Vet Care Plus-এপ্স ভিত্তিক ভেটেরিনারি সার্ভিস

  • Home
  • Bangladesh
  • Dhaka
  • Vet Care Plus-এপ্স ভিত্তিক ভেটেরিনারি সার্ভিস

Vet Care Plus-এপ্স ভিত্তিক ভেটেরিনারি সার্ভিস ভেট কেয়ার প্লাস (VET CARE PLUS) একটি এন্ড্রয়েড এপ ভিত্তিক ভেটেরিনারি সেবার প্ল্যাটফর্ম।
(2)

"ভেট কেয়ার প্লাস" এন্ড্রয়েট এপ যা ভেটেরিনারি ডাক্তার, মেডিসিন, ফার্মেসি খোঁজ করা ও অনলাইন সেবা নেওয়ার প্লাটফর্ম।

 #বিদ্যানন্দ  #ফাউন্ডেশন
18/09/2024

#বিদ্যানন্দ #ফাউন্ডেশন

বন্যা দুর্গত এলাকায় অসহায় পরিবারের সকল প্রাণীর জন্য আপদকালীন সময়ে ভেট কেয়ার প্লাস এর অনলাইন ভেটেরিনারি প্রেসক্রিপশন সম্প...
24/08/2024

বন্যা দুর্গত এলাকায় অসহায় পরিবারের সকল প্রাণীর জন্য আপদকালীন সময়ে ভেট কেয়ার প্লাস এর অনলাইন ভেটেরিনারি প্রেসক্রিপশন সম্পূর্ণ ফ্রি ঘোষণা করা হলো।

আলহামদুলিল্লাহ, প্রবলেম সলভ করা হয়েছে।আমাদের এপের নতুন ভার্শন ইনস্ট্রোল করতে যাদের প্রবলেম হচ্ছিল তারা এখন ট্রাই করে দেখ...
23/08/2024

আলহামদুলিল্লাহ, প্রবলেম সলভ করা হয়েছে।আমাদের এপের নতুন ভার্শন ইনস্ট্রোল করতে যাদের প্রবলেম হচ্ছিল তারা এখন ট্রাই করে দেখতে পারেন।

https://play.google.com/store/apps/details?id=app.vetcareplus

23/08/2024

প্রিয়,
ভেট কেয়ার প্লাস ইউজার।
আমাদের নতুন এপ বেশ কিছু মোবাইলে কাজ করছে না বলে অনেকেই জানিয়েছেন। আমরা বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি। আগামী 24 ঘন্টার মধ্যে আপনারা এটার সমাধান পাবেন ইনশাল্লাহ।
আমাদের ডেভেলপাররা এটা নিয়ে কাজ করছেন।

ভেট কেয়ার প্লাস-নতুন ভার্সন-আগস্ট-২০২৪ রিলিজ হয়েছে। নতুন ভার্শনের ফিচার গুলো উপভোগ করতে সম্মানিত গ্রাহকদের অনুরোধ করবো আ...
23/08/2024

ভেট কেয়ার প্লাস-নতুন ভার্সন-আগস্ট-২০২৪ রিলিজ হয়েছে।
নতুন ভার্শনের ফিচার গুলো উপভোগ করতে সম্মানিত গ্রাহকদের অনুরোধ করবো আপনারা পুরাতন ভার্শন আনইন্সট্রোল করে নতুন ভার্সন ডাউনলোড করে নিন।
এপের লিঙ্ক: https://play.google.com/store/apps/details?id=app.vetcareplus

নতুন বাংলাদেশে সবাইকে শুভেচ্ছা।ঢাকায় কেআইবি তে বসে যারা ফেসবুকে নেতৃত্ব জাহির করেছে তাদেরকে বাদ দিয়ে মাঠ পর্যায়ে যারা কা...
08/08/2024

নতুন বাংলাদেশে সবাইকে শুভেচ্ছা।
ঢাকায় কেআইবি তে বসে যারা ফেসবুকে নেতৃত্ব জাহির করেছে তাদেরকে বাদ দিয়ে মাঠ পর্যায়ে যারা কার্যক্রম দেখাতে পারবে তাদেরকে নেতা হিসেবে দেখতে চাই।
প্রতিটি উপজেলা ও জেলায় শক্তিশালী কমিটি দেখতে চাই। কমিটির সদস্য হতে হবে একেবারে ফিল্ড পর্যায়ে প্র্যাকটিসিং ভেটেরিনারিয়ান। কেন্দ্রীয় নেতার পদলেহনকারী কোন ভেটেরিনারিয়ানকে দেখতে চাইনা।
মাঠ পর্যায়ে লক্ষ লক্ষ কৃত্রিম প্রজনন কর্মী, কোয়াক, উপসহকারীরা ভেটেরিনারিয়ানদের মত চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে আর আমরা ভেটেরিনারিয়ানরা মাঠে সুবিধা করে উঠতে পারছি না।
আগামী দিন গুলোতে আমাদের করণীয় হবে
১. দুইজন ডেডিকেটেড কেন্দ্রীয় ভেটেরিনারিয়ান নেতা নির্বাচন করা।
২. ফিল্ড পর্যায়ে প্র্যাকটিসিং ভেটেরিনারিয়ানদের নিয়ে কমিটি তৈরি করা।
৩. মাঠ পর্যায়ে ভেটেরিনারিয়ানদের কাজকে একমাত্র ভেটেরিনারিয়ান কতৃক করানো নিশ্চিত করা।
৩. জেলা ভিত্তিক সমস্ত উপজেলার ভেটেরিনারি চিকিৎসা কার্যক্রম মনিটরিং করা।
৪. প্রতিটি উপজেলায় প্রাইভেট ভেটেরিনারি হাসপাতাল, ডায়াগনোস্টিক সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা।

আমরা কোন উপজেলার ইউএলও মহোদয় কতৃক এই কথা শুনতে রাজি নই যে, উপজেলায় ভেটেরিনারিয়ানদের স্বল্পতার জন্যে প্রাণিসম্পদ অফিসের কম্পাউন্ডার, ড্রেসার, উপসহকারী, এআইটি
এদেরকে চিকিৎসা করা থেকে বিরত করতে পারিনা।

ধন্যবাদ সবাইকে
ডাঃ মোঃ আরিফুর রহমান,
ফাউন্ডার,
ভেট কেয়ার প্লাস, ডিজিটাল ভেটেরিনারি সার্ভিস এপ।

প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ ছাড়া কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি এনিম্যাল রেসকিউ এর কাজ করতে পারবে না- হাইকোর্টের নির্দেশনা।
13/03/2024

প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ ছাড়া কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি এনিম্যাল রেসকিউ এর কাজ করতে পারবে না- হাইকোর্টের নির্দেশনা।

#ইনডিপেনডেন্টটেলিভিশন প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান প্রাণী উদ্ধারের কাজ ...

