরজীবি দ্বারা আক্রান্ত হয়। দোকান থেকে পাখি আনলে, ময়লা পরিবেশে পাখি পাললে, পাখির রুমে বন্য পাখি বা কোনো কিছু প্রবেশ করলে, নানা ভাবে পাখি বহিঃপরজীবীর দ্বারা আক্রান্ত হয়। যার প্রভাবে পাখিদের অনেক সমস্যা দেখা দেয়।
চলুন জানা যাক বহিঃপরজীবী পাখির কি কি ক্ষতি করে:

ক) মৃত্যু: বহিঃপরজীবীর আক্রমণে সাধারণত পোষকের মৃত্যু ঘটে না তবে এদের দ্বারা বাহিত রোগ পাখির মৃত্যু ঘটায়।

খ) রত্তশূন্যতা: রত্তচোষা বহিঃপরজীবীর তীব্র আক্রমণের কারণে পোষকের দেহের প্রচুর রত্ত শোষণের ফলে রত্তশূন্যতা দেখা দেয়; যার ফলে পাখির সার্বিক উৎকর্ষতা দারুনভাবে ব্যাহত হয়। এতে ব্রিডিং রেজাল্ট কমে যায়।

গ) সংক্রামক রোগের সংক্রমণ: ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস আক্রান্ত পাখি থেকে বহিঃপরজীবী সুস্থ পাখিতে রোগের বিস্তার ঘটায়।

ঘ) বিরত্তি ও উত্তেজনা: প্রায় সব বহিঃপরজীবী পোষকে কম বেশি উত্তেজনা ও বিরত্তি সৃষ্টি করে। যেসব পরজীবী বিশেষ করে উকুন ত্বকের মরামাস খায় সেগুলো ত্বকের উপর চলাফেরার সময় অত্যন্ত বিরত্তি সৃষ্টি করে। মেঞ্জ মাইটস এর আক্রমণে ত্বকে তীব্র প্রদাহ
ও ক্ষত সৃষ্টি হয়। এর ফলে পাখির পালক খসে পড়ে এবং হেলথ খারাপ হয়ে যায়।

মাইটসঃ
মাইট একারিনা অর্ডারের অর্ন্তগত এক প্রকার ক্ষুদ্র কীট।
এদের দেহ এক খন্ডে বিভত্ত এবং চার জোড়া পা
আছে।
বিভিন্ন প্রকারের মাইটস পাখির দেহ আক্রান্ত করে। এদের মধ্যে কতকগুলো রক্তপান করে, কতক ত্বক ছিদ্র করে তার মধ্যে বাস করে, কতকগুলো পালকে বাস করে এবং আরো কয়েক প্রকার দেহ অভ্যন্তরের বিভিন্ন
অঙ্গ আক্রান্ত করে।


পাখিতে কয়েক প্রকার মাইটস হতে পারে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে-
১. রেড মাইটস
২. কুয়িল মাইটস
৩. ফেদার মাইটস
৪. মেনোক্যান্থাস মাইটস
৫. এয়ার সাক মাইটস
৬. স্কেলি লেগ মাইটস
৭.ডিপ্লোমিং মাইট ইত্যাদি।

১:-রেড মাইট সাধারণত গরমকালে বেশী সক্রিয় হয়ে উঠে। এরা পাখির শরীরের রক্ত শুষে খায় এবং ক্ষত সৃষ্টি করে।

২. কুয়িল মাইট:- quill mite পাখিদের পালকে থাকে। পালক কামড়িয়ে পাখিদের উত্তেজনা বৃদ্ধি করে।

৩.ফেদার মাইট:- পালকের মাইট পালকে বাস করে। এদের কারণে পাখিদের পালকের চাকচিক্য কমে যায়।

৪.মেনোক্যান্থাস মাইট:- মেনোক্যান্থস মাইটের কারণে পাখিদের শরীরের ওজন কমে যায়, শরীর পাতলা হয়ে যায়। এদের কারণে পাখিরা রক্ত পুষ্টিহীনতায় ভুগে।

