Sadik Pharmaceuticals Ltd.

Sadik Pharmaceuticals Ltd. সাদিক ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের এ?
(12)

02/10/2023
এক চোখ বন্ধ করে অন্য চোখ হালকা বন্ধ করে ছবিটি দেখুন৷  তার পর কি দেখতে পেলেন কমেন্টে জানান।
26/09/2023

এক চোখ বন্ধ করে অন্য চোখ হালকা বন্ধ করে ছবিটি দেখুন৷ তার পর কি দেখতে পেলেন কমেন্টে জানান।

দুইদিন টিউশনি করানোর পর তৃতীয় দিন ছাত্রীর মা আমায় ডেকে আমার হাতে একটা খাম দিয়ে বললো,- কাল থেকে তোমার আর আমার মেয়েকে পড়াত...
11/09/2023

দুইদিন টিউশনি করানোর পর তৃতীয় দিন ছাত্রীর মা আমায় ডেকে আমার হাতে একটা খাম দিয়ে বললো,
- কাল থেকে তোমার আর আমার মেয়েকে পড়াতে হবে না। তুমি দুই দিন আমার মেয়েকে পড়িয়েছো। আমি তোমাকে ১ মাসেরই টাকা দিলাম।
আমি অবাক হয়ে ছাত্রীর মাকে বললাম,
-- আন্টি কিছু মনে না করলে জানতে পারি আমার অপরাধটা কি?
আন্টি অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে বললো,
- না, তোমার কোন অপরাধ নেই। এমনিতেই তোমাকে আসতে হবে না।

আমি তখন ছাত্রীর মাকে বললাম,
-- আন্টি আমি আপনার মেয়েকে ১ মাস পড়াই। তারপর যদি আপনার মনে হয় আমি আপনার মেয়েকে ঠিক মত পড়াতে পারছি না; তখন না হয় আমাকে বাদ দিয়ে দিবেন। আমার আপত্তি থাকবেনা।

এইবার ছাত্রীর মা আমার দিকে তাকিয়ে বললো,
- আসলে আমার মেয়ে তোমার কাছে পড়তে চাচ্ছে না। শুধু ভালো পড়ালেই হয় না একটু দেখতে শুনতেও ভালো হতে হয়। তোমায় দেখলে না কি আমার মেয়ে ভয় পেয়ে যায়...
আমি আন্টির হাতে খাম দিয়ে বললাম,
-- টিউশনি করাতে হলে যে ফর্সা ভালো চেহারার অধিকারী হতে হয় তা আগে জানতাম না। যদি জানতাম তাহলে বিশ্বাস করেন আমি আপনার মেয়েকে পড়াতে আসতাম না...
ছাত্রীর বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তায় হাটছি আর কলেজ জীবনের কথা ভাবছি। কলেজে একবার একটা অনুষ্ঠানের উপস্থাপনার জন্য স্যার ভালো একজন উপস্থাপক খুঁজছিলেন। আমি সবার সামনে হাত তুলে বলেছিলাম,
- স্যার, আমি ভালো উপস্থাপনা করতে পারি। স্কুলে পড়ার সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমি উপস্থাপনা করতাম..
স্যার আমার ভালো করে দেখে হাসতে হাসতে বলেছিলো,
-- তোর মত কাউয়া(কাক) যদি উপস্থাপনা করে তাহলে অনুষ্ঠানে যে কয়জন মানুষ আসবে সেই মানুষগুলোও পালাবে...
স্যারের এই এক কথাতে রাতারাতি আমার নাম আবুল বাশার পিয়াস থেকে "কাউয়া বাশার পিয়াস" হয়ে গিয়েছিলো। তখন আর কেউ আমায় আবুল বাশার পিয়াস নামে চিনতো না। সবাই চিনতো "কাউয়া পিয়াস" নামে...

কয়েকদিন আগে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকা যাচ্ছিলাম। আমার পাশের সিটে বসেছিলো সুন্দরী একটা মেয়ে। আমি যখন আমার সিটে বসতে যাবো তখনি মেয়েটা নাক মুখ ওড়না দিয়ে চেপে ধরলো। বাস কিছু দূর যাবার পরেই মেয়েটা বাসের কন্ট্রাক্টরকে ডেকে বললো,
- আমায় এই সিটটা পাল্টে দেন তো। আমি অন্য কোথাও বসবো।
বাসের কন্ট্রাক্টর আমার দিকে অগ্নি দৃষ্টি নিয়ে তাকালো। তারপর মেয়েটাকে বললো,
-- আপা, এই লোকটা কি আপনার সাথে অসভ্যতামি করেছে? যদি কোনোরকম কিছু করে থাকে তাহলে বলেন। আমি এখনি লোকটাকে বাস থেকে নামিয়ে দিতেছি। কন্ট্রাক্টরের মুখ থেকে এমন কথা শুনে বাসের অন্য সব যাত্রীরা আমার উপর ক্ষেপে উঠলো। একজন লোক চিৎকার করে বললো,
~ অবশ্যই নোংরামি করেছে। তা না হলে আপা সিট ছেড়ে উঠতে যাবে কেন।
এক ভদ্রমহিলা মুখ বাঁকিয়ে বললো,
~ চেহারা দেখেই বুঝা যায় বদমাইশ টাইপ। এইসব কুলাঙ্গারদের জন্য মেয়েদের রাস্তাঘাটে চলাচলই এখন দায় হয়ে পড়েছে।

এমন একটা অবস্থা হয়ে পড়েছিলো যে বাসের সবাই মিলে এখন আমায় মারতে আসবে। আমি বহু কষ্টে সবাইকে থামিয়ে দিয়ে মেয়েটাকে বললাম,
-- আপনি আমার ছোট বোনের মত। আমি কি আপনার সাথে কোন নোংরামি করেছি?
মেয়েটা মাথা নিচু করে বললো,
- না।
আমি তখন বাসের যাত্রীদের বললাম,
-- ভাই আমার অপরাধ কি জানেন? আমার অপরাধ হলো আমি দেখতে কালো। আপনাদের মত সাদা চামড়ার কিছু মানুষ মনে করে আমাদের মত কালো মানুষের গা থেকে গন্ধ বের হয়। আপনাদের ধারণা পৃথিবীর সমস্ত খারাপ মানুষ কালোই হয়৷

যে ভদ্রমহিলা আমায় বদমাইশ, কুলাঙ্গার বলেছিলো সেই মহিলার কাছে গিয়ে বললাম,
-- আপনি আমার চেহারা দেখেই বুঝে গেলেন আমি বদমাইশ। বিশ্বাস করেন আমি কোনো বদমাইশি করছি তো দূরের কথা আজ পর্যন্ত কোনো মেয়ের দিকে খারাপ দৃষ্টিতে তাকাছি পর্যন্ত না। কিন্তু কেন জানি না এই মুহূর্তে আপনার সাথেই আমার বদমাইশি করতে ইচ্ছে করছে...
|
|

নিউমার্কেট এসেছিলাম কিছু শপিং করতে। এমন সময় আমার রুমমেট রাকিব ফোন দিয়ে বললো,
- মেসে আসার সময় দোকান থেকে আমার জন্য একটা ফেয়ার এন্ড হ্যান্ডসাম ক্রিম নিয়ে আসিস তো। আমি তোকে পরে টাকা দিয়ে দিবো।

রাকিবের কথা মতন কসমেটিকসের দোকানে গিয়ে ক্রিমের কথা বলতেই দোকানের ছেলেটা আমায় দেখে মুচকি হাসলো। তারপর আমার হাতে ক্রিমটা দিতে দিতে বললো,
- শুধু শুধু ভাই টাকা গুলো জলে ফেলবেন। আপনার যে কালার আপনাকে যদি ৩ দিন ৩ রাত হুইল পাউডার দিয়ে পানিতে ডুবিয়ে রাখা হয়; তবুও আপনার কালারের বিন্দুমাত্র পরিবর্তন হবে না।