02/01/2024

"ভেটেরিনারি সায়েন্স বনাম পশুপালনঃ প্রাণিসম্পদ বিভাগের পশ্চাৎযাত্রা"
ডাঃ মোঃ আবু বকর আহাদ

ঔপনিবেশিক ভারতের সামরিক বাহিনীর প্রয়োজনে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ঘোড়া ও ষাঁড়ের উৎকর্ষতায় আগ্রহ দেখায় এবং ১৭৭৪ সালে ভারতে ঘোড়ার প্রজনন খামার স্থাপন করে। তখন থেকেই উপমহাদেশে আধুনিক প্রাণি চিকিৎসাবিজ্ঞানের সূচনা হয় এবং ভেটেরিনারি পেশার ক্রমবিকাশ ঘটতে থাকে। শুরুর দিকে প্রজনন খামারগুলোর উন্নয়নের জন্য লন্ডন ভেটেরিনারি কলেজ থেকে পাশ করা দক্ষ ভেটেরিনারিয়ানরা ভারতে আসতে থাকে। তাদের মধ্যে অন্যতম প্রথিতযশা ব্রিটিশ ভেটেরিনারিয়ান William Moorcroft -কে ঘোড়ার প্রজনন খামারের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পর খামারের ক্ষতি ৯০ শতাংশ হ্রাস পায়। ১৮৬২ সালে পুনেতে “আর্মি ভেটেরিনারি স্কুল” প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে উপমহাদেশে আনুষ্ঠানিক ভেটেরিনারি শিক্ষার শুরু হয়। এর পনেরো বছর পর ১৮৭৭ সালে প্রথম “সিভিল ভেটেরিনারি স্কুল” প্রতিষ্ঠিত হয় উত্তর প্রদেশের বাবুগড়ে। গবাদি প্রাণীর রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং প্রজনন ব্যবস্থার উন্নয়নে ১৮৮১ সালে ভারতে সিভিল ডিপার্টমেন্টের যাত্রা শুরু হয়। ১৮৮২ সালে পাকিস্তানের লাহোরে প্রথম ভেটেরিনারি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯২৮ সালে রয়্যাল কমিশন অন এগ্রিকালচার ভারতীয় উপমহাদেশে সহকারী ভেটেরিনারি সার্জনের সংখ্যা ৪ গুণ বাড়ানোর প্রস্তাব করে এবং একই সাথে মানসম্মত ভেটেরিনারি ডিগ্রী দেওয়ার লক্ষ্যে বিদ্যমান ভেটেরিনারি কলেজগুলো উন্নত করার পরামর্শ দেয়। পরামর্শ মোতাবেক মাদ্রাজ ভেটেরিনারি কলেজ এই লক্ষ্যে নেতৃত্ব দেয় এবং ১৯৩৬ সালে মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে “ব্যাচেলর অব ভেটেরিনারি সায়েন্স” ডিগ্রী প্রদান শুরু হয়। ঐ সময়ে অবিভক্ত বাংলায় সদ্য প্রতিষ্ঠিত কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ছিলো প্রাণিসম্পদ সেক্টর।

১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ ভাগ হওয়ার পর বেশিরভাগ মুসলিম ভেটেরিনারি সার্জন পূর্ব পাকিস্তানে চলে আসে। ঐ বছরের ৭ ডিসেম্বর কুমিল্লায় “ইস্ট পাকিস্তান ভেটেরিনারি কলেজ” প্রতিষ্ঠা করা হয় যেখানে ৩ বছয় মেয়াদী “ডিপ্লোমা ইন ভেটেরিনারি মেডিসিন এন্ড সার্জারি (ডিভিএমএস)” ডিগ্রি দেয়া হতো যা পরবর্তীতে “লাইসেন্সিয়েট ভেটেরিনারি সায়েন্স (এলভিএস)” হিসেবে নামকরণ করা হয়। এসময় কৃষি ও প্রাণিসম্পদ সেক্টর দুটোকে আলাদা করা হয়। ১৯৫১ সালে কুমিল্লা থেকে “ইস্ট পাকিস্তান ভেটেরিনারি কলেজ” ঢাকার তেজগাঁওয়ে স্থানান্তর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। কলেজের নামকরণ করা হয় “ইস্ট পাকিস্তান কলেজ অব ভেটেরিনারি সাইন্স অ্যান্ড অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি” যেখান থেকে ৫ বছর মেয়াদী “বিএসসি ইন এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি” ডিগ্রি দেয়া হতো (মূলত ভেটেরিনারি সায়েন্স এবং এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি কে অবিচ্ছেদ্য বিবেচনায় এ ধরণের নামকরণ করা হয়)। ১৯৫৭ সালে “ইস্ট পাকিস্তান কলেজ অব ভেটেরিনারি সাইন্স অ্যান্ড অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি” তেজগাঁও, ঢাকা থেকে ময়মনসিংহে স্থানান্তরিত হয় এবং “বিএসসি ইন এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি” ডিগ্রীর নাম পরিবর্তন করে “বিএসসি ইন ভেটেরিনারি সায়েন্স এন্ড এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি” রাখা হয় যা ১৯৬১ সাল পর্যন্ত বলবৎ ছিল।

পূর্ব বাংলার জাতীয় শিক্ষা কমিশন এবং খাদ্য ও কৃষি কমিশনের সুপারিশক্রমে ১৯৬১ সালে “ইস্ট পাকিস্তান কলেজ অব ভেটেরিনারি সাইন্স অ্যান্ড অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি” কে কেন্দ্র করে “ইস্ট পাকিস্তান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়” (বর্তমানে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়) প্রতিষ্ঠিত হয় । ১৯৬২ সালে একই কমিশনের সুপারিশে ইস্ট পাকিস্তান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে “বিএসসি ইন ভেটেরিনারি সায়েন্স এন্ড এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি” ডিগ্রীকে বিলুপ্ত করে ভেটেরিনারি ও পশুপালন নামক দুটি পৃথক অনুষদ তৈরি করা হয়। ভেটেরিনারি অনুষদে “ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন (ডিভিএম)” এবং পশুপালন অনুষদে “বিএসসি ইন এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি” ডিগ্রী প্রবর্তন করে পেশাগত বিভাজনের বীজ বপন করা হয়। উল্লেখ্য, যৌথ ইন্দো-আমেরিকান ও পাক-আমেরিকান বিশেষজ্ঞরা ভারতবর্ষের কৃষি শিক্ষা ও গবেষণায় আমেরিকার এ সুপারিশে “বিএসসি ইন ভেটেরিনারি সায়েন্স এন্ড এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি” ডিগ্রীকে দুটি পৃথক ডিগ্রীতে বিভক্ত করার সুপারিশ করে। ভারতের ২২টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র ৩টি এবং পাকিস্তানের ২টি বিশ্ববিদ্যালয় দুটো ডিগ্রীকে আপাতত আলাদা করে দিলেও পরবর্তী সময়ে ভারতের ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল কমিশন এ দুই ডিগ্রীর বিভক্তি প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করে আবারও সমন্বিত ডিগ্রী চালু করে। কিন্তু বাংলাদেশে এই হুমকি সনাক্ত ও ব্যবস্থা নিতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। ফলে দুই ডিগ্রিধারীদের মধ্যে পেশাগত দ্বন্দ্ব মাঠপর্যায়ে ছড়িয়ে পড়ে।