৫.এয়ার সাক মাইটস:-
পাখিদের এয়ার সাকগুলু পাখিকে উড়তে সহযোগিতা করে। অনেক সময় এয়ার সাকে মাইটস দেখা যায় কোনো উল্লেখযোগ্য কারণ ছাড়াও। এই মাইটস পাখিদের ফুসফুস, গলা, ট্রাকিয়ায় পাওয়া যায়। আক্রান্ত পাখি তখন মুখ হা করে নিঃশ্বাস নেয়। ভীষণভাবে এই রোগে আক্রান্ত হলে জোরে জোরে এবং কষ্ট করে নিঃশ্বাস গ্রহণ করে। শ্বাস প্রশ্বাসে শব্দ হয়। কাশি, ওজন কমে যাওয়া, দুর্বলতা এসব লক্ষণ ও দেখা যায়।

৬.স্কেলি লেগ মাইট:-
এটি অত্যন্ত ছোট আকারের। সাধারণ মাইট যেখানে ১ ইঞ্চির ২৫ ভাগের ১ ভাগ, সেখানে স্কেলি লেগ মাইট ১ ইঞ্চির ১০০ ভাগের ১ ভাগ হয়ে থাকে। এটি মেঝে থেকে সংক্রমিত হয় বলে সন্দেহ করা হয়। এরা পাখির পা, ঠোঁটের কোণে, ভেন্টে ইত্যাদি জায়গায় যেখানে পালক নেই সেখানে থাকে। আর ওখানেই চুলকানির মত ময়লাযুত্ত ঘা এর সৃষ্টি করে এবং পা মোটা হয়ে যায়। ফলে তীব্র প্রকৃতির রোগে পাখি খোড়ায়। এছাড়া পায়ের স্বাভাবিক আকৃতি নষ্ট হয়ে যায়।
এরা চামড়ায় ক্ষত করে ফলে চামড়ায় পাউডার এর মত পদার্থ দেখা যায়।

৭.ডিপ্লোমিং মাইট:-

ডিপ্লোমিং মাইটস পালকের গোড়ার নিকট চামড়া ছিদ্র করে পালকের মধ্যে প্রবেশ করে, জ্বালাপোড়া ও চুলকানির সৃষ্টি করে। আক্রান্ত পাখি চুলকাতে চুলকাতে সেখানের পালক নষ্ট করে ও তুলে ফেলে এবং এর ফলে বড় আকারের ক্ষতের সৃষ্টি হয়। যে কোন ধরনের
মাইটস হলে পাখির স্বাস্থ্যের ক্ষতিসহ ব্রিডিং হ্রাস পায়।

উকুন :
উকুন ডানাবিহীন এক প্রকারের কীট। এরা দংশন বা শোষণ করার ক্ষমতাসম্পন্ন তাই এদেরকে দংশনকারী ও শোষক উকুন বলা হয়। এদের তিন জোড়া পা। এদের পা ছোট ও শত্ত হওয়ায় পোষকের পালক, চুল ও ত্বকে চলাচল ও দৃঢ়ভাবে লেগে থাকার উপযোগী। প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্ত বয়সের উকুন দেখতে একই রকম।

দু ধরনের উকুন দেখা যায়-
১) দংশনকারী বা কামড়ানি উকুন
২) শোষক বা রত্তচোষা উকুন।

রত্তচোষা উকুন শুধুমাত্র স্তন্যপায়ী প্রাণীকে আক্রমণ করে পক্ষান্তরে দংশনকারী উকুন পাখি ও স্তন্যপায়ী উভয়কে আক্রমণ করে।

সাধারণত: বুক, পেট ও পাখার নীচে এ সমস্ত উকুন অধিক পরিমাণে বাস করে।
কামড়ানি উকুনগুলি চামড়ার উপরের অংশে কামড়ায় ফলে চুলকানি হয়। আর রত্তচোষা বা শোষক উকুন কামড়ায় ও রত্ত ও শোষে। উকুনের ব্যাপক আক্রমণের ফলে আক্রান্ত পাখির চামড়া নষ্ট হয়ে যায়।
ব্রিডিং রেজাল্ট কমে যায়।

বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় শরৎ এবং শীতকালে উকুনের প্রাদুর্ভাব বেশি পরিলক্ষিত হয়।
অস্বাস্থ্যকর ও অবহেলিত পরিবেশে এবং কবুতর আর কেজ বার্ড এক সাথে পাললে পাখির দেহে উকুন দ্বারা রোগ বেশী হয়ে থাকে।
সব বয়সের পাখিই উকুন রোগে আক্রান্ত হয়। বয়সের সাথে এ রোগের বিশেষ সর্ম্পক নেই।
পাখিতে পাওয়া যায় এ ধরনের কয়েকটি উকুন হল:
১) কিউক্লোটোগেসটার হেটারোগ্রাফা: এটা মাথায় পাওয়া যায়
২) গোনিয়োকোটিজ গেলিনি: এটা পালকের মধ্যে বাস করে।

