30/10/2021
নতুন কবুতর পালকদের ১০০% সফলতার জন্য কিছু কথা।
ইনশাআল্লাহ সফল হবেন।
আগের পোষ্টে লিখেছিলাম নতুন কবুতর পালকদের শেষ পরিনতি।
আজকে লিখবো সফলতা,
১নাম্বারে আপনি কবুতরের জন্য একটি লফট তৈরী করুন।
লফট আপনি প্রথমত ২ভাগে ভাগ করুন।
(অনলাইনে ইউটিউবে অনেক সুন্দর সুন্দর লফট আছে ধারণা নিতে পারেন)
১.ব্রিডিং লফট
২.ব্রিডিং ছাড়া যে সমস্থ কবুতর আছে যেমন বাচ্চা এডাল্ট সেমি এডাল্ট মোট কথা যে কবুতরের ডিম বাচ্ছা করানোর বয়স হয়নি সে সব কবুতরকে রাখবেন ২নাম্বার লফটে।
জুন হিসেবে যদি ভাগ করি তাহলে কবুতরকে ৪জুনে বিভক্ত করা যায়।
যেমন
১,ব্রিডিং জুন
২,বাচ্চা মা বাবার কাছ থেকে আলাদা রাখার জন্য জুন
৩,নরের জুন
৪,মাদির জুন
৩/৪কে একত্রে রেস্ট জুন বলে।
নতুন যারা তাদের জন্য এটা আপদতো বাদ রাখলাম।
এর পরে যদি আপনি ২জুনের একটা লফট তৈরী করেন তাহলে এভাবে করতে পারেন।
যেমন,
১২ফিট বাই ৮ফিট ঘর বানাতে হবে। এই মাপটা বাজেট অনুযায়ী বাড়াতে পারেন কিন্তু আর কমামু যাবেনা।
মাপ অনুযায়ী একটা ১চালা ২চালা যে যেভাবে বানাতে চান।
ঘর বানাতে হবে।
চালাতে টিনের হিট যেন কম লাগে তার জন্য মলাটের কার্টুন বা ফমের ইনসুলিশন বা তেরপাল ইউজ করতে হবে সিলিং হিসেবে।
১২ফিট লম্বা হলে মাঝখানে একটা পাটিশন দিয়ে দুই জুনে বিভক্ত করুন।
ব্রিডিং লফটে ২৪*২৪সাইজের ৮খোপের একটা খাচা বানাতে হবে।
রেডিমেইড কিনে আনতে পারেন।
আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো আপনারা কখনই ব্রিডিং লফটে আজে বাজে খাচা দিয়ে ভর্তি করবেন না।
যথেষ্ট ফ্রি রাখার চেস্টা করবেন।
তিন দিক দিয়ে টিন দিয়ে সামনের দিক হাফ ওলালের মত করে বাকি যায়গাটা নেট করে দিতে হবে।
দুইটা জুনের জন্য দুই সাইটে দুইটা দরজা রাখতে হবে
দরজা গুলো স্বাভাবিক মাপের দিবেন যেন দরজা দিয়ে ৮খোপের খাঁচা প্রবেশ করাতে পারেন।
পিছনের দিক দিয়ে ছোট করে দুইটা জানালার ব্যাবস্থা করেতে হবে যাতে সামনের বাতাস পিছন দিক দিয়ে বের হয়ে যেতে পারে।
ঘরটা দক্ষিণ মুখি বা পূর্ব মুখি হলে ভাল হয় এতে
আলো বাতাস যথেষ্ট পরিমাণে পাবে।
আপনার লফট তৈরী শেষ হলে এর পর আপনি স্থীর করুন যে আপনি কি জাতের কবুতর পোষবেন।
অনেক জাতের কবুতর আছে
সব জাত মিলিয়ে কবুতরকে ৪টা সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে।
১,রেসার জাত, যেমন সবজি হুমা মাকসি হুমা মিলি হুমা গ্রিজেল হুমা অন্যান্য।
২,হাইফ্লাইয়ার জাত, গিরিবাজ টেডি শাহরণ পুরি কাল দম