দোকানের ছেলেটার কথা শুনে মনে হচ্ছিলো ওর গালে একটা সজোরে থাপ্পড় মারি কিন্তু ওরই বা কি দোষ। দোষ তো আমার বাবা মার। কারণ উনারা আমাকে জন্ম দিয়েছে।

দোকান থেকে বের হয়েই মাকে ফোন দিলাম। মা ফোনটা রিসিভ করতেই আমি মাকে বললাম,
-- মা, শুনেছি বাবা মা কোনো পাপ করলে তার দায়ভার কিছুটা সন্তানের উপর এসে পড়ে৷ তোমরা কি কোনো পাপ করেছিলে যার ফল স্বরূপ তোমাদের ঘরে আমার মত একটা কালো ছেলে জন্ম নিলো।

মা আমার কথা শুনে কাঁদতে কাঁদতে বললো,
-তুই আবার তোর গায়ের রঙ কালো দেখে মন খারাপ করছিস? তুই কালো দেখে কি হয়েছে। তুই আমার কাছে সোনার টুকরো ছেলে।
মা কেঁদে দিয়েছিলো দেখে আমি মাকে হাসানোর জন্য বললাম,
-- দেখলে মা তুমিও আমায় তেমন ভালোবাসো না। যদি ভালোবাসতে তাহলে সোনার টুকরো না বলে হীরের টুকরো বলতে।

আমার কথা শুনে মা হাসতে হাসতে বললো,
- তুই আমার কোহীনূর হীরার টুকরো ছেলে...
|
|
সবাই আমাকে কালো বলে দূরে সরিয়ে রাখলেও মা বাবার দোয়া সবসময় আমার সাথেই ছিলো। আর সে জন্যই হয়তো আমি খুব ভালো একটা চাকরি পেয়েছি। চাকরি পাওয়ার পর থেকেই আমার উপর বাবা মা অত্যাচার করা শুধু করলো বিয়ের জন্য। আমিও বিয়ে করবো বলে রাজি হয়েছি তবে একটা শর্ত দিয়েছি। বিয়ে করলে আমি কালো কোন মেয়েকেই করবো।

আজ মেয়ে দেখতে যাবো। মাকে ডেকে বললাম,
- মেয়ে কালো তো?
মা বললো,
-- আমি মেয়েকে এর আগেও দেখেছি। মেয়ের গায়ের রঙ কালোই। কিন্তু আজ আমরা দেখতে যাবো বলে মেক-আপ করে হয়তো সুন্দরী হয়ে যাবে। তবে চিন্তা করিস না। মুখ ধোঁয়ার পর মেয়ে আবার কালো হয়ে যাবে...

আমরা ড্রয়িং রুমে বসে আছি মেয়ে দেখার জন্য। কিছুক্ষণ পর মেয়ে আসলো। মেয়েকে দেখেই কয়েক মিনিটের জন্য আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম। একটা মেয়ে কি করে এত সুন্দর হতে পারে। ভালো করে মুখের দিকে তাকিয়ে দেখি মুখে কোন মেকাপ নেই। শুধু চোখে হালকা একটু কাজল আছে। মেয়ে দেখা শেষ হলে আমি মাকে আড়ালে ডেকে নিয়ে বললাম,
-- মা, তুমি না বলেছিলে মেয়ে কালো। এই মেয়ে তো দেখছি বেজায় সুন্দরী। শুধু সুন্দর না ভয়ংকর রকম সুন্দরী। তোমায় আগেই বলেছিলাম আমি, নিজে যেমন ঠিক তেমন মেয়েই বিয়ে করবো।
আমার কথা শুনে মা বললো,
-আরে মেয়ে সুন্দর না। মেক-আপ করেছে তো তাই সুন্দর লাগছে।
আমি মায়ের হাতটা ধরে বললাম,
-- কেন শুধু শুধু মিথ্যা বলছো মা। মেয়ে কোনো মেক-আপ করে নি। এত সুন্দর একটা মেয়ে।হয়তো ও চাইবে ওর হাজবেন্ড যেন খুব সুদর্শন হয়। আমার সাথে বিয়ে হলে দেখা যাবে মেয়েটার লাইফটাই নষ্ট হয়ে গেছে। আমার সাথে একটা সেলফি তুলতে পারবে না। বান্ধবীদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে লজ্জা পাবে। একসাথে ঘুরতে লাজ্জা পাবে।
আমার কথা শুনে মা কাঁদতে কাঁদতে বললো,
- তুই কালো হয়েছিস দেখে কি একটা সুন্দরী মেয়ে বিয়ে করতে পারবি না?

আমি মাকে জড়িয়ে ধরে বললাম,
-- না পারি না মা। একটা সুন্দরী মেয়ে কখনোই একটা কালো ছেলেকে বিয়ে করতে চায় না। যদি কখনো বিয়ে করতে রাজি হয় তাহলে ভেবে নিবে হয় মেয়েটা বাবা মায়ের চাপে বিয়ে করতে রাজি হয়েছে। নয়তো কালো ছেলেটার খুব ভালো ক্যারিয়ার আছে সেজন্য রাজি হয়েছে...

দুপুরে অফিসে বসে কাজ করছি। এমন সময় একটা অচেনা নাম্বার থেকে কল আসলো। আমি ফোনটা রিসিভ করতেই অপর প্রান্ত থেকে একটা মেয়ে বললো,
- আমি শ্রাবণী। কাল আপনারা যে মেয়েটাকে দেখতে গিয়েছিলেন আমিই সেই মেয়ে।
আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম,
--আপনি আমায় হঠাৎ ফোন দিলেন যে?
মেয়েটি তখন বললো,
- আমি আপনার অফিসের নিচে। দয়া করে একটু আসবেন? আপনার সাথে আমার জরুরী কিছু কথা আছে....

একটা রেস্টুরেন্টে আমি আর মেয়েটি বসে আছি। রেস্টুরেন্টের অনেকেই আমাদের হা করে দেখছে। আমি চেয়েছিলাম রেস্টুরেন্ট বাদে অন্য কোথাও বসতে কিন্তু মেয়েটিই আমায় জোর করে এইখানে নিয়ে আসলো।

কফির মগে মেয়েটি চুমুক দিতে দিতে আমায় বললো,
-- সত্যি বলতে আপনাকে আমার প্রথম দেখাতে ভালো লাগে নি। কিন্তু আড়লে যখন আপনি আপনার মায়ের সাথে কথা বলছিলেন আমি আপনার সব কথা শুনে নিয়েছিলাম। তারপর থেকেই আপনাকে প্রচন্ড ভালোবেসে ফেলেছি। ১ মিনিটের কথা শুনে যে কাউকে ভালোবেসে ফেলা যায় সেটা যদি আমার সাথে না ঘটতো তাহলে আমি হয়তো কখনোই বিশ্বাস করতাম না।

আমি মাথা নিচু করে বললাম,
-- তারমানে আপনি আমায় করুণা করছেন?
মেয়েটি কফির মগটা রেখে আমার হাতধরে বললো,
- আমায় একটাবার সুযোগ দাও। আমি তোমায় এতটাই ভালোবাসবো যে মেয়েদের সম্পর্কে তোমার ধারণাটাই পাল্টে দিবো....

ডাক্তারের চেম্বারের সামনে বসে আছি। এমন সময় দেখি ডাক্তারের চেম্বার থেকে আমার ছাত্রী পিহু আর ওর মা বের হচ্ছে। আমি আন্টিকে সালাম দিয়ে বললাম,
-- আন্টি আমায় চিনতে পেরেছেন? আমি আপনার মেয়েকে দুইদিন পড়িয়েছিলাম। কিন্তু ৩ দিনের দিন আমায় বের করে দিয়েছিলেন।
আন্টি তখন বললো,
- হ্যাঁ। চিনতে পেরেছি..