কৌশলগতভাবে দ্বন্ধ নিরসনে বাংলাদেশ সরকার ভেটেরিনারি মেডিসিন ও পশুপালন উভয় ডিগ্রীকে পুণরায় একীভূত করে “কম্বাইন্ড ডিভিএম” ডিগ্রী চালু করার উদ্যোগ নেয়। যার প্রেক্ষিতে ১৯৯৪ সালে সিলেট সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ এবং ১৯৯৬ সালে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয় যেগুলো পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ নেয়। “কম্বাইন্ড ডিভিএম” ডিগ্রী পরবর্তীতে আরও অনেক কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া শুরু হয় এবং এই ডিগ্রীধারীদের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। প্রতিযোগিতার মনোভাব থেকে পশুপালন ডিগ্রীধারীরাও তাদের সংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্যে শত বিরোধিতা স্বত্ত্বেও ২০১০ সালে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পশুপালন অনুষদ খুলে পশুপালন ডিগ্রী প্রদান শুরু করে। পশুপালন ডিগ্রিধারীরা কম্বাইন্ড ডিভিএম ডিগ্রীর অন্তর্গত পশুপালন বিষয়ের স্বীকৃতি দিতে নারাজ যদিও সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে এসব বিষয়ের বেশিরভাগ শিক্ষক পশুপালন ডিগ্রিধারী। এজন্য পরবর্তীতে যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুনভাবে ভেটেরিনারি সায়েন্স পড়ানো হচ্ছে সেখানে “কম্বাইন্ড ডিভিএম” ডিগ্রীর নাম পুণরায় “বিএসসি ইন ভেটেরিনারি সায়েন্স এন্ড এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি” করা হয়েছে। ভেটেরিনারিয়ানরা “ডিভিএম” অথবা “বিএসসি ইন ভেটেরিনারি সায়েন্স এন্ড এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি” ডিগ্রীর সাথে “বিএসসি ইন এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি” ডিগ্রী একীভূত করার ব্যাপারে সম্মতি দিলেও পশুপালন ডিগ্রীধারীরা স্বকীয়তা ধরে রাখতে বরাবরের মতই অনাগ্রহ প্রকাশ করে আসছে।

অস্তিত্ব সংকটের আশঙ্কা থেকে পশুপালন ডিগ্রিধারীরা এখন নতুন অপকৌশল অবলম্বন করেছে। তার সর্বশেষ উদাহরণ হচ্ছে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বর্তমান সচিব ড. নাহিদ রশীদ (তিনি একজন পশুপালন ডিগ্রিধারী) -এর নেতৃত্বে পশুপালন ডিগ্রীধারীরা স্টেকহোল্ডারদের সাথে পরামর্শ এবং যাচাই বাছাই ছাড়া গোপনীয়তার সাথে “বাংলাদেশ এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি কাউন্সিল আইন” তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন। এই আইনের মাধ্যমে গোষ্ঠীগত স্বার্থ বিবেচনায় পশুপালন ডিগ্রিধারীরা ন্যক্কারজনকভাবে ভেটেরিনারি পেশাজীবীদের অনেক প্রতিষ্ঠিত অধিকার খর্ব করে তা নিজেদের বলে দাবি ও প্রচারণা করছেন। তারা দাবি করছেনঃ প্রাণি উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা, প্রানি পুষ্টি, প্রানি প্রজনন, প্রানিজাত পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, খাদ্য নিরাপত্তা ইত্যাদি তাদের কাজ; আর ভেটেরিনারিয়ানদের কাজ শুধুমাত্র চিকিৎসা করা! অথচ বিশ্ব প্রাণী স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী প্রাণিজাত খাদ্যপণ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং স্থানীয় অথবা আন্তর্জাতিকভাবে বাজারজাতকরণের প্রতিটি স্তরে ইন্সপেকশন ও সার্টিফিকেশনের দায়িত্বে থাকবে শুধুমাত্র ভেটেরিনারিয়ান। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এবং বিশ্ব প্রাণী স্বাস্থ্য সংস্থার সুস্পষ্ট নির্দেশনায় বলা আছে যেঃ ভেটেরিনারিয়ানরা প্রাণি কল্যাণ সমুন্নত রেখে প্রাণি উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা, প্রাণির রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ, প্রজনন ব্যবস্থাপনা, কৃত্রিম প্রজনন, খাদ্য নিরাপত্তা, গণস্বাস্থ্য, জুনোসিস ও মহামারী নিয়ন্ত্রণ, ওষুধ ও টিকা উৎপাদন, প্রাণিজাত পণ্য বাজারজাতকরণ, আমদানি ও রপ্তানিতে সার্টিফিকেশন, প্রজাতি সংরক্ষণ, স্থল ও জলস্থ্ বন্যপ্রাণীর সুরক্ষা, গবেষণা, সম্প্রসারণ ইত্যাদি কার্যক্রমে সরাসরি যুক্ত থাকবেন।

ভেটেরিনারি আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম এমনভাবে সাজানো যাতে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার পর একজন ভেটেরিনারি জেনারেলিস্ট জল, স্থল কিংবা আকাশচরী, গৃহপালিত থেকে বন্য, ভক্ষণযোগ্য কিংবা সহচর এই বিশাল প্রাণী জগতের কল্যাণে কাজ করতে পারেন। এরপর সুনির্দিষ্ট বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহন করে ভেটেরিনারি স্পেশালিস্টগণ মেডিসিন, সার্জারি, থেরিওজেনোলজি, কার্ডিওলজি, ডেন্টিস্ট্রি, ডার্মাটোলজি, অপথালমোলজি, প্যাথলজি, মাইক্রোবায়োলজি, এনেস্থেসিয়া, ইমার্জেন্সি এন্ড ক্রিটিক্যাল কেয়ার, নিউট্রিশন, স্পোর্টস মেডিসিন এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন, ফার্মাকোলজি, টক্সিকোলজি, রেডিওলজি, প্রিভেন্টিভ মেডিসিন, প্রাণী আচরণ, প্রাণী কল্যাণ, গণস্বাস্থ্য ইত্যাদি বিষয়ে প্র্যাকটিস অথবা গবেষণা কার্যক্রমে নিযুক্ত হন। আবার প্রজাতি ভেদে ভেটেরিনারি ডাক্তারগণ দুগ্ধজাত কিংবা মাংসজাত গবাদিপ্রাণী, পোল্ট্রি, পাখি, ঘোড়া, ক্যানাইন (কুকুর জাতীয়), ফেলাইন (বিড়াল জাতীয়), ভক্ষণযোগ্য প্রাণী, ল্যাবরেটরি প্রাণি, সরীসৃপ এবং উভচর প্রাণী, চিড়িয়াখানার প্রাণি, জলজ প্রাণি, সামুদ্রিক বন্যপ্রাণি বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।

বিশ্ব প্রাণী স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী প্রাণী উৎপাদনের মূলনীতি (বাসস্থান, খাদ্য ও প্রজনন ব্যবস্থাপনা), প্রাণি পুষ্টি, প্রাণিজাত খাদ্যপণ্যের বাজারজাতকরণ এবং খাদ্য নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়গুলো ভেটেরিনারি আন্ডারগ্র্যাজুয়েট শিক্ষার কোর কারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত। এই বিষয়গুলোকে প্রি-ভেটেরিনারি সায়েন্স বলে। গাইডলাইনে সুস্পষ্টভাবে এটাও উল্লেখ আছেঃ মৌলিক ভেটেরিনারি সায়েন্স এবং এনিম্যাল প্রডাকশন সম্পর্কিত বিষয়গুলো ভেটেরিনারি আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের শুরুর দিকে পড়াতে হবে অথবা এই বিষয়গুলোকে ভেটেরিনারি আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির পূর্বশর্ত হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রে “ডিভিএম” কিংবা “এমবিবিএস” ডিগ্রীতে আবেদনের যোগ্যতা হিসেবে মৌলিক বিজ্ঞান অথবা সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে অনার্স ডিগ্রী থাকা বাধ্যতামূলক। এ্যাসোসিয়েশন অব অ্যামেরিকান ভেটেরিনারি মেডিক্যাল কলেজের নির্দেশনা অনুযায়ী ডিভিএমে আবেদনের পূর্বশর্ত হিসেবে প্রি-ভেটেরিনারি সায়েন্সের (এনিম্যাল সায়েন্স/হাজবেন্ড্রি, এনিম্যাল নিউট্রিশন এবং জেনেটিক্স) কথা উল্লেখ আছে।এই প্রি-ভেটেরিনারি সায়েন্সের বিষয় নিয়ে বাংলাদেশে “এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি” নামে ব্যাচেলর ডিগ্রী দেওয়া হচ্ছে। প্রি-ভেটেরিনারি সায়েন্স নিয়ে দেশে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম চালু থাকা দোষের কিছু না। কিন্তু প্রি-ভেটেরিনারি সায়েন্সকে ভেটেরিনারি সায়েন্সের সমতুল্য ভাবা এবং সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্রে পশুপালন ডিগ্রীধারীরা নিজেদেরকে ভেটেরিনারি ডাক্তারের চেয়ে অধিকতর যোগ্যতাসম্পন্ন ভাবা অবশ্যই দোষের কিছু। ভেটেরিনারি ডাক্তারদের কাজ শুধুমাত্র প্রাণি চিকিৎসা ইত্যাদি প্রচার করে ভেটেরিনারিয়ানদের প্রতিষ্ঠিত অধিকার খর্ব করার চেষ্টা এবং প্রাণিসম্পদ বিভাগে কাজ ভাগাভাগি করার উদ্দেশ্যে বিদ্যমান “বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল আইন-২০১৯” এর বেশিরভাগ নকল করে “বাংলাদেশ এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি কাউন্সিল আইন-২০২৩” প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়ে পশুপালন ডিগ্রীধারীরা প্রানিসম্পদ বিভাগে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন।

