10/04/2020
আসসালামুআলাইকুম,সকলকে এই পড়ন্ত দুপুরের শুভেচ্ছা..
মুনু The Rabbit KiNg
পেইজটিতে আজকে থেকে প্রতি সপ্তাহে আপনাদের জন্য আমরা র্যাবিট পালনের জন্য সুবিধামুলক ও শিক্ষনীয় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবো যাতে করে আপনারা সকলে এই সুন্দর আল্লাহর সৃষ্টির বিষয়ে আপনারা সম্মক জ্ঞান অর্জন করতে পারেন এবং ইহা পালনে উৎসাহিত হতে পারেন..
আজ প্রথমেই চলুন জেনে নেই র্যাবিট বা খরগোশ সম্পর্কে কিছু কথা..
# র্যাবিট বা খরগোশ হলো একটি স্তন্যপায়ী তৃনভোজী প্রানী, যা লেগুমর্ফ গোত্রের প্রানি,
এরা সাধারনত ঘাস,লতাপাতা,তৃন,তরিতরকারি, রান্নার উচ্ছিষ্টাংশ ইত্যাদি খেয়ে বেচে থাকে..
# তারা সাধারনত আশ জাতীয় খাবার বেশি পছন্দ করে থাকে..
# পুরুষ খরগোশকে বলা হয় বাক,মেয়েকে বলা হয় ডো,আর বাচ্চাকে বলা হয় বানি অথবা কিটেন,আর এডাল্ট খরগোশকে বলা হয় কোনেই.খরগোশের একত্রে অনেকগুলো বাচ্চা দিলে তাদের একত্রে বলা হয় লিটার.
# এবার আসুন জানা যাক খরগোশ কত বছর বয়সে মিলনের জন্য উপযুক্ত হয়
ছোট ব্রিড(প্রাজাতি) ১২৫-১৫০ দিন বয়সে
বড় প্রজাতি ১৫০-১৮০ দিন বয়সে ম্যাচিউরড হয় মানে এই বয়সে তারা মিলন করলে বাচ্চা (অফস্প্রিং) দিতে সক্ষম হবে.
# এদের গর্ভকালীন সময়(জেস্টেশন পিরিয়ড) মাত্র ২৮-৩৫ দিন, গড়ে ৩১ দিন মাত্র..
এদেরকে বলা হয় প্রলিফিক(উব্বর) প্রানি কারন এরা বাচ্চা দেয়ার পরপরি আমার মিলন(মেটিং) করার সাথে সাথেই গর্ভবতী (কন্সিভড) হয়ে যায়. তাই আপনি বছরে একটি মাত্র র্যাবিট থেকে গড়ে ৪০টি মত বাচ্চা পেতে পারেন।
# এরা সাধারনত দিনে ৮.৪ ঘন্টা ঘুমিয়ে থাকে..
এর যখনি দেখবেন খড় কুটো টেনে ঘরে নিয়ে আসছে তখনি বুঝবেন এরা বাচ্চা দিতে প্রস্তুত.
# এদেরকে বলা হয় কপ্রোফ্যাগি মানে নিজের বিষ্ঠা এরা নিজেরা খায় এবং সেই বিষ্ঠা ৩ থেকে ৪ বার রিসাইকেল করে খায়..এটা খারাপ কিছু নয় কারন এদের খাবারের বেশির ভাগ প্রথমবার হজম হয়না তাই সেটা পুনর্ব্যবহার করে থাকে তাছাড়া বিষ্ঠায় থাকা ব্যাক্টেরিয়া তাদের নতুন খাবার হজমে সহায়তা করে থাকে..যার কারনে খাবার খরচ অনেক বাচিয়ে দেয়.
# এক একটি ছোট বাচ্চা র্যাবিট এর মূল্য প্রায় ২০০-২২০ টাকা এবং এডাল্ট ৪০০-৫০০ টাকা এবং মা র্যাবিট ৫০০-৭০০ টাকায় ও বিক্রি হয়ে থাকে বাজারে বুঝতেই পারছে কতটা লাভজনক একটি প্রকল্প হতে পারে..তাছাড়া সখের ব্যপারটি তো রয়েছেই..
# ইসলাম ধর্মে র্যাবিট খাওয়া হারাম নয় হালাল,এর মাংশের পুষ্টি গুন অনেক বেশি, এটা সম্পুর্ণ ফ্যাটমুক্ত লিন মিট.যা হার্টের জন্য উপকারী * অন্য কোনোদিন মাংশের পুষ্টিগুন নিয়ে আরো একটি পোস্ট করবো ইনশাআল্লাহ আজ এই পর্যন্ত
এতকিছু লেখার কারন একটাই যারা র্যাবিট পালবেন অথচ সায়েন্টিফিক বিষয়গুলো জানবেন না তাতো হবে না,উপরে বেশ কিছু টার্ম বাংলার পাশাপাশি উল্লেখ করা হয়েছে এগুলো জানুন এবং একজন শিক্ষিত র্যাবিট পালক হউন.
রেফারেন্স ও লেখাঃ- মোঃতুখলিফুল মিয়াদ মঈন
বি.এস.সি অনার্স ইন এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়...
সবাই ভালো থাকুন,বাসায় থাকুন,বেশি করে হাত ধৌত করুন,করোনা হইতে সচেতনত হউন এবং আল্লাহ তায়ালাকে স্বরন করুন.
খোদা হাফেজ.