এমন সময় রুম থেকে শ্রাবণী এসে বললো,
- সরি সরি, আজ রোগীর খুব চাপ ছিলো তাই দেরি হয়ে গেলো। অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছো। তাই না?
আমি তখন আন্টিকে বললাম,
--আন্টি, আমার স্ত্রী শ্রাবণী।
আর শ্রাবণীকে বললাম,
- ও হলো পিহু। একসময় আমার ছাত্রী ছিলো।
শ্রাবণী মুচকি হেসে বললো,
-- হ্যাঁ আমি জানি ওর নাম পিহু। আমিও ওর ট্রিটমেন্ট করছি।

আন্টি আর পিহু আমাদের দিকে হা করে তাকিয়ে রইলো। আমি হেঁটে যেতে যেতে শ্রাবণীকে বললাম,
-- পিহুর কি হয়েছে?
শ্রাবণী বললো,
- এক টিচারের সাথে ওর শারিরীক সম্পর্ক ছিলো। পরে প্রেগন্যান্ট হয়ে যায়। কোন ক্লিনিকে যেন এভরসন করিয়েছে। এখন বিয়ের পর আর বাচ্চা হচ্ছে না...
হঠাৎ শ্রাবণী দাঁড়িয়ে বললো,
- ঐ, এই টিচারটা তো কোনোভাবে তুমি নাতো?
আমি রেগে গিয়ে বললাম,
-- আমি কেন হতে যাবো?আমি কালো বলেই তো আমাকে ৩ দিনের দিন বের করেই দিয়েছিলো।
আমার কথা শুনে শ্রাবণী হাসতে হাসতে বললো,
- নীল শার্টে তোমায় খুব সুন্দর লাগছে।
আমি মাথা নিচু করে বললাম,
-- কাউয়ার মত লাগছে...
আমার কথা শুনে শ্রাবণী আমার হাত ছেড়ে দিয়ে বললো,
- যে ছেলে নিজে নিজেকে সম্মান করে না;তাকে মানুষে কিভাবে সম্মান করবে..
শ্রাবণী রাগ করে একা একা হাঁটছে। আর আমি ওর পিছু পিছু যাচ্ছি আর ভাবছি, কালো কলঙ্কের দাগ হলেও মাঝে মধ্যে কালোকে বাদে সাদাকে অসম্পূর্ণ লাগে..
পোস্ট ভাল লাগলে অবশ্যই লাইক, কমেন্ট করবেন প্লীজ।

প্রতিনিয়ত আপডেট পেতে ফলো করে রাখুন 🥰

(সংগৃহীত)

1997 সালের  ঘটনা  ভারত বনাম পাকিস্তানের ম্যাচ চলছিল। ইনজামাম  সব সময়ই একটু মোটা ছিল , সেই সময় ইনজামাম উল হক থার্ডম্যান...
28/08/2023

1997 সালের ঘটনা ভারত বনাম পাকিস্তানের ম্যাচ চলছিল। ইনজামাম সব সময়ই একটু মোটা ছিল , সেই সময় ইনজামাম উল হক থার্ডম্যানে ফিল্ডিং করছিল , তো একজন ভারতীয় দর্শক ইনজামাম-উল-হককে দেখে "আলু আলু" বলে চিৎকার করে খেপাচ্ছিল। তখন ইনজামাম খুব রেগে গেছিল। সে আমাদের দলের টুয়েলভ ম্যান মোহাম্মদ হোসায়েনকে ডেকে বলেছে "আমার একটা ব্যাট দরকার। "

টুয়েলভ ম্যানের জিজ্ঞাসা করা উচিত ছিল "ইনজামাম তুই ফিল্ডিং করছিস তোর এখন ব্যাট কেন দরকার ? " তা জিজ্ঞাস না করে আমাদের দলের টুয়েলভ ম্যান ব্যাট নিয়ে আসলো ইনজামামের জন্য। ওভার শেষ হওয়ার পর ইনজামাম ব্যাট দিয়ে সেই ভারতীয় দর্শককে মারতে শুরু করল। তাই ইনজামামের উপর পুলিশ কেস হয়ে গেছিল।এই ঘটনা তো কোনক্রমে শেষ হলো

এরপর 1999 সালের ঘটনা দিল্লিতে ভারত - পাকিস্তান ম্যাচ চলছে, ইনজামাম ভালো ব্যাটিং করছে। আমি আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছি। এবার পুরো স্টেডিয়ামের ভারতীয় দর্শক ইনজামামকে আবার "আলু আলু " বলে খেপানো শুরু করেছে। আমি তখন পাকিস্তানের অধিনায়ক ছিলাম, আমি ইনজামামের কাছে গেলাম আর বললাম "দেখ ইঞ্জি তুই রেগে গিয়ে ভুল শট খেলে আউট হয়ে যাস না আবার"

তখন ইনজামাম আমাকে বলছে "কি বলছো ওয়াসিম ভাই, চল্লিশ হাজার লোক আমাকে দেখে "আলু আলু" বলে খেপাচ্ছে আর তুমি বলছো আমি রাগবো না।"তখন আমি আর কি বলব আমি চুপচাপ ওর কথা শুনছিলাম আর মনে মনে হাসছিলাম । এই ঘটনা নিয়ে আমরা পরে অনেক হাসাহাসি করেছিলাম (হাসি)

~ ওয়াসিম আকরাম (পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক)

31/07/2023

স্বনামধন্য ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি সাদিক ফার্মাসিউটিক্যালস লিঃ এ একজন Sub-Assistant Engineer(operation&maintenance) প্রয়োজন। ০১৭১০৯৫৮২৮৮

আম্মাকে নিয়ে আমাদের পাঁচ ভাইবোনের গোপন মিটিং চলছে। রুদ্ধদ্বার বৈঠক, দোতলায় বড় ভাইয়ার ফ্ল‍্যাটে। আম্মা এখন সবার মা...
25/07/2023

আম্মাকে নিয়ে আমাদের পাঁচ ভাইবোনের গোপন মিটিং চলছে। রুদ্ধদ্বার বৈঠক, দোতলায় বড় ভাইয়ার ফ্ল‍্যাটে। আম্মা এখন সবার মাথা-ব‍্যথার বড় কারণ। কোন ভাইবোনই এখন আর উনার দেখভালের দায়িত্বটা নিতে আগ্রহী নয়।

অনেকটা বাধ্য হয়েই তাই ভাইবোনদের এই মিটিংটা!আমাদের সবচাইতে ছোটবোন নিপা, মিটিং সফল করতে সবার সাথে যোগাযোগ করেছে। এরই ফলে সব ভাইবোনদের স্ত্রী স্বামী সহ এ মিটিংয়ে উপস্হিতি।

আমার স্ত্রী সোমা মিটিংয়ে আসার আগে পই পই করে আমাকে শিখিয়ে দিয়েছে। যে করেই হোক আমি যেন মায়ের দেখাশোনার দায়িত্বটা এভয়েড করি। আমার দুই মেয়ে দুজনেই নামী ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে আছে। একজন "এ" আর একজন "ও" লেভেলে! ভালো করে এখন ওরা বাংলাই বলতে পারে না! ভীষণ গেঁয়ো আর আনস্মার্ট দাদিকে ওদের একেবারেই অপছন্দ! বন্ধুদের কাছে নাকি উনাকে নিয়ে ওদের প্রেস্টিজ থাকে না!

আর সোমার কাছে মা যেন একটা মূর্তিমান আতঙ্ক। গত মাসে আমাদের বারান্দায় আম্মার পানের পিক ফেলানোর কষ্টটা সোমা এখনোও ভুলতে পারছে না। আমিও আমার স্ত্রী সন্তানদের প্রতি অনেক কেয়ারিং। বাসায় মায়ের উপস্হিতিটাতে আমারও কেন জানি ইদানীং একটু অস্বস্তি হয়। তবে মা যদি দোতলায় ভাইয়া বা তিনতলায় ছোট বোনের বাসায় থাকে, তাতে আমার কোন আপত্তি নেই। পাঁচতলায় উঠানামার পথে, মাঝে মধ‍্যে খাবার বা শাড়ি-জামা নিয়ে মাকে দেখা করাটা আমার জন‍্য কোন ব‍্যাপারই না!