আঠালীঃ
পাখিতে যে সমস্ত আঠালী পাওয়া যায় সেগুলো আরগাস পারসিকাস গ্রুপের অর্ন্তগত এবং
এরা হচ্ছে:
১) আরগাস পারসিকাস
২) আরগাস রেডিয়েটাস
৩) আরগাস মিনিয়েটাস

আঠালী পাখির রত্ত শোষণ করে এবং এদের লালাগ্রস্খি থেকে বিষাত্ত রস নিঃসৃত হয় যা পাখির চামড়া ও পালকের ক্ষতি
করে।
আঠালি আক্রান্ত হলে শরীর চুলকায়, ডিম বাচ্চা করা কমিয়ে দেয়, দৈহিক বৃদ্বি ব্যাহত হয় এবং রত্তশূন্যতা দেখা দেয়।

প্রতিরোধ:-
৩মাস পর পর (Moxidectin/ivermectin)দিতে হবে পাখির শরীরে। অথবা ৬মাস পরপর Pyrethroid দিয়ে spray করতে হবে।

প্রতিকার:-
আক্রান্ত পাখির বডিতে সপ্তাহে দুই দিন ivermic দিতে হবে।
acimec1% 3ml এক লিটারে মিক্স করে স্প্রে করলেও পাখি সুস্থ হয়। এয়ার সাক মাইট হলে acimec 1% ১লিটার পানিতে ১ml দিয়ে খাওয়াতে হবে একদিন। ২১দিন পর আবার খাওয়াতে হবে একদিন একই নিয়মে

পাখি বা কবুতর অনেক সময় বিষাক্ত খাবারে মুখ দিয়ে আক্রান্ত হয়। তেলাপোকা মারার বিষ, ইদুর মারার বিষ , চুন , এসব বিষ জাতীয়...
25/09/2021

পাখি বা কবুতর অনেক সময় বিষাক্ত খাবারে মুখ দিয়ে আক্রান্ত হয়। তেলাপোকা মারার বিষ, ইদুর মারার বিষ , চুন , এসব বিষ জাতীয় জিনিস কোন না কোনোভাবে পোষা পাখি অনেক সময় খেয়ে ফেলে। তখন বুঝে উঠতে পারি না কি করতে। কখনো কারো পাখি বিষাক্ত খাবার খেয়ে আক্রান্ত হলে কি করণীয় তা নিয়ে এই পোস্ট। চলুন জানা যাক।

১। Egg albumin 3-5ml। ডিমের সাদা অংশ হলো অ্যালবুমিন। পাখিকে ডিমের সাদা অংশ লিকুইড করে 3-5ml খাওয়াতে হবে। (কুসুম বাদে).

২। তেতুলের রস এক চামচ পানিতে ৩,৪ ফোটা দিয়ে খাওয়াতে হবে। দিনে দুই তিন বার।

৩। সেলাইন মিক্স পানি খাইয়ে ক্রপ নাড়াচাড়া করে বমি করাতে হবে। এতে ক্রপ বিষমুক্ত হবে।

৪। Toxinil plus/ two plus/tf gold যেকোনো একটি ১ml এক লিটার পানিতে দিয়ে খাওয়াতে হবে ৫-৭দিন।

এসব পদ্ধতিতে পাখির বিষক্রিয়া নষ্ট করে পাখিকে সুস্থ করা যায় ।
তবে কারো পাখি যদি খুব বেশি পরিমাণ বিষ জাতীয় কিছু খেয়ে ফেলে আর দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়ে তখন উপরোক্ত পদ্ধতি গুলার পাশাপাশি পাখিকে
ইনজেকশন atropine sulphate ১ml দিতে হবে বুকের মধ্যে ৬ঘণ্টা পর পর ১-২দিন।

Address

Bayezid
Chittagong

Telephone

+8801878509978

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Birds community of Bangladesh posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Birds community of Bangladesh:

Share


Other Chittagong pet stores & pet services

Show All