Sazib

Sazib Mr 27

23/06/2024

আমার নিজের ইউনিভার্সিটি সহ আরো অনেকগুলো ইউনিভার্সিটির ২০১৮ ব্যাচের গ্র‍্যাজুয়েশন শেষ। অনেকের একদম শেষ হওয়ার পথে। জীবনের পরবর্তী অংশে অনেকেই উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি জমানোর নিয়ত করছেন। হয় তো আগামী বছরের এই সময়ে আপনাদের কাছ থেকে শুনবো এক এক দেশের এক এক ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্স বা পিএইচডি প্রোগ্রামে যাচ্ছেন।

আপনাদের সবার উদ্দেশ্যে এই অধমের অল্প কয়েকটা কথা। আমার দেখা বেশির ভাগ মানুষের বিদেশ পাড়ি জমানোর চিন্তার পেছনে সবচেয়ে বড় যেই মোটিভেশন, তা হল এই দেশের নানা দূর্নীতি,অনিয়ম,জুলুম থেকে তারা বের হতে চান। যেখানে একটা সাধারণ প্রশাসনিক কাজ করতে গেলেও হাজার হাজার টাকা ঘুষ দেয়া লাগে, সেই সিস্টেমে ঢুকে আপনাদের মেধার অবমূল্যায়ন হোক তা আপনারা চান না। হারাম উপার্জন থেকে নিজেকে ও নিজের পরিবারকে হেফাজতের জন্য আপনাদের এই চিন্তাকে শ্রদ্ধা জানাই।

একই সাথে আপনাকে আরো একটা আশংকার কথা বলি। যেই শরীরকে আপনি হারাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিদেশে পাড়ি জমাবেন, বিদেশ গিয়ে দেখবেন এখানেও হারাম আছে। হয়তো সেই হারামের ফর্ম ভিন্ন। দেশে যেমন একটা সোশ্যাল ব্যারিয়ারের কারণে হলেও সহজে নিজের নৈতিকতার সাথে কম্প্রোমাইজ করা থেকে বেঁচে যেতেন, এখানে সেই ব্যারিয়ারটা নেই। সবচেয়ে বড় যেই ক্ষতির সম্মুখীন হবেন,তা হল আপনার দ্বীন/জীবনব্যবস্থা নিয়ে আপনার মধ্যে সংশয় তৈরি হবে। "এদের কাছে দ্বীন নেই, অথচ এরা কত উন্নত! আর আমাদের দেশের লোকেরা নামাজ পড়ে ঘুষ খায়" এমন চিন্তা জমতে জমতে কে জানে আপনার বিদ্বেষের সীমানা কতটুকুই বা চলে যায়। কিংবা, নিজের বিশ্বাসকে ডিফেন্ড করতে গিয়ে কোনো সময় লিবারেল আর কখনো ক্যাথলিক প্রচারকদের নানা জটিল প্রশ্নে আটকে যাবেন।

ভবিষ্যত প্রজন্মকে এমন একটা দ্বীনহীন পরিবেশে বড় করানোর ব্যাপারে আলিমরা নিরুৎসাহিত করেন। কারণ, তৃতীয় জেনারেশনে এসেই তাদের মধ্যে দ্বীন টিকে থাকা অসম্ভব প্রায়। তাই, স্থায়ীভাবে তাদের দেশগুলোতে বসবাসের ব্যাপারে আলিমদের কিছু ফতোয়া আছে। সেগুলো দেখে নেবেন।

আমার লিখার উদ্দেশ্যটা আপনাদেরকে বিদেশ যাওয়াতে বাঁধা দেয়া না। বরং, একটু রিমাইন্ডার দেয়া। এসব দেশে যেহেতু যাবেনই, একটা ভাল প্রিপারেশন নিয়ে যান। এমনভাবেই যান, যেন সেখানে দাঈ হিসেবে যাচ্ছেন। নিজের দ্বীনই শুধু হেফাজত করবেন না, বরং অন্য ৫ টা মানুষকে দ্বীন শিখিয়ে আসবেন, এই চ্যালেঞ্জ নিয়ে যান।

এখন থেকেই পড়াশোনা শুরু করেন। কি পড়বেন?
- response to anti islam ওয়েবসাইটে ইসলামের ব্যাপারে নানা সময়ে তোলা নাস্তিক ও মিশনারীদের বিভিন্ন আর্গুমেন্টগুলোর খন্ডন সুন্দরভাবে করা আছে। ধরে ধরে আর্টিকেলগুলো পড়া শুরু করে দেন।