অরো অনেক জাত এগুলো আকাশের উপরের দিকে উড়ে বিদায় এগুলোকে হাই ফ্লাইয়ার বলে।
৩,ফেন্সি জাত, এগুলো দেখতে খুবই সুন্দর, কিন্তু বেশির ভাগ ফেন্সি কবুতর উড়ে না। ফেন্সি জাতের কবুতরের অভাব নাই যেমন লাহরী, সিরাজী, জেকবিন আরো অনেক জাত বলে শেষ করা যাবে না।
৪,আমাদের দেশি জাত। এ নিয়ে বিস্তারিত বলার দরকার নাই কমবেশি সবাই যানে দেশি কবুতরের ব্যাপারে।
আমি নতুন দের জন্য বলবো যেকোন এক জাতের কবুতর দিয়ে শুরু করুন।
উদাহরণ
যদি হুমা জাতি কবুতর পোষেন মানে রেসার জাতি তাহলে ভাল দেখে মাস্টার পেয়ার পাশাপাশি কোন ভাল ব্রিডার থেকে কিনে ২/৩জোড়া দিয়ে শুরু করুন।
অন্যান্য কবুতরের বেলাও সেইম
যে কোন এক জাতের ২/৩জোড়া দিয়ে শুরু করুন
ইনশাআল্লাহ সফল হবে।
কবুতর লফটে আনা শেষ হলে
আপনি খাবারের প্রতি নজর দিন
যেমন ভাল মানের খাবার এখন অনলাইনে পাওয়া যায়। ৬০/৭০টাকা কেজিতে।
৩জুরার জন্য আপনি ১০কেজি খাবারে আনিয়ে রাখতে পারেন।
খাবার আনার পর রোদে শুকিয়ে আবদ্য পাত্রে সংরক্ষণ করতে হবে।
কবুতরের খাবার পানি অবশ্য বিশুদ্ধ হতে হবে।
খাবার পানি রাতে দিয়ে রাখবেন না।
লফট সবসময় পরিস্কার রাখা লাগবে
মনে রাখবেন ৯০%রোগ বালাই থেকে মুক্তি পাবেন শুধু পরিস্কার পরিছন্ন থেকে।
শুধু শুধু লফটে ঢুকে কবুতরকে বিরক্ত করবেন না।
ডিম না দিলে ধৈর্য দরুন।
এক লফট থেকে অন্য লফটে আসার পর কবুতরের একটু ডিম দিতে দেরি হয়।
সমস্যা নাই ঠিক হবে।
মনে রাখবেন ধৈর্য ধরলে ফলাফল ভাল পাবেন।
পরিশেষে,
চিকিৎসা, আপনি আলাদা দুইটা খাঁচা রাখবেন ২৪*২৪ বা ১৮*২৪
এটা আপনার কোন কবুতর অসুস্থ হলে কাজে আসবে। অসুস্থ কবুতরকে আলাদা নিরাপদ স্থানে রাখবেন লফট থেকে একটু দূরে।
আর নতুন কবুতর আনার পর সাথে সাথে লফটে না দিয়ে আলাদা খাঁচাতে রেখে ৪/৫দিন অবজারভেশনে রাখবেন।
দেখবেন কবুতরের পায়খানা বা কোন ধরনের সমস্যা আছে কিনা।
এর পর লফটে দিবেন। সরাসরি আপনার কবুতরের সাথে দিবেন না।
মাসিক কোর্স ও অন্যান্য ভিটামিন কোর্স আছে এগুলো নিয়ে আলোচনা করবো পরে কোন একদিন।
আপনিও এগুলো আস্তে আস্তে যেনে যাবেন।
এই নিয়মে ইনশাআল্লাহ সফল হবেন।
এর পরেও কোন কিছুতে প্রবলেম হলে বড় ভাইদের পরামর্শ নিবেন।
অনেক কিছু লিখার বাকি আছে
শেষ হবেনা।
কবুতরকে ভালবাসুন কবুতর আপনাকে নিরাশ করবেনা।।
ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন
অনেক ভুল ভ্রান্তি হতে পারে ক্ষামার দৃষ্টিতে দেখবেন।
বিশেষ দ্রষ্টব্য : এক জন বড় ভাই এর পোস্ট থেকে কপি করে দিয়েছি।