এমবিবিএস ডাক্তাররা নিউট্রিশন এন্ড ফুড সায়েন্স, ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন, পেডিয়াট্রিক নিউট্রিশন ইত্যাদি বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রী নিয়ে মানুষের পুষ্টিরোগ বিশেষজ্ঞ অথবা পুষ্টিবিদ হিসেবে কাজ করছেন। আবার নিউট্রিশন এন্ড ফুড সায়েন্স অথবা ফুড সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি ডিগ্রিধারী গ্র্যাজুয়েটরাও মানুষের ডায়েটিশিয়ান বা পুষ্টিবিদ হিসেবে কাজ করছেন। তাই বলে শেষোক্ত পুষ্টিবিদেরা নিজেদেরকে এমবিবিএস ডাক্তারের চেয়েও বড় পুষ্টিবিদ দাবি করে স্বাস্থ্য ক্যাডারে চাকুরি করছেন না। পুষ্টিবিদ হিসেবে নিজেদের পেশাজীবী দাবি করে বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইনের অনুলিপি তৈরির উদ্যোগ নিচ্ছেন না বরং স্বাস্থ্য বিভাগের কিছু ক্ষেত্রে সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন।

বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত নিয়ন্ত্রিত পেশা আছে হাতেগোনা কয়েকটি। তার মধ্যে ভেটেরিনারি পেশা অন্যতম। কেবলমাত্র নিয়ন্ত্রিত পেশায় প্র্যাকটিস করার পূর্বে সরকারি রেগুলেটরি বডি থেকে লাইসেন্স গ্রহন করা বাধ্যতামূলক। বাংলাদেশেও নিয়ন্ত্রিত পেশাগুলোর জন্য সরকারি রেগুলেটরি বডি রয়েছে যেগুলো প্রফেশনাল কাউন্সিল (যেমন বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল, বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ইত্যাদি) হিসেবে পরিচিত। প্রফেশনাল কাউন্সিল গঠিত হয় জনগণের স্বার্থে (মানুষ ও প্রাণীর জীবনের সুরক্ষার জন্য) আর এসোসিয়েশন হয় গোষ্ঠীর স্বার্থে। কিন্তু দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পেশা না হয়েও পশুপালন ডিগ্রিধারীদের জন্য নিয়ন্ত্রিত পেশার অনুরূপ বাংলাদেশ এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি কাউন্সিল কার স্বার্থে গঠন করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে? তাও আবার বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল আইন-২০১৯ কে নকল করে!

প্রাণিসম্পদ বিভাগে দুই ডিগ্রীদারীদের দ্বন্ধ মেটাতে ব্যর্থ হয়েছিলো অতীতের সকল সরকার। নাহয় এতদিনে মাঠ পর্যায়ে প্রান্তিক খামারিরা ভেটেরিনারি জেনারেলিস্টের পরিবর্তে অনেক ভেটেরিনারি স্পেশালিস্টের সেবা পেতো। সাম্প্রতিক সময়ে অনেকের প্রচেষ্টায় এবং দুই ডিগ্রিধারীদের সমঝোতায় প্রাণি চিকিৎসা, উৎপাদন এবং ব্যবস্থাপনায় এক ডিগ্রী প্রবর্তনে অনেকদূর এগিয়েছিলো প্রানিসম্পদ বিভাগ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। কিন্তু সেই প্রচেষ্টাকে ভন্ডুল করে দিয়েছে পশুপালন ডিগ্রীধারীরা। তাহলে দীর্ঘদিনের দ্বন্ধ জিইয়ে রেখে প্রাণিসম্পদ বিভাগের পশ্চাৎযাত্রা ঠেকাবে কে?

27/12/2023

বিদ্যমান বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল আইন-২০১৯ বলবৎ থাকার পরও পক্ষপাতদুষ্ট ও বিতর্কিত বাংলাদেশ এনিমেল হাজবেন্....

এ্যানিমেল হাজবেনন্ড্রি কাউন্সিল ২০২৩ বাংলাদেশ প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর আইন এবং বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল আইন ২০১৯ সালের স...
26/12/2023

এ্যানিমেল হাজবেনন্ড্রি কাউন্সিল ২০২৩ বাংলাদেশ প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর আইন এবং বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল আইন ২০১৯ সালের সাথে সাংঘর্ষিক।


লেখাঃ Dr. Md. Nure Alam
আপনারা সবাই অবগত আছেন, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ বা আইন প্রণয়নের প্রচলিত ধাপ অনুসরণ না করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয় সুফলভোগী একটি পক্ষের ইচ্ছামত ও সংশ্লিষ্ট কোর ডিপার্টমেন্ট (প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর) এবং হুবহু একই বিষয়াবলী নিয়ন্ত্রণকারী আরেকটি আইন “বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল এক্ট-২০১৯ (বিভিসি এক্ট-২০১৯)” এর প্রণেতা ও রেগুলেটরি বডি বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের সাথে কোনরকম আলোচনা ছাড়াই “বাংলাদেশ এনিমেল হাজবেন্ড্রি কাউন্সিল আইন -২০২৩ (বিএএইচসি -২০২৩)” প্রণয়নের জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন।
অনেকেই প্রশ্ন করছেন, এএইচ গ্রেজুয়েটদের আলাদা আইন থাকলে সমস্যা কি? তাদের জন্য আইনের ধারা ও এদের ভেতর লুক্কায়িত মারপ্যাচগুলো আলোচনা করি।

❎ আইনটির ২(১১) ধারায় - “এ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি” অর্থ এ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি শিক্ষা ও পেশায় দেশীয় বা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রাণীর উৎপাদন, প্রজনন, পুষ্টি, রোগ প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা, খামার ব্যবস্থাপনা, প্রযুক্তি সম্প্রসারন ইত্যাদি সংক্রান্ত বিষয়াবলি; উল্লেখ করা হয়েছে।

❎ ২(১৫) “এ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি প্র্যাকটিস” অর্থ প্রাণীর উৎপাদন, প্রজনন, পুষ্টি, রোগ প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা, প্রযুক্তি সম্প্রসারণ কার্যক্রম, মাংস, দুধ ও ডিম উৎপাদন, ভ্যালু এডেড প্রোডাক্ট উৎপাদন, প্রাণী উৎপাদন বিষয়ে গবেষণা, কৃত্রিম প্রজনন বিষয়ে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদান বা পরামর্শ প্রদান।

✅ অথচ উৎপাদন, প্রজনন সরাসরি থেরিওজেনোলজির অন্তর্ভুক্ত বিষয়। যখনই প্রজনন,উৎপাদন সংক্রান্ত বিষয় আসবে তখনই হরমোনাল মেনেজমেন্ট চলে আসবে, এম্ব্রায়ো ট্রান্সফার নিয়ে ভাবলেই সার্জিকেল মেনেজমেন্ট, স্পেশালাইজড হরমোনাল কন্ট্রোল ও মেনেজমেন্ট চলে আসবেই। এগুলো একজন ভেটেরিনারিয়ান এর কোর কাজ। কোন ভাবেই ভেটেরিনারিয়ান এর বাইরে যাবার সুযোগ নেই।

✅ ইনফারটিলিটি, ডিসটোকিয়া ম্যানেজমেন্ট একজন ভেটেরিনারিয়ান ছাড়া কিভাবে হবে?