- অনেকে তো আইএল্টস এর প্রিপারেশন নেয়ার জন্য ডেইলি এক ঘন্টা করে পডকাস্ট শুনে থাকেন। তাহলে, একটা কাজই করেন না। ওই পডকাস্টটাকে ড্যানিয়াল হাকিকাতজু/হামজা জর্জিস/মোহাম্মাদ হিজাবের লেকচার/ডিবেইটগুলো দিয়ে রিপ্লেস করে দেন।

- স্পিকার্স কর্নারসহ আরো বিভিন্ন পাবলিক ডিবেইটগুলো ইউটিউবে পাওয়া যায়। অনেক এক্টিভিসিটরা ওইখানে কাজ করছেন। দেখেন, কত মানুষ শাহাদাহ পড়ে মুসলিম হয়ে যায় ওইখানে।

- বাংলা ভাষাতেই এখন অনেক সমৃদ্ধ বইয়ের ভান্ডার আছে, যেগুলোতে ইসলামের ব্যাপারে বিভিন্ন আপত্তিগুলোর খন্ডন পাওয়া যায়। একটা প্যাটার্ন ধরে আগান।

- পশ্চিমের বিভিন্ন ফিতনা ল্গ বত, ফেমিনiজম, লিব্রেল*ইজম এগুলোর ব্যাপারেও বাংলা ভাষায় প্রচুর বই এখন আছে। পড়া শুরু করেন৷ তখন রিয়েলাইজেশন আসবে যে, ওয়েস্টকে বাইরে থেকে যতই চাকচিক্যভরা মনে হোক, তার ভেতরটা অন্ত সারশূন্য। সে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে।

- আলিমদের সাথে সম্পর্ক রাখেন। দেশে থেকেই একজন ইলম আর ইখলাস ওয়ালা আলিমের সাথে সম্পর্ক তৈরি করবেন। বাইরে গেলে নানা জিনিসের ফতোয়া জানা লাগবে। উনাদেরকে ফোন দিয়ে বিরক্ত করবেন তখন।

- এখনো নবীজির সীরাত পড়েন নি? যেই মানুষটাকে নিজের জীবনের চেয়েও বেশী ভালোবাসেন, তাঁর ব্যাপারে বিদেশে গিয়ে বলতে পারবেন তো ঠিকঠাকমতো?

কেই বা জানে! আপনার পিএইচডি শেষ হতে হতে আল্লাহ তা'আলা ৫ জন মানুষকে আপনার মাধ্যমে হেদায়েত দিয়ে দিবেন। নিজেকে এভাবে প্রস্তুত করেন। এবং আল্লাহর কাছে দু'আ করেন, "ইয়া রাব্বি! আপনি আমাদেরকে এমন হাদী বানিয়ে দিন, যারা নিজেরাও হিদায়াতের উপর থাকে"।

(আমার এই লিখার উদ্দেশ্য বিদেশ যাওয়াতে কাউকে উৎসাহিত বা নিরুৎসাহিত করা কোনোটাই না। যারা যাবেন, তাদের সিদ্ধান্তে আমি হস্তক্ষেপ করছি না। শুধু অনুরোধ, যাচ্ছেনই যেহেতু, প্রস্তুতি ছাড়া যায়েন না। প্লিজ)

-ফারহান গনি

06/03/2023
রুমালের গিঁট আস্তে আস্তে অতি সন্তপর্ণে খুলতে লাগলো। যেনো তীর্থের প্রাসাদি। আমি এক দৃষ্টিতে দেখছিলুম তার আঙুলের খেলা। প্র...
22/12/2022

রুমালের গিঁট আস্তে আস্তে অতি সন্তপর্ণে খুলতে লাগলো। যেনো তীর্থের প্রাসাদি। আমি এক দৃষ্টিতে দেখছিলুম তার আঙুলের খেলা। প্রত্যেকটি আঙুল যেন এক-একটি ব্যালে নর্তকী। আঙুলগুলো এখানে যায়, সেখানে যায়। একটা অসম্ভব এঙ্গেল থেকে চট করে আরেক অসম্ভব এঙ্গেলে চলে যায়।

তারপর....