মিটিং শুরু হতেই বুঝতে পেরেছিলাম, প্রত‍্যেকের যুদ্ধংদেহী মনোভাবটা! সবাই কঠোর প্রস্ততি নিয়ে এসেছে যে-করেই হোক মায়ের দায়িত্বটা এড়িয়ে যাবে। তবে আপনারা যতটা খারাপ ভাবছেন, অতটা খারাপ আমরা কেউই না। বাসায় একসঙ্গে রাখবেন না তবে টাকা-পয়সা বা প্রয়োজনীয় জিনিস দিতে কারোরই কোনরকম আপত্তি নেই।

আমাদের মা রাহেলা খাতুন। লোকে উনাকে রত্নগর্ভা বলেন। পাঁচ ভাইবোনকে বলতে গেলে এক হাতেই মানুষ করেছেন। আমাদের বাবা শফিকুল হক ব‍্যস্ত ব‍্যাংকার ছিলেন। তার উপর নিজের ভাইবোন বা সামাজিক কাজ নিয়েই উনি আজীবন ব‍্যস্ত ছিলেন! ছেলে মেয়েদের খুব একটা সময় দিতেন না। তবে আব্বা কষ্ট করে খিলগাঁওয়ের এই পাঁচতলা বাড়িটা করে গিয়েছিলেন। আমাদের ভাইবোনদের ঢাকায় থাকার সমস্যাটা সমাধান করে গেছেন বলে আব্বার প্রতি আমরা সব ভাইবোনরাই কৃতজ্ঞ!

আম্মা অবশ‍্য ছোটবেলা থেকেই আব্বার অভাবটা বেশ ভালোভাবেই পুষিয়ে দিতেন। পাঁচ ভাইবোনের জন‍্য এমনকি উনি একদিনের জন‍্যও কখনোই কোথায় বেড়াতে যাননি! খাবার দাবারের জন‍্যও কখনো আমাদের কোন রকম কমপ্লেন করতে হয়নি। সব কিছু রেডি থাকতো! পড়াশোনার ব‍্যাপারেও মায়ের ভীষণ আগ্রহ, এক বিন্দুও ছাড় দেননি। গৃহশিক্ষক বা ব‍্যাচে পড়ার বিষয় তদারকি করতেন কঠোরভাবে।

বড় ভাইয়া যখন বুয়েটে ভর্তি হন, মা প্রথম কিছুদিন রিকশায় করে ভার্সিটিতেও উনাকে দিয়ে আসতেন। এ নিয়ে ভাইয়ার বন্ধুরা এখনো ভাইয়াকে খেপায়! আমার বড়বোন নীপা আপা আর ছোট বোন নীলাকেও রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রতিদিন স্কুল কলেজে নিয়ে গিয়েছেন। নীলা আবার প্রতি শুক্রবার গানের স্কুলেও যেত, তাইতো আম্মা আব্বার সাথে কখনোই ছুটির দুপুরটাও কাটাতে পারেনি। তবে এগুলো নিয়ে আম্মার কখনোই কোন কোন আফসোস নেই, শেষ পযর্ন্ত আমরা ভালোভাবে দাঁড়াতে পেরেছি বলেই।

সবকিছুই ঠিক ছিল। গত বছর আব্বা হঠাৎ করে মারা যাওয়ার পরই বিপত্তির শুরু। আব্বার রিটায়ারমেন্টের পর আম্মার সাথেই উনার জীবন, তিনতলার ফ্ল‍্যাটটায় দুজনে বেশ ভালো সময় কাটাচ্ছিলেন।

এর মধ‍্যে বড় ভাইয়া বিয়ে করে দোতলায়, আর বড়আপা চারতলার দখল নিল। আর আমিও সোমাকে বিয়ে করে এ বাড়ির পাঁচতলায় প্রায় দেড় যুগ ধরে। সবচাইতে ছোট ভাই সোহেলও বিয়ে করে এ বাড়ি ছাড়েনি, একতলার দখল নিয়েছে। শুধু ছোট বোন নীলা বিয়ের পর রামপুরায় ওর শশুরবাড়িতে থাকত। এই নীলাও শেষ পযর্ন্ত বাবা-মার তিনতলার দখল নিল, আব্বা মারা যাওয়ার পরপরই।

আব্বা জীবিত থাকতে আমাদের ভাইবোনদের এক সাথে থাকায় কোন সমস‍্যাই হয়নি। আব্বার নেতৃত্বেই সবকিছু চলত এমনকি এক সাথে গরু কোরবানি দেওয়া। ভাইবোনরা প্রায়ই তিনতলায় বাবা মার ফ্ল‍্যাটে একসাথে মিলিত হতাম, বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ছুতোয়। এরপর বটবৃক্ষ বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই পরিবারের বাঁধনটা হালকা হয়ে আসতে লাগল।

মা তখন একা হয়ে পড়লেন, বাসায় আনএটেনডেন্ট অবস্থায় একবার সেন্সলেস হয়ে যাওয়ার পর পালাক্রমে এখন ভাইবোনদের ফ্ল‍্যাটে থাকেন। তবে সত‍্যি বলতে আমরা ভাইবোনরা কেউই আম্মার সাথে থাকার এ বিষয়টি পছন্দ করছি না। তার উপর আম্মা প্রায় সারাবছরই অসুস্থ থাকেন। উনাকে নিয়ম করে ওষুধ খাওয়ানো, ডাক্তার দেখানো বা সেবা শুশ্রূষা করার মতো সময় আমাদের কারোরই নেই। প্রত‍্যেকেই এখন নিজ নিজ সংসার নিয়ে ভীষণ ব‍্যস্ত। তাইতো একপ্রকার বাধ‍্য হয়েই ভাইবোনদের মিটিং ডাকা, গ্রহণযোগ‍্য কোন সমাধান খুঁজে বের করতেই।

মিটিংটা শান্তিপূর্ণই ছিল! হঠাৎ করেই ছোটবোন নীলা বড় ভাবির কথাতে রিএক্ট করতেই পরিস্হিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠল। ভাবি কিন্তু ভালো একটা প্রস্তাব দিয়েছিলেন, মাকে দেখে শুনে ভালো একটা বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানো। মাথা মোটা নীলা এটা শুনেই রিএক্ট করলো, ও বলতে চাইছে মা এ বাড়িতেই থাকবে। আর মায়ের দায়িত্বটা নিতে হবে আমাদের তিন ভাইয়ের!

কথাটা শুনে বড়ভাবির পক্ষ নিয়ে ছোটভাই সোহেল নীলাকে ধমক দিতেই পরিস্হিতিটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেল। আমি অবশ‍্য আগে থেকেই জানতাম নীলার উপর সোহেলের থাকা ক্ষোভটার কথা! বাবা মার তিনতলার ফ্ল‍্যাটটার দিকে সোহেলের নজর আগে থেকেই ছিল। নীলা ওর বাড়া ভাতে ছাই দিয়ে ওটার দখল নিয়ে নিয়েছিল। তাইতো সোহেল সুযোগ পেয়েই নীলাকে অপদস্থ করেছিল।

নীলা, বড় ভাবি, সোহেল আর পরবর্তীকালে আমাদের সবার চিৎকার চেঁচামেচিতে মিটিংটা আর গোপন থাকল না। মা তিনতলা থেকে নেমে দোতলায় আসলেন। সব কথাই শুনলেন আর বুঝলেন! আম্মাকে শুধু দেখেছিলাম কাঁদতে কাঁদতে তিনতলায় গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিতে। এরপর কোন রকম সমাধান ছাড়াই মিটিং শেষ করে যে যার ফ্ল‍্যাটে চলে গেলাম। আম্মার নাকি কান্নাটায় সোমা কেনো, আমি নিজেও খুব বিরক্ত হয়েছিলাম। উনার জন‍্যই এখন ভাইবোনদের মধ‍্যে এসব অহেতুক মনোমালিন‍্য আর ঝগড়া!