✅ প্রাণী উৎপাদন বিষয়ে গবেষণা করতে গেলেও বিএএইচসি -২০২৩ অনুসারে অনুমোদন নিয়ে করত হবে? প্রফেসর ডঃ শামসুদ্দিন স্যারের ফিলড ফার্টিলিটি ক্লিনিক, প্রফেসর ডঃ ফরিদা ইয়াসমিন বারি স্যারের টেস্ট টিউব বেবি ল্যাব কিংবা পরফেসর ডঃ নাসরিন সুলতানা স্যারের সেক্সড সিমেন কার্যক্রম কার অনুমতি নিয়ে করবে? উক্ত কাউন্সিলের অনুমোদন ছাড়া করলেতো জেল জরিমানা করে দিবেন! আপনারা কি অনুমোদন দিবেন ওনাদের?

✅ পুষ্টি ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কথা বলতে গেলেই অপুষ্টি নিয়ে কথা বলতে হবে, তাইতো,নাকি? তো অপুষ্টি সমস্যা সমাধানে প্রেসক্রিপশন কে করবে?

✅ রোগ প্রতিরোধ ট্রায়াংগেল – ভ্যাক্সিনেশন, বায়োসিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট, মেডিসিন দিয়ে চিকিৎসা। ইনফেকশাস ডিজিজের অরগানিজম আইসোলেশন, ভ্যাক্সিন ডেভেলপ করা ভেটেরিনারি এপিদেমিওলজিস্ট, প্যাথলজিস্ট, মাইক্রোবায়োলজিস্ট এর কোর কাজ।

✅মেডিসিন ব্যবহার মানে প্রেসক্রিপশন করতে গেলেই বিদ্যমান বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল আইন লংগন হবে। ভেটেরিনারিয়ান ব্যতীত এনিমেল এর জন্য প্রেসক্রিপশন করার অধিকার কারো নেই। তাহলে কি দাঁড়ালো? মহান জাতীয় সংসদে পাশ হওয়া একটি আইনকে অকার্যকর আরেকটি আইন করা হলো।

❎ ৩। আইনের প্রাধান্য- আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলি প্রাধান্য পাইবে।

✅ এই শর্তানুসারে পুর্ববর্তি সকল আইন অকার্যকর হয়ে যায়! “বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল এক্ট-২০১৯ (বিভিসি এক্ট-২০১৯)” আপাতত বলবৎ আছে। তাই যেখানেই এই আইনের সাথে সংঘর্ষ বাধবে সেখানেই নতুন আইনের এই শর্তানুযায়ী বিভিসি এক্ট তার কার্যকারিতা হারাবে। ভেটেরিনারিয়ানদের প্রতিটি পদক্ষেপ বাধাগ্রস্থ হবে।

✅ ৪(২) কাউন্সিল একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সিলমোহর থাকিবে এবং এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে, ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং ইহা স্বীয় নামে মামলা করিতে পারিবে এবং উক্ত নামে ইহার বিরুদ্ধেও মামলা করা যাইবে।

✅ উক্ত ধারা অনুসারে যেখানে যেখানে ভেটেরিনারিয়ানদের আটকাতে চাইবেন, মামলা করে দিবেন। অতীত ইতিহাস বলে মামলার জন্য দশ বছর বিসিএস এ নিয়োগ বন্ধ ছিলো, যার পর ১৯ তম স্পেশাল বিসিএস হয়। কেউ দ্বিমত করবেনা সেই দশ বছরের ক্ষতি ডিএলএস এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি। পালটা পালটি মামলা জনস্বার্থের বারোটা বাজাতে পারে।

❎ ১৭। নিবন্ধন ও সনদ ব্যতীত এ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি প্র্যাকটিস নিষিদ্ধ- আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না
কেন, এই আইনের অধীন নিবন্ধন ও সনদ ব্যতীত কোনো ব্যক্তি এ্যানিমেল হাজবেন্ড্রিয়ান প্র্যাকটিস করিতে বা নিজেকে এ্যানিমেল
হাজবেন্ড্রিয়ান বলিয়া পরিচয় প্রদান করিতে পারিবেন না।

❎ ২৩। নিবন্ধিত এ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি প্র্যাকটিশনারের বিশেষাধিকার-
(১) শুধুমাত্র নিবন্ধিত এ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি প্র্যাকটিশনার সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, বে-সরকারি বা কোনো স্থানীয়
কর্তৃপক্ষের সহায়তায় পরিচালিত বিভিন্ন ব্রিডিং বুল স্টেশন, সিমেন প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠান, গবাদপিশুর খামার, ফিডমিল, হাঁস- মুরগীর হ্যাচারি, দুধ-মাংস-ডিম ইত্যাদি প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠান, হাঁস-মুরগী ও গবাদপিশুর খাদ্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসহ এ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি বিষয়ক পদ সমূহে নিয়োগ লাভের যোগ্য হইবেন।

✅ এই ধারাগুলোর আলোকে কোন ভেটেরিনারিয়ান কোন ব্রিডিং বুল স্টেশন, সিমেন প্রক্রিয়াজাতকারি প্রতিষ্টান, ডেইরি-পোল্ট্রি খামার, ফিডমিল, হাঁস-মুরগীর হ্যাচারি, দুধ-মাংস-ডিম ইত্যাদি প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠান, হাঁস-মুরগী ও গবাদপিশুর খাদ্য উৎপাদনকারী সরকারি-বেসরকারি-স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে কাজ করার অধিকার হারাবেন!
এটি ভেটেরিনারি প্রফেশনের উপর কত বড় আঘাত তা অননুমেয়!