অনেক্ষণ পরে। বোধহয় এক'শ বছর। শবনম তার ঠোঁট যতখানি সামান্যতম সরালে কথা বলা যায় সেটুকু সরিয়ে দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে বললো- ‘চুমো খাওয়া তোমাকেই সাজে’

“মেয়েদের দৈহিক রূপের প্রতি আমার তীব্র আকর্ষণ। যে দেখতে ভালো না— সে হাজারো ভালো হলেও আমার কাছে গ্রহণযোগ্য না। রূপবতীদের ব...
13/11/2022

“মেয়েদের দৈহিক রূপের প্রতি আমার তীব্র আকর্ষণ। যে দেখতে ভালো না— সে হাজারো ভালো হলেও আমার কাছে গ্রহণযোগ্য না। রূপবতীদের বেলায় আমি অন্ধ। তাদের কোনো ত্রুটি আমার চোখে পড়ে না। দৈহিক সৌন্দর্যই আমার সমগ্র চেতনাকে আচ্ছন্ন করে রাখে”।— এটা হুমায়ুন আহমেদের বয়ান। তার মতে এইটা তার চরিত্রের বড় রকমের দুর্বলতা।

নভেম্বর, ১৩—
১৯৪৮ সালের এইদিনে হুমায়ুন আহমেদ এর জন্ম। আজকের হুমায়ুন আহমেদ জন্মের পরপর ছিলেন কাজল নামে। পথের পাঁচালি উপন্যাসে অপুর ছেলের নামও ছিলো কাজল। তার সাথে মিল রেখেই এই নাম। শামসুর রহমান ছিলো তখন তার আসল নাম। ছয় বছর বয়স পর্যন্ত শামসুর রহমান এবং কাজল নামেই পরচিতি ছিলো। সপ্তম বছর থেকে খাতা কলমে হুমায়ুন আহমেদ নাম হয়। আজকে আমরা শিশু কাজলের কয়েকটা ঘটনা জানবো—

হুমায়ুন আহমেদের ছেলেবেলা খুব একটা আহ্লাদে কাটেনি। বলতে গেলে অভাবেই কেটেছে। অন্য আট-দশটা ছেলের মতোই বড় হয়েছেন। বাবা ছিলেন সাব-ইন্সপেক্টর। বদলি জনিত কারনে তাকে বিভিন্ন যায়গায় যেতে হতো। সিলেট, দিনাজপুর, রংপুর, ময়মনসিংহ, পার্বত্য চট্টগ্রাম– এইসব এলাকায় হুমায়ুন আহমেদের শিশুকাল কাটে। তার বাবার প্রসঙ্গ যেহেতু এসেছে তাকে নিয়ে একটা তথ্য না দিলেই নয়। তার বাবা ফয়জুর রহমানের একটা বদ অভ্যাস ছিলো। তিনি প্রচুর বই পড়তেন। বইয়ের বিশাল সংগ্রহও ছিলো। জ্যোতিষ শাস্ত্র নিয়েও কিউরিসিটি ছিলো খুব। জ্যোতিষ শাস্ত্র চর্চার পাশাপাশি তিনি আরেকটি বিষয়েও জড়িত ছিলেন। প্লেনচেট, চক্র এসব নিয়ে মাতামাতি করতেন। মানে হইলো কালো জাদু প্র‍্যাক্টিস করতেন। তার দাদাজান এই নিয়ে তার বাবার উপর খুব বিরক্ত ছিলেন। একদিন তাকে ডেকে তওবা করানো হলো যাতে তিনি এটা না করেন। তার বাবা তওবার পর এসবকিছু ছেড়ে দেন। তবে এই বিষয়ে বই-পত্র পড়া ছাড়েননি। হুমায়ুন আহমেদের ভাষ্যমতে তার বাবা ফয়জুর রহমান খুব আস্তিক ধরনের মানুষ ছিলেন। নিয়মিত নামাজ-রোজা করার চেষ্টা করতেন। দাদা আজিমউদ্দিন আহমেদ ছিলেন মওলানা মানুষ। আরবী আর ফারসিতে ছিলো অগাধ জ্ঞানী। মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন। আজিমউদ্দিন আহমেদের বাবা জাহাঙ্গীর মুন্সি ছিলেন পীর মানুষ। তাদের বাড়ি এখনো মৌলভী বাড়ি নামে পরিচিত।

যাইহোক, শিশু হুমায়ুন আহমেদ ছিলেন অত্যন্ত দুষ্টু প্রকৃতির। তার প্রথম স্কুল ছিলো কিশোরীমোহন পাঠশালা। মেজো চাচা তাকে সিলেটে কিশোরীমোহন পাঠশালায় ভর্তি করিয়ে দিতে নিয়ে গেলেন। হেডমাস্টার সাহেবকে বলে রাখলেন চোখে চোখে রাখতে। বড়ই দুষ্টু ছেলে। তার পরের কাহিনি— “আমি অতি সুবোধ বালকের মতো ক্লাসে গেলাম। খানিকক্ষণ বিচার বিবেচনা করে সবচেয়ে রূপবতী বালিকার পাশে ঠেলেঠুলে জায়গা করে বসে পড়লাম”। তার মতে রূপবতী বালিকারা অত্যন্ত হৃদয়হীন হয়। ওই রূপবতী বালিকা তাকে ইগনোর করলো। তেমন একটা পাত্তা দিলো না।