পরদিন সকালে সোমা জানাল আম্মাকে নাকি এ বাসায় আর পাওয়া যাচ্ছে না। কাউকে কিছু না বলেই ভোরে এ বাসা ছেড়ে চলে গেছেন! ভাইয়াকে ফোন করতেই দেখলাম, আম্মার এভাবে চলে যাওয়ায় উনি আমার মতই বিরক্ত, সোহেলও। আম্মার বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে আমরা যে যার মতো অফিসে চলে গেলাম।

লাঞ্চ আওয়ারে সোমা ফোন করে জানাল উকিল আংকেল নাকি বিকেলে আমাদের ভাইবোনদের সাথে কথা বলতে চান। উকিল আংকেল বাবার দূরসম্পর্কের কাজিন, আমাদের পারিবারিক আইনি বিষয় আজীবন উনিই দেখে গেছেন। আর আংকেলই সোমাকে জানিয়েছেন যে, মা এখন জয়পাড়ায় মামাদের বাড়িতে! কথাটা শুনে গুরুত্ব দিলাম না, সারাজীবন মামার বাড়িতেই থাকুকনা আমাদেরকে না জ্বালিয়ে। সোমাও আমার বলা কথাটায় সায় দিয়ে ফোনটা রেখে দিল।

সন্ধ্যায় উকিল আংকেলের কথা শুনে আমাদের সব ভাইবোনদের আক্কেল গুড়ুম। আব্বা মৃত্যুর আগে পুরো বাড়িটা নাকি আম্মাকে লিখে দিয়ে গেছেন। আইনত এই বাড়ির পুরো মালিকানা নাকি এখন একমাত্র আম্মারই! আর সবচাইতে ভয়াবহ সংবাদ, মা নাকি এখন বাড়ি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। উকিল আংকেল এসেছেন আমাদেরকে মায়ের সিদ্ধান্তটা ফর্মালি জানাতে। কথাটা বিশ্বাসযোগ‍্য করতে বাড়ির নতুন দলিলটাও দেখালেন, রাহেলা খাতুনের নামে।

কথাটা শুনেই আমাদের সব ভাইবোনের মাতৃভক্তি চরমে উঠে গেল! একই সাথে সবাই মাকে ফোন দিতেই, মায়ের ফোন বন্ধ পেলাম। সবাই দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়লাম, এমনকি বড় ভাবিটা কাঁদতেও শুরু করে দিলেন। অবাক হলাম আমার স্ত্রী সোমা সবার সামনে ঘোষণা দিল, আম্মা এখন আমাদের সাথেই থাকবে। কিন্তু সোমার প্রস্তাবটা ধোপে টিকল না। বড় ভাবি, সোহেল আর নীলার মধ‍্যে কথা কাটাকাটি চলছিল, প্রত‍্যেকেই এখন মাকে নিজের সাথে রাখতে চায়।

আমি তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নিলাম, এখনই জয়পাড়ায় গিয়ে মাকে নিয়ে আসব। সোমাকে চোখ-টিপ দিয়ে পাঁচতলায় নিয়ে আসলে, সেও গোঁ ধরল এই সন্ধ্যায় আমার সাথে জয়পাড়ায় যাবে। আম্মার পানের পিক ফেলানোর কষ্টটা এখন ওর হৃদয় থেকে কর্পূরের মতো উড়ে গেছে। আশ্চর্য হলাম শুনে, আম্মার সাথে বেয়াদবি করলে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়া দুটো কন‍্যাকে নাকি এখন থেকে থাপ্পর দেবে বৌ!

তড়িঘড়ি করে নিচে গ‍্যারেজে আসতে দেখি, ভাইয়া আর আপার গাড়িও রেডি! উনারাও জয়পাড়া যাচ্ছেন মাকে আনতে। আমার গাড়ি স্টার্ট দিতেই দেখি, ছোট দুই ভাইবোন সোহেল আর নীলা এক গাড়িতে, ওরাও বোধ হয় জয়পাড়াই যাচ্ছে।

আমি অবশ্য ওদেরকে কোথায় যাচ্ছে জিজ্ঞেস করে আর সময় নষ্ট করতে চাইছিলাম না। আমার আর সোমার দুজনের এখন খুব মন খারাপ। মা সেই ভোর থেকে একা আছে। ডায়বেটিস আর প্রেসারের রোগী! ওষুধটা ঠিকমতো খেয়েছে কিনা? দুপুরেই বা কি খেয়েছে? এসব ভাবতে ভাবতেই গাড়িতে একটু স্পিড দিলাম। সময় নষ্ট করা যাবে না, না আর এক মুহূর্তের জন‍্যও না!

(সমাপ্ত )

এই গল্পঃ বাস্তবতা শিখিয়েছে কিভাবে বৃদ্ধ বয়সে স্বার্থপর অকৃতজ্ঞ সন্তানদের শিক্ষা দিতে হয়। মা বাবা জানেন সন্তানেরা কেমন, তাই বুঝে শুনে ব্যবস্থা নিন। ইসলামে বৃদ্ধ মা বাবার সেবা করা যত্ন নেয়া আবশ্যকীয় দ্বায়িত্ব। অনেক ফ্যামিলিতে মা বাবার জন্য সন্তানরা জানপ্রাণ। আবার কিছু কুলাঙ্গার তো আছেই যাদের দুনিয়া ও আখিরাতের দুটোই শেষ।

ইসলামে মায়ের সম্মান যা প্রত্যেক মুসলিম এর জন্য প্রযোজ্য :

মা হজ্জ্ব :-সন্তান তার মা-বাবার দিকে যতবার অনুগ্রহের নজরে তাকায়, আল্লাহ প্রতিটি দৃষ্টির বিনিময়ে একটি করে কবুল হজ্জ্বের সাওয়াব দান করেন (বায়হাকি-মিশকাত, পৃ. ৪২১)

মা জান্নাত :-
মায়ের পায়ের তলে সন্তানের বেহেশত (আহমাদ, নাসাঈ)

মা জিহাদ :-
নামাযের পরই পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করার চেয়েও (বোখারী)

মা দোয়া কবুলের গ্যারান্টি :-
সন্তানের জন্য মাতা-পিতার দোয়া অবশ্যই কবুল হয়, তাতে কোনো সন্দেহ নেই (তিরমিজি)

মা আল্লাহর সন্তুষ্টি :-
আল্লাহর সন্তুষ্টি মাতা-পিতার সন্তুষ্টিতে এবং আল্লাহর অসন্তুষ্টি মাতা-পিতার অসন্তুষ্টিতে (তিরমিজি)

মা ধ্বংস থেকে রক্ষাকবজ :-
সেই সন্তানের ধ্বংস অনির্বায, যে তার মাতা-পিতাকে অথবা দুইজনের একজনকে বৃদ্ধাবস্থায় পেল অথচ তাদের খেদমত করে জান্নাতে যেতে পারল না (সহীহ মুসলিম)

মা জান্নাতের সুঘ্রাণ :-
৫০ হাজার বছরের দূরত্বে জান্নাতের ঘ্রাণ পাওয়া যায়। আর অবাধ্য সন্তান এ ঘ্রাণও পাবে না (তাবরানি)

মা জান্নাতের নেয়ামত :-
পিতা-মাতার অবাধ্যচারী সন্তানকে আল্লাহ কখনই জান্নাতের নেয়ামতরাজির স্বাদ নেবারও সুযোগ দেবেন না। তবে তারা তওবা করলে ভিন্ন কথা (তিরমিজি)

মা ইবাদত :-
"আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করো" (সূরা বনী ইসরাঈল:২৩) {এ আয়াতে আল্লাহ পিতা-মাতার সম্মান এবং তাদের সাথে সদ্ব্যবহার করাকে নিজের ইবাদতের সাথে অপরিহার্য করেছেন।}