❎ (৩) আপাততঃ বলবৎ কোনো আইনের অধীন এ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি বিষয়ক কোনো সনদ স্বাক্ষর বা সত্যায়নের প্রয়োজন হইলে,
শুধুমাত্র নিবন্ধিত এ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি প্র্যাকটিশনার এইরূপ স্বাক্ষর বা সত্যায়ন করিতে পারিবেন।
❎ ২৪। বেসরকারি প্রাণী পুষ্টি ল্যাবরেটরি, কৃত্রিম প্রজনন ল্যাবরেটরি, এ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি বিষয়ক ল্যাবরেটরি ইত্যাদির স্বীকৃতি।
কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিক প্রয়োজনে কোনো প্রাণী পুষ্টি ল্যাবরেটরি, কৃত্রিম প্রজনন ল্যাবরেটরি, এ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি বিষয়ক ল্যাবরেটরি ইত্যাদি পরিচালনা করিতে চাহিলে তাহাকে স্বীকৃতির জন্য নির্ধারিত পদ্ধতিতে কাউন্সিলের নিকট আবেদন করিতে হইবে।
❎ ২৫। বেসরকারি প্রাণী পুষ্টি ল্যাবরেটরি, কৃত্রিম প্রজনন ল্যাবরেটরি, এ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি বিষয়ক ল্যাবরেটরি ইত্যাদির স্বীকৃতি
প্রত্যাহার-
❎(১) কাউন্সিলের নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, কোনো প্রাণীপুষ্টি ল্যাবরেটরি, কৃত্রিম প্রজনন ল্যাবরেটরি, এ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি বিষয়ক ল্যাবরেটরি ইত্যাদি কর্তৃক-
❎২৮। পরিদর্শন-
কাউন্সিল কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মচারী কোনো এ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি সংশ্লিষ্ঠ প্রতিষ্ঠান বা তদকর্তৃক গৃহীত পাঠ্যসূচি, পরীক্ষা গ্রহণ পদ্ধতি, প্রশিক্ষণ ও এতদসংক্রান্ত অন্যান্য কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শন করিতে পারিবেন এবং পরিদর্শন সম্পর্কিত প্রতিবেদন রেজিস্ট্রারের নিকট দাখিল করিবেন।

❎৩১। কাউন্সিলের স্বীকৃতি ব্যতিরেকে বেসরকারি প্রাণী পুষ্টি ল্যাবরেটরি, কৃত্রিম প্রজনন ল্যাবরেটরি, এ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি বিষয়ক ল্যাবরেটরি ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনার দন্ড-
❎(১) কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ধারা ৩০ এর অধীন স্বীকৃতি গ্রহণ ব্যতিরেকে কোনো বেসরকারি প্রাণী পুষ্টি ল্যাবরেটরি, কৃত্রিম প্রজনন ল্যাবরেটরি, এ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি বিষয়ক ল্যাবরেটরি ইত্যাদি পরিচালনা করিলে উহা এই আইনের অধীন অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে এবং অপরাধের সহিত প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা রহিয়াছে এইরূপ প্রতিষ্ঠানের মালিক, পরিচালক, ব্যবস্থাপক, সচিব বা অন্য কোনো কর্মচারী উক্ত অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে, যদি না অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রমাণ করিতে পারেন যে, অপরাধটি তাহার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হইয়াছে এবং তাহা রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন সংঘটিত অপরাধের জন্য অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদন্ড বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবে এবং উক্ত অপরাধ অব্যাহত থাকিলে প্রতিদিনের জন্য ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।

✅ এই ধারাগুলো সরাসরি বিদ্যমান বিভিসি এক্ট, পশু রোগ আইন কে চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে।
✅ প্রাণীপুষ্টি ল্যাবরেটরি, কৃত্রিম প্রজনন ল্যাবরেটরি স্থাপন করতে ডিএলএস থেকে বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু এই আইন প্রস্তাবিত কাউন্সিল কে উক্ত ক্ষমতায়ন করবে। ফলে ডিএলএস তার রেগুলেটরি ক্ষমতা হারাবে।
✅ শুধু তাই নয়- পরিদর্শন করার ক্ষমতা উক্ত কাউন্সিল কে ভেতেরিনারিয়ান দের দ্বারা পরিচালিত এসকল গবেষণা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গুলোকে হুমকির মুখে ফেলে দেব।

✅ যেসব ইউনিভার্সিটিতে কম্বাইন্ড কোর্স চালু আছে সেসব জায়গায় ইন্টারফেয়ার করবে। আইনের ধারা অনুসারে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে।

❎ ২৯। নিবন্ধন ও সনদ ব্যতীত এ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি প্র্যাকটিস করিবার দন্ড-
কোনো ব্যক্তি নিবন্ধন ও সনদ ব্যতীত এ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি প্র্যাকটিস করিলে উহা এই আইনের অধীন অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) বৎসর কারাদন্ড অথবা অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।
৩২। মিথ্যা বা প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ করিবার দন্ড-
(১) কোনো ব্যক্তি-
(ক) নিবন্ধিত না হইয়া নিজেকে এ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি প্র্যাকটিশনার বলিয়া পরিচয় প্রদান করিলে;
(খ) প্রতারণা করিয়া এ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি প্র্যাকটিশনার হিসাবে নিবন্ধন করিলে বা নিবন্ধন করিবার উদ্যোগ গ্রহণ করিলে;
(গ) প্রতারণামূলকভাবে তাহার নাম, পদবির সহিত নিবন্ধিত প্র্যাকটিশনার মর্মে কোনো শব্দ, বর্ণ বা অভিব্যক্তি ব্যবহার করিলে; (ঘ) মিথ্যা বা প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ করিয়া এ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি প্র্যাকটিশনার হিসাবে প্রতিনিধিত্ব করিলে;

✅ নিশ্চিত করে বলা যায় কোন ভেটেরিনারিয়ান কোন ব্রিডিং বুল স্টেশন, সিমেন প্রক্রিয়াজাতকারি প্রতিষ্টান, ডেইরি-পোল্ট্রি খামার, ফিডমিল, হাঁস-মুরগীর হ্যাচারি, দুধ-মাংস-ডিম ইত্যাদি প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠান, হাঁস-মুরগী ও গবাদপিশুর খাদ্য উৎপাদনকারী সরকারি-বেসরকারি-স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে কাজ করলে উক্ত ধারাগুলোর আওতায় জরিমানা বা জেল অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন।
✅ভেটেরিনারিয়ান দের কাজের ক্ষেত্র সংকোচন হবে।
সরকারি পোস্টে কাউন্সিল এর রেজিষ্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করে দিয়ে এপ্লাই করারই সুযোগ দেয়া হবেনা।

✅অথচ প্রকাশ্য বর্তমানে পাশ করা প্রতিবছর প্রায় দেড় হাজার গ্রেজুয়েট এসকল প্রতিষ্ঠান এ চাকরি করছেন।

✅ উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে কারো অস্পষ্ট থাকার কথা নয় কেন আপামর ভেটেরিনারিয়ান উক্ত আইনের বিরোধিতা করছেন।
✅সাধারণত যে কোন আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সাথে ব্যাপকভাবে মতবিনিময় ও আলোচনাক্রমে আইনের খসড়া প্রস্তুত করা হয়। উল্লেখ্য যে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রধান কারিগরী সংস্থা প্রানিসম্পদ অধিদপ্তর। বর্তমানে উক্ত অধিদপ্তরের আওতায় এগার (১১) টি আইন বিদ্যমান। প্রতিটি আইনের খসড়া প্রাথমিকভাবে অধিদপ্তরে প্রণীত হয়েছে। অতঃপর সেগুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে প্রেরিত হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত উক্ত আইনের ক্ষেত্রে এসব প্রক্রিয়া অনুসৃত হয়নি। তাছাড়া বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের সাথেও কোনরুপ আলোচনা না করে বরং প্রানিসম্পদ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল কে পাশ কাটিয়ে সচিব মহোদয় স্ব-উদ্যোগে বাংলাদেশ এনিমেল হাজবেন্ড্রি কাউন্সিল আইন ২০২৩ বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

✅ উল্লেখ্য যে, এনিমেল হাজবেন্ড্রি কাউন্সিল আইন নামে কোন আইন পৃথিবীর কোন দেশে অস্থিত্ব নেই (সম্প্রতি পাকিস্তানের একটি প্রস্তাবিত বিলের রেফারেন্স দিচ্ছেন কিন্তু সেই বিলটি বাতিল হয়েছে) এবং প্রণীত আইনের প্রতিটি ধারা বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল আইন – ২০১৯ সহ রেগুলেটরি বডি হিসেবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অস্থিত্ব হুমকিতে ফেলবে।