ক্লাস টু-তে হুমায়ুন আহমেদের আরেকটি অপকর্মের বিবরণ পাওয়া যায়। তার মতে এটা অপকর্মই। এক রূপবতী বালিকা তার হৃদয় কোটরে বাসা বাঁধে। তাকে সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে ফেলে শিশু কাজল। প্রকৃতির কোনো এক অদ্ভুত কারণে রূপবতীরা শুধু যে হৃদয়হীন হয় তাই না, খানিকটা হিংস্র স্বভাবেরও হয়। বিয়ের প্রস্তাবে খুশি হওয়ার বদলে বাঘিনীর মতো শিশু কাজল এর উপর ঝাপিয়ে পড়ে। খামচি দিয়ে হাতের দু-তিন জায়গার চামড়া তুলে ফেলে। স্যারের কাছে নালিশ করে। এর জন্য শাস্তিও পেতে হয়। হুমায়ুন আহমেদের মতে— প্রেমিক পুরুষদের প্রেমের কারনে কঠিন শাস্তি ভোগ করা নতুন কিছু না। এটা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার।

শিশু কাজল থেকে আরেকটু এগিয়ে ক্লাস সিক্সের একটা ঘটনা। চট্টগ্রামে থাকাকালীন তার বাবা তাকে প্রায়ই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে নিয়ে যেতেন। উদ্দেশ্য ছিলো তাকে প্রকৃতি মাতার সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। তখন তার বাবা তাকে একটা ডায়েরি ধরিয়ে দিলেন। যাতে তার ভ্রমণে যা যা দেখে তা গুছিয়ে নোট করে রাখে। একদিন তার বাবা ডায়েরি খুলে দেখেন সেখানে লেখা–
“মঙ্গলবার। আজ আমরা রামু থানায় পৌছিয়াছি। দুপুরে ভাত খাইয়াছি। মুরগির গোসত এবং আলু। ডাল ছিলো। ডাল খাই নাই”।

এইসব হাবিজাবি লেখা দেখে তার বাবা ফয়জুর রহমান খুব মন খারাপ করলেন। তার মানে এই না হুমায়ুন আহমেদ ছোটো বেলাতেই বিচক্ষণ ছিলেন না কিংবা লিখতে পারতেন না। হুমায়ুন আহমেদ ছিলেন যথেষ্ট চিন্তাশীল। এই ঘটনার পর তিনি ঝর্না নিয়ে লিখতে গিয়েও লিখলেন না। ঝর্নায় উপর থেকে পানি পড়ে নিচে গর্তের সৃষ্টি হয়। গর্তে থাকে ঘোলা পানি। তাকে এটায় আকর্ষণ করলো না। আকর্ষণ করলো ঝর্না ধারার চারপাশের সূক্ষ্ম জলচুর্ণ। জলচূর্ণে রংধনু দেখা যায়। লিখলেন সে রংধনু নিয়ে। তার বাবা এইবার স্যাটিসফাইড। বাবার কাছ থেকে পুরস্কার হিসেবে পেলেন রবীন্দ্রনাথের গল্পগুচ্ছ। গল্পগুচ্ছ পড়ে হুমায়ুন আহমেদ একপ্রকার রবীন্দ্রনাথের ফ্যান হয়ে যান। এটা তার বিভিন্ন বই থেকেই প্রমাণ পাওয়া যায়। তিনি তার লেখায় সাম-হাউ রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে আসেন। রবীন্দ্রনাথের কোনো গান, কবিতা কিংবা তার জীবনের কোনো ঘটনা হুমায়ুন আহমেদের উপন্যাসে থাকবেই।

তো যা বলতেছিলাম— তারপর থেকেই বইয়ের প্রতি তার নেশা। সম্পর্ক গড়ে তুলেন লাইব্রেরির সঙ্গে। সেখান থেকেই লেখক হুমায়ুন আহমেদ। আর তারপরই প্রসব করেন বাকের ভাই–হিমু–মিসির আলী নামের একেকটা মাস্টারপিস(?) ক্যারেক্টার।

————————————

হুমায়ুন; দ্যা দুষ্টু কাজল
১৩ নভেম্বর, ২০২২

Address

Barishal

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sazib posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Sazib:

Videos

Share

Category


Other Veterinarians in Barishal

Show All