মা শুকরিয়া :-
"তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো এবং পিতা-মাতারও" (সূরা লোকমান : ১৪) {এ আয়াতে আল্লাহ নিজের শুকরিয়ার সাথে পিতা-মাতার শুকরিয়াকেও অপরিহার্য করেছেন।}

মা নবীজির (সা.) দীদার :-
হজরত ওয়াইস আল করনি (রা.) নবীজির কাছে এই মর্মে খবর পাঠালেন, ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ (সা.), আপনার সঙ্গে আমার দেখা করতে মন চায়; কিন্তু আমার মা অসুস্থ। এখন আমি কী করতে পারি?’ নবীজি (সা.) উত্তর পাঠালেন, ‘আমার কাছে আসতে হবে না। আমার সাক্ষাতের চেয়ে তোমার মায়ের খেদমত করা বেশি জরুরি ও বেশি ফজিলতের কাজ।’

মা শাস্তি থেকে বাঁচায় :-
সমস্ত গুনাহ-ই এমন যে, তা থেকে আল্লাহ যাহা এবং যতটা ইচ্ছা মাফ করে দিবেন। কিন্তু পিতা-মাতার সাথে সম্পর্কচ্ছেদ, দুর্ব্যবহার করা, অধিকার আদায় না করার গুনাহ তিনি মাফ করবেন না। বরং যে লোক এই গুনাহ করে তার জীবদ্দশায় ও মৃত্যুর পূর্বেই তার শাস্তি ত্বরান্বিত করেন (মিশকাত)

স্পোকেন ইংলিশের প্রতিটি বিষয়ে দক্ষতা বাড়ান টেন মিনিট স্কুলের মুনজেরিন শহীদের ঘরে বসে Spoken English অনলাইন কোর্সটিতে ভর্...

22/07/2023

"পৃথিবীতে বড় ঔষধ হলো 'হাসি', আর বড় সম্পদ হলো 'বুদ্ধি' ও শক্তিশালী হাতিয়ার হলো 'ধৈর্য',এবং উত্তম সুরক্ষা হলো বিশ্বাস''।

“লাম্পি স্কিন ডিজিজ” রোগের লক্ষণ ও প্রতিকারে করণীয় লাম্পি স্কিন ডিজিজ বর্তমান সময়ে গরু পালনকারীদের কাছে এক ভয়াবহ দুশ্চিন...
13/07/2023

“লাম্পি স্কিন ডিজিজ” রোগের লক্ষণ ও প্রতিকারে করণীয়

লাম্পি স্কিন ডিজিজ বর্তমান সময়ে গরু পালনকারীদের কাছে এক ভয়াবহ দুশ্চিন্তার কারণ। লাম্পি স্কিন ডিজিজ নির্মূলে তেমন কার্যকরী ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হলেও গরুপালনকারীদের একটু সচেতনতায় এই রোগের সংক্রমণ কিছুটা কমানো যেতে পারে।

রোগের লক্ষণ :

এল এস ডি আক্রান্ত গরু শুরু থেকে যে লক্ষণ প্রকাশ করে যা আক্রান্তের শুরু থেকে ধারাবাহিকভাবে দেখা যায় :

১. আক্রান্ত গরু প্রথমে জ্বরে আক্রান্ত হয় এবং খাবার রুচি কমে যায়।

২. জ্বরের সাথে সাথে মুখ দিয়ে এবং নাক দিয়ে লালা বের হয়।পা ফুলে যায়। সামনের দু “পায়‌ের মাঝ স্থান পান‌ি জমে যায়।

৩. শরীরের বিভিন্ন জায়গা চামড়া পিন্ড আকৃতি ধারণ করে, লোম উঠে যায় এবং ক্ষত সৃষ্ট হয়। ধারাবাহিকভাবে এই ক্ষত শরীরের অন্যান্য জায়গা ছড়িয়ে পড়ে।

৪. ক্ষত মুখের মধ্যে , পায়ে এবং অন্যান্য জায়গা ছড়িয়ে পড়তে পারে।

৫. ক্ষত স্থান থেকে রক্তপাত হতে পারে। শরীর‌ে ক‌োথায় ফুল‌ে যায় যা ফেট‌ে টুকরা মাংশের মত ব‌ের হয়‌ে ক্ষত হয় , পুঁজ কষান‌ি বের হয়।

৬. পাকস্থলী অথবা মুখের ভিতরে সৃষ্ট ক্ষতের কারণে গরু পানি পানে অনীহা প্রকাশ করে এবং খাদ্য গ্রহণ কমে যায়।

কিভাবে ছড়ায় :

লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত গরু থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে রোগটি অন্য গরুতে ছড়িয়ে পড়ে। এই রোগ এক গরু থেকে অন্য গরুতে ছড়িয়ে পড়ার প্রধান মাধ্যম গুলো হচ্ছে :

১. মশা ও মাছি : এই রোগের ভাইরাসের প্রধান বাহক হিসাবে মশা মাছিকে দায়ী করা হয়। অন্যান্য কিট পতঙ্গের মাধ্যমেও ভাইরাসটি আক্রান্ত গরু থেকে অন্য গরুতে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

২. লালা : আক্রান্ত গরুর লালা খাবারের মাধ্যমে অথবা খামারে কাজ করা মানুষের কাপড়ের মাধ্যমে এক গরু থেকে অন্য গরুতে ছড়াতে পারে।

৩. দুধ : যেহেতু আক্রান্ত গভীর দুধে এই ভাইরাস বিদ্যমান থাকে তাই আক্রান্ত গভীর দুধ খেয়ে বাছুর দুধ খেয়ে আক্রান্ত হতে পারে।

৪. সিরিঞ্জ : আক্রান্ত গরুতে ব্যবহার করা সিরিঞ্জ থেকে এই ভাইরাস বাহিত হতে পারে।

৫. রক্ষণাবেক্ষণকারী : খামারে কাজ করা মানুষের পোশাকের মাধ্যমে আক্রান্ত গরু থেকে অন্য গরুতে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

৬. আক্রান্ত গরুর সিমেন : ভাইরাস আক্রান্ত ষাঁড়ের সিমেন এই রোগের অন্যতম বাহন কারণ আক্রান্ত গরুর সিমেনেও এই ভাইরাস বিদ্যমান থাকে।
৭. শুধু মাত্র গরু মহিষ আক্রান্ত হয়, মানুষ হয় না।

প্রতিকার :

যেকোন রোগের চিকিতসার চেয়ে প্রতিকার সব সময় অধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক।

১. আক্রান্ত গরুকে নিয়মিত এল এস ডি ভ্যাকসিন দেয়া। আমাদের দেশে ইতিপূর্বে রোগটির প্রাদুর্ভাব কম দেখা গেছে তাই এই রোগের ভ্যাকসিন সহজলভ্য নয়।

২. খামারের ভিতরের এবং আসে পাশের পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা যেন মশা মাছির উপদ্রব নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

৩. আক্রান্ত খামারে যাতায়ত বন্ধ করা এবং আক্রান্ত খামার থেকে আনা কোন সামগ্রী ব্যবহার না করা।

৪. আক্রান্ত গরুকে শেড থেকে আলাদা স্থানে মশারি দিয়ে ঢেকে রাখা মশা মাছি কামড়াতে না পারে। কারণ আক্রান্ত গরুকে কামড়ানো মশা মাছি সুষ্ঠ গরুকে কামড়ালে এই রোগের সংকরণ হতে পারে।

৫. আক্রান্ত গভীর দুধ বাছুরকে খেতে না দিয়ে ফেলে দিয়ে মাটি চাপা দেয়া।

৬. আক্রান্ত গরুর পরিচর্যা শেষে একই পোশাকে সুষ্ঠ গরুর মধ্যে প্রবেশ না করা।

৭. আক্রান্ত গরুর খাবার বা ব্যবহার্য কোনো জিনিস সুষ্ঠ গরুর কাছে না আনা।

৮. ক্ষত স্থান টিনচার আয়োডিন মিশ্রণ দিয়ে পরিষ্কার রাখা।

চিকিৎসা :