✅এর সাথে সাংঘর্ষিক এবং বিদ্যমান আইনের অনেক ধারাকে রহিত করে দেয়। ওনার উক্ত অনৈতিক উদ্যোগ গ্রহনের কারণে দেশের প্রতিটি (১৪ টি) কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজার হাজার ছাত্র আন্দোলনে ফেটে পড়ে, প্রতিবাদ মিছিল, মানব বন্ধন সহ সমস্ত ক্লাস পরিক্ষা বর্জন করে।

✅ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রায় এক হাজার ভেটেরিনারি গ্রেজুয়েট নির্বাচনী দায়িত্ব করবেন। উক্ত অপ্রয়োজনীয় আইন প্রণয়নের ঘোষনার ফলে তাদের মাঝেও তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরেও ব্যাপক অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরি হয়েছে। সেখানে প্রতিদিন অনুষ্টিত হচ্ছে প্রতিবাদ সভা। এতে করে নির্বাচনী পরিবেশ মারাত্নকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। তাছাড়া জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে সরকার ও প্রশাসন নির্বাচন নিয়ে প্রচন্ড দায়বদ্ধতার সাথে কাজ করছে ও কেবল রুটিন দায়িত্ব পালন করছে, সেই মুহুর্তে এ ধরনের বিতর্কিত আইন প্রণয়নের পেছনে কোন দুরভিসন্ধি রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার। আইন প্রণয়নের ন্যায় নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত এই নিররাবচনকালীন সময়ে মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার ভুক্ত কিনা তাও বিবেচনার দাবী রাখে।

25/12/2023

বাংলাদেশ অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি কাউন্সিল আইন-২০২৩ প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। বিদ্.....

25/12/2023
25/12/2023

অবৈধ এনিম্যাল হাসবেনড্রি কাউন্সিল করার অপচেষ্ঠা প্রতিহত করুন:
১৯৩৬ সালে (বৃটিশ আমলে) অবিভক্ত বাংলায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল কৃষি মন্ত্রণালয় যার অন্তর্গত ছিল কৃষি এবং লাইভস্টক।

১৯৩৮ সালে “বেঙ্গল এগ্রিকালচারাল ইনস্টিটিউট (BAI)” কর্তৃক B.Ag. কোর্স চালু করা হয় যেখানে লাইভস্টক সায়েন্স ছিল মূল কোর্সের মাত্র ১৫·৭%।

১৯৪৭ সালে পাকিস্থান স্বাধীন হবার পর কৃষি ও লাইভস্টক সেক্টর দুটোকে আলাদা করা হয়।

১৯৫০ সালে কুমিল্লাতে নতুনভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় “ইস্ট পাকিস্তান ভেটেরিনারি কলেজ” যা ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত।

১৯৫৭ সালে আরো পরিবর্ধিত এবং পরিমার্জিত রূপে “ইস্ট পাকিস্তান ভেটেরিনারি কলেজ” কুমিল্লা হতে ময়মনসিংহে স্থানান্তরিত করে নতুন আঙ্গিকে যাত্রা শুরু করে যার নাম ছিল “East Pakistan Vetrrinary and Animal Husbandry college যা এখন করিম ভবন নামে পরিচিত। এখান হতেই পরবর্তীতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গোরাপত্তন।

১৯৫৯ সালে তৎকালীন জাতীয় শিক্ষা কমিশন এবং খাদ্য ও কৃষি কমিশনের সুপারিশক্রমে ১৯৬১-৬২ সেশনে “ইস্ট পাকিস্তান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়” যাত্রা শুরু করে ১৮ই আগস্ট “ইস্ট পাকিস্তান ভেটেরিনারি এন্ড অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি কলেজ” ক্যাম্পাসকে কেন্দ্র করে। পরবর্তীতে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশ স্বাধীন হবার পর “ইস্ট পাকিস্তান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়”-এর নাম পরিবর্তিত হয় “বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়”। ইস্ট পাকিস্তান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয় দুটি অনুষদ নিয়ে কৃষি অনুষদ এবং ভেটেরিনারি অনুষদ।
পরবর্তীতে ১৯৬২ সনে অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি আলাদা ভাবে অনুষদ শুরু হলো।
এর পর আমরা জানি PSTU তে আরেকটি ২য় অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি ডিগ্রী চালু করা হলো।

ইদানিং সময়ে একজন Animal Husbandy graduate যিনি বাংলাদেশ সরকারের একজন দায়ীত্মশীল সচিব। উনার মাথায় উদিত হলো Animal Husbandry Council গঠন করে AH গ্রেজুয়েটদের সুরক্ষা দিতে। কিসের সুরক্ষা? অবাক লাগে সরকারের সর্বচ্চ পর্যায়ের একজন কর্ম চারীর knowledge এবং চিন্তাভাবনা দেখে। উনি কি জানেন না সারা পৃথিবীতে তিনটি Profession ই, কাউন্সিল এর অন্তরভুক্ত?
1. Medical Council (Doctor)
2. Veterinary Council (Veterinarian)
3. Bar Council (Advocate)

এসকল সদস্য রা হলেন একজন ডাক্তার (Medical council), একজন ভেটেরিনারিয়ান (Veterinary Council) কিম্বা এডভোকেট (Bar council).
মুল বিষয় হলো এনাদের হাতেই একজন মানুষ কিম্বা পশুর মৃত্যুর কারন দর্শানোর আইনি সুরক্ষা রয়েছ।
Animal Husbandry Graduate দের কিসের সুরক্ষা? কি জন্য সুরক্ষা? সেটির জন্য এই কাউন্সিল নয়।
আমি আরো অবাক হয়ে দেখছিলাম সাংবাদিকদের বুঝে না বুঝেই একতরফা তাদের সমর্থন। কেন?

© Abusaleh Bari স্যার ❤️

বিশ্বের কোথাও এ ধরণের কাউন্সিল নেই।
24/12/2023

বিশ্বের কোথাও এ ধরণের কাউন্সিল নেই।

'অ্যানিমেল হাজবেনড্রি কাউন্সিল আইন-২০২৩ বাতিল সময়ের দাবি' | Animal Husbandry Council Act |Veterinaryআরও বিস্তারিত জানতে...

আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের এপের নতুন ভার্শন লাইভ হয়েছে। যারা পুরাতন ভার্শন ইউজ করছেন তারা নতুন ভার্সন ডাউনলোড করে নিতে পারেন...
17/11/2023

আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের এপের নতুন ভার্শন লাইভ হয়েছে।
যারা পুরাতন ভার্শন ইউজ করছেন তারা নতুন ভার্সন ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
ডাউনলোড লিঙ্ক: https://play.google.com/store/apps/details?id=app.vetcareplus

সম্মানিত ইউজারদের আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, আগামী দুই তিন দিনের ভেতরে আমরা ভেট কেয়ার প্লাস এপের আরো একটি নতুন ভার্সন নিয়...
08/11/2023

সম্মানিত ইউজারদের আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, আগামী দুই তিন দিনের ভেতরে আমরা ভেট কেয়ার প্লাস এপের আরো একটি নতুন ভার্সন নিয়ে আসতে যাচ্ছি।
পূর্বের ভার্শন গুলোতে অনেকেই ইমেইল এড্রেস ছাড়াই সাইনআপ করার কারণে পাসওয়ার্ড রিকভারি করতে আমাদের কাস্টোমার কেয়ারে যোগাযোগ করতে হতো। নতুন ভার্শনে সহজেই নিজে নিজেই পাসওয়ার্ড উদ্ধার করতে পারবেন।
নতুন ভার্শন সবার আগে পেতে চোখ রাখুন আমাদের পেইজে।

একজন ভেটেরিনারি ডাক্তারের সাফল্য।লিঙ্ক কমেন্ট সেকশনে।
18/09/2023

একজন ভেটেরিনারি ডাক্তারের সাফল্য।লিঙ্ক কমেন্ট সেকশনে।

06/08/2023
19/06/2023

প্রিয় ইউজার, ডাটাবেইজ এ সমস্যা হওয়ার কারণে সকাল থেকে আপনার এপে প্রবেশ করতে কিছুটা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। এ জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

বর্তমানে ডাটাবেইজ এর সমস্যা সমাধান করা হয়েছে। পাশে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।

আলহামদুলিল্লাহ। ভেট কেয়ার প্লাস এপটি প্রায় দুই মাস বন্ধ থাকার পরে আবার প্লেস্টোরে লাইভ হয়েছে। বেশ কিছু প্রবলেম থাকার কার...
05/06/2023

আলহামদুলিল্লাহ। ভেট কেয়ার প্লাস এপটি প্রায় দুই মাস বন্ধ থাকার পরে আবার প্লেস্টোরে লাইভ হয়েছে।
বেশ কিছু প্রবলেম থাকার কারণে আবার নতুন করে বিল্ড করা হয়েছে।
যদিও টাকা, সময় ও পরিশ্রম সব গুলোই দিতে হয়েছে তবুও ভালো লাগছে পেশার জন্য কিছু একটা করতে পেরেছি।
আমার জানা মতে বাংলাদেশি ভেটেরিনারি এপ গুলোর মধ্যে সব চেয়ে বেশি তথ্যবহুল এপ এটি। এটি সম্ভব হয়েছে কারণ আমি নিজে একজন ভেটেরিনারিয়ান হয়ে দীর্ঘ তিন বছরের অধিক সময় যাবৎ এর ডাটাবেইজ নিয়ে কাজ করছি। এর জন্য আমাকে কেউ কোন স্যালারি না দিলেও নিজের তাগিদে করে যাচ্ছি।

এপের লিঙ্ক:

https://play.google.com/store/apps/details?id=app.vetcareplus

সকলের জন্য শুভকামনায়
ডাঃ মোঃ আরিফুর রহমান,
ফাউন্ডার, ভেট কেয়ার প্লাস এপ।

Vet Care Plus এপটি ডেভেলপমেন্ট এর কাজ চলমান থাকার কারণে আপনারা অনেকেই এটা ব্যবহার করতে কিছু প্রবলেম ফেইস করতেছেন। এপটি ব...
15/05/2023

Vet Care Plus এপটি ডেভেলপমেন্ট এর কাজ চলমান থাকার কারণে আপনারা অনেকেই এটা ব্যবহার করতে কিছু প্রবলেম ফেইস করতেছেন।
এপটি বর্তমানে গুগল প্লেস্টোরে পাচ্ছেন না।
প্লেস্টোরে নতুন ভার্সন পাওয়ার আগে কেউ পুরাতন ভার্সন নিতে চাইলে হোয়্যাটসেপ নম্বরে (01723303974) যোগাযোগ করতে পারেন।

মোবাইল কোর্ট!!!আজ বাগেরহাট সদর উপজেলায় অবৈধভাবে গবাদিপশুর চিকিৎসা প্রদান, এন্টিবায়োটিক ব্যবহার এবং প্রেসক্রিপশন প্রদানের...
10/05/2023

মোবাইল কোর্ট!!!

আজ বাগেরহাট সদর উপজেলায় অবৈধভাবে গবাদিপশুর চিকিৎসা প্রদান, এন্টিবায়োটিক ব্যবহার এবং প্রেসক্রিপশন প্রদানের অপরাধে "বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল আইন-২০১৯" অনুযায়ী একটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এতে রেনাটা এনিমেল হেলথের বাগেরহাট সদরের দায়িত্বে থাকা রিপ্রেজেনটেটিভ জনাব রনজিৎ হালদারকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং রেনাটা এনিমেল হেলথ এরিয়া ম্যানেজার, বাগেরহাট জনাব কামরুল ইসলামকে ৫০হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। দন্ডিত দুজন ব্যক্তিই দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাট এরিয়াতে অনৈতিকভাবে নিজেদের ডাক্তার পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা করে আসছিলেন। তাদেরকে বারবার সতর্ক করা হলেও এবং লিখিতভাবে খামারীর অভিযোগ থাকার পরেও, এমনকি তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি অবগত থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেন নি বরং দন্ডিত দুজন আমাদের প্রাণিসম্পদকে নিয়ে এবং ডাক্তারদের নিয়ে অনেক জায়গায় নেগেটিভভাবে তুলে ধরেছেন, যেটি সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে। নিজেদের না শুধরিয়ে উপরন্তু তারা চিকিৎসা কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন। বাগেরহাটের সচেতন মানুষজন, প্রশাসন এবং মিডিয়া সবাই বিষয়টি জানার পর আজ হাতেনাতে প্রমাণসহ তাদের আটক করা হয় এবং উপরোক্ত কারাদণ্ড ও জরিমানা প্রদান করা হয়। ধন্যবাদ বিভাগীয় প্রাণিসম্পদদপ্তর, জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর এবং উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সহ সকলকে।বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আজকের এই মোবাইল কোর্টের প্রসিকিউটর ডা: ইমরান সোহেলকে তাঁর সাহসী উদ্যোগ প্রশংসনীয়। আমি আরো ধন্যবাদ জানাচ্ছি উপজেলা ও জেলা প্রশাসন, বাগেরহাট, প্রেসক্লাব, বাগেরহাট ও সকল মিডিয়া কর্মীদের ও আমার প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারীদের।

কপিঃ বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল।

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Vet Care Plus-এপ্স ভিত্তিক ভেটেরিনারি সার্ভিস posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Vet Care Plus-এপ্স ভিত্তিক ভেটেরিনারি সার্ভিস:

Videos

Share

Category

VET CARE PLUS

ভেট কেয়ার প্লাস (Vet Care Plus) এপ্স ইউরোপ ও আমেরিকার ভেটেরিনারি পেশাকে অনুসরণ করে বাংলাদেশের ভেটেরিনারি পেশাকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করার জন্য সামান্য অবদান রাখার প্রচেষ্টা থেকে আমাদের কোম্পানি তৈরি করেছে ভেট কেয়ার প্লাস নামক প্রানিসেবার এপ্স।

ভেটেরিনারিয়ানদের জন্য কি আছে এই এপ্সে?

১. রেজিস্টার্ড ভেটেরিনারি ডাক্তারদের জন্য রয়েছে প্রানিচিকিৎসায় ব্যবহৃত প্রায় সকল ধরণের মেডিসিন প্রোডাক্টের ডাটাবেইজ ২. অটোমেটিক ফিল ইন ডিজিটাল প্রেসক্রিপশন। যা দ্বারা যেকোন স্থান থেকে প্রেসক্রিপশন করে খামারিদের প্রেরণ সুবিধা। ৩. নিজস্ব আইডি খোলার মাধ্যমে সরাসরি খামারিদের সাথে যোগাযোগ সুবিধা। ৪. ক্লায়েন্ট এর সাথে যোগাযোগ করে হোম কল সার্ভিস দেওয়া।

খামারিদের জন্য কি সুবিধা রয়েছে?

Nearby pet stores & pet services