এল এস ডি আক্রান্তের লক্ষণ প্রকাশ পেলে দ্রুত রেজিস্টার্ড ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী দ্রুত চিকিতসার ব্যবস্থা করতে হবে।

https://www.facebook.com/profile.php?id=100063696776189&mibextid=ZbWKwL

গাছে লিখা ছিল জামাই বস করতে  হলে গাছে চাবি মারেন। বাকিটা ইতিহাস 😜😜আমাদের এই ছোট্ট পেজটি সবাই ফলো করবেন প্লিজ 🙏🙏🙏
06/07/2023

গাছে লিখা ছিল জামাই বস করতে হলে গাছে চাবি মারেন। বাকিটা ইতিহাস 😜😜

আমাদের এই ছোট্ট পেজটি সবাই ফলো করবেন প্লিজ 🙏🙏🙏

29/06/2023

সবাইকে পবিত্র ঈদ-উল আযহার শুভেচ্ছা।
ঈদ মোবারক
মহান আল্লাহ আমাদের ত্যাগ, কুরবানি কবুল করুন।

ভারতে যাওয়ার পরে পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে আপনার করণীয়। সমাধান খুব সহজ একটু পরিশ্রম করা লাগে।  প্রথম ধাপ: প্রথমেই আপনি ভার...
11/06/2023

ভারতে যাওয়ার পরে পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে আপনার করণীয়।

সমাধান খুব সহজ একটু পরিশ্রম করা লাগে।

প্রথম ধাপ: প্রথমেই আপনি ভারতের যেই হোটেলে অবস্থান করছেন আপনার পুরো বিষয়টি খুলে বলবেন তারা একটি লেটার দিবে যেখানে আপনার পাসপোর্ট এর নাম্বার আপনি যে এই হোটেলে আছেন তার প্রমাণ পত্র সহ আপনাকে একটি লেটার হাতে দিবে।
দ্বিতীয় ধাপ : আপনি ভারতের আছেন সেই এরিয়ার সংশ্লিষ্ট থানায় গিয়ে একটি সাধারণ জিডি করতে হবে। অবশ্যই আপনার পাসপোর্টের এবং আপনার ভিসার একটি করে কপি সেখানে লাগবে।

তৃতীয় ধাপ : জিডি করার পরে সেখানকার পুলিশ কর্মকর্তারা আপনাকে জানিয়ে দিবে পরবর্তীতে আপনার লোকেশন হচ্ছে বাংলাদেশ দূতাবাস। বাংলাদেশ দূতাবাসে যাওয়ার সময় আপনার একটি পাসপোর্ট কপি একটি ভিসার কপি এবং আপনার দুই কপি ছবি এবং সাথে ইন্ডিয়ান রুপিতে দুই হাজার রুপি বা এর কিছু বেশি রুপি আপনার লাগবে। সেখানে তারা আপনার আবেদনটি গ্রহণ করবে এবং আপনাকে কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করার জন্য বলবে। এ সময়কালে আপনার পাসপোর্ট যে হারিয়েছে এই বিষয়টি তারা বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন এবং পাসপোর্ট অফিসে কন্টাক করে জানিয়ে দিবে। অতঃপর আপনার হাতে একটি লেটার ধরিয়ে দিবে। লেটারটিতে আপনার যাবতীয় পরিচয় পত্র কলকাতার এবং ইন্ডিয়ার সমস্ত কিছু উল্লেখ থাকবে এবং এই লেটারটি নিয়ে আপনার একটি কম্পিউটারের দোকানে যেতে হবে।

তৃতীয় ধাপ : লেটারটি নিয়ে কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে আপনাকে এফ আর ও অফিসের উদ্দেশ্যে একটি অনলাইন আবেদন করতে হবে।
এ আবেদনে আপনাকে উল্লেখ করতে হবে আপনি কেন পাসপোর্ট রিনিউ না করে আপনি ইমারজেন্সি বাংলাদেশে যেতে যাচ্ছেন এবং কতদিনের ভিতরে যেতে যাচ্ছেন।

চতুর্থ ধাপ : অনলাইন আবেদন পেপারটি সংগ্রহ করে আপনাকে এফ আর ও অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হবে এবং সেই অফিসে আপনার একটি সাধারণ জিজ্ঞাসাবাদ হবে।কিভাবে পাসপোর্ট হারালো আপনি কেন ইন্ডিয়া এসেছিলেন।
(ভুল করেও বলবেন না আমি কোন দালালের চক্রান্তে পড়েছি বা আমি বিদেশে যাওয়ার জন্য এদেশে আসছিলাম এখন দালাল আমার সাথে দুই নাম্বারি করতেছে। সে ক্ষেত্রে তারা তাদের দেশের মানুষকে বেশি প্রাধান্য দিবে)

পঞ্চম ধাপ : এপার অফিস থেকে আপনার জিজ্ঞাসাবাদ এবং আপনার অনলাইন আবেদনটি সংগ্রহ করে তারা একটি সময় নির্ধারণ করে দিবে সেই সময় আপনি আপনার জিমেইলে এক্সিট পারমিট পেয়ে যাবেন। এবং সেখানে উল্লেখ থাকবে যে এই কয়েক দিনের ভেতরে তোমার ইন্ডিয়া ছেড়ে বাংলাদেশে চলে যেতে হবে। আপনি জিমেইলে মেসেজ পাওয়ার পরে দেখবেন সেখানে একটি ছবি আসছে সেটি হচ্ছে আপনার এক্সিট পারমিট।

ষষ্ঠ ধাপ : এক্সিট পারমিট পাওয়ার পরেও শান্তি নেই আপনি যেভাবেই যান বাসে করে অথবা বিমানে করে। প্রত্যেকটা ধাপে ধাপে আপনাকে প্রশ্ন করা হবে। কেন পাসপোর্ট হারালেন কেন এসেছিলেন ইন্ডিয়া।

( তবে এফ আরো অফিসের এক্সিট পারমিট পেয়ে গেলে আর পরবর্তীতে কোন সমস্যা হবে না -( শুধু বুদ্ধিমত্তার সাথে তাদের প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর দিতে পারলেই হবে)

সপ্তম ধাপ : ইন্ডিয়া থেকে আপনার জিডি করার কাগজটা সাথে নিয়ে আসবেন অবশ্যই। সেই জিডির কাগজটি নিয়ে আপনার এলাকার সংশ্লিষ্ট থানায় গিয়ে আরো একটি জিডি করবেন সেই জিডির কাগজটি নিয়ে পরবর্তীতে আপনার নতুন করে পাসপোর্ট রিইস্যু করে নেবেন।
🤍

03/06/2023

ছেলে শোধরাতে চায় - বাবা'র ঋণ !!!
ছেলেরা বাবা হয়, বাবা কখনো ছেলে হতে পারে না।
ইতালী প্রবাসী ছেলে তার জীবনের প্রথম মাসের বেতন পেয়ে তার বাবাকে ফোন করলো -
হ্যালো আব্বু?
- হ্যা,
বাবু কেমন আছিস?
বাবা আমি ভাল আছি। তুমি ভাল আছো তো?
- শরীর ভাল, তবে তোকে খুব মনে পড়ে।
বাদ দে তোর কি খবর বল?
আমিও ভাল আছি। একটা নাম্বার দিচ্ছি লেখ। (মানিগ্রাম)
- কিসের নাম্বার খোকা?
আমি সেলারী পেয়েছি বাবা। পুরা এক লাখ
- আলহামদুলিল্লাহ্‌।
বাবা একটা কথা বলি? ( কিছুটা দুষ্টামির ছলে )
- এতদিন পর ফোন করেছিস মাত্র একটা কথাই বলবি?
বাবা তুমি তো বলেছিলে পিতৃ ঋণ কোন দিন শোধ হয় না। তুমি ছাব্বিশ বছরে আমার পেছনে যত টাকা খরচ করেছ তুমি কি জানো আমি আগামী পাঁচ বছরে সে টাকা তোমায় ফিরিয়ে দিতে পারবো। আমার এখানে এক টাকা তোমার ওখানে একশ টাকা বাবা'।
- বাবা : ( কিছুটা মুচকি হেসে) বাবা একটা গল্প শুনবি?
ছেলেটা কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে গেল। নিচু স্বরে বললো-
বলো বাবা শুনবো......
- বাবা : তোর বয়স যখন চার আমার বেতন তখন তিন হাজার টাকা। ১,২০০ টাকা ঘর ভাড়া দিয়ে ১,৮০০ টাকায় চলে সংসার। আমি আমার সাধ্যের মধ্যে সব সময় চেষ্টা করেছি তোর 'মা কে 'সুখী করতে। তোকে যেই বার স্কুলে ভর্তি করলাম সেবার ই প্রথম আমরা আমাদের ম্যারিজডে টা পালন করিনি। সে বছর তোর মাকে কিছুই দিতে পারিনি আমি।
তুই যখন কলেজে উঠলি আমাদের অবস্থা তখন মোটা মুটি ভাল। কিন্তু খুব কষ্ট হয়ে গেছিল যখন আমার ট্রান্সফার নারায়ণগঞ্জ হয়। রোজ রোজ উত্তরা থেকে নারায়ণগঞ্জ বাসে করে, পায়ে হেটে, ঘামে ভিজে খুব দুর্বিষহ লাগছিল। একদিন শোরুম থেকে একটা বাইক দেখে আসলাম। সে রাতে আমি স্বপ্নেও দেখেছিলাম আমি বাইকে চড়ে অফিস যাচ্ছি। কিন্তু পরের দিন তুই বায়না ধরলি উত্তরা থেকে বনানী ভার্সিটি করতে তোর কষ্ট হয়। তোর কষ্টে আমার কষ্ট হয় বাবা। আমি তোকে বাইক টা কিনে দিয়েছিলাম।
আমার এক টাকা তোর ওখানে এখন এক পয়সা! কিন্তু মনে করে দেখ এই এক টাকা দিয়ে তুই বন্ধুদের নিয়ে পার্টি করেছিস। ব্রান্ড নিউ মোবাইলে হেড ফোন কানে লাগিয়ে সারা রাত গান শুনেছিস। পিকনিক করেছিস, ট্যুর করেছিস, কন্সার্ট দেখেছিস। তোর প্রতিটা দিন ছিল স্বপ্নের মতন।
আর তোর একশ টাকা নিয়ে আমি এখন হার্টের বাইপাস করাই ডায়াবেটিক মাপাই । জানিস বাবা আমার মাছ খাওয়া নিষেধ, মাংস খাওয়া নিষেধ, কি করে এত টাকা খরচ করি বল! তোর টাকা নিয়ে তাই আমি কল্পনার হাট বসাই। সে হাটে আমি বাইক চালিয়ে সারা শহর ঘুরে বেড়াই। বন্ধুদের নিয়ে সিনেমা দেখতে যাই। তোর মায়ের হাত ধরে চাঁদনী পসরে সেন্ট মার্টিনের বালুচরে হেঁটে বেড়াই।
- ছেলে : বাবা চুপ করো প্লীজ! আমি তোমার কাছে চলে আসব। টাকা না তোমার ভালবাসা তোমায় ফিরিয়ে দিব।
- বাবা : হাহাহা বোঁকা ছেলে! বাবাদের ভালবাসা কখনো ফিরিয়ে দেয়া যায় না। ছোট্ট শিশুর মল মুত্রও মোছা যায় আর বুড়োদের ঘরেও ঢোকা যায় না।
তোকে একটা প্রশ্ন করি বাবা। ধর তুই আমি আর তোর খোকা তিন জন এক নৌকায় বসে আছি। হঠাৎ নৌকা টা ডুবতে শুরু করলো ..... যে কোন একজনকে বাঁচাতে পারবি তুই। কাকে বাঁচাবি বল?
ছেলেটা হাজার চেষ্টা করেও এক চুল ঠোঁট নড়াতে পারছেনা!
- বাবা : উত্তর দিতে হবে না। ছেলেরা বাবা হয়, বাবা কখনো ছেলে হতে পারে না। পৃথিবীতে সব চেয়ে ভারী জিনিস কি জানিস?
পিতার কাঁধে পুত্রের লাশ!
আমি শুধু জায়নামাজে বসে একটা জিনিস চাই। আমার কবরের ঘরটায় যেন আমি আমার ছেলের কাঁধে চড়ে যাই। তাহলেই তুই একটা ঋণ শোধ করতে পারবি, তোকে কোলে নেয়ার ঋণ।

#বাবা
সংগ্রহীত:

আপনারা যারা আমার পেজে ফলো না দিয়ে গল্প পড়েন তাো দয়া করে পেজে ফলো দিয়ে রাখুন ।

27/05/2023

অংকের শিক্ষক একটি অংক দিয়ে বললেন , 'তোদের মধ্যে যে অংকটি পারবে তাকে আমি এক জোড়া জুতো গিফট করবো।'

সকল ছাত্র অংকটি সঠিকভাবে উত্তর লিখে দিলো।

শিক্ষক, 'জুতা তো মাত্র একজোড়া। আমিতো একজনকে জুতো দিতে পারবো। একটা কাজ করা যাক, লটারী করি। বাক্সের মধ্যে তোরা তোদের নাম আর রোল নম্বর লিখে দে।'

ছাত্ররা নাম ও রোল নম্বর লিখে বাক্সে রাখলো। শিক্ষক বাক্সটা একটু ঝাঁকিয়ে চোখ বন্ধ করে একটি কাগজ তুললেন।
শিক্ষক, 'আমি কি নামটি পড়বো ?'

ছাত্ররা এক সঙ্গে বললো - পড়ুন স্যার।

পুরো ক্লাশ Pin drop silence .. শুধু শ্বাস-প্রশ্বাসের শব্দ।

শিক্ষক পড়লেন, 'আব্দুল। রোল নম্বর ১।

ছাত্ররা একসঙ্গে হাততালি দিয়ে ফার্স্ট বয়কে অভিনন্দন জানালো।

শিক্ষক পরের দিন এক জোড়া জুতো নিয়ে এসে বললেন, 'তোরা সকলে মিলে জুতোটা ওকে পরিয়ে দে।'
.. টিচার্স রুমে ঐ শিক্ষকের চোখে জল ... দেখে অন্য শিক্ষকরা জিজ্ঞাসা করলেন, 'স্যার, আপনার চোখে জল কেনো !'

শিক্ষক জুতোর ঘটনা খুলে বলে, বললেন,'আব্দুল ক্লাশে একমাত্র ছাত্র, যে কিনা খালি পায়ে স্কুলে আসে। আমি ওর কথা চিন্তা করে কঠিন একটি অংক দিলাম। সবাই অংকটি সঠিক উত্তর দিলো। সবচেয়ে অবাক লাগলো, লটারীর বাক্স খুলে দেখি সকল ছাত্রই তাদের নিজ-নিজ নাম না লিখে, লিখেছিলো, আব্দুল, রোল ১ ...
যাতে করে জুতো জোড়া আব্দুলই পায়।

সেই আব্দুল ছাত্রটিই পরবর্তীতে হলেন ভারতের প্রখ্যাত পরমানু বিজ্ঞানী এবং তার পরবর্তীতে ভারতের রাষ্ট্রপতি, সর্বজন শ্রদ্ধেয় APJ Abdul Kalam

(সংগৃহীত)

Address

Dhaka

Telephone

+8801710958288

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sadik Pharmaceuticals Ltd. posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Sadik Pharmaceuticals Ltd.:

Videos

Share


Other Animal Rescue Service in Dhaka

Show All